09-02-2020, 03:02 PM
13
কমবয়সে অনেক মারপিট করেছি, কিন্তু সেসব ই মানুষের সাথে। আমার গুরুমস্তিষ্ক বারবার বলছে আমার পেছনে কোন মানুষ নয় এক অশরীরী দাঁড়িয়ে আছে এবং তার বরফ শীতল হাতটা ক্রমশ আমার কাঁধ থেকে কানের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। পেছন দিকে তাকানোর ক্ষমতা আমার মধ্যে নেই। ওই বেঞ্চের ওপরই চুপটি করে বসে দাঁতে দাঁত চিপে আমি ঠক ঠক করে কেঁপে চলেছি। হথাত হাতের কোমল আঙুলগুলো কেমন যেন লোহার মত শক্ত অনুভুত হোল। বেশ কিছুক্ষন চুপ করে অনুভব করার পর বুঝলাম এটা আঙুল নয় রিভালবারের নল। এবং এর সাথে সাথে বুক থেকে একরাশ ভয় নেমে গেলো। হ্যাঁ, পেছনের সেই ছায়াটি ভূত নয় মানুষ। আমি শুধুই অপেক্ষায় তার মুখ থেকে সামান্য কোন শব্দ শুনতে পাওয়ার; কারন পেছন ঘুরে আমি তার মুখ দেখে চিনে ফেলব সেই সুযোগ হয়ত সে আমায় দেবেনা। ‘মাথাটা বেঞ্চের ওপর ঠেকিয়ে উবুড় হয়ে বস। একটু নড়চড় করলেই মাথা ফুড়ে গুলি এদিক ওদিক করে দেবো’ গলাটা অস্বাভাবিক রকম; কিছুটা প্রচণ্ড কফ জমে গেলে মানুষের গলা যেমন হয় তেমন অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের গলাটা অন্যের কাছে অপরিচিত করতে চাইলে যেমন হয় তেমন। আমি কানটা খাড়া রাখলাম, জানি পেছনের সেই ব্যাক্তি আমার অতি পরিচিত। কিছুতেই নিজের পরিচয় আমার কাছে দিতে চায়না। আমি যেভাবে বসে ছিলাম সেভাবেই বসে থাকলাম; লক্ষ্য একটাই আরও একবার ওর গলাটা শুনে চিনে নেওয়া।
মানুষই ভুল করে। হ্যাঁ, ঠিক যা চাইছিলাম তাই হোল। ‘কি হোল; শুনতে পাচ্ছনা। মাথাটা নিচু কর, নয়ত এক্ষুনি গুলি চালিয়ে দেবো’ এবারে গলার স্বরটা আর আগের মত বিকৃত করতে পারলো না, আর সেই কারনেই হয়ত রিভালবারের বাঁটটা দিয়ে সজোরে আমার মাথায় আঘাতটা নেমে এলো। আমার মাথায় বীভৎস যন্ত্রণা হচ্ছিল, কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও মনের মধ্যে একটা আনন্দ ছিল। মাথাটা বেঞ্চের ওপর রাখতে রাখতে আমি নিজের মনেই হেঁসে উঠলাম; ও মনে মনে বলে উঠলাম ‘আমি তোমায় চিনে ফেলেছি’। কলেজে পড়াকালীন বহুবার পাড়ায় নাটক, যাত্রাপালা করেছি। একবার সিতার পাট ও করেছিলাম। তাই জানি অভিনয় করা ও গলাকে পরিবর্তন করা এই দুই একসাথে ঠিক কি পরিমান কষ্টসাধ্য কাজ। শান যে আমার এতো পরিচিত ও কাছের লোক তা আগে জানা ছিলনা। কষ্ট হচ্ছিল, কাছের মানুষের এতো বড় বেইমানী দেখে কিন্তু আনন্দও হচ্ছিল যেহেতু সম্পূর্ণ রহস্যের অন্তত ৭৫ ভাগ আমি সল্ভ করে ফেলেছি।
বিজয়দাকে আমি নিজের দাদা মনে করি। অনেকবারই ওনার ওপর সন্দেহ হয়েছে কিন্তু কখনোই সেভাবে ওনাকে অবিশ্বাস করিনি। মাদারচোঁদের দুনিয়ায় সত্যিই কেউ কারুর হয়না। আর ভাবতে পারলাম না কিছু কারন আবার প্রচণ্ড জোরে রিভলবারের বাঁটটা দিয়ে মাথায় সজোরে একটা আঘাত। মনে হোল এবার বুঝি সত্যিই মাথাটা ফেটে গেলো। আবার বিকৃত করা গলায় একটা আওয়াজ ‘এই গাড়িটা এবার এখানে নিয়ে আয়। আর লুকিয়ে থাকার দরকার নেই’ তাহলে এতক্ষন সেই সাদা গাড়িটা এখানে অপেক্ষা করছিল। গাড়ির স্টার্ট নেওয়ার আওয়াজ শুনে একটু অনুধাবন করার চেষ্টা করলাম। রাস্তাটার