Thread Rating:
  • 167 Vote(s) - 3.41 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance ছিন্নমূল ঃ কামদেব
Panchali ki udar hobe!?
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
উত্তেজনা তুঙ্গে! সুখের অতীতটা বেরিয়ে আসবে পাঞ্চালির সামনে এবারে। কিন্তু আসল কথাটা হচ্ছে যে তখন মোমোর অবস্থাটা কি হবে? পারবে কি সে আর তার ভাইঝির সামনে দাঁড়াতে...........
[+] 2 users Like a-man's post
Like Reply
(23-08-2023, 10:46 PM)a-man Wrote: উত্তেজনা তুঙ্গে! সুখের অতীতটা বেরিয়ে আসবে পাঞ্চালির সামনে এবারে। কিন্তু আসল কথাটা হচ্ছে যে তখন মোমোর অবস্থাটা কি হবে? পারবে কি সে আর তার ভাইঝির সামনে দাঁড়াতে...........

একদম দাদা
Like Reply
(23-08-2023, 10:46 PM)a-man Wrote: উত্তেজনা তুঙ্গে! সুখের অতীতটা বেরিয়ে আসবে পাঞ্চালির সামনে এবারে। কিন্তু আসল কথাটা হচ্ছে যে তখন মোমোর অবস্থাটা কি হবে? পারবে কি সে আর তার ভাইঝির সামনে দাঁড়াতে...........

আমার তো  মনে হচ্ছে মোমো আর বাঁচবে না। 

লাইক ও রেপু দিলাম। 
Like Reply
(23-08-2023, 12:40 AM)poka64 Wrote: সত্যি বলছি হচ্ছে ভিষন চাপ
কেচো খুড়তে বেরোই যদি সাপ

দেখা যাক কি হয়। 

লাইক ও রেপু দিলাম। 
[+] 2 users Like buddy12's post
Like Reply
Waiting for next update
Like Reply
নবনবতি অধ্যায়




সহৃদয় পাঠক একটি দুঃসংবাদ দিতে হচ্ছে।অধ্যাপিকা দীপশিখা মিত্র সহকর্মী এবং ডাক্তারদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে গভীর রাতে সহকর্মীদের চোখের জলে ভাসিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। শ্রীমতী মিত্রের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেও অবশেষে সহকর্মীরা বিশেষ করে অধ্যাপিকা শুক্লা বসু চৌধুরী উদ্যোগী হয়ে শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করলেন।
ঈশানী প্রথমদিন গেছিল পাশেই হাসপাতাল।ম্যাডাম তখন বেহুশ।মুখটা ছ্যাতরায়ে গেছে।মৃত্যুর খবর পেয়ে দিশাহারা বোধ করে।সে এখন কোথায় যাবে কে তাকে মাইনে দেবে ভেবে কূলকিনারা পায়না।সাহেবরে কয়েকবার ফোন করে নাগাল পায়নি।কাল সকালে অবশ্য পেয়েছিল।সাহেব হয়তো আসতে পারে সেই আশায় বসে আছে।দাহ করে এসে একজন ম্যাডাম এসেছিলেন।আশপাশের কয়েকজন খোজ নিতে এসেছিল।এক ফ্লাটের একজন কাজের কথাও বললে ঈশানী কিছু বলেনি।কাজ তো কোথাও না কোথাও করতে হবে। 
বাস চলাচল শুরু হয়েছে।ঈশানি বিছানা ছেড়ে উঠে বসল।কলিং বেল বাজতে বিরক্ত হয়।সব দুঃখ প্রকাশ করতে আসছে।আমি কাজের লোক ম্যাডামের কেঊ হইনা আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করে কি হবে।যে যাবার সেতো চলে গেছে।ঈশানী উঠে দরজা খুলতে গেল। দরজা খুলে চমকে ওঠে সামনে দাঁড়িয়ে থম্থমে মুখ সাহেব।
আপনি তো আমাকে বলেননি?
মারা গেলেন দুপুরে,কলেজের লোকজন--আমার কি তখন মাথার ঠিক আছে।
ভিতরে চলো।পাঞ্চালী বলল।
হ্যা আপনেরা বসেন আমি চা করতিছি।ঈশানী রান্না ঘরে চলে গেল।
সুখ ঘরে ঢুকে বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ল।পাঞ্চালী বুঝতে পারে কাদছে।কৌতূহল বাড়ে কি এমন সম্পর্ক ছিল মোমো তো ওর কেউ নয়।মোবাইলে বাটন টিপতে ওপাশ হতে শোনা গেল,হ্যা বল--।
মামণি মোমো আর নেই।
কিছুক্ষন স্তব্ধ তারপর শোনা গেল,কি হয়েছিল?
বাস থেকে নামতে গিয়ে ট্রামের মুখে পড়ে তারপর ঘেষটাতে ঘেষ্টাতে অনেকটা নিয়ে গেছিল।রাস্তার লোকজন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়,খবর পেয়ে কলেজের লোকজন আসে--।
পাপের ফল--।
কি বলছো এসব?
তুই জানিস না তোকে বলিনি। তোর দাদুর সঙ্গে যা ব্যবহার করেছে--।
আচ্ছা ঠিক আছে রাখছি।পাঞ্চালী ফোন কেটে দিল। 
ঈশানী একটা ট্রেতে দু-কাপ চা নিয়ে ঢুকতে পাঞ্চালি ট্রেটা নিয়ে সুখকে ডাকে,এই ওঠো।চা নিয়ে এসেছে।
সুখ পাশ ফিরে চোখ মেলে তাকাতে পাঞ্চালি বলল,দেখো জন্ম মৃত্যুতে আমাদের হাত নেই।ওঠো চা খেয়ে স্নান করে নেও শরীর ঝরঝরে লাগবে।
সুখ উঠে বসে হাত বাড়িয়ে চায়ের কাপ নিল।
আমার পিসি আমার কি খারাপ লাগছে না?
