09-02-2020, 03:21 PM
21
অসম্ভবরকম যন্ত্রণা হচ্ছিল পেটে, চোখদুটো বুজে ফেলেছিলাম। অন্ধকার ঘরটায় বেশ কিছুক্ষন ধুপধাপ আওয়াজ হোল, বুঝলাম রঞ্জন ও মিতা চলে গেলো। ২৪ ঘণ্টা সময়, ওদের ৮০ লাখ টাকা আর বিনিময়ে আমার আর রমার নিরাপত্তা। মনে পড়ে গেলো বিজয়দার সেই কথাটা ‘নিজেকে শারলক হোমস ভাববেন না’। আমার জীবনের এই চরম রহস্যময় কাহিনীর সবচেয়ে রহস্যময় ও আকর্ষক চরিত্রটি আসলে বিজয়দা নিজেই। লোকটি কখনো প্রচুর কথা বলে কখনো বা খুবই কম কথা বলে, কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় কথাটুকুই বলে। মেঝে থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আমিও দরজা দিয়ে বাইরে বেরলাম। এই মুহূর্তে আমার প্রথম কর্তব্য রমা কোথায় আছে তার খোঁজ নেওয়া। রমাকে ফোনটা লাগিয়েও দিলাম কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এলো সেই পরিচিত গম্ভীর কণ্ঠ। হ্যাঁ জানি এটা বিজয়দাই, এবং সম্ভবত রহস্যের যে সমাধান আমি নিজের মস্তিস্কে করে ফেলেছি তা হুবহু মিলেও যাচ্ছে। ‘শুনুন, বিপ্লব বাবু, আইনের দেবতার চোখে কালো কাপড় বাঁধা রয়েছে। আপনার মিসেস আমার সাথে থানায় রয়েছে। আমি সবই জানি’ ভয়ে বুকটা কেঁপে উঠল, কিন্তু একটা আশার আলোও রইল। ‘শারলক হোমস, নিজের কাজ শেষ করে আমায় জানাবেন, রমা দেবীকে আমি নিজে আপনার ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিয়ে আসবো। আপাতত রমা দেবীর দায়িত্ব আমি নিলাম’। মানসিক অবস্থা ঠিক ছিলনা নয়ত তক্ষুনি ‘ইউরেকা’ বলে লাফ দিয়ে উঠতাম। ঠিক, এইরকম সমাপ্তিই আমি চেয়েছিলাম।
আবার ফোন লাগালাম, না এবার রমাকে নয় রঞ্জনকে। ‘রঞ্জন, তোমার ৮০ লাখ আমি ফেরত দিতে চাই, তুমি দ্বিতীয় হুগলী সেতুর ওপর চলে আসো’। এই সেই দ্বিতীয় হুগলী সেতু, যেখানে একদিন আমাদের এ্যাম্বুলেন্সটা দাঁড়িয়ে পড়েছিল। চোখের সামনে দেখেছিলাম বাবাই এর শরীর থেকে কেমন ধীরে ধীরে প্রান বায়ুটা বেরিয়ে গেছিল। বাবাই আর ফিরে আসেনি। কিন্তু অন্য এক বাবাইকে আমি আর রমা বাবাই রুপেই মানুষ করছি। আমাদের বাড়িতে যে মহিলা কাজ করেন তিনি আর কেউ নন, মেসোমশাই এর গৃহবধূ আর বাবাই ওনার ছেলে মনিরুলের পুত্র। মনিরুল আজ ৩ বছর ক্যান্সারে আক্রান্ত ওর ছেলের দায়িত্ব আমি নিয়েছি। মনিরুলই মধুকর ভিলার বাইরে ট্যাক্সি নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। পরে বুঝেছি সম্পূর্ণ প্ল্যানটা বিজয়দাও জানতেন। আর সেই কারনেই মধুকর ভিলা থেকে আমাদের ফেরত আনতে মনিরুলকেই পাঠিয়েছিলেন। মনিরুলের সাথে আমার আরও একটা চুক্তি হয়েছে, চুক্তি না বলে মনিরুলের প্রতিদান বলাই ভালো। মনিরুলকে আগে থেকেই ইনফরম করে রেখেছিলাম। কিছুক্ষন পড়েই ট্যাক্সি নিয়ে ও চলে এলো। এই মনিরুলের ট্যাক্সিতে এর আগেও অনেকবার চেপেছি। তবে আজ একটু বেশীই আলাদা অনুভুতি হচ্ছে।