ঠিক উল্টোদিকে কিছু ঝাউ আর ইউক্যালিপটাস গাছের জঙ্গল রয়েছে। নিশ্চয়ই গাড়িটা ওখানেই কোথাও লুকানো ছিল। গাড়িটা যে ধীরে ধীরে এদিকেই এগিয়ে আসছে তা আমি বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছি। ‘যে কথাটা বলার কন্য এতকিছু; রমার কিচ্ছু হবেনা। এই বড় রাস্তায় কলকাতাগামী অনেক বাস পেয়ে যাবে। তার মধ্যে কোন একটায় উঠে কেটে পড়ো দেখি। রমাকে ৩-৪ দিন বাদে সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত পাঠিয়ে দেবো। যদি নিজের ও রমার ভালো চাও তো এক্ষুনি এখান থেকে কেটে পড়ো’ আমার মুখ দিয়ে একটাও শব্দ বেরোল না, আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না আমার কি করা উচিত। রিভালবারের বাঁটটা ক্রমশ আমার মাথা থেকে ধীরে ধীরে সরে গেলো। আমি কি মাথাটা ওপরে ওঠাবো। ধীরে ধীরে মাথাটা ওপরের দিকে তুলতে লাগলাম। ‘খবরদার, তোমায় প্রানে মারলাম না কারন একদিন তোমার থেকে সাহায্য পেয়েছিলাম, যেমন আছো ওইভাবেই বেঞ্চে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকো। গাড়িটা বেরিয়ে যাওয়ার পর মাথা তুলবে’ এবারে আওয়াজটা বেশ কিছুটা পেছন থেকে আসলো। বুঝলাম যে ও গাড়ির দিকে চলে যাচ্ছে। না মাথা ওঠানোর কোন প্রশ্ন নেই, ওটা মুর্খামি হবে। কিন্তু শান যেটা লক্ষ্য করল না তা হোল আমার মুখের একটা সন্তোষের হাঁসি। ‘তোমায় প্রানে মারলাম না কারন একদিন তোমার থেকে সাহায্য পেয়েছিলাম’ এবং সেই পরিচিত গলাটা আমায় শানের পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত করে তুলল।
প্রচণ্ড বেগে গাড়িটা কাচা রাস্তা বরাবর আমাদের বাংলোর দিকে চলতে শুরু করল। গাড়িতে কে কে ছিল, শুধুই কি শান ও তার ড্রাইভার? নাকি আরও অনেকজন? নাকি বিশেষ একজন? এইসব কিছুই আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব হোল না। শুধু একটাই কথা বুঝলাম তা হোল ...ই হোল শান। এই মুহূর্তে আমার একটাই কর্তব্য রমাকে রক্ষা করা। কিন্তু কি করে? ওদের কাছে অস্ত্র আছে। যা কিছু করেছি তা শুধুই বিজয়দাকে ভরসা করে। উনি বলেছিলেন বাংলোতে কোন একজন রয়েছে যে পুলিশের চর এবং শুধু সেকথা বিশ্বাস করেই আমার এতো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া। তাহলে কি সত্যিই কোন পুলিশের চর বাংলোতে নেই! বিজয়দার ওপর অবিশ্বাস হওয়াটা এই মুহূর্তে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। মাথার পেছনে হাত দিয়ে দেখলাম, মাথাটা ফাটেনি, শুধুই ফুলে গেছে। শান কি ইচ্ছে করেই আমায় বেশী আঘাত করতে চায়নি? কাঁচা রাস্তা বরাবর আমি দৌড়াতে শুরু করলাম। মাথায় শুধুই নতুন কিছু সমীকরন; বিজয়দার আমাদের বাড়িতে আসা- এটা শুধু আমিই জানি অন্য কেউ নয়, সেদিন বিজয়দা কার সাথে কথা বলছিলেন; রঞ্জনের সাথে? এটাও পরিস্কার নয়, যদি বিজয়দা জানতেন এখানে শান ও জুলি আসবেই তাহলে আমাকে ও রমাকে কেন গিনিপিগ বানিয়ে পাঠালেন; উনি তো নিজেই আসতে পারতেন এবং সর্বোপরি আমার এনজিওতে এতো টাকা দান করার ইচ্ছা প্রকাশ এবং তা ঘুষের টাকা বলে স্বীকার করে নেওয়া। সমস্ত ষড়যন্ত্রের কারিগর তাহলে বিজয়দাই!
