20-10-2019, 09:00 PM
মধুমিতার শ্বশুরমশাই আজ বছর দুই হল পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। উঠতে তো পারেনই না, কথাও বলতে পারেন না আর। স্নান-পায়খানা, খাওয়া-জামাকাপড় বদলানো সবই অন্য কাউকে করিয়ে দিতে হয়। প্রথম-প্রথম শাশুড়ি নিজে হাতেই সবটা করতেন, কিন্তু কালে-কালে তাঁর ধৈর্যেরও চ্যূতি হয়েছে। যেহেতু শ্বশুরমশাইকে জড়বস্তুর মতো সবকিছুই করিয়ে দিতে হয়, তাই সবসময়ই তাঁর জন্য বাড়িতে কাউকে না কাউকে মজুত থাকতে হয়। এখন সকালের দিকটা শাশুড়ি সামলে নিলেও, রাতের বেলার জন্য পাড়ার আয়া-সেন্টার থেকে একজন মহিলা-অ্যাটেনডেন্ট নেওয়া হচ্ছে একবছর যাবৎ। আয়া-সেন্টারের মেয়েরা ঘন-ঘনই বদলায়। তবে এই মিনতি মেয়েটি টানা পাঁচমাস ধরে আসছে। বাড়িতে একে সকলেরই বেশ পছন্দ। কাজও করে খুবই যত্নের সঙ্গে।
মিনতির বাড়ি হাওড়ার মসলন্দপুরের দিকে কোনো গ্রামে। এখানে সে গড়িয়ায় তার বিধবা দিদির বাড়িতে থেকে কাজ করে। মাঝে-মাঝে দেশে যায়; দেশে তার বাজি কারখানার অ্যাক্সিডেন্টে পঙ্গু স্বামী ছাড়াও, একটা বছর-বারোর ছেলে আছে। তাই মিনতিকে ঠিক মেয়ে বলা চলে না, সে বছর আঠাশের রোজগেরে বউ-ই বটে।
তাই শাশুড়ি একরকম মিনতির ভরসাতেই পাড়ার মহিলা-মহল সমিতির বুড়িদের দলের সঙ্গে হরিদ্বারে তীর্থ করতে চলে গেলেন প্রায় পনেরো দিনের জন্য। এইসময়টায় রাত-দিন চব্বিশ-ঘন্টার জন্য ডবল মাইনেতে মিনতিই বহাল হল শ্বশুরমশাই-এর দেখভালের জন্য।
মিনতির বাড়ি হাওড়ার মসলন্দপুরের দিকে কোনো গ্রামে। এখানে সে গড়িয়ায় তার বিধবা দিদির বাড়িতে থেকে কাজ করে। মাঝে-মাঝে দেশে যায়; দেশে তার বাজি কারখানার অ্যাক্সিডেন্টে পঙ্গু স্বামী ছাড়াও, একটা বছর-বারোর ছেলে আছে। তাই মিনতিকে ঠিক মেয়ে বলা চলে না, সে বছর আঠাশের রোজগেরে বউ-ই বটে।