Thread Rating:
  • 14 Vote(s) - 2.29 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Erotic Thriller লুকানো কথা
#21
(08-05-2024, 11:40 PM)nabilabashar Wrote: আপডেটঃ১ - পরিচয় পর্ব

বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে নাবিলা। ছোটবেলা থেকেই একা একাই। বাবা মাই ওর বেস্টফ্রেন্ড। এলাকার মধ্যে ওদের ফ্যামিলিরও যথেষ্ট প্রভাব বিদ্যমান। বাবা সরকারি ভূমি অফিসের বেশ ভালো একটা পজিশনে বসে আছে। কাজের মধ্যে খুব পরিশ্রমের কিছু নাই। এলাকার রাজনীতিতে তাই কিছুটা যোগ-সাজস ও আছে। আর মা নিত্যান্তই ভদ্র মহিলা। সাধারণ লক্ষী গুনবতী গৃহীনী তার একমাত্র পরিচয়। এলাকায় পারিবারিক প্রভাব থাকায় নাবিলার আব্বু আলমগিরের যেমন খুব সুবিধা। নাবিলার মা আয়েশার তার বিপরীত। প্রতিদিনই ঘরে কিছু না কিছু মানুষ আসবেই। আলমগিরের অফিস কলিগ থেকে শুরু করে এলাকার আত্মিয় পরিজন, সাহায্য চাওয়া লোক অনেকেই।

নাবিলাও এসব দেখতে দেখতেই বড় হয়। এলাকায় ওর বাবার সাথে কোথাও গেলে ওর বাবাকে যখন সবাই সম্মান দেয় তখন নাবিলার মুখটা দেখলে মনে হয় কি না কি যেন একটা ব্যাপার ঘটে গেছে। আসলে নাবিলার কাছে ওর বাবাই হলো সুপারস্টার। সব মেয়ের কাছেই তার বাবাই প্রথম ভালোবাসা, ক্রাস সবকিছু। কিন্তু আলমগীর আর আয়েশার সাথে নাবিলার সম্পর্কটা আরো অনেক ঘনিষ্ঠ, অনেক কাছের। যেন কোনো লুকোছাপাই নাই ওদের মধ্যে। 

এলাকার বেশ ডাকাপুকো ফ্যামিলির ছেলে ছিল এই আলমগীর। পড়ালেখাতে কিছুটা ভালো হওয়াতে নাবিলার দাদা কিছু লোকজন ধরে সরকারি চাকরিটার ব্যাবস্থা করে দেয়। এমনিতেই ওদের ফ্যামিলির যা আছে তাতে কারো কিছু না করেই শুধু পায়ের উপর পা তুলেই দিব্বি আরাম আয়েশের জীবন কাটাতে পারত। কিন্তু ওর দাদা চেয়েছিল ছেলের যেন একটা ভালো সম্মানের জায়গা থাকে এলাকায়। কেউ যেন না বলে বাপ-দাদার পয়সায় ফুটানি করা বখাটে ছেলে। 
আর নাবিলার মায়ের ফ্যামিলির প্রভাব প্রতিপত্তি কিছু কম যায় না। নাবিলার নানাভাই এর পরিবারই এলাকার প্রাইমারি, হাইকলেজের জন্য জমি দেয়া থেকে শুরু করে কলেজ হওয়া সবকিছু গড়ে তোলে। নাবিলার নানাভাইও কলেজের মাস্টার আর পরে হেডমাস্টার ছিলেন। আর আয়েশা ছিল তারই বড় মেয়ে। বাবার থেকেই হয়ত প্রচন্ড বুদ্ধিমত্তা পেয়েছিল আয়েশা আর রুপ-গুনও বাবার কাছে থেকেই পেয়েছে। বাবার মতোই লাল টকটকে ফর্সা আর অত্যন্ত মিষ্টি কন্ঠ। নাবিলার মায়েরা ২বোন আর এক ভাই। ভাই সবার ছোট। নাম রাশেদ। আর নাবিলার সবথেকে কাছের বন্ধু।

