05-12-2019, 12:14 AM
(This post was last modified: 05-12-2019, 05:56 AM by Niltara. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
cont......
সেদিন মালা কিছুতেই রত্নকে আর বাড়ি যেতে দেয়নি। ....সকাল ১০টায় রতন যখন গ্রামের বাড়ি বড়মার{মালার }বাড়ি এলো।
মালাদেবী-আয়ে আয় রতন বাড়ীর ভেতরে যায় ,
রতন-বড়মা এই সাধ সকালে কি করছো?মালা একটা বড় নিঃশাস নিয়ে হাফ ছেড়ে বলে কি আর করবোরে রতন এই বাড়ীর রান্না করছি ,তুই যখন এসেছিস তোর ভাত চাপিয়েদি বলে মালা রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছে {এদিকে রতন বড়মাকে পেছন থেকে দেখতে দেখতে পিছু নেয় নিজের বড়মার আর এখন বড়মার আসাকপোশাক লক্ষ্য করতে থাকে আর ভাবছে বড়মা আমাদের বাড়িতে যখন ছিলো তখন পটেররানী সেজে ঘুরে বেড়াতো আর এখন বড়মার শাড়ীটাও কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে ,আর ব্লাউসটা সেই নরমাল কনুই অবধি ফুলহাতা পড়েছে ঠিকই সেটাও কেমন যেন ফ্যাকাসে।
এবার মালাও রতনকে পিছু পিছু আসতে দেখে বলে এই তুই আবার আমার পিছু নিলি কেন যা ঘরের ভেতর যা আরাম কর ,
রতন-আমি কি এখানে আরাম করতে এসেছি আমি তোমার সাথে সময় কাটাতে এসেছি {হাসিমুখে বলে}
মালাদেবী-রতনের থুতনিতে টো মেরে বলে ,বাচ্চাকে বাচ্চাই রয়ে গেলিরে শুধু বয়সটাই বাড়লো ,পুরোটা দিন বাকি আছেতো রতন যা আরাম কর দুপুরে খাবারের সময় ডাকবো যা আরাম কর। মালার বারবার যেতে বলতে রতন নিজের রুমে চলে যায়। এবার দুপুরবেলা রতনকে বড়মা বলে খাবার ঘরে আয় খাবারটা খেয়ে নে । রতন জানে ওর খাবার ঘর কোনটা ,কারণ ছোটবেলা থেকেই রতন সবসময় বড়মার ঘরে মেঝেতে বসেই খাবার খেতো সেই অভ্যাসটা এখনও রয়ে গেছে।তাই সে অভ্যাসমতো বড়মার ঘরে গিয়ে মেঝেতে বসে পরে। এদিকে বড়োমাও জানে রতন খাবার কোথায় খায় তাই সেই রান্নাঘর থেকে খাবারের থালা সাজিয়ে রতন যেখানে বসে আছে সেখানে খাবার পরিবেশন করলো ,আর সামনে বসেই হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করতে লাগলো। কারণ লোডশেডিং হলো কিছুক্ষন আগেই ,তবুও হালকা শীতের কারণে অতটা গরম আর লাগছিলোনা। সকালের পরনের কাপড়টা এখন বড়মা পাল্টে ফেলেছে ,বেশ ফ্রেশ লাগছে হালকা হলুদ রঙের শাড়ী তার সাথে ফুলহাতা ম্যাচিং ব্লাউস হাতে সাকা মাথায় সিঁদুর আর কপালে একটা কালো টিপ্।
মালাদেবী-হ্যারে রতন দিদিদের কথা খুব মনে পরে নারে ?