চায়ে চুমুক দিয়ে সুখ বলল,খারাপ লাগছে শেষ দেখাটা হল না।
সেতো লাগবেই।
কলেজে জয়েন করাটাই ভুল হয়েছে।আমি থাকলে এদিন দেখতে হতো না।
তুমি থাকলে কি হতো?রাস্তায় এক্সিডেণ্ট হয়েছে তুমি কি করবে?
সে তুমি বুঝবে না।
মৃত্যুর খবরটা ঈশানী জানায়নি।অবশ্য জানালেই বা কি হতো।অতদূর থেকে আসা কি করে সম্ভব।মহিলা কেমন ঘুর ঘুর করছে সুখ  বিরক্ত হয়।সুখ জিজ্ঞেস করল,আপনি কিছু বলবেন?
পাঞ্চালীর দিকে এক নজর দেখে ঈশানী বলল,না কি আর বলব? 
এর হাতে বাড়ি রেখে যাওয়া ঠীক হবে না।সুখ মনে মনে স্থির করে সে আর ফিরবে না।সব ঘটনা জানার পর পাঞ্চালীও তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে বলে মনে হয়না।কলকাতায় থেকে আবার পরীক্ষা দেবে।মোমোর সঙ্গে তার জয়েণ্ট এ্যাকাউণ্ট কটা দিন চালিয়ে নেওয়া যাবে।তার আগে ঈশানীকে বিদায় দেওয়া দরকার।চা শেষ করে একটা সিগারেট ধরালো  সুখ।পাঞ্চালী আড়চোখে দেখে অন্যদিকে মুখ ফেরালো।
আমি স্নানটা সেরে নিই।পাঞ্চালী বাথরুমে ঢুকে গেল। 
নিজেকে অনাবৃত করে কমোডে বসে নিজের শরীরের প্রতি চোখ বোলাতে থাকে।কোমরের নীচে নজর পড়তে রিক্সায় বসার কথা মনে পড়তে ঠোটে হাসি ফোটে।রিক্সায় দুজনে খুব চাপাচাপি করে বসেছিল।তার নিতম্ব একটু ভারী পাঞ্চালী বুঝতে পারে।ওর পেনিসটাও বেশ বড় মনে হয়।কোনো কৃত্রিম উপায়ে করেনি তো?আমাকে তুমি কতটুকু চেনো বলার পর থেকে এইসব আবোল তাবোল চিন্তা মাথায় আসছে। তলপেটের নীচে হাত দিয়ে বোঝে সেভ করা দরকার কাটার মত বিধছে।পিসির মৃত্যু তাকে আহত করেছে কিন্তু সুখর এতখানি ভেঙ্গে পড়া বিসদৃশ লাগে।মোমোর সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ হল। এমনিতে সুখ লাজুক প্রকৃতির মেয়েদের সঙ্গে সহজে মিশতে পারেনা।মোমোর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল নাতো! কথাটা মনে হতেই চমকে ওঠে।নিজেকে শাসন করে ছিঃ এসব কি ভাবছে?  
সাহেব একা ছিল ভেবেছিল কাজটা সেরে ফেলবে ভদ্রলোক আসায় ঈশানী বিরক্ত হয়।বৈঠকখানা ঘরে বসে সুখ কথা বলে।
আমি প্রদোষ লাহিড়ী ডি ব্লকে থাকি আপনারা এসেছেন শুনে দেখা করতে এলাম।ভদ্রলোক কাসতে থাকেন।
আমি সুখ রঞ্জন--।
আপনাকে চিনি।এখন তো আপনিও কলেজে অধ্যাপনা করেন।  
আমরা আজ সকালে এসেছি।
একদিন আগে এলে দেখা হতো ভেরি স্যাড।অতবড় ডাক্তারের বোন প্রফেসর মিত্র অথচ শেষ সময়ে পাশে কেউ নেই--।আবার কাসি।
ওর ভাইঝি এসেছেন।আপনাকে অসুস্থ মনে হচ্ছে।
হ্যা কদিন ধরে একটু জ্বর জ্বর।
ডাক্তার দেখান নি?
দেখিয়েছি ওষূধ খাচ্ছি।কোনো পরিবর্তন নেই আজকাল ডাক্তাররা যা হয়েছে।একটু কেসে বললেন,ওর সহকর্মীরা ছিলেন সারাক্ষন কলেজে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।কি জানেন মৌলালীর মোড়ে টার্নিং পয়েণ্টটা বিপদজনক।প্রফেসর মিত্র বাস নামতেই ট্রামের মুখে পড়লেন।বয়স হয়েছে--।
পাঞ্চালী স্নান সেরে প্রবেশ করতে কথা থেমে যায়।
সুখ বলল,উনি প্রদোষবাবু পাশে থাকেন।তোমার পিসির মৃত্যুতে সমবেদনা জানাতে এসেছেন।আর ইনি ড.মিত্র।
দুজনে প্রতি নমস্কার করল।সুখ বলল,দেখোতো ওর কি হয়েছে, উনি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছেন।
একেবারে ছেলে মানুষ উনি কিছু বলে নি ওর গরজ বেশী।পাঞ্চালী বলল,ঠিক আছে দেখছি তুমি স্নানে যাও।
সুখ চলে গেল পাঞ্চালী ঘরে গিয়ে এ্যাটাচি নিয়ে ফিরে এসে জিজ্ঞেস করল,সমস্যা কি আপনার?
