08-11-2019, 03:35 PM
ডাঃ সুধীর রাও (১১)
সুধীর প্রায় প্রতি মাসেই বাড়ি যায় এখন।
সুধীর যে দুদিন বাড়িতে থাকে কঞ্জরি
দেবী ছেলেকে চোখের সামনে থেকে
কোথাও যেতে দেন না। পাড়লে উনি ছেলে
কে সারাক্ষন কোলে করেই রেখে দেন।
গ্রামে ফিরে আসলে সুধীরের এখন একটাই
সমস্যা – সকালের প্রাতঃকৃত্য করা। গ্রামে
কারো বাড়িতেই টয়লেট বলে কিছু নেই।
সবাই সকালে জঙ্গলে যায়। আর ক্যানেলে
চান করে। সুধীরের ক্যানেলে চান করতে
কোন অসুবিধা হয় না। এতদিন সুধীর জঙ্গলেই
পটি করতে যেত। কিন্তু এখন হোস্টেলে থেকে
ওর টয়লেটের অভ্যেস হয়ে গেছে। জঙ্গলে
ছেলেদের আর মেয়েদের জায়গা আলাদা।
সেরকম কোন পাঁচিল দিয়ে ভাগ করা না
থাকলেও ছেলেরা বা মেয়েরা একে অন্যের
দিকে যায় না। তাও গ্রামের লোকজনের
মধ্যে পটি করার সময় নগ্নতা খুবই সাধারণ
ব্যাপার। ক্যানেলেও ছেলেদের আর
মেয়েদের চানের জায়গা আলাদা করে
দেওয়া আছে।
হোস্টেলে গিয়ে সুধীরের একটা খারাপ
অভ্যেস হয়েছে, সেটা হল সিগারেট খাওয়া।
গ্রাম ছাড়ার প্রায় এক বছর পরে একবার ও
বাড়ি গিয়েছে। কানিমলি সুধীরের সাথে
দেখা করতে আসে।
কানিমলি – কেমন আছিস সুধীর?
সুধীর – ভালোই আছি
কানিমলি – সেতো ভালো থাকবিই। সব
বড়লোকের ছেলে মেয়েদের সাথে থাকিস।
ভালো ভালো খাওয়া দাওয়া করিস। ভালো
থাকবি না কেন?
সুধীর – পিসি এইভাবে কথা বলছ কেন?
কানিমলি – আমাদের তো কষ্টের সংসার
বাবা। আর চালাতে পারছি না।
সুধীর – আমার ভাই বোনেরা সব কি করে?
কানিমলি – তোর ভাই গুলো চাষের কাজ
করে, আর কি করবে
সুধীর – আর বোন গুলো?
কানিমলি – সব কটা অকাজের মেয়ে। কোন
কাজ করে না, সারাদিন ঘুরে বেড়ায়।
সুধীর – কিছু কাজ করলেই পারে
কানিমলি – কি করবে
সুধীর – একটু ভেবে দেখি ওরা কিছু করতে
পারে কি না
কানিমলি – তুই এবার তানি কে সাথে নিয়ে
যা
সুধীর – আমার সাথে নিয়ে গিয়ে কি করব?
কানিমলি – তুই যেখানে থাকিস সেখানে
রান্না, ঘর পরিস্কার করার জন্যে তো
কাউকে লাগে। তানি অইসব করতে পারবে।
সুধীর – পিসি আমি হোস্টেলে থাকি।
একসাথে ১৫০ জন ছেলে মেয়ে থাকি। সবার
রান্না একসাথে হয়। সবার ঘর পরিস্কারের
জন্যেও লোক আছে।
কানিমলি – দেখ না বাবা সেইখানে কাজের
জন্যে আমার মেয়ে গুলোকে নিয়ে যেতে
পারিস কিনা।
সুধীর – ঠিক আছে আমি হোস্টেলে গিয়ে
খোঁজ নেবো।
সুধীর প্রায় প্রতি মাসেই বাড়ি যায় এখন।
সুধীর যে দুদিন বাড়িতে থাকে কঞ্জরি
দেবী ছেলেকে চোখের সামনে থেকে
কোথাও যেতে দেন না। পাড়লে উনি ছেলে
কে সারাক্ষন কোলে করেই রেখে দেন।
গ্রামে ফিরে আসলে সুধীরের এখন একটাই
সমস্যা – সকালের প্রাতঃকৃত্য করা। গ্রামে
কারো বাড়িতেই টয়লেট বলে কিছু নেই।
সবাই সকালে জঙ্গলে যায়। আর ক্যানেলে
চান করে। সুধীরের ক্যানেলে চান করতে
কোন অসুবিধা হয় না। এতদিন সুধীর জঙ্গলেই
পটি করতে যেত। কিন্তু এখন হোস্টেলে থেকে
ওর টয়লেটের অভ্যেস হয়ে গেছে। জঙ্গলে
ছেলেদের আর মেয়েদের জায়গা আলাদা।
সেরকম কোন পাঁচিল দিয়ে ভাগ করা না
থাকলেও ছেলেরা বা মেয়েরা একে অন্যের
দিকে যায় না। তাও গ্রামের লোকজনের
মধ্যে পটি করার সময় নগ্নতা খুবই সাধারণ
ব্যাপার। ক্যানেলেও ছেলেদের আর
মেয়েদের চানের জায়গা আলাদা করে
দেওয়া আছে।
হোস্টেলে গিয়ে সুধীরের একটা খারাপ
অভ্যেস হয়েছে, সেটা হল সিগারেট খাওয়া।
গ্রাম ছাড়ার প্রায় এক বছর পরে একবার ও
বাড়ি গিয়েছে। কানিমলি সুধীরের সাথে
দেখা করতে আসে।
কানিমলি – কেমন আছিস সুধীর?
সুধীর – ভালোই আছি
কানিমলি – সেতো ভালো থাকবিই। সব
বড়লোকের ছেলে মেয়েদের সাথে থাকিস।
ভালো ভালো খাওয়া দাওয়া করিস। ভালো
থাকবি না কেন?
সুধীর – পিসি এইভাবে কথা বলছ কেন?
কানিমলি – আমাদের তো কষ্টের সংসার
বাবা। আর চালাতে পারছি না।
সুধীর – আমার ভাই বোনেরা সব কি করে?
কানিমলি – তোর ভাই গুলো চাষের কাজ
করে, আর কি করবে
সুধীর – আর বোন গুলো?
কানিমলি – সব কটা অকাজের মেয়ে। কোন
কাজ করে না, সারাদিন ঘুরে বেড়ায়।
সুধীর – কিছু কাজ করলেই পারে
কানিমলি – কি করবে
সুধীর – একটু ভেবে দেখি ওরা কিছু করতে
পারে কি না
কানিমলি – তুই এবার তানি কে সাথে নিয়ে
যা
সুধীর – আমার সাথে নিয়ে গিয়ে কি করব?
কানিমলি – তুই যেখানে থাকিস সেখানে
রান্না, ঘর পরিস্কার করার জন্যে তো
কাউকে লাগে। তানি অইসব করতে পারবে।
সুধীর – পিসি আমি হোস্টেলে থাকি।
একসাথে ১৫০ জন ছেলে মেয়ে থাকি। সবার
রান্না একসাথে হয়। সবার ঘর পরিস্কারের
জন্যেও লোক আছে।
কানিমলি – দেখ না বাবা সেইখানে কাজের
জন্যে আমার মেয়ে গুলোকে নিয়ে যেতে
পারিস কিনা।
সুধীর – ঠিক আছে আমি হোস্টেলে গিয়ে
খোঁজ নেবো।