Thread Rating:
  • 23 Vote(s) - 2.83 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
চাঁদের অন্ধকার_Written By Tumi_je_amar
#94
ডাঃ সুধীর রাও - মায়িল (৪৪)

তারপর দেখতে দেখতে সময় কেটে যায়।
প্রায় ছমাস পরে গণেশ রাও বাড়ির কাজ তখনকার মত
শেষ করেন। ওনার পক্ষে যতটা সম্ভব সেই
ভাবে দোতলার ঘর দুটোকে সাজিয়ে দেন।
বাথরুম বানানোও শেষ হয়। নিচের তলায় একটা
বাথরুম আর ওপরে আর একটা। তার পর যেদিন মায়িল
আর সুধীর বাড়িতে আসে, সবার খুব আনন্দ।
মায়িলও খুব খুশী। গণেশ রাওয়ের সব ভাইরা এসে
বাথরুম দেখে যায়। সবাই বলে খুব ভালো
হয়েছে। ওর এটাও বলে যে ওদের বাড়িতেও
এই রকম বাথরুম থাকা উচিত। শুধু কানিমলির কোন
আনন্দ হয় না।
মায়িল – পিসি বাথরুম কেমন লাগছে?
কানিমলি – দেখতে তো ভালোই, কিন্তু নোংরা
ফেলার জন্যে সোনার কুলোর কি দরকার বুঝি না
মায়িল – মানে?
কানিমলি – পায়খানা হল সব থেকে নোংরা জিনিস, তার
জন্যে এরকম শ্বেত পাথরের সিংহাসন কেন
বানালে সেটাই বুঝলাম না
মায়িল – এটা হাইজিনের জন্যে
কানিমলি – আমি মুখ্যু সুখ্যু মানুষ ওইসব হাইজিন ফাইজিন
বুঝি না। আমরা জানি নোংরা জিনিস নোংরা জায়গারেই
ফেলতে হয়। তারজন্যে রাজপ্রাসাদ বানানোর কি
যে দরকার
মায়িল – আচ্ছা পিসি আপনি বলুন আমাদের পায়খানা
নোংরা জিনিস
পিসি – হ্যাঁ
মায়িল – এতদিন কোথায় ফেলেন?
পিসি – ফেলবো কেন? ওখানে গিয়েই করি
মায়িল – সেটা কোথায়?
পিসি – ওই জঙ্গলে
মায়িল – সেখানে ওই নোংরার ওপর মাছি বসে?
পিসি – সেখানে মাছি বসবে না তো কি প্রজাপতি
বসবে?
মায়িল – সেই মাছি উড়ে এসে আপনাদের খাবারে
বসবে আর কঠিন কঠিন অসুখ হবে
পিসি – এতদিন তো আছি, কারো কিছু হয় নি তো
মায়িল – হয়নি ভালো কথা, কিন্তু হতেও তো পারে
পিসি – দেখো পয়সা থাকলে বিড়ালের বিয়েতেও
হাজার লোক খাওয়ানো যায়। আমাদের পয়সাও নেই
ওইসব বড়লোকি চালও নেই। আমরা এমনিই ভালো
আছি।
এরপর মায়িল হাল ছেড়ে দেয়। যার চোখের
চামড়াই নেই সে আবার চোখ বন্ধ করে ঘুমাবে
কি করে!
সেদিন ওরা একটা সমস্যায় পড়ে। বাড়িতে জল
ব্যবহার হয় বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে। খাবার
জল পায় গ্রামের টিউবওয়েল থেকে। সমস্যা হল
বাথরুম তো হল বাথরুমে জল কিভাবে নিয়ে যাবে।
সুধীর – এই ব্যাপারটাতো খেয়াল করিনি
মায়িল – সত্যি আমরা খুব বোকার মত কাজ করেছি।
সুধীর – জল কোথা থেকে আসবে সে
নিয়ে কিছু ভেবেই দেখি নি
গণেশ রাও – আমি তো ভেবেছি তোমরা বালতি
করে জল তুলে নেবে
সুধীর – সেটা তো করাই যাবে। কিন্তু চান করা বা
বাকি সব কিছুর জন্যে যত জল লাগে সব দোতলায়
তোলা অনেক খাটুনির।
গণেশ রাও – সেটা ঠিক। কিন্তু কি করা যাবে
মায়িল – পাম্প লাগাতে হবে
সুধীর – সে তো অনেক খরচ
মায়িল – সে আজ না হলেও ছমাস পরে হবে
গণেশ রাও – কিন্তু বাবা আমি তো আর টাকার
জোগাড় অতো সহজে করতে পারবো না
সুধীর – না না বাবা তোমাকে কিছু করতে হবে না
গণেশ রাও – তবে কি করে হবে?
মায়িল – বাবা আমি আর সুধীর ঠিক করেছি যে আমরা
টিউসনি বা অন্য কোন পার্ট টাইম কাজ করবো।
গণেশ রাও – তাতে পড়াশুনার অনেক ক্ষতি হবে
সুধীর – কিচ্ছু হবে না। আমি আগে অন্য একটা
জিনিসের জন্যে কাজ করবো ভেবে ছিলাম।
এখন না হয় আগে পাম্প লাগাবো। পরে অন্য
কোন কাজ হবে।
গণেশ রাও – তোমরা যা ভালো বোঝো
করো
Like Reply


Messages In This Thread
RE: চাঁদের অন্ধকার_Written By Tumi_je_amar - by FuckEr BoY - 01-12-2019, 09:47 AM



Users browsing this thread: 10 Guest(s)