কাসি হচ্ছে বুকে ভীষণ ব্যথা--।
পাঞ্চালী স্টেথো দিয়ে বুকে পিঠে লাগিয়ে দেখতে দেখতে জিজ্ঞেস করে,ডাক্তার দেখান নি?
দেখিয়েছি ম্যাম তিনদিন হয়ে গেল সেই আগের মতই আছে।আপনার বাবা কত বড় ডাক্তার ছিলেন--।
কথা নাবলে বড় বড় করে শ্বাস নিন।পাঞ্চালীর মনে হোল বুকে কফ জমেছে।প্যাড বের করে ওষূধ লিখতে লিখতে বলল,ওই ওষূধ বন্ধ করে এগুলো নিয়ম করে খাবেন।
ওহ খুব উপকার হল।কাসিটা কিছুতেই যাচ্ছে না--
উপকার কোথায় হল ওষূধগুলো খান দেখুন কি হয়।
এখুনি কিনে খাচ্ছি ।আসি ম্যাম।প্রদোষবাবু চলে গেলেন।
পাঞ্চালী মনে মনে ভাবে ভালো হাজব্যাণ্ড হয়েছে তার।
Like Reply
বঙ্কিমচন্দ্রের দর্শন। লক্ষন রেখা অতিক্রম করলে 
মৃত্যু অবধারিত। 

লাইক ও রেপু দিলাম। 
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply
যাচ্চলে কত্তা, দীপশিখার দীপের শিখা নিভিয়েই ছাড়লেন। সুখ বেচারা মোমো না খেয়ে দুখেই এবার অসুখে না পড়ে।
[+] 1 user Likes Akash23's post
Like Reply
খুবই কষ্ট পেয়েছে সুখ তার ভালোবাসার দীপশিখা কে হারিয়ে।।
[+] 1 user Likes Akash88's post
Like Reply
এতো দুঃখ জনক ঘটনা কামদেব দা খুব কষ্ট হচ্ছে।
horseride আমাকে আমার মত থাকতে দাও horseride
Like Reply
Update please...... yourock yourock   yourock
Like Reply
যে আশঙ্কা করা হচ্ছিলো সেটাই হলো। কি আর করা।
মোমোর বয়স অতিরিক্ত বেশি জানার পর থেকেই কেমন যেন দোটানার ভেতরে পরে গিয়েছিলাম, কেমন যেন মনে হচ্ছিলো মোমো সুখ কে ছেড়ে দিলেই ভালো কিন্তু তৎক্ষণাৎই আবার মনে হচ্ছিলো যে না ছাড়লে ভালো হবেনা কারণ এই মোমো/দীপশিখাই সুখ কে দেখিয়েছে আলো। আমার বিশ্বাস পাঠকদের অবস্থাও একই রকম দোটানায় ছিল এই মোমো সুখের ব্যাপারটা নিয়ে। যাহোক চলেই গেলো সে সকলের অগোচরে। এখন না জানি সুখের অবস্থা আবার কি হয় আর পাঞ্চালি সত্যটা জানার পরই বা কি করে!
Like Reply
শততম অধ্যায়



মধ্যাহ্ন ভোজনের পর সুখ ঘরে এসে জানলার কাছে দাঁড়িয়ে একটা সিগারেট ধরালো।পাঞ্চালী বিছানায় আধশোয়া হয়ে সুখকে লক্ষ্য করতে থাকে।সুখর নজরে পড়ে বাসন গোছাতে গোছাতে ঈশানী ভ্রু নাচিয়ে তাকে কিছু ইঙ্গিত করল।কাজের মহিলা তার দুঃসাহস দেখে অবাক হয়।একে দ্রূত বিদায় করা দরকার।পাঞ্চালী থাকবে না সে একা  এই মহিলাকে নিয়ে থাকা নিরাপদ নয়। 
পাঞ্চালীর মনে একটা প্রশ্ন মোমোর সঙ্গে থাকতো কিভাবে ওর যোগাযোগ হল সুখ এখনো খুলে বলেনি।বলছিল সব কথা শুনলে আমাকে ঘৃণা করবে।কি এমন কথা যা শুনলে ঘৃণা করতে হবে?মিথ্যে বলবে না এ বিশ্বাস আছে।পাঞ্চালী বলল,তুমি কিন্তু বলোনি কিভাবে মোমোর সঙ্গে যোগাযোগ হল?
বলব তুমি যাবার আগে সব বলব।
যাবার আগে মানে?
এখানেই থাকবে নাকি,শিলিগুড়ি ফিরবে না?মামণি একা রয়েছেন।
তুমি ফিরবে না?
আমার ফেরার মুখ নেই।
মুখ নেই কেন?দেখো আমার কিন্তু মাথায় রাগ উঠে যাচ্ছে।
দাঁড়াও এসে বলছি।
সুখ বেরিয়ে গিয়ে ঈশানীকে সরাসরি জিজ্ঞেস করল, আপনি কিসের ইশারা করছেন?
ম্যাডাম আপনাকে একটা চিঠি দিয়েছেন।
মোমো চিঠি দিয়েছে সেকথা এখন বলছে?সুখ বলল,আপনি তো বলেন নি?
