25-12-2019, 09:57 AM
শেষের কথা (০২)
এরপর ডাঃ সুধীর রাও আর মায়িল দিদির
সাথে অনেক কথা হয়। সামাজিক বিয়ে
হয়েছিলো কিনা জিজ্ঞাসা করাতে ডাঃ
সুধীর রাও বলেন যে ওনাদের সেটা আর
দরকার হয়নি। ওনাদের সাথে তিন ঘণ্টা সময়
কাটিয়ে ঘটনার মোটামুটি একটা টাইম লাইন
বানাই।
ডাঃ সুধীর রাও আর মায়িলের জন্ম – ১৯৫২
ডাঃ সুধীর রাও ডাক্তারি পড়তে যান - ১৯৭৪
গণেশ রাও আর কঞ্জরি দেবীর মৃত্যু – ১৯৮০
কানিমলি আর চন্দ্রান ধরা পড়ে – ১৯৮৩
ডাঃ সুধীর রাও মানসিক ভারসাম্য হারান –
১৯৮৪
ডাঃ সুধীর রাও রাঁচিতে ভর্তি হন – ১৯৮৫
আমার সাথে ডাঃ সুধীর রাওয়ের প্রথম দেখা
হয় – ১৯৮৮
ডাঃ সুধীর রাও সুস্থ হয়ে গ্রামে ফেরেন –
২০০৫
এর মধ্যে ওনাদের ছেলে অর্জুন ঘরে আসে।
মায়িল দিদির ইচ্ছা অনুযায়ী ও কৃষিবিদ
হয়েছে। এগ্রিকালচারে মাস্টার ডিগ্রি করে
গ্রামেই থাকে। ওদের নিজেদের জমি আর
আসে পাশের সবার চাষবাস কিভাবে আরও
উন্নত করা যায় সেই নিয়ে কাজ করছে।
কানিমলি আর চন্দ্রান জেল থেকে ছাড়া
পেলেও গ্রামের লোক ওদের ওখানে থাকতে
দেয়নি। ওদের ছেলেরা বাবা মাকে অন্য
কোথাও রেখে দিয়েছে। একটাই ভালো যে
কানিমলির ছেলেরা ওদের ফেলে দেয়নি।
যতটা সম্ভব বাবা মায়ের খেয়াল রাখে।
এরপর আমি ডাঃ সুধীর রাও আর মায়িল
দিদির সাথে ওদের বাড়ির ছাদে যাই। গণেশ
রাও আর কঞ্জরি দেবীর সমাধি দেখতে।
ওনাদের সমাধিতে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম
করি। চলে আসার আগে আমি ওনাদের কাছে
সেই পাথরটা দেখতে চাই। মায়িল দিদি
আমাকে ওঁর পুজার ঘরে নিয়ে যান। একটা
রুপোর সিংহাসনে কাঁচ দিয়ে ঘেরা সাধারণ
দেখতে একটা কালচে পাথর। ওনাদের জীবনে
সেটাই ভগবান।
এরপর মায়িল দিদির হাতে পেসারাট্টু খেয়ে
ফিরে আসি। মায়িল দিদি কানিমলির কাছ
থেকে ওই একটা জিনিসই শিখেছিল। তখন
সানি, মানি, অখিল, নিখিল আর কিন্নরীর
সাথেও দেখা হয়। উর্বশীর বিয়ে হয়ে গেছে
অনেক আগে। ওরা রামাগুন্ডমে থাকে। ওদের
ছেলে আর মেয়ে দুজনেই ডাক্তার। ছেলে
রাইডান্ডিতে থাকে আর গ্রামের সেবা
করে। সবাই বার বার বলেন আবার যাবার
জন্যে। জানিনা আর কোনদিন ওনাদের সাথে
দেখা হবে কিনা।
***********সমাপ্ত***********
এরপর ডাঃ সুধীর রাও আর মায়িল দিদির
সাথে অনেক কথা হয়। সামাজিক বিয়ে
হয়েছিলো কিনা জিজ্ঞাসা করাতে ডাঃ
সুধীর রাও বলেন যে ওনাদের সেটা আর
দরকার হয়নি। ওনাদের সাথে তিন ঘণ্টা সময়
কাটিয়ে ঘটনার মোটামুটি একটা টাইম লাইন
বানাই।
ডাঃ সুধীর রাও আর মায়িলের জন্ম – ১৯৫২
ডাঃ সুধীর রাও ডাক্তারি পড়তে যান - ১৯৭৪
গণেশ রাও আর কঞ্জরি দেবীর মৃত্যু – ১৯৮০
কানিমলি আর চন্দ্রান ধরা পড়ে – ১৯৮৩
ডাঃ সুধীর রাও মানসিক ভারসাম্য হারান –
১৯৮৪
ডাঃ সুধীর রাও রাঁচিতে ভর্তি হন – ১৯৮৫
আমার সাথে ডাঃ সুধীর রাওয়ের প্রথম দেখা
হয় – ১৯৮৮
ডাঃ সুধীর রাও সুস্থ হয়ে গ্রামে ফেরেন –
২০০৫
এর মধ্যে ওনাদের ছেলে অর্জুন ঘরে আসে।
মায়িল দিদির ইচ্ছা অনুযায়ী ও কৃষিবিদ
হয়েছে। এগ্রিকালচারে মাস্টার ডিগ্রি করে
গ্রামেই থাকে। ওদের নিজেদের জমি আর
আসে পাশের সবার চাষবাস কিভাবে আরও
উন্নত করা যায় সেই নিয়ে কাজ করছে।
কানিমলি আর চন্দ্রান জেল থেকে ছাড়া
পেলেও গ্রামের লোক ওদের ওখানে থাকতে
দেয়নি। ওদের ছেলেরা বাবা মাকে অন্য
কোথাও রেখে দিয়েছে। একটাই ভালো যে
কানিমলির ছেলেরা ওদের ফেলে দেয়নি।
যতটা সম্ভব বাবা মায়ের খেয়াল রাখে।
এরপর আমি ডাঃ সুধীর রাও আর মায়িল
দিদির সাথে ওদের বাড়ির ছাদে যাই। গণেশ
রাও আর কঞ্জরি দেবীর সমাধি দেখতে।
ওনাদের সমাধিতে মাথা ঠেকিয়ে প্রনাম
করি। চলে আসার আগে আমি ওনাদের কাছে
সেই পাথরটা দেখতে চাই। মায়িল দিদি
আমাকে ওঁর পুজার ঘরে নিয়ে যান। একটা
রুপোর সিংহাসনে কাঁচ দিয়ে ঘেরা সাধারণ
দেখতে একটা কালচে পাথর। ওনাদের জীবনে
সেটাই ভগবান।
এরপর মায়িল দিদির হাতে পেসারাট্টু খেয়ে
ফিরে আসি। মায়িল দিদি কানিমলির কাছ
থেকে ওই একটা জিনিসই শিখেছিল। তখন
সানি, মানি, অখিল, নিখিল আর কিন্নরীর
সাথেও দেখা হয়। উর্বশীর বিয়ে হয়ে গেছে
অনেক আগে। ওরা রামাগুন্ডমে থাকে। ওদের
ছেলে আর মেয়ে দুজনেই ডাক্তার। ছেলে
রাইডান্ডিতে থাকে আর গ্রামের সেবা
করে। সবাই বার বার বলেন আবার যাবার
জন্যে। জানিনা আর কোনদিন ওনাদের সাথে
দেখা হবে কিনা।
***********সমাপ্ত***********