Thread Rating:
  • 24 Vote(s) - 3.17 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Thriller । রক্ত গোলাপ। by chakraabhijit
#41
'Wow !! তুই যা বললি শুনে মনে হচ্ছে সিনেমার নায়কের আবির্ভাব হলো' অরূপ উত্তেজিত হয়ে বললো.
'
যা বললে তাতে মনে হচ্ছে ঋত্বিক রোশনের মত দেখতে' রুমার প্রাকিতিক স্বাভাবিক অভিব্যক্তি.
'
হুম ওর যা লুক আর ম্যানারিজম তাতে ওর সাথে আমার আলাপ আছে জেনে অনেক মেয়ে আমার সাথে বন্ধুত্য করতে এগিয়ে আসতো' এই কথাটা শুনে রুমার মুখটা গম্ভীর হয়ে গেলো. মেয়েরা কি অদ্ভূত চিন্তা করুন একটু আগে আমার বউ ওকে ঋত্বিক রসন হিসেবে কল্পনা করে ফেললো, আর কোনো মেয়ে আমাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইলো তো সেটা অন্যায় হয়ে গেলো. সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ থুড়ি নারী.
'
এত অত্যাচারের পরে কি করে বেচে রইলো সেটাই একটা প্রশ্ন তারপর তো হ্যান্ডসম যুবক হয়ে কলকাতায় এলো সেটা আরেক রহস্য.' রহস্য সন্ধানী অরুপের অবধারিত প্রশ্ন.
'
ঠিক আছে চল এখনো বৃষ্টি পড়ছে চল তোদের রাজের গল্প বলি তার আগে একটু চা খেলে ভালো হত না' রুমার দিকে তাকিয়ে বললাম. রুমা প্রায় দৌড়ে কিচেনে চলে গেলো. womanly instinct গল্প শোনার জন্যে.


বেরেলি স্টেশন।
প্রচন্ড ঝড় জলের মধ্যে দিয়ে একটা হুড খোলা জিপ ছুটে চলেছে স্টেশনএর দিকে. ড্রাইভার কে সেটা বোঝা যাচ্ছেনা. আরোহী তিনজন, একজন বাহাদুর, একজন মৃত সিমরন একজন রাজ. তিনজনের নিস্তেজ দেহ কোনরকমে গাড়ির মধ্যে আটকে রয়েছে. অঝোর ঝড়ে বৃষ্টি সবাইকে ভিজিয়ে জব জবে করে দিয়েছে. সিমরণের দেহটা একটা বেডশীট দিয়ে মোড়ানো. শক্ত কাঠের মত শুয়ে রয়েছে গাড়ির পিছনের সিটে.

কোনরকমে একটা দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে. রাজের ছোট্ট শরীরটা গাড়ির ঝাকুনিতে নিচে পরে গেছে, সেখানেই সে শুয়ে রয়েছে. বাহাদুরের শরীর সামনের সিটে একটা বেল্ট দিয়ে বাধা.


কোন দিকে যাবে একটা ট্রেন জানা নেই, তার জেনারেল কম্পার্টমেন্ট. উলঙ্গ, রক্তাক্ত রাজকে কোনো উচ্চ শ্রেনীর কম্পার্টমেন্ট কেউ তুলতেই দিলোনা ওই ভদ্রলোককে. বাধ্য হয়ে জেনারেল কম্পার্টমেন্ট গাদাগদি ভিড়ে তুলে দিতে হলো. বৃষ্টিতে ভিজেই হোক বা যে কোনো কারণেই হোক রাজের সংজ্ঞা ফিরে এসেছিলো. মা মা করে কাঁদছিল সে. সেই ভদ্রলোক হয়তো কোন আশঙ্কায় ওকে দুরে সরিয়ে দিতে চাইছিলো. তাই স্বাভাবিক ভাবে দরজা দিয়ে ঢোকানোর অপেক্ষা না কোরে ওকে তুলে কোলে করে লোকজনের মাথার ওপর দিয়ে ঢুকিয়ে দিলো, কারন গার্ড সবুজ পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে, আর সাথে সাথেই ট্রেন ছেড়ে দিলো. এত ভিড়ে দেখাও গেলনা রাজের কি হলো.

