25-07-2024, 06:42 PM
(This post was last modified: 06-09-2024, 01:19 AM by RID007. Edited 7 times in total. Edited 7 times in total.)
পর্ব - ১
সময় সকাল পেরিয়ে ১১ টার কাছাকাছি চারপাশে কড়া রোদের মধ্যে ছাদে রাখা চৌকিতে খালি গায়ে শুধু লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় শুয়ে আছে একজন মানব নাম মিরাজ শেখ সবাই ডাকনাম রাজ বলেই ডাকে। শ্যাম বর্ণের সুঠাম পেটানো শরীর উচ্চতা প্রায় ছয় ফুট সাধারন বাঙালি পুরুষদের মধ্যে রাজ যেন দানবের মতো।
হঠাৎ চোখে মুখে পানির ছিটা পড়ায় চোখ পিটপিট করে সামনে তাকাতেই নজরে আসে একটি মেয়ের ফর্সা শরিরের শাড়ির ফাকে বেরিয়ে থাকা মসৃন পেট ও সুন্দর নাভি। মেয়েটি হলো রাজের ছোট ভাইয়ের বউ নিঝুম,মনে হয় মাত্র গোসল সেরেছে মাথার চুল তোয়ালে দিয়ে বাঁধা, ভালো ভাবে শাড়ি পড়লেও সামান্য উঁচু হয়ে দুহাতে কাপোড় নেড়ে দিচ্ছে বলে নিঝুমের পেট দৃশ্যমান।
নিঝুমের বয়স কত হবে ১৯ কি ২০। মেয়েটি দেখতে সুন্দর ফর্সা উচ্চতা পাঁচ ফুট তিন যা ছয় ফুটের মিরাজের কাছে কমই মনে হয় কিন্তু ওর স্বামীর উচ্চতার সাথে মানানসই। শরিরের গঠন বয়স হিসাবে ঠিকঠাক বুকদুটো মাঝারি সাইজের শরীরে মেদ নেই সাথে সুঢৌল নিতম্বের অধিকারী মেয়েটি। বলতে গেলে নায়িকা সাফা কবিরের মতো দেখতে।
এরমাঝেই নিঝুমের কাজ শেষ হলে নিজের ভাসুরের চাহনি নিজের পেটে দেখে নিঝুম তড়িঘড়ি শাড়ির আচল দিয়ে ভালো ভাবে পেট ঢেকে ফেলে যা দেখে রাজ মুচকি হাসে। নিঝুম রাজকে নাস্তা সারার জন্য নিচে আসতে বলে এবং বালতি নিয়ে ছাদ থেকে চলে যায়।
রাজ উঠে তার চিলেকোঠার ঘরে যায় ফ্রেশ হতে। ছাদে মাঝারি সাইজের একটা ঘর যার সাথে এটাচ বাথরুম। ঘরের এক পাশে জানালার সাথে লাগোয়া একটা পুরাতন শক্তপোক্ত খাট সাথে একটি মাঝারি সাইজের টেবিল ও দুটি চেয়ার এবং একপাশে ঘরের এমাথা থেকে ওমাথা দড়ি টাঙানো যা আলনার কাজ করে, দড়িতে তিনটা চেক শার্ট,তিনটা প্যান্ট,দুটি গেঞ্জি ও একটি লুঙ্গি। সেই পনের বছর বয়স থেকে সে এখানে থাকে এটাই তার নিজস্ব দুনিয়া।
রাজ ফ্রেশ হয়ে নিচে ডাইনিংএ নাস্তার টেবিলে বসে সে সচারাচর এ বাসায় খাওয়া দাওয়া করে না। প্রায় ১০ বছর হচ্ছে সে বাহিরে খাওয়া দাওয়া করে কিন্তু নিঝুম মেয়েটার মায়া মাখা ডাকে আজ খেতে এসেছে। মেয়েটা সেই প্রথম থেকেই কেমন করে তাকায় তার দিকে যেন শুধু করুনা ও খারাপ লাগা সেই চোখে রাজের জন্য। নিঝুম নাস্তা দিলে রাজ চুপচাপ খেতে শরু করে। খাওয়ার মাঝেই উপস্থিত হয় রাজের মা মিতা মন্ডল।