ম্যাডাম বলেছেন আপনেরে গুপনে দিতে যাতে কেউ জানতিও নাপারে।ঈশানী একটা খাম এগিয়ে দিল। 
খামটা হাতে নিয়ে হাত কাপতে থাকে মোমো তাকে চিঠি লিখে গেছে যেন কেউ জানতে নাপারে।ডাইনিং টেবিলে বসে খাম খুলে চিঠিটা মেলে ধরল।হ্যা মোমোর হাতের লেখা।
মনু আমার প্রাণেশ্বর, 
জানি তোমার মনে জমে আছে পুঞ্জিভূত অভিমান।কিন্তু আমি অসহায়  যা করেছি বিবেকের তাড়ানায় করতে হয়েছে।তোমার মত আপন আমার কেইবা আছে ।এই ফ্লাট তোমার নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছি,দলিল আলমারীতে আছে।ব্যাঙ্ক এ্যাকাউণ্ট রাখবে নাকি বন্ধ করে দেবে  সেটা তোমার ব্যাপার,ওখানে পনেরো লাখের মত আছে।কলেজেও তোমাকে নমিনি করা আছে।ইশানীর একটু ছোছোকানি থাকলেও মেয়েটি বিশ্বাসী। যতদিন এখানে থাকতে চায় রেখে দিও আর  যদি চলে যেতে চায় ওকে হাজার পঞ্চাশেক টাকা দিয়ে দিও।
সুখর চোখ ছল ছল করে।আবার চোখ বোলায়।
চলতে চলতে এক সময় মনে জীবন অর্থহীন বাচার স্পৃহা হারিয়ে ফেলছিলাম।হয়তো বাবার অবাধ্য হবার পাপ।এমন সময়  পাকের মধ্যে কুড়িয়ে পেলাম তোমাকে।তুমি যেন পাকের মধ্যে পাকাল মাছ।পাঁক তোমাকে স্পর্শ কোরতে পারেনি  নিষ্পাপ নিষ্কলুষ তোমার মন।আমার জীবনে তুমি নিয়ে এলে  সুখের প্লাবন।পুরানো  খেদ নাপাওয়া ভুলে গেলাম,ফিরে পেলাম নতুন করে বাচার আশ্বাস।ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছি পরজন্মেও যাতে আমাদের মিলন হয়।
 খর দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ল।বুঝতে পারে মোমোর মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়,ইচ্ছা মৃত্যু।মোমো কেন তুমি এমন করলে আমি তো বিয়ে করতে চাইনি।
বেশ কাটছিল দিনগুলো ভেবেছিলাম এভাবেই কাটিয়ে দেবো  জীবনের বাকী দিনগুলো।হঠাৎ আবিষ্কার করলাম তোমার হৃদয় জুড়ে রয়েছে আর এক নারী সেও আমার পরম আদরের।পলির সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম আমার সন্দেহ অমূলক নয়।গোপাল নগরে গিয়ে খোজ খবর নিয়ে  আমার বিশ্বাস আরও দৃঢ় হোল একটি ছেলে বলল,ওতো পলির ছায়া।নিজেকে কেমন এক অপরাধবোধ গ্রাস করল। সেদিন মনে মনে স্থির করেছিলাম যার ধন তাকে ফিরিয়ে দেব।কিন্তু সচেতন মন বুঝলেও অবচেতন মনকে কিভাবে বোঝাবো।অহর্নিশ বহন করে চলছি এক যন্ত্রণা।মাঝে মাঝে ইচ্ছে হতো ফোন করি কিন্তু তাতে লোভ আরো বাড়বে ভেবে নিজেকে সংযত করেছি।মনকে আশ্বস্থ করেছি এজীবনে নাহোক পোর জনমে যেন তোমাকে পাই।পলিকে বোলো আমাকে যেন ক্ষমা করে।পর জনমের আশা বুকে নিয়ে কোনোমতে কাটছে সময়।আর বুঝি তোমার সঙ্গে দেখা হবেনা। ভালো থেকো সুখে থেকো।
সুখ নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেনা।ডাইনিং টেবিলে মুখ গুজে কেদে ফেলে।ঈশানী আড়াল থেকে লক্ষ্য করছিল।কাছে এসে বলল,সাহেব আপনের শরীল খারাপ?
দেরী হচ্ছে দেখে পাঞ্চালী দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়ে সব ব্যাপারটা লক্ষ্য করে।চোখে জল দেখে অবাক হয়। কার চিঠি কি লিখেছে চিঠিতে?
সুখ সোজা হয়ে বসে চোখ মুছে বলল,আপনি এখানে যতদিন ইচ্ছে থাকতে পারেন।
আর আমার মাইনা?
আগে যেমন পেতে তেমন দেওয়া হবে ম্যাডাম বলেছেন।আর যদি চলে যান তাহলে আপনাকে পঞ্চাশ হাজার দিতে বলেছে।
চারদিকে হাঙ্গর কুমীর কোথায় আর যাব।ছেলেটা বড় না হওয়া অবধি সাহেব আমি এখানেই থাকব।
একটু চা করবেন?