পরের স্টেশন আসতে আসতে ভিড়টা একটু ধাতস্থ হলো. রাজকে নিয়ে তুমুল হট্টগোল. এরকম রক্তাক্ত একটা শিশুকে সামন্য সুযোগ করে বসতে দেওয়া বা শুতে দেওয়ার মত মানসিকতা যাত্রীদের কারোরই ছিলনা. পারলে ওকে ধাক্কা মেরে নামিয়ে দেয় সবাই. বেচারা রাজ শারীরিক যন্ত্রণার থেকেও স্বজন হারা হয়ে বিভ্রান্তের মতন কাঁদতে থাকলো. সেটা সবার কাছে আরো বেশি করে বিরক্তির কারণ হয়ে উঠলো. বেচারা ভিড়ের চোটে ঠিক মত হাটতেও পারছেনা খালি হোচট খেয়ে পরে যাচ্ছে. ক্রমাগত রক্তক্ষরণে দুর্বল ওর শরীর. এর ওর পায়ের সাথে ঠোকর খেতে খেতে কয়েক পা যাচ্ছে তো আবার ফিরে আসছে পুরনো জায়গায়. মাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে , জীবনে তো কোনোদিন মাকে ছাড়া একা কোথাও যায়নি, মাকে দেখতে না পেয়ে ভীষণ ভয় পেয়ে আছে . স্বজন ছাড়া রাজ, নিজের খেলার জিনি্* নিজের নরম তুলতুলে বিছানার সাথে মায়ের স্নেহ আর পারিপার্শ্বিক সবার ভালবাসার সাথে ঠোক্কর খেতে থাকা এই সরকারী রেল কম্পার্টমেন্টএর তুলনা করে উঠতে পারছিলোনা. এতদিন বিদেশি গাড়ির নরম গদিই যার জিবনের একমাত্র বাহন ছিলো সে আজ ট্রেন কম্পারটমেন্টের মধ্যে নিজেকে মেলাতে পারছিলোনা দিশেহারা হয়ে গেছিলো দিগ্বিদিক শুন্য হয়ে তারস্বরে কেঁদে জাচ্ছিলো যদি ওর কান্না শুনে ওর মা এসে ওকে কোলে তুলে নেয়। কোথায় মা মার দেহ এখন ণীলিমা ভবনের পিছনের বাগানের মাটির তলার স্থায়ি বাসিন্দা হতে চলেছে।
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#42
জীবনে কোনদিন কেউ ওকে বকেনি ওর নিষ্পাপ সুন্দর সরল মুখের দিকে তাকিয়ে. মায়ের আদরে বেড়ে ওঠা, বাবার প্রভাবে বাড়তে থাকা এই শিশু আজকে নির্মম নিয়তির হাতে পরে প্রতি মুহুরতে ধর্ষিত হচ্ছে, এই পিড়ন যে কোনো শারিরিক নিপীড়নের থেকে আর নির্মম. সদ্য মা হারানো, স্বজন হারানো শিশুটি কোনো মহিলাকে দেখলেই মা মা বলে এগিয়ে যেতে চাইছে কিন্তু লোকের পায়ে ঠোক্কর খেয়ে পরে যাচ্ছে.

যদিও বা কোনরকমে কারো কাছে পৌছুতে পারছে কারো কাছে, সে থোরাই পরের ছেলেকে নিজের ছেলে বলে মনে করবে, নিজের মা যা করে সেকি আর অন্যের মা করবে. মুখে চোখে কালশিটে, পাছা দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পরা রাজকে ঘেয়ো কুকুরের মত দূর দূর করছে সবাই তাতে ভারি সংখ্যায় মহিলারা. ওকে নিয়ে একটা বিরক্তি সবার মধ্যে, একটা হইচই পরে গেছে ওই অংশে.

