Thread Rating:
  • 14 Vote(s) - 3.21 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
বিপ্লব পোদ্দার- ব্যাংকার অফ দ্যা ইয়ার- complete
#24
আমার সাথে চোখাচুখি হতেই রমা উত্তর দিলো ‘আরেকটু ওয়েট কর, আমি রেডি হচ্ছি’। আমার এবং অবশ্যই চিনুর ধন তখন প্যান্টের মধ্যে ধুনুচি নাচছে। দরজাটা আবার বন্ধ হওয়ার আওয়াজ হোল। চিনু কোনকিছু না বলে খাটে আমার পাশে এসে বসল। ইস, এতো সেন্ট কেউ মাখে? বানচোঁদের না হয় প্রচুর পয়সা, তাই বলে এরকম হাঘরের মত সেন্ট মেখে আসবে? এরমাঝে চিনু অবশ্য টাইম পাশের জন্য কিছু অদ্ভুত অদ্ভুত প্রশ্ন আমায় করল, কিন্তু সেগুলো যে নিজের কামরিপুকে নিয়ন্ত্রন করার জন্যই তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। বেশ কিছুক্ষন পর ঠক করে একটা শব্দ হোল। আমি আর পেছন ঘুরলাম না। দেখি চিনু, বড় বড় চোখ করে ওইদিকে তাকিয়ে আছে। শালা মাথামোটা মাগীটা কি এমন ড্রেস পড়ল যে, চিনুর ফেটে যাচ্ছে। পেছন ঘুরে দেখে তো আমারও চোখ ছানাবড়া, শালা এটা আমায় বিয়ে করা বউটা না রভীনা ট্যান্দন। শালা, এই ড্রেস তো আমি ওকে কিনে দিইনি। ও কোথা থেকে জোগাড় করল। কালো নেক কাট একটা ফ্রক আর থাইটা অসভ্যের মত বার করে রভিনা, ওহ সরি রমা হিল তোলা জুতোর লেসটা বাঁধতেই তখন ব্যস্ত। ওহ, রমা কি করছ দেখো তো একবার তোমার কালো ব্রা আর থাইটা চিনু কেমন করে দেখছে।
জুতোর লেসটা বাঁধা হয়ে গেলে রমা চিনুর দিকে তাকিয়ে বলে উঠল ‘হ্যাঁ, আমি রেডি। চল বেরিয়ে পড়ি’ কি বলে মাগীটা ওর বরটা যে এখনো রেডি হয়নি। আমি প্রায় চেঁচিয়ে বলতে যাচ্ছিলাম আমার একটু সময় লাগবে, তার আগেই দেখি রমা গট গট করে হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে গেলো। পেছনে মাংসাশী প্রানী চিনুও। আমি আর কি করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জিনিষপত্র গুছিয়ে নীচের দিকে রওনা লাগালাম। নীচে নেমে দেখি ওমা, চিনু অলরেডি মাগিটাকে হাইজ্যাক করে নিয়েছে। গাড়ির পেছনে জানলার ধারে রমা ও তারপাশে চিনু। আর একটু জায়গা রয়েছে অবশ্য, সেটা কি আমার জন্য। হথাত ড্রাইভারটা বলে উঠল ‘স্যার, আপনি এখানে বসুন’। বানচোঁদ আমার বউয়ের সাথে পেছনের সীটে বসবে এমবিএ করা চিনু আর আমি বসব ড্রাইভারের পাশে। অগত্যা আমায় ওখানেই বসতে হোল। বউটার ওপর হেব্বি রাগ হচ্ছিল। একবারও ভাবল না আমি কিছু মাইন্ড করছি কিনা। শালা, এই ড্রেস কে পড়তে বলেছিল। এবার মালটাকে কে পাহারা দেবে? পেছন ঘুরে তাকাতেও ইচ্ছে করছিলনা। চিনু কি ভাববে আমি দেখছি ও আমার বউকে হাত মারছে কিনা? আবার কোন এক পরিচিত আসবে। ভগবান করুক, রঞ্জন যেন না হয়। ও আজ রমাকে দেখলে আমার স্বর্গীয় বাবাও রমাকে বাঁচাতে পারবেনা।
