28-11-2019, 08:17 AM
ডা ঃ সুধীর রাও - মায়িল (৩৪)
সারাদিন সুধীর মায়িলের বাড়িতেই কাটায়। ও মায়িলের
বাড়ির ঐশ্বর্য দেখে আর অবাক হয় না। প্রায়
প্রত্যেক ঘরেই এসি লাগানো। বাড়িতে ফার্নিচার
যে শ্বেতপাথরের হয় সেটা ও আগে জানত না।
বাড়ির চাকরদের ঘর গুলোও সুধীরদের বাড়ির
থেকে বেশী সাজানো।
অনেকের সাথেই দেখা হয়। মায়িলের সেই
পিসতুতো ভাই সুধীরের সামনেই মায়িলকে
জড়িয়ে ধরে আর চুমু খেতে যায়। মায়িল ওকে
ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়। রেগে হন হন
করে ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়। সুধীরও ওর
পেছন পেছন যায়। মায়িল বাগানে একটা শ্বেত
পাথরের বেঞ্চে গিয়ে বসে। সুধীরও গিয়ে
ওর পাশে বসে আর মায়িলের মাথা ওর কোলে
টেনে নেয়। মায়িল ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে চোখের
জল ফেলে। অনেকক্ষন কোন কথা হয় না
ওদের মধ্যে। সুধীর মায়িলের মাথায় হাত বুলিয়ে
দেয়। ওর হাত নিজের হাতে নিয়ে চুপ করে
সামনের গোলাপের ঝাড় দেখতে থাকে। বে
কিছু সময় চুপ করে থাকার পরে সুধীর কথা বলে।
সুধীর – এখন আমি তোকে বন্ধু হিসাবে বলছি
তাই তুই করে কথা বলি
মায়িল মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলে।
সুধীর – সামনের ওই গোলাপ গুলো দেখছিস?
মায়িল – হ্যাঁ
সুধীর – খুব সুন্দর ওই ফুল গুলো
মায়িল – হ্যাঁ
সুধীর – সব সময় ভোমরা এসে বসে
গোলাপের উপর
মায়িল – হ্যাঁ
সুধীর – তুইও ওই গোলাপের মতই সুন্দর
মায়িল – সেটাই তো সমস্যা
সুধীর – গোলাপ ভোমরা কে ভালোবাসে তাই
ভোমরা ওর উপর বসে। কিন্তু যাতে ভোমরা বা
প্রজাপতি ছাড়া অন্য কোন বড় প্রাণী ওর ওপর না
বসতে পারে তার জন্যে গোলাপের কাঁটা
আছে।
মায়িল – ভগবান সব সুন্দর জিনিসকেই নিজেকে
রক্ষা করার জন্যে কাঁটা দিয়েছেন।
সুধীর – সেটাই তো বলছি। ভগবান তোকেও
কাঁটা দিয়েছেন। কিন্তু তুই জানিস না সেই কাঁটা কি
করে ব্যবহার করতে হয়।
মায়িল – সত্যিই আমি জানি না কি করে কাঁটা কি করে
ব্যবহার করবো
সুধীর – এই তো এখনই সেই কাঁটা তোর
পিসতুতো ভায়ের সাথে ব্যবহার করলি।
মায়িল – আমি আর নিতে পারছিলাম না
সুধীর – কোন কুকুর যদি গোলাপের গায়ে হাত
দিতে যায়, ওর কাঁটার খোঁচা খেয়ে পালিয়ে যায়।
তাতে গোলাপ কিন্তু কাঁদে না।
মায়িল – গোলাপ কেন কাঁদবে!
সুধীর – তো তুই কেন কাঁদছিস?
মায়িল – তুই আমার জীবনে প্রজাপতি। আমি তুই দুঃখ
পেলি ভেবে কাঁদছিলাম।
সুধীর – কুকুর পালিয়ে গেলে প্রজাপতি আবার
গোলাপের উপর এসে বসে। প্রজাপতি ওই
কুকুরকে পাত্তাই দেয় না।
মায়িল – তুই দুঃখ পাসনি?
সুধীর – আমি কেন দুঃখ পাবো?