রতন-হাতে খাবার মুঠো করে মুখে আনতে আনতে বলে কেনো বড়মা তোমার কি মনে পড়েনা এইযে এতো বড়ো বাড়িতে এখন ফাঁকাফাঁকা একাই থাকছো তোমার খারাপ লাগেনা।
মালাদেবী-আগে খারাপ লাগত এখন সব সয়ে গেছে আর খারাপ লাগেনা ,প্রথম প্রথম লাগতো।
রতন-আচ্ছা বড়মা তুমি বাড়ি ফিরে আসতে পারতো আমার ভালো লাগবে ,তুমি একাএকা থাকো আমার ভালো লাগেনা একদম।
মালা একটু রেগে গিয়েই বলে -ও বাড়ী আর কোনোদিন যাবোনা একথা আর কোনোদিন বলিস না ,
রতন-আচ্ছা বড়মা আর বলবোনা।
মালা রতনের কথা শুনে মুখে একটু হালকা হাসি এনে বলে -হহহমমম সেতো বুঝলাম কিন্তু তুই আর আজকে ওবাড়ি যাবিনা থাকবি এখানেই আজ ,সেই ছোটবেলায় যেমন থাকতিস ,
রতন-কিন্তু। ......................................কথা শেষ হবার আগেই বড়মা বলে ওঠে উন্নন ,আর কোনো কথা নয় এতদিন পর এসেছিস তাতে আবার ভাবনাচিন্তা কিরে বললাম থাকবি ব্যাস।
রতন কি আর বলবে হালকা মালার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো। রাতেবেলা খাওয়াদাওয়া হলো বড়মা বেশ আয়েশ করে চিকেন আর রুটি বানিয়েছিলো যা খুব বেশি পছন্দের রতনের।এরপর রাত তখন দশটা বাজে রতন নিজের রুমে শুধু শরীরটাকে এলিয়ে শুয়ে আছে কিন্তু ঘুম আসেনা কারণ এতো তাড়াতাড়ি ঘুমোবার অভ্যেস নেই রতনের। এরকমই আরো একটা অভ্যেস ছিল রতনের ছোটোবেলাথেকে সেটা হলো রাতের বেলা বড়মার ঘরে বসে বড়মার কোলে শুয়ে শুয়ে গল্প করা তারপর ঘুম আসলে তখন ফিরে এসে ঘুমিয়ে পড়া । কিন্তু এখনতো রতন বড় হয়ে গেছে তাই শুয়ে শুয়ে ভাবতে ভাবতে কিযেন মনে করে রতন বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ালো। চলতে শুরু করে বড়মার রুমের দিকে দরজাটা ভেজানো ছিল হালকা করে.রুমের দরজাটার কাছে এসেই আওয়াজ দিতে দিতে ঢুকলো -বড়মা ঘুমিয়ে গেলে নাকি।
মালা-নারে ভেতরে চলে আয় {ঘরের ভেতর থেকে বড়মার একটা তীক্ষ্ণ আওয়াজ ভেসে এলো }আর সেটা শুনে রতন দরজাটা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো।ঘরের ভেতর পুরো অন্ধকার রতন বড়মা কোথায় সেটা বুঝতে পারছেনা তাই বলে বসলো-বড়মা ইস কি অন্ধকার করে রেখেছো ঘরটাকে বলে লাইটের সুইচে হাত দিতে দিতে বলতে থাকে বড়মা মনে আছে ছোটবেলায় রাতে তোমার ঘরে চলে আসতাম গল্প করতে?এদিকে বড়মা রতনের পদক্ষেপের আওয়াজের অনুসরণ করে বলতে থাকে। রতন বাতি জালাসনা এই রাতে ঘুমোবো তো ,লাইট জাললে আর ঘুম আসবেনা।