সবশেষ। হয়ত এটাই বলা ভালো যে নতুন এক দিগন্তের সূচনা। আজ এই মুহূর্ত থেকে নিজের ওই বাতিল হয়ে যাওয়া আইডিওলজিটা বস্তাপচা মনে হচ্ছেনা। নিজেকে সেই কলেজের ডায়াসের ওপরই দেখতে পাচ্ছি। যেন বক্তৃতা দিচ্ছি আমি, ‘আইডিওলজি কখনো ভুল হয়না বন্ধু, ভুল হই আমরা। নৈতিক অধঃপতন মানুষের হয় তত্বর নয়’। সেই কলকাতা, সেই ফুটপাথের ওপর শুয়ে সর্বহারা, কিন্তু আজ আর ওদের বঞ্চিত বানচোঁদ নয় ধরিত্রী মাতার সন্তান মনে হচ্ছিল। পরিশ্রান্ত শরীরে আমি কোনরকমে পেছনের সিটটায় শরীরটা এলিয়ে দিয়েছি। আমার সামনেই বসে মনিরুল। কাল থেকে প্রিন্ট মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া, পাড়ার চায়ের দোকান প্রতিটা স্থলে একটাই আলোচনার বিষয় বস্তু ‘মনিরুল, এই সিস্টেম এর ওপর বিতৃষ্ণা থেকে যে একের পর এক সিরিয়াল মার্ডার করে গেলো।’ কখন যে ফ্ল্যাটের সামনে পৌঁছে গেছি জানিনা, পুলিশের জীপটা তখনও দাঁড়িয়ে আছে ওখানে। রাস্তার ওপরেই রমা ও বিজয়দা দাঁড়িয়ে। আমাকে দেখা মাত্র রমা দৌড়ে চলে এলো ‘কি হয়েছে তোমার? বিজয়দা বলেছে তুমি নাকি বিশাল বিপদে রয়েছ তাই উনি আমার সাথে রয়েছেন। তুমি ভালো আছো তো?’ এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো শেষ করে দিলো রমা। আমি শুধুই নিস্পলক দৃষ্টিতে ওর দুচোখের দিকে তাকিয়ে আছি। ‘ভালোবাসা’ এই শব্দটা আজও আমার জীবন থেকে হারিয়ে যায়নি। নতুন করে বেঁচে ওঠার, নতুন এক পৃথিবী গড়ে তলার স্বপ্ন ঠিক ওই কলেজ জীবনের মত করেই আমার দুচোখে ভেসে আসছিল।
‘তাহলে কি এখনই হ্যান্ড ওভার করবেন?’ আমি একবার মনিরুলের দিকে তাকালাম। ওর দুচোখে যন্ত্রণা থাকলেও তাকে ছাপিয়ে এসেছে জীবনে অন্যের জন্য কিছু করার আনন্দ। রমার দিকে তাকিয়ে বললাম ‘রমা, তুমি একটু ভেতরে যাও, আমার একটু বিজয়দা আর মনিরুলের সাথে বিশেষ কাজ রয়েছে’। কিছুক্ষন ওখানেই থমকে দাঁড়িয়ে থাকলো রমা, কিন্তু আমার নীরবতা দেখে গুটি গুটি পায়ে ভেতরের দিকে যেতে শুরু করল। বেশ কিছুটা দূর চলে যাওয়ার পর আমিই মনিরুলের দিকে কাতরভাবে তাকালাম। কিছুটা জোর করে হাঁসার চেষ্টা করল মনিরুল। ‘আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি বিপ্লবদা’। আবেগের সমস্ত বাঁধ ভেঙে আমি মনিরুলকে জড়িয়ে ধরলাম, ‘বিশ্বাস কর মনিরুল, শুধুই ৩ ঘণ্টার জন্য আমি মেসমশাইকে ঠকিয়েছিলাম। বাবাই মারা যাওয়ার পর আমি ভেঙে পড়িনি। আমি জানতাম ওই ৫ লাখ টাকা বাবাই এর প্রানের মত তোমার বোনেদের বিয়েতেও জরুরি। নার্সিংহোম অথারিটির পায়ে ধরেছিলাম, ওরা টাকা ফেরত দেয়নি। ফিরে এসে মেসমশাইকে বোঝানোর সময় পাইনি, তার আগেই সব শেষ’। ‘সব ভুলে যান, বিপ্লবদা, আব্বুর মৃত্যু আপনাকে এক নতুন জীবন দিয়েছে, সারাজীবন গরীব দুঃখীর জন্য করে যান। আর আমার কথা ভেবে কষ্ট পাবেন না। আমি এমনিতেই ৩ মাসের অতিথি’ মনিরুলের হাতে হাতকড়া পড়িয়ে বিজয়দা নিয়ে চলে গেলো।
