Thread Rating:
  • 12 Vote(s) - 3.42 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery অভিশপ্ত ডায়েরী by subha chatterje completed
#63
পর্ব ২১- সুড়ঙ্গঃ

বেশকিছুক্ষন বাহিরমহলে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে বংশী। এক রাজকীয় পোশাক ও খড়ম পড়ে গটগট শব্দ করতে করতে এগিয়ে আসে সুপ্রতীক। সুপ্রতীকের ওই বেশ দেখেই বংশী বুঝে যায়, সুপ্রতীক্ আজ সিলিং সাহেবের সাথে দেখা করতে যাচ্ছে। বংশী সুপ্রতীকের দিকে এগিয়ে যায়।
সুপ্রতীকঃ বংশী, তুমি জমিদারবাড়িতেই থাকো। আমি একবার গ্রাম থেকে ঘুরে আসছি। সাথে ২-৩ জনকে নিয়ে যাচ্ছি, চিন্তার কোনও কারন নেই। এই মুহূর্তে জমিদারবাড়িতে কড়া নিরাপত্তার দরকার, আমি নিজেই নিজেকে নিরাপদে রাখতে পারি।
সুপ্রতীকের কথা শুনে বংশী একটু থমকে দাঁড়ায়। পেছন থেকে আতরের সুমিষ্ট গন্ধ ভেসে আসছে, বংশী এই গন্ধ খুব ভালো করে চেনে। ও জানে মালা অন্দরমহলের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। মনে মনে বংশী ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে “ভগবান এই চরম সঙ্কটে ও যেন ব্লাউজটা পড়তে ভুলে যায়” বংশী, সুপ্রতীকের দিকে তাকিয়ে উত্তর দেয়
বংশীঃ আপনি নিশ্চিন্তে যান জমিদারবাবু। জমিদারবাড়ির নিরাপত্তায় আমি নিজের প্রান অর্পণ করেছি। আপনি নিশ্চিন্তে যান।
বংশীর মুখে এই কথা শুনে, সুপ্রতীক আবার একবার পেছনে ঘুরে এসে বংশীর মুখোমুখি দাঁড়ায়।
সুপ্রতীকঃ বংশী, রণকৌশল ও যুদ্ধের পারদর্শিতায় তোমার কোনও তুলনা হয়না। জঙ্গলের ওই অন্ধকার জীবন থেকে নিয়ে এসে আমি তোমাকে তোমার সাথীদের সুস্থ জীবন উপহার দিয়েছি। তোমাকে যোগ্য সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আজ তোমাদের সব কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার সময় বংশী।
সুপ্রতীক বংশীর দুই হাত শক্ত করে চেপে ধরে। প্রত্তুত্তরে বংশীও মাথা ঝুকিয়ে নিজের আনুগত্য প্রকাশ করে। হন্তদন্ত করে সুপ্রতীক নিজের ঘোড়ার গাড়ি চেপে সাথে আরও ৩ জন লাঠিয়ালকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। বংশীর মন এখন কয়েক হাত পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা মালার দিকে রয়েছে। বংশী আর কোনও চিন্তা না করে সোজা অন্দরমহলে প্রবেশ করে। মালা হয়ত ভাবতেও পারেনি, বংশী এতো দ্রুত অন্দরমহলে প্রবেশ করে যাবে। বংশীর নজর সোজা মালার উন্নত দুই বক্ষের দিকে। বংশী মনেমনে একবার ভগবানকে ধন্যবাদ জানায়। পাতলা ফিনফিনে শাড়িটায় মিঠে নতুন ভোরের আলো পড়ে বুকের কালো বোঁটা গুলো অনেক বেশি সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মালা যে বংশীর এই নজরটা লক্ষ্য করেনা তা নয়, তবে যেহেতু ও সামান্য লাঠিয়াল তাই নিজের মনের ভুল ভেবে উপেক্ষা করে যায়। বংশীর দিকে তাকিয়ে মালা বলে ওঠে
