09-01-2020, 03:47 AM
পর্ব ( ৬)
আমি মনে মনে খুদা ডাকতেছি,, শামীম আমার মাথায় পানি দিচ্ছে,,, কিছুক্ষণ পরে ইশিতা আপুর স্পষ্ট কান্নার আওয়াজ আমার কানে লাগছে,। ঈশিতা আপুর কান্না আমি কখনো শুনিনাই,,, মনের ভিতর কেমন কেমন জানি করছে,,, হৃদপিণ্ড নামে যে জিনিসটা ক্রমেসে ওঠানামা করছে,,, উঠে দৌড় দেব নাকি,,, না না এখনো ওঠে দৌড় দিলে সব প্লেন ভেস্তে যাবে,,, আপুর রাগ একটু বেশি করে কিন্তু সব সময় হাসিখুশি থাকে,,, কখনো কান্না করেছে বলে আমার মনে হয় না,,।, ইশিতা আপুর কান্না আমার কানের আরো কাছে পৌঁছে গেল,,, কি মায়া কাড়া কান্না মিষ্টি কান্না,,, উঠে দেখে নেবো নাকি একটু চেহারাটা কেমন দেখা যাচ্ছে,,,, নাকি উঠে দৌড় দিব,,, আমার কাছে পৌঁছে গেল তার কান্নার বেগ আরো বেড়ে গেল,,, হায় আল্লাহ এ তো দেখি মরা কান্না শুরু করে দিয়েছে,, মানুষ মারা গেলে ও তো এভাবে কান্না করে না,,, আপু এক দৌড়ে এসে আমার মাথাটা জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিয়েছে,,,, এখন যদি মানুষ রাস্তাঘাট দিয়ে আসা-যাওয়া করে,, আর যদি এ দৃশ্যটা দেখতে পাই,,, তাহলে হয়তো ওরা ভেবে নেবে,, আমি মারা গেছি,?? আপু আমার মাথাটা আপুর কুলে নিয়ে,, কান্না করতে করতে বলতেছে,,, কি হয়েছে ফারাবির?? ওর এ অবস্থা হলে কি করে,,??, হে খুদা এখন আমি কি করব,,,,?? আপু শামীম কে উদ্দেশ্য করে বলছে,??,, কি হয়েছে ফারাবীর বলিস না কেন,??,, শামীম বলল যে আপু,,,, ফারাবী রাস্তা দিয়ে হাটতে ছিল,,,?? হঠাৎ একটা মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল,,??, আমি ওর জন্য ওয়েট করতে ছিলাম,,??,, ওর আসতে দেরি হচ্ছে দেখে আমি সামনে একটু এগিয়ে গেলাম,,?? দেখিও রাস্তায় পড়ে আছে?, তারপর কোলে করে এখানে নিয়ে আসলাম,,??, আপুর কান্না অবিরাম চলছে,,? নিজেকে কেমন জানি শূন্য শূন্য লাগছে,,,? আপুর কান্না আমার বুকে তীরের মত গিয়ে বিদতেছে। ,, আপু কান্না করতে করতে শামীম কে বলছে,,,।। সব তোর দোষ।। আরাবী কিছুক্ষণ আগে আমার কাছে ছিল,,।। তুই ওকে , ফোন দিয়ে এখানে নিয়ে এসেছিচ,,।।, ওর কিছু হলে তোকে আমি ছাড়বো না,,।।,, শামীম বলল আপু আমার কি দোষ,,,।। আপু বলল তুই আর একটা কথাও বলবি না,,।।, তাহলে তোর সব দাঁতগুলো আমি আজকে ফেলে দিব,,।।,শামীম আবারো বললো,,,আপু তুমি এভাবে কান্না করতেছে কেন ও তো মরে নাই,,
,,,,,,আপু বলল হারামজাদা আবার মরার কথা বলিস,,,ঠাস ঠাসসসসস।
আমি মনে মনে বলি এ খুদা রক্ষা কর,,ভূমিকম্পনি আবার আমার উপর দিয়ে যায়,,,
