Thread Rating:
  • 76 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
WRITER'S SPECIAL সৃষ্টি (সমাপ্ত)
(15-04-2023, 12:48 PM)Boti babu Wrote: [Image: IMG-20230415-WA0010.jpg]

বসন্তের আগমনে কোকিলের সুর! গ্রীষ্মের আগমনে রোদেলা দুপুর! বর্ষার আগমনে সাদা কাঁশফুল ! তাই সকলকে কামনা করতে মন হল বেকুল ! শুভ নববর্ষ দাদা!

[Image: IMG-20230415-WA0023.jpg]

শুভ নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই
[+] 2 users Like Bumba_1's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
[Image: Polish-20230415-114751189.jpg]

|| বিস্মৃত নায়ক ||

সেদিন বহরমপুরে খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো। ওখানকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের কর্তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন কর্ণসুবর্ণ এলাকার বাসিন্দা এক দিনমজুর। উঠোনে দাঁড়িয়ে কর্তা তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বললেন। হঠাৎ কর্তার নজর গেল দিনমজুর লোকটির কাদা-মাখা পায়ের দিকে .. লালচে রঙের কাদা। কর্তার মুখে হাসি ফুটে উঠল। তিনি নিজে হাতে কর্তা সেই কাদা চেঁচে একটা কাগজে সংগ্রহ করলেন। তারপর সেটি পাঠিয়ে দিলেন কলকাতায় আর্কিওলজি অফ ইন্ডিয়াতে। সেখানে পরীক্ষায় প্রমাণিত হল কর্তার ধারণা একদম ঠিক। ওই কাদা আসলে ষষ্ঠ শতকের রাজা শশাঙ্কের আমলের নিদর্শন। কর্তার নাম রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর কৃতিত্বকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বহু বছর ধরে। জওহরলাল নেহরু তাঁর ডিসকভারি অব ইন্ডিয়া বইতে মহেঞ্জোদরোর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের কৃতিত্ব পুরোটাই দিয়েছেন জন মার্শালকে। নামও নেই রাখালদাসবাবুর। কর্মজীবনে মূর্তি চুরির মিথ্যা অভিযোগে রাখালদাসবাবুকে চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হয়েছিল। তখন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধীনে উড়িষ্যার হিরাপুরের চৌষট্টি যোগিনীর মন্দিরে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন চলছে। দায়িত্বে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় ওখান থেকে মূল্যবান একটি মূর্তি চুরি যায় | বড়কর্তা জন মার্শাল কোন প্রমাণ ছাড়াই দোষী সাব্যস্ত করেন রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং বরখাস্ত করেন তাঁকে।

রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৮৫ সালে ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের কালিমাটি গ্রামে। বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজ ও স্কুল থেকে ১৯০০ সালে এনট্রান্স পাস করেন। ১৯০৩ সালে এফ.এ পাস করেন। এবং প্রেসিডেন্সি কলেজ ভর্তি হন। ১৯০৭ সালে ইতিহাসে অর্নাস ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯১১ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে এম.এ পাস করেন। তারপর চাকরি পান ভারতীয় যাদুঘরের আর্কিওলজিক্যাল বিভাগে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের ডিরেক্টর জেনারেল স্যর জন মার্শাল রাখালদাসের কাজকর্ম দেখে একেবারে মুগ্ধ। পরের বছরেই তাঁকে সার্ভের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেন্ডেন্ট করে দিলেন। অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেন্ডেন্ট থেকে ১৯১৬ সালে ওয়েস্টার্ন সার্কেলের সুপার হয়ে চলে গেলেন পুণে অফিসে। এখান থেকেই পরবর্তী ছ’বছর বোম্বাই প্রেসিডেন্সির দূর দূর জায়গায় তাঁর নেতৃত্বেই চলে নানা প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযান। এই সময়ে তিনি গ্রিক বিজয় স্তম্ভের সন্ধানে সিন্ধু অঞ্চলে গিয়েছিলেন এবং ঢিবির শীর্ষদেশে বৌদ্ধ বিহারের উৎখননকালে তিনি এমন কতগুলি নিদর্শনের সন্ধান পান যা তাঁকে হরপ্পায় সাহানী কর্তৃক প্রাপ্ত অনুরূপ নিদর্শনের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই সভ্যতাই ছিল মহেঞ্জোদারো সভ্যতা। মহেঞ্জোদারো সভ্যতার সুপ্রাচীন ধংসাবশেষ আবিষ্কার তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি। কুষান সম্রাট কণিষ্ক সম্পর্কে তিনি যে সব তথ্য আবিষ্কার করেন তা প্রামান্য বলে বিবেচিত হয়েছে।

তিনিই প্রথম আদি বাংলা লিপির প্রতি পন্ডিতদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আদি বাংলা লিপিই পরবর্তীকালে বাংলা লিপির রূপ পরিগ্রহ করে। ১৯২৯ সালে প্রকাশিত তাঁর Memoir of the Asiatic Society of Bengal-এ প্রকাশিত হাতিগুমফা ও নানাঘাট অভিলেখের প্রাচীন হস্তলিপি গ্রন্থখানি ভারতীয় হস্তলিপি বিদ্যার গবেষণার ক্ষেত্রে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান বলে চিহ্নিত।

