Thread Rating:
  • 75 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
WRITER'S SPECIAL সৃষ্টি (সমাপ্ত)
(13-03-2023, 09:21 AM)Bumba_1 Wrote:
[Image: Polish-20230313-091447044.jpg]


~ পেনশান প্রার্থী ~

স্যার , ভদ্রমহিলা আবারো এসেছেন । ভেতরে আসতে বলবো?

ডি আই সাহেব একটু বিরক্তির সুরে বললেন , বলো।
ভেতরে ঢুকলেন এক বৃদ্ধা । দক্ষিণ কলকাতায় এক স্কুল থেকে দশ বছর আগে রিটায়ার করেছেন । এখনো পেনশান পাননি । তদ্বির করতে এসেছেন বৃদ্ধা।

ভেতরে ঢুকতেই ডি আই অব স্কুল তাঁর ফাইলে কৃত্রিম মনোযোগ নিক্ষেপ করে বললেন , যা বলবার তাড়াতাড়ি বলুন । মহিলা তাঁর আঁচলে মুখের ঘাম মুছলেন । চশমার কাঁচ মুছলেন । তারপর ক্ষীণকন্ঠে একটা চেয়ারের কোনা ধরে দাঁড়িয়ে হাঁফাতে হাঁফাতে বললেন , স্যার ! আমার ফাইলটা মুভ করেছে ?

টেবিলের অপর প্রান্তে ফাইলে মুখ গুঁজে ডি আই এর উত্তর ভেসে এলো , কী করে করবে ? এ জি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে । যথাযথ রিপ্লাই না পেলে আপনার ফাইল

এসে কী দেখলেন ত্রিগুণা সেন ? পুলিশ মর্গে গিয়ে দেখলেন কীভাবে নিশ্চিন্তে ' ঘুমের দেশে ' চলে গেছেন এক বীরাঙ্গনা যিনি একদিন বাংলার ছোটলাটকে সেনেট হলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গুলি চালিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন । যিনি ছিলেন বাঙালির শ্রেষ্ঠ বীর ও দেশপ্রেমিক সুভাষচন্দ্রের জীবনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে পরিচিত বেণীমাধব দাসের কন্যা । যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন নীতিগত কারণে । অথচ যিনি বহু চেষ্টা করেও আইনের বজ্রআঁটুনির জন্যে নিজের প্রাপ্য পেনশান আদায় করতে পারেননি সরকারের থেকে । বঞ্চিত হয়েছিলেন ন্যায্য অধিকার থেকে । বলা বাহুল্য যে , ত্রিগুণা সেন বীণাকে চিনতেন। যাদবপুরে যখন তিনি ভি সি তখন অনেক অনুষ্ঠানেই বীণার সাথে তাঁর দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে ।

বীরাঙ্গনা বীণা দাস ! তোমায় আমরা তোমার ন্যায্য অধিকার থেকে সেদিন বঞ্চিত করে যে অন্যায় করেছিলাম তার জন্যে তুমি আমাদের মতো এই অধম , অধঃপতিত ও নির্বোধ জাতিকে ক্ষমা করো।

(জনস্বার্থে প্রচারিত)

বুম্বা দা, গসিপিতে আসি - সেই আসা সার্থক বলে মনে হয় যখন আপনার এমন লেখাগুলো পড়ার সুযোগ হয়।
[+] 1 user Likes indecentindi's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
(16-03-2023, 04:47 PM)Bumba_1 Wrote:
[Image: FB-IMG-1678964670716.jpg]

কিছু কথা এবং ..

