09-01-2020, 02:53 AM
পর্ব (২)
---আল্লাহ এখন আমি কি করবো আজকে তো আমার খবর আছে। আমি ভয়ে আস্তে আস্তে অাপুর কাছে গিয়ে,, এমনি জিজ্ঞাসা করব।
ঠাস?স, স স স স?
-----আমিতো কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেছি।
আপু আমাকে এত জোরে থাপ্পর মারবে তা আমি কল্পনাও করিনি।
-----আমি গালে হাত আপুর দিকে তাকালাম,,,, রাগে আপুর চেহারা লাল বর্ন ধারণ করেছে
----আসলে সুন্দরী মেয়েরা রাগলে সরাচর তাদেরকে অসম্ভব সুন্দর লাগে। তখন বারবার তাদের প্রেমে পড়তে মন চাই।
---যাই হোক। আমি গালে হাত দিয়ে আপুকে কিছু বলতে যাব।
----তখন আপু চিল্লিয়ে উঠে বলে।
----তুই আর আমাদের বাসায় আর আসবি না?চলে যা আমার চোখের সামনে থেকে।
-----আমি তো ভেবে পাই না এখানে এত রাগ করার আর থাপ্পর দেওয়ার কি আছে।
----আমি কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসলাম। রাস্তা দিয়ে হাটতেছি।
(((বাপরে গালটা প্রচুর ব্যাথা করতেছে)))))
((মেয়েরার এত শক্তি কোথা থেকে আসে))
---না গলাটা শুকিয়ে গেছে যাই রিয়ার সাথে দেখা করার আগে। মালেক চাচা দোকানে গিয়ে এক বোতল মিনারেল ওয়াটার খায়।
----চাচার দোকানে গিয়ে বললাম।
----চাচা একবারে ঠান্ডা ফ্রেশ মিনারেল ওয়াটারের একটা বোতল দাও তো।
(চাচা) কেন এত ঠান্ডা দিয়ে কি করবি।
(আমি)আর বইলো না চৈত্রমাসের মাটি যেমন পানির জন্য হাহাকার করে।
আমার বুকটা ও এখন এরকমভাবে পানির জন্য হাহাকার করতেছে।
(চাচা) কেন কারো কাছ থেকে দৌড়ানি খেয়ে আইছোত নাকি।
(আমি) কেন দৌড়ানি খেয়ে আসবো কেনো।
আমি কি চোর নাকি লুচ্চা ।
(চাচা) তা হতি যাবি কেন??
---তাহলে জিজ্ঞাসা করলে কেন দৌড়ানি খেয়ে আসছেি নাকি।
(চাচা) না সকাল সকাল এত ঘেমে আসছিস ঠান্ডা পানি খাওয়ার জন্য আর তোর গালের অবস্থায় এরকম কেন।
----কেন কি হইছে?
(চাচা)তোর গালে ত দেখি পাঁচ আঙ্গুলের দাগ?
(((((((((গুন্ডি মেয়ে পাঁচ আঙ্গুলের দাগ ফেলে দিছে গালে আমি ও দেখে নিব আপুকে বললাম আর কি মনে মনে))))))))))))
---ও কিছু না পানির বোতল দাও?
আর সাউন্ড বক্সে এটা কি গান লাগাইছ।। (টিকা তুলির মোড়ে একটা হল রয়েছে। হলে নাকি এয়ার কন্ডিশন রয়েছে) এটা একটা গান হল ফালতু গান আজকাল এসব গান মানুষ শুনে বন্ধ কর।
(চাচা)আচ্ছা বাবা এত রাগ করার কি আছে???
-----রাগ করি নাই,,, গানটা অফ কর গানটা অফ না করলে আমার রাগ উঠে যাবে।।
তর রাগ তোলার দরকার নাই বাবা
এই নে গান অফ করে দিছি? তোর পানির বোতল।
• ---পানির বোতলটা হাতে নিয়ে একটানে বোতলের অর্ধেকটা পানি খেয়ে ফেললাম।
আর বাকি বোতলের অর্ধেক পানি দিয়ে মুখটা ভালো করে ধুয়ে নিলাম, আর একটা সিগারেট হাতে নিয়ে হাটতে হাটতে ভাবতেছি।।। আপু এমন রিঅ্যাক্ট করার কারণ কি যে আমারে এত জোরে থাপ্পর মারবে।।।
----একদিকে আপুর এমন বিহেফ। অন্যদিকে রিয়ার জরুরি তলব। আচ্ছা একটা কথা
আপু তো জানে রিয়া আমার ব্রেস্ট ফ্রেন্ড তাহলে আপু রিয়াকে দেখতে পারে না কেনো রিয়ার কথা শুনলে এত রিয়েক্ট করে কেন। তার মানে কি আপু আমাকে মনে মনে পছন্দ।
----না না কি যাতা ভাবতেছি আমি,,, .
