Thread Rating:
  • 12 Vote(s) - 3.42 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery অভিশপ্ত ডায়েরী by subha chatterje completed
#30
পর্ব ৫- পোড়োবাড়ী ও ডায়েরীঃ

সুবীর বাবু অনেক ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে গেছিলেন, তাই খুব তাড়াতাড়ি রেডি ও হয়ে গেলেন। মালতী দেবীর জন্য চিন্তা হওয়া সত্বেও ওনার মন আজ খুব ভালো আছে। প্রথমত নিজের স্ত্রী কে সন্তুষ্ট করতে পারা নিয়ে যে সংশয় ওনার মনে ছিল তা একদম কেটে গেছে। আর দ্বিতিয়ত আজ থেকে উনি একটা নতুন কাজের সাথে যুক্ত হতে শুরু করছেন। বাড়ী থেকে যখন বেরলেন তখন বাজে প্রায় ৭ তা। এই ফ্ল্যাট টার সবচেয়ে বড় সুবিধা হোল একদম ফ্ল্যাটের সামনেই মেন রোড। বাস ধরতে বেশি সময় লাগলো না। বাস থেকে নামলেন শোভাবাজার মেট্রোর সামনে। এবার আসল কাজ। দূরে একটা চা দোকান দেখা যাচ্ছে। উনি ভাবলেন শুভ কাজ করতে যাওয়ার আগে একবার চা টা খেয়ে নিলে মন্দ হয়না। চা দকানে চায়ের অর্ডার করে ভাবলেন দোকানদার কেই জিজ্ঞেস করা যাক জমিদার বাড়ী টা কোথায়। জিজ্ঞেস করেও ফেললেন
সুবীর বাবুঃ আচ্ছা দাদা আপনাকে তো বেশ পুরনো লোক মনে হচ্ছে, একটা জায়গার ব্যাপারে জিগ্যেস করার ছিল।
চাওয়ালাঃ আরে পুরনো মানে অন্তত ১০ পুরুষ ধরে আমরা এখানে বাস করছি। আমি এই অঞ্ছলে সব ই চিনি।
সুবীর বাবুঃ বাহ তাহলে তো খুব ভালো হয়। আচ্ছা দাদা জমিদারবাড়ি মানে সুতানুটি জমিদার বাড়ী টা কোথায় বলতে পারেন?
চাওয়ালা কিছুটা বড় বড় চোখ করে সুবীর বাবুর দিকে তাকিয়ে থাকলেন।
চাওয়ালাঃ জমিদার বাড়ীতে আপনার কি প্রয়োজন আছে?
সুবীর বাবুঃ (কিছুটা থতমত খেয়ে গিয়ে) মানে আমি একজন গবেষক। ওই বাড়ী টা নিয়ে গবেষণা করতে চাই। আপনি যদি বলেন কিভাবে যাবো?
চাওয়ালাঃ (কিছুটা গম্ভীর ভাবে) এই রাস্তা দিয়ে সোজা চলে যাবেন, বাঁ দিকে একটা পরিত্যক্ত কারখানা পাবেন। ওর গেটের ভেতরে ঢুকে সোজা হাঁটবেন। প্রায় ২০০ মিটার হাটার পর একটা পোড়ো ভাঙ্গাচোরা বাড়ী দেখতে পাবেন ওটাই জমিদার বাড়ী।
সুবীর বাবুঃ (পকেট থেকে ৫ টাকার কয়েন বার করে) ধন্যবাদ।
সুবীর বাবু হেঁটে সামনের দিকে যেতে শুরু করলেন হথাত পেছন থেকে লোক টি বলে উঠল
চাওয়ালাঃ আপনাকে দেখে সংসারী মানুষ মনে হয় তাই বলছি। ওখানে যাবেন না ওখান থেকে কেউ বেঁচে ফিরে আসেনি। ওই কারখানা টাও ওই কারনেই বন্ধ হয়ে গেছে। ফিরে যান।
সুবীর বাবু মুহূর্তের জন্য চমকে গেলেও কুসংস্কার ভেবে ওনাকে বেশি পাত্তা দিলেন না। প্রায় ১০ মিনিট হাটার পর উনি সেই কারখানা টার সামনে এসে দাঁড়ালেন। গেটের সামনে গিয়ে ভেতরে উকি মারলেন। ভেতর টা শ্মশানের মতই নিস্তব্ধ। সুবীর বাবু একবার মনে মনে ভাবলেন কলকাতার বুকে এটা সত্যি ই বেমানান। আর কিছু না ভেবে গেট টা জোরে ঠেলে ভেতরে ঢুকতে গেলেন। হথাত একটা বাদুর উরে এসে প্রায় ওনাকে ছোঁ মেরে চলে গেলো। সুবীর বাবুর বুক টা ছ্যাঁত করে উঠল একবার। মন টাকে শক্ত করে ভেতরে ঢুকে গেলেন। ভেতরে