15-11-2019, 08:46 AM
ডাঃ সুধীর রাও - মায়িল (০৫)
শনিবার ভোরবেলা বাসে করে মায়িল
সুধীরের সাথে ওর গ্রামে যায়। ঘণ্টা পাঁচেক
লাগে বাসে যেতে।
মায়িল – সব কিছু এতো সবুজ কেন? এখানে
থাকলে তো গ্রীন হাউস এফেক্ট হয়ে যাবে
সুধীর – এই সবুজ না থাকলে খাবে কি?
মায়িল – সেটা ঠিক, তাই বলে এতো সবুজ!
সুধীর – সারা পৃথিবী আগে এইরকমই সবুজ ছিল।
আমরা মানুষরাই পৃথিবীর সবুজ রঙ ধ্বংস করে
দিচ্ছি। গ্রীন হাউসে সবুজ রঙ বেশী বলে গরম
হয়। আর আমাদের পৃথিবীতে সবুজ কমে যাচ্ছে
বলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং হচ্ছে।
মায়িল – কিন্তু শহরের ইন্ডাস্ট্রি না থাকলে
উন্নতি হবে না
সুধীর – গাছের সবুজ রঙ না থাকলে মানুষ না
খেতে পেয়ে মরে যাবে।
মায়িল – পৃথিবীতে এতো জঙ্গল আছে কিছু
গাছ কাটলে খুব বেশী ক্ষতি হবে না
সুধীর – তুই বায়োলজি পড়েছিস?
মায়িল – এটা একটা আজব প্রশ্ন, ডাক্তারি
পড়ছি আর বায়োলজি পড়বো না!
সুধীর – ক্লাস সেভেন বা এইটে বায়োলজি
পড়তে গিয়ে প্রথমেই কি পড়েছিলাম?
মায়িল – সালোকসংশ্লেষ বা Photosynthesis
– গাছ ওর পাতায় জল আর কার্বন ডাই
অক্সাইড এর মধ্যে সূর্যের আলোর শক্তি বন্দী
করে খাবার বানায়। গাছের পাতায় সবুজ
রঙের ক্লোরোফিল থাকে যে এই বিক্রিয়ায়
অণুঘটকের কাজ করে।
সুধীর – মানুষ এখনও ল্যাবরেটরি তে
সালোকসংশ্লেষন করতে পারেনি। তাই
আমরা এখনও গাছের সবুজ রঙের ওপরই
নির্ভরশীল। গাছেরা যদি ধর্মঘট করে আমরা
না খেয়ে মরবো
মায়িল – আমাদের ভাগ্য ভালো যে গাছেরা
এখনও ধর্মঘট বোঝে না।
সুধীর – এবার তোর সবুজ ভালো লাগছে
কিনা?
মায়িল – আমি তো বলিনি আমার সবুজ
ভালো লাগে না। শুধু বলেছি এখানে শুধুই সবুজ
রঙ।
সুধীর – সন্ধ্যে বেলা তোকে আরও অনেক রঙ
দেখাবো
মায়িল – কোথায়?
সুধীর – ক্যানালের ধারে সূর্যাস্তের সময়
সুধীর মায়িলকে নিয়ে বাড়ি পৌঁছায়। ওর
বাবা মা ছেলের সাথে একটা মেয়ে দেখে
অবাক হয়ে যায়।
কঞ্জরি দেবী – সুধীর
সুধীর – মা এ হচ্ছে মায়িল। তোমাকে বলেছি
এর কথা। আমার বন্ধু
কঞ্জরি দেবী – ঠিক আছে, কিন্তু...
সুধীর – ও আমার সাথে গ্রাম দেখতে এসেছে
কঞ্জরি দেবী – গ্রামে আবার কি দেখার
আছে মা
মায়িল – মা আমি শহরের মেয়ে, কোনদিন
গ্রাম দেখিনি।
কঞ্জরি দেবী – তুমি আমাকে মা বললে?
মায়িল – আমার নিজের মা থেকেও নেই।
মায়ের ভালোবাসা কোনদিন বুঝতেই
পারিনি
কঞ্জরি দেবী – কেন মা তোমার মায়ের কি
হয়েছে?
মায়িল – আমার মা বাবার সাথে থাকে না।
কোথায় থাকে তাও জানি না। সুধীরের
সাথে এসেছি গ্রাম আর মা দেখার জন্যে
কঞ্জরি দেবী – তুমি আমাকে মা বলেই
ডেকো। আজ থেকে তুমিও আমার মেয়ে।
মায়িল কঞ্জরি দেবীকে প্রনাম করে।
কঞ্জরি দেবী ওকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। এমন
সময় গণেশ রাও আসেন। সুধীর ওর বাবার
সাথে মায়িলের পরিচয় করিয়ে দেয়। মায়িল
গণেশ রাও কেও প্রনাম করে।
গণেশ রাও – বেঁচে থাকো মা, আশীর্বাদ করি
বড় ডাক্তার হও
শনিবার ভোরবেলা বাসে করে মায়িল
সুধীরের সাথে ওর গ্রামে যায়। ঘণ্টা পাঁচেক
লাগে বাসে যেতে।
মায়িল – সব কিছু এতো সবুজ কেন? এখানে
থাকলে তো গ্রীন হাউস এফেক্ট হয়ে যাবে
সুধীর – এই সবুজ না থাকলে খাবে কি?