ছবি এবং লেখাঃ- বুম্বা


আমি এমনি এমনি কোনো কথা বলি না। তাই উপরোক্ত কথাগুলি বলার পেছনে অবশ্যই একটা কারণ রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যেবেলায় আমাদের এখানকার একটি টাউন হলে বেশ কয়েকজন সংস্কৃতিমনস্ক মানুষের আড্ডা বসেছিলো। সাহিত্য, শিল্পকলা, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা, রাজনীতি .. এইসব বিষয় কথা হতে হতে একসময় আলোচনা এসে দাঁড়ায় কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য লেখা কাহিনী বা উপন্যাসগুলি নিয়ে। এই প্রসঙ্গে কথা হবে, অথচ আদিরসাত্মক সাহিত্যের এক নম্বর ফোরাম গসিপি নিয়ে কথা হবে না, তা তো হয় না! এদের মধ্যে বেশিরভাগ ব্যক্তির বক্তব্য ছিলো পুরাতন গসিপের তুলনায় বর্তমানের গসিপিতে লেখা গল্পগুলি অধিকমাত্রায় উন্নত ধরনের (যদিও দু'একজন এর বিরোধিতা করেছিলো, এটাও ঠিক)। আমি যে গসিপিতে লেখালেখি করি সেটা ওনাদের মধ্যে সবাই জানতেন। কিন্তু আপনারা যারা এখানে লেখালেখি করেন, তারা একটা ব্যাপার শুনলে অবাক হয়ে যাবেন .. এখানকার বেশিরভাগ লেখককে তারা চেনেন (অর্থাৎ নাম শুনেছেন) এবং বেশ কিছু লেখকের ভালোরকম fan base তৈরি হয়েছে। নিষিদ্ধ বিষয় নিয়ে মানুষের মনে সর্বদা কৌতূহলের মাত্রা অধিক থাকে, এ কথা অনস্বীকার্য। তাই অজাচার এবং কাকোল্ড .. এই দুটি বিভাগ নিয়ে দেখলাম সবার আগ্রহটাই বেশি। তাদের কথাতে স্পষ্ট অজাচার গল্পের সম্রাট Jupiter10 এর বর্তমানে চলতে থাকা দুটি উপন্যাস যেন কোনোদিন শেষ না হয়, এই ভাবেই  যেন চলতে থাকে বছরের পর বছর ধরে। কাকোল্ড গল্পের বেতাজ বাদশা Baban যেন একটি নতুন উপন্যাস শুরু করে .. এটাও স্পষ্ট হয়েছিলো তাদের কথায়। তাদের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝলাম তা হলো, এই ফোরামের registered users এর থেকে guest users এর সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেশি। ওরাই ঠিক করে দেয় গল্পের views , যেখানে কোনোরকম তঞ্চকতা চলে না। ভালো-মন্দ মিশিয়ে আরও আরও, আরও আলোচনা হয় গসিপি নিয়ে .. সব কথা তো এখানে বলা সম্ভব নয়। তবে আমার সবথেকে বেশি গর্ববোধ হচ্ছিল এই ভেবে যে, এখানে তারা নিষিদ্ধ বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে বলে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখলেও (যদিও এটাই স্বাভাবিক) বাইরে তাদের ছদ্মনামের এত ক্রেজ এবং এরকম একটা ফোরামের একজন সামান্য সদস্য আমি। যাই হোক, আমি একজন আদ্যোপান্ত শিল্পী মানুষ, বিশেষ জটিলতা পছন্দ করি না। তাই কোনো বিষয়ে কথা হলে এবং সে কথাগুলি যদি আমার মন ছুঁয়ে যায়, তবে সেগুলিকে আমার মতো করে একটি সুন্দর রূপ দেওয়ার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রেও তাই করেছি .. অর্থাৎ  incest এবং cuckold এই দুটি বিভাগের মধ্যে কে সেরা নিয়ে এই দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গে নিজের মতো করে একটি কবিতা সৃষ্টি করে ফেলেছি। সবশেষে এটাই বলবো, আগেও যা বলেছি .. দ্বন্দ্ব চিরকাল থাকুক, কিন্তু স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতাই কাম্য। তবেই তো গসিপির উন্নতি সাধন হবে, না হলে নয়, ভালো থাকবেন।
অপূর্ব ছবি ও লেখা! এমন লেখাই কাম্য।
[+] 1 user Likes indecentindi's post
Like Reply
(26-03-2023, 08:00 PM)indecentindi Wrote: বুম্বা দা, গসিপিতে আসি - সেই আসা সার্থক বলে মনে হয় যখন আপনার এমন লেখাগুলো পড়ার সুযোগ হয়।

(26-03-2023, 08:07 PM)indecentindi Wrote: অপূর্ব ছবি ও লেখা! এমন লেখাই কাম্য।

অনেক ধন্যবাদ  thanks
Like Reply
(24-03-2023, 03:41 PM)Bumba_1 Wrote: অসংখ্য ধন্যবাদ ছোটভাই। পরেরবার থেকে প্রচ্ছদ তৈরি করার আগে তোমাকে অবশ্যই একবার জিজ্ঞাসা করে নেবো।  Tongue

না না আমি তা বলিনি, আমাকে জিজ্ঞাসা করে তৈরি করবে কেন! যাই হোক, পরের গল্পের জন্য মুখিয়ে রয়েছি। আবার কবে পাবো গুরু?

[Image: Images-2-2-1.jpg]

[+] 1 user Likes Somnaath's post
Like Reply
(29-03-2023, 02:30 PM)Somnaath Wrote: না না আমি তা বলিনি, আমাকে জিজ্ঞাসা করে তৈরি করবে কেন! যাই হোক, পরের গল্পের জন্য মুখিয়ে রয়েছি। আবার কবে পাবো গুরু?

কে বলতে পারে, হয়তো দু-একদিনের মধ্যেই একটা নতুন সিরিজ শুরু হয়ে যাবে।  Smile
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
(30-03-2023, 02:12 PM)Bumba_1 Wrote: কে বলতে পারে, হয়তো দু-একদিনের মধ্যেই একটা নতুন সিরিজ শুরু হয়ে যাবে।  Smile

সত্যি? great news  congrats

[Image: Images-2-2-1.jpg]

[+] 1 user Likes Somnaath's post
Like Reply
[Image: Polish-20230401-181309816.jpg]


বিল্টু আর তার মামা গেছে পাত্রী দেখতে। মামার মেজাজ খুবই ফুরফুরে। বিল্টুকে বারবার জিজ্ঞাসা করছিলো , "পাত্রীর বাড়ি কি লাল?" বিল্টু বললো , "বাড়ির রঙ তো জানি না!" মামা বিরক্ত হয়ে উত্তর দিলো , "ওরে গাধা, বাড়ির রঙ নয়। আমি জানতে চাইছি ওরা সিপিএম কিনা!" বিল্টু বললো, তার জানা নেই।

যাইহোক , পাত্রীর বাড়ির সামনে যেতেই দেখা গেলো একটা লোক মহাকাশচারী টাইপ ড্রেস পরে দাঁড়িয়ে আছেন। ওদের দু'জনকে রিক্সা থেকে নামতে দেখেই নমস্কার করলেন। পরিচয় দিলেন , উনি পাত্রীর কাকা। বাড়ির গেটে ঢোকার আগে বিল্টু আর তার মামার কপালে থার্মাল গান লাগিয়ে দেখলেন জ্বর আছে কিনা। তারপর জিজ্ঞাসা করলেন , "রিপোর্ট এনেছেন?" মামা বললো , "আজ্ঞে ছেলের গুপ্তরোগ নেই।"

বিল্টুও রিপোর্টের কথা শুনে ভেবলে গিয়েছিলো। পাত্রীর কাকা বিরক্তি প্রকাশ করে বললেন , "আরে ধুর মশাই, গুপ্তরোগের প্রশ্ন আসছে কোত্থেকে? আমি কোভিড টেস্টের রিপোর্টের কথা বলছি।" এই কথা শুনে বিল্টু আর তার মামা দু'জনেই মাথা নেড়ে জানিয়ে দিলো , "নাহ্ , ওসব নেই।"

পাত্রীর কাকা ছাড়নেওয়ালা পার্টি নয়, এটা বেশ বোঝা গেলো। বললেন, "ওটা আপনাদের আনা উচিৎ ছিলো। এর আগে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের আমরা রিপোর্ট ছাড়া অ্যালাও করিনি।" মামা বললো , "তাহলে আমরা আসি!" সঙ্গে সঙ্গে আর একজন পিপিই পরা ভদ্রলোক হাজির হলেন। জানা গেলো ইনি পাত্রীর বাপ, থুড়ি বাবা। তিনি বললেন , "আহা, উনার কথায় কিছু মনে করবেন না প্লিজ , আপনারা ভেতরে আসুন।"

মামা তার উত্তরে বললো , "না না আগে টেস্ট করিয়ে আসি। তারপর না হয় .." বিল্টু চুপচাপ দাঁড়িয়ে এতক্ষণ ধরে সবার কথা শুনছিলো। সে এবার বলে উঠলো , "না মানে টেস্টেও সবসময় ধরা পড়ে না।"