রতন ততক্ষনে লাইট জেলে ফেলে আর ঘুরে দাঁড়ায় ,রতনের মাথা খারাপ হয়ে গেলো কারণ বিছানার সামনে দাঁড়িয়ে বড়মা শরীরে শুধু সায়া আর ব্লাউস আর পরনের শাড়ীটা বিছানার উপর গুটিয়ে রাখা ,এর আগেও মালাকে সায়াব্লাউস পরা অবস্থায় দেখেছে কিন্তু তখন শরীরটা মালার এরকম ছিলোনা ,শুটকি মাছের চেহারায় কোনো আকর্ষণ ছিল না কিন্তু এখন তুমুল পরিবর্তন হয়েছে। দুদুগুলো যেন ব্লাউসে ভরভরে রয়েছে কোমরে বেশ চর্বি জমেছে। আর কোমরের নিচের অংশ ভারী থেকে ভারীতর হয়ে নিচে নামছে যা কিনা সায়াতে আবৃত , ব্লাউসটা নরমাল কনুই অবধি ফুল ব্লাউজ কিন্তু ওই একটা জিনিস হয়ে রয়েছে সেটা হলো সামনের তিনটের হুকের মধ্যে দুটো লাগানো আর একটা খোলা সেটাও আবার মাঝের হুক তাতে করে দুই দুদুর জয়েন্টের মাংসল দুদু স্পর্শ করে রয়েছে,আর সেই স্পর্শস্পন্দন দেখে রতনের স্পর্শকাতর জায়গাতে আলো বার বার ফেলে দিচ্ছে ,তারপর সায়ার দিকে নজর গেলো সায়ার ফিতেটা কোমরে পাশে বাধা অনেকটাই চেরা বা ফাটল নিয়ে ,সামনে নাভির নিচে বাধা হলে তলপেট পুরোটাই দেখা যেত ,রতনের নজর সেখানেও যেতে বাকি রাখেনি ,না চাইতেও নজর চলে যায় সেখানে।বড়মার এই রূপ আগে কখনোই নজরে আসেনি রতনের। রতন অপ্রস্তুতিকর পরিস্থিতির মধ্যে যেন পরে গেলো। তবুও নিজেকে সামাল দিয়ে বললো বড়মা তোমার কি খুব ঘুম পেয়েছে তাহলে সকালে কথা হবে বলে বেরিয়ে গেলো।এদিকে মালাদেবীও বুঝতে পারে যে রতন ইতস্তত হয়ে কথা বলছে তাই সে কিছুই বল্লোনা রতনকে। রতন চলে যেতেই মালাদেবী ভাবতে থাকলো শুয়ে শুয়ে ঘটনাটা। বার বার যেন রতনের চোখের দৃষ্টিটাই মনে পরে যাচ্ছে ,ইস কেমন করে যেন চেয়েছিলো আজ আমার দিকে মিনুর ছেলেটা। তাহলেকি আমি বেমানান ছিলাম আজ রতনের কাছে।আর যখনি ভাবছে যে রতনের চোখ ওর হুক খোলা ব্লাউসের দিকে ততবারই মালাদেবীর মনে হচ্ছে ৫/৬ বছরের কোনো বাচ্ছাছেলে বা মেয়ে ওর তলপেটের নিচে ফুটোতে আঙ্গুল দিয়ে খোঁচা মারছে। উফফফফ কি জালা বাবারে এতবছর পর আজ কেমন যেন লাগছে নিজের এই উপোসী শরীরটা। তারপরোক্ষনেই নিজের মধ্যে অনুশোচনা জন্মালো ,চি ছিঃ ছিঃ ছিঃ কি যাতা ভাবছি আমি রত্নকে ছোট থেকে কোলেপিঠে মানুষ করলাম আজ ওর নজরটাই আমাকে এরকম নোংরা আকর্ষণ জন্মাচ্ছে বলে একদিকে কাত হয়ে শুয়ে আবার ভাবছে ,জন্মালো তো জন্মালো তাতে কি খারাপ হলো ওতো আর নিজের পেটের ছেলে নয়। কতোবছরের অভুক্ত আমি ,আর আমি যদি এই বয়সে একটু যদি রতনের পরিণত বয়সের স্বাদ আমি যদি গ্রহণ করি তাতে কি দোষের?ঘরের কথা ঘরেই রইলো কেউ জানতেও পারলোনা । এইসব ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পড়লো তার খেয়াল নেই মালাদেবীর।এদিকে মালার মনে একটু অন্যরকমের ধারণা জন্মালেও রতনের মনে কোনোরকমের সেরকমের অনুভূতি জাগেনি ,হ্যা তবে রাতের ঘটনা একটু বিব্রত করে ফেলেছিলো। তবে এখন সেগুলো ভুলেই গেছে মনে নেই রাতের কথা।
সকাল তখন আটটা বড়মা খুব আয়েসী করে রতনের জন্য চা জলখাবার নিয়ে এসেছে।
