Thread Rating:
  • 12 Vote(s) - 3.42 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery অভিশপ্ত ডায়েরী by subha chatterje completed
#62
পর্ব ২০- যুদ্ধের দামামাঃ

নিজের কাজ সম্পন্ন করে বংশী আবার জমিদারবাড়ির দিকে যেতে শুরু করে। ভাগ্য বংশীর যথেষ্ট সুপ্রসন্ন ছিল, সেই সময় ও জমিদারবাড়ির সামনে প্রহরায় কেউ ছিলনা। যদিও প্রহারায় কেউ থাকলেও বংশীর কিছুই অস্বস্তি হতনা। কারন এই মুহূর্তে জমিদারবাড়ির সমস্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে বংশী ও বংশীর ই হাতে তৈরি ওর সাধের ডাকাত দল। দু একজন পুরনো লোক অবশ্য আছে কিন্তু তারা বংশীর পারদর্শিতার কাছে নেহাত ই নগন্য। বংশী সন্তর্পণে ভেতরে প্রবেশ করে। বাহিরমহলের কিছুটা ভেতরের দিকে কেউ একজন দাঁড়িয়ে। বংশীর বুকটা ধুকপুক করতে থাকে। আপছা আলোতে সেই মানুষের মুখটা কিছুতেই বোঝা যাচ্ছেনা। মনে মনে একবার ভাবে বংশী ওর পরিকল্পনার ব্যাপারে কেউ কিছু বুঝে যাইনি তো। সমস্ত আশঙ্কাকে দূরে সরিয়ে রেখে বংশী সামনে এগিয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ওর ভুল ভেঙে যায়। সামনে দাঁড়িয়ে রবি। রবি বংশীর ই এক অতি বিশ্বস্ত অনুচর। বংশীকে এতো রাতে বাইরে থেকে আসতে দেখে রবি ও কিছুটা বিস্মিত হয়ে যায়।
রবিঃ এতো রাতে কথা থেকে আসছ সর্দার।
ঠোঁটের কাছে আঙুল নিয়ে গিয়ে ওকে চুপ করে যেতে ইশারা করে বংশী। হাত নেড়ে ইশারা করে ওকে বাইরে আসতে বলে বংশী। বংশীর কথামতো রবি ওকে অনুসরন করে জমিদারবাড়ির বাইরে যায়। ফিসফিস করে বলে ওঠে বংশী।
বংশীঃ রবি আজ একটা সত্যি কথা বল আমায়। আমি জানি জমিদার বাড়ির ওপর তোদের খুব রাগ। আমি জানি জমিদারবাড়ির সাথে আমি যখন সখ্যতা করে চলব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখন তোরা অনেকেই আমায় ভুল বুঝেছিলি। কিন্তু মনে আছে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে সভ্য সমাজে আসার আগে আমি তোদের কি বলেছিলাম?
কিছুক্ষন চুপ করে থাকে রবি। রবির বুকের ভেতরে যে প্রতিশোধের আগুনটা এতদিন কেউ ছাই চাপা দিয়ে রেখেছিল হথাত ই তা যেন আবার জ্বলে ওঠে। বংশীর চোখের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে রবি
রবিঃ না ভুলিনি। তুমি বলেছিলে শত্রুকে খতম করতে হলে আগে শত্রুর বন্ধু হতে হবে। তুমি হয়ত বন্ধু হয়ে গেছো, কিন্তু আমরা আজও নিজেদের জমিদারবাড়ির ভৃত্য বলে মানিনা। কম অত্যাচার কি এই জমিদারবাড়ি আমাদের ওপর করেছে নাকি। না আমরা কেউ এটা ভুলতে পারিনি।
রবির গালে আলতো করে একটা চড় মেরে মুচকি হেঁসে বংশী বলে ওঠে
বংশীঃ ওরে রবি আমার কথাটা মন দিয়ে শোন। শত্রুকে চেনা আমাদের হয়ে গেছে। এবার শত্রুকে আক্রমন করার সময়। কিন্তু আমাদের মাথা একদম ঠাণ্ডা রাখতে হবে। তুই বাকি সাথিদের ভালো করে বুঝিয়ে বলে দে। সময় এসে গেছে।
