27-12-2023, 05:43 PM
চুপচাপ ভাবছি কি করবো, গ্রাম থেকে সকালে মাস্টার মশাই ফোন করেছিল। সবার আগে আমার ছোট্ট মেয়ে দিয়ার খবর জানবেন। কথা বলবেন। এবং যখন মেয়ের সাথে কথা বলা হবে ওর মা অর্থাৎ আমার সোনামুনি দিয়ার আম্মু, আমার লক্ষ্মী বউ রেশমির সাথে একান্ত অনেকক্ষণ কথা বলবেন।
এই দিকে আমি অফিসে যাবো সময় নেই হাতে, মেয়ের কলেজ ও শুরু হবে, তারপরও তার মাস্টার মশাই এর সাথে কথা বলতেই হবে এখন।
আমি জানি মাস্টার মশাই প্রতিদিন ফোন দেয় না, এবং আমরা উপর দিয়ে ফোন দিলেও তিনি কখনোই ফোন ধরেন না, কেনো ধরেন না, একটুও জানি না।
- দিয়া সোনা আমার তারাতাড়ি খাও মামুনি, তোমার বাবার অফিসের সময় হয়েছে মা
আমি চুপ ছিলাম কোনো কথা বলছিলাম না, শুধু পাউরুটি টা খাচ্ছিলাম। ও ডিম টাও ভাজতে ভুলে গেছে।
- ইসস্, অভিক তুমিও বাচ্চা হয়েছো, এতো সময় লাগে, অফিসে দেরি হলে তখন সব দোষ হবে আমার।
আমি শুধু বললাম- কি বললো, তোমার মাস্টার মশাই
- বললো দুইদিন এসে থেকে যেতে, চাঁচি নাকি অসুস্থ।
- কি হয়েছে চাঁচির?
- ফটিক চাচা মাস্টারের চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।
-তাহলে এখানে এসে থেকে গেলেই তো পারতো চাচি সহ, তোমাদের ওই হাইকলেজ কি সরকারি?
- না গো, সরকারি হলে তো মানুষটা অনেক টাকা ই পাইতো, বললো বাদ দিয়েছে নতুন প্রিন্সিপাল। দুইজনের মানুষের সংসার টা কেমনে চলে এখন, হাটে- বাজারে সবজি বিক্রি করে আর কত টাকায় লাভ হবে। কত বার করেই বলি চলেন আমাদের সাথে, শুধু বলে এই ভিটা মাটি ছেড়ে কোথায় যাবো।
কথা গুলো একা একাই বলে চুপ হয়ে গেল রেশমি, বউটার দুঃখী মুখের দিকে তাকিয়ে চুপ থাকতে পারলাম না,,
- দুইটা হাত ধরে বললাম যাবে? কাল থেকে দিয়ার কলেজ ও ছুটি দিবে, আর নির্বাচনের কারণে আমিও ছুটি পাবো, কয়েকটা দিন থেকে চেষ্টা করবো এখানে নিয়ে আসার, তাও তুমি কষ্ট পাওনা সোনা আমার,
-,,,( সোখে পানি ভাসছে, এই বুঝী পরে) তোমার কষ্ট হয় সোনা, আমি যাবো না
কথাটা বলে একদম কেদে আমার বুকে মাথাটা লুকিয়ে বির বির করে আবার বলতে শুরু করলো,
- তুমি না মানুষটাকে দুই চোখে দেখতেই পারো না
- কি করবো এখন, আমি যে আমার বউটাকে ভালো বাসি।
- হয়েছে হয়েছে, এখন তারাতাড়ি ওঠো দেরি হয়ে যাচ্ছে
তারপর আর কি, বাসা থেকে বের হয়ে মেয়ে কে কলেজের গেটে নেমে দিলাম,
- বাই মামুনি, তোমার আম্মু আসবে নিতে, তুমি কলেজের বাইরে আসবে না কিন্তু
- আচ্চা বাবা, love you, byeee