[ মিরা মন্ডল বয়স-৪৮ তিন সন্তানের জননী। এখনো বয়সের প্রভাব শরীরে পড়েনি মনে হয় ৪০ বছর বয়স। তার নিজস্ব বড়ো আচারের ফেক্টরি আছে। বর্তমানে বাড়ির সবকিছু তার কথাতেই চলে।]
মিরা - ও তাহলে ওঠার সময় হয়েছে মহারাজার। তোর কি কোনে দায়িত্ব নেই এই সংসারে? তোর বাবার অবস্থা ভালো না। ছোট ছেলেটা এই অল্প বয়সে সারাদিন খেটে মরছে আর তুই ৩১ এ পা দিয়ে বেকার বসে আছিস। সারাদিন মোড়ের রাস্তায় বখাটেপনা করিস মানুষ ছিঃ ছিঃ করে। লজ্জা করে না তোর অন্যের ঘাড়ে বোঝা বাড়াতে? কবে আমায় শান্তি দিবি ?
রাজের আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। কিছু না বলে আধ খাওয়া খাবার প্লেটে রেখে সে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে। নিঝুম শাশুড়ির দিকে তাকিয়ে নিচু স্বরে প্রশ্ন করে -
নিঝুম - এভাবে না বললেও তো পারতেন মা। মানুষটা তো বাড়িতে খায় না নিজের মতো চলে। অন্তত খাবার টা শেষ করতে দিতেন। আর আমাদের তো কোন অভাব নেই যে কাউকে খাওয়ার খোঁটা দিতে হবে, বেশ সচ্ছল ভাবেই তো আমরা চলি।
মিরা - তোমাকে এত দরদ দেখাতে বলেনি কেউ নিজের কাজ করো। আমার কি করার তা আমি ভালো ভাবেই জানি।
নিঝুম আর কিছু না বলে টেবিল গুছিয়ে রান্নাঘরের দিকে যায়। নিঝুম সেই প্রথম থেকে দেখছে বাড়ির সকলের সাথে যে মা মমতাময়ী শুধু রাজের ক্ষেত্রে আলাদা যেন সহ্যই করতে পারে না। কি জানি রাজ আসলেই তার নিজের সন্তান কিনা?
এটা সত্য রাজ মিরার নিজের সন্তান। কিন্তু সব সম্পর্কের মাঝে একটা জটিলতা রয়ে গেছে। রাজের যখন আট বছর বয়স তখন তার জন্মদাতা পিতা রেজাউল শেক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। রেজাউল শেখ ছিলেন বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান মিরার সাথে তার বিয়ে হয়েছিল পারিবারিক ভাবে। তারা বেশ সুখেই ছিল। রেজাউল শেখের মৃ'ত্যুর পড়ে তার সকল সম্পত্তি আত্মসাৎ করে স্থানীয় নেতারা এবং মিরা ও রাজের ঠায় হয় মামা বাড়িতে।
এরপর রাজের মামা মনোয়ারের বাল্য বন্ধু বিপত্নীক ইসহাক মন্ডলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান মিরা এবং রাজের যখন দশ বছর বয়স তখন তারা বিয়ে করেন। তখন ইসহাকের পরিবারে তার মা ও সাত বছর বয়সী মেয়ে রিমার(বর্তমান বয়স ২৮) সাথে যুক্ত হয় মিরা ও রাজ। যদিও ইসহাকের মায়ের ইচ্ছে ছিল রাজ যেন তার মামা বাড়িতেই থাকে এজন্য তিনি সবসময়ই রাজকে নিয়ে ঝামেলা করতেন এবং রাজকে সহ্যই করতে পারতেন না তার মনে ভয় ছিল রাজের জন্য মিরা তার নাতনীর দেখ ভাল ঠিকমতো করবেন না। এরপর বছর গড়ার সাথেই জন্ম নেয় ইরফান(বর্তমান বয়স ২০) এবং তার দুবছর পর জন্ম নেয় ইরিন(বর্তমান বয়স ১৮)। প্রথম প্রথম ইসহাকের মায়ের