কমবয়সে অনেক মারপিট করেছি, কিন্তু সেসব ই মানুষের সাথে। আমার গুরুমস্তিষ্ক বারবার বলছে আমার পেছনে কোন মানুষ নয় এক অশরীরী দাঁড়িয়ে আছে এবং তার বরফ শীতল হাতটা ক্রমশ আমার কাঁধ থেকে কানের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। পেছন দিকে তাকানোর ক্ষমতা আমার মধ্যে নেই। ওই বেঞ্চের ওপরই চুপটি করে বসে দাঁতে দাঁত চিপে আমি ঠক ঠক করে কেঁপে চলেছি। হথাত হাতের কোমল আঙুলগুলো কেমন যেন লোহার মত শক্ত অনুভুত হোল। বেশ কিছুক্ষন চুপ করে অনুভব করার পর বুঝলাম এটা আঙুল নয় রিভালবারের নল। এবং এর সাথে সাথে বুক থেকে একরাশ ভয় নেমে গেলো। হ্যাঁ, পেছনের সেই ছায়াটি ভূত নয় মানুষ। আমি শুধুই অপেক্ষায় তার মুখ থেকে সামান্য কোন শব্দ শুনতে পাওয়ার; কারন পেছন ঘুরে আমি তার মুখ দেখে চিনে ফেলব সেই সুযোগ হয়ত সে আমায় দেবেনা। ‘মাথাটা বেঞ্চের ওপর ঠেকিয়ে উবুড় হয়ে বস। একটু নড়চড় করলেই মাথা ফুড়ে গুলি এদিক ওদিক করে দেবো’ গলাটা অস্বাভাবিক রকম; কিছুটা প্রচণ্ড কফ জমে গেলে মানুষের গলা যেমন হয় তেমন অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের গলাটা অন্যের কাছে অপরিচিত করতে চাইলে যেমন হয় তেমন। আমি কানটা খাড়া রাখলাম, জানি পেছনের সেই ব্যাক্তি আমার অতি পরিচিত। কিছুতেই নিজের পরিচয় আমার কাছে দিতে চায়না। আমি যেভাবে বসে ছিলাম সেভাবেই বসে থাকলাম; লক্ষ্য একটাই আরও একবার ওর গলাটা শুনে চিনে নেওয়া।
মানুষই ভুল করে। হ্যাঁ, ঠিক যা চাইছিলাম তাই হোল। ‘কি হোল; শুনতে পাচ্ছনা। মাথাটা নিচু কর, নয়ত এক্ষুনি গুলি চালিয়ে দেবো’ এবারে গলার স্বরটা আর আগের মত বিকৃত করতে পারলো না, আর সেই কারনেই হয়ত রিভালবারের বাঁটটা দিয়ে সজোরে আমার মাথায় আঘাতটা নেমে এলো। আমার মাথায় বীভৎস যন্ত্রণা হচ্ছিল, কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও মনের মধ্যে একটা আনন্দ ছিল। মাথাটা বেঞ্চের ওপর রাখতে রাখতে আমি নিজের মনেই হেঁসে উঠলাম; ও মনে মনে বলে উঠলাম ‘আমি তোমায় চিনে ফেলেছি’। কলেজে পড়াকালীন বহুবার পাড়ায় নাটক, যাত্রাপালা করেছি। একবার সিতার পাট ও করেছিলাম। তাই জানি অভিনয় করা ও গলাকে পরিবর্তন করা এই দুই একসাথে ঠিক কি পরিমান কষ্টসাধ্য কাজ। শান যে আমার এতো পরিচিত ও কাছের লোক তা আগে জানা ছিলনা। কষ্ট হচ্ছিল, কাছের মানুষের এতো বড় বেইমানী দেখে কিন্তু আনন্দও হচ্ছিল যেহেতু সম্পূর্ণ রহস্যের অন্তত ৭৫ ভাগ আমি সল্ভ করে ফেলেছি।
বিজয়দাকে আমি নিজের দাদা মনে করি। অনেকবারই ওনার ওপর সন্দেহ হয়েছে কিন্তু কখনোই সেভাবে ওনাকে অবিশ্বাস করিনি। মাদারচোঁদের দুনিয়ায় সত্যিই কেউ কারুর হয়না। আর ভাবতে পারলাম না কিছু কারন আবার প্রচণ্ড জোরে রিভলবারের বাঁটটা দিয়ে মাথায় সজোরে একটা আঘাত। মনে হোল এবার বুঝি সত্যিই মাথাটা ফেটে গেলো। আবার বিকৃত করা গলায় একটা আওয়াজ ‘এই গাড়িটা এবার এখানে নিয়ে আয়। আর লুকিয়ে থাকার দরকার নেই’ তাহলে এতক্ষন সেই সাদা গাড়িটা এখানে অপেক্ষা করছিল। গাড়ির স্টার্ট নেওয়ার আওয়াজ শুনে একটু অনুধাবন করার চেষ্টা করলাম। রাস্তাটার ঠিক