24-01-2019, 05:50 PM
উল্টো দিকে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মহাবীর গন যেন নিজের কান কেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। এই ভয়ঙ্কর টঙ্কার শুধু ধনুক এর গুনেই হয় না , যে টঙ্কার দেয় তার শক্তির প্রদর্শন ও বটে।সকলেই কান চেপে রইলেন বেশ কিচ্ছুক্ষন। মেঘ গর্জনের সমতুল্য আওয়াজ যেন ক্রোধে গর্জাতে গর্জাতে মিলিয়ে গেল দূর পানে।জীমূতবাহন তাকিয়ে রইলেন আকাশের দিকে।নীল রঙের আকাশ ও যেন ভয়াল কিছুর আশঙ্কার ধোঁয়া বর্ন ধারন করেছে। ভাবতে না ভাবতে আবার ভরা বর্ষার ভয়ঙ্কর অশনিপাতের মতন দিগবিদিক কাঁপিয়ে আওয়াজ ভেসে এলো শত্রুপক্ষের দিক থেকে। ততক্ষনে বল্লভপুরের মহাসেনার ভিতরে শুরু হয়েছে চঞ্চলতা। এতদিন নিজেদের পক্ষ থেকেই ওরা দেখে এসেছে এই সব ব্যাপার। কিন্তু শত্রুপক্ষের বল বেশী জেনে বল্লভপুর যুদ্ধ করে নি। তাই এই ভয়ঙ্কর মৃত্যুর বার্তা নিয়ে আসা টংকারের আওয়াজ যেন যুদ্ধের শুরুতেই বল্লভপুরের মহাসেনা কে সাধারন সেনায় পরিনত করল।জীমূতবাহন দেখলেন বীরশ্রেষ্ঠ পরাঞ্জয় রথ নিয়ে এগিয়ে আসছেন তার ই দিকে। সামান্য হলেও বুকে বল ফিরে পেলেন জীমূতবাহন।
হে জীমূতবাহন আমি এই টঙ্কারের আওয়াজ চিনি”।
টংকারের আওয়াজ যে জীমূতবাহন চেনেন নি এমন না। কিন্তু মুখ ফুটে সামনের মানুষ গুলো কে কিছু বলতে পারছিলেন না উনি। এমন মৃত্যুর করাল ছায়া মধ্যে লুকিয়ে থাকা যুদ্ধের বার্তা জিষ্ণুর ধনুক বসুন্ধরা ছাড়া আর কার ই বা হবে।এদিকে পরাঞ্জয় বলে চলেছেন জীমূতবাহন কে,এ আমাদের জিষ্ণু ছাড়া আর কেউ নয়।
হ্যাঁ মহামতি,
এ আমাদের জিষ্ণু।ও ছাড়া যুদ্ধের আগেই এমন ভয়াল পরিস্থিতি কেই বা তৈরী করতে পারবে? যে পরাঞ্জয়, আমরা ব্যূহের ব্যস বড় করেছিলাম না? আপনি ফের ছোট করে ফেলুন। সংঘবদ্ধ করুন শক্তি কে”।
জীমূতবাহনের চিন্তিত মুখমন্ডল জানান দিচ্ছিল যে কত খানি চিন্তার ব্যাপার। জিষ্ণু শত্রু পক্ষে এটা জীমূতবাহন কল্পনাও করতে পারেন না। এতদিন একসাথে যুদ্ধ করেছেন ওরা। বিপক্ষ কে শেষ করতে সব থেকে কঠিন কর্ম দেওয়া থাকতো জিষ্ণু আর বালি কে। আর ওরা সেই কাজ টা অতি সহজেই সমাপ্ত করে ফেলত। যুদ্ধে জয় হতো অতি সহজেই। পরাঞ্জয়ের মনেও সহস্র মনের পাথর। কিন্তু উনি সমরবিদ। নিজের মন কে শান্ত করে জীমূতবাহন কে বললেনমহামতি আমি আগেই সেনা কে ব্যাস ছোট করার আদেশ দিয়ে দিয়েছি”।
জীমূতবাহন আর পরাঞ্জয়ের মধ্যেকার কথাবার্তা ইন্দ্রজিৎ শুনছিলেন। কিন্তু নিজের বাহুবলের উপরে ভরসা আছে তার। বালি কে ভয় পায় না সে।শারীরিক সক্ষমতা বালির সমতুল্য না হলেও এবং শস্ত্রে সে বালি কে ছাপিয়েই যায়।মুগুর দিয়ে লড়তে ইন্দ্রজিতের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু হ্যাঁ, জিষ্ণু কে ভয় পায় না এমন যোদ্ধা এই পৃথিবী তে নেই। জিষ্ণু শুধু শস্ত্র তেই নয়, যে কোন ব্যাপারেই জিষ্ণুর পারদর্শীতা অপরিসীম।