বংশীর মুখের দিকে কিছুক্ষন ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে রবি বলে ওঠে
রবিঃ আমরা তো তৈরি আছি সর্দার। কিন্তু কিছুই তো বুঝলাম না।
বংশীঃ অতকিছু বুঝতেও হবেনা। রবি এই জমিদারবাড়ি আমি শেষ করে দেবো। তোর মত আমার ও জমিদারী রক্তের ওপর প্রচণ্ড রাগ। কাল সকাল থেকে সব কিছু পালটে যাবে। আজ রাতে আমি ভীষণ শান্তিতে ঘুমাব। তোরা তৈরি থাকিস। আজ রাতের মধ্যেই সবাইকে খবর দিয়ে দে।
রবি শুধু মাথা নেড়ে সায় জানালো। রবিকে বাইরেই রেখে বংশী অন্দরমহলের ভেতরে প্রবেশ করল। বাগানের কাছটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। লন্ঠনের আলোয় জমিদারবাড়ির ভেতরটা বেশ স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। প্রিয়া ও গার্গী হয়ত পেছনের দিকের ঘরে রয়েছে তাই ওদের দেখা যাচ্ছেনা। কিন্তু জানলার ভেতর দিয়ে বংশীর প্রানপাখি মালাকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। লাল সাড়িটার ভেতরে যে এসময় ব্লাউজ থাকেনা তা বংশী খুব ভালো করেই জানে। হাত ও বুকের মাঝের খাঁজ দিয়ে বগলের কালো চুল গুলো বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে। দুদিক দিয়ে তরমুজ আকারের দুই স্তনের অনেকটাই বাইরে বেরিয়ে এসেছে। সুপ্রতীক খাটের ওপর কিছুটা দুরেই বসে আছে। লক্ষণীয়ভাবে সুপ্রতীকের চোখে মালার প্রতি সেই কামুক নজরটা কোথায় যেন উড়ে গেছে। ওকে দেখেই মনে হচ্ছে এই একটা দিনের অনভিপ্রেত সব ঘটনায় ও প্রচণ্ড উদগ্রীব হয়ে পড়েছে। মালা সেটা লক্ষ্য করে চুপ করে একপ্রান্তে বসে আছে। বংশী মনে মনে চিন্তা করে সুপ্রতীক যথেষ্ট বিচক্ষন মানুষ, ও কি বংশীকে সন্দেহ করছে? বংশীর এই অতি সক্রিয়তা, সিলিং সাহেবের সাথে দেখা করতে যাওয়া এই ব্যাপারগুলো কি সুপ্রতীক স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছে? সুপ্রতীকের চরম সর্বনাশ চাইলেও বংশী, সুপ্রতীককে যথেষ্ট সমীহ করেই চলে। সেইকারনেই হয়ত মনে মনে একবার চিন্তা করে যে আজ রাতে আর এতো বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই। বংশী ওখান থেকে বেরিয়ে আবার বাহিরমহলে আসে। ওখানে ততক্ষনে বাকি লাঠিয়ালরা জড় হয়ে গেছে এবং রবি বাকিদের সমস্ত ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলে দিয়েছে। বংশী ওদের দিকে তাকিয়ে চোখ নেড়ে একবার আশ্বস্ত করে দেয়। ধীরে ধীরে ওরা সবাই যে যার কক্ষে শোয়ার জন্য চলে যায়। ওদের মধ্যে দুজনের আজ পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে, সেই দুজন ই খালি ওখানে দাঁড়িয়ে থাকে। বংশীও ভেতরে ঢুকে যায়। অন্দরমহলের মুখে বারান্দায় ওর শোয়ার ব্যাবস্থা রয়েছে। তাড়াতাড়ি বিছানা পেতে বংশী শুয়ে পড়ে। বংশী জানে আজ রাতটা ওকে প্রচণ্ড সচেতন হয়ে থাকতে হবে। তাই আজ ও স্বপ্ন দেখতে চায়না আর স্বপ্নে মালাকে নিয়েও আসতে চায়না। বংশী ধীরে ধীরে চোখদুটো বন্ধ করে দেয়।
........................
