03-12-2019, 10:38 PM
(This post was last modified: 03-12-2019, 10:45 PM by Jaybengsl. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
আমার জন্ম ঢাকা থেকে চল্লিশ কিলোমিটার দুরের এক গঞ্জ শহরে।দাদু,ঠাকুমা,জেঠা,দুই কাকা আর সাতজন ভাইবোন নিয়ে একান্নবর্তি পরিবার।পাশের গ্রামেই ছিলো পিসির বাড়ি ।দাদু ছিলেন হেড মাস্টার।তার ছেলেরা সবাই সরকারী চাকুরে।আমার বাবা ছিলেন শহরের পোস্ট মাস্টার ।পরিচিত মানুষেরা সবাই তাকেও মাস্টার মশাই বলেই ডাকতো । আমরা সব মিলিয়ে ছয় ভাই,এক বোন ।দিদি আমার চেয়ে পাঁচ বছরের বড় ।(আমি আর দিদি আমার মায়ের সন্তান।)
সেদিনগুলো দারুন ছিলো।।মাঠ,ধানক্ষেত,ঘন্টার পর ঘন্টা পুকুরে সাঁতার,ফুটবল,চুরি করে আম জাম পাড়া । কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নিধনের পর এক অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো দেশে।বাংলাদেশ জুড়েই মাঝে মাঝেই রায়ট হতে লাগলো।আমাদের গ্রামে আমরা কয়েক ঘর মাত্র * ভয়ে ভয়ে থাকতাম।বাবার সুনাম ছিল আর . প্রতিবেশীরাও সবাই আশ্বাস দিয়েছিল নিশ্চিন্তে থাকবার।তবু হঠাৎ একদিন দিদি কলেজ থেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এলো।রাতে শুনলাম কিছু লোফার ওকে তুলে নিয়ে যাবার ভয় দেখিয়েছে। এক সপ্তাহ বাদে ভোরে উঠে দেখি বাইরের দেয়ালে পোস্টার "জান নিয়া দেশ ছাড় মালাউনের জাত,নয় কোতল হবি।" আমরা খুব ভয় পেয়ে গেলাম।আমার মামাবাড়ি কলকাতার ভবানীপুরে।খবর পেয়ে মামারা তখুনি কলকাতায় চলে আসতে বলল। দুদিন বাদে আবার পোস্টার দিদিকে নিয়ে,"চৈতালি,তোরে সাদী করমুই।তোর ভাইগোরে '.ী করা হইবো রে।"
মেহেদি চাচা গ্রামের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ।একদিন বাবাকে এসে বললেন "ভোলা,তোমার ঘরে বয়সের মাইযা আছে।হেরে ওরা টার্গেট করসে,বড় চিন্তার কথা ।রায়ট লাগলে মানুষ পশু হইযা যায়,দেখ্সো তো। তুমি বরং কিসুদিন ইন্ডিয়া গিয়াই থাকো ।" বাড়ির সকলে মিলেও একই সিধাণ্ত নিলো ।বাবার তিন মাসের লম্বা ছুটির দরখাস্ত পোস্টাল সুপারিনটেনডেণ্ট জালালুদ্দিণ সাহেব সহানুভূতির সাথে মঞ্জুর করলেন।আর একদিন ভোর বেলা আমার প্রিয় গ্রাম,আমার দেশ ছাড়লাম।
কলকাতায় মামাবাড়িতে এসে উঠলাম।বিশাল বাড়ি ।মামার বাড়ি বরিশাল হলেও ওরা সেখানকার পাট চুকিয়ে,সব বিক্রিবাটা করে কলকাতায় এসেছে অনেকদিন।সপ্তাহ খানেক পর মিটিং করে মামারা সিধাণ্ত নিলো,আমাদের আর ফেরা হবে না, এখানেই বাবার চাকরির ব্যবস্থা হবে। মা তো খুব খুশী।আমরাও খুশী।কলকাতা তখন আমাদের কাছে আশ্চর্য শহর ।কয়েকদিনের মধ্যে ডলহৌসিতে একটা প্রাইভেট ফর্মে বাবার চাকরিটাও হয়ে গেল।তবে মাইনে কম । ভেবেছিলাম মামার বড়িতেই থাকবো।কিন্তু বাবার ব্যক্তিত্বে শ্বশুর বাড়িতে থাকতে কিছুতেই রাজি না।কলকাতায় বাড়ি ভাড়া পাওয়া অত সহজ ছিলো না।শেষে হাওড়া ময়দানের কাছে একটা বাসা পাওয়া গেল।