পারলে ওকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় সবাই. কি করবে বেচারা? খিদে পেয়েছে তো একটা বাচ্চাকে খেতে দেখে তার খাওয়ারে হাত দিয়ে দিয়েছে তো. বাচ্চাটির মা ওকে ভিখারির বাচ্চা ভেবে একটা ধাক্কা মেরে সরিয়েও দিলো।
শুধু ফেলে দিতে পারছেনা এই ভয়ে যে ওর মা বাবা হয়তো আসেপাসেই আছে ভেবে. হয়তো এই কম্পার্টমেন্টএ উঠতে পারেনি পরের স্টেশনএ এসে ঠিক হাজির হবে. তখন কে দায় নেবে.
সেই মহিলা তো ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো, বেচারা ছিটকে গিয়ে পড়ল দু একজনের গায়ে আবার জ্ঞান হারালো রাজ. তারা আবার হই হই করে উঠলো. সবাই তো ঘেন্না পাচ্ছে ওকে দেখে, ওর গায়ের রক্ত যে ওদের গায়ে লেগে যেতে পারে, কেউই দায়িত্ব নিতে চাইছেনা ওর যে একটু মুখে জল দেবে ওর এইটুকু মায়া মমতাও কেউ দেখাচ্ছেনা।

জিস্কা কোই নেহি হ্যায় উস্কা খুদা হ্যায় ইয়ারো এমন সময় জোরালো হাত তালি আর সাথে কর্কশ একটা গলা, 'ক্যা হুয়া ইস বাচ্চেকো' এক ব্রিহন্নলার আবির্ভাব হোলো সেখানে. দামি একটা সিল্কের শারী পরনে, শরিরে বেখাপ্পা ভাবে হলেও মেয়েলি ভাব প্রকট। একটু দাড়িয়ে সে বুঝে গেল কি হচ্ছে. গল্পের প্রয়োজনে সেই ব্রিহন্নলার একটা নাম দেওয়া দরকার তাই রুক্মিনি বলে লিখছি।
কেউ ওর কথার জবাব দিলো না উল্টে জ্ঞান হারানো রাজের শরীর টা কেউ পা দিয়ে কেউ হাত দিয়ে ঠেলে ঠেলে সরিয়ে দিচ্ছে, কেউ বা অখান থেকে উঠে যেতে চাইছে, কোথা থেকে যে এই ঊটকো ঝামেলা ওদের ঘারে এসে জূটলো......
রুক্মিনি ঝাপিয়ে পড়ল লোকগুলর ওপোরে, লোকগুলোকে ঠেলে ঠুলে নিজের আর রাজের জায়গা করে নিলো. এদের মুখ খারাপ ব্যাবহার খারাপ বলে এদের সাথে চটকরে কেউ মুখ লাগায়না। কেউ ওকে ঘাটানোর সাহস পেল না, আর সবাই নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে চেষ্টা করলো।

