Thread Rating:
  • 167 Vote(s) - 3.41 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance ছিন্নমূল ঃ কামদেব
(19-05-2023, 01:54 AM)nextpage Wrote: এতো লুকোচুরির সম্পর্কটা হঠাৎ ঈশানীর মত আগন্তুক চরিত্রের সামনে এতো খোলামেলা হয়ে গেল কি করে?? 

বিশেষ চিন্তার বিষয়। কোন দিকে মোড় নেবে গল্প  ?
লাইক ও রেপু দিলাম।
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
আজকের আপডেটেও জানা গেলো যে সুখের কাছে তার আদরের মোমো আসলে কি। এই আদরের মোমোর যে বিদায় কিভাবে হবে সেটাই দেখার বিষয়। কিন্তু আবার এদিকে ঈশানীর আগমন, ঘটনা আবার যাবে কোনদিকে...............
[+] 1 user Likes a-man's post
Like Reply
(19-05-2023, 02:17 PM)a-man Wrote: আজকের আপডেটেও জানা গেলো যে সুখের কাছে তার আদরের মোমো আসলে কি। এই আদরের মোমোর যে বিদায় কিভাবে হবে সেটাই দেখার বিষয়। কিন্তু আবার এদিকে ঈশানীর আগমন, ঘটনা আবার যাবে কোনদিকে...............

ঈশানীকে নিয়ে সবাই সন্দিগ্ধ।
লাইক ও রেপু দিলাম। 
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply
ঈশানীর আর দোষকি বলো
উপোষ অনেক দিন
জোয়ান পোলা দেখলে ক্যানো
করবে না চিন চিন
[+] 1 user Likes poka64's post
Like Reply
(20-05-2023, 03:39 PM)poka64 Wrote: ঈশানীর আর দোষকি বলো
উপোষ অনেক দিন
জোয়ান পোলা দেখলে ক্যানো
করবে না চিন চিন

সুখ কি সবার চুলকানি সারাবার ব্রত রেখেছে  ?

লাইক ও রেপু দিলাম। 
[+] 2 users Like buddy12's post
Like Reply
(20-05-2023, 08:42 PM)buddy12 Wrote: সুখ কি সবার চুলকানি সারাবার ব্রত রেখেছে  ?

লাইক ও রেপু দিলাম। 

উপযুক্ত কথা দাদা। সুখ যদি এবারে মোমো কে ফেলে ঈশানীর শরীরে ওঠে তাহলে বুঝতে হবে যে সুখ এক দেহখাদক, মোমোর প্রয়োজন ফুরিয়েছে.......
[+] 1 user Likes a-man's post
Like Reply
(20-05-2023, 09:48 PM)a-man Wrote: উপযুক্ত কথা দাদা। সুখ যদি এবারে মোমো কে ফেলে ঈশানীর শরীরে ওঠে তাহলে বুঝতে হবে যে সুখ এক দেহখাদক, মোমোর প্রয়োজন ফুরিয়েছে.......

আপনার বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত। 

লাইক ও রেপু দিলাম। 
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply
লাইক দিতে কৃপণতা করলাম না
[+] 1 user Likes shrepon's post
Like Reply
ষড়শীতি অধ্যায়




