29-11-2019, 08:35 PM
ডাঃ সুধীর রাও - মায়িল (৩৭)
ডাঃ ভাস্কর – কি ভালো লাগছে না আমাদের কথা?
সুধীর – না না ঠিক আছে
ডাঃ ভাস্কর – তবে চলে যাচ্ছ কেন?
সুধীর – আমার মনে হল আমি না থাকলে আপনারা
ঠিক মত কথা বলতে পারবেন।
ডাঃ ভাস্কর – তুমি না আমার মেয়ের সুখ দুঃখের
সাথী
সুধীর – হ্যাঁ তো
ডাঃ ভাস্কর – তবে তোমার সামনে আমাদের কেন
অসুবিধা হবে। আর তোমারও জানা উচিত ওর বাবা
কেমন। জানো আমি মেয়েকে একদম সময়
দিতে পারি না। গত ১৫ বছর ধরে আমাদের কথা শুধু
এই ডিনারের সময় হয়। মায়িল যা করেছে নিজে
করেছে। ও যা হয়েছে তাও নিজেই হয়েছে।
আমার কোন অবদান নেই বললেই চলে। আমি
শুধু খরচের ব্যাপারটাই সামলিয়েছি।
সুধীর – আমি জানি। মোটামুটি সব শুনেছি মায়িলের
কাছে।
ডাঃ ভাস্কর – শুনেছ, আজ দেখে নাও। দেখে
নাও তোমার বৌ কেমন হবে।
মায়িল – বাবা আমি আর সুধীর এক জঙ্গলের
মধ্যে শিব ঠাকুরের সামনে বিয়ে করেছি।
ডাঃ ভাস্কর – আমাকে ডাকলি না কেন? অবশ্য
ডাকলেও যেতে পারতাম না।
মায়িল – হঠাৎ করেছি
ডাঃ ভাস্কর – ভালো করেছিস মা। নিজের মন কে
কখনও বাধা দিবি না। কিন্তু মা সামাজিক বিয়েও তো
করতে হবে।
সুধীর – হ্যাঁ স্যার , সেটা আমরা আমি পাস করার
পরে করবো।
ডাঃ ভাস্কর – মায়িল তোমার বাবা মা কে কি বলে
ডাকে?
সুধীর – বাবা আর মা বলে
ডাঃ ভাস্কর – তবে তুমি আমাকে স্যার স্যার কেন
বলছ
সুধীর – মানে...
ডাঃ ভাস্কর – তুমিও আমাকে বাবা বলেই ডেকো
সুধীর – ঠিক আছে স্যার, না ঠিক আছে বাবা।
ডাঃ ভাস্কর – আমার এই একটাই মেয়ে। আমার
এতো বড় সম্পত্তির ও ছাড়া আর কোন
উত্তরাধিকার নেই। তোমাদের বিয়ের পরে ও যদি
তোমার সাথে গ্রামে গিয়ে থাকে তবে এই
জায়গার কি হবে?
সুধীর – সে মায়িল ঠিক করবে। আমি ওর সম্পত্তি
নিয়ে কিছু ভাবি না
ডাঃ ভাস্কর – কিন্তু তুমি মায়িলের দায়িত্ব নিলে ওর
সম্পত্তির দায়িত্বও নিতে হবে
সুধীর – যেদিন সে দরকার হবে, সেদিন মায়িল যা
চাইবে তাই হবে। তবে আমি দেখে রাখবো
কোন বাজে খরচা কেউ যেন না করে।
ডাঃ ভাস্কর – আমি নিশ্চিন্ত হলাম।
মায়িল – বাবা আমি আর সুধীর রাতে আমার ঘরেই
থাকবো
ডাঃ ভাস্কর – তুমি রাতে তোমার স্বামীর সাথে
থাকবে সেটাই নিয়ম। তার জন্যে অনুমতি নেবার
দরকার নেই।
সুধীর – বাবা আপনি আমাকে নিয়ে এতোটা
নিশ্চিন্ত কি করে হচ্ছেন।
ডাঃ ভাস্কর – মায়িল, আমার মেয়ে, কোনদিন ভুল
সিদ্ধান্ত নেয় না। তাও আমি ওকে সব সময়
সাপোর্ট করি।
সুধীর আবার প্রনাম করে ডাঃ ভাস্করকে। আরও
কিছু সময় গল্প করে ওরা শুতে চলে যায়।
ডাঃ ভাস্কর – কি ভালো লাগছে না আমাদের কথা?