""আমি চোখ বন্ধ করে আছি,,,আর ঐদিকে বেচারা শামীম হয়তো গালে হাত দিয়ে বসে আছে,?,,হঠাৎ করে আপুর চোখের নোনা জলের কয়েকটা গরমফটো আমার কপালে পড়ে,?,,তখন আমার সারা শরীরে শিরশির ব্যথা করতে শুরু করে দিল,,,?তখন আপু কান্না ভেজাকন্ঠ দিয়ে আমাকে ডাকতে শুরু করে,,,এই ফারাবী ওঠ,,,?কি হয়েছে তোর উঠ না,,?এই ফারাবি কি হয়েছে কথা বল,,,?আপুর এই কান্না ভেজা কণ্ঠের ডাক শুনে,আমার অন্তরাত্মায়কাঁপন তললো,,? সারা শরীর অসার হয়ে আসছে,/হঠাৎ করে বুকের বাম পাশটা চিন চিন শুরো করে দিল,,,না আপুকে এভাবে কাঁদানো আমার উচিত হয় নাই,,?,আপু অনেক কষ্ট পাচ্ছে,,?,আপু আমাকে ভালোবাসোক আর না বাসোক,,তা জানার আমার কি দরকার ছিল,?,আমিও তো বড় আপু হিসেবে,,?তাকে সম্মান করি তার কথা শুনি,,,না আর থাকতে পারছি মনে হয় ওঠে আপুর পায়ে ধরে বলি।,আপু ভুল করে ফেলেছি,,।আমার কিছু হয় নাই।,মনে মনে শামীম কে বলি,।তোর জন্মের ট্রিটদেওয়া ব আমি,??আপু কান্না একটু থামিয়ে আমার চোখে মুখে পানি দিল,?আমি তো জাগনা ঐ।তার পর আপু আমাকে তার নরম কন্ঠে ডাক দিল ওঠার জন্য,।আমি চোখ খুললাম।,,,
।আপু বলল তোর কি হয়েছে,, আমি বললাম আপু তেমন কিছু হয় নাই,
মাথায় একটু ব্যাথা পেয়েছি।
""কপালে হাত দিয়ে দেখি আমার কপাল কিছু একটা দিয়ে বাঁধা,,,,।
আমি আপুর দিকে লক্ষ করে দেখি,,,আপুর ওর্নার এক জায়গা দিয়ে ছেড়া,।,,
আমি বুঝতে পেরেছিযে ওড়না দিয়ে আমার মাথা বেধেছে,।,,,আপু আমাকে ধরে দাঁড় করালো,,,
""আমি আস্তে আস্তে দাঁড়াবার চেষ্টা করলাম,,,,আমি তো সুস্থ মানুষ,,,অভিনয় করলাম আরকি,,,আমি অভিনয়ের জন্য পাক্কা প্লেয়ার,,,যে কোন নায়ক নায়িকা আমার কাছে ফেল,,,বিশেষ করে ধরেন সায়মন,, বাপ্পি,, আফরিন শুভ,,,এরকম আরও অনেকে আছে,,,কিন্তু মাগার বাপ্পারাজের প্রেমেরছ্যাক খাওয়া কাহিনীর অভিনয় করতে পারি না,,,উনি আমার ওস্তাদ,?? আপু আর শামীম আমাকে দাঁড়া করালো,,,
শামীম বলল আপু এখন ওকে কই নিয়ে যাবেন।। আপু বল্লো হসপিটালে রিসকা ডাক।
আমি মনে মনে বলি হায় আল্লাহ হস্পিতালে নিলে তো গ্যারান্টি ধরা খাব,,,। কারণ এটাতো রক্ত না মেডিসিন আর আমার কোন জায়গায় জখম ও হই নাই,,,
""তাহলে ডাক্তার আমাকে দেখে তো আপু বলে দিবে,,,আমার কিছু হয় নায়।
শামীম আমাকে ধরে কানে কানে বলে,,, আপু তো তোকে নিয়ে এখন হসপিটালে যাবে তাহলে তো ধরা খাব,,,
আমি চোখ গুলো লাল করে শামীম এর দিকে তাকাই,,, ওকে বুঝাতে চেষ্টা করি,,, কিছু একটা কর।
শামীম আপু কে বলল,,, আপু ওকে নিয়ে কোন হসপিটাল যাবেন,,