সেই শুনে পাত্রীর কাকা ভদ্রলোকটি বললেন , "আপনাদের কোনো সিম্পটম আছে?"  মামা তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলো , "দু'দিন হলো খুব গ্যাস হচ্ছে আর বাহ্যে তীব্র দুর্গন্ধ।" তার সঙ্গে বিল্টু সংযোজন করলো , "আসলে দু'দিন পেট পরিষ্কার হয়নি কিনা .. তাই।"

পাত্রীর কাকা গুগুল করলেন। তারপর বললেন , "নাহ্ এগুলো কোভিডের সিম্পটম নয়।" পাত্রীর বাবা ওদের দু'জনকে গদগদ হয়ে ভেতরে নিয়ে যেতে উদ্যত হলেন। তবে তার আগে বললেন , "এই নিন পিপিই কিট পরে নিন।" প্রথমে কিছুটা ইতস্তত করলেও পরে বিল্টু আর তার মামা ওইগুলো পড়ে নিলো , তারপর ফেসশিল্ড। জিনিসগুলো পড়ার ফাঁকে মামা স্বগতক্তি করে উঠলো , "শালা .. পাত্রী দেখতে এসছি, নাকি বাড়ি স্যানিটাইজ করতে!"

 ড্রেসপর্ব মিটলে ওদের দু'জনের সারা গায়ে স্প্রে করে দেওয়া হলো। উফফ কি তীব্র দুর্গন্ধ! মামা ফিসফিস করে বললো, "ভাগ্নে, এরা কি নর্দমার জল স্প্রে করে দিলো?" সেই কাকাটা হঠাৎ বলে উঠলেন, "গন্ধটা কেমন লাগছে?" এর উত্তরে বিল্টু কিছু বলার আগেই তার মামা বললো, "সাতদিনের পচা পায়খানার গন্ধ এর চেয়ে বেটার।" কাকা বললেন , "যাক তাহলে আপনি গন্ধ পাচ্ছেন!" মামা বললো , "মানেটা কি?" কাকার উত্তর , "আরে অনেক পাত্রপার্টি গুল মারে। গন্ধ না পেয়েও বলে, পাচ্ছি। তাই , এমন স্প্রে দিয়েছি যে গুল মারার অপশন নেই।"

পাত্রীর বাবা গদগদ হয়ে বললেন , "আমাদের সব স্প্রে পুজো করে ঘরে ঢোকে, মানে আমরা নিয়ে আসি আর কি। তাই, এটা শান্তির জল ভেবে নিন। বিল্টু আর তার মামা ফাইনালি ভেতরে ঢুকলো। ভেতরে কারা বসে আছেন বোঝার উপায় নেই । কারণ সকলেই পিপিই কিট পরে আছেন। এবার পরিচয়পর্ব শুরু হলো .. মামা , মামী , মাসি , মেসো , মা , বাবা .. যদিও এদের সবাইকে একরকম লাগছে । মেয়ে একটা আলাদা চেয়ারে বসেছে। পাত্রপক্ষ অর্থাৎ বিল্টু আর তার মামার জন্য জন্য সিঙ্গারা , মিষ্টি , ফিসফ্রাই , পকোরা এসব প্লেটে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর সেই প্লেটে কিসব স্প্রে করে দেওয়া হলো। মামা সেই দেখে বললো , "যেটা ঢোকার সময় আমাদের গায়ে স্প্রে করেছিলেন, সেই মোষপচা গন্ধের স্প্রে'টা আবার দিলেন?"

পাত্রীর কাকা বললেন , "না না এটা হারবাল। এটা খাবারে দেওয়া যায়, কোনো ক্ষতি হয় না। সিঙ্গারা খেয়ে মনে হলো নর্দমার পাঁক পুরে মিশিয়েছে। ফিসফ্রাইতে এতো ঝাল  যে সারা শরীর জ্বলতে শুরু করলো। কাকা জিজ্ঞাসা করলেন , "খুব ঝাল লাগছে?" বিল্টুরা দুজনেই  জিভ বার করে "হ্যাঁ" বলতে পারলো কোনোমতে ।

সেই দেখে কাকা মৃদু হেসে জানালেন , "তারমানে স্বাদ  যায়নি।" মামা উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলো , মানেটা কি?"