ছড়ান ছেটান কিছু কাঠ আর লোহার রড। দেখেই বোঝা যায় একসময় এখানে সত্যি একটা কারখানা ছিল। বিশাল বড় মাঠের মত একটা জায়গা। প্রায় হাঁটু অবধি লম্বা ঘাস আর আগাছায় ভর্তি। সুবীর বাবু বুঝতে পারলেন সত্যি ই এই জায়গাটায় কেউ আসেনি বহুবছর। সুবীর বাবু আগাছা গুলো কে ঠেলে সামনে এগোতে লাগলেন। প্রায় ২-৩ মিনিট পর উনি দেখতে পেলেন সামনে একটা পোড়ো বাড়ী। বাড়ী টার প্রায় অরধেক তাই ভেঙ্গে মাটিতে মিশে গেছে। যতটুকু পড়ে আছে টা মেরে কেটে ২ তো ২ তো মোট ৪ তে ঘর হবে। সুবীর বাবু কিছুটা হতাশ ই হয়ে গেলেন। সত্যি কি এতটুকু একটা জায়গায় ইতিহাসের এত অমুল্য একটা উপাদান লুকিয়ে আছে?
সুবীর বাবু আসতে ভেতর টায় ঢুকলেন। ভাঙ্গাচোরা ইটের সারির ওপর দাঁড়িয়ে উনি ভালো করে চারপাশ টা লক্ষ্য করলেন, ওনার মনে হোল এই জায়গাটা আরও বড় ছিল আর সম্ভবত এখানে একটা উথন মত ছিল। বাড়ীর আকার টা কখনই জমিদার বাড়ীর মত নয় বরং কিছুটা দুর্গের মত। আর এই দুর্গের মত আকার টাই সুবীর বাবুর একমাত্র আশা। এটাই প্রমান করে এর মধ্যে কোনও ঐতিহাসিক উপাদান লুকিয়ে আছে। সুবীর বাবু আসতে আসতে ভেতর টায় ঢোকেন। সামনেই একটা ভাঙ্গাচোরা ঘর। দেখেই বোঝা যায় এটা একসময় বৈঠক ঘর ছিল। কিন্তু আশে পাশে একটা সামান্য চেয়ার জাতীয় কোনও আসবাব ও চোখে পরলনা। সুবীর বাবু একবার মনে মনে ভাবেন, টা থাকবেও বাঁ কেন, কলকাতায় কি চোর ডাকাতের কোনও অভাব নাকি। আশপাশ টা ভালো করে দেখে নিয়ে সুবীর বাবু বুঝলেন এই ঘরে কিছুই নেই। এই ঘরটা পেরলেই আরেকটা ঘর, সাইজে একটু ছোট। ওটাতেও ভালো করে দেখে সুবীর বাবু বুঝলেন এটাও ওনার কোনও কাজের নয়। সুবীর বাবু কিছুটা হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়লেন। যাইহোক উনি ওখান থেকে বেরিয়ে এসে বাইরে দাঁড়ালেন। একটা কাঠের সিঁড়ি দেখা যাচ্ছে যা খুব বিপজ্জনক। কিন্তু সুবীর বাবুও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সাবধানে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলেন। ওখান টা দেখে উনি একটু ভয় ই পেয়ে গেলেন। ছাদে বিশাল বড় একটা ফাটল যেকোনো সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। সেই ফাটল টার দুদিকে দুটো ঘর। একটা সাইজে ছোট আর একটা বড়। ছোট ঘরটায় কিছুতেই যাওয়া সম্ভব নয় ওটা ফাটলের ওদিকে। ওখানে যদি কোনও ঐতিহাসিক গুপ্তধন লুকিয়েও থাকে তা ছেড়ে দেওয়াই সুবীর বাবুর জন্যে ভালো। এখন শেষ অবলম্বন হোল এই বড় ঘরটা।
সুবীর বাবু আসতে আসতে ঘরের ভেতর ঢুকলেন। এই ঘরটার ডিজাইন একদম নিচের বড় ঘরটার ই মত। চারপাশে ইট ছড়ান, মেঝেতে শাওলা হয়ে গেছে। ভালভাবে চারপাশ তা একবার সুবীর বাবু দেখে নিলেন। একটা টেবিল আর দুটো চেয়ার ব্যাস আর কিছুই নেই। সুবীর বাবু ভিশনভাবে হতাশ হয়ে গেলেন। এই টেবিল আর চেয়ার দিয়ে তো আর সিপাহি বিদ্রোহের ইতিহাস লেখা যায়না। হথাত ই ওনার চোখে পড়ল টেবিলের নিচে লাল মত একটা বই পড়ে রয়েছে। উনি লোভাতুর দৃষ্টি