21-11-2019, 07:19 AM
ডাঃ সুধীর রাও - মায়িল (২১)
ওরা বেলা দুটোর সময় রায়ডান্ডি পৌঁছায়।
বাড়িতে সুধীরের বাবা মা জানত যে সুধীর
আসবে কিন্তু ওরা জানত না মায়িলকে সাথে
নিয়ে গাড়িতে আসবে।
কঞ্জরি দেবী – ও মা তিন্নিকে সাথে নিয়ে
এসেছিস, এসো মা এসো।
গণেশ রাও – গাড়ি করে এতো দূর চালিয়ে
এলে?
সুধীর – এতো জিনিস কিভাবে আনবো ভেবে
পাচ্ছিলাম না। তাই মায়িল বলল ওর গাড়িতে
নিয়ে আসতে
গণেশ রাও – এতো টা রাস্তা কি তিন্নি
চালিয়ে আনলো?
মায়িল – আমি চালিয়েছি আর আপনার
ছেলেও চালিয়েছে
গণেশ রাও – ও আবার গাড়ি চালাতে জানে
নাকি
মায়িল – আমার গাড়িতেই চালানো
শিখেছে
কঞ্জরি দেবী - কি লক্ষ্মী মেয়ে আমার
সুধীর – আর ছেলেটা একটুও লক্ষ্মী না
কঞ্জরি দেবী - আমার ছেলে কেমন সেটা
কি আর আমি জানি না
গণেশ রাও – তাও তোমাদের এতোটা রাস্তা
গাড়ি চালিয়ে আসা উচিত হয়নি
মায়িল – বাবা আমি অনেকদিন ধরে গাড়ি
চালাই আর আমার এতো দুরের রাস্তায়
অভ্যেস আছে
গণেশ রাও – আগে যা করেছো সেটা
আলাদা। এখন আমার একটা দায়িত্ব আছে।
মায়িল – এই দায়িত্ব যদি আগে কেউ নিত
তবে আমি অন্য রকম হতাম
কঞ্জরি দেবী - আমাদের এই তিন্নিই ভালো
লেগেছে। এখন থেকে আমাদের কথা চিন্তা
করবে
মায়িল – ঠিক আছে মা। এই তুমি হাত মুখ ধুয়ে
নাও। তানিকে ওর খবর দিতে হবে।
সুধীর – এই যাচ্ছি। তুমিও হাত মুখ ধুয়ে
বিশ্রাম নাও।
কঞ্জরি দেবী – কিসের খবর
সুধীর – তানির একটা কাজের ব্যবস্থা
করেছি আমাদের কলেজে। পরশু ফেরার সময়
ওকে নিয়ে যাবো।
কঞ্জরি দেবী – খুব ভালো কথা
মায়িল – যাও তুমি তানিকে বলে এসো
কঞ্জরি দেবী – এই তোরা দুজন আগের বার
তুই তুই করে কথা বলছিলি। এবার তুমি করে
কথা বলছিস কেন?
মায়িল – তুমিই তো বললে বিয়ের পরে তুই
করে না বলতে
কঞ্জরি দেবী – সে তোদের বিয়ে হয়ে
গেছে নাকি?
সুধীর – হ্যাঁ, মানে না হয়নি। কিন্তু হবে তো।
মায়িল – আর মনে মনে আমরা তো স্বামী
স্ত্রী তাই।
কঞ্জরি দেবী – আমি বুঝি না বাবা তোদের
হাব ভাব
গণেশ রাও – সে সব ঠিক আছে। তুই করে কথা
বলো আর তুমি করে বলো, কিছুই যায় আসে
না। শুধু একে অন্যের প্রতি সন্মান আর
ভালোবাসা থাকলেই হল। তবে তোমাদের
মধ্যে এই ম্যাচিওরিটি আছে দেখে খুব
ভালো লাগলো।
সুধীর আর মায়িল দুজনেই বাবা মাকে প্রনাম
করে। সুধীর সব জিনিস পত্র নামিয়ে রাখে।
শেষ মায়িল ওদের শিব ঠাকুর আর মালা দুটো
নিয়ে ঘরে টেবিলে রাখে।
কঞ্জরি দেবী – এই পাথরটা কোথা থেকে
নিয়ে আসলি?