ভারতীয় শিল্পকলার চর্চায় রাখালদাসের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য কীর্তি হলো তাঁর মৃত্যুর পরে ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত Eastern Indian Medieval School of Sculpture নামক গ্রন্থটি। মূর্তিতত্ত্বে রাখালদাসের গভীর অনুরাগ ছিল। তিনি তাঁর Eastern Indian Medieval School of Sculpture-এ বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর মূর্তি শনাক্ত করেন এবং পৌরাণিক কাহিনী ও যথার্থ উদাহরণসহ পাল-সেন যুগের ধ্যানমগ্ন মূর্তির ব্যাখ্যা দেন।

বাংলায় পাল রাজবংশ সম্পর্কিত বহু তথ্য তিনি আবিষ্কার করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ২ খন্ডে বাঙ্গালার ইতিহাস, পাষাণের কথা, ত্রিপুরী হহৈয় জাতীর ইতিহাস, করুনা, ব্যতিক্রম, অসীম, পক্ষান্তর, ভূমারার শৈবমন্দির, শশাঙ্ক, ধর্মপাল, প্রাচীন মুদ্রা ইত্যাদি। তিনি লেখমালানুক্রমণী নামে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাপ্ত প্রস্তরখোদিত লিপির বর্ণনামূলক সংকলন গ্রন্থ সম্পাদনা করেন। ১৯৩০ সালের ২৩ মে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে কলকাতায় তাঁর অকাল মৃত্যু হয়।

বাঙালি এখন ইতিহাস বিস্মৃত। তাই বাঙালীর ইতিহাস চর্চার এই পথিকৃৎকে আজকের প্রজন্ম মনে রাখেনি।যার জন্য বাঙালীর ইতিহাস নিয়ে এত গর্ব, তাকে কি ন্যুনতম সম্মানটুকুও আমরা দিতে পারি না? এই প্রশ্ন রইলো আমার তরফ থেকে।

তথ্যসূত্রঃ- আনন্দবাজার পত্রিকা

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


[+] 7 users Like Bumba_1's post
Like Reply
ভালো লাগলো  clps

[Image: Images-2-2-1.jpg]

[+] 1 user Likes Somnaath's post
Like Reply
শেষের প্রশ্নের উত্তর হয়তো বড্ড তিক্ত হবে। তাই ওটা বাদ দিয়ে বাকিটা বলবো খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। ♥️

শুভ বর্ষ 
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
(15-04-2023, 03:35 PM)Somnaath Wrote:
ভালো লাগলো  clps

 শুভ নববর্ষ  Heart ভালো থেকো 

(15-04-2023, 06:12 PM)Baban Wrote: শেষের প্রশ্নের উত্তর হয়তো বড্ড তিক্ত হবে। তাই ওটা বাদ দিয়ে বাকিটা বলবো খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। ♥️

শুভ বর্ষ 

শুভ নববর্ষ  Heart ভালো থেকো 
Like Reply
সমৃদ্ধ হলাম  Namaskar

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 1 user Likes Sanjay Sen's post
Like Reply
good one  Namaskar
[+] 1 user Likes Chandan's post
Like Reply
(16-04-2023, 10:52 AM)Sanjay Sen Wrote:
সমৃদ্ধ হলাম  Namaskar

(16-04-2023, 02:27 PM)Chandan1 Wrote: good one  Namaskar

অনেক অনেক ধন্যবাদ  thanks
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
(19-04-2023, 09:15 PM)Sanjay Sen Wrote:
|| অভাব ||

"বলোতো .. অভাব কাকে বলে?" অর্থনীতি ক্লাসে বয়স্ক একজন স্যার রুমে ঢুকেই সামনে বসা ছেলেটিকে প্রশ্ন করলেন,,,,


"অর্থনীতিতে বস্তুগত বা অবস্তুগত কোনো দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খাকে অভাব বলে" ছেলেটি উত্তর দিল।

"এটা তো অর্থনীতির ভাষা, সাধারণত অভাব কাকে বলে?"

ছেলেটি মাথা নিচু করে বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে আছে। কি বলবে ভাবছে সে। স্যার আবার তাড়া দিলেন, "বলো অভাব কাকে বলে ?"

ছেলেটি এবার বলতে শুরু করল ...

 ১। আমি কলেজে আসার সময় মা আমাকে ভাড়া দিতে গিয়ে তার ব্যাগ তন্ন তন্ন করে খুঁজে অনেক কষ্টে ২০/৩০ টাকা বের করে দেন, আর আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে ৫/৭ মিনিট পর বাড়িতে ফিরে ভাড়ার টাকাটা মাকে দিয়ে বলি, মা! আজ কলেজে ক্লাস হবে না। মা তখন বলেন আগে খবর নিবি তো, কলেজ হবে কি না! মায়ের সাথে এই লুকোচুরি হচ্ছে অভাব !!

 ২। বাবা যখন রাত করে বাড়ি আসেন, মা তখন বাবাকে জিজ্ঞেস করেন এত রাত হলো কেন ফিরতে? বাবা বলেন, "ওভারটাইম ছিল। ওভারটাইম না করলে সংসার কিভাবে চলবে? বাবার এই অতিরিক্ত পরিশ্রম হচ্ছে আমার কাছে অভাব !!

