17-01-2020, 07:53 PM
অনেক দিন,প্রায় একমাসেরও বেশি সময় পরে এলাম।বলেছিলাম না,আমাদের মতো পেশার মানুষদের ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু নেই।সারাদিন রুগী দেখো আর দিনের শেষে ক্লান্তিতে বাড়ি ফিরেই ঘুম।বলেছিলাম বোধহয় আমার স্ত্রীও একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। সুতরাং তার অবস্থাও আমারই মতো।
এক জটিল মনোরুগীকে নিয়ে বেশ ডিস্টার্ব ছিলাম কদিন।উচ্চশিক্ষিতা সুন্দরী এক যুবতী,আগামী বছর স্টেটশে পোস্ট ডক্টরেট কোরবে,যার বিয়ে ঠিক হবার দুমাস আগে থেকেই complication শুরু।অনেকগুলো সিটিং এর পর জট খুললো।
মেয়েটি নাকি প্রায় প্রতিদিন দুপুরে এক অদ্ভুত আচরণ করতো। অজানা ভয়ে চোখমুখ সাদা হয়ে যেত ।বাথরুমে দরজা খুলে টয়লেট করতো।কখনো চাদরে মুখ ঢেকে রাখতো।কখনো ছুটে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যেত ।
আমার কাছে যখন আনা হোলো তখন নাকি আরো বাড়াবাড়ি ।আমার কাছে মেয়েটি কিন্তু তখন স্বাভাবিক বুদ্ধিদীপ্ত যে কোনো শিক্ষিত যুবতীর মতই।অভিভাবকদের বারবার প্রায় পুলিশের জেরা করার পর যা বেরিয়ে এল তা অদ্ভুত। আমি যা বুঝলাম,সম্ভবত রান্নাঘরে কুকারের সিটি বাজলেই সে এখন প্রায় উন্মাদের মতো আচরণ করতে শুরু করে। জিনিষ পত্র ভাঙে,মাথার চুল ছেঁড়ে ।একদিন আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে।তেরোটা সিটিং এর পরও মেয়েটির মুখ থেকে কিচ্ছু বার করতে না পেরে শেষে অন্য রাস্তা নিতে হোলো ।
ম্যজিশিয়নদের মতো না হলেও আমাদের শাশ্ত্রেও হিপনটিজম বা সম্মোহণ জাতীয় এক পদ্ধতি আছে । প্রায় অবচেতন অবস্থায় রুগী স্বীকারোক্তি করে যা চেতন অবস্থায় শত চেষ্টাতেও তার মুখ থেকে বার করা যায় নি।অন্ধকার ঘরে হিপনোটাইজ্ড হয়ে হলুদ পিনের মতো আলোর বিন্দুর দিয়ে তাকিয়ে জড়ানো ঘড়ঘড়ে আওয়াজে সে যা বললো তা চমকপ্রদ।প্রায় বারো বছর আগে তার বয়সন্ধির সময়ের কাহিনি ।
কলেজের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ছুটিতে কাটিহারে মামাবাড়ি গিয়েছিলো সে।শীতকাল,কাটিহারে তখন খুব ঠান্ডা।মামাতো ভাইরা দুপুরে যখন পাড়ার মাঠে ক্রিকেট খেলতে যেত,সে তখন কম্বল জড়িয়ে টিভি দেখতো।আর মামী তখন রান্না ঘরে।ভাগ্নীকে আদরের ভান করে মার চেয়েও বয়েসে কয়েক বছরের বড় মামা,একই কম্বলের নিচে তার শ্লীলতাহানি করে একদিন। কদিন পর আবার।পর পর কদিন এমন চলে।ঠিক মামী যখন রান্নাঘরে,তখনই মামার আদর শুরু হতো।মামার হাতের আঙুলগুলো নাড়াচড়া করতো ভাগ্নীর অপুষ্ট যোনি,নিতম্ব আর সদ্য প্রস্ফুটিত স্তন জোড়ার উপর। মামা তার প্রমাণ সাইজের পুরুষাঙ্গ ধরিয়ে দিত ভাগ্নীর হাতে। সকলের সামনে তার আদরের চুমুতেও স্নেহের বদলে কামনাই থাকত।সব রান্না শেষে মামী কুকারে ভাত রান্নার সময় কুকারের সিটিটি বাজলেই মামা কম্বল ছেড়ে বেরিয়ে আসতেন।
ছুটির শেষে বাড়ি ফিরে কাউকেই,এমনকি নিজের মাকেও সে কথা বলতে পারেনি সেই কিশোরী মেয়েটি ভয়ে,লজ্জায়।