সুধীর – না না ঠিক আছে
ডাঃ ভাস্কর – তবে চলে যাচ্ছ কেন?
সুধীর – আমার মনে হল আমি না থাকলে আপনারা
ঠিক মত কথা বলতে পারবেন।
ডাঃ ভাস্কর – তুমি না আমার মেয়ের সুখ দুঃখের
সাথী
সুধীর – হ্যাঁ তো
ডাঃ ভাস্কর – তবে তোমার সামনে আমাদের কেন
অসুবিধা হবে। আর তোমারও জানা উচিত ওর বাবা
কেমন। জানো আমি মেয়েকে একদম সময়
দিতে পারি না। গত ১৫ বছর ধরে আমাদের কথা শুধু
এই ডিনারের সময় হয়। মায়িল যা করেছে নিজে
করেছে। ও যা হয়েছে তাও নিজেই হয়েছে।
আমার কোন অবদান নেই বললেই চলে। আমি
শুধু খরচের ব্যাপারটাই সামলিয়েছি।
সুধীর – আমি জানি। মোটামুটি সব শুনেছি মায়িলের
কাছে।
ডাঃ ভাস্কর – শুনেছ, আজ দেখে নাও। দেখে
নাও তোমার বৌ কেমন হবে।
মায়িল – বাবা আমি আর সুধীর এক জঙ্গলের
মধ্যে শিব ঠাকুরের সামনে বিয়ে করেছি।
ডাঃ ভাস্কর – আমাকে ডাকলি না কেন? অবশ্য
ডাকলেও যেতে পারতাম না।
মায়িল – হঠাৎ করেছি
ডাঃ ভাস্কর – ভালো করেছিস মা। নিজের মন কে
কখনও বাধা দিবি না। কিন্তু মা সামাজিক বিয়েও তো
করতে হবে।
সুধীর – হ্যাঁ স্যার , সেটা আমরা আমি পাস করার
পরে করবো।
ডাঃ ভাস্কর – মায়িল তোমার বাবা মা কে কি বলে
ডাকে?
সুধীর – বাবা আর মা বলে
ডাঃ ভাস্কর – তবে তুমি আমাকে স্যার স্যার কেন
বলছ
সুধীর – মানে...
ডাঃ ভাস্কর – তুমিও আমাকে বাবা বলেই ডেকো
সুধীর – ঠিক আছে স্যার, না ঠিক আছে বাবা।
ডাঃ ভাস্কর – আমার এই একটাই মেয়ে। আমার
এতো বড় সম্পত্তির ও ছাড়া আর কোন
উত্তরাধিকার নেই। তোমাদের বিয়ের পরে ও যদি
তোমার সাথে গ্রামে গিয়ে থাকে তবে এই
জায়গার কি হবে?
সুধীর – সে মায়িল ঠিক করবে। আমি ওর সম্পত্তি
নিয়ে কিছু ভাবি না
ডাঃ ভাস্কর – কিন্তু তুমি মায়িলের দায়িত্ব নিলে ওর
সম্পত্তির দায়িত্বও নিতে হবে
সুধীর – যেদিন সে দরকার হবে, সেদিন মায়িল যা
চাইবে তাই হবে। তবে আমি দেখে রাখবো
কোন বাজে খরচা কেউ যেন না করে।
ডাঃ ভাস্কর – আমি নিশ্চিন্ত হলাম।
মায়িল – বাবা আমি আর সুধীর রাতে আমার ঘরেই
থাকবো
ডাঃ ভাস্কর – তুমি রাতে তোমার স্বামীর সাথে
থাকবে সেটাই নিয়ম। তার জন্যে অনুমতি নেবার
দরকার নেই।
সুধীর – বাবা আপনি আমাকে নিয়ে এতোটা
নিশ্চিন্ত কি করে হচ্ছেন।
ডাঃ ভাস্কর – মায়িল, আমার মেয়ে, কোনদিন ভুল
সিদ্ধান্ত নেয় না। তাও আমি ওকে সব সময়
সাপোর্ট করি।
সুধীর আবার প্রনাম করে ডাঃ ভাস্করকে। আরও
কিছু সময় গল্প করে ওরা শুতে চলে যায়।