----আপু পুরা ভার্সিটির সেরা সুন্দরী। ভার্সিটির সিনিয়র জুনিয়র সবাই আপু প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে,,, আর সে আপু কি না আমাকে পছন্দ করবে।।
----সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল বড় আপুর সাথে প্রেম করবো তাই বলে নিজের আত্মীয় স্বজনের ভিতরে বড় আপু।। আর আপুকে কখনো এরকম গভীরে নিয়ে ভাবি নাই।
----আর আমার আব্বু তো মাশাল্লাহ লাখের ভিতরে একজন ব্যক্তি জিন্দেগীতে মেনে নিবে না।
না না না এটা সম্ভব না। আত্মীয়-স্বজন সমাজ বা কেউই এটা কে মেনে নিবে না। আপুর কাছ থেকে যত দুরে থাকা যায় ততই ভালো। আপু রাগ করলে করবে।
----আবার ও ফোন You Are Not Alone,,,, Anether dey has gone,,,
----মেজাজটা কেমন লাগে।
মোবাইলটা রে নাকি আছার দিয়ে ভাংগা ফালামু।
---ঐ এত ফোন দেওয়ার কি আছে আসতেছি তো।
(রিয়া) আচ্ছা ঠিক আছে আই।
-----৬ ৭ মিনিট হাঁটার পর পৌঁছেগেলাম।
দুরের থাকে তাকাইয়া দেখি রিয়া কে খুব চিন্তিত দেখা যাচ্ছে।
----কাছে গিয়ে বললাম।
---কি হইছে সকাল সকাল এত জরুরি তলব।
(রিয়া) এত রাগ করতেছিস ক্যান।
(আমি) রাগ করতেছি না কি বলবি তাড়াতাড়ি বল।
(রিয়া) না মানে আসলে আজকে সন্ধ্যাই আমাকে দেখতে আসবে। যদি পছন্দ হয়ে যায় তাহলে আংটি পরিয়ে দিয়ে যাবে আর আগামী এক সপ্তা পর বিয়ে।
( আমি)কি বলতেছিস তুই।
(রিয়া) হ্যাঁ সত্যি বলতেছি।
(আমি) তাহলে তো খুব ভালো congratulation,,তা ছেলে কি করে।
(রিয়া) ছেলের লেখাপড়া শেষ করে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করে। ভালো টাকা বেতন পাই।
তাই আব্বু এই প্রস্তাবটা হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না।
(আমি) হাতছাড়া করার কি দরকার।
(রিয়া) আমি এখন বিয়ে শাদী করব না।
(আমি) কেন?
(রিয়া) আমি লেখাপড়া করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।
(আমি) তা এখন কার পা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছিস। রাস্তার পাশে টং দোকানের ল্যাংড়া মালেক চাচার পা দিয়ে নাকি।
(রিয়া) দেখ সব সময় ফাজলামি ভালো লাগে না ।
---ঠিক আছে বাবা সরি??
(রিয়া) আমি সিরিয়াস তাছাড়া আমি একজনকে খুব ভালবাসি।
(আমি) কি বলতেছিস তুই।।
---এতদিনের বন্ধুত্ব আমাদের তুই তো কখনো আমাকে এ কথা বলোছ নাই।
(রিয়া) আসলে তোকে এই জন্যই বলিনা যে ছেলেটাকে আমি একতরফা ভালোবাসি। অনেক আগের থেকে ছেলেটার সাথে আমার পরিচয়,,,, কিন্তু ছেলেটাকে আমি যে চোখে দেখি ছেলেটা আমাকে সেই চোখে দেখে না।
----ঐ ছেলেটা আমার প্রতিটি রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
----আমার দুই চোখে সব সময় ঐ ছেলেটাই বিচারণ করে।
---ওই ছেলেটার দিকে তাকাইলে আমার নিজের অস্তিত্ব টের পাই না। যাকে এত ভালবাসি তাকে হয়তো কোনদিন আমার মনে ও আবক্ত না বলা কথা গুলো বলতে পারব না ভয় হয় বলার পরে যদি সে আমায় ছেড়ে চলে যাই।
(আমি) বাহ বাহ তুই তো দেখি প্রেমের মহাগুরু। আর একটা কথা একতরফা প্রেমের কোন ভবিষ্যত নাই। যাকে এতটা ভালবাসোস তাকে একবার হলেও তোর মনের কথা গুলো জানানো উচিত। কারণ তোর না বলা কথা গুলো ক্ষণে ক্ষণে তোকে কষ্ট দিতে থাকবে।
