Yesterday, 09:24 PM
পর্ব – ১
রাজা প্রতাপ সিংয়ের রাজ্যে আলোছায়ার গল্প
প্রাচীন প্রান্তরের মাঝে দাঁড়িয়ে ছিল প্রতাপপুর রাজ্য—শান্ত, সমৃদ্ধ এবং সুপরিচিত। এই রাজ্যের শাসক রাজা প্রতাপ সিং (৫০) ছিলেন শক্তি, বুদ্ধি আর ন্যায়ের এক অনন্য প্রতীক। তার শাসনকালেই প্রতাপপুরের নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। রাজা প্রতাপ সিংয়ের মুখে কড়া গম্ভীরতা থাকলেও তাঁর হৃদয় ছিল অতি কোমল। বিশেষ করে একমাত্র সন্তান, রাজকন্যা ইরা প্রতাপ সিং (১৮)—তার প্রাণের চেয়েও প্রিয়।
রাজকন্যা ইরার সৌন্দর্য ছিল যেন রাতের আকাশে পূর্ণিমার চাঁদের মতো। যেন ঈশ্বর নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন তাকে—ফুটফুটে গায়ের রং, শান্ত চোখ, আর অদ্ভুত মায়াময় হাসি। প্রাসাদের প্রতিটি মানুষই তাকে ভালোবাসত, শুধু রাজকন্যা হওয়ার কারণে নয়, বরং তার সরলতা, তার মায়া, তার সৌজন্যের জন্য। ইরা যখন প্রাসাদের উঠোন ধরে হাঁটত, মনে হতো যেন এক আলোকরেখা ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইরার মা মহারানী অরিনী প্রতাপ সিং (৩৫) ছিলেন অনিন্দ্যসুন্দরী ও বুদ্ধিমতী এক নারী। রাজা প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন, কারণ সন্তান জন্ম দিতে গিয়েই আগের রাণী মৃত্যুবরণ করেন। সেই শোক কাটিয়ে বহুদিন পর তিনি অরিনীকে বিবাহ করেন। রাজার আশা ছিল এবার হয়তো এক পুত্রসন্তান জন্মাবে, কিন্তু এলো ইরা। প্রথমে সামান্য হতাশা থাকলেও মেয়ের মুখ দেখার পর থেকেই রাজা যেন বদলে গেলেন। তিনি নিজের সমস্ত মায়া আর স্নেহ ঢেলে দিলেন মেয়েটির প্রতি। ইরার মধ্যে তিনি যেন নিজের জীবনের অপূর্ণতা পূরণ হতে দেখলেন।
ইরার বয়স যখন আঠারোতে পৌঁছায়, তখন প্রতাপপুর রাজ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয় রাজকন্যার বিয়ে। বহু প্রস্তাব এলেও রাজা ও রাণীর পছন্দ পড়ে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বিষাল সেনগুপ্ত (২৫)-এর উপর। বিষাল ছিল শিক্ষিত, শান্ত, পরিণত ও সুদর্শন এক যুবক। ইরাও তাকে পছন্দ করত ছোটবেলা থেকেই। তারা দু’জন একসাথে বড় হয়েছে—একই রাজদরবারে, একই অনুষ্ঠানে, একই পাঠশালায়। তাদের চোখেমুখে ছিল এক ধরনের অদৃশ্য টান, যা সময়ের সাথে আরও গভীর হয়েছিল। তাই এই বিয়ে ছিল যেন পুরো রাজ্যের কাছে একটি স্বস্তির খবর। রাজকন্যা ও তার হবু রাজপুত্রের ঘরে জন্ম নেওয়া সন্তানই হবে প্রতাপপুরের পরবর্তী উত্তরাধিকারী।
