24-01-2019, 05:43 PM
(This post was last modified: 24-01-2019, 05:45 PM by Nilpori. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
অন্তিম পর্ব
যুবরাজ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরে দেখলেন অসম্ভব সুন্দর একজন পুরুষ বেড়িয়ে এলেন পাথরের আড়াল থেকে। প্রায় নগ্ন। লজ্জা স্থান টুকু ঢেকে বেড়িয়ে এলেন উনি। যুবরাজ উন্মুক্ত মুখে দেখছিলেন সামনের পুরুষ কে জিনি যুবরাজের আদর্শ। অসম্ভব তেজস্বী।বুদ্ধিমান দুটি চোখ। স্থূলকায় বিশালদেহী নন। কিন্তু শরীরের প্রতিটা পেশী যেন দৃশ্যমান। শক্ত না বরং নমনীয় পেশী সারা শরীর জুড়ে। লম্বা শক্তিশালী বাহুদ্বয় প্রায় হাঁটু অব্দি দীর্ঘ। রথে রাখা সাদা পোশাক পড়ে নিলেন। সাদা উত্তরীয় তে নিজেকে ঢাকলেন। মনে হচ্ছিল স্বয়ং নারায়ন নিজেকে প্রস্তুত করছেন। কি অসম্ভব ব্যক্তিত্ব। শ্মশানের পিছন দিকে গিয়ে সাথে একটি শ্বেত ধনুক ও একটি সুবিশাল তলোয়ার নিয়ে এলেন। নিজেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে যুবরাজ কে বললেন।
যুবরাজ রথ নিয়ে চলুন যুদ্ধ ক্ষেত্রে, আপনার পিতা মহারাজের রথ আমার চাই”
যুবরাজ বুঝতে পারছিলেন না কি বলবেন জিষ্ণুর কথার উত্তরে।চার শ্বেত অশ্ব দিয়ে টানা এই দ্রুতগামী রথ তো বেশ ভালো। এই রথ ছেড়ে কেন পিতা মহারাজের বৃদ্ধ অশ্ব দিয়ে টানা রথের প্রয়োজন পড়ল সেটা যুবরাজের মাথায় ঢুকছে না। জিষ্ণু বোধ করি যুবা যুবরাজের মনের কথন পড়তে পারলেন। সস্নেহে যুবরাজের মাথার হাত রেখে বললেন, আপনার রথ বেশ ভালো যুবরাজ তাতে কোন সন্দেহই নেই, কিন্তু আপনার রথের অশ্ব গুলি এখন কৈশোর আর যুবার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। এখনো যুদ্ধ দেখেই নি।সেই জায়গায় আপনার পিতা মহারাজের রথের ঘোড়া গুলি বেশ অভিজ্ঞ। আর তাছাড়া আপনার পিতা মহারাজের রথ তৈরী করেছেন স্বয়ং বালি, রথের দুটি চাকা আর সামনের অংশ খানি জোড়া আছে লোহার পাত দিয়ে। আমার এই ধনুক বসুন্ধরার গুনের প্রতিক্রিয়া আপনার কাঠের রথ সহ্য করতে পারবে না যেটা আপনার পিতা মহারাজের রথ পারবে। রথের পাটাতনের স্থিতিস্থাপকতার উপরে গুনের প্রতিক্রিয়া নীর্ভরশীল যুবরাজ ।
যুবরাজ মন্ত্র মুগ্ধের মতন শুনছিলেন জিষ্ণুর কথা গুলি। একটা যুদ্ধের এই খুঁটিনাটি ব্যাপার গুলো এতো গুরুত্ব পূর্ন হয় সেটা জানা ছিল না যুবরাজের।জিষ্ণু বলে চলল – আমি এখানেই অপেক্ষা করছি যুবরাজ, আপনি আপনার পিতা মহারাজের রথ এখানে নিয়ে আসুন, আমি বরং বসুন্ধরা কে তৈরী করি”
কিছু বলার মতন পরিস্থিতি তে ছিলেন না।কোন কথা না বলে রথের মুখ ঘুরিয়ে ব্যুহ তে ফিরে আসার জন্য চালিয়ে দিলেন রথ। মনে অতুল ঝড়। একে তো সামনে নিজের জীবনের আদর্শ জিষ্ণু। মহানতম বীর জিষ্ণুর যুদ্ধের প্রকৌশল জানতে থাকা, তাও জিষ্ণুর নিজের কাছ থেকে আর তার ই রথের সারথি হয়ে। আর যে ব্যাপার টা সব থেকে খটকা লাগছে তার, সেটা হল জিষ্ণুর বাম দিকের ঠোঁটের উপরে ছোট তিল, আর বুকের ঠিক মাঝে কালো উল্কি দিয়ে মহাশিবের ত্রিশূল আঁকা, ঠিক মৈথিলীর মতই।