আজ বিয়ে ঠিক হয়ে যাবার পর উচ্চশিক্ষিত,সংস্কারমুক্ত মেয়েটির অবচেতনে ভয় দানা বেঁধেছে,সে পাপ করেছে,সে বুঝি ভার্জিন নয়,স্বামীর কাছে বুঝি ধরা পরে যাবে বা আসন্ন বৈবাহিক জীবনে পুরুষাঙ্গ ভীতি।কিংবা পুঞ্জিভূত ক্ষোভ সেদিন মামার অসভ্যতার প্রতিবাদ না করতে পারার ।হিপনটাইজ অবস্থাতেই মেয়েটিকে counceling করলাম।গল্পের ছলে বোঝালাম পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এসব অস্বাভাবিক না হলেও কিশোরী বয়সে সে যে সাহস করে শ্লীলতাহানির কথা কাউকে বলতে পারেনি,সেটাই স্বাভাবিক।বোঝালাম সতীত্ব নামক মধ্যযুগীয় ভ্রান্ত ধারণার কথা।বোঝালাম নারীর যোনি দিয়েই সন্তান প্রসব হয় তাই পুরুষাঙ্গ ভীতি অমূলক।তবে অবচেতন অবস্থায সে কতটা নিতে পেরেছে জানি না। তবে আমি অন্তত মুল কারনটা জেনেছি।আর মেয়েটির বাড়ির মানুষদের (একমাত্র মেয়েটির মা ছাড়া)আসল ঘটনাটি না জানালেও,কিছুদিন বাড়িতে কুকার ব্যবহার করতে বারণ করেছি।ওষুধ চলছে।এক সপ্তাহ পরের report পেয়েছি,ভালো আছে ।
হা,ফেলে আসা দিনের গল্প বলছিলাম আপনাদের।বস্তিবাড়ির অধ্যায় শেষ হয়েছিল বোধহয়।
নতুন বাড়িতে এসেছিলাম সম্ভবত ক্রিসমাসের দুদিন পর একটা রবিবারে।মামাও মামী আর দিদিকে নিয়ে এসেছিলো সেদিন।দোতলা বাড়ি,আমাদের দুটো ঘর একতলায়। বাড়িওয়ালাকে বাবা আশুবাবু বলে ডেকেছিল।ওদের পদবিটা আজ আর মনে নেই।ভদ্রলোকের রোগা,পাংশুটে চেহারা।বর্ধমানের দিকে কোনো একটা ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ছিলেন।ভোর ছটায় বেরিয়ে যেতেন,ফিরতেন অনেক রাতে।
প্রথম দিনই আমি ওকে জেঠু ডেকেছিলাম। জেঠিমার নাম ছিল নির্মলা। জেঠিমার বাপের বাড়ি ছিল চাইবাসা।তাই কথায় একটা আদিবাসীসুলভ টান ছিলো আর গড়নটাও ছিলো ছোট নাগপুরের আদিবাসীদের মতো ।থ্যাবড়া নাক,ছোট চোখ কিন্তু শরীরের বাকি অংশগুলো দৃঢ় আর নিটোল।জেঠিমার গাযের রঙ ছিলো দুধে আলতায।কোঁকড়ানো কালো চুল ছড়িয়ে থাকতো কোমর অব্দি।
জেঠিমার তিন ছেলে মেয়ে।মিনু,বাপি আর চিনু।(ভাল নামগুলো মনে নেই)।মিনুদির বিয়ে হয়েছিল পাশের পাড়ায় ।তাই প্রায়ই দুপুরে এ বাড়িতে চলে আসতো।বাপিদা পুনায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ত।আর চিনু ছিলো আমারই বয়সী।বাড়িতে বেশিরভাগ টেপ ফ্রক পরে থাকতো ।বেসুরে গলায় হিন্দী গান গাইতো ।
নতুন ক্লাসে প্রথম দিন আমার বেঞ্চিতে পাশে যাকে পেলাম,সে বাদল ।আমার অচেনা।আগের বছর এই ক্লাসে আটকে যাওয়া ছেলে।অপরিষ্কার ইউনিফর্ম,বুটের বদলে হাওয়াই চটি। আর আমার তো সব নতুন সেট।তারপর সে বছর থেকে আবার ফুলপ্যান্টের নিচে জাঙিয়া।(কি জানি আমার নুণুটা যে সব সময় খাঁড়া হয়ে থাকতো,সেটা বাবা মা দেখেছিল কিনা।)বাদল এক ক্লাসে ফেল করলেও আমার চেয়ে অনেকটা বড় ছিলো ।
মাস খানেক পরের কথা বাদলের সাথে আমার বন্ধুত্ব বেশ গভীর হচ্চে।ও কলেজে না এলে কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগতো ।তেমনই একদিন ও কলেজে আসেনি।পরদিন আসতেই জিজ্ঞেস করলাম,"কি হলো,কাল এলে না যে,শরীর খারাপ?"