মালাদেবী-এই নে রত্ন জলখাবার দিন দিন শুকিয়ে খেজুর পাতা হয়ে যাচ্ছিস বলে জলখাবার টা বিছানার উপরেই রেখে নিজেও সেখানে বসে পড়লো।
রতন নিজের চেহারার দিকে তাকালো হ্যা সত্যিতো আমি কেমন যেন রোগাপাতলা আর শর্ট হাইটের জন্য আরো বাচ্চা লাগে ,তার তুলনায় বড়মা লম্বা আর চওড়া ,
মালাদেবী-আর নিজের দিকে তাকিয়ে দেখতে হবেনা নেনে খাবারটা খেয়ে নে।
রতনের চায়ের কাপ হাতে নিয়ে সুরুক সুরুক করে চা খেতে খেতে জানালার দিকে তাকিয়ে মনোরম বাতাস নিচ্ছে আর পেছনে বিছানায় বসে তার বড়মা ওর দিকে তাকিয়ে।
মালাদেবী-কি দেখছিস বলতো জানলা দিয়ে।
রতন-বাইরে পুকুর আর জমিগুলো দেখচ্ছি বড়মা।
মালাদেবী-তাহলে এক কাজ কর চা জলখাবারটা খেয়ে নিয়ে একটু যা ঐদিকটা ঘুরে যায় ,এখনতো এগুলো সবি আমাদের ,তোর বাবা আমার নামেইতো সব করে দিয়েছে।
রতন নিজের ঘাড়টা ঘুরিয়ে জবাব দিলো বড়মা আমি কি একা একা এতো বড় জায়গাটা ঘুরে বেড়াবো তুমি চলোনা একটু ঘুরে আসি।
মালাদেবী-তোর সেই ছেলেপনা গেলো না বল ,কোথাও গেলে আমাকেও যেতে হবে ,ঘরে কত কাজ আছে বলতো তারপর তোর জন্য দুপরের রান্নাটাও করতে হবে।
রতন-তাহলে আমি এখানেই থাকি ঘরে বসে কোথাও যাচ্ছিনা।
মালাদেবী রতনের বায়না কখনো ফেলেনি ছোটবেলায় -আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে রান্নার কাজ সেরেনি তারপর নাহয় যাবো।
কথাটা শুনে ছোটো বাচ্চাদের মনে কোনো আশাপূর্ণ হলে যেভাবে মুখে হাসি ফোটে ঠিক সেরকমই রতনের মুখে হাসি ফুটলো।
বেলা ১১টার দিকে বড়মা আর রতন দুজনে মিলে নিজেদের বাড়ীর পেছনে জমি গুলো দেখছে ,চারিদিকটা বড়ো পাঁচিল দিয়ে ঘেরা কেউ ভেতরে আসতে পারবেনা। বড়মা আগে আগে আর রতন বড়মার পিছু নিয়ে চলেছে ,মালাদেবী সামনে এগিয়ে এগিয়ে আঙ্গুল তুলে তুলে দেখাচ্ছে ওই দেখ ওই পাঁচিল অবধি জায়গাটা ,হটাৎ মনে হলো পেছনে রতনের সাড়াশব্দ পাচ্ছেনা ,মালাদেবী ঘুরে দেখে যে রতন পুকুরের ঘটে নামে গেছে আর ঝুকে ঝুকে জলে বাক দেওয়ার মতন করে জল ঠেলা দিয়ে যাচ্ছে। মালাদেবী ঘাটের সবার উপরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে এই তুই আবার কিকরছিস ,রতন ঘাটের নিচে শেষ সিঁড়িতে তখন আর জলে হাত মারতে মারতে জবাব দেয় ,বড়মা পুকুরে মাছ ছেড়েছো নাকি ,জল ভালো আছে বর্ষার জলে ভরে আছে ভালো মাছ চাষ হবে।
মালাদেবী- -আর মাছ ,কে চাষ করবে শুনি আমি ,এই বয়সে আর কি পারি তোর মাথাটায় গেছে ,এই তুই উঠে আয়তো জল থেকে।
রতন-ভাবছি বড়মা স্নান করবো এখানে আজ।
মালাদেবী-এইতো শুরু হলো তোর ,নানা স্নানটান করতে হবেনা তুই একবার জলে নামলে আর উঠতেই চাসনা ,সেই ছোটবেলা থেকে দেখছি তোকে। ...................................চলবে?