মাথায় হথাত ফেলুদাসুলভ একটা আইডিয়া কিলবিল করে উঠল। গাড়ির সামনের যে আয়নাটা আছে ওখানে চোখ রাখলে কেমন হয়! আর সত্যিই ব্যপারটা খুব রহস্যজনক, কারন গাড়িটা প্রায় ১ ঘণ্টা হোল চলছে, কিন্তু রমা বা চিনু কারুর মুখে একটা টু শব্দ নেই। কি করছে চিনু? মন বলছে, চিনু হাত মারছে আর আমার মাথামোটা বউটা সমাজ সভ্যতার লজ্জার ভয়ে চুপচাপ সব সহ্য করে যাচ্ছে। শালা, বানচোঁদ ড্রাইভারটা আয়নাটাও এমনভাবে সেট করেছে যে রমার মুখটা ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছেনা। মনেমনে বললাম হুম বুঝলাম তোর প্ল্যানিং হচ্ছে রমাকে কিস করবিনা কিন্তু শুধুই হাত মারবি। আমি একদৃষ্টিতে রমার মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। মাঝে মাঝে ওর চোখদুটো বুজে আসছে আবার জোর করে চোখগুলো খুলছে। নিঃশ্বাস নেওয়ার হারটা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশী। নাসারন্ধ্রদুটো মাঝেমধ্যেই বেলুনের মত ফুলে উঠছে আর আবার চুপসে যাচ্ছে। ঠোঁটদুটোও সামান্য গতিতে কম্পন হচ্ছে। বানচোঁদ হচ্ছেটা কি! বারবার ইচ্ছে হচ্ছে একবার পেছন ঘুরে দেখি, কিন্তু পারছিনা। একদুবার রমা সামনের দুটো দাঁত দিয়ে নীচের ঠোঁটটা কামড়ে ধরে জানলা দিয়ে বাইরে দেখার চেষ্টা করছে। আবার সেই সামনের দিকে তাকাচ্ছে।
ড্রাইভারটার মুখের দিকে তাকালাম, দেখি মুখটা হাঁসি খুশি। এবার বানচোঁদটা জন্ম থেকেই হাসমুখ নাকি আমার অকর্মণ্যতায় হাসছে তা ঠিক বুঝলাম না। সামনেই দেখি কোলাঘাট ব্রিজ। এবার এতক্ষনে আমি পেছনঘুরে কথা বলার সুযোগ পেলাম। ‘রমা ওই দেখো কোলাঘাট ব্রিজ’ পেছন ঘোরার পরই আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল চিনুর হাত। চিনুর হাতগুলো নিজের কোলের ওপর ভাঁজ করা থাকলেও অসম্ভবরকম থরথর করছিল। হ্যাঁ, শীতকাল, তবে এতটাও ঠাণ্ডা লাগার কথা নয়। রমার চোখগুলো ঘোলাটে হয়ে রয়েছে, এবং অত্যন্ত লক্ষণীয়ভাবে রমার থাইটা প্রায় পুরোটাই বাইরে বেরিয়ে আছে। রমা শুধুই আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো, কোন উচ্চবাক্য করলনা। আমিও মুখটা ঘুরিয়ে নিলাম। আর ৫ মিনিটের মধ্যেই আমরা মধুকর ভিলায় এসে পৌছালাম। গাড়ি থেকে সবাই নেমে গেলেও রমা প্রচণ্ড নিস্তব্ধ। চিনু চেষ্টা চালাচ্ছে স্বাভাবিক কথাবার্তার, কিন্তু কিছু একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার ওর মধ্যেও রয়েছে।
আমরা যে যার ব্যাগ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। কি সুন্দর বাংলোটা। চারপাশে পাতলা জঙ্গল আর দূরে বয়ে চলেছে রুপনারায়ন নদী। একতলা একটা সাজানো গোছানো বাংলো, আর নীচের তলায় ২-৩ টে রুম, বাইরে থেকেই বাংলোর ডিজাইনটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। মুল দরজার ভেতরে সুন্দর একটা বাগান, আর তার মধ্যে দিয়েই আমরা হেঁটে চললাম। এবার এলো মুল ফটক। দরজা খোলাই ছিল। ভেতরে ঢুকেই সামনে একটা টেবিল, অবশ্যই সুপারভাইজার ওই ছেলেটিই যে পেপার মুখে ঢাকা দিয়ে বসে আছে। চিনুই বলল ‘এক্সকিউস মি, আমাদের বাংলোর দুটো রুম বুক করা ছিল, আমার নাম চিন্ময় সেনগুপ্ত, আমি গত পরশু আপনাকে ফোন করেছিলাম’ ছেলেটি পেপারটা মুখ থেকে নামাল।