জন্য মিরা রাজকে দূরে দূরে রাখলেও ইরফানের জন্মের পর মা-ছেলের মধ্যেকার দূরত্ব বাড়তেই থাকে যা আর কমেনি। আর ইসহাক তো কোনোসময় রাজকে ছেলে হিসেবে কাছে টেনে নেয়নি রাজ তার কাছে উটকো ঝামেলা ছাড়া কিছুই ছিলোনা। একটা সময় রাজের গন্ডি হয়ে গেল সীমিত তার চিলেকোঠা ও এলাকার বন্ধুবান্ধন। মায়ের কোল ঘেঁষা ছেলেটা কত দিন হয় মন খুলে মাকে ডাকেনি একটু সময় কথা বলতে পারেনি। যেখানে মিরা অন্য সন্তানদের যত্ন করে খাওয়াতো সেখানে রাজ খাবার পেতো পেয়িং গেস্টের মতো আলাদা করে চিলেকোঠায়। কত রাত যে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মা মা করে কাটিয়েছে কিন্তু মায়ের খোঁজ পায়নি ছেলেটা। বাবা মা থাকলেও তা ছিল নামমাত্র রাজ বেড়ে উঠেছে এতিমের মতো। এসব তাকে বানিয়েছে দৃঢ পাথরের ন্যায়। এখন তাকে এসব অসুখ কাবু করে না সব সম্পর্ক তার কাছে মূল্যহীন। এসবের মাঝে একজন ছিল রাজের যত্ন নেওয়ার তার ভালো আন্টি আতিয়া(বর্তমান বয়স ৪৫) ইসহাকের ছোট বোন। আতিয়া বেশ কঠোর মনের হলেও ইসহাক ও তার মায়ের মতো না। রক্তের সম্পর্ক না থাকার পরেও আতিয়া রাজের বেশ খেয়াল রাখতো। কিন্তু আতিয়ার বিয়ের পর রাজ আবারও একা হয়ে পড়ে। বর্তমানেও শুধু এই একজনের কথাই শুনে রাজ।
একা বাড়তে বাড়তে ১৯ বছর বয়সে সেনাবাহিনীর চাকরিতে টিকে যায় রাজ। সেখানেও রগচটা স্বভাবের জন্য নিয়ম বহির্ভূত ভাবে এক আসামিকে প্রায় মেরে ফেলার চেষ্টা করে এবং চাকরি হারায়। কিন্তু তার এলাকার বন্ধু ও ছোট ভাইদের কাছে সে সবার সেরা হলেও বাসায় ছোট ভাইবোনের সাথে তার তেমন সখ্যতা নেই। এভাবেই চলছিল রাজের জীবন।
কিন্তু দুবছর আগে ইসহাক মন্ডল স্ট্রোক করে এবং সম্পূর্ণ প্যারালাইড হয়ে এখনও হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় আছে। রাজকে তার মামা মনোয়ার ইসহাকের ব্যবসা দেখাশুনা করতে বললে সে আগ্রহ প্রকাশ করেনা। যার ফলে মিরা ও ইরফানই মামার সাহায্যে সব দেখাশোনা করে। সাতমাস হচ্ছে ইরফান মায়ের কাছে বলে তার সমবয়সী নিঝুমকে বিয়ে করে।ইরফান ও নিঝুম দুজনের মাঝে সেই কলেজ লাইফ থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
বর্তমানে রাজ মোড়ের চায়ের দোকানে গিয়ে বসে তার বন্ধু রানা,ছোটভাই রবিন ও সজিবের সাথে। যারা আগে থেকেই আড্ডায় মেতে ছিল।
সময় সকাল পেরিয়ে ১১ টার কাছাকাছি চারপাশে কড়া রোদের মধ্যে ছাদে রাখা চৌকিতে খালি গায়ে শুধু লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় শুয়ে আছে একজন মানব নাম মিরাজ শেখ সবাই ডাকনাম রাজ বলেই ডাকে। শ্যাম বর্ণের সুঠাম পেটানো শরীর উচ্চতা প্রায় ছয় ফুট সাধারন বাঙালি পুরুষদের মধ্যে রাজ যেন দানবের মতো।
