Thread Rating:
  • 19 Vote(s) - 3.47 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
বিপ্লব পোদ্দার- ব্যাংকার অফ দ্যা ইয়ার - Copy
#20
কিন্তু এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে ভীষণভাবেই অপ্রত্যাশিতভাবে রঞ্জন আমার সন্দেহের তালিকায় ঢুকে পড়ল। মাথাটা ভীষণই ঝিমঝিম করছিল, কিন্তু আমাকে সবার আগে থানায় যেতে হবে। প্রায় ২০ মিনিট হয়ে গেছে বিজয়দার ফোন এসেছিল। তাড়াতাড়ি ড্রেসটা পড়ে নিয়ে আমি জোরে একটা হাঁক পারলাম ‘রমা আমি একটু বেরচ্ছি’ ভেতর থেকে আওয়াজ এলো ‘হুম’। বুঝলাম রমা বাথরুমে। থানায় পৌছালাম প্রায় আরও ২০ মিনিট পর। আজ থানাটা দেখতে একটু অন্যরকমই লাগছে। যেন সমস্ত ব্যস্ততা একসাথে এসে আছড়ে পড়েছে। আগেরদিনের মত একজন মাত্র অফিসার (শুধু বিজয়দা) নয় অন্তত আরও ৩ জন অফিসার আছেন। আর দূর থেকে দেখা যাচ্ছে, ভেতরের রুমে বসে বিজয়দা সুমিতা বৌদিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছে। একজন হাবিলদার এগিয়ে এসে আমায় বললেন, ‘চলুন আপনাকে স্যার, নিজের রুমে ডেকেছেন’ আমিও সেই হাবিলদারের পেছন পেছন চলতে লাগলাম। দরজার কাছে আসতে বিজয়দাও আমাকে দেখতে পেলেন ও সুমিতা বৌদিকে বললেন ‘আপনি একটু বাইরে গিয়ে বসুন। আপনাকে কিছুক্ষন পর ডাকছি’। সুমিতা বৌদিও মাথাটা নিচু করে বেরিয়ে গেলেন। আমি ভেতরে গিয়ে বসলাম। অত্যন্ত গম্ভীর হয়ে বিজয়দা বললেন ‘আমি যে আপনার বান্ধবী দীপালী স্বামী, তা আপনি কবে থেকে জানতেন? এবং এই কথাটা কাকে কাকে জানিয়েছিলেন?’ প্রশ্ন শুনে তো বিচি মাথায় উঠে গেলো। একি প্রশ্ন করছে এই মানুষটা। এর অর্থ তো একটাই সন্দেহের তালিকায় আমিও রয়েছে। কিছুটা আমতা আমতা করে বললাম ‘দেখুন, আপনি হাওড়া থেকে এখানে ট্রান্সফার হয়ে আসার পরপরই আমি জানতাম। কারন দীপালী আমায় ফেসবুকে বলেছিল’ সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় প্রশ্নটা ভেসে এলো। ‘আপনি কাকে কাকে এই কথা জানিয়েছিলেন?’ আমার উত্তর তৈরি ছিল ‘আমার স্ত্রী রমা ছাড়া কাউকে জানাই নি’ কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে উনি বলে উঠলেন ‘কাল রাতে কি একটা ডায়েরীর কথা বলেছিলেন। ওটা এই কেসে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। ওটা দিন। আর আপনার মিসেসের মেডিক্যাল সার্টিফিকেটগুলো দেখান’ আমি আমতা আমতা করে বলে উঠলাম, ‘ডায়েরীটা তো আমি আনিনি। আর একটা কথা বিজয়দা, ওই ডায়েরীটা ছাড়া আমার স্ত্রী শুধুই একটা জড় বস্তু। তবে সার্টিফিকেট আমি এনেছি’ বিজয়দা কিছুক্ষন চুপ করে থাকলেন তারপর, ‘কই সার্টিফিকেটগুলো দেখি’ আমি প্রায় ৪-৫ টা প্রেসক্রিপশন ওনার হাতে তুলে দিলাম। বেশ কিছুক্ষন ওপর থেকে নিচ অবধি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে উনি বললেন ‘হুম, আপনার একমাত্র পুত্রর মৃত্যুর পর ওনার আলঝাইমার এর সিন্ড্রোম ধরা পড়ে। আপনি সেইসময় একটু কেয়ার নিলে আজ এই স্টেজে আসতে হতনা। আলঝাইমার যদি মানসিক চাপ ও ডিপ্রেশন থেকে হয় তাহলে সত্যিই নিজের কাছের লোক ছাড়া কেউ তাকে সারাতে পারেনা। আর এই মুহূর্তে ডিমনেসিয়া। বলতে পারেন ফাইনাল ষ্টেজ। ওনার আর ভালো হওয়ার কোন উপায় নেই’ ব্যাকুল হয়ে আমি নিচের দিকে তাকিয়ে থাকি। সত্যিই আমিও জানি অথবা বিশ্বাসও করি যে রমা আর কোনোদিন ভালো হবেনা। একটা কম্পিউটারকে যেরকম প্রোগ্রাম সাপ্লাই করে অপারেট করতে হয়, ঠিক সেরকমই রমাকেও প্রতি মুহূর্তে স্মৃতির জোগান দিতে হয়। রমা নিজে কোন গুরুত্বপূর্ণ কথা শুনলে বা জানলে তা ডায়েরীতে লিখে রাখে, কখনো বা আমিও লিখে দি। এভাবে আমাদের খুব একটা মন্দ চলেনা। সমাজ, সভ্যতা, জীবন এগুলোকে আমরা নিজেদের মত করে সাজিয়ে নিয়েছি। আমার হুঁশ ফেরে বিজয়দার পরবর্তী প্রশ্নে। ‘কোন ডাক্তার কি আশার আলো দেখাতে পারেন নি?’ আমি উত্তর দিলাম ‘ঠিক যে কারনে রমার এই অবস্থা, অর্থাৎ আমাদের ছেলের মৃত্যু, ঠিক তার উল্টো কোনকিছু যদি করা যায়। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম যে অনাথ আশ্রম থেকে কোন বাচ্চাকে দত্তক নেবো। কিন্তু এতে আরও অসুবিধাই হবে, রমা প্রতি মুহূর্তে বুঝবে আমাদের নিজেদের সন্তান মৃত। এর কিছুদিন পর আমাদের ফ্ল্যাটে একটি বিধবা মেয়ে কাজ করতে আসে। রমা, ওর ছেলেকে দেখে একদম নিজের বাবাইকে ফিরে পায়। ভেবেছিলাম এবার রমা সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু না’ বিজয়দা জানেন আমি আমার জীবনের সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। নিজের গলাটা একটু নামিয়ে উনি আবার বললেন ‘বিপ্লব বাবু, আমি এরকম অন্তত ১০ জন দম্পতিকে দেখেছি যাদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাদের কারুর স্ত্রীর এই অবস্থা হয়নি। ওনার একটা শক লেগেছে, কিন্তু আমার মন বলছে আপনাদের সন্তানের মৃত্যু শুধু নয় আরও কিছু আছে’ আমি উদাস হয়ে তাকিয়ে থাকলাম। উনি বুঝলেন এই ব্যাপারে বেশী কথা না বলাই ভালো। কিছুটা অনুতাপের ভঙ্গীতে উনি বললেন ‘অ্যাই আম সরি’ আমি ওনার দিকে তাকালাম, এটা বলার দরকার হয়না যে ‘না এটা কোন ব্যাপার নয়, আপনি বলুন আমায় কি বলতে চান’। উনিও এটাই চাইছিলেন যত দ্রুত সম্ভব আসল ঘটনায় প্রবেশ করতে। এবার কিছুটা হেঁসে ‘বিপ্লব বাবু, আমি কাল সারারাত ঘুমাইনি। শুধুই কাজ করেছি। একটা সুবিধে ছিল এই যে রবির ওপর আমি খোঁচর লাগিয়ে রেখেছিলাম। তাই রবি কখন কোথায় গেছে আর কার সাথে দেখা করেছে তার সমস্ত তথ্যই আমার হাতে রয়েছে। আপনাকে বলেছিলাম মনে আছে