Thread Rating:
  • 24 Vote(s) - 3.29 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica আমার নানা রঙের দিনগুলি
#25
বাদলদার রেডিও সারাইযের দোকান ছিলো।মাঝে মাঝেই রাতে ঘরে বসে রেডিও সারাতো।কুই,কাই,ক্রুরর শব্দে পড়াশোনার অসুবিধা হলেও কিছু বলার ছিলো না। এই বাদলদার ঘরেই মাঝে মাঝে সকালবেলা একটা কাবলীওয়ালা আসত । আর গেট থেকে "হেই বাদলবাবু" বলে ডাকলেই,বাদল দা এক লাফে পায়খানায় গিয়ে লুকোতো।বুলা বৌদী কাবলীটাকে খাতির করে ঘরে ডেকে এনে দরজা বন্ধ করে দিতো। আর আধঘন্টা পর কাবলীটা চলে গেলেই বাদলদা বেরিয়ে আসতো।
 একদিন বাদলদা বুলা বৌদী বস্তি ছেড়েই চলে গেল।কদিন পর কাবলীওয়লা এসে কি গালাগাল। "ও আওরৎ বহত বূরি আছে । সির্ফ তিনশ রুপাইয়া কে ওয়ষ্তে ও মেরে সাথ ভি-----" বাবা ওকে মাঝপথে থামিয়ে বস্তি থেকে বার করে দিযেছিলো।
 একদিন চেঁচামেচিতে ভোর পাঁচটায় ঘুম ভেঙে গেল।বাইরে বেরিয়ে দেখি পুলিশ কাকু একটা বাঁশের সাথে পিন্টু দাকে পিছমোড়া করে বেঁধে বেল্ট দিয়ে পেটাচ্ছে।পুলিশ কাকু তার বৌকেও মাঝে মাঝে মারধোর করে।তাই কারো সাহস হচ্ছিলো না,সামনে গিয়ে বাধা দেয়।মার থামিয়ে পিন্টু দার প্যান্ট খুলে ল্যাংটো করে দিলো কাকু।তারপর আবার মারতে লাগলো । 
সবাই যার যার দরজা খুলে উঁকি মারছে।পাশের ঘর থেকে পম্পা দি আমদের ঘরে লাফিয়ে এলো। মা বললো "কি হইসে রে পম্পা? এইভাবে মারতাসে ক্যান পিন্টুরে?" "আর কইয়না কাকি,ওরে রেশন আনতে দিসিল,সেই টাকা দিয়া ও "দো আঞ্জানে " দেইখ্যা আইসে।" পুলিশ কাকু এবার মারে ক্ষান্ত দিয়ে ঘরে ঢুকে গেল।যেন কিছুই হয়নি।নিস্তেজ হয়ে সেই বাঁধা অবস্থায় পড়ে রইলো পিন্টু দা। 

একটু পরেই ডিউটি থেকে ফিরলো মালা কাকিমা। পিন্টুদার ভুরুর উপর থেকে,কোমরের পাশ থেকে রক্ত বেরচ্ছে।সারা শরীর ফুলে গেছে।মালা ককিমা পুলিশ কাকুর ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ওর সামনে গিয়ে নিজের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে বোরোলীন বের ভুরুর উপর,পিঠে, আর কোমরের কাছটায় বোরোলীন লাগিয়ে ঘরে ঢুকে গেল । কি জানি ককিমা ধরেছিল বলেই বোধহয় পিন্টু দার নুঙ্কুটা ফুলে উঠতে লাগলো।কি বড় আর খাড়া হয়ে গেল।পিন্টুদার নুঙ্কুর গোড়ায় দেখলাম কালো চুলে ভর্তি । 
মা বাবা ঘরে ঢুকে গেছে।আমার পিছনে তখনো দাঁড়িয়ে পম্পা দি।আমার পিঠে ওর বুক ঠেকে আছে ।কানের কাছে ফিসফিস করে বলল পম্পা দি,"পিন্টুদার সোনাটা দেখছস ভাই,উ মারেমা মারেমা,যে পাইবো হের যে কি আল্হাদ।" 

দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে গেল।আমার স্কুলের রেজাল্ট বেরোলো।নতুন বোর্ড বলেই কোনো রকমে পাশ করে গেলাম।বাবা লঞ্চ ঘাটের সামনে একটা বাড়ি পেয়ে গেল।ওখান থেকে বাবার অফিসে যাবার সুবিধে।আমার স্কুলও কাছে।
 আমার নাকের নীচে তখন কালো রেখার আভাস।গলার স্বরও কেমন কর্কশ। নুঙ্কুটাও বড়ো হয়ে পিন্টুদার মতো সবসময় শক্ত হয়ে থাকতো।একদিন নুঙ্কুর গোড়ায় সোনালী লোম দেখতে পেলাম । 

এক রবিবার আমরা বস্তি ছাড়লাম। বুঝিনি অশিক্ষিত,অমর্জিত মানুষগুলো আমাদের এত ভালবাসতো ।মাকে জড়িয়ে ধরে ফুলু জেঠি কাঁদলো ।গরীব রহিমা নানী আমায় একটা টি শার্ট দিলো।পুলিশ কাকু তার থানার ঠিকানা দিয়ে দিলো। দরকারে যোগযোগ করার জন্য। সেদিন মানিক কাকুও দুপুরে খাবার নেমতন্ন করেছিলো। আর পম্পা দি সবার আড়ালে আমায় চুমু খেয়ে বলেছিলো,"আমার উপর তোর গোঁসা নাইতো রে ছুটো ভাই?" অনেক বছর পর এই পম্পা দির সাথে আবার আমার দেখা হয়েছিলো।সে এক অন্য কাহিনী।
 নতুন বাসায় গিয়ে উঠলাম আমরা।আর এখান থেকেই শুরু হলো আমার যৌণতার "অ,আ,ক,খ " শেখা । সে কাহিনীও বলবো। (গল্পের চরিত্র,স্থান,কাল,ঘটনাপ্রবাহ সবই কাল্পনিক)
[+] 5 users Like Jaybengsl's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: আমার নানা রঙের দিনগুলি - by Jaybengsl - 09-12-2019, 09:14 PM



Users browsing this thread: 5 Guest(s)