ঘুম ভাঙ্গে একটা রে রে শব্দে। কোথা থেকে যে এরকম বিকট শব্দ আসছে তা বংশীর মাথায় ঢোকে না। বহুদিন বাদে রাতে একটু স্বস্তির ঘুম পেয়েছিল বংশী। ঘুম চোখে কালরাতের কথা বংশী প্রায় ভুলেই যেতে বসেছিল। হথাত ই সমস্ত ঘটনা মনে পড়ে যায়। প্রচণ্ড উত্তেজনার সাথে বংশী উঠে বসে। এক লাফে বাইরে বেরোয়। পাহারায় থাকা দুই লাঠিয়াল যে এতক্ষন ঘুমাচ্ছিল তা ওদের চোখ দেখলেই বোঝা যায়। ওরাও অবাক হয়ে বংশীর দিকে তাকায়। বংশীর বুঝতে আর কোনও অসুবিধা থাকেনা যে সিলিং সাহেব ও তার সৈন্যরা সারারাত ধরে টমাসের খোঁজ করেছে আর ওরা টমাসের মৃতদেহটা খুজেও পেয়ে গেছে। দু হাত দিয়ে চোখ দুটোকে ভালো করে কচলে নিয়ে বংশী সামনের দিকে এগিয়ে যায়। দুই লাঠিয়ালের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে
বংশীঃ এই আওয়াজ কোথা থেকে আসছে? তোমরা এগিয়ে গিয়ে দেখে আসো।
বংশীর কথা মত ওরাও লাঠি নিয়ে দেখতে যায় এই আওয়াজ কোথা থেকে আসছে। বংশী খুব ভালোই বুঝতে পারছে যে এই আওয়াজ জমিদারবাড়ির মাঠের দিক থেকেই আসছে। হাত দুটো ওপরের দিকে তুলে শরীরে একটা ভালো করে মোচর দিয়ে বংশী ক্লান্তি ভাবটা কাটিয়ে তোলে। বংশী বাইরে দাঁড়িয়েই অপেক্ষা করতে থাকে ওর বাকি দুজন সাথীর জন্য। বেশ কিছুক্ষন পর ওরা দুজন হাঁপাতে হাঁপাতে ফিরে আসে। ওদের মধ্যে একজন বংশীর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে
“সর্দার ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার ঘটে গেছে। সিলিং সাহেবের কুঠিতে একটা বাচ্চা ছেলে থাকতো না, কে ওকে মেরে মাঠে ফেলে দিয়েছে। সিলিং সাহেব ও দেখলাম নিজেই এসেছে। ওহ চোখগুলো দিয়ে যেন আগুন ঝরছিল। ইংরিজিতে কিসব বলে চেঁচাচ্ছিল। আকারে ইঙ্গিতে এটাই বুঝলাম যে জমিদারবাবুর ব্যাপারেই কিছু বলছিল”
বংশী মুচকি হেঁসে ওদের দিকে তাকায়, ওদের মধ্যে একজনের কাঁধে হাত দিয়ে বলে ওঠে
বংশীঃ জমিদারের ওপর তোদের এখনো রাগ আছে নারে? কোনও চিন্তা করিস না, সব শোধ নেওয়ার সময় এসে গেছে।
ওরা দুজন অবাক হয়ে বংশীর দিকে তাকিয়ে থাকে। এতোবড় একটা নিষ্ঠুর কাজ যে ওদের সর্দার করতে পারে তা ওরা ভ্রুনাক্ষরেও ভাবতে পারেনি। ওরা বুঝে যায় যে ওদের সর্দার বংশীরাজ এই দু বছর ধরে জমিদারবাড়িতে পড়ে রয়েছে শুধু জমিদারিকে শেষ করার জন্য। বংশী ওদের দিকে তাকিয়ে বলে
বংশীঃ আমি যাচ্ছি জমিদারবাবুকে খবর দিতে। জমিদার এলে তোরা ভীষণ ভয় পেয়ে যাওয়ার ভান করবি। আমাদের এতদিনের সব পরিকল্পনা আজ সফল হতে চলেছে।
অবাক দৃষ্টিতে ওরা দুজন তাকিয়ে থাকে বংশীর দিকে। বংশী, অন্দরমহলে প্রবেশ করে। ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যেও বংশী জানালা দিয়ে মালার খোলা পিঠটা দেখতে পায়। নিজের মাথাটা সুপ্রতীকের বুকে গুঁজে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে ওর প্রানের শখি মালা। একবার মনে মনে বলে ওঠে বংশী। মালা এই তোমার সুপ্রতিকের সাথে শেষ শোয়া। কাল রাতটা তুমি আমার সাথে জঙ্গলেই কাটাবে। বংশী একবার আকাশের দিকে তাকায়। পুব আকাশটা তখন অল্প অল্প লাল হয়ে উঠছে। বংশী বুঝতে পারে ভোর হয়ে উঠেছে। বংশী আরও কিছুটা এগিয়ে যায় তারপর তারস্বরে চিৎকার করে বলতে থাকে
“জমিদারবাবু উঠে পড়ুন। বিশাল বিপদ হয়েছে, উঠে পড়ুন জমিদার বাবু”
হয়ত রাতে খুব একটা শান্তিতে ঘুমাতে পারেননি সুপ্রতীক, তাই বংশীর অল্প ডাকাডাকিতেই ওর ঘুম ভেঙে যায়। খাট থেকে নেমে খালি গায়েই সুপ্রতীক দরজার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। দরজার সামনেই বংশীকে দেখে কিছুটা আশঙ্কিত হয়ে পড়ে সুপ্রতীক
সুপ্রতীকঃ কি হয়েছে বংশী। এই মাঝরাতে তুমি এতো চিন্তিত কেন?