হঠাৎ চোখে মুখে পানির ছিটা পড়ায় চোখ পিটপিট করে সামনে তাকাতেই নজরে আসে একটি মেয়ের ফর্সা শরিরের শাড়ির ফাকে বেরিয়ে থাকা মসৃন পেট ও সুন্দর নাভি। মেয়েটি হলো রাজের ছোট ভাইয়ের বউ নিঝুম,মনে হয় মাত্র গোসল সেরেছে মাথার চুল তোয়ালে দিয়ে বাঁধা, ভালো ভাবে শাড়ি পড়লেও সামান্য উঁচু হয়ে দুহাতে কাপোড় নেড়ে দিচ্ছে বলে নিঝুমের পেট দৃশ্যমান।
নিঝুমের বয়স কত হবে ১৯ কি ২০। মেয়েটি দেখতে সুন্দর ফর্সা উচ্চতা পাঁচ ফুট তিন যা ছয় ফুটের মিরাজের কাছে কমই মনে হয় কিন্তু ওর স্বামীর উচ্চতার সাথে মানানসই। শরিরের গঠন বয়স হিসাবে ঠিকঠাক বুকদুটো মাঝারি সাইজের শরীরে মেদ নেই সাথে সুঢৌল নিতম্বের অধিকারী মেয়েটি। বলতে গেলে নায়িকা সাফা কবিরের মতো দেখতে।
এরমাঝেই নিঝুমের কাজ শেষ হলে নিজের ভাসুরের চাহনি নিজের পেটে দেখে নিঝুম তড়িঘড়ি শাড়ির আচল দিয়ে ভালো ভাবে পেট ঢেকে ফেলে যা দেখে রাজ মুচকি হাসে। নিঝুম রাজকে নাস্তা সারার জন্য নিচে আসতে বলে এবং বালতি নিয়ে ছাদ থেকে চলে যায়।
রাজ উঠে তার চিলেকোঠার ঘরে যায় ফ্রেশ হতে। ছাদে মাঝারি সাইজের একটা ঘর যার সাথে এটাচ বাথরুম। ঘরের এক পাশে জানালার সাথে লাগোয়া একটা পুরাতন শক্তপোক্ত খাট সাথে একটি মাঝারি সাইজের টেবিল ও দুটি চেয়ার এবং একপাশে ঘরের এমাথা থেকে ওমাথা দড়ি টাঙানো যা আলনার কাজ করে, দড়িতে তিনটা চেক শার্ট,তিনটা প্যান্ট,দুটি গেঞ্জি ও একটি লুঙ্গি। সেই পনের বছর বয়স থেকে সে এখানে থাকে এটাই তার নিজস্ব দুনিয়া।
রাজ ফ্রেশ হয়ে নিচে ডাইনিংএ নাস্তার টেবিলে বসে সে সচারাচর এ বাসায় খাওয়া দাওয়া করে না। প্রায় ১০ বছর হচ্ছে সে বাহিরে খাওয়া দাওয়া করে কিন্তু নিঝুম মেয়েটার মায়া মাখা ডাকে আজ খেতে এসেছে। মেয়েটা সেই প্রথম থেকেই কেমন করে তাকায় তার দিকে যেন শুধু করুনা ও খারাপ লাগা সেই চোখে রাজের জন্য। নিঝুম নাস্তা দিলে রাজ চুপচাপ খেতে শরু করে। খাওয়ার মাঝেই উপস্থিত হয় রাজের মা মিতা মন্ডল।
[ মিরা মন্ডল বয়স-৪৮ তিন সন্তানের জননী। এখনো বয়সের প্রভাব শরীরে পড়েনি মনে হয় ৪০ বছর বয়স। তার নিজস্ব বড়ো আচারের ফেক্টরি আছে। বর্তমানে বাড়ির সবকিছু তার কথাতেই চলে।]
মিরা - ও তাহলে ওঠার সময় হয়েছে মহারাজার। তোর কি কোনে দায়িত্ব নেই এই সংসারে? তোর বাবার অবস্থা ভালো না। ছোট ছেলেটা এই অল্প বয়সে সারাদিন খেটে মরছে আর তুই ৩১ এ পা দিয়ে বেকার বসে আছিস। সারাদিন মোড়ের রাস্তায় বখাটেপনা করিস মানুষ ছিঃ ছিঃ করে। লজ্জা করে না তোর অন্যের ঘাড়ে বোঝা বাড়াতে? কবে আমায় শান্তি দিবি ?
