Thread Rating:
  • 10 Vote(s) - 3.1 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
আমার বনিকথা (বাস্তবের সাথে মিল হলে কাকতালীয়)
#28
বনি নিরাশ করেনি। বেস উৎসাহ নিয়ে বললো " কবে আসবে বলো আমি জয়ন্তীতে এক দিন আর মূর্তি তে এক দিন করে হোমস্টের ব্যবস্থা করে দিবো"
আমি টেক্সট করলাম "ব্যবস্থা করলে হবে না তোমরাও চলো এক সাথে চলো তুমি গাইড করে দিবে। "
" আমাদের ও  অনেক দিন বেরোনো হয়নি কিন্তু হবে না গো দাদার অফিসে কাজের চাপ। " বনি পাঠালো
আমি অত সত জানিনা। তোমরাও যাচ্ছ ব্যাস। তাছাড়া আমরা তো সনি থেকে সোমবার অব্দি থাকবো। তোমরা না হয় রবি বার ফিরে এসো।
ঠিক আছে দেখছি হয় কি না।
দুই দিন পর বনি মেসেজ করলো ওরাও যাবে পাশাপাশি দুটো রুম সনি থেকে রবি, সোমবার ওরা ফিরে আসবে।
আমাদের একে অপরের আগে থেকেই চিনি তা যেনো আমাদের পরিবার ঘুনাক্ষরেও টের না পায়। পরিচয় পর্ব ওখানেই হবে।
আনন্দে ঘোরার ইচ্ছে দ্বিগুণ হয়ে গেলো। জো হুকুম ম্যাডাম বলে রিপ্লাই দিলাম। বনিকে বললাম শিলিগুড়ি নেমে এক সাথে গেলেই তো হয়!
বনি অসম্মত জানিয়ে বললো এই টুকু ধৈর্য নেই তাহলে প্রোগ্রাম বাতিল।
ना না ঠিক আছে আলাদা আলাদাই যাব বলে অফ লাইন হলাম।
যদিও আমার পড়াশুনা উত্তর বঙ্গে তবু প্রতিবার আলাদা আলাদা ভাবে উত্তর বঙ্গ খুঁজে পায়। চারি দিকে সবুজের সমারোহ। নিখুঁত পরিমাণ করে কাটা চা বাগান গুলিতে যেনো সবুজ গালিচা পাতা। সরু সরু নদী গুলো যেনো মনে হয় শুধু প্রকৃতির বুকে নকশা কাটার জন্যে সৃষ্টি হয়েছে। ইচ্ছে করে প্রতিটি নদী পায়ে হেঁটে পার করি।
আমাদের ট্রেন দেরি করে পৌঁছানোই জয়ন্ত পৌঁছাতে দেরি হয়। মাঝে বনি কে মেসেজ করেও রিপ্লাই পাইনি
বনির ঠিক করা  হোমস্টে পৌঁছাতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। আশ্রয়ে পৌঁছে দেখলাম খুব একটা ঝা চকচকে না হলেও বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। দুইতালা ঘর, নদীর ধারে না হলেও কাছেই। ওপরে 3 টে রুম। প্রথমটা আমাদের পাশের দুটি ঘরে তালা। বাড়ির মালিক বাঙালিকে বাকি সব খালি না বুক জানতে চাওয়াই বললেন আপনাদের দুটো ঘর পাশের টা ফাঁকা। আপনারা এলেন বনিতাদিরা কোথায়! একটা ধাক্কা খেলাম বুকে পেছনে ফিরে দেখলাম স্ত্রী ঘরে গেছে হয়তো কিছু শুনে নইলে কেলো কীর্তি হয়ে যেতো। বুঝলাম বনিরা আসেনি। মুখটা পাঁচের মতো করে বউ থেকে লুকিয়ে সিগারেট খাওয়ার জন্যে ছাদে গেলাম। ছাদ টা তিনটে রুম জুড়ে তাই খুব একটা বড়না। ছাদের এক কোনে বসার জন্যে লম্বা যায়গা। সিগারেট টা ধরিয়ে একটু সামনে আসতেই দেখতে পেলাম জয়ন্তি নদী জল নেই বললেই চলে, নদী লাগোয়া পাহাড়, মাঝে মাঝে কানে আসছে মৌযুরের কর্কশ আওয়াজ। বেস কিছু পর্যটক নদীর মাঝ বরাবর হেঁটে যাচ্ছে। সিগারেটা শেষ হইতেই নিচে ছুড়ে ফেলতে গিয়ে দেখলাম একটা গাড়ি থামল। একটা নীল শাড়ি গায়ে হাফ হাতা পিঠ কাটা  ব্রাউজ যাতে পিঠ আটোসাটো করে আটকানো বনি নেমে এলো
[+] 1 user Likes Nomansland's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: আমার বনিকথা (বাস্তবের সাথে মিল হলে কাকতালীয়) - by Nomansland - 23-11-2019, 09:51 PM



Users browsing this thread: 2 Guest(s)