(রিয়া) আমি তো আমার মনের কথাগুলো তাকে জানাতে চাই কিন্তু ভয় হই।
(আমি) কিসের ভয়।
(রিয়া) সে যদি আমাকে ফিরিয়ে দেই।
(আমি) দেখ ফিরিয়ে দিলে তো কিছু করার নাই। তারপরও তুই তাকে তোর মনের কথাগুলো জানানো উচিত। জোর করে সব হলেও ভালোবাসা হয় না।
(রিয়া) তা ঠিক আছে,,, তুই আমার সাথে থাকবি তো।
(আমি) কেন থাকবো না অবশ্যই থাকব। তুই একটা ছেলেকে ভালবেসে কষ্ট পাবি। এটা আমি মেনে নিতে পারি না।
(আমি) এখন বল সেই ছেলেটা কে।
((( রিয়ার মনের কথা সেই ছেলেটা আর কেউই নয় একমাত্র তুই,, তুই ওই আমার রাতের ঘুম কেরে নিছস,,, আমার দুচোখে তোর ঐ বিচরণ,, তুই কেন বুঝিস না তোকে আমি অনেক ভালবাসি রে সেই ক্লাস নাইন থেকে)))))
(আমি) কি হল এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে কি দেখিস,,,, ছেলেটা কে।।
(রিয়া) হা না মানে এখন বলতে পারব না সময় হলে জানতে পারবি এখন তুই প্লিজ আব্বু কে একটু বুঝিয়ে বল আমি জানি তুই বুঝিয়ে বললে আব্বু তোর কথা মেনে নিবে।।।
((আমি)) কি বলব চাচ্চুকে তুই একজনকে একতরফা ভালবাসিস।
(রিয়া) আমি জানিনা তুই কি বলবি আমি শুধু জানি আমি বিয়ে করতে পারব না,,,, তুই যদি না বলিস তাহলে আমি অন্য কিছু করে ফেলব।।।
(আমি) তোর কি মাথা খারাপ ওরকম কিছু করবি না""" আমি বলব চাচ্ছো কে।।
(রিয়া) তাহলে ঠিক আছে চল এখন।।
(আমি) কোথায়?
(রিয়া) আমাদের বাসায় নাস্তা করবি।।
(আমি) না আমি নাস্তা করছি।।
(রিয়া) কোথায়?
(আমি) খালামনির বাসায়??
(রিয়া) কে করিয়েছে ঈশিতা আপু না?
(আমি)হুম রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি মুখটা কালো করে ফেলেছে??
(আমি) কি হল মুখ এমন কালো করে ফেলছস কেন।
(রিয়া) না এমনি।
(আমি) আচ্ছা ঠিক আছে বাদ দে?
(আমি)এক মিনিট আবার ফোন দিলো কে।
হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো।
You Are Not Alone,,Another dey has gone,, I'm still all alone,,,How could this be,, You' re not here With me,, ফোনের স্ক্রিনে তাকাইয়া দেখি বন্ধু শামীম ফোন দিছে।
(আমি) হা বল
(বন্ধু) তুই নাকি আজকে খেলবি না।
(আমি) তুই ঠিক শুনছোত
(বন্ধু) কেন খেলবি না তুই জানোস এই খেলা নিয়ে 7000 হাজার টাকা বাজি আছে। আর তুই না খেললে নিশ্চিত খেলায় পরাজয় বরণ করতে হবে।
(আমি)তুই কি বলিস 7000 টাকা আর তোরে না বলছি খেলা নিয়ে আর বাজে না ধরতে।
(বন্ধু) সরি দোস্ত আর বাজি ধরমো না এটাই লাস্ট তুই প্লিজ আজকের খেলাটা খেলতে আয়।
(আমি) আমার তো আজকে জরুরী কাজ আছে,, তারপরও তুই বলতেছত আমি আসবো কিন্তু একটা শর্তে খেলায় আমরা বিজয়ী হলে আমাকে একা তিন হাজার টাকা দিতে হবে।
(বন্ধু) ওকে দিব তারপরেও তুই খেলার মাঠে আসিস।
(আমি)হুম আসবো
(আমি) রিয়া এখন আমি যাই।আর জুম্মার নামাজের পরে আইসা।। চাচুকে তোর কথা বলে যাব।।
(রিয়া) সিওর আসবি তো।
হা বাবা আসব,, যাই এখন।
ok বাই
বাই। একথা বলে হাঁটা শুরু করলাম গন্তব্য এখন আপু বাসা। আপু সাথে দেখা করার জন্য না কিন্তু। আপু বাসার সামনে আমার বন্ধুর বাইক সেটা আনার জন্য।
2 3 মিনিট হাঁটার পর আম্মুর ফোন।
(আমি)হা আম্মু বল।
(আম্মু) সকাল সকাল কোথায় গেছিস।
(আমি) এই ত আম্মু খালামনির বাসায়?
