24-01-2019, 05:53 PM
যুবরাজ ইন্দ্রজিৎ বজ্র কঠিন কন্ঠে জীমূতবাহন কে বললেন
সেনাপতি, জিষ্ণুর উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিন............
উঠুন যুবরাজ। নিজেকে রক্ষা করুন। ঢাল টা নিজের মাথার ওপরে চাপিয়ে নিন”। জিষ্ণুর কথা শেষ হল না, লক্ষ লক্ষ শর বল্লভপুরের সেনা বাহিনীর দিক থেকে আকাশে উঠে সূর্যকে ঢেকে দিল।লক্ষ শরের আওয়াজে মনে হতে লাগলো যেন বিনা বাতাসেই ঝড় বইছে চারিদিকে। অন্ধকার হয়ে গেল চারিদিক। কিছু মুহূর্ত পরেই সেই শর উপর থেকে ধেয়ে আসতে থাকল জিষ্ণু এবং যুবরাজের দিকে। জিষ্ণু ধনুক টা রেখে তলোয়ার নিয়ে মাটিতে নেমে পড়লেন। দুই পক্ষের সেনা দেখল কি ভয়ঙ্কর ক্ষিপ্রতায় তলোয়ার চালান যায়। দুই পক্ষের যুযুধান দুই শিবির ই দেখল একজন ঋজু দেহ ধারি যোদ্ধা ধেয়ে আসা সকল শর নিজের তলোয়ার দিয়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিল।
ইন্দ্রজিৎ তুমি হংস আর মহর্ষি পরাঞ্জয় কে নিয়ে চলে যাও অর্ধচন্দ্রের ভিতরে। সামনের যোদ্ধা কে, সেটা নিশ্চিত হয়ে গেছে”। জীমূত বাহনের কথায় ইন্দ্রজিৎ তাচ্ছিল্য ভরেই বললেন,
একা জিষ্ণুর জন্য এতো ভয়?
টঙ্কার এর আওয়াজে বোঝোনি? কি ভয়ঙ্কর রাগ থাকলে বসুন্ধরা ওই ভাবে গর্জায়? তলোয়ার চালান দেখে বুঝলে না, এই ভয়ঙ্কর খুনে মেজাজ ছাড়া ওই সহস্র শর কেটে ফেলা যায় না”?
জীমূত বাহনের কথা শুনতে পেল যুবরাজের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হংস। ভয়ঙ্কর অহঙ্কারে জর্জরিত হংস, জীমূতবাহনের কথা না শুনেই এগিয়ে গেল সামনের দিকে।
এগিয়ে যেতে থাকা হংস কে আটকালেন না জীমূতবাহন। যাক ও সামনে। পরাঞ্জয় কে নির্দেশ দিলেন জীমূত যে এখন যে সেনা আক্রমনে না যায়। এই সেনা জিষ্ণুর কাছে সামান্য মাত্র। আর সেনা চলে গেলে ইন্দ্রজিৎ একলা হয়ে যাবে। সবাই মিলেও যুবরাজ কে রক্ষা করা যাবে না। জীমূতবাহনের ভয় যে জিষ্ণু যখন এসেছে তখন বালি ও আছে। আর দুজনায় একসাথে থাকলে জয় পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। জীমূতবাহন একটু পিছিয়ে এসেই ইন্দ্রজিৎ কে সুরক্ষিত করলেন। আর হংস এগিয়ে গেল নিজের ভয়ঙ্কর আত্মবিশ্বাসে সামনের দিকে। এদিকে যুবরাজ বিজয় তখন ও ঢাল টা মাথা থেকে নামান নি। জিষ্ণু তাকিয়ে হেসে ফেলল। - যুবরাজ এবারে ঢাল টা সরান মাথা থেকে”। যুবরাজ ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে ঢাল টা সরিয়ে নিয়ে দেখল, তার আদর্শ তার সামনেই দাঁড়িয়ে খোলা তলোয়ার হাতে নিয়ে। ঠিক তখন ই জিষ্ণু সামনে তাকিয়ে দেখল একটি একা রথ ধুলো উড়িয়ে এগিয়ে আসছে ওদের দিকে।