মায়িল – আমি তোকে খুব ভালোবাসি।
সুধীর – আমিও তোকে ভালোবাসি। শুধু তোর
এই প্রজাপতি ওর গোলাপের উপরই বসতে চায়।
বাগানে আরও অনেক সুন্দর ফুল থাকলেও সে
সব ফুল দেখে না।
মায়িল – আমিও ভাবি যে আমার প্রজাপতি ছাড়া আর
কাউকে আমার কাছে আসতে দেবো না। তবু
অন্য কোন পছন্দের পোকা মাকড় দেখলেই
আমি নিজেকে সামলাতে পারি না।
সুধীর – চেষ্টা কর শিখে যাবি
সারাদিন সুধীর মায়িলের বাড়িতেই কাটায়। ও মায়িলের
বাড়ির ঐশ্বর্য দেখে আর অবাক হয় না। প্রায়
প্রত্যেক ঘরেই এসি লাগানো। বাড়িতে ফার্নিচার
যে শ্বেতপাথরের হয় সেটা ও আগে জানত না।
বাড়ির চাকরদের ঘর গুলোও সুধীরদের বাড়ির
থেকে বেশী সাজানো।
অনেকের সাথেই দেখা হয়। মায়িলের সেই
পিসতুতো ভাই সুধীরের সামনেই মায়িলকে
জড়িয়ে ধরে আর চুমু খেতে যায়। মায়িল ওকে
ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয়। রেগে হন হন
করে ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়। সুধীরও ওর
পেছন পেছন যায়। মায়িল বাগানে একটা শ্বেত
পাথরের বেঞ্চে গিয়ে বসে। সুধীরও গিয়ে
ওর পাশে বসে আর মায়িলের মাথা ওর কোলে
টেনে নেয়। মায়িল ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে চোখের
জল ফেলে। অনেকক্ষন কোন কথা হয় না
ওদের মধ্যে। সুধীর মায়িলের মাথায় হাত বুলিয়ে
দেয়। ওর হাত নিজের হাতে নিয়ে চুপ করে
সামনের গোলাপের ঝাড় দেখতে থাকে। বে
কিছু সময় চুপ করে থাকার পরে সুধীর কথা বলে।
সুধীর – এখন আমি তোকে বন্ধু হিসাবে বলছি
তাই তুই করে কথা বলি
মায়িল মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলে।
সুধীর – সামনের ওই গোলাপ গুলো দেখছিস?
মায়িল – হ্যাঁ
সুধীর – খুব সুন্দর ওই ফুল গুলো
মায়িল – হ্যাঁ
সুধীর – সব সময় ভোমরা এসে বসে
গোলাপের উপর
মায়িল – হ্যাঁ
সুধীর – তুইও ওই গোলাপের মতই সুন্দর
মায়িল – সেটাই তো সমস্যা
সুধীর – গোলাপ ভোমরা কে ভালোবাসে তাই
ভোমরা ওর উপর বসে। কিন্তু যাতে ভোমরা বা
প্রজাপতি ছাড়া অন্য কোন বড় প্রাণী ওর ওপর না
বসতে পারে তার জন্যে গোলাপের কাঁটা
আছে।
মায়িল – ভগবান সব সুন্দর জিনিসকেই নিজেকে
রক্ষা করার জন্যে কাঁটা দিয়েছেন।
সুধীর – সেটাই তো বলছি। ভগবান তোকেও
কাঁটা দিয়েছেন। কিন্তু তুই জানিস না সেই কাঁটা কি
করে ব্যবহার করতে হয়।
মায়িল – সত্যিই আমি জানি না কি করে কাঁটা কি করে
ব্যবহার করবো
সুধীর – এই তো এখনই সেই কাঁটা তোর
পিসতুতো ভায়ের সাথে ব্যবহার করলি।
মায়িল – আমি আর নিতে পারছিলাম না
সুধীর – কোন কুকুর যদি গোলাপের গায়ে হাত
দিতে যায়, ওর কাঁটার খোঁচা খেয়ে পালিয়ে যায়।
তাতে গোলাপ কিন্তু কাঁদে না।
মায়িল – গোলাপ কেন কাঁদবে!
সুধীর – তো তুই কেন কাঁদছিস?
মায়িল – তুই আমার জীবনে প্রজাপতি। আমি তুই দুঃখ
পেলি ভেবে কাঁদছিলাম।
সুধীর – কুকুর পালিয়ে গেলে প্রজাপতি আবার
গোলাপের উপর এসে বসে। প্রজাপতি ওই
কুকুরকে পাত্তাই দেয় না।
মায়িল – তুই দুঃখ পাসনি?
সুধীর – আমি কেন দুঃখ পাবো?
মায়িল – আমি তোকে খুব ভালোবাসি।
সুধীর – আমিও তোকে ভালোবাসি। শুধু তোর
এই প্রজাপতি ওর গোলাপের উপরই বসতে চায়।
বাগানে আরও অনেক সুন্দর ফুল থাকলেও সে
সব ফুল দেখে না।
মায়িল – আমিও ভাবি যে আমার প্রজাপতি ছাড়া আর
কাউকে আমার কাছে আসতে দেবো না। তবু
অন্য কোন পছন্দের পোকা মাকড় দেখলেই
আমি নিজেকে সামলাতে পারি না।
সুধীর – চেষ্টা কর শিখে যাবি