দীপশিখা একাই খেয়েদেয়ে কলেজে বেরিয়ে গেছেন।সুখ ব্যালকনি তে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরালো।অন্যদিন মোমোর সঙ্গেই খেয়ে নেয়।আজ যাবার আগে ঈশানীকে বলে গেছে।মোবাইল বাজতে ভাবলো মোমো আবার কি নির্দেশ দেয়।স্ক্রিনে অজানা নম্বর দেখে কিছুটা বিরক্ত হয়ে কানে লাগিয়ে বলল,হ্যালো? ...হ্যা বলছি....ও হ্যা বলুন....হ্যা -হ্যা জয়েন করব...টিকিট পেলেই ....কনফার্ম ধরতে পারেন....বুঝতে পারছি,কোনো চিন্তা করবেন না...আচ্ছা ধন্যবাদ।ফোন রেখে  তৃপ্তির সঙ্গে সিগারেটে টান দিল।  
ঈশানী এসে বলল,সাহেব যখন খাবেন বলবেন।
আপনি এখুনি খেতে দিন।
ঈশানী রান্নাঘরে এসে পরিপাটি করে থালায় ভাত বাড়তে থাকে।সুখ মনে মনে ভেবে ঠিক করে নেয় আজকের কাজ।মোমোকে এখনই কিছু বলার দরকার নেই ফিরলে জানালেই হবে।"স্যার-স্যার" বলছিল শুনতে ভালই লাগছিল,খেতে বসে সুখ ভাবে। এপিসি কলেজ থেকে ফোন এসেছিল সুখ জানিয়ে দিয়েছে সে যাচ্ছে।কথা যখন দিয়েছে যেতেই হবে।খেয়েদেয়ে বেরিয়ে শিয়ালদা যাবে।দেখা যাক কবেকার টিকিট পায়।ঈশানীকে সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অস্বস্তি হয় মনু বলে,আপনি দাঁড়িয়ে কেন?বসে পড়ুন। 
ঠিক আছে।লাজুক গলায় বলল ঈশানী। 
মোমো তো তাকে যেতেই বলছিল।কথা যখন দিয়েছে তাকে যেতেই হবে।কথার খেলাপ তার পছন্দ নয়।এতকাল চিন্তা ছিল মোমোকে একলা রেখে যেতে হবে।এখন ঈশানী আছে সেই দেখাশুনা করবে।শিলিগুড়ি কেমন জায়গা তার কোনো ধারণা নেই।কলেজে জয়েন করলেও আবার সে পরীক্ষায় বসবে।গোপালনগর কলকাতা এরপর শিলিগুড়ি ভাসতে ভাসতে কোথায় গিয়ে ঠাই হবে কে বলতে পারে।
সুখ খেয়ে উঠে গেলে ঈশানী টেবিল পরিস্কার করে নিজে খেতে বসে।সাহেবের সঙ্গে গল্প করতে ভালো লাগে।বেশ সুন্দর কথা বলে সাহেব।ম্যাডামের ফিরতে ফিরতে সেই বিকেল হয়ে যাবে।ততক্ষন সাহেব আর সে একা।
সুখ পোশাক পরে বেরিয়ে বলল,আমি বেরোচ্ছি।কেউ এলে দরজা খুলবেন না।বলবেন বাড়ীতে কেউ নেই।সুখ বেরিয়ে গেল।
সারা দুপুর সাহেবের সঙ্গে গল্প করে সময় কাটাবে ভেবেছিল সাহেবের চলে যাওয়ায় ঈশানী কিছুটা হতাশ।মানুষটা কেমন তার দিকে একটু ফিরেও দেখছে না।
নীচে নেমে ট্রামে চেপে বসল।শিয়ালদা গিয়ে টিকিট কাটতে হবে,।কথা যখন দিয়েছে একবার যাবে।অজানা অচেনা জায়গা মোমো থাকবে না একটু খারাপ লাগলেও সুখ উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করে।হ্নতদন্ত হয়ে কাউণ্টারের কাছে গিয়ে দেখল লাইন বেশী বড় নয়।একটা ফর্ম ফিলাপ করে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ল।
পরপর ক্লাস ছিল শুক্লার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি।টিফিনের সময় স্টাফ রুমে দেখা হতে শুক্লা জিজ্ঞেস করল,দীপুদি লোক কেমন কাজ করছে?
মনে হয়না খারাপ হবে?
রান্না বান্না কেমন করছে?
এখনো রান্না করাইনি।
ওর একটা ছেলে আছে লেখাপড়ায় ভালো।সুজিত ওকে নরেন্দ্রপুরে ভর্তি করে দিয়েছে।রান্না করেনি তাহলে সারাদিন কি করেছে?
টিভিতে সিরিয়াল দেখেছে।
ঝআ তুমি না।শোনো দীপুদি কাজের লোককে বেশী প্রশ্রয় দিওনা তাহলে ওরা পেয়ে বসবে।এক্টু নজরে রেখো আশপাশের লোকজনের সঙ্গে বেশী মেলামেশা না করে।