বংশীঃ জমিদার বাবু আপনি হয়ত জানেন হয়ত দেখেওছেন, সিলিং সাহেবের কুঠিতে ওনার এক ভাই থাকতো। কেউ তাকে হত্যা করে আমাদের জমিদারবাড়ির পাশের মাঠে ফেলে দিয়ে গেছে। সারারাত হন্যে হয়ে খোঁজার পর ব্রিটিশ সৈন্যরা ওর মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। আমরা ওদের চিৎকার শুনতে পেয়ে ওদিকে দেখতে গেছিলাম। ওদের কথাবার্তা শুনে আমার এটাই মনে হোল আজ গ্রামের মানুষের কপালে দুঃখ আছে।
বংশীর এই কথাগুলো শুনে সুপ্রতীকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়। সুপ্রতীক মাটির দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবতে থাকে।
সুপ্রতীকঃ এতো বড় পাপ কে করল বংশী? আমি ছেলেটাকে দেখেছি বংশী। সত্যি ই বাচ্চা ছেলে। ও তো কারুর কোনও ক্ষতি করেনি বংশী। ওর সাথে কেন এরকম হোল।
বেশ কিছুক্ষন মাটির দিকে তাকিয়ে থাকে সুপ্রতীক। বংশীও কোনও উত্তর দেয়না। আসলে বংশীর ও মনে একটা ভয় কাজ করছিল, তা হোল বংশীর ইতিহাস সুপ্রতীকের জানা, কোনভাবে বংশীকে সুপ্রতীক সন্দেহ করছেনা তো। রাতের অন্ধকারে হয়ত বংশীর কথাগুলো শোয়ার ঘরে থাকা মালার কানেও স্পষ্টভাবে পৌঁছেছিল। প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন হয়ে মালাও এগিয়ে আসে দরজার কাছে। মালা হয়ত এতো কিছুর মধ্যে এটা ভুলেই গিয়েছিল ওর পরনে শুধুই সাড়ী, তার তলায় কোনও ব্লাউজ নেই। এই চরম সংকটময় অবস্থায় ও বংশীর নজর তা এড়িয়ে যায়না। হলুদ সাড়িটার সামনে উঁচু হয়ে স্তনদুটো প্রায় সম্পূর্ণভাবেই অনুমান করা যাচ্ছে। দুদিকে নগ্ন বাহুদ্বয় ও তার সাথে লাগোয়া স্তনের কিছুটা অংশ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু চতুর বংশী এই মুহূর্তে নিজের মনকে দুর্বল করতে চায়না। বংশী নিজের নজর ফিরিয়ে নেয় ও সুপ্রতীকের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে
বংশীঃ জমিদার বাবু, আমি কি গ্রামের গরীব মানুষদের রক্ষা করতে লাঠিয়ালদের ওখানে পাঠাবো? আমার মনে হয় এতক্ষনে ওরা গ্রামে অত্যাচার করাও শুরু করে দিয়েছে।
কথা শেষ হওয়ার আগেই বংশীর অনুচর বাহিরমহলের কাছ থেকে বলে ওঠে “জমিদার বাবু, ইংরেজ সেনারা গ্রামে একের পর এক বাড়ি পুড়িয়ে ফেলছে। এই মুহূর্তেই একটা যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার মত অবস্থা। গ্রামের মানুষ ও তীর ধনুক নিয়ে ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ করবে বলে প্রস্তুতি নিচ্ছে” সুপ্রতীক প্রচণ্ড উদ্বেগের মধ্যে পড়ে যায়। দৃপ্তকণ্ঠে বংশীর দিকে তাকিয়ে সুপ্রতীক বলে ওঠে
সুপ্রতীকঃ বংশী, আমার এই মুহূর্তে একবার সিলিং সাহেবের সাথে কথা বলা দরকার, নয়ত বহু গরীব মানুষ অকারনে প্রান হারাবে। আমি ভেতর থেকে তৈরি হয়ে আসছি।
হনহন করে সুপ্রতীক ভেতরে প্রবেশ করে, ওর পেছনে মালাও ভেতরে প্রবেশ করে যায়। আরেকবার বংশী নিজের লোভী দুই চোখ দিয়ে মালার কামনাময়ী শরীরটার দিকে তাকায়। মালা চোখের আড়ালে চলে গেলে বংশী ইশারা করে রবিকে ওর সাথে বাইরে যেতে বলে। বংশী ও রবি দুজনেই বাইরে আসে।
বংশীঃ তোর এই মুহূর্তে একটাই কাজ, সমস্ত লাঠিয়ালদের বলে দে, জমিদারকে শেষ করার সময় এসে গেছে। শুধু সঠিক সময়ের জন্য আমাদের অপেক্ষা করে যেতে হবে। যুদ্ধের দামামা বেজে গিয়েছে।
[+] 1 user Likes manas's post
Reply


Messages In This Thread
RE: অভিশপ্ত ডায়েরী by subha chatterje completed - by manas - 19-01-2019, 09:38 AM



Users browsing this thread: 2 Guest(s)