আপনে ঘরে গিয়ে বসেন আমি চা নিয়ে আসতিছি।
পাঞ্চালী দ্রুত ঘরে ফিরে এসে যেমন বসেছিল তেমনি এসে বসে।সুখ ঘরে এসে সোফায় বসে উদাস গলায় বলে,মোমো এভাবে চলে যাবে কখনো ভাবিনি।বাবা চলে গেল মাও চলে গেল।ছিল একটা বাড়ী তুমি তখন কলকাতায় সেই বাড়ীটাও আমার নিজের মামা ঠকিয়ে বিক্রী করে দিল।
কলকাতা থেকে গোপালনগরে এসে মাসীমার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে খুব কষ্ট হয়েছিল।ওর খোজ করেছিল কিন্তু তখন ও গোপালনগর ছেড়ে চলে গেছে।পাঞ্চালি বলল, কলকাতায় থাকলেও আমি সব খবর রাখতাম।
বিএ পরীক্ষা দিয়েছি।কি খাব কোথায় থাকবো রেজাল্ট বেরোলে ভর্তি হব কিভাবে ভেবে চোখে অন্ধকার দেখছি।
আসল প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চাইছে।ওকী এমন করেছে যে ওকে ঘেন্না করব?পাঞ্চালী বুঝতে পারেনা কি বলবে।ঈশানী চা নিয়ে ঢুকলো।
সুখ চায়ের কাপ নিয়ে চুমুক দিয়ে বলতে থাকে,অনেক আশা ছিল বাবার মত অধ্যাপনা করব।রেজাল্ট বেরোবার সময় হয়ে এসেছে।একদিন ঘুরতে ঘুরতে এসপ্লানেডে গেছি।এক ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ হতে জিজ্ঞেস করলেন,কাজ করবে?নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারিনা ঠিক শুনছি তো?ভদ্রলোক একটা কার্ড দিয়ে বললেন,কাল দেখা কোরো।কার্ডে চোখ বুলিয়ে দেখলাম,প্লেজার পলি ক্লিনিক।পার্ক এভেনিউ।ভগবানে বিশ্বাস নেই তবু মনে মনে বললাম,ভগবান এই চাকরিটা যেন পাই।
পাঞ্চালি বুঝতে পারে না এখন এইসব কেন বলছে।ওর যদি ইচ্ছে না থাকে জিজ্ঞেস করবে না ঘেন্না করার মত কি করেছে।
পরের দিন গিয়ে বুঝতে পারলাম কোথায় এসেছি।টাকা দিয়ে বলল,ট্রেনিং নিতে হবে।পলি ক্লিনিকের কাজ আমি কিছুই জানি না ট্রেনিং নিলে অসুবিধে হবে না।ট্রেনিং নেবার জন্য গিয়ে ভুল বুঝতে পারি। ধন্দ্বে পড়ে গেলাম একদিকে টাকা আমার খুব দরকার আবার এই কাজ?ভাবছি কি করব?
কি কাজ?
পলি ক্লিনিকের পাশাপাশি এরা এসকর্ট সারভিস চালায়।
পাঞ্চালীর মাথা ঝিম ঝিম করে উঠল এসব কি বলছে?তুমি শেষে ঐসব করতে?
তখন টাকার চিন্তায় মাথার ঠীক নেই ভাবলাম ট্রেনিং নিয়ে নিই পরে ভেবে ঠিক করব এইকাজ করব কি করব না।
এইসবের আবার কি ট্রেনিং! সুখর কাছে শুনে অবাক হয় পাঞ্চালী। 
কত রকম ভঙ্গী আছে যেমন রেট্রো মিশনারী ডগি স্টাইল।মেয়েরা কি পছন্দ করে এইরকম নানা বিষয়--।
মেয়েরা কি পছন্দ করে?
সাকিং নাকি মেয়েদের খুব পছন্দ।
পাঞ্চালীর শরীরে শিহরণ খেলে যায়।পাঞ্চালি জিজ্ঞেস করল,ট্রেনিং নিয়ে কাজ ছেড়ে দিলে ওরা কিছু বলল না?
সুখ কোনো কথা না বলে চুপ করে থাকে। 
কি হল তারপর কি করলে?
একদিন একটা ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থাকে দরজা বন্ধ করে দিল। ঘরে মাথায় জটাজুটধারী দশাসই এক মহিলা কপালে তিলক কাটা হাতে গলায় রুদ্রাক্ষ।পরে জেনেছি নবদ্বীপের কোন আশ্রমের গুরুমা।কলকাতায় মহিলার অনেক শিষ্য আছে।আমাকে দেখে বিরক্ত এতো বাচ্চা ছেলে।তারপর আমার পায়জামা জোর করে খুলে আমারটা দেখে ওর চোখ জ্বলে ওঠে।আমাকে বাধা দেবার ফুরসৎ নাদিয়ে ঐটা মুখে পুরে নিল।মহিলার আকুলতা দেখে খুব মায়া হচ্ছিল। 
পাঞ্চালীর সারা শরীর গুলিয়ে ওঠে।এইবার বুঝতে পারে কেন নিজেকে অপরাধী ভাবছে। জিজ্ঞেস করে,এরকম কতজনের সঙ্গে করেছো?
মাস শেষ হবার আগেই ছেড়ে দিয়েছি।
মোমোর সঙ্গেও কি এভাবে আলাপ?পাঞ্চালীর কণ্ঠে শ্লেষ।
মোমো এরকম নয়।শরীর খারাপের জন্য ডাক্তার দেখাচ্ছিল একজন বলল,সাইকিয়া্ট্রিষ্ট দেখাতে--তখন একজনকে সাইকিয়াট্রিস্টকে  দেখাল।
পাঞ্চালীর মনে পড়ল সেই সময়ে মোমোর সঙ্গে তার এই ব্যাপারে কথা হয়েছে।
সেই ডাক্তারের কথা মত প্লেজারে যোগাযোগ করে।
এইভাবে তোমার মোমোর সঙ্গে সম্পর্ক?
হ্যা মোমো বলেছিল এইসব ছেড়ে দিতে।আমি আর প্লেজারে যেতাম না।ওরা গুণ্ডা পাঠিয়ে আমাকে ধরে নিয়ে যেতে এসেছিল।রাস্তায় হাতাহাতি ওরা চারজন সঙ্গে অস্ত্র ছিল আমি একা।আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই।পাড়ার লোকজন এসে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দিল। 
মোমো কি করছিল?