- উনি কে ? যুবরাজের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারল না জিষ্ণু। একটা ক্রোধের দৃষ্টি তে চেয়ে রইল রথে ধুলো উড়িয়ে আসা মহারথীর দিকে। হংসের ধ্বজা চিনতে অসুবিধা হয় নি জিষ্ণুর। ধনুক টা রথ থেকে নামিয়ে একসাথে দুটো শর সন্ধান করল জিষ্ণু। ছিলার আওয়াজ টাই শুনতে পেলেন যুবরাজ বিজয় কিন্তু পলকেই সামনে এগিয়ে আসতে থাকা রথের ঘোরা দুটো, হ্রেষা ধ্বনি করে পরে গেল মাটিতে। সারথি রথের তলায় চাপা পরলেও আরোহী মাটিতে পরে গিয়েও উঠে দাঁড়িয়ে পড়ল পরক্ষনেই। রথের অস্ত্র শস্ত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে গেছে মাটিতে। মুহূর্তেই পড়ে থেকে শস্ত্র থেকে ধনুক টা কুড়িয়ে নিয়ে শর যোজনা করার আগেই আর ও একবার ছিলার শব্দ শুনতে পেলেন যুবরাজ। দেখলেন সামনের বিশাল দেহি যোদ্ধার ধনুক টা দুই টুকরো হয়ে গিয়েছে হাতের মধ্যেই। যুবরাজ ভাবছিলেন ইনি কি সেই হংস যিনি মহারথী বালি কেও পরাস্ত করেছিলেন? বাস্তবিক ই বালি কে পরাস্ত করেছিল ধনুক যুদ্ধে হংস। পৃথিবীর মহানতম বীর এ দেড় মধ্যে একজন। আর সেই হেন বীর কে জিষ্ণু ধনুক তুলতেই দিলেন না?
“ আমি তোমাকে ছেড়ে এখান থেকে যেতে পারব না যুবরাজ, আমি মহারাজ কে কথা দিয়েছি তোমাকে সুস্থ অবস্থায় বল্লভপুরে ফিরিয়ে নিয়ে যাব”। কথাটা বেশ জোরের সাথেই বললেন জীমূতবাহন ইন্দ্রজিৎ কে। কিছুদুরে সমরাঙ্গনের মাঝে জিষ্ণুর হাতে হংসের অপদস্থ হওয়া আটকাতে , ইন্দ্রজিৎ মহাবীর জীমূতবাহন ছাড়া কাউকেই ভরসা করতে পারেন নি। তাই জীমূত বাহন কে বলেছিলেন হংসের সহায়তার জন্য এগিয়ে যেতে। আর যুবরাজের সেই আদেশের উত্তরেই জীমূতবাহনের যুবরাজ কে দেওয়া উত্তর উপরের উক্তি টি। জীমূতবাহনের উত্তরে খুশী হলেন না যুবরাজ ইন্দ্রজিৎ। উনি মহামতি পরাঞ্জয় কে খুঁজতে লাগ্লেন। জীমূতবাহন সেটা বুঝে শঙ্খে ফুঁৎকার দিতেই, বল্লভপুরের মহাসেনার মাঝ থেকে তেমন ই একটি শঙ্খের আওয়াজ ভেসে এল। নিশ্চিত হলেন জীমূতবাহন। পরক্ষনেই দেখলেন নিজের রথে চেপে সশস্ত্র হয়ে মহামতি পরাঞ্জয় এগিয়ে যাচ্ছেন মাঝখানে হংসের সয়াহতার জন্য। জীমূতবাহন জানেন যুদ্ধ এখন ই শুরু করা যাবে না। অনেক নিরীহ সৈন্যের মৃত্যু নেমে আসবে। জিষ্ণু যখন আছে তখন বালি ও আছে। জিষ্ণু ভয়ঙ্করতম যোদ্ধা হলেও নিরীহ সৈন্য বধ করতে উৎসাহী নয়। কিন্তু বালি? ক্রুদ্ধ বালি আর শত শত মদমত্ত হস্তী এক ই ব্যাপার। সামনের শত্রু পক্ষের বিভেদ টুকু ও করতে জানে না বালি। কাকে হত্যা করবে আর কাকে হত্যা করবে না এই বোধ টাই বালির নেই। সামনে থাকা হাতিও প্রান হারাবে আর ছোট্ট পিপীলিকার ও এক ই দশা হবে। সেই জন্য যুদ্ধ কে যত টা সম্ভব এড়িয়ে যাবার প্রয়াস দুই বৃদ্ধ মিলে করতে চাইছেন।
সেনাপতি, জিষ্ণুর উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিন............