 ৩। ছোট বোন মাস শেষে প্রাইভেট টিচারের টাকা বাবার কাছে চাইতে যখন সংকোচবোধ করে সেটাই  হলো আমার কাছে অভাব !!

 ৪। মাকে যখন দেখি ছেঁড়া কাপড়ে সেলাই দিতে দিতে বলে কাপড়টা অনেক ভাল আরো কিছুদিন পরা যাবে, এটাই অভাব !!

 ৫। মাস শেষে টিউশনির পুরো টাকাটা  মায়ের হাতে দিয়ে বলি, "মা এটা তুমি সংসারে খরচ করো।"  মা তখন একটা স্বস্তির হাসি হাসেন। এই স্বস্তির হাসি হচ্ছে অভাব !!

 ৬। বন্ধুদের দামী স্মার্টফোনের ভিড়ে নিজের নর্মাল ফোন লজ্জায় যখন লুকিয়ে রাখি এই লজ্জাই আমার কাছে অভাব !!

 ৭। অভাবী হওয়ায় কাছের মানুষগুলো যখন আস্তে আস্তে দূরে সরে যায়, এই দূরে সরে পড়াটাই আমার কাছে অভাব !!

পুরো ক্লাসের সবাই দাঁড়িয়ে গেল !! অনেকের চোখে জল !! স্যার চোখের জল মুছতে মুছতে ছেলেটিকে 
কাছে টেনে নিলেন !! 

বস্তুতঃ আমাদের সহপাঠীদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে, যারা কয়েক মাস অপেক্ষা করেও বাড়ি থেকে সামান্য টাকা পায় না !! সব দুঃখ-কষ্টকে আড়াল করে হাসিমুখে দিনের পর দিন পার করে দেয় খেয়ে না খেয়ে !! তাদের হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা কষ্ট টুকু বোঝার সুযোগ হয়তো আমাদের হয়ে ওঠে না।

{from WhatsApp University}

উপরোক্ত অনন্ত অভাব সকল সীমিত উপাদানের মাধ্যমে কীরূপে মিটানো সম্ভব তাহা সম্পর্কে যে শাস্ত্র আলোচনা করে উহাকেই অর্থনীতি বলা হইয়া থাকে।  Big Grin

হোয়াটস অ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংগ্ৰহ বেশ ভাল সঞ্জয়দা Namaskar
                                            Namaskar

[Image: 20230928-215610.png]
Like Reply
(23-03-2023, 10:07 PM)Bumba_1 Wrote:
[Image: Polish-20230324-095705536.jpg]


দুপুরের দিকে বৃষ্টি হলে রাস্তাঘাট কেমন যেন শুনশান হয়ে যায়! আকাশে ভার হয়ে ঝুলে থাকা মেঘ, ভেজা রাস্তা, দুপাশের ঘরবাড়ি, বন্ধ রাখা জানলা .. সবকিছুই যেন নিঃস্তব্ধ। একটা কাক ডেকে উঠলো কোথাও। অনেকক্ষণ ধরে কানের কাছে একটা বাঁশির মতো শব্দ শুনছিলো সঞ্জীব। আকাশের আলো অনেকটাই মরে এসেছে। আষাঢ়ের বড় বেলা, কিন্তু হলে কি হবে! আজ সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিলো। সঞ্জীবের মা অঞ্জলি দেবী অনেক করে বলেছিলেন, "পড়াতে যাচ্ছিস সেই ফুলবোনাতে, ছাতাটা নিয়ে যাস মনে করে।"

কিন্তু কে কার কথা শোনে! অকারণে জেদ করেই একরকম, ছাতা ছাড়াই প্যাডেলে চাপ দিয়েছিল সে। 'মাসের দশ তারিখ হয়ে গেলো, তাও শালারা এখনও এমাসের মাইনেটা দিলো না .. এরকম করলে চলে!' কথাগুলো ভাবতে ভাবতে সাইকেল চালাচ্ছিলো সঞ্জীব। এইসময় উত্তর-পশ্চিম থেকে একটা গুমগুম করে শব্দ হলো, আর বৃষ্টিটাও আর একটু চেপে এলো। সাইকেল থেকে নেমে পড়লো সে। আপাতত গোবিন্দদের বাড়ি পড়াতে যাওয়ার ভাবনাটা পাশে রেখে সে ভাবছিলো .. নাহ্ , ভাবা আর গেলো না। কারণ ফের খসখসে বাঁশির শব্দটা শুনলো সে।

আর এবার...! হ্যাঁ ঠিকই  তো! একটা মিহি কণ্ঠস্বর যেন! কিন্তু এই নির্জন শেষ বিকেলে একটা পুরোনো বন্ধ দোকানঘরের দাওয়ায় দাঁড়িয়ে সে ভূতের গলা শুনবে নাকি? "হ্যাঁ ছার (পড়ুন স্যার) শুনবেন বই কি .." বেশ কষ্টে কে যেন অত্যন্ত মিহি স্বরে কথাগুলো বলে উঠলো।

এবার অবাক হওয়ার পালা সঞ্জীবের। কারণ সেই বাঁশির মতো শব্দটাও সাথে সাথে যেন শুনলো সে। "হ্যাঁ, ওই বাঁশি বাজাতে গিয়েই তো যত বিপত্তি!" সঞ্জীব আবার শুনতে পেলো সেই আওয়াজ। "তখন থেকে কইচি, ছার এট্টু আগুন দ্যান, এট্টু আগুন দ্যান, শুনতেই পান না নাকি?"