আমরা তিনতলায় থাকি সেই সুযোগ নেই।ওই সব দোষ আছে নাকি?
জানি না তবে যোয়ান বয়স।একবাড়ীতে রান্না করছিল বাড়ীর কর্তা পিছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরেছিল।শোনা কথা--সেই নিয়ে পাড়ায় গোলমাল।ও কাজ ছেড়ে দিয়েছে।তারপর সুজিতই ওকে বলে বাড়ি বাড়ি ঠিকে কাজ নাকরে কোথাও একবাড়ী কাজ করো।তোমার ছেলের পড়ার খরচ হয়ে গেলে আর কি চাই।তুমি বলেছিলে মনে পড়ল।তখন তোমার কথা বললাম।
মনুর দিক থেকে কোনো আশঙ্কা করেন না দীপশিখা।মনুকে ভালো করে চিনেছে।বাড়ীতে ওরা কি করছে দীপশিখা অনুমান করার চেষ্টা করেন।জোর করে মেয়েদের কাছ থেকে কিছু আদায় করা সহজ নয় তবে তারা খুশি হয়ে উজাড় করে দিতে পারে। ঈশানি মনে হয় লাইব্রেরিতে ঘুমোচ্ছে কিম্বা টিভি দেখছে।
কি ভাবছো?
কিছু না।আসলে কি জানিস কাজের লোক রাখা মানে একা থাকি একজন সঙ্গী আরকি।দীপশিখা হাসলেন।
শুক্লার খারাপ লাগে দীপুদির জন্য।চেহারা শিক্ষা অর্থ কি নেই দীপুদির অথচ লাইফটা খুব স্যাড। প্রসঙ্গ বদলাতে শুক্লা বলল,তোমার দাদার মৃত্যুতে সুজিত খুব দুঃখ করছিল।ও বলছিল ড.মিত্রের মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।
ফোন বাজতে দীপশিখা এক মিনিট বলে মোবাইল কানে লাগালেন।।...কোথায় আবার কলেজে,তুই কোথায়?...এই ফিরলি,এভাবে শরীর টিকবে....ভীড় হলে মানে তুই বলে দিবি দিনে এতজনের বেশী দেখব না.....কেন হবে না ডাক্তাররাও তো মানুষ...যাক গে বৌদি কেমন আছে...সিকিউরিটি গার্ড বাড়িতে... আচ্ছা রাখছি,শরীরের দিকে খেয়াল রাখিস।
শুক্লার সঙ্গে চোখাচুখি হতে দীপশিখা বললেন,দাদার মেয়ে পলি।
মেয়েও তো ডাক্তার।
সকালে বেরিয়ে কিছুক্ষন আগে ফিরেছে।চেম্বারে ভীড় তো কি হয়েছে।নিজের শরীরের দিকে দেখবি না? 
বিয়ে হয়ে গেলে ঘরের প্রতি টান এসে যাবে।
দীপশিখা হাসলেন।ফোন করার উদ্দেশ্য কি বুঝতে বাকী নেই।সিকিউরিটি গার্ডের খোজ নিচ্ছে।
রবিবারের আগে কোনো সিট পাওয়া গেলনা।রবিবার রাতে রওনা হলে পরদিন সকাল আটটা নাগাদ শিলিগুড়ি পৌছাবার কথা।সুখ রবিবারের টিকিট কিনলো।যাক একটা ব্যাপার মিটলো।ওরা বলছিল কলেজ হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা আছে।আবার একা একা রাত্রি যাপন মনে মনে হাসলো সুখ।মোমোর ফেরার সময় হয়ে এল।সুখ বাসার দিকে রওনা দিল।কাজের মহিলা প্রথমে মনে হয়েছিল চুপচাপ এখন দেখছে একটু বাচাল।বেশী কথা বলে।জিনিসপ্ত্র সব গোছগাছ করতে হবে।এখন থেকে আগের মত নিজের কাজ নিজেকেই করতে হবে।শিলিগুড়ি না গিয়েই কেমন একা-একা বোধ হয়।এর নাম জীবন।সিড়ি বেয়ে তিনতলায় উঠে একটু ইতস্তত করে ঈশানী ঘুমিয়ে পড়েনি তো?আলতো করে সুইচে চাপ দিল।
দরজা খুলে ঈশানী বলল,কোথায় গেছিলেন বলে যান নি।
সুখ বিরক্ত হয় বলে,আপনাকে বলে যেতে হবে?
তা না,ম্যাডম জিজ্ঞেস করছিলেন বললাম,আমাকে কিছু বলে যায়নি।
সুখ ঘরে ঢুকে দেখল বিছানাপত্র বেশ গোছানো।এতক্ষন তাহলে গোছগাছ করছিল।সুখর ভালো লাগে মোমো একটা ভালো কাজের লোক পেয়েছে।ঈশানীকে নিয়ে একা থাকবে মোমো।সুখ পোশাক বদলায়।ঈশানী ঢুকে বলল,সাহেব চা করবো?