বাদল আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,"না রে ভাই,ময়দানের ওদিকে আমাদের দুটো গরুকে পাল খাওয়াতে নিয়ে গেছিলাম।"
এই পাল কথাটা আমি তো এর আগে শুনিনি।বাদলের দিকে বোকার মতো তাকিয়ে থেকে বললাম, "পাল? পাল আবার কি গো?"
বাদল আমার থাইএর উপর একটা চিমটি কাটলো,"বোকাচোদা ,পরে সব বুঝিয়ে দেব।আরে আমাদের তো দুধের ব্যবসা।খাটালে অনেক গরুমোষ ।মাঝে মাঝেই ওদের পাল খাওয়াতে নিয়ে যেতে হয় হাওড়া ময়দানের ওদিকে।"
বাড়ি ফিরে সেদিন অদম্য কৌতুহলে ডিকসনারীও খুঁজলাম সেখানে পাল>পালক>পালন ।পাল, যে মাটির প্রতিমা নির্মাণ করে। কিংবা পাল এক প্রকারের * পদবী।এসব ছাড়া কিছুই তো খুঁজে পেলাম না। বাদল তবে কি বোঝাবে?
(সব চরিত্র,স্থান এবং ঘটনাপ্রবাহ কাল্পনিক।)
এক জটিল মনোরুগীকে নিয়ে বেশ ডিস্টার্ব ছিলাম কদিন।উচ্চশিক্ষিতা সুন্দরী এক যুবতী,আগামী বছর স্টেটশে পোস্ট ডক্টরেট কোরবে,যার বিয়ে ঠিক হবার দুমাস আগে থেকেই complication শুরু।অনেকগুলো সিটিং এর পর জট খুললো।
মেয়েটি নাকি প্রায় প্রতিদিন দুপুরে এক অদ্ভুত আচরণ করতো। অজানা ভয়ে চোখমুখ সাদা হয়ে যেত ।বাথরুমে দরজা খুলে টয়লেট করতো।কখনো চাদরে মুখ ঢেকে রাখতো।কখনো ছুটে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যেত ।
আমার কাছে যখন আনা হোলো তখন নাকি আরো বাড়াবাড়ি ।আমার কাছে মেয়েটি কিন্তু তখন স্বাভাবিক বুদ্ধিদীপ্ত যে কোনো শিক্ষিত যুবতীর মতই।অভিভাবকদের বারবার প্রায় পুলিশের জেরা করার পর যা বেরিয়ে এল তা অদ্ভুত। আমি যা বুঝলাম,সম্ভবত রান্নাঘরে কুকারের সিটি বাজলেই সে এখন প্রায় উন্মাদের মতো আচরণ করতে শুরু করে। জিনিষ পত্র ভাঙে,মাথার চুল ছেঁড়ে ।একদিন আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে।তেরোটা সিটিং এর পরও মেয়েটির মুখ থেকে কিচ্ছু বার করতে না পেরে শেষে অন্য রাস্তা নিতে হোলো ।
ম্যজিশিয়নদের মতো না হলেও আমাদের শাশ্ত্রেও হিপনটিজম বা সম্মোহণ জাতীয় এক পদ্ধতি আছে । প্রায় অবচেতন অবস্থায় রুগী স্বীকারোক্তি করে যা চেতন অবস্থায় শত চেষ্টাতেও তার মুখ থেকে বার করা যায় নি।অন্ধকার ঘরে হিপনোটাইজ্ড হয়ে হলুদ পিনের মতো আলোর বিন্দুর দিয়ে তাকিয়ে জড়ানো ঘড়ঘড়ে আওয়াজে সে যা বললো তা চমকপ্রদ।প্রায় বারো বছর আগে তার বয়সন্ধির সময়ের কাহিনি ।