নিয়ে এগিয়ে গেলেন ওদিকে। বই তা হাতে তুলে একটু ধুলো ঝেড়ে উলতে পালটে একবার দেখলেন। এটা কোনও বই নয় একটা ডায়েরি। লাল রঙের একটা ডায়েরি। রামকিঙ্কর বাবুর অনুমান ভুল নয়, এই ডায়েরি তেই লুকিয়ে আছে ইতিহাসের মুল্যবান কোনও বস্তু। সুবীর বাবু একটা মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ করে ভাবলেন ডায়েরি টা কি বাড়ী নিয়ে গিয়ে পরবেন নাকি এখানেই। উনি ভাবলেন হয়ত ডায়েরি টা শুধুই পথ প্রদর্শক। এখানে পড়াই ভালো। এখানে পড়ে নিলে হয়ত এমন কিছু জানা যেতে পারে যা এই বাড়ী তেই লুকিয়ে আছে। সুবীর বাবু চেয়ার টা রুমাল দিয়ে একটু পরিষ্কার করে নিয়ে অতেই বসে পড়লেন আর ডায়েরি টা রাখলেন টেবিলের ওপর। একদম প্রথম পেজ তাই উনি খুললেন। জেই লিখে থাক হাতের লেখা একদম পরিষ্কার। ডায়েরি হলেও এটা আসলে একটা আত্মজীবনির মত। সুবীর বাবু পড়তে শুরু করলেন।
আত্মপরিচয়ঃ
আমি সুপ্রতীক রায় চৌধুরী। সুতানুটি গ্রামের একচ্ছত্র জমিদার। ডায়েরী লেখার অভ্যাস বা অভিপ্রায় কোনকালেই আমার ছিলোনা। আমি বর্তমানে জীবন সঙ্কটে শঙ্কিত। আমার স্ত্রী মালা দুই বোন প্রিয়া ও গার্গী এবং অসংখ্য আত্মীয় পরিজন বেইমান দের ষড়যন্ত্রে আজ মৃত। জানিনা এই ডায়েরী কোনদিন কোন সজ্জনের হাতে আসবে কিনা। যদি আসে তাহলে সেদিন ই আমাদের আত্মা মুক্তি পাবে। আমাদের এই অর্থেই বললাম, কারন জমিদার বাড়ি ঘিরে রেখেছে ফিরঙ্গি দের সৈন্য ও আমার ই নিজের হাতে তৈরি লাঠিয়াল বাহিনী। জানিনা পুরো লেখাটা শেষ হবে কিনা।
প্রথমেই বলে রাখি এই জমিদার বাড়ীতে অভিশাপ আছে। পুরোহিত মশাই বহু আগেই গননা করে বলে দিয়েছিলেন ঠিক কোন ক্ষনে কোন সময় এই বংশ শেষ হবে। সেই সময় এসে উপস্থিত। আমাদের বংশে জীবিত সদস্য বলতে এই মুহূর্তে আমি একা। আমার দুই দাদা ১০ বছর আগে মহামারী তে প্রান হারিয়েছেন। তখন থেকেই বংশের একমাত্র সন্তান ও বংশের প্রদীপ আমি সুপ্রতীক রায় চৌধুরী। আজ প্রায় ২০০ বছর ধরে বাংলার বুকে আমাদের বিশাল জমিদারি। একসময় আমাদের জমিদারী পূর্বে বর্ধমান থেকে পশ্চিমে মেদিনীপুর অবধি বিস্তৃত ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই জমিদারী কলকাতা ও কলকাতার আসে পাশের গ্রাম গুলো নিয়েই গঠিত। শেষ ১০ বছর ধরে এই বাড়ীতে আমি আমার স্ত্রী মালা ও দুই বোন প্রিয়া ও গার্গী বসবাস করছি। প্রিয়া ও গার্গী জন্মসুত্রে যমজ। আমাদের বংশের এক অভিশাপ আছে। বংশের কোন পুরুষের ই স্বাভাবিক মৃত্যু হবেনা। আমার দুই দাদা মহামারী তে বাবা ও জ্যাঠামশাই ডাকাতের আক্রমনে মারা গেছে। আমি আধুনিক হলেও এই অস্বাভাবিক মৃত্যু গুলো আমাকেও এই অভিশাপ এ বিশ্বাস করতে বাধ্য করে। এই অভিশাপ থেকে বাচতে আমি গরিব দুক্ষি কে দান ধ্যান করেছি। কিন্তু কেন জানিনা এই অভিশাপ আমার ওপর ও এসে পড়ল। আমি জানি গদ্দার দের হাতে আমার প্রান যাবেই। সেই নিয়ে আমি চিন্তিত নই। কিন্তু এই অভিশাপ কেন আমাদের ওপর ই বর্তাল। ছোট থেকে পিসীমা ও বাড়ীর অন্যান্যদের থেকে অনেক অনেক গল্প শুনেছি। একেকজনের মতে অভিশাপের কারন টা আলাদা আলাদা হলেও প্রকৃত গল্প টা বা ঘটনাটা এক ই। সেই সুন্দরী অনুরাধা, আমাদের কবিরাজ মৃত্যুঞ্জয় সেই নারকেলডাঙার জঙ্গল এগুলো ভীষণ ই সত্য। আমি জানি সত্য। নয়ত আমার সাথে একি পরিনতি কখন হতে পারত না।