এবার সঞ্জীব বেশ রেগে যায়, "তুমি কে হে? আর আমার কাছে আগুন আছে কি নেই তুমি কি করে জানলে? সর্বোপরি আমার মনের কথাগুলো, অর্থাৎ যেগুলো আমি ভাবছি সেগুলো তুমি অবলীলায় পড়ে নিয়ে বলছো কি করে?" 

"জানি ছার, আমরা সব জানি ! ইয়ে পাব্লিক হ্যায় না .. ইয়ে সব জানতা হ্যায়, শোনেন নাই?" পুনরায় শোনা গেলো কণ্ঠস্বরটি।

"বিলক্ষণ শুনেছি ! তবে তুমি কিরকম পাবলিক যে দেখা যায় না?" বিরক্তি প্রকাশ করে জিজ্ঞাসা করলো সঞ্জীব।

"আজ্ঞে ছার,আমরা তো ছায়াছবি নই যে দেকবেন! আমরা হলুম গিয়ে যাকে বলে ইয়ে .." কথাটা শুনে এবার থমকালো সঞ্জীব, "ইয়ে মানে?" তারপর কিছু একটা ভেবে গলাটা একটু ঝেড়ে নিয়ে বললো, "তা তোমাদের তো আগুনে বড় ভয় শুনেছি, আগুন চাইছো যে বড়?"

দু'বার বাঁশি ফুক ফুক করে উঠলো। সঞ্জীব বুঝতে পারলো অশরীরীটি হাসলো বোধহয়! ফের শোনা গেলো "একটা সিগ্রেট খাবো ছার, এখন আমরা বিড়ি-সিগ্রেট সব খাই, আগুনে কিস্যু হয় না"

"বটে?" বিস্ময় প্রকাশ করে উঠলো সঞ্জীব। "হ্যাঁ ছার, এখন তো দেশে সবাই উল্টো নিয়মে চলছে, তা আমরাই বা কমতি কিসে?" উত্তর দিলো অশরীরী।

দেশের কথা, রাজ্যের কথা, রাজনীতির কথা .. পাছে অন্যদিকে ব্যাপারটা ঘুরে যায়, তাই অগত্যা ব্যাগ হাতড়ে লাইটারটা জ্বালালো‌ সঞ্জীব। তারপর অবাক হয়ে দেখলো, আগুন থেকে একটা ফুলকি যেন বেরিয়ে গিয়ে একটু তফাতে গিয়ে স্থির হলো, তারপর মাঝে মাঝে ধোঁয়া উড়তে লাগলো।

এদিকে বৃষ্টি থামেনি এখনও। উপরি পাওনা সন্ধ্যে নামছে দ্রুত। লোকজন সে এরমধ্যে কাছেপিঠে দেখেও নি। ভয় ঠিক নয়, বরং একধরণের অস্বস্তি কাজ করছিলো সঞ্জীবের ভেতর। কয়েকহাত দূরে এইরকম পরিবেশে যদি এমন একজন মনের সুখে সিগারেট খায়, যার শরীর দৃষ্টিগোচর হয় না! তবে সেটা আর যাই হোক, সুখকর হতে পারে না কারও কাছে।

"একটা কথা বলি ছার ?" কণ্ঠস্বরটি শুনে কিছুটা চমকে উঠলো সঞ্জীব। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললো "বলো.."

"বাদলাটা ঠিক সহ্যি হয় না ছার তাই সিগ্রেটখান ধরালাম .. " ভূতের আবার বৃষ্টি-বাদল সহ্য হয় না! আরোও কত কিই যে দেখতে হবে! হাসি চেপে যতটা পারা যায় গম্ভীর হয়ে সঞ্জীব বললো, "এটা তো আসল কথা নয়! ঝেড়ে কাশো দেখি!"

কণ্ঠ বলতে থাকে " নদী পেরিয়ে পাশের জেলাতে আমার বাড়ি ছার। বৌ মরেছে আঁতুড়ে ছেলেটাকে রেখেই। গেরামের নেতাদের ন্যাজধরা হয়ে ঘুরতুম আর ভোটের সময় ডিউটি ছিলো বাঁধাধরা.."

কথা ফের অন্যদিকে ঘুরে যায় মনে করে সঞ্জীব বললো, "সে না হয় হলো, তারপর?"

অশরীরী বলতে শুরু করলো, " দাঁড়ান ছার, অত তাড়াহুড়ো করলে চলে ? যাই হোক ছার, ওই ডিউটি করতে গিয়েই তো পরাণ বেরিয়ে গেলো। অপোজিছন ছেলেরা ডিউটি দেখতে পেয়ে জানলা দিয়ে গুলি ছুঁড়লো। গলার সাঁকি ফুটো হয়ে গেলো। সেই থেকে হাওয়া হয়ে ঘুরছি .."