মোমো কি করবে ও জেনেছে অনেক পরে।বাড়ি পৌছেছি কিনা জানতে ফোন করেছিল।নার্স ধরে খবর দিল হাসপাতালে ভর্তি।হাসপাতালের সব খরচ দিয়েছে মেসের পাওনা মিটিয়ে আমাকে ফ্লাটে নিয়ে আসে।
এসকর্ট সারভিসের মারফৎ মোমো ওকে চিনেছে।দুই অসমবয়সী বয়সী ছেলে মেয়ের সঙ্গে কিভাবে রিলেশন গড়ে ওঠে ভেবে পাঞ্চালী বিস্মিত।  
তোমার মত অল্প বয়সী ছেলে--।
প্লীজ পাঞ্চালী মোমোকে নিয়ে কিছু বলবে না।মোমো আজ নেই, অনেক যন্ত্রণা কষ্ট নিয়ে চলে গেছে--।
কিসের যন্ত্রণা?
সুখ চিঠীটা এগিয়ে দিল।
চিঠিটা হাতে নিয়ে অদ্ভুত চোখে সুখকে লক্ষ্য করে।সুখ দৃষ্টি নামিয়ে নেয়।এমন কাহিনী শোনার জন্য প্রস্তুত ছিল না পাঞ্চালি।চিঠিটা চোখের সামনে মেলে ধরল।
"আমার প্রাণেশ্বর" কথাটা পড়েই বিরক্তিতে বেকে যায় ঠোট।হাটুর বয়সী ছেলে প্রাণেশ্বর।পড়তে পড়তে কত কথা মনে পড়ে।পিসীর সঙ্গে ঠাকুর্দার বিরোধের ব্যাপারে কিছু শুনেছিল।পিসিকে ত্যজ্য করেছিলেন।পিসির তেজস্বিতা পিসির প্রতি একটা সমীহের ভাব তৈরী হয়েছিল।যে কারণে সকলের অজ্ঞাতে পিসির সঙ্গে গড়ে উঠেছিল যোগাযোগ।সম্পত্তি কাকে কি দিল তা নিয়ে তার কিছু যায় আসেনা,তার যা আছে যথেষ্ট।সুখের প্লাবণ--এতো কাম তাড়ণা। হৃদয় জুড়ে আছে অন্য এক নারী---কথাটা পড়ে তাকিয়ে দেখল মাথা নীচু করে বসে আছে সুখ। এক নারীকে বুকে নিয়ে অন্য নারীর সঙ্গে শয্যা ভাগ করা কি সম্ভব?সব কেমন গুলিয়ে যায়।আবার ঐ লাইনগুলো পড়তে থাকে পাঞ্চালী।ক্ষমা চেয়েছে মোমো।পাঞ্চালীর মনটা নরম হয়।দৈহিক মিলন হলেও পরস্পর একে অন্যকে অন্য নজরে দেখতো এমন কি হতে পারে?চিঠি পড়া শেষ করে পাঞ্চালি মনে মনে ঘটনা বিশ্লেষণ করতে থাকে।তাকিয়ে দেখল সোফার হাতলে আঙুল দিয়ে আনমনে কিসব আকিবুকি কাটছে।পাঞ্চালী জিজ্ঞেস করল,কি করতে চাও?
সুখ মুখ তুলে তাকায় তারপর বলে,দেখো যা করেছি ইচ্ছে করে করিনি পারিপার্শ্বিক চাপে করতে বাধ্য হলেও ঘটনা তো মিথ্যে নয়।তুমি গোপাল নগরের সেরা সুন্দরী আবার ডাক্তার।একজন ভাল ডাক্তার বা ভাল পাত্র পাওয়া কোনো ব্যাপার নয়--।
ওপার থেকে গোপালনগরে এসেছে,আজেবাজে ছেলেদের সঙ্গে মিশতো।ডাকাবুকো ধরণের তবু প্রথম যেদিন দেখেছিল মনে হয়েছিল এ সাথেই জীবন কাটিয়ে দেবে। যতদিন গোপাল নগরে ছিল কাছে না এলেও তাকে ছায়ার মত অনুসরন করত। পাঞ্চালী বলল,আমার কথা ভাবতে হবেনা তুমি কি করবে?কোনো মেয়ে কি ঠিক আছে?
সুখ মুচকি হাসে।কিছু বলেনা।
হেসে উড়িয়ে দিলে হবে,যা জিজ্ঞেস করছি জবাব দাও।
আমার পক্ষে এই জায়গায় অন্য কাউকে বসানো সম্ভব নয়।একা একাই বাকী জীবন কাটিয়ে দেবো।
মোমোর মৃত্যু দুঃখজনক।আবার মনে হল মরে গিয়ে ভালই হয়েছে সামনে থাকলে একটা অস্বস্তি।এখনো ষাট পেরোয়নি মোমো। 
পাঞ্চালী কিছুক্ষন ওকে লক্ষ্য করে।মিথ্যে বলার ছেলে ও নয়।মোমো ঠীকই বলেছে পাঁক ওকে স্পর্শ করতে পারেনি। ও না বললে এতকথা জানতেই পারতো না।বেচারী নিজ কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত।পাঞ্চালী বলল,দরজা বন্ধ করে এদিকে এসো।
সুখর অবাক লাগে পাঞ্চালী কি করতে চায়।
কি বললাম শোনোনি?