আপু বলল মুজিব মেডিকেল সেন্টার,,,। তারপর শামীম একটা রিস্কা ডেকে এনে আমাকে আর আপুকে উঠিয়ে দিল,, শামীম বলল তোরা দুজন রিস্কা দিয়ে যা,,,
আমি আর একটা রিস্কা নিয়ে হসপিটাল আসতেছি,,, রিস্কার ভিতরে আমি আর আপু বসে আছি,,, আপু আমাকে হালকা জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,না জানি আমি রিস্কা থাকে পরে না যায়,,।
আমি আপু দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ গুলো ফলে গেছে,,,আপু দেখে খুব মায়া হচ্ছে,, মিথ্যা মিথ্যা আপুকে এভাবে কাঁদালাম। নিজেকে নিজে গালি দিচ্ছি,,।,, কিছুক্ষনের ভিতর হসপিটাল পৌঁছে গেছি,,, আমার তো এখন খুব ভয় করতেছে,,,, যদি ধরা খাই,,,তাহলে তো আপু আমাকে শেষ করে দিবে।।। হসপিটালের ভিতরে গিয়ে দেখি শামীম দাঁড়িয়ে আছে,,, ওকে দেখে একটু শান্তি পেলাম,,,
তারপর ও আমার কাছে এসে কানে কানে বলল,,, কোন সমস্যা নেই,,, ডাক্তারকে সব খুলে বলেছি,, আমি বললাম শালা তোকে কে বলছিল আপুকে পরীক্ষা করার জন্য,, যাক এক হিসাবে তুই ভালো কাজ করছিস।। আপুর আমার প্রতি কতটুকু টান আছে সেটা আমি বুঝতে পেরেছি,,
আসলে জীবনে বন্ধু ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব না,,, বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল।
তারপর ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম,,, ডাক্তার বলল ওকে রেখে তোমরা বাহিরে যাও,,।
আপু আর শামীম বাহিরে চলে গেলো,,, ডাক্তার আমার মাথার কাপড়টা খুলে,,, বলল এরকম ফাইজলামি করো কেন,।
আমি বললাম এ যাত্রায় আমাকে বাঁচান। ডাক্তার আমার মাথা ব্যান্ডেজ করে দিল,,, আমি বাহিরে চলে আসলাম,,,
আমি আর আপু একটা রিস্কাই চেপে বসেছি,,, আপু বলল এখন কেমন লাগছে,,হুম ভালো,, এরকম পাগলামি করিস কেন।। আমি বললাম কি পাগলামি করেছি,, এই যে রাস্তা দিয়ে হাঁটিস গাড়ি দেখে হাটবি না। আমি বললাম সরি।। তারপর রিসকা আপু বাসার সামনে রাখে ,,, আমি বললাম এখানে কেন বাসায় যাব,, আপু বলল খালামণির যদি তর এ অবস্থা দেখে কি করবে জানিস।।
আমি বললাম আমার তো সেজন্যই ভয় করতেছে,,, আপু বলল ভয় পাবার কিছু নেই আমি খালামণিকে বুঝিয়ে বলব এখন তুই বাসায় চল,,,
আপু আমাকে বাসায় এনে বিছানায় শুয়ে দিলো।। তারপর অনেক ফল ফ্রুট কেটে আমাকে খাইয়ে দিতে লাগলো,,, আমি অবাক হয়ে আপুর কাজ কর্মগুলো দেখছি।। তারপর আপু বলল এখন ঘুমিয়ে থাক বিকেলে তোকে বাসায় পৌছে দিব।।। আমি আপুর কথা মতো ঘুমিয়ে পড়লাম,,, কতক্ষণ ঘুমিয়েছি বলতে পারব না,,, হঠাৎ করে যখন জাগনা পেলাম,,, তখন কারো হাতের স্পর্শ আমার কপালে অনুভব করলাম??