(আম্মু) আচ্ছা ঠিক আছে তাড়াতাড়ি বাসায় আয়।
(আমি) কেন।
(আম্মু) আজকে তুই বাজারে যাবি।
(আমি) কি বল আমি তো কখনো বাজার করি নাই,, আমি পারবো না।
(আম্মু) পারবে না কেন বাজার করা শিখতে হবে না।
(আমি) কাজের বুয়ার ছেলেটা কই ওরে পাঠাও।
(আম্মু) কাজের বুয়া তো দুই দিনের জন্য ছুটি নিয়েছে।
(আমি) এ কোন মুসিবত আসতেছি আমি।
---এখন কি করা যায়। রিয়াকে ফোন দেয়।
---হ্যালো রিয়া।
কি হইছে বল।
--
ইব্রাহিম কই,, (((ইব্রাহিম হল রিয়ার ছোট ভাই এবার অস্টম শ্রেণীতে উঠছে)))
(রিয়া)ও তো ঘুমে কেন।
(আমি)কাজ আছে আমি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি ওরে দশ মিনিটের ভিতরে আমার কাছে পাঠা।
(রিয়া)হুম পাঠাইতেছি?
15 মিনিট পরে
(ইব্রাহিম) ভাই কেমন আছেন
(আমি)হুম? ভাল, তরে আসার জন্য তোর আপুরে ফোন দিছি এক ঘন্টা আগে,,
আর তুই আইছোত আরো দেড় ঘন্টা পরে।
(ইব্রাহিম) কি বলতেছেন ভাই আপু বলছে 10 মিনিটের মধ্যে আপনার কাছে আসার জন্য আমি কাটা কাটা 9 মিনিটের মধ্যে আপনার কাছে হাজির আর আপনি বলতেছ দেড় ঘন্টা।
(আমি)হইছে আর পাকামো করা লাগবে না।
(আমি) চল
(ইব্রাহিম) কোথায়
(আমি) আমাদের বাসায়।
(ইব্রাহিম) কেন।
(আমি) আরে আম্মু বলতেছে আমাকে বাজার করার জন্য আমি তো কখনো বাজার করি নাই,, তাই আজকে তুই আমাদের বাসার বাজারটা করে দিবি।
(ইব্রাহিম) আচ্ছা ঠিক আছে চলেন,, ভাই ঐ দিকে কই যান।
(আমি) আরে কিছুক্ষণ আগে ঈশিতা আপু ফোন দিয়ে আমাকে তাদের বাসায় নিয়েছিল সকালের ব্রেকফাস্ট করার জন্য। আর আমি গিয়েছিলাম বাইক নিয়ে তাই এখন আপুর বাসার সামনেই বাইক। নিয়ে বাসায় যাইতে হবে না।
(ইব্রাহিম) আচ্ছা ঠিক আছে চলেন।
10-12 মিনিট হাঁটার পর আপুর বাসার সামনে গিয়ে।
(ইব্রাহিম) ভাই এভাবে হাঁটেন কেন চুরি টরী করছেন নাকি।
(আমি) ওই বেশি পাকনামি করলে এক থাপ্পড়ে সব দাঁত ফেলে দিব।
(ইব্রাহিম) সরি ভাই তা না হলে আপনে দেওয়ালের পিছনে লুকাইতাছেন কেন।
আমি) বেশি কথা না বলে তুই সামনে গিয়ে দেখ আপুর বাসার সামনে কেউ আছে কি না।
ইব্রাহিম একটু সামনে এগিয়ে??
(ইব্রাহিম) ভাই আপু তো বারান্দায় দাড়িইয়ে আছে আর আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
(আমি) ঐতুই তাড়াতাড়ি লুকা।
(
ইব্রাহিম) কেন লুকাবো আপু তো দেখে ফেলছে এখন লুকালেও লাভ হবে না।
(ঈশিতা আপু) ওই পিচ্চি এদিকে আই।
(ইব্রাহিম) জি আপু?
(ঈশিতা আপু) এখানে কি করিস?
(ইব্রাহিম) কিছু না আপু এমনি ঘুরতে আসছি
(ঈশিতা আপু) আচ্ছা তোর ফারাবী ভাইকে দেখছিস।
(((((আমি) ঐ তুই আমার দিকে তাকিয়ে আছিস ক্যান ""সামনে তাকিয়ে কথা বল তানাহলে আপু বুঝে ফেলবে আমি এখানে।))))
(ইব্রাহিম) জি, না আপু?
(ঈশিতা আপু) ঐ তুই আমার সাথে কথা বলছিস,, বারবার দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে কি দেখিস কে আছে দেওয়ালের ঐপাশে।
(আমি) হায় আল্লাহ ওরে নিয়া আইসা ত বড় ভুল করছি ও তো এখন আমাকে ধরা খাওয়াবে নিশ্চিত।
-----আমি হাত দিয়ে ওরে ইশারা করে বললাম বল যে কেউই নাই।।।।
(ইব্রাহিম) কেউ নাই তো আপু?
(ঈশিতা আপু) আচ্ছা ঠিক আছে"" তোর নাম জানি কি।
(আমি) আল্লাহ বাঁচাইছে?
কথা বলে যা" এদিকে আর তাকাবি না????