"আরে অনেকে স্বাদ না পেয়েও গুল মারে তো , তাই .." নির্বিকার চিত্তে বলে উঠলেন পাত্রীর কাকা। মামা ফিসফিয়ে বিল্টুর কানে বললো , "শালা পুরো ক্ষ্যাপাচোদা ফ্যামিলি। এখানে বিয়ে করলে মরে যাবি বলে দিলাম।

এই প্রথম পাত্রী মুখ খুললো। সে বললো -  ''সোফাটা খুব নরম লাগছে না?'' তার উত্তরে বিল্টু আর তার মামা দুজনেই বলে উঠলো , "হ্যাঁ , তা লাগছে। এটাও কি করোনার কোনো টেস্ট?"

কাকা বললেন, '‘না না তা নয়, আসলে এসবই কাকলি ফার্নিচারের থেকে কেনা।" মামা বললো, "কলকাতায় ব্রাঞ্চ খুলেছে নাকি?" কাকার উত্তর , "নাহ্ ডিরেক্ট ওপার থেকে আনিয়েছি , ওরা হোম ডেলিভারি দেয় তো।" তারপর কোথা থেকে দুটো বাচ্চা মেয়ে এসে অন্য একটি সোফায় উঠে লাফাতে শুরু করলো আর তারা চিৎকার করে বলতে লাগলো - "দামে কম মানে ভালো কাকলি ফার্নিচার , দামে কম মানে ভালো কাকলি ফার্নিচার ..."

হঠাৎ বিল্টুর ঘুমটা ভেঙে গেলো ... পেটগরম হয়েছে , বিচ্ছিরি স্বপ্ন।

[Image: Images-3-2.jpg]

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


Like Reply
টান যেমন একটা ফিল গুড টাইপের সুন্দর একটা গপ্পো, তেমনি এটা বেশ মজার। দুটোই একসাথে পড়লাম। যদিও টান জয়ী কিন্তু এটাও কিন্তু বেশ লাগলো। বিশেষ করে মামাবাবুর কথাটা ভেবে। এই অলংকারে বেশি বাড়াবাড়ি হলে মাথা তো গরম হবেই। আর শেষে ওই বাচ্চা দুটোর ডায়লগ Lotpot

এই ধরণের এন্ডিং ওয়ালা গল্প গুলো বেশ ভালো লাগে। অ্যাবস্ট্রাক্ট টাইপের।
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
[Image: 22.jpg]
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
নতুন গল্পটা পড়া হলোনা , একটু সময় চাইছি ....
Like Reply
লেখকের sense of humour যে অসাধারণ, সেটা এই ছোট্ট গল্পটা পড়লেই বোঝা যায়। একদিকে কোভিড অন্যদিকে কাকলি ফার্নিচার - দুইয়ে মিলে জম্পেশ একটা পরিবেশন। পাত্রীর কাকা আর পাত্রের মামার conversation was just awesome, ভালো লাগলো।  clps

[Image: Images-2-2-1.jpg]

[+] 1 user Likes Somnaath's post
Like Reply
(01-04-2023, 06:26 PM)Bumba_1 Wrote:
[Image: Polish-20230401-181309816.jpg]


বিল্টু আর তার মামা গেছে পাত্রী দেখতে। মামার মেজাজ খুবই ফুরফুরে। বিল্টুকে বারবার জিজ্ঞাসা করছিলো , "পাত্রীর বাড়ি কি লাল?" বিল্টু বললো , "বাড়ির রঙ তো জানি না!" মামা বিরক্ত হয়ে উত্তর দিলো , "ওরে গাধা, বাড়ির রঙ নয়। আমি জানতে চাইছি ওরা সিপিএম কিনা!" বিল্টু বললো, তার জানা নেই।

যাইহোক , পাত্রীর বাড়ির সামনে যেতেই দেখা গেলো একটা লোক মহাকাশচারী টাইপ ড্রেস পরে দাঁড়িয়ে আছেন। ওদের দু'জনকে রিক্সা থেকে নামতে দেখেই নমস্কার করলেন। পরিচয় দিলেন , উনি পাত্রীর কাকা। বাড়ির গেটে ঢোকার আগে বিল্টু আর তার মামার কপালে থার্মাল গান লাগিয়ে দেখলেন জ্বর আছে কিনা। তারপর জিজ্ঞাসা করলেন , "রিপোর্ট এনেছেন?" মামা বললো , "আজ্ঞে ছেলের গুপ্তরোগ নেই।"