সেদিন মালা কিছুতেই রত্নকে আর বাড়ি যেতে দেয়নি। ....সকাল ১০টায় রতন যখন গ্রামের বাড়ি বড়মার{মালার }বাড়ি এলো।
মালাদেবী-আয়ে আয় রতন বাড়ীর ভেতরে যায় ,
রতন-বড়মা এই সাধ সকালে কি করছো?মালা একটা বড় নিঃশাস নিয়ে হাফ ছেড়ে বলে কি আর করবোরে রতন এই বাড়ীর রান্না করছি ,তুই যখন এসেছিস তোর ভাত চাপিয়েদি বলে মালা রান্নাঘরের দিকে যাচ্ছে {এদিকে রতন বড়মাকে পেছন থেকে দেখতে দেখতে পিছু নেয় নিজের বড়মার আর এখন বড়মার আসাকপোশাক লক্ষ্য করতে থাকে আর ভাবছে বড়মা আমাদের বাড়িতে যখন ছিলো তখন পটেররানী সেজে ঘুরে বেড়াতো আর এখন বড়মার শাড়ীটাও কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেছে ,আর ব্লাউসটা সেই নরমাল কনুই অবধি ফুলহাতা পড়েছে ঠিকই সেটাও কেমন যেন ফ্যাকাসে।
এবার মালাও রতনকে পিছু পিছু আসতে দেখে বলে এই তুই আবার আমার পিছু নিলি কেন যা ঘরের ভেতর যা আরাম কর ,
রতন-আমি কি এখানে আরাম করতে এসেছি আমি তোমার সাথে সময় কাটাতে এসেছি {হাসিমুখে বলে}
মালাদেবী-রতনের থুতনিতে টো মেরে বলে ,বাচ্চাকে বাচ্চাই রয়ে গেলিরে শুধু বয়সটাই বাড়লো ,পুরোটা দিন বাকি আছেতো রতন যা আরাম কর দুপুরে খাবারের সময় ডাকবো যা আরাম কর। মালার বারবার যেতে বলতে রতন নিজের রুমে চলে যায়। এবার দুপুরবেলা রতনকে বড়মা বলে খাবার ঘরে আয় খাবারটা খেয়ে নে । রতন জানে ওর খাবার ঘর কোনটা ,কারণ ছোটবেলা থেকেই রতন সবসময় বড়মার ঘরে মেঝেতে বসেই খাবার খেতো সেই অভ্যাসটা এখনও রয়ে গেছে।তাই সে অভ্যাসমতো বড়মার ঘরে গিয়ে মেঝেতে বসে পরে। এদিকে বড়োমাও জানে রতন খাবার কোথায় খায় তাই সেই রান্নাঘর থেকে খাবারের থালা সাজিয়ে রতন যেখানে বসে আছে সেখানে খাবার পরিবেশন করলো ,আর সামনে বসেই হাতপাখা দিয়ে হাওয়া করতে লাগলো। কারণ লোডশেডিং হলো কিছুক্ষন আগেই ,তবুও হালকা শীতের কারণে অতটা গরম আর লাগছিলোনা। সকালের পরনের কাপড়টা এখন বড়মা পাল্টে ফেলেছে ,বেশ ফ্রেশ লাগছে হালকা হলুদ রঙের শাড়ী তার সাথে ফুলহাতা ম্যাচিং ব্লাউস হাতে সাকা মাথায় সিঁদুর আর কপালে একটা কালো টিপ্।
মালাদেবী-হ্যারে রতন দিদিদের কথা খুব মনে পরে নারে ?
