Thread Rating:
  • 23 Vote(s) - 2.83 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
চাঁদের অন্ধকার_Written By Tumi_je_amar
#12
ডাঃ সুধীর রাও (০৩)

সদানন্দ রাও – গণেশ, এক্ষুনি এসো এখানে
গণেশ – কি বাবা
সদানন্দ রাও – তুমি আজ ধানের চারা লাগিয়েছ?
গণেশ – হ্যাঁ বাবা, একটু ভুল হয়ে গেছে
সদানন্দ রাও – কাল থেকে তুমি চাষের কাজে
যাবে না
গণেশ – আমি সাবধান থাকবো বাবা, আর এই ভুল
করবো না।
সদানন্দ রাও – আমি তোমাকে চাষের কাজে
যেতে নিষেধ করেছি।
গণেশ – ঠিক আছে।
সদানন্দ রাও – রোজ সকালে কাজে না গিয়ে ঠিক
করে পড়াশুনা করবে। আমি আগেও বলেছি,
আবারো বলছি তোমাকে পড়াশুনা করে ডাক্তার
হতে হবে।
গণেশ – চেষ্টা করছি বাবা।
সদানন্দ রাও – চেষ্টা করছি না। তোমাকে ডাক্তার
হতেই হবে। তোমার ধান লাগানো ভুল হলে আমি
কিছু বলবো না। কিন্তু ডাক্তার না হলে আমার মরা মুখ
দেখবে।
সদানন্দ রাও বৌকে ডেকে বলে দেন পরদিন
থেকে গণেশ যেন জমিতে কাজে না যায়। আর
ওকে যেন রোজ আধসের করে দুধ বেশী
দেওয়া হয়। কানিমলি বাবাকে কিছু বলতে পারে না।
কিন্তু মনে মনে আরও ক্ষেপে যায়।
এমনিতেই অন্ধ্রের সবাই বেশ কালো। তার
মধ্যে আমাদের কানিমলির চেহারা আরও বৈশিষ্ট্য
পূর্ণ ছিল। ও জমিতে যেমন খাটতে পারতো,
খেতও সেইরকম। প্রায় ছ ফিট লম্বা ১৫০
কেজিরও বেশী ওজনের চেহারা। তার ওপর
সামনের তিনটে দাঁত উঁচু হয়ে মুখ থেকে
বেরিয়ে থাকে। ওকে দেখেই গ্রামের বাচ্চারা
ভয়ে পালিয়ে যায়।
এই ভাবে দিন কেটে যায়। গণেশ রাও ডাক্তারি
পড়তে পারে না। ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ
করতে পারে না। বাবার পা ধরে কেঁদে কেঁদে
ক্ষমা চায়। সদানন্দ রাও যতই কঠোর মানুষ হোক না
কেন এই ছেলেকে খুব ভালবাসতেন।
ছেলের সাথে সাথে উনিও কাঁদেন।
গণেশ – বাবা আমি প্রতিজ্ঞা করছি আমার ছেলে বা
মেয়ে যাই হোক তাকে আমি ডাক্তার বানাবো।
সদানন্দ রাও – আমি ছেলেকে ডাক্তার বানাতে
পারলাম না, তোমাকে আশীর্বাদ করি তুমি সফল হও।
গণেশ – বাবা আমি এখানকার কলেজে শিক্ষকতা
করবো। আমার ছেলে মেয়ে হলে তাকে
আমি প্রথম থেকে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই
পড়াবো।
কানিমলি আরও ক্ষেপে যায়। বাবার ভয়ে সামনে
বেশী কিছু বলতে পারে না। কিন্তু বাবার আড়ালে
গণেশকে ডাক্তারবাবু বলে ডাকে।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: চাঁদের অন্ধকার_Written By Tumi_je_amar - by FuckEr BoY - 03-11-2019, 07:56 AM



Users browsing this thread: 11 Guest(s)