বিল্টুও রিপোর্টের কথা শুনে ভেবলে গিয়েছিলো। পাত্রীর কাকা বিরক্তি প্রকাশ করে বললেন , "আরে ধুর মশাই, গুপ্তরোগের প্রশ্ন আসছে কোত্থেকে? আমি কোভিড টেস্টের রিপোর্টের কথা বলছি।" এই কথা শুনে বিল্টু আর তার মামা দু'জনেই মাথা নেড়ে জানিয়ে দিলো , "নাহ্ , ওসব নেই।"

পাত্রীর কাকা ছাড়নেওয়ালা পার্টি নয়, এটা বেশ বোঝা গেলো। বললেন, "ওটা আপনাদের আনা উচিৎ ছিলো। এর আগে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের আমরা রিপোর্ট ছাড়া অ্যালাও করিনি।" মামা বললো , "তাহলে আমরা আসি!" সঙ্গে সঙ্গে আর একজন পিপিই পরা ভদ্রলোক হাজির হলেন। জানা গেলো ইনি পাত্রীর বাপ, থুড়ি বাবা। তিনি বললেন , "আহা, উনার কথায় কিছু মনে করবেন না প্লিজ , আপনারা ভেতরে আসুন।"

মামা তার উত্তরে বললো , "না না আগে টেস্ট করিয়ে আসি। তারপর না হয় .." বিল্টু চুপচাপ দাঁড়িয়ে এতক্ষণ ধরে সবার কথা শুনছিলো। সে এবার বলে উঠলো , "না মানে টেস্টেও সবসময় ধরা পড়ে না।"

সেই শুনে পাত্রীর কাকা ভদ্রলোকটি বললেন , "আপনাদের কোনো সিম্পটম আছে?"  মামা তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলো , "দু'দিন হলো খুব গ্যাস হচ্ছে আর বাহ্যে তীব্র দুর্গন্ধ।" তার সঙ্গে বিল্টু সংযোজন করলো , "আসলে দু'দিন পেট পরিষ্কার হয়নি কিনা .. তাই।"

পাত্রীর কাকা গুগুল করলেন। তারপর বললেন , "নাহ্ এগুলো কোভিডের সিম্পটম নয়।" পাত্রীর বাবা ওদের দু'জনকে গদগদ হয়ে ভেতরে নিয়ে যেতে উদ্যত হলেন। তবে তার আগে বললেন , "এই নিন পিপিই কিট পরে নিন।" প্রথমে কিছুটা ইতস্তত করলেও পরে বিল্টু আর তার মামা ওইগুলো পড়ে নিলো , তারপর ফেসশিল্ড। জিনিসগুলো পড়ার ফাঁকে মামা স্বগতক্তি করে উঠলো , "শালা .. পাত্রী দেখতে এসছি, নাকি বাড়ি স্যানিটাইজ করতে!"

 ড্রেসপর্ব মিটলে ওদের দু'জনের সারা গায়ে স্প্রে করে দেওয়া হলো। উফফ কি তীব্র দুর্গন্ধ! মামা ফিসফিস করে বললো, "ভাগ্নে, এরা কি নর্দমার জল স্প্রে করে দিলো?" সেই কাকাটা হঠাৎ বলে উঠলেন, "গন্ধটা কেমন লাগছে?" এর উত্তরে বিল্টু কিছু বলার আগেই তার মামা বললো, "সাতদিনের পচা পায়খানার গন্ধ এর চেয়ে বেটার।" কাকা বললেন , "যাক তাহলে আপনি গন্ধ পাচ্ছেন!" মামা বললো , "মানেটা কি?" কাকার উত্তর , "আরে অনেক পাত্রপার্টি গুল মারে। গন্ধ না পেয়েও বলে, পাচ্ছি। তাই , এমন স্প্রে দিয়েছি যে গুল মারার অপশন নেই।"

