03-02-2020, 01:13 PM
কমলীলার মাঝে বেলা গড়িয়ে গেছে। সুধীরের খেয়াল হলো পাহাড়ে উঠে দ্বীপ টিকে পর্যবেক্ষণ করা কিন্তু রুবির পায়ের চোটের জন্যে হয়ে উঠেনি। এখন একবার চেষ্টা করা যেতেই পারে রুবি এখন স্বাভাবিক। আগের দিনে রাস্তা চেনা ছিলো তাই কাঁদা মাটি ঝর্ণা পেরিয়ে পাহাড়ের কাছে পৌঁছাতে বেশি ক্ষণ লাগলো না। সমস্যা হলো রুবিকে নিয়ে। খানিকটা উঠতেই হাপিয়ে উঠছে। রুবিকে ছেড়ে যেতে সুধীরের মন নেই। তা বলে রবির ভারী শরীর নিয়ে হাঁটা গেলেও পাহাড়ে চাপা মুশকিল। ঠিক হলো রুবি পাহাড়ের নিচে লুকিয়ে থাকবে সুধীর ওপর থেকে নিচে না নামা অব্দি। রুবি কে এক বড় পাথরের আড়ালে বসিয়ে বেরিয়ে পড়লো সুধীর পাহাড়ের সূরার উদ্দেশ্য। পাহাড়টি উচু না হলেও বেশ খাড়া ধরণের। তাছাড়া পাথরের গায়ে শেওলা পরে বেশ পিচ্ছিল হয়ে পড়েছে। সুধীরের গাছে চাপার অভ্যাস থাকলেও পাহাড়ে কোনো দিন চাপেনি । এমন কি দেখেওনি।
অতি কষ্টে অনেক সময় নিয়ে অবশেষে সুধীর পাহাড়ের মাথায় চেপে বসে পড়লো। গায়ে ঘাম ঝরছে। তবে ফুরফুরে হওয়ায় ক্লান্তি যেতে বেশি ক্ষণ লাগলো না। সুধীর উঠে দাঁড়ালো। সামনের সমুদ্রের নোনা হাওয়াই সুধীর শক্তি ফিরে পেলো। সামনে যতো দূর চোখ যায় নীল জল ছাড়া কিছুই না।।
সুধীর মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়ালো। এদিকটায় বেশ জঙ্গল। প্রথমে কিছু নারিকেল গাছের সারি তারপর নাম না জানা বড় বড় গাছ। সুধীর বুঝলো এটা একটা দ্বীপ। যার চারি দিকে শুধু সমুদ্র। তবে দ্বীপটা বেশ বড়। সুধীররা যেদিকে আছে ঠিক তার উল্টো দিকে মনে হলো সবুজ জঙ্গলের মধ্যে থেকে কিছু একটা বা বেরিয়ে আকাশে মিশে যাচ্ছে। তবে কি ওটা ধোঁয়া!
মানে আগুন জ্বলছে!
তাহলে কি এখানে লোক আছে!
সুধীর নতুন আশার আলো দেখতে পেলো। এখনই রুবি কে বলা উচিত।তার সাথে সাথে তাদের ওদিকে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। সুধীর তাড়াহুড়ো করে নামতে লাগলো।
হঠাৎ পা ফস্কে পড়তে পড়তে বাঁচলো সুধীর। থপ করে বসে পড়লো সে ওখানে ভয়ে।
কি করছে চলছিল সে! আর একটু হলেও হয়তো নিচে পাথরে আছড়ে পড়তো সে। পড়লে মৃত্যু অবধারিত। তখন রুবির কি হতো ভেবে কুল পেলোনা সে। তাছাড়া সে রুবিকে এই নিরিবিলিতে পেয়ে বেজায় খুশি। এই খুশির জন্য সে সব কিছু করতে পারে তাহলে এই টুকু আর কি কষ্ট!
সে স্থির করলো রুবিকে কিছুই জানাবে না। শান্ত মনে ধীরে ধীরে নেমে এলো সুধীর।
"রুবি বেরিয়ে এসো সোনা "
কোনো সাড়া নেই। সুধীর জোরে হেঁটে পাথরের পেছনে গেয়ে দেখে কেউ নেই সেখানে। রুবির নাম ধরে চিৎকার শুরু করলো সে। কোনো সাড়া নেই পাশের জঙ্গলে ঢুকে পড়লো সে খুঁজতে।
অতি কষ্টে অনেক সময় নিয়ে অবশেষে সুধীর পাহাড়ের মাথায় চেপে বসে পড়লো। গায়ে ঘাম ঝরছে। তবে ফুরফুরে হওয়ায় ক্লান্তি যেতে বেশি ক্ষণ লাগলো না। সুধীর উঠে দাঁড়ালো। সামনের সমুদ্রের নোনা হাওয়াই সুধীর শক্তি ফিরে পেলো। সামনে যতো দূর চোখ যায় নীল জল ছাড়া কিছুই না।।
সুধীর মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়ালো। এদিকটায় বেশ জঙ্গল। প্রথমে কিছু নারিকেল গাছের সারি তারপর নাম না জানা বড় বড় গাছ। সুধীর বুঝলো এটা একটা দ্বীপ। যার চারি দিকে শুধু সমুদ্র। তবে দ্বীপটা বেশ বড়। সুধীররা যেদিকে আছে ঠিক তার উল্টো দিকে মনে হলো সবুজ জঙ্গলের মধ্যে থেকে কিছু একটা বা বেরিয়ে আকাশে মিশে যাচ্ছে। তবে কি ওটা ধোঁয়া!
মানে আগুন জ্বলছে!
তাহলে কি এখানে লোক আছে!
সুধীর নতুন আশার আলো দেখতে পেলো। এখনই রুবি কে বলা উচিত।তার সাথে সাথে তাদের ওদিকে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। সুধীর তাড়াহুড়ো করে নামতে লাগলো।
হঠাৎ পা ফস্কে পড়তে পড়তে বাঁচলো সুধীর। থপ করে বসে পড়লো সে ওখানে ভয়ে।
কি করছে চলছিল সে! আর একটু হলেও হয়তো নিচে পাথরে আছড়ে পড়তো সে। পড়লে মৃত্যু অবধারিত। তখন রুবির কি হতো ভেবে কুল পেলোনা সে। তাছাড়া সে রুবিকে এই নিরিবিলিতে পেয়ে বেজায় খুশি। এই খুশির জন্য সে সব কিছু করতে পারে তাহলে এই টুকু আর কি কষ্ট!
সে স্থির করলো রুবিকে কিছুই জানাবে না। শান্ত মনে ধীরে ধীরে নেমে এলো সুধীর।
"রুবি বেরিয়ে এসো সোনা "
কোনো সাড়া নেই। সুধীর জোরে হেঁটে পাথরের পেছনে গেয়ে দেখে কেউ নেই সেখানে। রুবির নাম ধরে চিৎকার শুরু করলো সে। কোনো সাড়া নেই পাশের জঙ্গলে ঢুকে পড়লো সে খুঁজতে।