বাঁশির আওয়াজের রহস্যটা এতক্ষণে পরিষ্কার হলো সঞ্জীবের কাছে। বৃষ্টির বেগ কমছে, এখানে আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করা যাবে না। "থেমে গেলে যে বড়?" তাড়া দেয় সঞ্জীব।

"ছেলেটার কথা ভেবে কষ্ট হয় ছার, সামনের ভাদ্রে ছ'য়ে পড়বে। একলা দিদিমার কাছে থাকে। নেকাপড়া মোটে করে না ছার ! খালি গুলতানি .." এইটুকু বলে আবার থেমে যায় কণ্ঠ।

"তো আমি কি করবো?" বিস্মিত কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে সঞ্জীব।

"বলছিলাম কি ছার, ছেলের আমার মাতা ভালো" বাঁশিকণ্ঠে যেন দ্বিধা জড়ায়। ইঙ্গিতটা কিছুটা পরিষ্কার হয় সঞ্জীবের কাছে। কণ্ঠ এবার বলে ওঠে "ছেলেটাকে পড়ান ছার, এটুকুই বলতে চাইচি। দিদিমাটা মরে গেলে কি হবে জানি না। তবে যদ্দিন আচে নেকাপড়াটা তো করুক। ওই পাশের গেরাম ফুলবোনাতেই আমার শ্বশুরবাড়ি, ওকেনেই তারা থাকে।"

কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে যায় সঞ্জীব। অশরীরী বলতে থাকে, " ছেলেটা বক্কেশ্বর হলে কি হবে .. বুদ্দি আছে। ওর মায়ের বেরেনটা পেয়েচে কিনা! একটা গরিব ছেলেকে বিনি পয়সায় না হয় এট্টু সাহায্যিই করলেন! আমি কতা দিচ্চি ওকে নেকাপড়া করাতে আপনার ভালোই লাগবে। আপনার সোন্দর মুকখান জ্বলজ্বল করবে .."

ছেলেমেয়ের জন্য বাবা-মা যে মরেও শান্তি পায় না, কথাগুলো শোনার পর সেটা উপলব্ধি করতে পারে সঞ্জীব। ঠিক সেই মুহূর্তে পিতৃমাতৃহীন অসহায় ছেলেটির প্রতি একটা অজানা টান অনুভব করে সে। "ঠিক আছে .. পড়াবো।" মুচকি হেসে এইটুকু বলে বাঁশিকণ্ঠকে আশ্বাস দিয়ে সন্ধ্যের অন্ধকারে প্যাডেলে চাপ দিলো সঞ্জীব। আকাশে এখন অনেক তারা। ফুলবোনাতে পৌঁছাতে মিনিট দশ-পনেরো লাগবে। 

[Image: Images-3-2.jpg]

দাদা এই প্রথম তোমার ছোটোগল্প পড়লাম, দারুণ অসাধারণ লেখা  yourock

লাইক এবং রেপু অ্যাডেড। আরও লেখো সাথে একটা বড়ো গল্প।
I'm the King of Dark
                &
I rule over all Devils
               devil2 devil2
[+] 1 user Likes Monen2000's post
Like Reply
(23-04-2023, 01:15 AM)Monen2000 Wrote: দাদা এই প্রথম তোমার ছোটোগল্প পড়লাম, দারুণ অসাধারণ লেখা  yourock

লাইক এবং রেপু অ্যাডেড। আরও লেখো সাথে একটা বড়ো গল্প।

প্রথমেই জানাই ধন্যবাদ  thanks
এই থ্রেডেই প্রায় পঁচিশটা ছোট গল্প লেখা হয়ে গিয়েছে আমার। এছাড়া প্রচুর কবিতা আছে। সময় করে সূচিপত্র ধরে ধীরেসুস্থে পড়ে নিও। আর বড়গল্প লেখা শুরু করে দিয়েছি তো! গতকাল প্রথম পর্ব এসে গিয়েছে নন্দনা NOT OUT এর।
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
(23-04-2023, 09:41 AM)Bumba_1 Wrote: প্রথমেই জানাই ধন্যবাদ  thanks
এই থ্রেডেই প্রায় পঁচিশটা ছোট গল্প লেখা হয়ে গিয়েছে আমার। এছাড়া প্রচুর কবিতা আছে। সময় করে সূচিপত্র ধরে ধীরেসুস্থে পড়ে নিও। আর বড়গল্প লেখা শুরু করে দিয়েছি তো! গতকাল প্রথম পর্ব এসে গিয়েছে নন্দনা NOT OUT এর।