ম্যাডামের আসার সময় হয়ে গেছে ফিরলে করবেন।
ঈশানী চলে যেতে সুখ বিছানায় উঠে শুয়ে পড়ল।পাঞ্চালীর কথা মনে পড়ল।অনেক বড় হয়ে গেছে ওর নীচের দিকটা বড় বলে বেশী লম্বা মনে হয়।আগের মত খোচানো স্বভাবটা রয়ে গেছে।তবু ওর সঙ্গে কথা বলতে ভাল লাগে।ওর মধ্যে একটা স্নিগ্ধতা আছে যার স্পর্শে মলিনতা মুছে যায়। পুরো দস্তুর ডাক্তার এখন,গ্রামেই প্রাকটিশ করে।এখনো বিয়ে করেনি।বিয়ের পর হয়তো গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে অন্যত্র।এইতো মেয়েদের জীবন।
কলেজ থেকে বেরিয়ে বাসে চেপে বসলেন দীপশিখা।এতক্ষনে মনু হয়তো ফিরে এসেছে।পলির ফোন পেয়ে একটু অবাক হয়েছিলেন।বুঝতে পারেন ওর আগ্রহ স্পষ্ট।পাগলাটা কি করে দেখা যাক। মনু চলে গেলে বাসাটা একেবারে ফাকা হয়ে যাবে ভেবে মনটা বিষণ্ণ হয়।মৌলালী আসতে নেমে পড়লেন। 
ফ্লাটে ঢূকে জিজ্ঞেস করলেন,সাহেব ফিরেছে?
হ্যা শুয়ে আছে।ঈশানী বলল।
তুমি চা করো।বেশী করে বানাও বাকীটা  ফ্লাক্সে ঢেলে রাখবে।
ঘরে ঢুকে পোশাক বদলাতে থাকেন দীপশিখা।সুখ চোখ মেলে তাকায় ভাবে কথাটা মোমোকে কিভাবে বলবে।বলতে তো হবেই।মোমোই তাকে চাকরিতে জয়েন করতে বলেছিল।
দীপশিখার নজরে পড়তে বললেন,কি ভাবছো?
আজ টিকিট কাটলাম রবিবার সাড়ে-আটটা নাগাদ গাড়ী।
সেকী আজই পলির সঙ্গে কথা হল।আমাকে ফোন করে বলবে তো?
দেখো সিরিয়াস কথার মধ্যে ইয়ার্কি ভালো লাগে না।
আমি সিরিয়াসলি জিজ্ঞেস করছি,ওকে কি তোমার পছন্দ নয়?
তা বলছি না।পাঞ্চালী সত্যি রাজী হয়েছে?
ইশানী চা নিয়ে ঢুকতে কথা বন্ধ হয়ে যায়।দীপশিখা চায়ের ট্রেটা হাত বাড়িয়ে নিয়ে এককাপ মনুকে এগিয়ে দিলেন। 
ঈশানী চলে যেতে সুখ বলল,মোমো তাহলে টিকিট ক্যান্সেল করে দিই?
ক্যান্সেল করবে চাকরি করবে না?বউকে খাওয়াবে কি?চিরকাল বউয়ের পয়সায় খেতে তোমার লজ্জা করবে না?
কথাটা ছ্যৎ করে বুকে বাজে।মোমোর পয়সায় খেয়েছি তাই কি?সুখর মন গ্লানিতে ভরে যায়।দীপশিখা কথাটা বলেই বুঝতে পারেন এভাবে বলা ঠিক হয়নি।তাড়াতাড়ি মনুর মাথাটা বুকে চেপে ধরে বললেন,আমি আমার কথা বলিনি সোনা।
না না তুমি ঠিকই বলেছো আমি একটা বেহায়া।আমার অনেক আগেই বোঝা উচিত ছিল।
ঈশানি ঢুকে জিজ্ঞেস করল,আমি রান্না করব?
মনুকে ছেড়ে দিয়ে দীপশিখা বললেন,আমি আসছি।
দীপশিখা রান্না ঘরে চলে গেলেন।
সুখ ভাবতে থাকে মোমোর কাছে তার ঋণের শেষ নেই।মোমো আজ যেকথা বলল তাতো মিথ্যে নয়।
ঈশানী লক্ষ্য করেছে ম্যাডাম সাহেবকে কিভাবে জড়িয়ে ধরেছিল।শরীরে বিদ্যুতের শিহরণ খেলে যায়।ম্যাডামের থেকে তার বয়স অনেক কম।আড়চোখে সাহেবকে দেখে,কি যেন ভাবছে সাহেব তার দিকে ফিরেও দেখছে না।এ কেমন পুরুষ মানুষ! 
রান্না করতে করতে ভাবেন কথাটা এভাবে বলতে চান নি।বেরিয়ে যাবার পর খেয়াল হয়।মনুটা খুব অভিমানী রাতে শোবার সময় বুঝিয়ে বলতে হবে।বরং অন্যদিকটা নিয়ে ভাবা দরকার।দুজনেই যখন রাজী আর দেরী করা নয়।ওরা সুখে সংসার করুক আর কি চাই।
এখানে আর কদিন রবিবারে চলে যাবে।মোমো হয়তো কথাটা ওভাবে বলতে চায়নি কিন্তু কথাটা তো মিথ্যে নয়।পাঞ্চালীকে যদি বিয়ে করতেই হয় তাহলে এই সুযোগ ওকে দেবে না।এসব নিয়ে আর ভাবতে চায়না ভেবে তো কোনো সুরাহা হবেনা।মোমোর ঋণ ফিরিয়ে দেওয়া তার সাধ্য নয়।