উল্টোদিকে কিছু ঝাউ আর ইউক্যালিপটাস গাছের জঙ্গল রয়েছে। নিশ্চয়ই গাড়িটা ওখানেই কোথাও লুকানো ছিল। গাড়িটা যে ধীরে ধীরে এদিকেই এগিয়ে আসছে তা আমি বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছি। ‘যে কথাটা বলার কন্য এতকিছু; রমার কিচ্ছু হবেনা। এই বড় রাস্তায় কলকাতাগামী অনেক বাস পেয়ে যাবে। তার মধ্যে কোন একটায় উঠে কেটে পড়ো দেখি। রমাকে ৩-৪ দিন বাদে সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত পাঠিয়ে দেবো। যদি নিজের ও রমার ভালো চাও তো এক্ষুনি এখান থেকে কেটে পড়ো’ আমার মুখ দিয়ে একটাও শব্দ বেরোল না, আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না আমার কি করা উচিত। রিভালবারের বাঁটটা ক্রমশ আমার মাথা থেকে ধীরে ধীরে সরে গেলো। আমি কি মাথাটা ওপরে ওঠাবো। ধীরে ধীরে মাথাটা ওপরের দিকে তুলতে লাগলাম। ‘খবরদার, তোমায় প্রানে মারলাম না কারন একদিন তোমার থেকে সাহায্য পেয়েছিলাম, যেমন আছো ওইভাবেই বেঞ্চে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকো। গাড়িটা বেরিয়ে যাওয়ার পর মাথা তুলবে’ এবারে আওয়াজটা বেশ কিছুটা পেছন থেকে আসলো। বুঝলাম যে ও গাড়ির দিকে চলে যাচ্ছে। না মাথা ওঠানোর কোন প্রশ্ন নেই, ওটা মুর্খামি হবে। কিন্তু শান যেটা লক্ষ্য করল না তা হোল আমার মুখের একটা সন্তোষের হাঁসি। ‘তোমায় প্রানে মারলাম না কারন একদিন তোমার থেকে সাহায্য পেয়েছিলাম’ এবং সেই পরিচিত গলাটা আমায় শানের পরিচয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত করে তুলল।
প্রচণ্ড বেগে গাড়িটা কাচা রাস্তা বরাবর আমাদের বাংলোর দিকে চলতে শুরু করল। গাড়িতে কে কে ছিল, শুধুই কি শান ও তার ড্রাইভার? নাকি আরও অনেকজন? নাকি বিশেষ একজন? এইসব কিছুই আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব হোল না। শুধু একটাই কথা বুঝলাম তা হোল ...ই হোল শান। এই মুহূর্তে আমার একটাই কর্তব্য রমাকে রক্ষা করা। কিন্তু কি করে? ওদের কাছে অস্ত্র আছে। যা কিছু করেছি তা শুধুই বিজয়দাকে ভরসা করে। উনি বলেছিলেন বাংলোতে কোন একজন রয়েছে যে পুলিশের চর এবং শুধু সেকথা বিশ্বাস করেই আমার এতো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া। তাহলে কি সত্যিই কোন পুলিশের চর বাংলোতে নেই! বিজয়দার ওপর অবিশ্বাস হওয়াটা এই মুহূর্তে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। মাথার পেছনে হাত দিয়ে দেখলাম, মাথাটা ফাটেনি, শুধুই ফুলে গেছে। শান কি ইচ্ছে করেই আমায় বেশী আঘাত করতে চায়নি? কাঁচা রাস্তা বরাবর আমি দৌড়াতে শুরু করলাম। মাথায় শুধুই নতুন কিছু সমীকরন; বিজয়দার আমাদের বাড়িতে আসা- এটা শুধু আমিই জানি অন্য কেউ নয়, সেদিন বিজয়দা কার সাথে কথা বলছিলেন; রঞ্জনের সাথে? এটাও পরিস্কার নয়, যদি বিজয়দা জানতেন এখানে শান ও জুলি আসবেই তাহলে আমাকে ও রমাকে কেন গিনিপিগ বানিয়ে পাঠালেন; উনি তো নিজেই আসতে পারতেন এবং সর্বোপরি আমার এনজিওতে এতো টাকা দান করার ইচ্ছা প্রকাশ এবং তা ঘুষের টাকা বলে স্বীকার করে নেওয়া। সমস্ত ষড়যন্ত্রের কারিগর তাহলে বিজয়দাই!