রতন-হাতে খাবার মুঠো করে মুখে আনতে আনতে বলে কেনো বড়মা তোমার কি মনে পড়েনা এইযে এতো বড়ো বাড়িতে এখন ফাঁকাফাঁকা একাই থাকছো তোমার খারাপ লাগেনা।
মালাদেবী-আগে খারাপ লাগত এখন সব সয়ে গেছে আর খারাপ লাগেনা ,প্রথম প্রথম লাগতো।
রতন-আচ্ছা বড়মা তুমি বাড়ি ফিরে আসতে পারতো আমার ভালো লাগবে ,তুমি একাএকা থাকো আমার ভালো লাগেনা একদম।
মালা একটু রেগে গিয়েই বলে -ও বাড়ী আর কোনোদিন যাবোনা একথা আর কোনোদিন বলিস না ,
রতন-আচ্ছা বড়মা আর বলবোনা।
মালা রতনের কথা শুনে মুখে একটু হালকা হাসি এনে বলে -হহহমমম সেতো বুঝলাম কিন্তু তুই আর আজকে ওবাড়ি যাবিনা থাকবি এখানেই আজ ,সেই ছোটবেলায় যেমন থাকতিস ,
রতন-কিন্তু। ......................................কথা শেষ হবার আগেই বড়মা বলে ওঠে উন্নন ,আর কোনো কথা নয় এতদিন পর এসেছিস তাতে আবার ভাবনাচিন্তা কিরে বললাম থাকবি ব্যাস।
রতন কি আর বলবে হালকা মালার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো। রাতেবেলা খাওয়াদাওয়া হলো বড়মা বেশ আয়েশ করে চিকেন আর রুটি বানিয়েছিলো যা খুব বেশি পছন্দের রতনের।এরপর রাত তখন দশটা বাজে রতন নিজের রুমে শুধু শরীরটাকে এলিয়ে শুয়ে আছে কিন্তু ঘুম আসেনা কারণ এতো তাড়াতাড়ি ঘুমোবার অভ্যেস নেই রতনের। এরকমই আরো একটা অভ্যেস ছিল রতনের ছোটোবেলাথেকে সেটা হলো রাতের বেলা বড়মার ঘরে বসে বড়মার কোলে শুয়ে শুয়ে গল্প করা তারপর ঘুম আসলে তখন ফিরে এসে ঘুমিয়ে পড়া । কিন্তু এখনতো রতন বড় হয়ে গেছে তাই শুয়ে শুয়ে ভাবতে ভাবতে কিযেন মনে করে রতন বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ালো। চলতে শুরু করে বড়মার রুমের দিকে দরজাটা ভেজানো ছিল হালকা করে.রুমের দরজাটার কাছে এসেই আওয়াজ দিতে দিতে ঢুকলো -বড়মা ঘুমিয়ে গেলে নাকি।
মালা-নারে ভেতরে চলে আয় {ঘরের ভেতর থেকে বড়মার একটা তীক্ষ্ণ আওয়াজ ভেসে এলো }আর সেটা শুনে রতন দরজাটা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো।ঘরের ভেতর পুরো অন্ধকার রতন বড়মা কোথায় সেটা বুঝতে পারছেনা তাই বলে বসলো-বড়মা ইস কি অন্ধকার করে রেখেছো ঘরটাকে বলে লাইটের সুইচে হাত দিতে দিতে বলতে থাকে বড়মা মনে আছে ছোটবেলায় রাতে তোমার ঘরে চলে আসতাম গল্প করতে?এদিকে বড়মা রতনের পদক্ষেপের আওয়াজের অনুসরণ করে বলতে থাকে। রতন বাতি জালাসনা এই রাতে ঘুমোবো তো ,লাইট জাললে আর ঘুম আসবেনা।