রান্না হয়ে গেলে ভাত চাপিয়ে ঈশানীকে বললেন,তুমি এখানে দাঁড়িয়ে থাকো।উতল এলে নামিয়ে ফেলবে।
দীপশিখা লাইব্রেরী ঘরে গিয়ে পলিকে ফোন করলেন।
চেম্বার থেকে ফিরে পাঞ্চালী সবে বাড়ীতে ঢূকেছে।এত রাতে কে ফোন করল?স্ক্রিনে পিসির নম্বর দেখে কানে লাগিয়ে বলল,হ্যালো কি ব্যাপার?
পলি ও রবিবারে চলে যাচ্ছে।আমার ইচ্ছে শনিবার রেজিস্ট্রি হয়ে যাক--।
ঠিক আছে তুমি মামণিকে বলো।মামণির নম্বর জানো তো?
হ্যা তুই রাখ আমি বৌদিকে ফোন করছি।
রাজি হবে পাঞ্চালী জানতো। কলেজে পড়ার সময় বুঝেছিল কিন্তু একবার মুখ ফুটে বলেনি।চুপি চুপি মায়ের ঘরে কাছে গিয়ে দাঁড়ায় কি কথা হয় শোনার জন্য।ফোন বাজতে পিয়ালী মিত্র বললেন,পলি দেখতো কে ফোন করল আবার।
পাঞ্চালী ঘরে ঢুকে ফোনটা হাতে নিয়ে বলল,পিসি  তোমাকে করেছে তুমি কথা বলো।
বলো এত রাতে?
পলির বিয়ের ব্যাপারে বলছিলাম,কিছু ভেবেছো?
তোমার দাদার ঐ একটা চিন্তাই ছিল--।
একটা ভালো ছেলে আছে--
কিন্তু মেয়ে কি রাজি হবে?
ও দেখেছে কথাও বলেছে।
দাঁড়াও এক মিনিট।ফোন আড়াল করে পিয়ালী মিত্র মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন,কিরে তুই নাকি ছেলেটাকে দেখেছিস বলিস নিতো?
পাঞ্চালী বলল,পিসির বাড়ীতে দেখা হল।বিয়ের কথা তো বলেনি।
ছেলেটা কেমন?
তুমিও চেনো,আমার সঙ্গে পড়তো।মাস্টার মশায়ের ছেলে।
সেতো শুনেছি নিরুদ্দেশ হয়ে গেছিল।
কলকাতায় গিয়ে পড়াশুনা করে মাস্টারস করেছে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছে।
ফোনে মুখ লাগিয়ে বললেন,দীপা শুনতে পারছো?
হ্যা বলো।
তুমি কি বলছিলে ছেলেটার কথা?
ভালো ছেলে কলেজে অধ্যাপনা করে।তোমরা শনিবার এসো ভালদিন--।
কিন্তু তোমার দাদা এই সেদিন মারা গেলেন,একবছরও কাটেনি--
শোনো বৌদি এতো আনুষ্ঠানিক বিয়ে নয়।আজকালকার ছেলে হাতছাড়া করলে আবার কোথায়--কি করে সেজন্য  ভালো ছেলে রেজিস্ট্রিটা সেরে রাখতে বলছিলাম।তুমি দেখো ছেলেটাকে পছন্দ নাহলে বিয়ে হবে না।
আচ্ছা ঠিক আছে পলির যদি অমত নাথাকে তবে বিয়ের ব্যাপারটা এখন গোপন রেখো।জানো তো পাচজনে পাচ রকম কথা বলবে।
তাহলে শনিবার আসছো,আমার এখানে খাওয়া দাওয়া করবে।
পিয়ালী মিত্র ফোন রেখে মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন,এই ছেলেটাই তো মাধ্যমিকে সর্বোচ্য নম্বর পেয়েছিল? 
ওমা তোমার মনে আছে।পাঞ্চালি হেসে বলল।
মাস্টার মশায়ের ছেলে যখন খারাপ হবে না।আজ যদি তোর বাপি থাকতো কি খুশিই হতো।
দীপশিখা ফোন রেখে নিশ্চিন্ত বোধ করেন।রেজিস্টারকে খবর দেওয়া ইত্যাদি কিছু কাজ মনে মনে ছকে নিলেন।ঈশানীকে বললেন,ভাত হয়ে গেলে খেতে দিয়ে দাও।সাহেবকে ডাকো।      
Like Reply
একদিকে খুশি একদিকে দুঃখ এর নামই জীবন। ধন্যবাদ কামদেব দা এমন ভাবে কবিতার ছন্দে জীবনকে আমদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
horseride আমাকে আমার মত থাকতে দাও horseride
[+] 1 user Likes Boti babu's post
Like Reply
সুখের ঠিকানা বদলায় 
সে যে ক্ষণস্থায়ী
জীবনে এসে রাঙিয়ে দিয়ে
কষ্টের সাগরেও ভাসায়।।।