কলেজের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ছুটিতে কাটিহারে মামাবাড়ি গিয়েছিলো সে।শীতকাল,কাটিহারে তখন খুব ঠান্ডা।মামাতো ভাইরা দুপুরে যখন পাড়ার মাঠে ক্রিকেট খেলতে যেত,সে তখন কম্বল জড়িয়ে টিভি দেখতো।আর মামী তখন রান্না ঘরে।ভাগ্নীকে আদরের ভান করে মার চেয়েও বয়েসে কয়েক বছরের বড় মামা,একই কম্বলের নিচে তার শ্লীলতাহানি করে একদিন। কদিন পর আবার।পর পর কদিন এমন চলে।ঠিক মামী যখন রান্নাঘরে,তখনই মামার আদর শুরু হতো।মামার হাতের আঙুলগুলো নাড়াচড়া করতো ভাগ্নীর অপুষ্ট যোনি,নিতম্ব আর সদ্য প্রস্ফুটিত স্তন জোড়ার উপর। মামা তার প্রমাণ সাইজের পুরুষাঙ্গ ধরিয়ে দিত ভাগ্নীর হাতে। সকলের সামনে তার আদরের চুমুতেও স্নেহের বদলে কামনাই থাকত।সব রান্না শেষে মামী কুকারে ভাত রান্নার সময় কুকারের সিটিটি বাজলেই মামা কম্বল ছেড়ে বেরিয়ে আসতেন।
ছুটির শেষে বাড়ি ফিরে কাউকেই,এমনকি নিজের মাকেও সে কথা বলতে পারেনি সেই কিশোরী মেয়েটি ভয়ে,লজ্জায়।
আজ বিয়ে ঠিক হয়ে যাবার পর উচ্চশিক্ষিত,সংস্কারমুক্ত মেয়েটির অবচেতনে ভয় দানা বেঁধেছে,সে পাপ করেছে,সে বুঝি ভার্জিন নয়,স্বামীর কাছে বুঝি ধরা পরে যাবে বা আসন্ন বৈবাহিক জীবনে পুরুষাঙ্গ ভীতি।কিংবা পুঞ্জিভূত ক্ষোভ সেদিন মামার অসভ্যতার প্রতিবাদ না করতে পারার ।হিপনটাইজ অবস্থাতেই মেয়েটিকে counceling করলাম।গল্পের ছলে বোঝালাম পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এসব অস্বাভাবিক না হলেও কিশোরী বয়সে সে যে সাহস করে শ্লীলতাহানির কথা কাউকে বলতে পারেনি,সেটাই স্বাভাবিক।বোঝালাম সতীত্ব নামক মধ্যযুগীয় ভ্রান্ত ধারণার কথা।বোঝালাম নারীর যোনি দিয়েই সন্তান প্রসব হয় তাই পুরুষাঙ্গ ভীতি অমূলক।তবে অবচেতন অবস্থায সে কতটা নিতে পেরেছে জানি না। তবে আমি অন্তত মুল কারনটা জেনেছি।আর মেয়েটির বাড়ির মানুষদের (একমাত্র মেয়েটির মা ছাড়া)আসল ঘটনাটি না জানালেও,কিছুদিন বাড়িতে কুকার ব্যবহার করতে বারণ করেছি।ওষুধ চলছে।এক সপ্তাহ পরের report পেয়েছি,ভালো আছে ।
হা,ফেলে আসা দিনের গল্প বলছিলাম আপনাদের।বস্তিবাড়ির অধ্যায় শেষ হয়েছিল বোধহয়।
নতুন বাড়িতে এসেছিলাম সম্ভবত ক্রিসমাসের দুদিন পর একটা রবিবারে।মামাও মামী আর দিদিকে নিয়ে এসেছিলো সেদিন।দোতলা বাড়ি,আমাদের দুটো ঘর একতলায়। বাড়িওয়ালাকে বাবা আশুবাবু বলে ডেকেছিল।ওদের পদবিটা আজ আর মনে নেই।ভদ্রলোকের রোগা,পাংশুটে চেহারা।বর্ধমানের দিকে কোনো একটা ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ছিলেন।ভোর ছটায় বেরিয়ে যেতেন,ফিরতেন অনেক রাতে।