কিন্তু প্রতাপ সিংয়ের চরিত্রে ছিল একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য—এক দুর্নিবার আকর্ষণ, এক বিপজ্জনক অভ্যাস—জুয়া খেলা। রাজা যত রাজ্য তরবারির জোরে জয় করেছেন, তার চেয়ে বেশি রাজ্য জিতেছেন জুয়ার আসরে। শৈশব থেকেই তিনি খেলায় ছিলেন অদ্বিতীয়। কেউ সাহস পেত না তার সাথে খেলতে। কারণ প্রতাপ সিংয়ের চোখ ভুল হত না, তার হিসাব ভুল হত না, আর সাহসের তুলনা ছিল না। তিনি কারও মুখের কথা নিতেন না, শুধু তাকিয়ে থাকতেন টেবিলের উপর—গুটির নড়াচড়া, দাগের হিসাব, আর প্রতিপক্ষের মনের দুর্বলতা।
রাজ্যের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন মহান রাজা—জয়ী যোদ্ধা, সুব্যবস্থাপনার প্রতীক, কিন্তু জুয়ার অভ্যাস নিয়ে মানুষের মাঝে চাপা উদ্বেগও ছিল। অতীতে কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রাজ্য ক্ষতির মুখে পড়েছিল। রাজা তখন প্রতিজ্ঞা করেন, আর কখনও জুয়ার আসরে বসবেন না। সেই প্রতিজ্ঞা তিনি টানা পাঁচ বছর ধরে রক্ষা করে চলেছেন। পাঁচ বছর ধরে তার চোখ আর স্পর্শ করেনি কোনো পাশা, কোনো কার্ড, কোনো বাজির টেবিল। এই পাঁচ বছরে প্রতাপপুরে শান্তি এসেছে, জনগণের বিশ্বাস বেড়েছে, এবং রাজার প্রতি শ্রদ্ধা আরও গভীর হয়েছে। রাণী অরিনীও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন—তিনি জানতেন, প্রতাপ সিংয়ের এই দুর্বলতা না থাকলে তিনি আরও মহান হয়ে উঠতে পারতেন।
তবুও রাজ্যে তার সম্মান সর্বোচ্চ, তিনি এক কথার মানুষ। এমন রাজা আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার পাওয়া।
রাজা প্রতাপ সিংয়ের রাজ্যে আলোছায়ার গল্প
প্রাচীন প্রান্তরের মাঝে দাঁড়িয়ে ছিল প্রতাপপুর রাজ্য—শান্ত, সমৃদ্ধ এবং সুপরিচিত। এই রাজ্যের শাসক রাজা প্রতাপ সিং (৫০) ছিলেন শক্তি, বুদ্ধি আর ন্যায়ের এক অনন্য প্রতীক। তার শাসনকালেই প্রতাপপুরের নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। রাজা প্রতাপ সিংয়ের মুখে কড়া গম্ভীরতা থাকলেও তাঁর হৃদয় ছিল অতি কোমল। বিশেষ করে একমাত্র সন্তান, রাজকন্যা ইরা প্রতাপ সিং (১৮)—তার প্রাণের চেয়েও প্রিয়।
রাজকন্যা ইরার সৌন্দর্য ছিল যেন রাতের আকাশে পূর্ণিমার চাঁদের মতো। যেন ঈশ্বর নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন তাকে—ফুটফুটে গায়ের রং, শান্ত চোখ, আর অদ্ভুত মায়াময় হাসি। প্রাসাদের প্রতিটি মানুষই তাকে ভালোবাসত, শুধু রাজকন্যা হওয়ার কারণে নয়, বরং তার সরলতা, তার মায়া, তার সৌজন্যের জন্য। ইরা যখন প্রাসাদের উঠোন ধরে হাঁটত, মনে হতো যেন এক আলোকরেখা ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইরার মা মহারানী অরিনী প্রতাপ সিং (৩৫) ছিলেন অনিন্দ্যসুন্দরী ও বুদ্ধিমতী এক নারী। রাজা প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন, কারণ সন্তান জন্ম দিতে গিয়েই আগের রাণী মৃত্যুবরণ করেন। সেই শোক কাটিয়ে বহুদিন পর তিনি অরিনীকে বিবাহ করেন। রাজার আশা ছিল এবার হয়তো এক পুত্রসন্তান জন্মাবে, কিন্তু এলো ইরা। প্রথমে সামান্য হতাশা থাকলেও মেয়ের মুখ দেখার পর থেকেই রাজা যেন বদলে গেলেন। তিনি নিজের সমস্ত মায়া আর স্নেহ ঢেলে দিলেন মেয়েটির প্রতি। ইরার মধ্যে তিনি যেন নিজের জীবনের অপূর্ণতা পূরণ হতে দেখলেন।