★চলবে....
আমি মনে মনে খুদা ডাকতেছি,, শামীম আমার মাথায় পানি দিচ্ছে,,, কিছুক্ষণ পরে ইশিতা আপুর স্পষ্ট কান্নার আওয়াজ আমার কানে লাগছে,। ঈশিতা আপুর কান্না আমি কখনো শুনিনাই,,, মনের ভিতর কেমন কেমন জানি করছে,,, হৃদপিণ্ড নামে যে জিনিসটা ক্রমেসে ওঠানামা করছে,,, উঠে দৌড় দেব নাকি,,, না না এখনো ওঠে দৌড় দিলে সব প্লেন ভেস্তে যাবে,,, আপুর রাগ একটু বেশি করে কিন্তু সব সময় হাসিখুশি থাকে,,, কখনো কান্না করেছে বলে আমার মনে হয় না,,।, ইশিতা আপুর কান্না আমার কানের আরো কাছে পৌঁছে গেল,,, কি মায়া কাড়া কান্না মিষ্টি কান্না,,, উঠে দেখে নেবো নাকি একটু চেহারাটা কেমন দেখা যাচ্ছে,,,, নাকি উঠে দৌড় দিব,,, আমার কাছে পৌঁছে গেল তার কান্নার বেগ আরো বেড়ে গেল,,, হায় আল্লাহ এ তো দেখি মরা কান্না শুরু করে দিয়েছে,, মানুষ মারা গেলে ও তো এভাবে কান্না করে না,,, আপু এক দৌড়ে এসে আমার মাথাটা জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিয়েছে,,,, এখন যদি মানুষ রাস্তাঘাট দিয়ে আসা-যাওয়া করে,, আর যদি এ দৃশ্যটা দেখতে পাই,,, তাহলে হয়তো ওরা ভেবে নেবে,, আমি মারা গেছি,?? আপু আমার মাথাটা আপুর কুলে নিয়ে,, কান্না করতে করতে বলতেছে,,, কি হয়েছে ফারাবির?? ওর এ অবস্থা হলে কি করে,,??, হে খুদা এখন আমি কি করব,,,,?? আপু শামীম কে উদ্দেশ্য করে বলছে,??,, কি হয়েছে ফারাবীর বলিস না কেন,??,, শামীম বলল যে আপু,,,, ফারাবী রাস্তা দিয়ে হাটতে ছিল,,,?? হঠাৎ একটা মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল,,??, আমি ওর জন্য ওয়েট করতে ছিলাম,,??,, ওর আসতে দেরি হচ্ছে দেখে আমি সামনে একটু এগিয়ে গেলাম,,?? দেখিও রাস্তায় পড়ে আছে?, তারপর কোলে করে এখানে নিয়ে আসলাম,,??, আপুর কান্না অবিরাম চলছে,,? নিজেকে কেমন জানি শূন্য শূন্য লাগছে,,,? আপুর কান্না আমার বুকে তীরের মত গিয়ে বিদতেছে। ,, আপু কান্না করতে করতে শামীম কে বলছে,,,।। সব তোর দোষ।। আরাবী কিছুক্ষণ আগে আমার কাছে ছিল,,।। তুই ওকে , ফোন দিয়ে এখানে নিয়ে এসেছিচ,,।।, ওর কিছু হলে তোকে আমি ছাড়বো না,,।।,, শামীম বলল আপু আমার কি দোষ,,,।। আপু বলল তুই আর একটা কথাও বলবি না,,।।, তাহলে তোর সব দাঁতগুলো আমি আজকে ফেলে দিব,,।।,শামীম আবারো বললো,,,আপু তুমি এভাবে কান্না করতেছে কেন ও তো মরে নাই,,
,,,,,,আপু বলল হারামজাদা আবার মরার কথা বলিস,,,ঠাস ঠাসসসসস।
আমি মনে মনে বলি এ খুদা রক্ষা কর,,ভূমিকম্পনি আবার আমার উপর দিয়ে যায়,,,