রাজের আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। কিছু না বলে আধ খাওয়া খাবার প্লেটে রেখে সে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে। নিঝুম শাশুড়ির দিকে তাকিয়ে নিচু স্বরে প্রশ্ন করে -
নিঝুম - এভাবে না বললেও তো পারতেন মা। মানুষটা তো বাড়িতে খায় না নিজের মতো চলে। অন্তত খাবার টা শেষ করতে দিতেন। আর আমাদের তো কোন অভাব নেই যে কাউকে খাওয়ার খোঁটা দিতে হবে, বেশ সচ্ছল ভাবেই তো আমরা চলি।
মিরা - তোমাকে এত দরদ দেখাতে বলেনি কেউ নিজের কাজ করো। আমার কি করার তা আমি ভালো ভাবেই জানি।
নিঝুম আর কিছু না বলে টেবিল গুছিয়ে রান্নাঘরের দিকে যায়। নিঝুম সেই প্রথম থেকে দেখছে বাড়ির সকলের সাথে যে মা মমতাময়ী শুধু রাজের ক্ষেত্রে আলাদা যেন সহ্যই করতে পারে না। কি জানি রাজ আসলেই তার নিজের সন্তান কিনা?
এটা সত্য রাজ মিরার নিজের সন্তান। কিন্তু সব সম্পর্কের মাঝে একটা জটিলতা রয়ে গেছে। রাজের যখন আট বছর বয়স তখন তার জন্মদাতা পিতা রেজাউল শেক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। রেজাউল শেখ ছিলেন বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান মিরার সাথে তার বিয়ে হয়েছিল পারিবারিক ভাবে। তারা বেশ সুখেই ছিল। রেজাউল শেখের মৃ'ত্যুর পড়ে তার সকল সম্পত্তি আত্মসাৎ করে স্থানীয় নেতারা এবং মিরা ও রাজের ঠায় হয় মামা বাড়িতে।
এরপর রাজের মামা মনোয়ারের বাল্য বন্ধু বিপত্নীক ইসহাক মন্ডলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান মিরা এবং রাজের যখন দশ বছর বয়স তখন তারা বিয়ে করেন। তখন ইসহাকের পরিবারে তার মা ও সাত বছর বয়সী মেয়ে রিমার(বর্তমান বয়স ২৮) সাথে যুক্ত হয় মিরা ও রাজ। যদিও ইসহাকের মায়ের ইচ্ছে ছিল রাজ যেন তার মামা বাড়িতেই থাকে এজন্য তিনি সবসময়ই রাজকে নিয়ে ঝামেলা করতেন এবং রাজকে সহ্যই করতে পারতেন না তার মনে ভয় ছিল রাজের জন্য মিরা তার নাতনীর দেখ ভাল ঠিকমতো করবেন না। এরপর বছর গড়ার সাথেই জন্ম নেয় ইরফান(বর্তমান বয়স ২০) এবং তার দুবছর পর জন্ম নেয় ইরিন(বর্তমান বয়স ১৮)। প্রথম প্রথম ইসহাকের মায়ের জন্য মিরা রাজকে দূরে দূরে রাখলেও ইরফানের জন্মের পর মা-ছেলের মধ্যেকার দূরত্ব