সুখ দরজা বন্ধ করে কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।
মোমোর কথায় তুমি বিয়ে করেছো?
দেখোনা মোমো এমন করে বলল--।
আমাকে তুমি ভালোবাসোনা?
আমি জানি না।
সারা জীবন আমাকে ভালোবাসবে?
সুখ চমকে ওঠে তাকায়, চোখ ঝাপসা হয়ে উঠল।
কি হল?
সুখ জামার আস্তিনে চোখ মুছে আচমকা দু-পা জড়িয়ে ধরে  বলল,তুমি খুব ভাল তোমাকে ভুলে যাবো বিধাতা আমায় এত শক্তি দেয়নি।
কি হচ্ছে কি পা ছাড়--পা ছাড়ো।শোনো কোনো মেয়ের দিকে তাকাতে পারবে না।
সুখ জোরে পা চেপে ধরে বলল,ঠিক আছে।
আমি যা বলবো তাই শুনতে হবে।
তোমার কথা শুনিনি কবে বলো।
পাঞ্চালী মুখ টিপে হেসে বলল,সব সময় আমার সেবা যত্ন করবে।
তোমার কষ্ট হলে আমাকে বলবে।
কাল সকালে ফেরার দুটো টিকিট কেটে আনবে--বুঝেছো?
সুখ ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানায়।
এবার মেয়েরা যা করলে সব থেকে বেশি আনন্দ পায় সেরকম করো।
এখন?
আবার?
আচ্ছা করছি করছি।
সুখ কোমরের বাধন খুলে পায়জামা নামিয়ে পাঞ্চালীর যোনীতে হাত বুলিয়ে বলল,সেভ করে দেবো?
এখন না পরে।
চেরা ফাক করে জিভ বোলাতে থাকে।পাঞ্চালীর পিঠ  ধ্নুকের মত বেকে যায়।হাত দিয়ে সুখর মাথা চেপে শিৎকার দেয় আ-হা-আ-আ।--উহু-উ-উ-উ--ইয়াও--ইয়াও। 
সুখ মুখ তুলে জিজ্ঞেস করে,ভাল লাগছে না।
জানি না,তুমি যা করছো করো।
সুখ আবার শুরু করতে পাঞ্চালী "উফস মাগো-ও-ও" শিৎকার দিতে লাগল।
রাতের রান্না শেষ হয়ে গেছে।ভিতর থেকে আওয়াজ আসতে ঈশানী দরজায় কান পেতে বোঝার চেষ্টা করে কিসের আওয়াজ।ঈশানীর মুখ লাল শরীরে শিহরণ অনুভব করে গলা তুলে বলল,সাহেব রান্না হয়ে গেছে।
পাঞ্চালী জবাব দিল,ঠিক আছে আমরা আসছি।  
ধারালো জিভের ঘষায় পাঞ্চালী ই-হি-ই-ই-হি করে জল খসিয়ে দিল।মোবাইল বাজতে হাত বাড়ীয়ে কানে লাগিয়ে বলল,হ্যালো?...ও কাকু বলুন...কাল সকালে টিকিট কাটছে...ও আচ্ছা ঠিক আছে..মামণিকে বলবেন চিন্তা নাকরতে..রাখছি?
পান্না বাবু ফোন করে জানালেন লোকজন জিজ্ঞেস করছিল ম্যাম কবে বসবেন।পাঞ্চালীর মনে হল এখানে পশার জমতে দেরী হবে না।

দুজনে খেতে বসেছে।ঈশানী পরিবেশন করছে।খেতে খেতে সুখ বলল,টিকিট পেলে কাল আমরা চলে যাব।আপনার অসুবিধে হবে নাতো?
আপনে আর আসবেন না?
আমার কলেজ থাকবে,ছুটীছাটা পেলে আসব।শুনুন আজেবাজে লোককে ঢোকাবেন না।কোনো অসুবিধে হলে ফোণ করবেন।
খাওয়া দাওয়া শেষে ওরা শুয়ে পড়ল।ট্যাবলেট নেই পাঞ্চালী ভাবে রাতে কিছু করবেনা।পান্সিল যখন সুতোয় বাধা থাকে যতই ঘোরাও বৃত্ত আঁকবে কিন্তু বাধা নাথাকলে এলোমেলো আকিবুকি কাটবে। ওকে ছাড়া জীবন কল্পনাও করতে পারেনা।সুখ উলটো দিক ফিরে শুয়ে আছে।পাঞ্চালী হাত বাড়িয়ে টেনে বলল,এই এদিক ফিরে শোও।সব সময় আমাকে ছুয়ে থাকবে।পাঞ্চালী একটা হাত টেনে নিল।ডাকাবুকো চেহারা অথচ আচরণে একেবারে ছেলেমানুষ।মনে মনে হাসে পাঞ্চালী।
হ্যা গো একটা কথা জিজ্ঞেস করব?
কি কথা?
তুমি চেনো না জানো না তাদের সঙ্গে ঐসব কোরতে ভালো লাগতো?
ভালোমন্দ না আমার তখন টাকার দরকার ছিল--তুমি আবার ঐসব কথা তুলছো?
আচ্ছা আর বলব না।একটা জিনিস জানতে ইচ্ছে করছে।তোমার ঐটা কি কৃত্রিম উপায়ে বাড়িয়েছো?
ধ্যেৎ কিযে বলো--জন্ম থেকেই এরকম।সেই লজ্জায় বন্ধুদের সামনে হিসি করতাম না।কেন তোমার কষ্ট হয়?