রমার মনে কি চলছিল বলতে পারবো না। তবে ছেলেটার মুখটা দেখার পরই আমার মনে যে প্রশ্নটা এলো তা হোল এই কি তাহলে সেই তমাল সেন। এ আর কেউ নয়, আমাদের ফ্ল্যাটের সেই ওয়াচম্যান, যে রমা নিখোঁজ হওয়ার দিন ভোঁস ভোঁস করে ঘুমাচ্ছিল।
‘সরি স্যার, একটু অসুবিধে আপনাদের হবে। আপনাদের দুটো রুম অ্যালট করা সম্ভব নয়। আরেকটা রুমের অ্যাডভান্স হয়ে গেছে। আমি বরং আপনাদের আতাচ ডাবল বেডরুম দিচ্ছি। আপনাদের কোন অসুবিধাই হবেনা। শুধু বাথরুমটা শেয়ার করতে হবে’ শালা বলে কি! আমি, চিনু আর রমা একি ছাদের নীচে। ওরে বানচোঁদ তুই কি আগুনে ঘি ঢালতে চাস। এদিকে চিনু তো ফায়ার হয়ে গেছে। ‘তোমাদের একটা রেস্পন্সিবিলিটি নেই! যদি রুম না থাকতো আমায় বলতে পারতে’ ছেলেটাও ছাড়বার পাত্র নয় ‘স্যার, আমি কিকরে জানব আপনি লেডিস নিয়ে আসবেন। আমি ভেবেছি কোন অসুবিধে হবেনা’ আর ঝামেলা করে লাভ নেই তাই আমিই বলে উঠলাম ‘ছাড় চিন্ময়। যা হওয়ার হয়ে গেছে’ সবচেয়ে অদ্ভুত রমা। এতকিছুর পর বলে ওঠে ‘বিপ্লব, তুমি ব্যাগগুলো ওপরে রেখে এসো আমি বাগানটা একটু ঘুরে দেখি’ আর তারচেয়েও নির্লজ্জ হোল ওই চিনুটা, বলে কিনা ‘ওকে বৌদি, আমি যাচ্ছি তোমার সাথে’ আমি আর কি করব, ব্যাগগুলো নিয়ে ছেলেটার সাথে রুমের দিকে যেতে শুরু করলাম। পেছন ঘুরে দেখি, রমা ও চিনু দুজনেই হাপিশ হয়ে গেছে। শালা মালটা কোথায় কোথায় হাত মারছে কি জানি। ছেলেটাকে একা পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম ‘আমায় চিনতে পারছ তো? তুমি তো আমাদের ফ্ল্যাটের সিকিউরিটি গার্ড। এখানে কি করে?’ সঙ্গে সঙ্গে হাঁসি মুখে উত্তর ভেসে এলো ‘হ্যাঁ, স্যার কেন চিনতে পারবো না। আসলে আমার ই গেরামের এক ছেলে এখানের সুপার ভাইজার। ও বাড়ি গেলে আমি ওর হয়ে কাজটা করে দি। আর দুদিন আমার ছুটি আছে। তাই ২-৪ পয়সা ইনকামও হয়ে যাবে’ রুমটা খোলা মাত্র সামনে একটা বেড দেখে আমি ব্যাগগুলো ছুঁড়ে দিলাম। রুমটা লক করে খুঁজতে বেরলাম আমার মাথামোটা মাগীকে চিনু কোথায় নিয়ে গেলো? দেখলাম ছেলেটা অন্যদিকে চলে গেলো।
টেবিলটার কাছ এসে একটা জিনিষে আমার চোখ আঁটকে গেলো। ওই ছেলেটার আই কার্ড। হাতে তুলে নামটা পড়তেই আবার প্রদোষ মিত্তির জেগে উঠল। শান্তুনু দাস। এতদিন অবধি যাদের যাদের শান ভেবেছি নামের দিক থেকে সবচেয়ে বেশী মিল শান্তুনুরই। তাহলে কি এই শান? কিন্তু রমার ডায়েরিতে যা বিবরণ পেয়েছি তাতে এতো সামান্য এক ব্যক্তি কখনো শান হতে পারেনা। কিন্তু তমাল সেন তো হতে পারে। হ্যাঁ, ঠিক। শেষ ম্যাসেজটা মনে পড়ে গেলো ‘তুমি বাড়ি থেকে বেরও না তাই আমায় দেখতে পাওনা’। হ্যাঁ, ঠিক তো তমাল সেন হওয়ার সবচেয়ে বেশী সম্ভাবনা তো এরই। বিজয়দার কথা মনে করলাম, এখানেই নাকি আমি শানের আর জুলির দেখা পাবো। জুলি কে তা আমি জানি। কিন্তু শান কে? আর আমার অতি পরিচিত কারুর সাথে নাকি দেখা হবে, সে কে? সেকি এই শান্তনু দাস নাকি অন্য কেউ।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: বিপ্লব পোদ্দার- ব্যাংকার অফ দ্যা ইয়ার- complete - by samss400 - 09-02-2020, 02:40 PM



Users browsing this thread: 6 Guest(s)