প্রথম দিনই আমি ওকে জেঠু ডেকেছিলাম। জেঠিমার নাম ছিল নির্মলা। জেঠিমার বাপের বাড়ি ছিল চাইবাসা।তাই কথায় একটা আদিবাসীসুলভ টান ছিলো আর গড়নটাও ছিলো ছোট নাগপুরের আদিবাসীদের মতো ।থ্যাবড়া নাক,ছোট চোখ কিন্তু শরীরের বাকি অংশগুলো দৃঢ় আর নিটোল।জেঠিমার গাযের রঙ ছিলো দুধে আলতায।কোঁকড়ানো কালো চুল ছড়িয়ে থাকতো কোমর অব্দি।
জেঠিমার তিন ছেলে মেয়ে।মিনু,বাপি আর চিনু।(ভাল নামগুলো মনে নেই)।মিনুদির বিয়ে হয়েছিল পাশের পাড়ায় ।তাই প্রায়ই দুপুরে এ বাড়িতে চলে আসতো।বাপিদা পুনায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ত।আর চিনু ছিলো আমারই বয়সী।বাড়িতে বেশিরভাগ টেপ ফ্রক পরে থাকতো ।বেসুরে গলায় হিন্দী গান গাইতো ।
নতুন ক্লাসে প্রথম দিন আমার বেঞ্চিতে পাশে যাকে পেলাম,সে বাদল ।আমার অচেনা।আগের বছর এই ক্লাসে আটকে যাওয়া ছেলে।অপরিষ্কার ইউনিফর্ম,বুটের বদলে হাওয়াই চটি। আর আমার তো সব নতুন সেট।তারপর সে বছর থেকে আবার ফুলপ্যান্টের নিচে জাঙিয়া।(কি জানি আমার নুণুটা যে সব সময় খাঁড়া হয়ে থাকতো,সেটা বাবা মা দেখেছিল কিনা।)বাদল এক ক্লাসে ফেল করলেও আমার চেয়ে অনেকটা বড় ছিলো ।
মাস খানেক পরের কথা বাদলের সাথে আমার বন্ধুত্ব বেশ গভীর হচ্চে।ও কলেজে না এলে কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগতো ।তেমনই একদিন ও কলেজে আসেনি।পরদিন আসতেই জিজ্ঞেস করলাম,"কি হলো,কাল এলে না যে,শরীর খারাপ?"
বাদল আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,"না রে ভাই,ময়দানের ওদিকে আমাদের দুটো গরুকে পাল খাওয়াতে নিয়ে গেছিলাম।"
এই পাল কথাটা আমি তো এর আগে শুনিনি।বাদলের দিকে বোকার মতো তাকিয়ে থেকে বললাম, "পাল? পাল আবার কি গো?"
বাদল আমার থাইএর উপর একটা চিমটি কাটলো,"বোকাচোদা ,পরে সব বুঝিয়ে দেব।আরে আমাদের তো দুধের ব্যবসা।খাটালে অনেক গরুমোষ ।মাঝে মাঝেই ওদের পাল খাওয়াতে নিয়ে যেতে হয় হাওড়া ময়দানের ওদিকে।"
বাড়ি ফিরে সেদিন অদম্য কৌতুহলে ডিকসনারীও খুঁজলাম সেখানে পাল>পালক>পালন ।পাল, যে মাটির প্রতিমা নির্মাণ করে। কিংবা পাল এক প্রকারের * পদবী।এসব ছাড়া কিছুই তো খুঁজে পেলাম না। বাদল তবে কি বোঝাবে?
(সব চরিত্র,স্থান এবং ঘটনাপ্রবাহ কাল্পনিক।)