মালাঃ বংশী আমার সাথে ভেতরে চল তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
নিজের কথা শেষ করে মালা হেঁটে ভেতরে যেতে শুরু করে। বংশী মালাকে অনুসরন করে। আজ এতদিন বাদে বারবার করে মালার মনে এই ধারনা বদ্ধমূল হচ্ছে যে বংশীর নজরটা সত্যি ই ওর শরীরের দিকে রয়েছে। জমিদারের এই চরম সংকটময় মুহূর্তে বংশী আসলে এতটাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে যে ওর খেয়াল ই নেই, ওর এই শকুনের মত তীব্র কুনজরের ব্যাপারে মালাও ধীরে ধীরে জ্ঞাত হচ্ছেন। চোখের সামনে দুদিকে দোদুল্যমান দুই ভারী নিতম্ব ও প্রায় নগ্ন মসৃণ পিঠ দেখতে পেলে কোন পুরুষ ই বা নিজেকে সংবরন করতে পারে। বারান্দায় এসে মালা বংশীর দিকে ফিরে বলে ওঠে “তুমি ওই দিকটায় গিয়ে দাঁড়াও, আমি একটু ভেতর থেকে আসছি” মালার এই সামান্য ইশারাই বংশীর কাছে এটা বোঝার জন্য যথেষ্ট ছিল যে মালা ওর নজরের ব্যাপারে জ্ঞাত হয়েছে ও ভেতরে গিয়ে একটা ব্লাউজ পড়ে তবেই আসবে। বংশী সোজা এগিয়ে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। বেশ কিছুক্ষন পর একটা সবুজ রঙের ব্লাউজ পড়ে মালা বেরিয়ে আসে ও বংশীর কাছে এসে দাঁড়ায়।
মালাঃ যা যা হয়েছে সব আমায় বল বংশী। কিছু লুকাবেনা আমার কাছে। তার জন্য যা উপঢৌকন দরকার তা আমি তোমায় দেবো।
মালার হৃদয়ের এই ব্যাকুলতা দেখে বংশী বুঝে যায়, মালাকে এবার নিজের ফাঁদে ফেলার ব্যাবস্থা করে ফেলতে হবে। বেশ কিছুক্ষন চিন্তা করে বংশী বলে ওঠে
বংশীঃ রানীমা, সমস্ত ব্যাপারটা খুব জটিল হয়ে গেছে। সিলিং সাহেবের ভাই খুন হয়েছে আর লাশ পাওয়া গেছে জমিদারবাড়ি লাগোয়া মাঠে। অর্থাৎ সমস্ত অভিযোগের তীর এই মুহূর্তে আমাদের দিকে। এদিকে আমরা না তো বিদ্রোহীদের না তো গ্রামের মানুষের কোনও সাহায্য পাবো। এই মুহূর্তে আমাদের সামনে খুব বিপদ। জানিনা কি করে এই অবস্থা থেকে আমরা বেরিয়ে আসব। আমাদের কাছে লড়াই করার মত সেরকম অস্ত্র ও নেই।
বংশীকে কথা শেষ করতে না দিয়েই মালা বলে ওঠে
মালাঃ বংশী, এতো বড় নীচ কাজটা করল কে? কিকরে মানুষ একটা বাচ্চাকে হত্যা করতে পারে?