জমিদারবাড়ির অভিশাপঃ
এই ঘটনা টা আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগের। তখন আজকের এই ফিরিঙ্গি রা এত সংখায় ছিলোনা। প্রায় অর্ধেক বাংলা জুড়েই আমাদের রাজত্ব ছিল। সেইসময় এই জমিদার বাড়ির দুই ছেলে ছিল। দেবেন্দ্র ও সত্যেন্দ্র। দেবেন্দ্র ছিল দক্ষ প্রশাসক। আশেপাশের সমস্ত এলাকায় ছিল তার প্রভাব প্রতিপত্তি। কিন্তু জমিদার বাড়ীর গলায় কাঁটা হয়ে আঁটকে ছিল ছোট ছেলে সত্যেন্দ্র। স্বভাব ও চরিত্রের দিক দিয়ে ঠিক যতটা বদ বলা যায়, সত্যেন্দ্র তার চেয়েও নীচ ছিল। বাল্যকাল থেকেই নারী, সুরা ও অর্থের মোহে সে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। কৈশোর পেরোনোর আগেই বাইজী বাড়ীতে রাত কাটানো তার দৈনিক অভ্যাসে পরিনত হয়েছিল। প্রথমে এইসবের জন্য বাড়ীতে চরম অশান্তি শুরু হলেও সবাই ধীরে ধীরে সব মেনে নেন। দেবেন্দ্রর সুচারু নৈপুণ্যে জমিদারী তখন নিজের স্বগরিমায় বিদ্যমান। হথাত ই একদিন খবর এল আশেপাশের গ্রামে কোন এক মহামারীর আবির্ভাব হয়েছে। আর এখান থেকেই হয়ত জমিদার বাড়ীর ধ্বংসের ইতিহাস শুরু হয়। আশেপাশের সমস্ত বদ্দি হাকিম এই অজানা জ্বরের চিকিৎসায় ব্যর্থ হন। এমন ই একদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেবেন্দ্র জানতে পারেন তার বাবা রাজাবাবু ও এই অজানা জ্বরে আক্রান্ত। জমিদার বাড়ীতে হথাত এই মহামারীর আগমনে দেবেন্দ্র ভীষণ ভাবে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। সেই সময় ই কোন এক কর্মচারীর কথায় তিনি জানতে পারেন মহান চিকিৎসক মৃত্যুঞ্জয়ের কথা। মৃত্যুঞ্জয়ের খ্যাতি তখন রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অজানা মহামারীর হাত থেকে নিজের জমিদারীকে রক্ষা করতে দেবেন্দ্র নিজের দুত পাঠান মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে। কিন্তু পণ্ডিত ও জেদি মৃত্যুঞ্জয় নিজের মেদিনীপুরের আবাস ছেড়ে কলকাতায় আসতে রাজি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে দেবেন্দ্র কেই যেতে হয় ওনার সাথে দেখা করতে। সুপুরুষ দেবেন্দ্রর অনুরোধ না ফিরিয়ে মৃত্যুঞ্জয় জমিদার বাড়ীর চিকিৎসকের চাকরি গ্রহন করেন। দেবেন্দ্রর সাথেই উনি নিজের স্ত্রী কে নিয়ে জমিদার বাড়ী তে চলে আসেন। জমিদার বাড়ী তে ওনার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। আর এখান থেকেই আমাদের বংশের অভিশাপের কাহানী শুরু।
[+] 1 user Likes manas's post
Reply


Messages In This Thread
RE: অভিশপ্ত ডায়েরী by subha chatterje completed - by manas - 18-01-2019, 11:52 AM



Users browsing this thread: 2 Guest(s)