উঠুন যুবরাজ। নিজেকে রক্ষা করুন। ঢাল টা নিজের মাথার ওপরে চাপিয়ে নিন”। জিষ্ণুর কথা শেষ হল না, লক্ষ লক্ষ শর বল্লভপুরের সেনা বাহিনীর দিক থেকে আকাশে উঠে সূর্যকে ঢেকে দিল।লক্ষ শরের আওয়াজে মনে হতে লাগলো যেন বিনা বাতাসেই ঝড় বইছে চারিদিকে। অন্ধকার হয়ে গেল চারিদিক। কিছু মুহূর্ত পরেই সেই শর উপর থেকে ধেয়ে আসতে থাকল জিষ্ণু এবং যুবরাজের দিকে। জিষ্ণু ধনুক টা রেখে তলোয়ার নিয়ে মাটিতে নেমে পড়লেন। দুই পক্ষের সেনা দেখল কি ভয়ঙ্কর ক্ষিপ্রতায় তলোয়ার চালান যায়। দুই পক্ষের যুযুধান দুই শিবির ই দেখল একজন ঋজু দেহ ধারি যোদ্ধা ধেয়ে আসা সকল শর নিজের তলোয়ার দিয়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিল।
ইন্দ্রজিৎ তুমি হংস আর মহর্ষি পরাঞ্জয় কে নিয়ে চলে যাও অর্ধচন্দ্রের ভিতরে। সামনের যোদ্ধা কে, সেটা নিশ্চিত হয়ে গেছে”। জীমূত বাহনের কথায় ইন্দ্রজিৎ তাচ্ছিল্য ভরেই বললেন,
একা জিষ্ণুর জন্য এতো ভয়?
টঙ্কার এর আওয়াজে বোঝোনি? কি ভয়ঙ্কর রাগ থাকলে বসুন্ধরা ওই ভাবে গর্জায়? তলোয়ার চালান দেখে বুঝলে না, এই ভয়ঙ্কর খুনে মেজাজ ছাড়া ওই সহস্র শর কেটে ফেলা যায় না”?
জীমূত বাহনের কথা শুনতে পেল যুবরাজের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হংস। ভয়ঙ্কর অহঙ্কারে জর্জরিত হংস, জীমূতবাহনের কথা না শুনেই এগিয়ে গেল সামনের দিকে।
এগিয়ে যেতে থাকা হংস কে আটকালেন না জীমূতবাহন। যাক ও সামনে। পরাঞ্জয় কে নির্দেশ দিলেন জীমূত যে এখন যে সেনা আক্রমনে না যায়। এই সেনা জিষ্ণুর কাছে সামান্য মাত্র। আর সেনা চলে গেলে ইন্দ্রজিৎ একলা হয়ে যাবে। সবাই মিলেও যুবরাজ কে রক্ষা করা যাবে না। জীমূতবাহনের ভয় যে জিষ্ণু যখন এসেছে তখন বালি ও আছে। আর দুজনায় একসাথে থাকলে জয় পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। জীমূতবাহন একটু পিছিয়ে এসেই ইন্দ্রজিৎ কে সুরক্ষিত করলেন। আর হংস এগিয়ে গেল নিজের ভয়ঙ্কর আত্মবিশ্বাসে সামনের দিকে। এদিকে যুবরাজ বিজয় তখন ও ঢাল টা মাথা থেকে নামান নি। জিষ্ণু তাকিয়ে হেসে ফেলল। - যুবরাজ এবারে ঢাল টা সরান মাথা থেকে”। যুবরাজ ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে ঢাল টা সরিয়ে নিয়ে দেখল, তার আদর্শ তার সামনেই দাঁড়িয়ে খোলা তলোয়ার হাতে নিয়ে। ঠিক তখন ই জিষ্ণু সামনে তাকিয়ে দেখল একটি একা রথ ধুলো উড়িয়ে এগিয়ে আসছে ওদের দিকে।