""আমি চোখ বন্ধ করে আছি,,,আর ঐদিকে বেচারা শামীম হয়তো গালে হাত দিয়ে বসে আছে,?,,হঠাৎ করে আপুর চোখের নোনা জলের কয়েকটা গরমফটো আমার কপালে পড়ে,?,,তখন আমার সারা শরীরে শিরশির ব্যথা করতে শুরু করে দিল,,,?তখন আপু কান্না ভেজাকন্ঠ দিয়ে আমাকে ডাকতে শুরু করে,,,এই ফারাবী ওঠ,,,?কি হয়েছে তোর উঠ না,,?এই ফারাবি কি হয়েছে কথা বল,,,?আপুর এই কান্না ভেজা কণ্ঠের ডাক শুনে,আমার অন্তরাত্মায়কাঁপন তললো,,? সারা শরীর অসার হয়ে আসছে,/হঠাৎ করে বুকের বাম পাশটা চিন চিন শুরো করে দিল,,,না আপুকে এভাবে কাঁদানো আমার উচিত হয় নাই,,?,আপু অনেক কষ্ট পাচ্ছে,,?,আপু আমাকে ভালোবাসোক আর না বাসোক,,তা জানার আমার কি দরকার ছিল,?,আমিও তো বড় আপু হিসেবে,,?তাকে সম্মান করি তার কথা শুনি,,,না আর থাকতে পারছি মনে হয় ওঠে আপুর পায়ে ধরে বলি।,আপু ভুল করে ফেলেছি,,।আমার কিছু হয় নাই।,মনে মনে শামীম কে বলি,।তোর জন্মের ট্রিটদেওয়া ব আমি,??আপু কান্না একটু থামিয়ে আমার চোখে মুখে পানি দিল,?আমি তো জাগনা ঐ।তার পর আপু আমাকে তার নরম কন্ঠে ডাক দিল ওঠার জন্য,।আমি চোখ খুললাম।,,,
।আপু বলল তোর কি হয়েছে,, আমি বললাম আপু তেমন কিছু হয় নাই,
মাথায় একটু ব্যাথা পেয়েছি।
""কপালে হাত দিয়ে দেখি আমার কপাল কিছু একটা দিয়ে বাঁধা,,,,।
আমি আপুর দিকে লক্ষ করে দেখি,,,আপুর ওর্নার এক জায়গা দিয়ে ছেড়া,।,,
আমি বুঝতে পেরেছিযে ওড়না দিয়ে আমার মাথা বেধেছে,।,,,আপু আমাকে ধরে দাঁড় করালো,,,
""আমি আস্তে আস্তে দাঁড়াবার চেষ্টা করলাম,,,,আমি তো সুস্থ মানুষ,,,অভিনয় করলাম আরকি,,,আমি অভিনয়ের জন্য পাক্কা প্লেয়ার,,,যে কোন নায়ক নায়িকা আমার কাছে ফেল,,,বিশেষ করে ধরেন সায়মন,, বাপ্পি,, আফরিন শুভ,,,এরকম আরও অনেকে আছে,,,কিন্তু মাগার বাপ্পারাজের প্রেমেরছ্যাক খাওয়া কাহিনীর অভিনয় করতে পারি না,,,উনি আমার ওস্তাদ,?? আপু আর শামীম আমাকে দাঁড়া করালো,,,
শামীম বলল আপু এখন ওকে কই নিয়ে যাবেন।। আপু বল্লো হসপিটালে রিসকা ডাক।
আমি মনে মনে বলি হায় আল্লাহ হস্পিতালে নিলে তো গ্যারান্টি ধরা খাব,,,। কারণ এটাতো রক্ত না মেডিসিন আর আমার কোন জায়গায় জখম ও হই নাই,,,
""তাহলে ডাক্তার আমাকে দেখে তো আপু বলে দিবে,,,আমার কিছু হয় নায়।
শামীম আমাকে ধরে কানে কানে বলে,,, আপু তো তোকে নিয়ে এখন হসপিটালে যাবে তাহলে তো ধরা খাব,,,
আমি চোখ গুলো লাল করে শামীম এর দিকে তাকাই,,, ওকে বুঝাতে চেষ্টা করি,,, কিছু একটা কর।
শামীম আপু কে বলল,,, আপু ওকে নিয়ে কোন হসপিটাল যাবেন,,