রতন ততক্ষনে লাইট জেলে ফেলে আর ঘুরে দাঁড়ায় ,রতনের মাথা খারাপ হয়ে গেলো কারণ বিছানার সামনে দাঁড়িয়ে বড়মা শরীরে শুধু সায়া আর ব্লাউস আর পরনের শাড়ীটা বিছানার উপর গুটিয়ে রাখা ,এর আগেও মালাকে সায়াব্লাউস পরা অবস্থায় দেখেছে কিন্তু তখন শরীরটা মালার এরকম ছিলোনা ,শুটকি মাছের চেহারায় কোনো আকর্ষণ ছিল না কিন্তু এখন তুমুল পরিবর্তন হয়েছে। দুদুগুলো যেন ব্লাউসে ভরভরে রয়েছে কোমরে বেশ চর্বি জমেছে। আর কোমরের নিচের অংশ ভারী থেকে ভারীতর হয়ে নিচে নামছে যা কিনা সায়াতে আবৃত , ব্লাউসটা নরমাল কনুই অবধি ফুল ব্লাউজ কিন্তু ওই একটা জিনিস হয়ে রয়েছে সেটা হলো সামনের তিনটের হুকের মধ্যে দুটো লাগানো আর একটা খোলা সেটাও আবার মাঝের হুক তাতে করে দুই দুদুর জয়েন্টের মাংসল দুদু স্পর্শ করে রয়েছে,আর সেই স্পর্শস্পন্দন দেখে রতনের স্পর্শকাতর জায়গাতে আলো বার বার ফেলে দিচ্ছে ,তারপর সায়ার দিকে নজর গেলো সায়ার ফিতেটা কোমরে পাশে বাধা অনেকটাই চেরা বা ফাটল নিয়ে ,সামনে নাভির নিচে বাধা হলে তলপেট পুরোটাই দেখা যেত ,রতনের নজর সেখানেও যেতে বাকি রাখেনি ,না চাইতেও নজর চলে যায় সেখানে।বড়মার এই রূপ আগে কখনোই নজরে আসেনি রতনের। রতন অপ্রস্তুতিকর পরিস্থিতির মধ্যে যেন পরে গেলো। তবুও নিজেকে সামাল দিয়ে বললো বড়মা তোমার কি খুব ঘুম পেয়েছে তাহলে সকালে কথা হবে বলে বেরিয়ে গেলো।এদিকে মালাদেবীও বুঝতে পারে যে রতন ইতস্তত হয়ে কথা বলছে তাই সে কিছুই বল্লোনা রতনকে। রতন চলে যেতেই মালাদেবী ভাবতে থাকলো শুয়ে শুয়ে ঘটনাটা। বার বার যেন রতনের চোখের দৃষ্টিটাই মনে পরে যাচ্ছে ,ইস কেমন করে যেন চেয়েছিলো আজ আমার দিকে মিনুর ছেলেটা। তাহলেকি আমি বেমানান ছিলাম আজ রতনের কাছে।আর যখনি ভাবছে যে রতনের চোখ ওর হুক খোলা ব্লাউসের দিকে ততবারই মালাদেবীর মনে হচ্ছে ৫/৬ বছরের কোনো বাচ্ছাছেলে বা মেয়ে ওর তলপেটের নিচে ফুটোতে আঙ্গুল দিয়ে খোঁচা মারছে। উফফফফ কি জালা বাবারে এতবছর পর আজ কেমন যেন লাগছে নিজের এই উপোসী শরীরটা। তারপরোক্ষনেই নিজের মধ্যে অনুশোচনা জন্মালো ,চি ছিঃ ছিঃ ছিঃ কি যাতা ভাবছি আমি রত্নকে ছোট থেকে কোলেপিঠে মানুষ করলাম আজ ওর নজরটাই আমাকে এরকম নোংরা আকর্ষণ জন্মাচ্ছে বলে একদিকে কাত হয়ে শুয়ে আবার ভাবছে ,জন্মালো তো জন্মালো তাতে কি খারাপ হলো ওতো আর নিজের পেটের ছেলে নয়। কতোবছরের অভুক্ত আমি ,আর আমি যদি এই বয়সে একটু যদি রতনের পরিণত বয়সের স্বাদ আমি যদি গ্রহণ করি তাতে কি দোষের?ঘরের কথা ঘরেই রইলো কেউ জানতেও পারলোনা । এইসব ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পড়লো তার খেয়াল নেই মালাদেবীর।এদিকে মালার মনে একটু অন্যরকমের ধারণা জন্মালেও রতনের মনে কোনোরকমের সেরকমের অনুভূতি জাগেনি ,হ্যা তবে রাতের ঘটনা একটু বিব্রত করে ফেলেছিলো। তবে এখন সেগুলো ভুলেই গেছে মনে নেই রাতের কথা।
সকাল তখন আটটা বড়মা খুব আয়েসী করে রতনের জন্য চা জলখাবার নিয়ে এসেছে।