((((((ঈশিতা তোকে বুঝাবো মজা আমাকে থাপ্পড় দেওয়া মনে মনে)))))
((((((চলবে
---আল্লাহ এখন আমি কি করবো আজকে তো আমার খবর আছে। আমি ভয়ে আস্তে আস্তে অাপুর কাছে গিয়ে,, এমনি জিজ্ঞাসা করব।
ঠাস?স, স স স স?
-----আমিতো কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেছি।
আপু আমাকে এত জোরে থাপ্পর মারবে তা আমি কল্পনাও করিনি।
-----আমি গালে হাত আপুর দিকে তাকালাম,,,, রাগে আপুর চেহারা লাল বর্ন ধারণ করেছে
----আসলে সুন্দরী মেয়েরা রাগলে সরাচর তাদেরকে অসম্ভব সুন্দর লাগে। তখন বারবার তাদের প্রেমে পড়তে মন চাই।
---যাই হোক। আমি গালে হাত দিয়ে আপুকে কিছু বলতে যাব।
----তখন আপু চিল্লিয়ে উঠে বলে।
----তুই আর আমাদের বাসায় আর আসবি না?চলে যা আমার চোখের সামনে থেকে।
-----আমি তো ভেবে পাই না এখানে এত রাগ করার আর থাপ্পর দেওয়ার কি আছে।
----আমি কিছু না বলে সেখান থেকে চলে আসলাম। রাস্তা দিয়ে হাটতেছি।
(((বাপরে গালটা প্রচুর ব্যাথা করতেছে)))))
((মেয়েরার এত শক্তি কোথা থেকে আসে))
---না গলাটা শুকিয়ে গেছে যাই রিয়ার সাথে দেখা করার আগে। মালেক চাচা দোকানে গিয়ে এক বোতল মিনারেল ওয়াটার খায়।
----চাচার দোকানে গিয়ে বললাম।
----চাচা একবারে ঠান্ডা ফ্রেশ মিনারেল ওয়াটারের একটা বোতল দাও তো।
(চাচা) কেন এত ঠান্ডা দিয়ে কি করবি।
(আমি)আর বইলো না চৈত্রমাসের মাটি যেমন পানির জন্য হাহাকার করে।
আমার বুকটা ও এখন এরকমভাবে পানির জন্য হাহাকার করতেছে।
(চাচা) কেন কারো কাছ থেকে দৌড়ানি খেয়ে আইছোত নাকি।
(আমি) কেন দৌড়ানি খেয়ে আসবো কেনো।
আমি কি চোর নাকি লুচ্চা ।
(চাচা) তা হতি যাবি কেন??
---তাহলে জিজ্ঞাসা করলে কেন দৌড়ানি খেয়ে আসছেি নাকি।
(চাচা) না সকাল সকাল এত ঘেমে আসছিস ঠান্ডা পানি খাওয়ার জন্য আর তোর গালের অবস্থায় এরকম কেন।
----কেন কি হইছে?
(চাচা)তোর গালে ত দেখি পাঁচ আঙ্গুলের দাগ?
(((((((((গুন্ডি মেয়ে পাঁচ আঙ্গুলের দাগ ফেলে দিছে গালে আমি ও দেখে নিব আপুকে বললাম আর কি মনে মনে))))))))))))
---ও কিছু না পানির বোতল দাও?
আর সাউন্ড বক্সে এটা কি গান লাগাইছ।। (টিকা তুলির মোড়ে একটা হল রয়েছে। হলে নাকি এয়ার কন্ডিশন রয়েছে) এটা একটা গান হল ফালতু গান আজকাল এসব গান মানুষ শুনে বন্ধ কর।
(চাচা)আচ্ছা বাবা এত রাগ করার কি আছে???
-----রাগ করি নাই,,, গানটা অফ কর গানটা অফ না করলে আমার রাগ উঠে যাবে।।
তর রাগ তোলার দরকার নাই বাবা
এই নে গান অফ করে দিছি? তোর পানির বোতল।
• ---পানির বোতলটা হাতে নিয়ে একটানে বোতলের অর্ধেকটা পানি খেয়ে ফেললাম।
আর বাকি বোতলের অর্ধেক পানি দিয়ে মুখটা ভালো করে ধুয়ে নিলাম, আর একটা সিগারেট হাতে নিয়ে হাটতে হাটতে ভাবতেছি।।। আপু এমন রিঅ্যাক্ট করার কারণ কি যে আমারে এত জোরে থাপ্পর মারবে।।।
----একদিকে আপুর এমন বিহেফ। অন্যদিকে রিয়ার জরুরি তলব। আচ্ছা একটা কথা
আপু তো জানে রিয়া আমার ব্রেস্ট ফ্রেন্ড তাহলে আপু রিয়াকে দেখতে পারে না কেনো রিয়ার কথা শুনলে এত রিয়েক্ট করে কেন। তার মানে কি আপু আমাকে মনে মনে পছন্দ।
----না না কি যাতা ভাবতেছি আমি,,, .