- উনি কে ? যুবরাজের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারল না জিষ্ণু। একটা ক্রোধের দৃষ্টি তে চেয়ে রইল রথে ধুলো উড়িয়ে আসা মহারথীর দিকে। হংসের ধ্বজা চিনতে অসুবিধা হয় নি জিষ্ণুর। ধনুক টা রথ থেকে নামিয়ে একসাথে দুটো শর সন্ধান করল জিষ্ণু। ছিলার আওয়াজ টাই শুনতে পেলেন যুবরাজ বিজয় কিন্তু পলকেই সামনে এগিয়ে আসতে থাকা রথের ঘোরা দুটো, হ্রেষা ধ্বনি করে পরে গেল মাটিতে। সারথি রথের তলায় চাপা পরলেও আরোহী মাটিতে পরে গিয়েও উঠে দাঁড়িয়ে পড়ল পরক্ষনেই। রথের অস্ত্র শস্ত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে গেছে মাটিতে। মুহূর্তেই পড়ে থেকে শস্ত্র থেকে ধনুক টা কুড়িয়ে নিয়ে শর যোজনা করার আগেই আর ও একবার ছিলার শব্দ শুনতে পেলেন যুবরাজ। দেখলেন সামনের বিশাল দেহি যোদ্ধার ধনুক টা দুই টুকরো হয়ে গিয়েছে হাতের মধ্যেই। যুবরাজ ভাবছিলেন ইনি কি সেই হংস যিনি মহারথী বালি কেও পরাস্ত করেছিলেন? বাস্তবিক ই বালি কে পরাস্ত করেছিল ধনুক যুদ্ধে হংস। পৃথিবীর মহানতম বীর এ দেড় মধ্যে একজন। আর সেই হেন বীর কে জিষ্ণু ধনুক তুলতেই দিলেন না?
“ আমি তোমাকে ছেড়ে এখান থেকে যেতে পারব না যুবরাজ, আমি মহারাজ কে কথা দিয়েছি তোমাকে সুস্থ অবস্থায় বল্লভপুরে ফিরিয়ে নিয়ে যাব”। কথাটা বেশ জোরের সাথেই বললেন জীমূতবাহন ইন্দ্রজিৎ কে। কিছুদুরে সমরাঙ্গনের মাঝে জিষ্ণুর হাতে হংসের অপদস্থ হওয়া আটকাতে , ইন্দ্রজিৎ মহাবীর জীমূতবাহন ছাড়া কাউকেই ভরসা করতে পারেন নি। তাই জীমূত বাহন কে বলেছিলেন হংসের সহায়তার জন্য এগিয়ে যেতে। আর যুবরাজের সেই আদেশের উত্তরেই জীমূতবাহনের যুবরাজ কে দেওয়া উত্তর উপরের উক্তি টি। জীমূতবাহনের উত্তরে খুশী হলেন না যুবরাজ ইন্দ্রজিৎ। উনি মহামতি পরাঞ্জয় কে খুঁজতে লাগ্লেন। জীমূতবাহন সেটা বুঝে শঙ্খে ফুঁৎকার দিতেই, বল্লভপুরের মহাসেনার মাঝ থেকে তেমন ই একটি শঙ্খের আওয়াজ ভেসে এল। নিশ্চিত হলেন জীমূতবাহন। পরক্ষনেই দেখলেন নিজের রথে চেপে সশস্ত্র হয়ে মহামতি পরাঞ্জয় এগিয়ে যাচ্ছেন মাঝখানে হংসের সয়াহতার জন্য। জীমূতবাহন জানেন যুদ্ধ এখন ই শুরু করা যাবে না। অনেক নিরীহ সৈন্যের মৃত্যু নেমে আসবে। জিষ্ণু যখন আছে তখন বালি ও আছে। জিষ্ণু ভয়ঙ্করতম যোদ্ধা হলেও নিরীহ সৈন্য বধ করতে উৎসাহী নয়। কিন্তু বালি? ক্রুদ্ধ বালি আর শত শত মদমত্ত হস্তী এক ই ব্যাপার। সামনের শত্রু পক্ষের বিভেদ টুকু ও করতে জানে না বালি। কাকে হত্যা করবে আর কাকে হত্যা করবে না এই বোধ টাই বালির নেই। সামনে থাকা হাতিও প্রান হারাবে আর ছোট্ট পিপীলিকার ও এক ই দশা হবে। সেই জন্য যুদ্ধ কে যত টা সম্ভব এড়িয়ে যাবার প্রয়াস দুই বৃদ্ধ মিলে করতে চাইছেন।
অমৃতের সন্ধানে - নিজের মনের নগ্ন নিস্তব্ধতাকে একটু কথা বলতে দাও।