বংশীঃ রানীমা, আমাদের কাছে এই মুহূর্তে একটাই উপায়, প্রকৃত দোষীকে খুঁজে বার করে সিলিং সাহেবের হাতে তুলে দেওয়া অথবা হত্যার দায় নিজের মাথায় নিয়ে নেওয়া।
বংশীর কথা শেষ হওয়ার আগেই পেছন থেকে কেউ ডেকে ওঠে “রানীমা আমায় ডেকেছেন?” বংশী পিছন ঘুরে দেখে নায়েবমশাই দাঁড়িয়ে আছেন। মালা ইশারা করে বংশীকে ওখান থেকে চলে যেতে বলেন। বংশীও দ্রুত প্রস্থান করে ওখান থেকে।
ওদিকে ঘোড়ার গাড়ি চেপে ততক্ষনে সুপ্রতীক গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করে গেছে। সুপ্রতীক নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছেনা, চারিদিকে শুধুই আগুন আর পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্রের ছাই। একটাও বাড়ি, একটাও ধানের গোলা বেঁচে নেই। চারপাশ থেকে শুধুই কান্না আর হাহাকারের কলরব ভেসে আসছে। গাড়িটা যতই গ্রামের মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে ততই মানুষের অভিশাপ ভেসে আসছে। “অত্যাচারী জমিদার আজ তোর জন্যই আমাদের এই অবস্থা। একদিন তোর অবস্থা আমাদের চেয়েও শোচনীয় হবে” এই কথাগুলো সুপ্রতীক সত্যি ই সহ্য করতে পারছিলনা। কতগুলো গ্রাম যে ও অতিক্রম করে চলে এসেছে তা ওর খেয়াল ও নেই। বহুদুরে দেখা যাচ্ছে প্রচুর মানুষের জটলা ও বেশকিছু লাল পোশাক পরিহিত সৈন্য। সুপ্রতীক বুঝে যায়, সিলিং সাহেব ওখানেই আছে। দ্রুত গাড়িটা চালিয়ে ওইদিকে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রতীক। চালক প্রচণ্ড জোরে জোরে ঘোড়ার গায়ে চাবুক মারতে শুরু করে। সুপ্রতীকের মনে হচ্ছিল কেউ যেন চাবুক টা ওর ই পিঠে মারছে। জটলার কাছে গিয়ে গাড়িটা দাঁড়ায়, গাড়ি থেকে নেমে আসে সুপ্রতীক। ওর অনুমান সঠিক ছিল, ওখানে দাঁড়িয়েই সিলিং সাহেব নিজের সৈন্যদের আদেশ দিচ্ছেন সমস্ত বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিতে। দ্রুত সুপ্রতীক এগিয়ে যায় সিলিং সাহেবের কাছে। সুপ্রতীক কে দেখে প্রথমে কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও প্রচণ্ড জোরে গর্জন করে কিছুটা ইংরেজি ও কিছুটা বাংলা মিশিয়ে সিলিং সাহেব বলে ওঠে
সিলিং সাহেবঃ একটা বাচ্চা ছেলেকে মেরে ফেললে? ও কার কি ক্ষতি করেছিল? তোমার একজন প্রজাও বাচবেনা। যাদের জন্য তুমি আমার ভাইকে হত্যা করেছ তাদের আগে আমি শেষ করব তারপর তোমায়।
সুপ্রতীক জানে এই মুহূর্তে সিলিং সাহেবকে বুঝিয়ে কোনও লাভ নেই। যেভাবে হোক গ্রামের মানুষগুলোকে বাঁচাতে হবে। সুপ্রতীক ও প্রচণ্ড চিৎকার করে বলে ওঠে
সুপ্রতীকঃ আপনার শত্রুতা আমার সাথে, এদের সাথে নয়। ক্ষতি করার হলে আমার করুন, এদের নয়।
সুপ্রতীকের এই ঔদ্ধত্যে সিলিং সাহেব রাগে ফুঁসতে থাকেন। বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর উনি উত্তর দেন