আপু বলল মুজিব মেডিকেল সেন্টার,,,। তারপর শামীম একটা রিস্কা ডেকে এনে আমাকে আর আপুকে উঠিয়ে দিল,, শামীম বলল তোরা দুজন রিস্কা দিয়ে যা,,,
আমি আর একটা রিস্কা নিয়ে হসপিটাল আসতেছি,,, রিস্কার ভিতরে আমি আর আপু বসে আছি,,, আপু আমাকে হালকা জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,,না জানি আমি রিস্কা থাকে পরে না যায়,,।
আমি আপু দিকে তাকিয়ে দেখি চোখ গুলো ফলে গেছে,,,আপু দেখে খুব মায়া হচ্ছে,, মিথ্যা মিথ্যা আপুকে এভাবে কাঁদালাম। নিজেকে নিজে গালি দিচ্ছি,,।,, কিছুক্ষনের ভিতর হসপিটাল পৌঁছে গেছি,,, আমার তো এখন খুব ভয় করতেছে,,,, যদি ধরা খাই,,,তাহলে তো আপু আমাকে শেষ করে দিবে।।। হসপিটালের ভিতরে গিয়ে দেখি শামীম দাঁড়িয়ে আছে,,, ওকে দেখে একটু শান্তি পেলাম,,,
তারপর ও আমার কাছে এসে কানে কানে বলল,,, কোন সমস্যা নেই,,, ডাক্তারকে সব খুলে বলেছি,, আমি বললাম শালা তোকে কে বলছিল আপুকে পরীক্ষা করার জন্য,, যাক এক হিসাবে তুই ভালো কাজ করছিস।। আপুর আমার প্রতি কতটুকু টান আছে সেটা আমি বুঝতে পেরেছি,,
আসলে জীবনে বন্ধু ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব না,,, বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল।
তারপর ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম,,, ডাক্তার বলল ওকে রেখে তোমরা বাহিরে যাও,,।
আপু আর শামীম বাহিরে চলে গেলো,,, ডাক্তার আমার মাথার কাপড়টা খুলে,,, বলল এরকম ফাইজলামি করো কেন,।
আমি বললাম এ যাত্রায় আমাকে বাঁচান। ডাক্তার আমার মাথা ব্যান্ডেজ করে দিল,,, আমি বাহিরে চলে আসলাম,,,
আমি আর আপু একটা রিস্কাই চেপে বসেছি,,, আপু বলল এখন কেমন লাগছে,,হুম ভালো,, এরকম পাগলামি করিস কেন।। আমি বললাম কি পাগলামি করেছি,, এই যে রাস্তা দিয়ে হাঁটিস গাড়ি দেখে হাটবি না। আমি বললাম সরি।। তারপর রিসকা আপু বাসার সামনে রাখে ,,, আমি বললাম এখানে কেন বাসায় যাব,, আপু বলল খালামণির যদি তর এ অবস্থা দেখে কি করবে জানিস।।
আমি বললাম আমার তো সেজন্যই ভয় করতেছে,,, আপু বলল ভয় পাবার কিছু নেই আমি খালামণিকে বুঝিয়ে বলব এখন তুই বাসায় চল,,,
আপু আমাকে বাসায় এনে বিছানায় শুয়ে দিলো।। তারপর অনেক ফল ফ্রুট কেটে আমাকে খাইয়ে দিতে লাগলো,,, আমি অবাক হয়ে আপুর কাজ কর্মগুলো দেখছি।। তারপর আপু বলল এখন ঘুমিয়ে থাক বিকেলে তোকে বাসায় পৌছে দিব।।। আমি আপুর কথা মতো ঘুমিয়ে পড়লাম,,, কতক্ষণ ঘুমিয়েছি বলতে পারব না,,, হঠাৎ করে যখন জাগনা পেলাম,,, তখন কারো হাতের স্পর্শ আমার কপালে অনুভব করলাম??
★চলবে....