মেয়ে চলে গেলো, ওর চলে যাওয়া দেখছি, একটু পর গাড়িতে ওঠবো দেখি রাস্তার পাশে ওই লোকটা আজো দাড়িয়ে আছে, রেশমি আমাকে অনেক বার বলেছে, মানুষ টা নাকি কেমন ভাবে তাকিয়ে থাকে,,,,
এই দিকে আমি অফিসে যাবো সময় নেই হাতে, মেয়ের কলেজ ও শুরু হবে, তারপরও তার মাস্টার মশাই এর সাথে কথা বলতেই হবে এখন।
আমি জানি মাস্টার মশাই প্রতিদিন ফোন দেয় না, এবং আমরা উপর দিয়ে ফোন দিলেও তিনি কখনোই ফোন ধরেন না, কেনো ধরেন না, একটুও জানি না।
- দিয়া সোনা আমার তারাতাড়ি খাও মামুনি, তোমার বাবার অফিসের সময় হয়েছে মা
আমি চুপ ছিলাম কোনো কথা বলছিলাম না, শুধু পাউরুটি টা খাচ্ছিলাম। ও ডিম টাও ভাজতে ভুলে গেছে।
- ইসস্, অভিক তুমিও বাচ্চা হয়েছো, এতো সময় লাগে, অফিসে দেরি হলে তখন সব দোষ হবে আমার।
আমি শুধু বললাম- কি বললো, তোমার মাস্টার মশাই
- বললো দুইদিন এসে থেকে যেতে, চাঁচি নাকি অসুস্থ।
- কি হয়েছে চাঁচির?
- ফটিক চাচা মাস্টারের চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।
-তাহলে এখানে এসে থেকে গেলেই তো পারতো চাচি সহ, তোমাদের ওই হাইকলেজ কি সরকারি?
- না গো, সরকারি হলে তো মানুষটা অনেক টাকা ই পাইতো, বললো বাদ দিয়েছে নতুন প্রিন্সিপাল। দুইজনের মানুষের সংসার টা কেমনে চলে এখন, হাটে- বাজারে সবজি বিক্রি করে আর কত টাকায় লাভ হবে। কত বার করেই বলি চলেন আমাদের সাথে, শুধু বলে এই ভিটা মাটি ছেড়ে কোথায় যাবো।
কথা গুলো একা একাই বলে চুপ হয়ে গেল রেশমি, বউটার দুঃখী মুখের দিকে তাকিয়ে চুপ থাকতে পারলাম না,,
- দুইটা হাত ধরে বললাম যাবে? কাল থেকে দিয়ার কলেজ ও ছুটি দিবে, আর নির্বাচনের কারণে আমিও ছুটি পাবো, কয়েকটা দিন থেকে চেষ্টা করবো এখানে নিয়ে আসার, তাও তুমি কষ্ট পাওনা সোনা আমার,
-,,,( সোখে পানি ভাসছে, এই বুঝী পরে) তোমার কষ্ট হয় সোনা, আমি যাবো না
কথাটা বলে একদম কেদে আমার বুকে মাথাটা লুকিয়ে বির বির করে আবার বলতে শুরু করলো,
- তুমি না মানুষটাকে দুই চোখে দেখতেই পারো না
- কি করবো এখন, আমি যে আমার বউটাকে ভালো বাসি।
- হয়েছে হয়েছে, এখন তারাতাড়ি ওঠো দেরি হয়ে যাচ্ছে
তারপর আর কি, বাসা থেকে বের হয়ে মেয়ে কে কলেজের গেটে নেমে দিলাম,
- বাই মামুনি, তোমার আম্মু আসবে নিতে, তুমি কলেজের বাইরে আসবে না কিন্তু
- আচ্চা বাবা, love you, byeee
মেয়ে চলে গেলো, ওর চলে যাওয়া দেখছি, একটু পর গাড়িতে ওঠবো দেখি রাস্তার পাশে ওই লোকটা আজো দাড়িয়ে আছে, রেশমি আমাকে অনেক বার বলেছে, মানুষ টা নাকি কেমন ভাবে তাকিয়ে থাকে,,,,