দিদি মামাবাড়ির কাছেই কলেজে ভর্তি হয়েছিল বলে সিধাণ্ত হলো দিদি মামাদের কাছেই থাকবে। আর এই হাওড়ার বাসায় এসেই হলো আমার যৌণতার হাতে খড়ি।
(সব চরিত্র এবং,ঘটনা প্রবাহ কাল্পনিক)
সেদিনগুলো দারুন ছিলো।।মাঠ,ধানক্ষেত,ঘন্টার পর ঘন্টা পুকুরে সাঁতার,ফুটবল,চুরি করে আম জাম পাড়া । কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নিধনের পর এক অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো দেশে।বাংলাদেশ জুড়েই মাঝে মাঝেই রায়ট হতে লাগলো।আমাদের গ্রামে আমরা কয়েক ঘর মাত্র * ভয়ে ভয়ে থাকতাম।বাবার সুনাম ছিল আর . প্রতিবেশীরাও সবাই আশ্বাস দিয়েছিল নিশ্চিন্তে থাকবার।তবু হঠাৎ একদিন দিদি কলেজ থেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এলো।রাতে শুনলাম কিছু লোফার ওকে তুলে নিয়ে যাবার ভয় দেখিয়েছে। এক সপ্তাহ বাদে ভোরে উঠে দেখি বাইরের দেয়ালে পোস্টার "জান নিয়া দেশ ছাড় মালাউনের জাত,নয় কোতল হবি।" আমরা খুব ভয় পেয়ে গেলাম।আমার মামাবাড়ি কলকাতার ভবানীপুরে।খবর পেয়ে মামারা তখুনি কলকাতায় চলে আসতে বলল। দুদিন বাদে আবার পোস্টার দিদিকে নিয়ে,"চৈতালি,তোরে সাদী করমুই।তোর ভাইগোরে '.ী করা হইবো রে।"
মেহেদি চাচা গ্রামের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ।একদিন বাবাকে এসে বললেন "ভোলা,তোমার ঘরে বয়সের মাইযা আছে।হেরে ওরা টার্গেট করসে,বড় চিন্তার কথা ।রায়ট লাগলে মানুষ পশু হইযা যায়,দেখ্সো তো। তুমি বরং কিসুদিন ইন্ডিয়া গিয়াই থাকো ।" বাড়ির সকলে মিলেও একই সিধাণ্ত নিলো ।বাবার তিন মাসের লম্বা ছুটির দরখাস্ত পোস্টাল সুপারিনটেনডেণ্ট জালালুদ্দিণ সাহেব সহানুভূতির সাথে মঞ্জুর করলেন।আর একদিন ভোর বেলা আমার প্রিয় গ্রাম,আমার দেশ ছাড়লাম।
কলকাতায় মামাবাড়িতে এসে উঠলাম।বিশাল বাড়ি ।মামার বাড়ি বরিশাল হলেও ওরা সেখানকার পাট চুকিয়ে,সব বিক্রিবাটা করে কলকাতায় এসেছে অনেকদিন।সপ্তাহ খানেক পর মিটিং করে মামারা সিধাণ্ত নিলো,আমাদের আর ফেরা হবে না, এখানেই বাবার চাকরির ব্যবস্থা হবে। মা তো খুব খুশী।আমরাও খুশী।কলকাতা তখন আমাদের কাছে আশ্চর্য শহর ।কয়েকদিনের মধ্যে ডলহৌসিতে একটা প্রাইভেট ফর্মে বাবার চাকরিটাও হয়ে গেল।তবে মাইনে কম । ভেবেছিলাম মামার বড়িতেই থাকবো।কিন্তু বাবার ব্যক্তিত্বে শ্বশুর বাড়িতে থাকতে কিছুতেই রাজি না।কলকাতায় বাড়ি ভাড়া পাওয়া অত সহজ ছিলো না।শেষে হাওড়া ময়দানের কাছে একটা বাসা পাওয়া গেল।
দিদি মামাবাড়ির কাছেই কলেজে ভর্তি হয়েছিল বলে সিধাণ্ত হলো দিদি মামাদের কাছেই থাকবে। আর এই হাওড়ার বাসায় এসেই হলো আমার যৌণতার হাতে খড়ি।
(সব চরিত্র এবং,ঘটনা প্রবাহ কাল্পনিক)