ক্যায়া বাত ক্যায়া বাত  yourock
I'm the King of Dark
                &
I rule over all Devils
               devil2 devil2
Like Reply
[Image: Polish-20230501-140857840.png]

|| কন্টেন্ট ||

~ বুম্বা ~

সাংসারিক কাজের চাপ, অফিসের কাজের চাপ, শারীরিক অসুস্থতা এবং সর্বোপরি সময়ের অভাব .. এই সবকিছুর জন্য আমার সৃষ্টি থ্রেড নেগলেক্টেড হচ্ছে। এই থ্রেডে লেখা দেওয়া প্রায় অনিয়মিত হয়ে গিয়েছে। তবে উপরোক্ত কারণগুলি ছাড়াও এই থ্রেডে দেখা দিতে না পারার আরও একটা বড় কারণ হলো কনটেন্টের অভাব। কত আর স্মৃতিকথা লিখবো, কত আর কবিতা লিখবো, কত আর ছোটগল্প লিখবো, কত আর প্রতিবেদন লিখবো! নাক খুঁটে গোল পাকাতে পাকাতে একসময় হাত শূন্য হয়ে যায়। তাই লেখা কমে গেছে। নিশ্চয় ভালো মালের, থুড়ি ভালো লেখার যোগান দিতে পারছি না .. তাই সৃষ্টি থ্রেডের মুখ ভার। তবে দোকান এখনই বন্ধ করছি না .. এই ব্যাপারে আমার পাঠকবন্ধুরা এবং নিন্দুকেরা উভয়েই নিশ্চিত থাকতে পারেন।

সেদিন গিয়েছিলাম দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিং মলে। সেখানে ফুড কোর্ট আছে .. বিশাল ভিড়। দেখি চারিদিকে লোকজন গিলছে, থুড়ি খাচ্ছে অনেকরকম খাবার। সেখানে আগেও অনেকবার খেয়েছি। বিশাল দাম, কিন্তু খাবারের মান বেশ খারাপ। বাসি-পচা নয়, তবে খাবারগুলোর কোনো টেস্ট নেই। কেমন যেন পানসে! তবু লোকজন খাচ্ছে, লাইন দিয়ে খাবার কিনছে। আমি আর ভ্যানিলাও কিছু একটা খাবো ঠিক করেছি। তার মধ্যেই আমি অবশ্য চারিদিক দেখে নিচ্ছি, যদি কোথাও কোনো কনটেন্ট পাই!

লক্ষ্য করলাম একটা ছেলে জোর কদমে হেঁটে গিয়ে সিজলারের ধোঁয়া ওঠা পাত্র নিয়ে চলে গেলো। সেটি দেখে এক বয়স্ক মহিলা বললেন , "খুব ভালো জায়গা রে বাবু এটা .. দেখে মন ভরে গেলো। সন্ধেবেলা ধুনো দিচ্ছে। আজকাল বাড়িতেই কাউকে ধুনো দিতে দেখা যায় না।" তার ছেলে বোঝাচ্ছে, "মা এটা ধুনো নয় ,খাবার।" সেই শুনে তার মা দ্বিগুণ উৎসাহিত হয়ে বললেন, "শহরের লোকে ধুনোও খায়! বেশ বেশ ..'

যাইহোক, আমরাও ঘটনাচক্রে  সিজলার অর্ডার দিয়েছিলাম। দুই বাটি ধোঁয়া নিয়ে একটা সিট দখল করলাম। ভ্যানিলার কোনো ইচ্ছে ছিলো না এখানে আসার, ও অন্য কোথাও যেতে চেয়েছিলো। আমিই কনটেন্ট এর লোভে এসেছি। ছেলের কথা না শোনার শাস্তি হিসেবে সে সবেতেই অভিযোগ করবে .. এটা বেশ বুঝতে পারলাম। ভ্যানিলার প্রথম অভিযোগ, "সিজলার খুব গরম!"

ঠাণ্ডা সিজলারের আবিষ্কার এখনো হয়নি .. সেটা আর ওকে কে বোঝাবে! ওর বক্তব্য, "কোল্ড কফি , ফায়ার পান , আইস টি ... এসব থাকলে কোল্ড সিজলারও নিশ্চয় আছে।" কোনোরূপ তর্কে না গিয়ে আমি বললাম, "আছে হয়তো, তবে এখানে কিনতে পাওয়া যায় না। একটু ওয়েট কর সোনা আমার, ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। সে বললো , "টাইম নেই , বাড়িতে অনেক কাজ!" যে ছেলে নিজের পড়াশোনা, খেলাধুলা, খাওয়াদাওয়া আর ঘুম .. এই চারটি জিনিস ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো ক্রিয়াপদ আছে কিনা জানে না, তার আবার বাড়িতে কি কাজ! যাই হোক, আর কথা না বাড়িয়ে আমিই তাই প্লেটে ফুঁ দিতে শুরু করলাম।

খেয়ে দেখলাম বেশ খারাপ খেতে, কিন্তু গরম। তাই, দ্রুত খাওয়া অসম্ভব। অগত্যা অপেক্ষা করতেই হলো। লক্ষ্য করলাম সামনের টেবিলে একটি মেয়ে আর তিনটি ছেলে বসে আছে। কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে সম্ভবত। মেয়েটা ওইটুকু সময় টেবিলে বসে কয়েক হাজার সেলফি তুললো। ছেলেগুলোকে অবশ্য তার একটাও ছবি তুলতে দেয়নি। তারা অর্থাৎ ছেলেগুলো সবেতেই "হা হা হা" করে যাচ্ছে। নিজের অভিজ্ঞ মস্তিষ্ক দিয়ে বুঝতে পারলাম তিনজনের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে মেয়েটির মন জিতে নেওয়ার জন্য। একটু বাদে মেয়েটির হাতে একটা চুড়ি আটকে যায় পরতে গিয়ে। সে হাত এগিয়ে দিলে তিনজনের মধ্যে একজন ছেলেই সুযোগ পায় সমস্যা সমাধানের। বাকি দুজন  তখনও হাসছে। কারা যেন রটাচ্ছে বুম্বা নামের একজন থার্ডক্লাস লেখক/কবি লিখেছেন ..