যুবরাজ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরে দেখলেন অসম্ভব সুন্দর একজন পুরুষ বেড়িয়ে এলেন পাথরের আড়াল থেকে। প্রায় নগ্ন। লজ্জা স্থান টুকু ঢেকে বেড়িয়ে এলেন উনি। যুবরাজ উন্মুক্ত মুখে দেখছিলেন সামনের পুরুষ কে জিনি যুবরাজের আদর্শ। অসম্ভব তেজস্বী।বুদ্ধিমান দুটি চোখ। স্থূলকায় বিশালদেহী নন। কিন্তু শরীরের প্রতিটা পেশী যেন দৃশ্যমান। শক্ত না বরং নমনীয় পেশী সারা শরীর জুড়ে। লম্বা শক্তিশালী বাহুদ্বয় প্রায় হাঁটু অব্দি দীর্ঘ। রথে রাখা সাদা পোশাক পড়ে নিলেন। সাদা উত্তরীয় তে নিজেকে ঢাকলেন। মনে হচ্ছিল স্বয়ং নারায়ন নিজেকে প্রস্তুত করছেন। কি অসম্ভব ব্যক্তিত্ব। শ্মশানের পিছন দিকে গিয়ে সাথে একটি শ্বেত ধনুক ও একটি সুবিশাল তলোয়ার নিয়ে এলেন। নিজেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে যুবরাজ কে বললেন।
যুবরাজ রথ নিয়ে চলুন যুদ্ধ ক্ষেত্রে, আপনার পিতা মহারাজের রথ আমার চাই”
যুবরাজ বুঝতে পারছিলেন না কি বলবেন জিষ্ণুর কথার উত্তরে।চার শ্বেত অশ্ব দিয়ে টানা এই দ্রুতগামী রথ তো বেশ ভালো। এই রথ ছেড়ে কেন পিতা মহারাজের বৃদ্ধ অশ্ব দিয়ে টানা রথের প্রয়োজন পড়ল সেটা যুবরাজের মাথায় ঢুকছে না। জিষ্ণু বোধ করি যুবা যুবরাজের মনের কথন পড়তে পারলেন। সস্নেহে যুবরাজের মাথার হাত রেখে বললেন, আপনার রথ বেশ ভালো যুবরাজ তাতে কোন সন্দেহই নেই, কিন্তু আপনার রথের অশ্ব গুলি এখন কৈশোর আর যুবার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। এখনো যুদ্ধ দেখেই নি।সেই জায়গায় আপনার পিতা মহারাজের রথের ঘোড়া গুলি বেশ অভিজ্ঞ। আর তাছাড়া আপনার পিতা মহারাজের রথ তৈরী করেছেন স্বয়ং বালি, রথের দুটি চাকা আর সামনের অংশ খানি জোড়া আছে লোহার পাত দিয়ে। আমার এই ধনুক বসুন্ধরার গুনের প্রতিক্রিয়া আপনার কাঠের রথ সহ্য করতে পারবে না যেটা আপনার পিতা মহারাজের রথ পারবে। রথের পাটাতনের স্থিতিস্থাপকতার উপরে গুনের প্রতিক্রিয়া নীর্ভরশীল যুবরাজ ।
যুবরাজ মন্ত্র মুগ্ধের মতন শুনছিলেন জিষ্ণুর কথা গুলি। একটা যুদ্ধের এই খুঁটিনাটি ব্যাপার গুলো এতো গুরুত্ব পূর্ন হয় সেটা জানা ছিল না যুবরাজের।জিষ্ণু বলে চলল – আমি এখানেই অপেক্ষা করছি যুবরাজ, আপনি আপনার পিতা মহারাজের রথ এখানে নিয়ে আসুন, আমি বরং বসুন্ধরা কে তৈরী করি”
কিছু বলার মতন পরিস্থিতি তে ছিলেন না।কোন কথা না বলে রথের মুখ ঘুরিয়ে ব্যুহ তে ফিরে আসার জন্য চালিয়ে দিলেন রথ। মনে অতুল ঝড়। একে তো সামনে নিজের জীবনের আদর্শ জিষ্ণু। মহানতম বীর জিষ্ণুর যুদ্ধের প্রকৌশল জানতে থাকা, তাও জিষ্ণুর নিজের কাছ থেকে আর তার ই রথের সারথি হয়ে। আর যে ব্যাপার টা সব থেকে খটকা লাগছে তার, সেটা হল জিষ্ণুর বাম দিকের ঠোঁটের উপরে ছোট তিল, আর বুকের ঠিক মাঝে কালো উল্কি দিয়ে মহাশিবের ত্রিশূল আঁকা, ঠিক মৈথিলীর মতই।
অমৃতের সন্ধানে - নিজের মনের নগ্ন নিস্তব্ধতাকে একটু কথা বলতে দাও।