কেমন যেন কাকতালীয় লাগছে সবটা। খুব তাড়াতাড়ি ঘটে যাচ্ছে সবকিছু। তবে ঈশানী খপ্পরে পড়ার আগে যা করা যায় তাই মঙ্গল।
সুখ ছেলে ভালো সেটা তো মোমোর না জানার কথা না, একদম নিজে বিয়ে করে সংসার করে পরীক্ষা নিয়ে এবার ভাতিজির কাছে হস্তান্তর করছে৷ এতবড় ত্যাগ সবাই পারে না।
ওদিকে সুখ যে রাজি না সেটাও তো নয়, সেও তো মনে মনে পালি কে চাইছে। তবে বুঝি মোমোর প্রয়োজন ফুরিয়েছে, যেটুকু ছিল শুধুই অভ্যাস ভালোবাসা না।
Shy হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই।
 দুইকে আমি এক করি না, এক কে করি দুই।। Shy
[+] 3 users Like nextpage's post
Like Reply
বোঝাই যাচ্ছে গল্পটা শেষের দিকে মোড় নিচ্ছে। কিন্তু একটু তাড়াহুড়ো হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটাই দেখার...
কিছু চরিত্র সম্পর্কে এখনো প্রশ্ন থেকে যায়, তাদের কি হলো তেমন সুখ এর মামা, আর বৈচি মাসি। আবার কিছু চরিত্র এমনও থেকে যাচ্ছে, যাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার ছাড়া কিছু দেখা যাচ্ছে না। যেমন দীপশিখা...
অবশ্য দীপশিখার জন্য অত চিন্তা নেই। আমাদের ddey দাদা তো আছেই!
একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও
[+] 1 user Likes Dead people's post
Like Reply
সুখ কে এপর্বে দেখে বেশ সংযত মনে হলো, সেইসাথে তার মোমোর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। কিন্তু তারপরেও তো সুখের ঠিকানা বদলে যাবে।
[+] 1 user Likes a-man's post
Like Reply
কাহিনী পরিনতির দিকে এগোচ্ছে।
পলির পিসির কাছে সিকিউরিটি গার্ডের  
খবর নেওয়াটা দারুন লাগল। 