পাত্রীর বাবা গদগদ হয়ে বললেন , "আমাদের সব স্প্রে পুজো করে ঘরে ঢোকে, মানে আমরা নিয়ে আসি আর কি। তাই, এটা শান্তির জল ভেবে নিন। বিল্টু আর তার মামা ফাইনালি ভেতরে ঢুকলো। ভেতরে কারা বসে আছেন বোঝার উপায় নেই । কারণ সকলেই পিপিই কিট পরে আছেন। এবার পরিচয়পর্ব শুরু হলো .. মামা , মামী , মাসি , মেসো , মা , বাবা .. যদিও এদের সবাইকে একরকম লাগছে । মেয়ে একটা আলাদা চেয়ারে বসেছে। পাত্রপক্ষ অর্থাৎ বিল্টু আর তার মামার জন্য জন্য সিঙ্গারা , মিষ্টি , ফিসফ্রাই , পকোরা এসব প্লেটে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর সেই প্লেটে কিসব স্প্রে করে দেওয়া হলো। মামা সেই দেখে বললো , "যেটা ঢোকার সময় আমাদের গায়ে স্প্রে করেছিলেন, সেই মোষপচা গন্ধের স্প্রে'টা আবার দিলেন?"

পাত্রীর কাকা বললেন , "না না এটা হারবাল। এটা খাবারে দেওয়া যায়, কোনো ক্ষতি হয় না। সিঙ্গারা খেয়ে মনে হলো নর্দমার পাঁক পুরে মিশিয়েছে। ফিসফ্রাইতে এতো ঝাল  যে সারা শরীর জ্বলতে শুরু করলো। কাকা জিজ্ঞাসা করলেন , "খুব ঝাল লাগছে?" বিল্টুরা দুজনেই  জিভ বার করে "হ্যাঁ" বলতে পারলো কোনোমতে ।

সেই দেখে কাকা মৃদু হেসে জানালেন , "তারমানে স্বাদ  যায়নি।" মামা উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলো , মানেটা কি?"

"আরে অনেকে স্বাদ না পেয়েও গুল মারে তো , তাই .." নির্বিকার চিত্তে বলে উঠলেন পাত্রীর কাকা। মামা ফিসফিয়ে বিল্টুর কানে বললো , "শালা পুরো ক্ষ্যাপাচোদা ফ্যামিলি। এখানে বিয়ে করলে মরে যাবি বলে দিলাম।

এই প্রথম পাত্রী মুখ খুললো। সে বললো -  ''সোফাটা খুব নরম লাগছে না?'' তার উত্তরে বিল্টু আর তার মামা দুজনেই বলে উঠলো , "হ্যাঁ , তা লাগছে। এটাও কি করোনার কোনো টেস্ট?"

কাকা বললেন, '‘না না তা নয়, আসলে এসবই কাকলি ফার্নিচারের থেকে কেনা।" মামা বললো, "কলকাতায় ব্রাঞ্চ খুলেছে নাকি?" কাকার উত্তর , "নাহ্ ডিরেক্ট ওপার থেকে আনিয়েছি , ওরা হোম ডেলিভারি দেয় তো।" তারপর কোথা থেকে দুটো বাচ্চা মেয়ে এসে অন্য একটি সোফায় উঠে লাফাতে শুরু করলো আর তারা চিৎকার করে বলতে লাগলো - "দামে কম মানে ভালো কাকলি ফার্নিচার , দামে কম মানে ভালো কাকলি ফার্নিচার ..."

হঠাৎ বিল্টুর ঘুমটা ভেঙে গেলো ... পেটগরম হয়েছে , বিচ্ছিরি স্বপ্ন।

[Image: Images-3-2.jpg]

এটা আগে পড়েছি কোথাও , নতুন লেখা নয়।  

তবে ছবিটা দারুন। Smile clps
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(01-04-2023, 06:49 PM)Baban Wrote: টান যেমন একটা ফিল গুড টাইপের সুন্দর একটা গপ্পো, তেমনি এটা বেশ মজার। দুটোই একসাথে পড়লাম। যদিও টান জয়ী কিন্তু এটাও কিন্তু বেশ লাগলো। বিশেষ করে মামাবাবুর কথাটা ভেবে। এই অলংকারে বেশি বাড়াবাড়ি হলে মাথা তো গরম হবেই। আর শেষে ওই বাচ্চা দুটোর ডায়লগ Lotpot