----আপু পুরা ভার্সিটির সেরা সুন্দরী। ভার্সিটির সিনিয়র জুনিয়র সবাই আপু প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে,,, আর সে আপু কি না আমাকে পছন্দ করবে।।
----সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল বড় আপুর সাথে প্রেম করবো তাই বলে নিজের আত্মীয় স্বজনের ভিতরে বড় আপু।। আর আপুকে কখনো এরকম গভীরে নিয়ে ভাবি নাই।
----আর আমার আব্বু তো মাশাল্লাহ লাখের ভিতরে একজন ব্যক্তি জিন্দেগীতে মেনে নিবে না।
না না না এটা সম্ভব না। আত্মীয়-স্বজন সমাজ বা কেউই এটা কে মেনে নিবে না। আপুর কাছ থেকে যত দুরে থাকা যায় ততই ভালো। আপু রাগ করলে করবে।
----আবার ও ফোন You Are Not Alone,,,, Anether dey has gone,,,
----মেজাজটা কেমন লাগে।
মোবাইলটা রে নাকি আছার দিয়ে ভাংগা ফালামু।
---ঐ এত ফোন দেওয়ার কি আছে আসতেছি তো।
(রিয়া) আচ্ছা ঠিক আছে আই।
-----৬ ৭ মিনিট হাঁটার পর পৌঁছেগেলাম।
দুরের থাকে তাকাইয়া দেখি রিয়া কে খুব চিন্তিত দেখা যাচ্ছে।
----কাছে গিয়ে বললাম।
---কি হইছে সকাল সকাল এত জরুরি তলব।
(রিয়া) এত রাগ করতেছিস ক্যান।
(আমি) রাগ করতেছি না কি বলবি তাড়াতাড়ি বল।
(রিয়া) না মানে আসলে আজকে সন্ধ্যাই আমাকে দেখতে আসবে। যদি পছন্দ হয়ে যায় তাহলে আংটি পরিয়ে দিয়ে যাবে আর আগামী এক সপ্তা পর বিয়ে।
( আমি)কি বলতেছিস তুই।
(রিয়া) হ্যাঁ সত্যি বলতেছি।
(আমি) তাহলে তো খুব ভালো congratulation,,তা ছেলে কি করে।
(রিয়া) ছেলের লেখাপড়া শেষ করে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করে। ভালো টাকা বেতন পাই।
তাই আব্বু এই প্রস্তাবটা হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না।
(আমি) হাতছাড়া করার কি দরকার।
(রিয়া) আমি এখন বিয়ে শাদী করব না।
(আমি) কেন?
(রিয়া) আমি লেখাপড়া করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই।
(আমি) তা এখন কার পা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছিস। রাস্তার পাশে টং দোকানের ল্যাংড়া মালেক চাচার পা দিয়ে নাকি।
(রিয়া) দেখ সব সময় ফাজলামি ভালো লাগে না ।
---ঠিক আছে বাবা সরি??
(রিয়া) আমি সিরিয়াস তাছাড়া আমি একজনকে খুব ভালবাসি।
(আমি) কি বলতেছিস তুই।।
---এতদিনের বন্ধুত্ব আমাদের তুই তো কখনো আমাকে এ কথা বলোছ নাই।
(রিয়া) আসলে তোকে এই জন্যই বলিনা যে ছেলেটাকে আমি একতরফা ভালোবাসি। অনেক আগের থেকে ছেলেটার সাথে আমার পরিচয়,,,, কিন্তু ছেলেটাকে আমি যে চোখে দেখি ছেলেটা আমাকে সেই চোখে দেখে না।
----ঐ ছেলেটা আমার প্রতিটি রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
----আমার দুই চোখে সব সময় ঐ ছেলেটাই বিচারণ করে।
---ওই ছেলেটার দিকে তাকাইলে আমার নিজের অস্তিত্ব টের পাই না। যাকে এত ভালবাসি তাকে হয়তো কোনদিন আমার মনে ও আবক্ত না বলা কথা গুলো বলতে পারব না ভয় হয় বলার পরে যদি সে আমায় ছেড়ে চলে যাই।
(আমি) বাহ বাহ তুই তো দেখি প্রেমের মহাগুরু। আর একটা কথা একতরফা প্রেমের কোন ভবিষ্যত নাই। যাকে এতটা ভালবাসোস তাকে একবার হলেও তোর মনের কথা গুলো জানানো উচিত। কারণ তোর না বলা কথা গুলো ক্ষণে ক্ষণে তোকে কষ্ট দিতে থাকবে।