অনেক হাসির পরেই আসে অনেক মনখারাপ
 অনেক খাওয়ার পরেই আসে অনেক পেটখারাপ

ইশশ, সত্যিই থার্ডক্লাস কবিতা। তাই না? সবাই ঠিকই বলে, 'বুম্বা' আর 'পটি' সম্বন্ধীয় ব্যাপার-স্যাপার .. এই দুটো সমার্থক শব্দ।

যাইহোক, অনেক কষ্ট করে আমরা সিজলার শেষ করলাম। আমাদের টেবিলের কাছেই দু'জন মহিলা বসেছিলেন। পাহাড়প্রমাণ খাবার নিয়ে বসেছেন। কিন্তু তারা আলোচনা করছেন ডায়েট প্ল্যান নিয়ে। তাদের কথার বিষয়বস্তু হলো .. দু'জনেই ডায়েট করছেন ওজন কমাতে। কিন্তু আজ তাদের চিট মিল। তারা এতো জোরে কথা বলছে, যে না চাইলেও আমার কানে সবই আসছে। আমি ভাবলাম , 'মন্দ কি! কনটেন্ট ইজ কলিং।' তাদের কথা শুনে বুঝলাম, এরকম চিট মিল তারা মাঝে মাঝেই করে ফেলেন। তাই অপরাধবোধে ভোগেন। এই অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ একটি মেডিটেশন কোর্স করছেন। সেখানে বলা আছে .. চিট করা নাকি সবচেয়ে বড় পাপ। কথার পৃষ্ঠে কথা, তার পৃষ্ঠে কথা শুনে বুঝলাম, দু'জন মহিলার মধ্যে একজন পরকীয়াও করছেন। অর্থাৎ উনি শুধু মিল নয় অন্যকিছুও চিট করেন। কিন্তু  মেডিটেশন কোর্স করেও ফল হচ্ছে না। যিনি পরকীয়া করেন না সেই মহিলার বক্তব্য .. তিনি পরকীয়া করেন না, শুধু মিলেই চিট করেন। অর্থাৎ নিজের সঙ্গে চিট। অন্য কারো সঙ্গে তো চিট করছেন না। সুতরাং এটা পাপ হতে পারে না। অপর মহিলাও সহমত হলেন যে চিট মিল পাপ নয়। চিটফান্ড পাপ হতে পারে। তিনি এটাও যোগ করলেন যে, পরকীয়া করেও তিনি পাপ করেননি। কারণ , তার বরও পরকীয়া করছে। তাই ম্যাচ আপাতত চিট - চিট হয়ে ড্র যাচ্ছে। বর্তমান পরকীয়াকে চিট করে যে পরপরকীয়া করবে সে লিড করবে। পরকীয়ার উপর পরকীয়াকে 'পরপরকীয়া' বলে। না মানে কেউ বলেনি, আমিই বললাম আর কি।

যাইহোক, সিজলার খেয়ে আমাদের মুখটা কেমন যেন হয়ে গেলো। ভ্যানিলা বললো .. ভার্জিন মোজিতো খাবে। আমিও তাই কিনলাম। কিন্তু খেয়ে দেখলাম লেবুর বিচি চিবিয়ে ফেললে মুখে যেমন বিশ্রী একটা তিতকুটে স্বাদ হয় সেইরকম কিছু একটা হলো। তার সঙ্গে নাম না জানা কিছু গাছের পাতা  আর বরফ জল। যার এক একটার মূল্য ১৬৬ টাকা করে!

 আমি ঠিক করলাম আর কোনোদিন ওই মলের ফুডকোর্টে খাবো না। ভ্যানিলা বললো, "পাপা তুমি লাস্টে আমার সঙ্গেই অলটাইম এগ্রি করো, কিন্তু ঠকে যাবার পর। প্রথমে সহমত হয়ে গেলে ঠকাটা এড়ানো সম্ভব হয়।" ছেলের কথায় মুচকি হেসে বললাম, "ভাগ্যিস ঠকেছি .. না ঠকলে তো কনটেন্ট পেতাম না!"

[Image: Images-3-2.jpg]

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


[+] 6 users Like Bumba_1's post
Like Reply
splendid you're a great content creator  Namaskar
[+] 1 user Likes Chandan's post
Like Reply
[Image: Happy-dance.gif]

[Image: Images-2-2-1.jpg]

[+] 1 user Likes Somnaath's post
Like Reply
(01-05-2023, 04:39 PM)Chandan1 Wrote: splendid you're a great content creator  Namaskar