এই ধরণের এন্ডিং ওয়ালা গল্প গুলো বেশ ভালো লাগে। অ্যাবস্ট্রাক্ট টাইপের।

অনেক অনেক ধন্যবাদ   thanks

(01-04-2023, 09:37 PM)Somnaath Wrote: লেখকের sense of humour যে অসাধারণ, সেটা এই ছোট্ট গল্পটা পড়লেই বোঝা যায়। একদিকে কোভিড অন্যদিকে কাকলি ফার্নিচার - দুইয়ে মিলে জম্পেশ একটা পরিবেশন। পাত্রীর কাকা আর পাত্রের মামার conversation was just awesome, ভালো লাগলো।  clps

অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু  Namaskar  

(01-04-2023, 10:23 PM)ddey333 Wrote: এটা আগে পড়েছি কোথাও , নতুন লেখা নয়।  

তবে ছবিটা দারুন। Smile clps

[Image: ehiz-taecvult.gif]
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
(01-04-2023, 09:02 PM)ddey333 Wrote: [Image: 22.jpg]

আমি যতদূর জানি শিবরাম চক্রবর্তীর জন্মদিন আজ নয়, ১৩ই ডিসেম্বর।  Smile
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
(01-04-2023, 11:01 PM)Bumba_1 Wrote: আমি যতদূর জানি শিবরাম চক্রবর্তীর জন্মদিন আজ নয়, ১৩ই ডিসেম্বর।  Smile

April Fool !!

banana banana
Like Reply
দারুন দারুন  yourock কিন্তু দামে কম মানে ভালো, কাকলি ফার্নিচার এই কথাটা আগে কোথায় যেন শুনেছি।

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 2 users Like Sanjay Sen's post
Like Reply
ভাগ্যে বিল্টুর স্বপ্নদোষ হইয়াছিল থুড়ি স্বপ্নের দোষ ছিল, বাস্তবের কষ্টিপাথরে ঘষা খাইলে বিস্তর গোল লাগিয়া যাইত Big Grin । 

রম্য রসে পূর্ণ হইলেও ইহা কয়েক বৎসর পূর্ব্বের এক কঠোর স্মৃতি স্মরণ করাইয়াছে, এক ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারী মনুষ্যমননে কী পরিমাণ ভীতির সঞ্চার করিয়াছিল তাহার এক যথার্থ প্রতিফলন।  Namaskar
                            Namaskar
[Image: 20230923-133529.png]
Like Reply
(02-04-2023, 09:16 AM)Sanjay Sen Wrote: দারুন দারুন  yourock  কিন্তু দামে কম মানে ভালো, কাকলি ফার্নিচার এই কথাটা আগে কোথায় যেন শুনেছি।

যদ্দুর স্মরণ হইতেছে সঞ্জয়দা, সম্ভবতঃ একবার আনন্দবাজারে একটি প্রতিবেদন ছাপা হইয়াছিল, পুববাংলার একটী আসবাব সংস্থা যাহার নাম কাকলী ফার্ণিচার। উক্ত সংস্থাটী একটী বিজ্ঞাপণ প্রকাশ করিয়াছিল যাহাতে দুইটী বালিকা এক সোফার উপরে ঝাঁপাইতেছে আর কহিতেছে, "দামে কম, মানে ভাল কাকলী ফার্ণিচার!" প্রতিবেদন অনুযায়ী এই বিজ্ঞাপণ নাকি তুমুল জনপ্রিয় হইয়াছিল।
                            Namaskar
[Image: 20230923-133529.png]
Like Reply
[Image: 20230402-115048.jpg]
                            Namaskar
[Image: 20230923-133529.png]
Like Reply
(02-04-2023, 09:16 AM)Sanjay Sen Wrote: দারুন দারুন  yourock  কিন্তু দামে কম মানে ভালো, কাকলি ফার্নিচার এই কথাটা আগে কোথায় যেন শুনেছি।

আব্বে ঘোঁচু .. এটাতো একটা ফেমাস ডায়লগ। করোনার সময় খুব ট্রোল করা হয়েছিলো এটাকে নিয়ে, YouTube খুলে search দিলেই দেখতে পাওয়া যাবে। সেজন্যই তো ঢোকানো হয়েছে ওই ডায়লগটা।
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply




Users browsing this thread: 2 Guest(s)