(রিয়া) আমি তো আমার মনের কথাগুলো তাকে জানাতে চাই কিন্তু ভয় হই।
(আমি) কিসের ভয়।
(রিয়া) সে যদি আমাকে ফিরিয়ে দেই।
(আমি) দেখ ফিরিয়ে দিলে তো কিছু করার নাই। তারপরও তুই তাকে তোর মনের কথাগুলো জানানো উচিত। জোর করে সব হলেও ভালোবাসা হয় না।
(রিয়া) তা ঠিক আছে,,, তুই আমার সাথে থাকবি তো।
(আমি) কেন থাকবো না অবশ্যই থাকব। তুই একটা ছেলেকে ভালবেসে কষ্ট পাবি। এটা আমি মেনে নিতে পারি না।
(আমি) এখন বল সেই ছেলেটা কে।
((( রিয়ার মনের কথা সেই ছেলেটা আর কেউই নয় একমাত্র তুই,, তুই ওই আমার রাতের ঘুম কেরে নিছস,,, আমার দুচোখে তোর ঐ বিচরণ,, তুই কেন বুঝিস না তোকে আমি অনেক ভালবাসি রে সেই ক্লাস নাইন থেকে)))))
(আমি) কি হল এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে কি দেখিস,,,, ছেলেটা কে।।
(রিয়া) হা না মানে এখন বলতে পারব না সময় হলে জানতে পারবি এখন তুই প্লিজ আব্বু কে একটু বুঝিয়ে বল আমি জানি তুই বুঝিয়ে বললে আব্বু তোর কথা মেনে নিবে।।।
((আমি)) কি বলব চাচ্চুকে তুই একজনকে একতরফা ভালবাসিস।
(রিয়া) আমি জানিনা তুই কি বলবি আমি শুধু জানি আমি বিয়ে করতে পারব না,,,, তুই যদি না বলিস তাহলে আমি অন্য কিছু করে ফেলব।।।
(আমি) তোর কি মাথা খারাপ ওরকম কিছু করবি না""" আমি বলব চাচ্ছো কে।।
(রিয়া) তাহলে ঠিক আছে চল এখন।।
(আমি) কোথায়?
(রিয়া) আমাদের বাসায় নাস্তা করবি।।
(আমি) না আমি নাস্তা করছি।।
(রিয়া) কোথায়?
(আমি) খালামনির বাসায়??
(রিয়া) কে করিয়েছে ঈশিতা আপু না?
(আমি)হুম রিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি মুখটা কালো করে ফেলেছে??
(আমি) কি হল মুখ এমন কালো করে ফেলছস কেন।
(রিয়া) না এমনি।
(আমি) আচ্ছা ঠিক আছে বাদ দে?
(আমি)এক মিনিট আবার ফোন দিলো কে।
হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো।
You Are Not Alone,,Another dey has gone,, I'm still all alone,,,How could this be,, You' re not here With me,, ফোনের স্ক্রিনে তাকাইয়া দেখি বন্ধু শামীম ফোন দিছে।
(আমি) হা বল
(বন্ধু) তুই নাকি আজকে খেলবি না।
(আমি) তুই ঠিক শুনছোত
(বন্ধু) কেন খেলবি না তুই জানোস এই খেলা নিয়ে 7000 হাজার টাকা বাজি আছে। আর তুই না খেললে নিশ্চিত খেলায় পরাজয় বরণ করতে হবে।
(আমি)তুই কি বলিস 7000 টাকা আর তোরে না বলছি খেলা নিয়ে আর বাজে না ধরতে।
(বন্ধু) সরি দোস্ত আর বাজি ধরমো না এটাই লাস্ট তুই প্লিজ আজকের খেলাটা খেলতে আয়।
(আমি) আমার তো আজকে জরুরী কাজ আছে,, তারপরও তুই বলতেছত আমি আসবো কিন্তু একটা শর্তে খেলায় আমরা বিজয়ী হলে আমাকে একা তিন হাজার টাকা দিতে হবে।
(বন্ধু) ওকে দিব তারপরেও তুই খেলার মাঠে আসিস।
(আমি)হুম আসবো
(আমি) রিয়া এখন আমি যাই।আর জুম্মার নামাজের পরে আইসা।। চাচুকে তোর কথা বলে যাব।।
(রিয়া) সিওর আসবি তো।
হা বাবা আসব,, যাই এখন।
ok বাই
বাই। একথা বলে হাঁটা শুরু করলাম গন্তব্য এখন আপু বাসা। আপু সাথে দেখা করার জন্য না কিন্তু। আপু বাসার সামনে আমার বন্ধুর বাইক সেটা আনার জন্য।
2 3 মিনিট হাঁটার পর আম্মুর ফোন।
(আমি)হা আম্মু বল।
(আম্মু) সকাল সকাল কোথায় গেছিস।
(আমি) এই ত আম্মু খালামনির বাসায়?