অনেকগুলো প্রশ্ন হয়ে গেছে। এবং সমস্ত প্রশ্নের উত্তর ২ দিনের মধ্যেই আমি আপনাকে জানাবো। (মুচকি হেঁসে) সমস্ত প্রশ্নের না পারলেও বেশ কিছু প্রশ্নের সমাধান আমি করে দিয়েছি’ এতক্ষনে আমি সেই পুরনো বিজয়দাকে ফিরে পেলাম। আমারও মন থেকে সেই ভয়টা সম্পূর্ণ কেটে গেলো। আমিও প্রচণ্ড উৎসুক, বিজয়দা ঠিক কি কি জেনেছেন তা জানার জন্য। ‘আচ্ছা, বিপ্লব বাবু, আজ নিশ্চয়ই আমার ব্যাবহারে আপনি একটু হলেও অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আসলে আমার নিজের ওপর খুব রাগ হয়েছিল। একটা অত্যন্ত সহজ সরল জিনিষ আমি বুঝতে পারিনি। কাল সোজা থানায় চলে আসি এবং সমস্ত তথ্য এক জায়গায় করে ভাবতে শুরু করি’ এতক্ষনে আমি সেই পুরনো বিজয়দাকে ফিরে পেলাম। ‘রমাকে কিছু সময়ের জন্য কিডন্যাপ করা, * পড়ে নাইট ক্লাবে আসা এই দুইই আসলে চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য। এবং যিনি এগুলো করেছেন বা করিয়েছেন তিনি আপনার মিসেসের রোগটা সম্বন্ধে খুব ভালো করেই অবহিত। এবং এরপরের কথাটা বললে হয়ত চমকে উঠবেন, তিনি আপনার মিসেসের ডায়েরীটাও পড়েছেন’ বিজয়দার পরবর্তী কথাগুলো আমায় ভীষণভাবে চমকে দিলো। কার কথা বলছেন উনি? রঞ্জন? বিজয়দা আবার বললেন ‘আপনি যখন দীপালির কথা ও দীপালির স্বামী অর্থাৎ আমি এই থানায় পোস্টিং হয়ে এসেছি বলেছিলেন, নিশ্চয়ই বৌদি ডায়েরিতে তা লিখে রেখেছিলেন? আরেকটা কথা বৌদির এই রোগটা তো বহু বছর ধরেই আছে। তাহলে নিশ্চয়ই ডায়েরীর সংখ্যাও একের বেশী’ এবার আমার উত্তর দেওয়ার পালা। ‘না, রমার ডায়েরী লেখা শুরু করার আইডিয়াটা আমিই দিয়েছিলাম। এই মাস তিন চারেক আগে। তাই ওর একটা ডায়েরিই আছে। তখন থেকে ও সমস্ত কথা ডায়েরীতে লিখে রাখে। হয়ত আপনার কথা ও লিখতেও পারে। আমার ঠিক জানা নেই’ ‘বিপ্লব বাবু, কালরাতে আমাদের মধ্যে ঠিক কি কি কথা হয়েছে, তা যদি অন্যকেউ বিশেষত এই কেসের সাথে জড়িত কেউ জানতে পারে, তাহলেই একমাত্র তিনি চাইবেন কেসের অভিমুখটা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে। রবীন ওরফে রবি ওরফে শান আসলে খুবই ছোট একটি চরিত্র। ওর থাকা বা না থাকায় এই কেসে কিছুই যায় আসেনা’ ওনার কথায় সত্যিই আমি খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম এবং সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলাম ‘বিশ্বাস করুন, আমি কাউকে কিছু বলিনি’ প্রচণ্ড জোরে চিৎকার করে উনি বলে উঠলেন ‘হ্যাঁ, আমি জানি আপনি কাউকে কিছুই বলেননি কিন্তু আমি এতবড় ভুল কি করে করলাম। কাল রাতে আমাদের সমস্ত কথা অন্য একজন শুনেছেন। আমি সিওর অন্য কেউ ঠিকই শুনেছেন। নয়ত এতো দ্রুত রবির সরে যাওয়ার কথা নয়’ আমি শুধু ভাবতে লাগলাম উনি কার কথা বলছেন, সমস্ত