20-12-2019, 06:17 PM
ফিরে আসা (০২)
মাঝে মাঝে কিন্নরী আসে সুধীর আর
মায়িলের সাথে কথা বলতে। সুধীরের মত
কিন্নরীও চায় যে প্রকৃত দোষী শাস্তি পাক।
মায়িলের কথা যার শাস্তি পাবার ভগবান
তাকে ঠিক একদিন না একদিন শাস্তি
দেবেন। কিন্নরী বলে যে তবে তো দেশে
আইন কানুন পুলিশ সবকিছুই অর্থহীন। ভগবান
যদি শাস্তি দেনই তবে আর আইন করে বিচার
করার দরকার কি।
কিন্নরী – সুধীর, কে কে গণেশ দাদার ওই
বিরক্তির কথা জানতো বলে তোমার মনে হয়?
সুধীর – কোন বিরক্তির কথা?
কিন্নরী – ওই যে পাইপ দাঁড় করানো দেখতে
পারতেন না
সুধীর – আমাদের পরিবারের সবাই জানতো।
আসলে বাবা পাইপ কেন বাঁশও দাঁড় করানো
পছন্দ করতেন না
কিন্নরী – পরিবারের বাইরে কে জানতে
পারে?
সুধীর – গ্রামের কেউ কেউ জানে
কিন্নরী – দাদার মৃত্যু হলে কার কি লাভ হতে
পারে
সুধীর – টাকা পয়সা বা সম্পত্তি নিয়ে
কারো কোন লাভই নেই।
মায়িল – সে হিসাবে লাভ শুধু আমার হয়েছে।
আইনগত ভেবে এই সম্পত্তি এখন আমার হাতে।
কিন্তু আমার বাবার যে সম্পত্তি আমি পাবো
এটা তার কাছে ১০০ ভাগের এক ভাগও নয়।
সুধীর – তোমার কথা কে বলছে
মায়িল – কেউ বলছে না। কিন্তু গোয়েন্দারা
বলে কেউ সন্দেহের তালিকার বাইরে নয়।
তাই আমি বললাম।
কিন্নরী – ঠিক আছে মেনে নিলাম তুমি
সন্দেহের বাইরে
সুধীর – আমারও সাময়িক ভাবে লাভ হয়েছে
বলতে পার
কিন্নরী – সে এই জায়গা জমি একদিন না
একদিন তোমারই হত। তাই তুমিও সন্দেহের
বাইরে।
সুধীর – আমার তো মনে হয় না আর কারও
আর্থিক লাভ হয়েছে।
কিন্নরী – কারও সাথে তো দাদার শত্রুতাও
ছিল না
সুধীর – এক ওই পিসিই সব সময় বাবাকে ঈর্ষা
করতো। এখন সেটাকে যদি শত্রুতা বল তো
শত্রুতা
মায়িল – বাবা আর মা যেমন মানুষ ছিলেন
তাতে কারও সাথে শত্রুতা হতেই পারে না।
কিন্নরী – আবার আমাকে আগের মত হতে হবে
মায়িল – মানে?
কিন্নরী – তুমি ছেড়ে দাও, আমার কিছু
প্ল্যান আছে
সুধীর – কি প্ল্যান?
মাঝে মাঝে কিন্নরী আসে সুধীর আর
মায়িলের সাথে কথা বলতে। সুধীরের মত
কিন্নরীও চায় যে প্রকৃত দোষী শাস্তি পাক।
মায়িলের কথা যার শাস্তি পাবার ভগবান
তাকে ঠিক একদিন না একদিন শাস্তি
দেবেন। কিন্নরী বলে যে তবে তো দেশে
আইন কানুন পুলিশ সবকিছুই অর্থহীন। ভগবান
যদি শাস্তি দেনই তবে আর আইন করে বিচার
করার দরকার কি।
কিন্নরী – সুধীর, কে কে গণেশ দাদার ওই
বিরক্তির কথা জানতো বলে তোমার মনে হয়?
সুধীর – কোন বিরক্তির কথা?
কিন্নরী – ওই যে পাইপ দাঁড় করানো দেখতে
পারতেন না
সুধীর – আমাদের পরিবারের সবাই জানতো।
আসলে বাবা পাইপ কেন বাঁশও দাঁড় করানো
পছন্দ করতেন না
কিন্নরী – পরিবারের বাইরে কে জানতে
পারে?
সুধীর – গ্রামের কেউ কেউ জানে
কিন্নরী – দাদার মৃত্যু হলে কার কি লাভ হতে
পারে
সুধীর – টাকা পয়সা বা সম্পত্তি নিয়ে
কারো কোন লাভই নেই।
মায়িল – সে হিসাবে লাভ শুধু আমার হয়েছে।
আইনগত ভেবে এই সম্পত্তি এখন আমার হাতে।
কিন্তু আমার বাবার যে সম্পত্তি আমি পাবো
এটা তার কাছে ১০০ ভাগের এক ভাগও নয়।
সুধীর – তোমার কথা কে বলছে
মায়িল – কেউ বলছে না। কিন্তু গোয়েন্দারা
বলে কেউ সন্দেহের তালিকার বাইরে নয়।
তাই আমি বললাম।
কিন্নরী – ঠিক আছে মেনে নিলাম তুমি
সন্দেহের বাইরে
সুধীর – আমারও সাময়িক ভাবে লাভ হয়েছে
বলতে পার
কিন্নরী – সে এই জায়গা জমি একদিন না
একদিন তোমারই হত। তাই তুমিও সন্দেহের
বাইরে।
সুধীর – আমার তো মনে হয় না আর কারও
আর্থিক লাভ হয়েছে।
কিন্নরী – কারও সাথে তো দাদার শত্রুতাও
ছিল না
সুধীর – এক ওই পিসিই সব সময় বাবাকে ঈর্ষা
করতো। এখন সেটাকে যদি শত্রুতা বল তো
শত্রুতা
মায়িল – বাবা আর মা যেমন মানুষ ছিলেন
তাতে কারও সাথে শত্রুতা হতেই পারে না।
কিন্নরী – আবার আমাকে আগের মত হতে হবে
মায়িল – মানে?
কিন্নরী – তুমি ছেড়ে দাও, আমার কিছু
প্ল্যান আছে
সুধীর – কি প্ল্যান?