লাইক ও রেপু দিলাম। 
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply
(23-05-2023, 12:30 AM)Boti babu Wrote: একদিকে খুশি একদিকে দুঃখ এর নামই জীবন।  ধন্যবাদ কামদেব দা এমন ভাবে কবিতার ছন্দে জীবনকে আমদের সামনে তুলে ধরার জন্য।

কামদেব দাদার লেখা কবিতার মতই। 

লাইক ও রেপু দিলাম। 
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply
(23-05-2023, 02:07 AM)nextpage Wrote: ওদিকে সুখ যে রাজি না সেটাও তো নয়, সেও তো মনে মনে পালি কে চাইছে। তবে বুঝি মোমোর প্রয়োজন ফুরিয়েছে, যেটুকু ছিল শুধুই অভ্যাস ভালোবাসা না।

ভালোবাসারও রকম ফের হয়।
মোমোর প্রতি ভালোবাসা এক ধরনের 
আবার পলির প্রতি ভালোবাসা আর এক
ধরনের। 

লাইক ও রেপু দিলাম। 
Like Reply
(23-05-2023, 11:09 AM)Dead people Wrote: বোঝাই যাচ্ছে গল্পটা শেষের দিকে মোড় নিচ্ছে। কিন্তু একটু তাড়াহুড়ো হয়ে যাচ্ছে কিনা সেটাই দেখার...
কিছু চরিত্র সম্পর্কে এখনো প্রশ্ন থেকে যায়, তাদের কি হলো তেমন সুখ এর মামা, আর বৈচি মাসি। আবার কিছু চরিত্র এমনও থেকে যাচ্ছে, যাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার ছাড়া কিছু দেখা যাচ্ছে না। যেমন দীপশিখা...
অবশ্য দীপশিখার জন্য অত চিন্তা নেই। আমাদের ddey দাদা তো আছেই!

আমার ও ধারনা গল্প শেষের দিকে।

লাইক ও রেপু দিলাম। 
Like Reply
(23-05-2023, 11:17 AM)a-man Wrote: সুখ কে এপর্বে দেখে বেশ সংযত মনে হলো, সেইসাথে তার মোমোর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। কিন্তু তারপরেও তো সুখের ঠিকানা বদলে যাবে।

সুখ কোন সময় অসংযত আচরন করেছে বলে মনে 
করতে পারছি না।

লাইক ও রেপু দিলাম। 
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply
কামদেবদা সালাম নিন
পিসি ভাইঝি হবে সতিন
[+] 1 user Likes poka64's post
Like Reply
খেলোনা জুস কেহো চাটিয়া চুষিয়া
ঈশানীর দিন কাটে আংগুল ঘসিয়া
[+] 1 user Likes poka64's post
Like Reply




Users browsing this thread: 20 Guest(s)