কিন্তু ইন্দ্রজিতের বহু দোষের মধ্যেও একটা গুন হলো, সে অসীম সাহসের অধিকারী। ও দেখলো ব্যূহের ব্যস ছোট হচ্ছে। সেটা দরকার ও। এক মহান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী হয়ে ও শত্রু কে সম্মান দিতে শিখেছে। ও বুঝেছে এখন ব্যস না ছোট করলে শত্রুপক্ষ অনায়াসে বল্লভপুর সৈন্য নিধন করবে। কপালে সহস্র চিন্তার বলিরেখা নিয়ে যুবরাজ ইন্দ্রজিৎ নিজের শস্ত্র সজ্জিত করতে শুরু করলেন।
হে জীমূতবাহন আমি এই টঙ্কারের আওয়াজ চিনি”।
টংকারের আওয়াজ যে জীমূতবাহন চেনেন নি এমন না। কিন্তু মুখ ফুটে সামনের মানুষ গুলো কে কিছু বলতে পারছিলেন না উনি। এমন মৃত্যুর করাল ছায়া মধ্যে লুকিয়ে থাকা যুদ্ধের বার্তা জিষ্ণুর ধনুক বসুন্ধরা ছাড়া আর কার ই বা হবে।এদিকে পরাঞ্জয় বলে চলেছেন জীমূতবাহন কে,এ আমাদের জিষ্ণু ছাড়া আর কেউ নয়।
হ্যাঁ মহামতি,
এ আমাদের জিষ্ণু।ও ছাড়া যুদ্ধের আগেই এমন ভয়াল পরিস্থিতি কেই বা তৈরী করতে পারবে? যে পরাঞ্জয়, আমরা ব্যূহের ব্যস বড় করেছিলাম না? আপনি ফের ছোট করে ফেলুন। সংঘবদ্ধ করুন শক্তি কে”।
জীমূতবাহনের চিন্তিত মুখমন্ডল জানান দিচ্ছিল যে কত খানি চিন্তার ব্যাপার। জিষ্ণু শত্রু পক্ষে এটা জীমূতবাহন কল্পনাও করতে পারেন না। এতদিন একসাথে যুদ্ধ করেছেন ওরা। বিপক্ষ কে শেষ করতে সব থেকে কঠিন কর্ম দেওয়া থাকতো জিষ্ণু আর বালি কে। আর ওরা সেই কাজ টা অতি সহজেই সমাপ্ত করে ফেলত। যুদ্ধে জয় হতো অতি সহজেই। পরাঞ্জয়ের মনেও সহস্র মনের পাথর। কিন্তু উনি সমরবিদ। নিজের মন কে শান্ত করে জীমূতবাহন কে বললেনমহামতি আমি আগেই সেনা কে ব্যাস ছোট করার আদেশ দিয়ে দিয়েছি”।
জীমূতবাহন আর পরাঞ্জয়ের মধ্যেকার কথাবার্তা ইন্দ্রজিৎ শুনছিলেন। কিন্তু নিজের বাহুবলের উপরে ভরসা আছে তার। বালি কে ভয় পায় না সে।শারীরিক সক্ষমতা বালির সমতুল্য না হলেও এবং শস্ত্রে সে বালি কে ছাপিয়েই যায়।মুগুর দিয়ে লড়তে ইন্দ্রজিতের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু হ্যাঁ, জিষ্ণু কে ভয় পায় না এমন যোদ্ধা এই পৃথিবী তে নেই। জিষ্ণু শুধু শস্ত্র তেই নয়, যে কোন ব্যাপারেই জিষ্ণুর পারদর্শীতা অপরিসীম।
কিন্তু ইন্দ্রজিতের বহু দোষের মধ্যেও একটা গুন হলো, সে অসীম সাহসের অধিকারী। ও দেখলো ব্যূহের ব্যস ছোট হচ্ছে। সেটা দরকার ও। এক মহান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী হয়ে ও শত্রু কে সম্মান দিতে শিখেছে। ও বুঝেছে এখন ব্যস না ছোট করলে শত্রুপক্ষ অনায়াসে বল্লভপুর সৈন্য নিধন করবে। কপালে সহস্র চিন্তার বলিরেখা নিয়ে যুবরাজ ইন্দ্রজিৎ নিজের শস্ত্র সজ্জিত করতে শুরু করলেন।
অমৃতের সন্ধানে - নিজের মনের নগ্ন নিস্তব্ধতাকে একটু কথা বলতে দাও।