নাবিলার বাবাই নাকি কলেজে যাওয়ার সময় আয়েশাকে দেখে প্রছন্দ করে ফেলে। আর তাই কলেজের রাস্তায় বসে থাকত একনজর আয়েশাকে দেখার জন্য। কিন্তু এত্ত বড় বাড়ির ছেলের কি এভাবে রাস্তায় দাড়িয়ে মেয়ে দেখা সোভা পায়? তাই নাবিলার দাদা একদিন সরাসরি নাবিলার নানাভাইএর কাছে প্রস্তাব নিয়ে আসে দুই পরিবারের মধ্যে স্থায়ী কুটুম পাতানোর জন্য। নাবিলার নানাভাইয়ের ও আপত্তি করার কোনো কারনই ছিল না। এলাকায় এরই মধ্যে কথাও ছড়িয়ে গিয়েছি, আলমগীরের সরকারি চাকরির ব্যাপারে। এমন ছেলে কোন বাবা চাইবে না শুনি। এরপরই ওদের বেশ ধুমধাম করে বিয়ে। বিয়ের ১ বছরও ঘুরতে না ঘুরতেই বাড়িতে নতুন অতিথি। আমি নাবিলা




ছোট বেলা থেকেই আব্বু আম্মুকে অনেক কাছে থেকেই দেখে আসছি। একদম সিনেমার নায়ক নায়িকাদের মতো। একটু যখন ছোট ছিলাম আব্বু মাঝে মাঝে আম্মুকে আদর করতে গেলে আম্মু লজ্জা পেয়ে বলতো যাও তো মেয়ে আছে সামনে তাও তোমার কোনো হেলদোল নাই। আব্বু তখন আমাকে বলতো দেখ তো মা তোর আম্মু কি বলে। আমি কি তোকে আদর করি নাহ। তাইলে তোর আম্মুকে না করলে পাপ হবে নাহ বোল তো। আমিও তখন বাচ্চাদের মতো করেই বলতাম তাই তো আম্মু। আব্বু তো আমাকেও আদর করে। আম্মু তখন আমাকে হাত উচু করে কিল দেয়ার অঙ্গভঙ্গি করলে আব্বু আম্মু কে চুমু খেত, আর আম্মু আমাদের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাতো।

আস্তে আস্তে বড় হতে থাকি। বুঝতে থাকি। জানি না অন্য ছেলে মেয়েরা কিভাবে তাদের জীবনের প্রথম যৌন শিক্ষা পেয়েছেন। আমি পেয়েছিলাম আমার আব্বু আম্মুর থেকেই। পরিবারের একমাত্র মেয়ে হওয়ার বাড়িতে তো আমি পুরাই একাই। খুব সম্ভবত যখন বয়স ১২-১৩ তখনই আমার জন্য আলাদা রুম ছিল। রুমের পাশে ছিল একটা বিশাল বড় বটগাছ। ছোটবেলা থেকেই ঐ গাছের নিচে খেলতাম অন্য সবার সাথে। কুত-কুত খেলাই আমার সব থেকে প্রিয় ছিল।