মায়িল – রাস্তায় এক জায়গায় থেমে
ছিলাম। সেখানে এই পাথরটা দেখে আমাদের
খুব ভালো লাগে। জঙ্গল থেকে ফুল নিয়ে
দুজনে এঁর পুজা করি। এই পাথরটা আমাদের
শিব ঠাকুর।
কঞ্জরি দেবী – শিব ঠাকুর তো ঠাকুরের
আসনেই রেখে দে।
মায়িল – ঠিক আছে মা।
ওরা বেলা দুটোর সময় রায়ডান্ডি পৌঁছায়।
বাড়িতে সুধীরের বাবা মা জানত যে সুধীর
আসবে কিন্তু ওরা জানত না মায়িলকে সাথে
নিয়ে গাড়িতে আসবে।
কঞ্জরি দেবী – ও মা তিন্নিকে সাথে নিয়ে
এসেছিস, এসো মা এসো।
গণেশ রাও – গাড়ি করে এতো দূর চালিয়ে
এলে?
সুধীর – এতো জিনিস কিভাবে আনবো ভেবে
পাচ্ছিলাম না। তাই মায়িল বলল ওর গাড়িতে
নিয়ে আসতে
গণেশ রাও – এতো টা রাস্তা কি তিন্নি
চালিয়ে আনলো?
মায়িল – আমি চালিয়েছি আর আপনার
ছেলেও চালিয়েছে
গণেশ রাও – ও আবার গাড়ি চালাতে জানে
নাকি
মায়িল – আমার গাড়িতেই চালানো
শিখেছে
কঞ্জরি দেবী - কি লক্ষ্মী মেয়ে আমার
সুধীর – আর ছেলেটা একটুও লক্ষ্মী না
কঞ্জরি দেবী - আমার ছেলে কেমন সেটা
কি আর আমি জানি না
গণেশ রাও – তাও তোমাদের এতোটা রাস্তা
গাড়ি চালিয়ে আসা উচিত হয়নি
মায়িল – বাবা আমি অনেকদিন ধরে গাড়ি
চালাই আর আমার এতো দুরের রাস্তায়
অভ্যেস আছে
গণেশ রাও – আগে যা করেছো সেটা
আলাদা। এখন আমার একটা দায়িত্ব আছে।
মায়িল – এই দায়িত্ব যদি আগে কেউ নিত
তবে আমি অন্য রকম হতাম
কঞ্জরি দেবী - আমাদের এই তিন্নিই ভালো
লেগেছে। এখন থেকে আমাদের কথা চিন্তা
করবে
মায়িল – ঠিক আছে মা। এই তুমি হাত মুখ ধুয়ে
নাও। তানিকে ওর খবর দিতে হবে।
সুধীর – এই যাচ্ছি। তুমিও হাত মুখ ধুয়ে
বিশ্রাম নাও।
কঞ্জরি দেবী – কিসের খবর
সুধীর – তানির একটা কাজের ব্যবস্থা
করেছি আমাদের কলেজে। পরশু ফেরার সময়
ওকে নিয়ে যাবো।
কঞ্জরি দেবী – খুব ভালো কথা
মায়িল – যাও তুমি তানিকে বলে এসো
কঞ্জরি দেবী – এই তোরা দুজন আগের বার
তুই তুই করে কথা বলছিলি। এবার তুমি করে
কথা বলছিস কেন?
মায়িল – তুমিই তো বললে বিয়ের পরে তুই
করে না বলতে
কঞ্জরি দেবী – সে তোদের বিয়ে হয়ে
গেছে নাকি?
সুধীর – হ্যাঁ, মানে না হয়নি। কিন্তু হবে তো।
মায়িল – আর মনে মনে আমরা তো স্বামী
স্ত্রী তাই।
কঞ্জরি দেবী – আমি বুঝি না বাবা তোদের
হাব ভাব
গণেশ রাও – সে সব ঠিক আছে। তুই করে কথা
বলো আর তুমি করে বলো, কিছুই যায় আসে
না। শুধু একে অন্যের প্রতি সন্মান আর
ভালোবাসা থাকলেই হল। তবে তোমাদের
মধ্যে এই ম্যাচিওরিটি আছে দেখে খুব
ভালো লাগলো।
সুধীর আর মায়িল দুজনেই বাবা মাকে প্রনাম
করে। সুধীর সব জিনিস পত্র নামিয়ে রাখে।
শেষ মায়িল ওদের শিব ঠাকুর আর মালা দুটো
নিয়ে ঘরে টেবিলে রাখে।
কঞ্জরি দেবী – এই পাথরটা কোথা থেকে
নিয়ে আসলি?
মায়িল – রাস্তায় এক জায়গায় থেমে
ছিলাম। সেখানে এই পাথরটা দেখে আমাদের
খুব ভালো লাগে। জঙ্গল থেকে ফুল নিয়ে
দুজনে এঁর পুজা করি। এই পাথরটা আমাদের
শিব ঠাকুর।
কঞ্জরি দেবী – শিব ঠাকুর তো ঠাকুরের
আসনেই রেখে দে।
মায়িল – ঠিক আছে মা।