অসম্ভবরকম যন্ত্রণা হচ্ছিল পেটে, চোখদুটো বুজে ফেলেছিলাম। অন্ধকার ঘরটায় বেশ কিছুক্ষন ধুপধাপ আওয়াজ হোল, বুঝলাম রঞ্জন ও মিতা চলে গেলো। ২৪ ঘণ্টা সময়, ওদের ৮০ লাখ টাকা আর বিনিময়ে আমার আর রমার নিরাপত্তা। মনে পড়ে গেলো বিজয়দার সেই কথাটা ‘নিজেকে শারলক হোমস ভাববেন না’। আমার জীবনের এই চরম রহস্যময় কাহিনীর সবচেয়ে রহস্যময় ও আকর্ষক চরিত্রটি আসলে বিজয়দা নিজেই। লোকটি কখনো প্রচুর কথা বলে কখনো বা খুবই কম কথা বলে, কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় কথাটুকুই বলে। মেঝে থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আমিও দরজা দিয়ে বাইরে বেরলাম। এই মুহূর্তে আমার প্রথম কর্তব্য রমা কোথায় আছে তার খোঁজ নেওয়া। রমাকে ফোনটা লাগিয়েও দিলাম কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এলো সেই পরিচিত গম্ভীর কণ্ঠ। হ্যাঁ জানি এটা বিজয়দাই, এবং সম্ভবত রহস্যের যে সমাধান আমি নিজের মস্তিস্কে করে ফেলেছি তা হুবহু মিলেও যাচ্ছে। ‘শুনুন, বিপ্লব বাবু, আইনের দেবতার চোখে কালো কাপড় বাঁধা রয়েছে। আপনার মিসেস আমার সাথে থানায় রয়েছে। আমি সবই জানি’ ভয়ে বুকটা কেঁপে উঠল, কিন্তু একটা আশার আলোও রইল। ‘শারলক হোমস, নিজের কাজ শেষ করে আমায় জানাবেন, রমা দেবীকে আমি নিজে আপনার ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিয়ে আসবো। আপাতত রমা দেবীর দায়িত্ব আমি নিলাম’। মানসিক অবস্থা ঠিক ছিলনা নয়ত তক্ষুনি ‘ইউরেকা’ বলে লাফ দিয়ে উঠতাম। ঠিক, এইরকম সমাপ্তিই আমি চেয়েছিলাম।
আবার ফোন লাগালাম, না এবার রমাকে নয় রঞ্জনকে। ‘রঞ্জন, তোমার ৮০ লাখ আমি ফেরত দিতে চাই, তুমি দ্বিতীয় হুগলী সেতুর ওপর চলে আসো’। এই সেই দ্বিতীয় হুগলী সেতু, যেখানে একদিন আমাদের এ্যাম্বুলেন্সটা দাঁড়িয়ে পড়েছিল। চোখের সামনে দেখেছিলাম বাবাই এর শরীর থেকে কেমন ধীরে ধীরে প্রান বায়ুটা বেরিয়ে গেছিল। বাবাই আর ফিরে আসেনি। কিন্তু অন্য এক বাবাইকে আমি আর রমা বাবাই রুপেই মানুষ করছি। আমাদের বাড়িতে যে মহিলা কাজ করেন তিনি আর কেউ নন, মেসোমশাই এর গৃহবধূ আর বাবাই ওনার ছেলে মনিরুলের পুত্র। মনিরুল আজ ৩ বছর ক্যান্সারে আক্রান্ত ওর ছেলের দায়িত্ব আমি নিয়েছি। মনিরুলই মধুকর ভিলার বাইরে ট্যাক্সি নিয়ে অপেক্ষায় ছিল। পরে বুঝেছি সম্পূর্ণ প্ল্যানটা বিজয়দাও জানতেন। আর সেই কারনেই মধুকর ভিলা থেকে আমাদের ফেরত আনতে মনিরুলকেই পাঠিয়েছিলেন। মনিরুলের সাথে আমার আরও একটা চুক্তি হয়েছে, চুক্তি না বলে মনিরুলের প্রতিদান বলাই ভালো। মনিরুলকে আগে থেকেই ইনফরম করে রেখেছিলাম। কিছুক্ষন পড়েই ট্যাক্সি নিয়ে ও চলে এলো। এই মনিরুলের ট্যাক্সিতে এর আগেও অনেকবার চেপেছি। তবে আজ একটু বেশীই আলাদা অনুভুতি হচ্ছে।