বিবরণ তো রঞ্জনের সাথে মিলে যাচ্ছে। ‘রবির কললিস্ট ঘেঁটে দেখা গেছে ওর কাছে ঠিক ৮ টা ২৫ মিনিটে একটি ফোন এসেছিল। মাত্র ৪৫ সেকেন্ড কথা হয়, এরপরই রবি চলে যায় শর্মাজীর বাড়িতে। শর্মাজীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে রবি হাওড়ায় নিজের বাড়ির দিকে রওনা হয়। আর ঠিক দ্বিতীয় হুগলী সেতুর কাছে এসে ওর শরীরে বিষের অ্যাকশন শুরু হয়। হ্যাঁ, সেই আফ্রিকান ছত্রাক জাতীয় বিষ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও খোঁচরদের তথ্য এই দুই মিলিয়ে আমি কয়েকটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। রবির শরীরে বিষক্রিয়া হয় আমি আপনার বাড়িতে পৌঁছানোর পর, এই রাত সাড়ে ৮ টা হবে। অর্থাৎ তখন রবি রাস্তায় ছিল। মুশকিল এই জায়গাতেই আমার ছেলেরা ওকে পুরো রাস্তাটা ফলো করতে পারেনি। তাই কিভাবে বিষ প্রয়োগ হোল বলা সম্ভব নয়। রবির খুনের প্ল্যানটা হয়েছিল নাইট ক্লাব অর্থাৎ যেখানে আপনার ওয়াইফ ও জামাইবাবু ছিলেন সেখান থেকে। কারন ৮ টা ২৫ এ আসা ফোন নাম্বারটা নাইট ক্লাবের ল্যান্ড ফোনের। রবির খুনটা হথাত ই প্ল্যানিং করা। এবং তার সাথে সাথে জুলি ও শান নামে দুজনের আগমন। আপনার ওয়াইফকে দ্বিতীয় হুগলী সেতুর ওপর ছেড়ে দেওয়া ও সেখান থেকে রবির লাশ পাওয়া। এইসবই একটাই জিনিষ প্রমান করে, কিছুটা ফেঁসে যাওয়ার ভয়েই রবিকে খুন করা হয়েছে ও আপনাকে এই কেসে জড়িয়ে দিতে রমাকে কিডন্যাপ করে ওখানে নামানো হয়েছে। আমার সমস্ত লজিক তখনি মেলে যখন মাস্টারমাইন্ড রমার ডায়েরী ও আমাদের দুজনের কথোপকথন শুনতে পায়। আর হেঁয়ালি করবো না। এতো জটিলতা হচ্ছে তার কারন একটাই, খুনি প্রতি মুহূর্তে আমাদের মাইন্ড রিড করছে। মনীন্দ্র বাবুর খুনের পেছনে যে গভীর প্ল্যানিং ছিল তা রবির খুনে নেই। রবির খুন ও রমার কিডন্যাপ এই দুইই নেহাতই সাদামাটা মস্তিস্কের কাজ বা হয়ত তাড়াহুড়োয় কেসটার অভিমুখ পালটে দেওয়ার একটা চেষ্টা। আর এর পেছনে কাজ করেছে দুটো ভয় ১) হথাত ডায়েরী পড়ে জানতে পারা; কোনভাবে আমি আপনার পূর্ব পরিচিত, এবং এই কেসে আপনাকে ফাঁসানো এতো সহজ নয় ২) আমাদের কথোপকথন শুনে জানতে পেরেছে যে রবির ব্যাপারে আমার কাছে অনেক তথ্য আছে। তাই তাড়াহুড়ো করে রবিকে সরিয়ে দেওয়া ও অভিমুখ পালটে দেওয়া। কিন্তু কেন? কেন আপনাকে ফাঁসানোর এতো চেষ্টা চলছে? সত্যি তার প্রকৃত উত্তর এখনো জানতে পারিনি। তবে এই মুহূর্তে পারিপার্শ্বিক তথ্য দেখে আমার দৃঢ় ধারনা মাস্টারমাইন্ড হলেন রমার জামাইবাবু, রঞ্জন। কি বা যোগ ওনার সেব্যাপারেও কিছু তথ্য জোগাড় করেছি। কিন্তু তা এতটা মজবুতও নয় যে এতো নামকরা একজন বিজনেসম্যানকে অ্যারেস্ট করা যাবে। সুমিতা দেবী অর্থাৎ মনিবাবুর স্ত্রী কোনভাবেই এই কেসের সাথে জড়িত নয়। আমি আজও ওনাকে কয়েক দফা জেরা করেছি। কাল উনি মাত্র ১০ মিনিটের জন্য আমার খোঁচরদের চোখে ধুলো দিয়েছিলেন। কিন্তু এই ১০ টা মিনিট যথেষ্ট নয়, জুলি সেজে রমাকে কিডন্যাপ করার জন্য’ এক নিঃশ্বাসে উনি কথাগুলো বলে গেলেন। আমার মনে একটাই প্রশ্ন; ‘রঞ্জন? কিন্তু কেন? কি চায় ও?’ ‘বিপ্লববাবু, আমি নিজে আপনার ফ্ল্যাট একবার সার্চ করতে চাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস কোন হিডেন মাইক্রো ফোন বা ওই ধরনের কিছু আপনার ঘরে রয়েছে এবং যার থেকে রঞ্জন সমস্ত তথ্য পেয়ে যাচ্ছে। এবং, সেটা বাড়ির সকলের অনুপস্থিতিতে। কোনমতেই যেন রঞ্জন জানতে না পারে আমি আপনার বাড়ি সার্চ করব’ আমি বুঝলাম উনি কি চাইছেন। অনেক ভেবে জবাব দিলাম ‘ওকে, আমি বাড়ি গিয়ে রঞ্জন আর রমাকে নিয়ে একটা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করব। ফ্ল্যাটের চাবিটা ওয়াচম্যানের কাছে রেখে যাবো। কখন বেরব তা আপনাকে জানিয়ে দেবো’ বিজয়দা শুধু মাথা নেড়ে সম্মতি জানালেন। আমার মনে একটাই ধন্দ, ‘রঞ্জনের ওই আফ্রিকান বিষের সাথে যোগাযোগের কথাটা কি বিজয়দাকে জানাবো?’ অনেক ভেবে ঠিক করলাম, না এখন নয় আগে নিজে সিওর হয়ে নি তারপর। অবশেষে, আমি থানা থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। সারা রাস্তায় শুধু একটাই কথা আমার মনে ঘুরঘুর করছিল, রবি আর যাই হোক না কেন শান নয়। শানই তো সবকিছুর মাথা। শান কিকরে এতো সহজে মারা যাবে। তাহলে শর্মাজীর মুখ থেকে যা শুনলাম তা কি ভুল! এও কি সম্ভব! শর্মাজী, অদ্ভুত এক লোক। পাক্কা বিজনেসম্যান, নিজের প্রয়োজনে কাউকে ইউসও করতে পারেন আবার কাউকে ছুড়েও ফেলে দিতে পারেন। শর্মাজীর সাথে লোণ ছাড়া অন্য কোন ব্যাপারে আমার সেরকম কোনোদিন কথা হয়নি। একবার ওনার সাথে বসে মদ্যপান করেছিলাম। একটা কথা উনি বারবার বলেছিলেন ‘বিপ্লবজী, হামি বাপের বোতল ফ্রিজ থেকে চুরায়ে প্রথম দারু খেয়েছিলাম। তখন আমি কলেজের স্টুডেন্ট আছি। আপনি হামায় এক লিটার দারুভি খাইয়ে দিন, হামার কুছু হবেনা’ শালা, মস্তিস্কে যেন শারলক হোমস আর প্রদোষ মিত্তির একসাথে এসে ভর করল। তাহলে, কাল ওই রিসিভারটা নামিয়ে রাখার সময় কিকরে এরকম ভুল করলেন শর্মাজী। পুরোটাই কি গট আপ। আমার নজর থেকে শানকে বা আমায় এই পুরো কেসটা ভুল বোঝানোর চেষ্টা? এরকম ও তো হতে পারে, শর্মাজীর ল্যান্ড ফোনে কলার অ্যাইডি লাগানো আছে। সত্যি এটা তো আমার মাথায় আগে আসেনি।
[+] 1 user Likes Raj1100's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: বিপ্লব পোদ্দার- ব্যাংকার অফ দ্যা ইয়ার - Copy - by Raj1100 - 28-01-2020, 11:12 PM



Users browsing this thread: 1 Guest(s)