Thanks a lot chandan bhaiya  thanks

(01-05-2023, 05:15 PM)Somnaath Wrote:
[Image: Happy-dance.gif]

banana banana   happy happy 
Like Reply
তোমার এই গপ্পের প্রথম অংশ পড়ে ভাবলাম একি! এযে আমার মনের কথা দাদা লিখে ফেলেছে দেখছি। তোমার সৃষ্টি আর আমার কিছু কথা ছিল মনে এই যা তফাৎ। কিন্তু শুধুই সেটা কেন? ইরো গল্পেরও আর ব্যাপক কিছু বলার আমার নেই হয়তো। ৩৫ খানা গল্পের থ্রেড। তার মধ্যে বড়ো ছোট অনু কবিতা সব মিলিয়ে ৯০ অধিক আজব সব লেখা লিখে ফেলেছি আমি। তাই হয়তো সেইভাবে হাতে চুলকানি হয়না আজকাল।

তবু মাঝে মাঝে যেই হাত চুলকায়, মাথার পোকা নড়ে ওঠে অমনি কিছু একটা লিখে ফেলি। এই যেমন আমার শেষ অনু গল্পটা - ক্ষত। হটাৎ চোখের সামনে একটা গল্প মগজ তৈরী করে ফেললো আর হাত সেটাকে ছাপিয়ে ফেললো। এটা নিশ্চই তোমার সাথেও হয়। তবে আজকাল এটা আর ঘন ঘন হচ্ছেনা এটাই যা। ওদিকে আমাদের পাঠকেরাও চাইছে তাদের জন্য বড়ো কিছু নিয়ে আসি কিন্তু আমার যা বলার তা বোধহয় বলা হয়ে গেছে। গসিপির খাতায় আর পাঠক বুকে জায়গা করে নিতে পেরেছি এই তো আসল প্রাপ্তি। ♥️

শেষে বলবো কন্টেন এর নামে আশেপাশের রঙ দুনিয়াটা যেভাবে ফুটিয়ে তুললে তা লাজবাব। শেষের লাইনের ক্ষেত্রে বলবো বরে মিয়াকে মাঝে মাঝে ঠকতেই হয় যাতে ছোট মিয়া সে ভুল না করে। তাছাড়া অনেক সময় ঠকাতেই আসল সুখ।
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
(01-05-2023, 07:16 PM)Baban Wrote: তোমার এই গপ্পের প্রথম অংশ পড়ে ভাবলাম একি! এযে আমার মনের কথা দাদা লিখে ফেলেছে দেখছি। তোমার সৃষ্টি আর আমার কিছু কথা ছিল মনে এই যা তফাৎ। কিন্তু শুধুই সেটা কেন? ইরো গল্পেরও আর ব্যাপক কিছু বলার আমার নেই হয়তো। ৩৫ খানা গল্পের থ্রেড। তার মধ্যে বড়ো ছোট অনু কবিতা সব মিলিয়ে ৯০ অধিক আজব সব লেখা লিখে ফেলেছি আমি। তাই হয়তো সেইভাবে হাতে চুলকানি হয়না আজকাল।

তবু মাঝে মাঝে যেই হাত চুলকায়, মাথার পোকা নড়ে ওঠে অমনি কিছু একটা লিখে ফেলি। এই যেমন আমার শেষ অনু গল্পটা - ক্ষত। হটাৎ চোখের সামনে একটা গল্প মগজ তৈরী করে ফেললো আর হাত সেটাকে ছাপিয়ে ফেললো। এটা নিশ্চই তোমার সাথেও হয়। তবে আজকাল এটা আর ঘন ঘন হচ্ছেনা এটাই যা। ওদিকে আমাদের পাঠকেরাও চাইছে তাদের জন্য বড়ো কিছু নিয়ে আসি কিন্তু আমার যা বলার তা বোধহয় বলা হয়ে গেছে। গসিপির খাতায় আর পাঠক বুকে জায়গা করে নিতে পেরেছি এই তো আসল প্রাপ্তি। ♥️

শেষে বলবো কন্টেন এর নামে আশেপাশের রঙ দুনিয়াটা যেভাবে ফুটিয়ে তুললে তা লাজবাব। শেষের লাইনের ক্ষেত্রে বলবো বরে মিয়াকে মাঝে মাঝে ঠকতেই হয় যাতে ছোট মিয়া সে ভুল না করে। তাছাড়া অনেক সময় ঠকাতেই আসল সুখ।

খুব সুন্দর করে বললে। আসলে সুখের সময় মন যখন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে, দুঃখের দিনে মন যখন ভারাক্রান্ত হয়, আবার কোথাও কোনো অন্যায় দেখলে মন যখন প্রতিবাদী হয়ে ওঠে .. তখনই তো প্রকৃত লেখকের কলম হয়ে ওঠে তার মনের ভাব প্রকাশের একমাত্র হাতিয়ার। ‌তাই একটাই অনুরোধ, বড় অর্থাৎ উপন্যাস না হোক ছোট গল্পের আকারেই তোমার অনবদ্য সৃষ্টি চলতে থাকুক।  horseride
Like Reply
(01-05-2023, 02:20 PM)Bumba_1 Wrote:
[Image: Polish-20230501-140857840.png]
এটা সবথেকে unique  Iex

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 1 user Likes Sanjay Sen's post
Like Reply
(02-05-2023, 09:38 AM)Sanjay Sen Wrote:
এটা সবথেকে unique  Iex

[Image: ee9f4f167c2a81b00e014f2d06c6106f.gif]
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)