যখনই আমাকে আমার অন্য রুম দেয়া হলো। আমি তো খুবই খুশি। বাহ আমার একটা নিজের রুম কি মজার ব্যাপার। কিন্তু ঝামেলা বাধালো ঐ বটগাছটাই। একদিন আমি আম্মুর হাত ধরে কলেজ থেকে আসতেছিলাম। আমাদের একটা ছোট দোকানও ছিল। যেটা আব্বু সামলানোর সময় পায় না বলে আব্বুর এক বন্ধু সালাম কাকুকে দায়িত্ব সামলাতে বলে। তো সেই সালাম কাকুই আম্মুকে ডাক দেয় দোকানের ঐ সপ্তাহের হিসাবের টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। তখন এক পাজি বুড়ি মহিলা আমার কাছে এসেই আমাকে ধমক দিয়ে বলে, " ঐ মাইয়া তোর চুল খোলা কেন? তুই জানোস না এনে কি আছে। যাহ ভাগ এখান থেকে।" আমি তো বেশ ভয়ও পাই আবার বিরক্তও হই। আমি বলি, " কেন আমি কি করছি আর এখানে কি আছে?" বুড়ি মহিলা তখন ওর হাতে থাকা একটা ভাঙা লাঠি ঐ বটগাছের দিকে তাক করে বলে ওইখানে এক শয়তান আছে। আর বলেই হি হি হি করে ওর কালো বিচ্ছিরি দাঁত বের করে হাসতে থাকে। আমি কি করবো বুঝতেছিলামই না। আম্মু এর মধ্যে আমার কাছে এসে ঐ বুড়ির ওখান থেকে আমাকে নিয়ে আসে।  আমি যেতে যেতে আম্মুকে ঐ কথা জিজ্ঞাস করলে আম্মু তো খুব হাসে। কিন্তু আমার তো তাও কেমন জানি লাগতেছিল। 

বিকালেও আর ঐদিকে খেলতে যাই নাই ঐদিন। বাসাতেই ছিলাম। সারাদিন আর কিছুই মনে ছিল না যদিও। আব্বু আসে বাসায়। আব্বু আম্মুর সাথে খেইয়ে নিই। আব্বু আমাকে আর আম্মু কে খাওয়ায় দিল। আর কি কি জানি বলতেছিল। এখন কিছু মনেও নাই। তখন কিছু বুঝতেও পারি নাই। কিন্তু আম্মু আর আব্বু দুইজনই খুব হাসতেছিল। খাওয়া শেষ করেই আমি কার্টুন দেখতে থাকলাম। আর আব্বু আম্মু ওনাদের রুমে গেল। কি নিয়ে যে হাসাহাসি করলো আমার মনে নাই। (এখন ধারনা করতে পারি কি কথা ছিল)।

কিছুক্ষন পর আম্মু এসে বলে, "নাবিলা মা যাও অনেক রাত হইছে কালকে আবার কলেজ আছে। ঘুমাতে যাও।" আমি মনে হয় কিছুক্ষন আম্মুকে বিরক্ত করে অবশেষে বিছানায় গেছিলাম। শুতে যাবার পর আমার তেমন কিছু করার অভ্যাস তখন ছিল নাহ। কি কি করতে করতে সেদিন ঘুমিয়ে পড়ি।


হঠাত করেই মাঝ রাতে কার যেন চিৎকার শুনতে পেলাম। না একজন না আরও একজন কেউ ছিল। খুব মারামারি হচ্ছে মনে হলো। এর মধ্যে কিছুক্ষন পর আবার কেমন গো গো করে শব্দ হতে শুরু করলো। হুট করে চোখ পড়লো বাইরের জানালার দিকে। শোয়ার সময় আম্মুই জানালা বন্ধ করে দেয়। আজকেও তো মনে হয় আটকেই দিয়েছিল। কিন্তু আজকে কি হলো। কি মনে করে সেই গাছটার দিকে চোখ গেল। আর সাথে সাথেই মনে পড়লো সেই বুড়ির কথা।

আমার মনে আবার সেই ভয় চাওর করে উঠলো। কি জানি সেই সব কথা সত্য না তো। ভয়ে আমি আস্তে আস্তে পেছতে পেছতে বিছানার এক মাথায় এসে পড়লাম। যেই না বিছানার এমাথায় পৌছেছি ওমনি একটা শব্দ "ওমা গোওওওও" আর সাথে সাথে আমিও আর কিছু না ভেবেই ভয়ে একছুটে আব্বুর কাছে যেতে রুম থেকে বের হলাম.........

সুন্দর শুরু -- চালিয়ে যান
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.




Users browsing this thread: 1 Guest(s)