ইরার বয়স যখন আঠারোতে পৌঁছায়, তখন প্রতাপপুর রাজ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয় রাজকন্যার বিয়ে। বহু প্রস্তাব এলেও রাজা ও রাণীর পছন্দ পড়ে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বিষাল সেনগুপ্ত (২৫)-এর উপর। বিষাল ছিল শিক্ষিত, শান্ত, পরিণত ও সুদর্শন এক যুবক। ইরাও তাকে পছন্দ করত ছোটবেলা থেকেই। তারা দু’জন একসাথে বড় হয়েছে—একই রাজদরবারে, একই অনুষ্ঠানে, একই পাঠশালায়। তাদের চোখেমুখে ছিল এক ধরনের অদৃশ্য টান, যা সময়ের সাথে আরও গভীর হয়েছিল। তাই এই বিয়ে ছিল যেন পুরো রাজ্যের কাছে একটি স্বস্তির খবর। রাজকন্যা ও তার হবু রাজপুত্রের ঘরে জন্ম নেওয়া সন্তানই হবে প্রতাপপুরের পরবর্তী উত্তরাধিকারী।
কিন্তু প্রতাপ সিংয়ের চরিত্রে ছিল একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য—এক দুর্নিবার আকর্ষণ, এক বিপজ্জনক অভ্যাস—জুয়া খেলা। রাজা যত রাজ্য তরবারির জোরে জয় করেছেন, তার চেয়ে বেশি রাজ্য জিতেছেন জুয়ার আসরে। শৈশব থেকেই তিনি খেলায় ছিলেন অদ্বিতীয়। কেউ সাহস পেত না তার সাথে খেলতে। কারণ প্রতাপ সিংয়ের চোখ ভুল হত না, তার হিসাব ভুল হত না, আর সাহসের তুলনা ছিল না। তিনি কারও মুখের কথা নিতেন না, শুধু তাকিয়ে থাকতেন টেবিলের উপর—গুটির নড়াচড়া, দাগের হিসাব, আর প্রতিপক্ষের মনের দুর্বলতা।
রাজ্যের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন মহান রাজা—জয়ী যোদ্ধা, সুব্যবস্থাপনার প্রতীক, কিন্তু জুয়ার অভ্যাস নিয়ে মানুষের মাঝে চাপা উদ্বেগও ছিল। অতীতে কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রাজ্য ক্ষতির মুখে পড়েছিল। রাজা তখন প্রতিজ্ঞা করেন, আর কখনও জুয়ার আসরে বসবেন না। সেই প্রতিজ্ঞা তিনি টানা পাঁচ বছর ধরে রক্ষা করে চলেছেন। পাঁচ বছর ধরে তার চোখ আর স্পর্শ করেনি কোনো পাশা, কোনো কার্ড, কোনো বাজির টেবিল। এই পাঁচ বছরে প্রতাপপুরে শান্তি এসেছে, জনগণের বিশ্বাস বেড়েছে, এবং রাজার প্রতি শ্রদ্ধা আরও গভীর হয়েছে। রাণী অরিনীও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন—তিনি জানতেন, প্রতাপ সিংয়ের এই দুর্বলতা না থাকলে তিনি আরও মহান হয়ে উঠতে পারতেন।
তবুও রাজ্যে তার সম্মান সর্বোচ্চ, তিনি এক কথার মানুষ। এমন রাজা আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার পাওয়া।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)