কষ্ট হয় বলেছি?আমার খারাপ লেগেছে তুমি যখন বললে একটা ভালো ছেলে দেখে বিয়ে করো--।
অনেক যন্ত্রণা নিয়ে বলেছি।নিজের অপরাধ আর বাড়াতে চাইনি।আমার বাবা বলতেন,মনের মধ্যে অপরাধ জমিয়ে রাখবি না।অপরাধের থেকে অপরাধ জন্ম নিয়ে বাড়তেই থাকে।
আচ্ছা তুমি ঐসব কথা নাবললে তো আমি জানতেই পারতাম না।কেন বললে এসব কথা?
সত্য গোপন করলে সত্য মিথ্যে হয়ে যায়না তার চেয়ে বড় কথা মিথ্যে বলার প্রবণতা আরো বেড়ে যায়।ব্যাক্তি চরিত্রকে কলুষিত করে।--
তোমার মনে আছে তো কাল টিকিট কাটার কথা?সুখ কোনো সাড়া দেয়না।
কি হল ঘুমিয়ে পড়লে?রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়া স্বাভাবিক।ট্রেনের ধকল তো কম হয়নি।কাকু জিজ্ঞেস করছিল সবাই জানতে চাইছে ম্যাম কবে বসবে। মোমোর প্রতি তার আর ক্ষোভ নেই।মোমো তো জানতো না। কি বাড়ীর মেয়ে কিভাবে মৃত্যু হল শেষ সময়ে আপন জন কেউ পাশে নেই।পাঞ্চালীর খুব খারাপ লাগলো। 
রাত শেষ হয়ে ভোর হয়।ঈশানীর ডাকে ঘুম ভাঙ্গে।রাস্তায় বাস চলাচল শুরু হয়েছে। পাঞ্চালীর তাগাদায় সুখ চা খেয়ে টিকিট কাটতে বেরিয়ে গেল।ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পাঞ্চালী রাস্তায় লোকচলাচল দেখতে থাকে।
কলিং বেল বাজতে ঈশানী দরজা খুলে বিরক্ত হয়ে ভিতরে খবর দিতে গেল।পাঞ্চালি জিজ্ঞেস করে,কে এল?
কাল এসেছিল সেই লোকটা।
পাঞ্চালী এসে দেখে চিনতে পারে।ভদ্রলোক বলল,আমি প্রদোষ লাহিড়ি কাল এসেছিলাম?
হ্যা বুঝতে পেরেছি।ওষূধগুলো খেয়েছিলেন?
সেই কথাই বলতে এলাম।ওষুধ খেয়ে কাশি বেড়ে গেল দলা দলা কফ কাশির সঙ্গে।আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম এতো হিতে বিপরীত।সক্কাল হতেই একেবারে ফ্রেশ।প্রদোষ হেসে বললেন।
একথা বলতে এসেছেন?
কাল আপনার ফিজটা দেওয়া হয়নি--।
আমি এখানে রোগী দেখতে আসিনি।আমার হাজব্যাণ্ডের কথায় দেখেছি কোনো ফিজ দিতে হবে না?
উনি বাড়ি নেই?
কোনো দরকার আছে?
দরকার তেমন নয়।মানুষটা বড় ভালো ওর সঙ্গে কথা বললেও ভালো লাগে।
ভালো কি করে বুঝলেন?
ম্যাডাম আপনার বয়স কম।আমার বয়স হয়েছে একজন মানুষকে দেখলে বোঝা যায়।
প্রদোষবাবুর কথা শুনে পাঞ্চালীর মন ভরে যায়। 

   
 


    
     
           ***************সমাপ্ত ********************
Like Reply
অসাধারণ, অপূর্ব গল্প, পড়ে মন ভরে গেল, খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ এত সুন্দর গল্প উপহার দেওয়ার জন্য।
[+] 1 user Likes pradip lahiri's post
Like Reply
APURBA
[+] 1 user Likes saibalmaitra's post
Like Reply
Darun, sesh hye gelo vabtei karap lagche
[+] 1 user Likes Dodoroy's post
Like Reply
এক বিকালের সুর্য অস্ত গেল ঠীকই,৷৷৷৷ আসায় থাকব আগামীকাল নতুন সুর্য দ্বয়ের।
[+] 2 users Like shrepon's post
Like Reply
দাদা নমস্কার। এই লিখাটা অনেক সময় নিয়েছেন । চাতক পাখির মতো বসে থাকি আপনার অনন্য অসাধারন উপন্যাসের জন্ন।প্লিস দাদা এখনি সুরু করে দিন।
Like Reply
শেষ হলো কামদেব দাদার আরেকটা সাহিত্য। মনে উত্তেজনা আর সাথে কিছুটা দুঃখ নিয়ে নিয়েও পড়লাম কারণ শেষ হয়ে গেলো, আসলে কি এই সময়ে গল্পের সমাপ্তিটা ঠিক আশা করিনি। কিন্তু গল্প যখন শেষ তো হতেই হবে কখনো না কখনো, আর কামদেব দাদাও সমাপ্তিটা টেনেছেন একেবারে জায়গামতো যে কাহিনীটাকে আর অযথা টেনে বড় করেননি।
মনের ভেতরে একটা আশঙ্কা ছিল যে পাঞ্চালি এবারে কি করবে সত্য জানার পর কিন্তু কামদেব দাদার লেখা বলেই কথা, সুন্দরভাবে গল্পটাকে একটানে শেষ করে দিলেন।
যাহোক দাদা, পাঠক হিসেবে আপনার পরবর্তী গল্পের তো আশা করতেই পারি............
[+] 1 user Likes a-man's post
Like Reply




Users browsing this thread: 25 Guest(s)