মায়িল – সেটা ঠিক, তাই বলে এতো সবুজ!
সুধীর – সারা পৃথিবী আগে এইরকমই সবুজ ছিল।
আমরা মানুষরাই পৃথিবীর সবুজ রঙ ধ্বংস করে
দিচ্ছি। গ্রীন হাউসে সবুজ রঙ বেশী বলে গরম
হয়। আর আমাদের পৃথিবীতে সবুজ কমে যাচ্ছে
বলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং হচ্ছে।
মায়িল – কিন্তু শহরের ইন্ডাস্ট্রি না থাকলে
উন্নতি হবে না
সুধীর – গাছের সবুজ রঙ না থাকলে মানুষ না
খেতে পেয়ে মরে যাবে।
মায়িল – পৃথিবীতে এতো জঙ্গল আছে কিছু
গাছ কাটলে খুব বেশী ক্ষতি হবে না
সুধীর – তুই বায়োলজি পড়েছিস?
মায়িল – এটা একটা আজব প্রশ্ন, ডাক্তারি
পড়ছি আর বায়োলজি পড়বো না!
সুধীর – ক্লাস সেভেন বা এইটে বায়োলজি
পড়তে গিয়ে প্রথমেই কি পড়েছিলাম?
মায়িল – সালোকসংশ্লেষ বা Photosynthesis
– গাছ ওর পাতায় জল আর কার্বন ডাই
অক্সাইড এর মধ্যে সূর্যের আলোর শক্তি বন্দী
করে খাবার বানায়। গাছের পাতায় সবুজ
রঙের ক্লোরোফিল থাকে যে এই বিক্রিয়ায়
অণুঘটকের কাজ করে।
সুধীর – মানুষ এখনও ল্যাবরেটরি তে
সালোকসংশ্লেষন করতে পারেনি। তাই
আমরা এখনও গাছের সবুজ রঙের ওপরই
নির্ভরশীল। গাছেরা যদি ধর্মঘট করে আমরা
না খেয়ে মরবো
মায়িল – আমাদের ভাগ্য ভালো যে গাছেরা
এখনও ধর্মঘট বোঝে না।
সুধীর – এবার তোর সবুজ ভালো লাগছে
কিনা?
মায়িল – আমি তো বলিনি আমার সবুজ
ভালো লাগে না। শুধু বলেছি এখানে শুধুই সবুজ
রঙ।
সুধীর – সন্ধ্যে বেলা তোকে আরও অনেক রঙ
দেখাবো
মায়িল – কোথায়?
সুধীর – ক্যানালের ধারে সূর্যাস্তের সময়
সুধীর মায়িলকে নিয়ে বাড়ি পৌঁছায়। ওর
বাবা মা ছেলের সাথে একটা মেয়ে দেখে
অবাক হয়ে যায়।
কঞ্জরি দেবী – সুধীর
সুধীর – মা এ হচ্ছে মায়িল। তোমাকে বলেছি
এর কথা। আমার বন্ধু
কঞ্জরি দেবী – ঠিক আছে, কিন্তু...
সুধীর – ও আমার সাথে গ্রাম দেখতে এসেছে
কঞ্জরি দেবী – গ্রামে আবার কি দেখার
আছে মা
মায়িল – মা আমি শহরের মেয়ে, কোনদিন
গ্রাম দেখিনি।
কঞ্জরি দেবী – তুমি আমাকে মা বললে?
মায়িল – আমার নিজের মা থেকেও নেই।
মায়ের ভালোবাসা কোনদিন বুঝতেই
পারিনি
কঞ্জরি দেবী – কেন মা তোমার মায়ের কি
হয়েছে?
মায়িল – আমার মা বাবার সাথে থাকে না।
কোথায় থাকে তাও জানি না। সুধীরের
সাথে এসেছি গ্রাম আর মা দেখার জন্যে
কঞ্জরি দেবী – তুমি আমাকে মা বলেই
ডেকো। আজ থেকে তুমিও আমার মেয়ে।
মায়িল কঞ্জরি দেবীকে প্রনাম করে।
কঞ্জরি দেবী ওকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। এমন
সময় গণেশ রাও আসেন। সুধীর ওর বাবার
সাথে মায়িলের পরিচয় করিয়ে দেয়। মায়িল
গণেশ রাও কেও প্রনাম করে।
গণেশ রাও – বেঁচে থাকো মা, আশীর্বাদ করি
বড় ডাক্তার হও