(আম্মু) আচ্ছা ঠিক আছে তাড়াতাড়ি বাসায় আয়।
(আমি) কেন।
(আম্মু) আজকে তুই বাজারে যাবি।
(আমি) কি বল আমি তো কখনো বাজার করি নাই,, আমি পারবো না।
(আম্মু) পারবে না কেন বাজার করা শিখতে হবে না।
(আমি) কাজের বুয়ার ছেলেটা কই ওরে পাঠাও।
(আম্মু) কাজের বুয়া তো দুই দিনের জন্য ছুটি নিয়েছে।
(আমি) এ কোন মুসিবত আসতেছি আমি।
---এখন কি করা যায়। রিয়াকে ফোন দেয়।
---হ্যালো রিয়া।
কি হইছে বল।
--
ইব্রাহিম কই,, (((ইব্রাহিম হল রিয়ার ছোট ভাই এবার অস্টম শ্রেণীতে উঠছে)))
(রিয়া)ও তো ঘুমে কেন।
(আমি)কাজ আছে আমি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি ওরে দশ মিনিটের ভিতরে আমার কাছে পাঠা।
(রিয়া)হুম পাঠাইতেছি?
15 মিনিট পরে
(ইব্রাহিম) ভাই কেমন আছেন
(আমি)হুম? ভাল, তরে আসার জন্য তোর আপুরে ফোন দিছি এক ঘন্টা আগে,,
আর তুই আইছোত আরো দেড় ঘন্টা পরে।
(ইব্রাহিম) কি বলতেছেন ভাই আপু বলছে 10 মিনিটের মধ্যে আপনার কাছে আসার জন্য আমি কাটা কাটা 9 মিনিটের মধ্যে আপনার কাছে হাজির আর আপনি বলতেছ দেড় ঘন্টা।
(আমি)হইছে আর পাকামো করা লাগবে না।
(আমি) চল
(ইব্রাহিম) কোথায়
(আমি) আমাদের বাসায়।
(ইব্রাহিম) কেন।
(আমি) আরে আম্মু বলতেছে আমাকে বাজার করার জন্য আমি তো কখনো বাজার করি নাই,, তাই আজকে তুই আমাদের বাসার বাজারটা করে দিবি।
(ইব্রাহিম) আচ্ছা ঠিক আছে চলেন,, ভাই ঐ দিকে কই যান।
(আমি) আরে কিছুক্ষণ আগে ঈশিতা আপু ফোন দিয়ে আমাকে তাদের বাসায় নিয়েছিল সকালের ব্রেকফাস্ট করার জন্য। আর আমি গিয়েছিলাম বাইক নিয়ে তাই এখন আপুর বাসার সামনেই বাইক। নিয়ে বাসায় যাইতে হবে না।
(ইব্রাহিম) আচ্ছা ঠিক আছে চলেন।
10-12 মিনিট হাঁটার পর আপুর বাসার সামনে গিয়ে।
(ইব্রাহিম) ভাই এভাবে হাঁটেন কেন চুরি টরী করছেন নাকি।
(আমি) ওই বেশি পাকনামি করলে এক থাপ্পড়ে সব দাঁত ফেলে দিব।
(ইব্রাহিম) সরি ভাই তা না হলে আপনে দেওয়ালের পিছনে লুকাইতাছেন কেন।
আমি) বেশি কথা না বলে তুই সামনে গিয়ে দেখ আপুর বাসার সামনে কেউ আছে কি না।
ইব্রাহিম একটু সামনে এগিয়ে??
(ইব্রাহিম) ভাই আপু তো বারান্দায় দাড়িইয়ে আছে আর আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
(আমি) ঐতুই তাড়াতাড়ি লুকা।
(
ইব্রাহিম) কেন লুকাবো আপু তো দেখে ফেলছে এখন লুকালেও লাভ হবে না।
(ঈশিতা আপু) ওই পিচ্চি এদিকে আই।
(ইব্রাহিম) জি আপু?
(ঈশিতা আপু) এখানে কি করিস?
(ইব্রাহিম) কিছু না আপু এমনি ঘুরতে আসছি
(ঈশিতা আপু) আচ্ছা তোর ফারাবী ভাইকে দেখছিস।
(((((আমি) ঐ তুই আমার দিকে তাকিয়ে আছিস ক্যান ""সামনে তাকিয়ে কথা বল তানাহলে আপু বুঝে ফেলবে আমি এখানে।))))
(ইব্রাহিম) জি, না আপু?
(ঈশিতা আপু) ঐ তুই আমার সাথে কথা বলছিস,, বারবার দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে কি দেখিস কে আছে দেওয়ালের ঐপাশে।
(আমি) হায় আল্লাহ ওরে নিয়া আইসা ত বড় ভুল করছি ও তো এখন আমাকে ধরা খাওয়াবে নিশ্চিত।
-----আমি হাত দিয়ে ওরে ইশারা করে বললাম বল যে কেউই নাই।।।।
(ইব্রাহিম) কেউ নাই তো আপু?
(ঈশিতা আপু) আচ্ছা ঠিক আছে"" তোর নাম জানি কি।
(আমি) আল্লাহ বাঁচাইছে?
কথা বলে যা" এদিকে আর তাকাবি না????
((((((ঈশিতা তোকে বুঝাবো মজা আমাকে থাপ্পড় দেওয়া মনে মনে)))))
((((((চলবে