বাড়তেই থাকে যা আর কমেনি। আর ইসহাক তো কোনোসময় রাজকে ছেলে হিসেবে কাছে টেনে নেয়নি রাজ তার কাছে উটকো ঝামেলা ছাড়া কিছুই ছিলোনা। একটা সময় রাজের গন্ডি হয়ে গেল সীমিত তার চিলেকোঠা ও এলাকার বন্ধুবান্ধন। মায়ের কোল ঘেঁষা ছেলেটা কত দিন হয় মন খুলে মাকে ডাকেনি একটু সময় কথা বলতে পারেনি। যেখানে মিরা অন্য সন্তানদের যত্ন করে খাওয়াতো সেখানে রাজ খাবার পেতো পেয়িং গেস্টের মতো আলাদা করে চিলেকোঠায়। কত রাত যে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মা মা করে কাটিয়েছে কিন্তু মায়ের খোঁজ পায়নি ছেলেটা। বাবা মা থাকলেও তা ছিল নামমাত্র রাজ বেড়ে উঠেছে এতিমের মতো। এসব তাকে বানিয়েছে দৃঢ পাথরের ন্যায়। এখন তাকে এসব অসুখ কাবু করে না সব সম্পর্ক তার কাছে মূল্যহীন। এসবের মাঝে একজন ছিল রাজের যত্ন নেওয়ার তার ভালো আন্টি আতিয়া(বর্তমান বয়স ৪৫) ইসহাকের ছোট বোন। আতিয়া বেশ কঠোর মনের হলেও ইসহাক ও তার মায়ের মতো না। রক্তের সম্পর্ক না থাকার পরেও আতিয়া রাজের বেশ খেয়াল রাখতো। কিন্তু আতিয়ার বিয়ের পর রাজ আবারও একা হয়ে পড়ে। বর্তমানেও শুধু এই একজনের কথাই শুনে রাজ।
একা বাড়তে বাড়তে ১৯ বছর বয়সে সেনাবাহিনীর চাকরিতে টিকে যায় রাজ। সেখানেও রগচটা স্বভাবের জন্য নিয়ম বহির্ভূত ভাবে এক আসামিকে প্রায় মেরে ফেলার চেষ্টা করে এবং চাকরি হারায়। কিন্তু তার এলাকার বন্ধু ও ছোট ভাইদের কাছে সে সবার সেরা হলেও বাসায় ছোট ভাইবোনের সাথে তার তেমন সখ্যতা নেই। এভাবেই চলছিল রাজের জীবন।
কিন্তু দুবছর আগে ইসহাক মন্ডল স্ট্রোক করে এবং সম্পূর্ণ প্যারালাইড হয়ে এখনও হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় আছে। রাজকে তার মামা মনোয়ার ইসহাকের ব্যবসা দেখাশুনা করতে বললে সে আগ্রহ প্রকাশ করেনা। যার ফলে মিরা ও ইরফানই মামার সাহায্যে সব দেখাশোনা করে। সাতমাস হচ্ছে ইরফান মায়ের কাছে বলে তার সমবয়সী নিঝুমকে বিয়ে করে।ইরফান ও নিঝুম দুজনের মাঝে সেই কলেজ লাইফ থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
বর্তমানে রাজ মোড়ের চায়ের দোকানে গিয়ে বসে তার বন্ধু রানা,ছোটভাই রবিন ও সজিবের সাথে। যারা আগে থেকেই আড্ডায় মেতে ছিল।
Coming soon......