সিলিং সাহেবঃ ঠিক ই বলেছ তুমি। বড়লাটের কাছে খবর গেছে। উনি অনুমতি দিলেই যুদ্ধ হবে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও তুমি।
নিজের কথা শেষ করেই সিলিং সাহেব নিজের সমস্ত সৈন্য নিয়ে ওখান থেকে প্রস্থান করেন। সুপ্রতীক বুঝে যায় এইমুহূর্তে ওর সামনে চরম সঙ্কট। যেভাবে হোক এই সংকটময় অবস্থা থেকে ওকে বেরিয়ে আসতে হবে। সুপ্রতীক ও দ্রুত জমিদারবাড়িতে ফেরার জন্য আদেশ দেন। অল্প কিছুসময়ের মধ্যেই সুপ্রতীক জমিদারবাড়িতে ফিরে আসেন।
সুপ্রতীক কে দেখে বংশী সামনে এগিয়ে যায়। সুপ্রতীক শুধু “বংশী ভেতরে এসো, আর নায়েবমশাইকেও ডেকে নাও” বলে ভেতরে প্রবেশ করেন। নায়েবমশাই ভেতরেই ছিলেন, বংশী সুপ্রতীককে অনুসরন করে ভেতরে প্রবেশ করে। ভেতরে বৈঠকখানায় বংশী, নায়েবমশাই ও সুপ্রতীক প্রবেশ করে।
সুপ্রতীকঃ সিলিং সাহেব যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে চলেছেন। আমাদের ও প্রস্তুতি নিতে হবে। হয়ত উনি আজ ই জমিদারবাড়ি আক্রমন করতে পারে। নায়েবমশাই আমি আপনাকে যে বন্দুক ও কার্তুজ কেনার কথা বলেছিলাম তার কি হোল।
নায়েবমশাইঃ জমিদারবাবু আমার তো সবকিছু জোগাড় করতে প্রায় সন্ধে হয়ে যাবে। আজ যদি না পাই তো কাল সকালে অবশ্যই পেয়ে যাবো। কিন্তু জমিদার বাবু, বন্দুকটা ধরবে কে? (বংশীর দিকে ইঙ্গিত করে) এরা তো সব লাঠি ই ধরতে জানে।
সুপ্রতীকঃ আমি জানি বন্দুক চালাতে। ওরা বীর, ওদের শেখাতে সময় লাগবেনা। যদি কোনওরকমে বিদ্রোহী সৈন্যদের সাহায্যটা পেয়ে যেতাম, খুব ভালো হত। বংশী তোমায় এই যুদ্ধে সেনাপতির দায়িত্ব নিতে হবে। তোমার চেয়ে পারদর্শী এব্যাপারে দ্বিতীয় কেউ নেই। তুমি তোমার মতামত আমায় জানাও।
বংশীঃ আমি লড়তে বা মরতে ভয় পাইনা। আর এটা আপনার ভুল ধারনা নায়েবমশাই, আমরাও বন্দুক চালাতে শিখেছি। টাকার অভাবে কখনো বন্দুক ব্যাবহার করতে পারিনি। কিন্তু আমি চিন্তা করছি অন্য একটা ব্যাপার নিয়ে। ছোট মুখে বড় কথা হয়ে যাবে, কিন্তু আপনি যদি অভয় দেন তো আমি তাহলে নিজের কিছু মতামত আপনাকে জানাতে চাই।
সুপ্রতীকঃ তুমি নিশ্চিন্তে তোমার মত ব্যাক্ত কর বংশী। আমি মন দিয়ে শুনছি।
বংশীঃ জমিদারবাবু, যুদ্ধে যাওয়ার আগে আমাদের প্রতিপক্ষের লক্ষ্য কি তা বুঝতে হবে। সিলিং সাহেব আপনাকে তো যেকোনো মুহূর্তেই যুদ্ধে পরাস্ত করতে পারেন। ওরা ব্রিটিশ, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী জাত, ওরা আমাদেরকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারে। তাহলে কেন সিলিং সাহেব আমাদের মত দুর্বলদের সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। (বেশ কিছুক্ষন চুপ করে থেকে) আপনাকে হত্যা করা বা জমিদারী শেষ করা এর কোনটাই ওর উদ্দেশ্য নয়। ও প্রতিশোধ চায়। ওর নিজের ভাই খুন হয়েছে, এবং ওর প্রধান সন্দেহ আপনাকেই। সিলিং সাহেবের যুদ্ধে যাওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য এটাই। উনি চান আপনার ই কোনও প্রিয়জনের সর্বনাশ করতে।