মালাদেবী-এই নে রত্ন জলখাবার দিন দিন শুকিয়ে খেজুর পাতা হয়ে যাচ্ছিস বলে জলখাবার টা বিছানার উপরেই রেখে নিজেও সেখানে বসে পড়লো।
রতন নিজের চেহারার দিকে তাকালো হ্যা সত্যিতো আমি কেমন যেন রোগাপাতলা আর শর্ট হাইটের জন্য আরো বাচ্চা লাগে ,তার তুলনায় বড়মা লম্বা আর চওড়া ,
মালাদেবী-আর নিজের দিকে তাকিয়ে দেখতে হবেনা নেনে খাবারটা খেয়ে নে।
রতনের চায়ের কাপ হাতে নিয়ে সুরুক সুরুক করে চা খেতে খেতে জানালার দিকে তাকিয়ে মনোরম বাতাস নিচ্ছে আর পেছনে বিছানায় বসে তার বড়মা ওর দিকে তাকিয়ে।
মালাদেবী-কি দেখছিস বলতো জানলা দিয়ে।
রতন-বাইরে পুকুর আর জমিগুলো দেখচ্ছি বড়মা।
মালাদেবী-তাহলে এক কাজ কর চা জলখাবারটা খেয়ে নিয়ে একটু যা ঐদিকটা ঘুরে যায় ,এখনতো এগুলো সবি আমাদের ,তোর বাবা আমার নামেইতো সব করে দিয়েছে।
রতন নিজের ঘাড়টা ঘুরিয়ে জবাব দিলো বড়মা আমি কি একা একা এতো বড় জায়গাটা ঘুরে বেড়াবো তুমি চলোনা একটু ঘুরে আসি।
মালাদেবী-তোর সেই ছেলেপনা গেলো না বল ,কোথাও গেলে আমাকেও যেতে হবে ,ঘরে কত কাজ আছে বলতো তারপর তোর জন্য দুপরের রান্নাটাও করতে হবে।
রতন-তাহলে আমি এখানেই থাকি ঘরে বসে কোথাও যাচ্ছিনা।
মালাদেবী রতনের বায়না কখনো ফেলেনি ছোটবেলায় -আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে রান্নার কাজ সেরেনি তারপর নাহয় যাবো।
কথাটা শুনে ছোটো বাচ্চাদের মনে কোনো আশাপূর্ণ হলে যেভাবে মুখে হাসি ফোটে ঠিক সেরকমই রতনের মুখে হাসি ফুটলো।
বেলা ১১টার দিকে বড়মা আর রতন দুজনে মিলে নিজেদের বাড়ীর পেছনে জমি গুলো দেখছে ,চারিদিকটা বড়ো পাঁচিল দিয়ে ঘেরা কেউ ভেতরে আসতে পারবেনা। বড়মা আগে আগে আর রতন বড়মার পিছু নিয়ে চলেছে ,মালাদেবী সামনে এগিয়ে এগিয়ে আঙ্গুল তুলে তুলে দেখাচ্ছে ওই দেখ ওই পাঁচিল অবধি জায়গাটা ,হটাৎ মনে হলো পেছনে রতনের সাড়াশব্দ পাচ্ছেনা ,মালাদেবী ঘুরে দেখে যে রতন পুকুরের ঘটে নামে গেছে আর ঝুকে ঝুকে জলে বাক দেওয়ার মতন করে জল ঠেলা দিয়ে যাচ্ছে। মালাদেবী ঘাটের সবার উপরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে এই তুই আবার কিকরছিস ,রতন ঘাটের নিচে শেষ সিঁড়িতে তখন আর জলে হাত মারতে মারতে জবাব দেয় ,বড়মা পুকুরে মাছ ছেড়েছো নাকি ,জল ভালো আছে বর্ষার জলে ভরে আছে ভালো মাছ চাষ হবে।
মালাদেবী- -আর মাছ ,কে চাষ করবে শুনি আমি ,এই বয়সে আর কি পারি তোর মাথাটায় গেছে ,এই তুই উঠে আয়তো জল থেকে।
রতন-ভাবছি বড়মা স্নান করবো এখানে আজ।
মালাদেবী-এইতো শুরু হলো তোর ,নানা স্নানটান করতে হবেনা তুই একবার জলে নামলে আর উঠতেই চাসনা ,সেই ছোটবেলা থেকে দেখছি তোকে। ...................................চলবে?