সবশেষ। হয়ত এটাই বলা ভালো যে নতুন এক দিগন্তের সূচনা। আজ এই মুহূর্ত থেকে নিজের ওই বাতিল হয়ে যাওয়া আইডিওলজিটা বস্তাপচা মনে হচ্ছেনা। নিজেকে সেই কলেজের ডায়াসের ওপরই দেখতে পাচ্ছি। যেন বক্তৃতা দিচ্ছি আমি, ‘আইডিওলজি কখনো ভুল হয়না বন্ধু, ভুল হই আমরা। নৈতিক অধঃপতন মানুষের হয় তত্বর নয়’। সেই কলকাতা, সেই ফুটপাথের ওপর শুয়ে সর্বহারা, কিন্তু আজ আর ওদের বঞ্চিত বানচোঁদ নয় ধরিত্রী মাতার সন্তান মনে হচ্ছিল। পরিশ্রান্ত শরীরে আমি কোনরকমে পেছনের সিটটায় শরীরটা এলিয়ে দিয়েছি। আমার সামনেই বসে মনিরুল। কাল থেকে প্রিন্ট মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া, পাড়ার চায়ের দোকান প্রতিটা স্থলে একটাই আলোচনার বিষয় বস্তু ‘মনিরুল, এই সিস্টেম এর ওপর বিতৃষ্ণা থেকে যে একের পর এক সিরিয়াল মার্ডার করে গেলো।’ কখন যে ফ্ল্যাটের সামনে পৌঁছে গেছি জানিনা, পুলিশের জীপটা তখনও দাঁড়িয়ে আছে ওখানে। রাস্তার ওপরেই রমা ও বিজয়দা দাঁড়িয়ে। আমাকে দেখা মাত্র রমা দৌড়ে চলে এলো ‘কি হয়েছে তোমার? বিজয়দা বলেছে তুমি নাকি বিশাল বিপদে রয়েছ তাই উনি আমার সাথে রয়েছেন। তুমি ভালো আছো তো?’ এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো শেষ করে দিলো রমা। আমি শুধুই নিস্পলক দৃষ্টিতে ওর দুচোখের দিকে তাকিয়ে আছি। ‘ভালোবাসা’ এই শব্দটা আজও আমার জীবন থেকে হারিয়ে যায়নি। নতুন করে বেঁচে ওঠার, নতুন এক পৃথিবী গড়ে তলার স্বপ্ন ঠিক ওই কলেজ জীবনের মত করেই আমার দুচোখে ভেসে আসছিল।
‘তাহলে কি এখনই হ্যান্ড ওভার করবেন?’ আমি একবার মনিরুলের দিকে তাকালাম। ওর দুচোখে যন্ত্রণা থাকলেও তাকে ছাপিয়ে এসেছে জীবনে অন্যের জন্য কিছু করার আনন্দ। রমার দিকে তাকিয়ে বললাম ‘রমা, তুমি একটু ভেতরে যাও, আমার একটু বিজয়দা আর মনিরুলের সাথে বিশেষ কাজ রয়েছে’। কিছুক্ষন ওখানেই থমকে দাঁড়িয়ে থাকলো রমা, কিন্তু আমার নীরবতা দেখে গুটি গুটি পায়ে ভেতরের দিকে যেতে শুরু করল। বেশ কিছুটা দূর চলে যাওয়ার পর আমিই মনিরুলের দিকে কাতরভাবে তাকালাম। কিছুটা জোর করে হাঁসার চেষ্টা করল মনিরুল। ‘আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি বিপ্লবদা’। আবেগের সমস্ত বাঁধ ভেঙে আমি মনিরুলকে জড়িয়ে ধরলাম, ‘বিশ্বাস কর মনিরুল, শুধুই ৩ ঘণ্টার জন্য আমি মেসমশাইকে ঠকিয়েছিলাম। বাবাই মারা যাওয়ার পর আমি ভেঙে পড়িনি। আমি জানতাম ওই ৫ লাখ টাকা বাবাই এর প্রানের মত তোমার বোনেদের বিয়েতেও জরুরি। নার্সিংহোম অথারিটির পায়ে ধরেছিলাম, ওরা টাকা ফেরত দেয়নি। ফিরে এসে মেসমশাইকে বোঝানোর সময় পাইনি, তার আগেই সব শেষ’। ‘সব ভুলে যান, বিপ্লবদা, আব্বুর মৃত্যু আপনাকে এক নতুন জীবন দিয়েছে, সারাজীবন গরীব দুঃখীর জন্য করে যান। আর আমার কথা ভেবে কষ্ট পাবেন না। আমি এমনিতেই ৩ মাসের অতিথি’ মনিরুলের হাতে হাতকড়া পড়িয়ে বিজয়দা নিয়ে চলে গেলো।