বংশীর কথা সুপ্রতীক প্রচণ্ড মন দিয়ে শোনে। নায়েবমশাইএর দিকে একবার তাকিয়ে সুপ্রতীক বলে ওঠে
সুপ্রতীকঃ তুমি নিঃসঙ্কোচে বলতে পারো বংশী। সিলিং সাহেব কি আসলে মালার কোনও ক্ষতি করতে চায়। কোনও সঙ্কোচ মনে রেখনা, মন খুলে আমায় সব বল।
বংশীঃ রানীমা একাই কেন? গার্গী দিদি, প্রিয়া দিদিও তো আছেন। আপনি সিলিং সাহেবকে ভালো করেই চেনেন। প্রতিশোধ নিতে চাইলে উনি কি করতে চাইবেন তা আপনিও বোঝেন।
সুপ্রতীকঃ হ্যাঁ বংশী আমি তোমার ইঙ্গিত বুঝতে পেরেছি। কিন্তু এর উপায় কি রয়েছে। কি করে আমি আমার ধর্ম পালন করব?
বংশীঃ গার্গী দিদি ও প্রিয়া দিদিকে নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। ওরা বহুদিন এখানে ছিলনা, ওদের কেউ চেনেনা। নায়েবমশাইএর বাড়ি ওদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়।
বংশীর কথা শুনে নায়েবমশাই ও চরম স্বস্তিতে মাথা নাড়ান ও বলেন “জমিদারবাবু ওরা আমার বাড়িতে আমার নিজের মেয়ের মতই থাকবে, ভ্রুনাক্ষরেও কেউ জানবেনা যে ওরা আমাদের বাড়িতে আছে”
বংশীঃ মুশকিল একটাই জায়গায়, তা হোল রানীমা। রানীমাকে প্রায় সবাই চেনে। রানীমাকে লুকিয়ে রাখা এতো সহজ নয়। (কিছুক্ষন চুপ করে থেকে) আপনি যদি আমায় বিশ্বাস করেন তো আমায় এই দায়িত্বটা দিন। আমি রানীমাকে এক গোপনস্থানে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করব। রানীমার কোনও বিপদ হবেনা, সমস্ত দায়িত্ব আমি নিজে নিতে চাই।
সুপ্রতীকঃ তোমার ওপর আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে। কিন্তু তোমাদের রানীমা যা জেদি প্রকৃতির ও কি রাজী হবে। আমি ওকে বোঝানোর চেষ্টা করব। আর একটা কথা বংশী, এটা তুমি জাননা, নায়েবমশাই জানেন। তুমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছো তার সোজাসুজি একটা তুলসিমঞ্চ আছে। ওর পেছনে ৪-৫ টা বিশাল আকারের পাথর রাখা আছে। যাও গিয়ে পাথরগুলো একবার সরিয়ে দেখো।
অবাক হয়ে বংশী সোজা এগিয়ে যায়, পাথর গুলো একএক করে সরাতে থাকে। সামনের দিকে তাকিয়ে বংশীর চোখ বড় বড় হয়ে যায়। সামনেই একটা বিশাল বড় গর্ত এবং তার ভেতর দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে একটা সুরঙ্গ তৈরি হয়েছে। পেছন থেকে সুপ্রতীক বলে ওঠে
“এই সুরঙ্গটা একদম জঙ্গলের ভেতর অবধি চলে গেছে। এই রাস্তাটা তোমার জেনে রাখা দরকার ছিল”
[+] 1 user Likes manas's post
Reply


Messages In This Thread
RE: অভিশপ্ত ডায়েরী by subha chatterje completed - by manas - 19-01-2019, 09:38 AM



Users browsing this thread: 1 Guest(s)