সে রাজকে কোলে তুলে নিলো, রাজের মুখের ওপর এসে পরা চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে ওকে ভালো করে দেখলো। তারপর ওকে আবার শুইয়ে দিয়ে, আসে পাসে যারা ওকে দূর ছাই করছিল সবাইকে লাথি মারতে মারতে সরিয়ে ওর জন্য একটা ভালো জায়গা করে দিলো. যাত্রীদেরই একটা ব্যাগ জোর করে খুলে চাদর বের করে তার ওপর রাজকে শুইয়ে দিলো. অচৈতন্য রাজের মুখের ওপর থেকে আবার এসে পরা চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে ওর চোখে মুখে কারো জলের বোতল কেড়ে নিয়ে, জলের ঝাপটা দিতে শুরু করলো. রাজের চৈতন্য ফিরছেনা দেখে তেরে গালাগালি শুরু করলো সবার উদ্দেশ্যে. আবে শালে কিতনে আদমি ইয়াহা পে টিক্ট খরিদা, শালে ইস বাচ্চেকো ধাকেল দেনা চাহ রাহে থে না তু লোগ? জিস্কা পাস টীক্ট হ্যায় ওয় সামনে তো , দেখে কউন সা ভগবান আজ ইস রেল কি ডাব্বে মে চড়ে হ্যায়। বড়ে আয়ে বাচ্চে কো গিরানে কো, সালে হাম হিজড়ে হ্যায় তো তুলোগ কেয়া হ্যায়, আদমী হ্যায় ইয়া অউড়ত?' মেয়েদের দিকে তাকিয়ে বললো 'শালী বুরওয়ালী তু লোগ কাহাসে বাচ্চা পয়দা করতি হ্যায়. চুত সে ইয়া গাঢ়সে? এক মাসুম বাচ্চা ভুখ পিয়াস মে মর রাহা হ্যায়, আউর তু লোগ ইসে কুত্তে কি তারাহ ভাগওয়া রাহি হ্যায়। লোগ তো এয়সে কুত্তে কো ভি ভাগাতে নেহি অর ইয়ে তো ইন্সান কে বাচ্চা হ্যায়। এক হিজড়াকা বদ দুয়া হ্যায় তুঝ সব পে, শালি দো দো রুপায়া মে বিকতি হ্যায় সব বাজার মে, ঘরমে আপনা মর্দ ছোরকে পরায়া মর্দকে সাথ কাপরে উঠা কে উছলতি হ্যায়, এক বাচ্চে কো থোরি জাগা নেহি দি পাই, আল্লাহ কি লাখ লাখ সুকর কে মে হিজড়া বানা হু, তুঝ জ্যাইসে আদমি অর আউরত হোনেসে আচ্ছা হ্যায় কে মে হিজড়া হু। আরে আয়সে বাচ্চে কো গোদ মে লেনে কে লিয়ে কিতনে অউরত ভগওয়ান সে দুয়া মাংতি হ্যায়, তে লোগো কো মালুম হ্যায়? তুঝসে তো শালি এয়সে কমজোর বদসুরত বাচ্চেহি পয়দা হোগি বসে থাকা নোংরা জামাকাপোড় পরা একটা বাচ্চাকে দেখিয়ে বোললো। তেরে মর্দ লোগো মে এইসি দম কাহা যো ইতনি সুন্দর বাচ্চা পায়দা করে? বলে চারিপাসে বসা পুরুষদের উদ্দেশে বললো হ্যায় তে লোগো কে লাণ্ড মে দম এয়সা বাচ্চা পয়দা করনে কা? তু লোগো কা খুন মে সে এয়সা গোরে রঙ্গ নিকাল পায়েগা, দেখা কাভি আপনে দাদা পরদাদা মে এয়সে গোরে রঙ্গ,

আরে এয়সে বাচ্চে গোদ মে খিলানে কে লিয়ে হম হিজড়ে লোগোকো পচাশ পচাশ হাজার রুপায়ে মিলতে হ্যায়, রাজের চুল সরিয়ে ওর মুখটা সবাইকে দেখালো। দেখ দেখ কাভি ভি তাসবির মে কিষান ভগবান কো দেখা? নেহি দেখা তো আভি দেখ লে। অওর তুঝ যেয়সে কামিনো নে ইস কলি কো মসল দিয়া? দেখ ক্যা হাল বানায়া ইস মাসুম সা বাচ্চা কা বলে রাজের পাছাটা ফাক করে দেখালো, যা দেখে সবাই সিউরে উঠলো। দগদগে ঘা বাচ্চাটার পায়ুপথে। অর তুম লোগোনে শালা কিসিনে সাহারা তো দূর থোড়া দের কি লিয়ে খাড়ে ভি নেহি হোনে দিয়া দাঁতে দাঁত চেপে বেছে বেছে ওই লোকগুলোকে লাথি ঘুষি মারতে লাগলো কিসনে হাত উঠায়া ইস নানহে জান পড়, বাতা শালে বাতা, অউর কন থা বাতা শালে নেহিতো আগলে স্টেশান সে হিজড়ে চড়েগে অউর তুঝ জ্যাইসে জালিম কামিনো কো ধাকেল ধাকেল কে রেল কি পাটরি পর ফেকেগা।

এক অসিতিপর বৃদ্ধা কোনরকমে ওর সামনে এগিয়ে এসে বললেন বেটি পহলে বাচ্চে কা জান বাচা বাদ মে ইন লোগো সে নিপ্ট পায়েগি।
রাজ তখন অচৈতন্য অবস্থায় বমি করার চেষ্টা করছে মুখ দিয়ে সবুজ সবুজ জল বেরিয়ে আসছে।

হিজড়ে টা হাউহাউ করে কেঁদে উঠলো। বুকে চেপে ধরলো রাজকে, বৃদ্ধা ওর মাথায় হাত রেখে বললো বেটি আগলে স্টেশান পে উতার যা কওশিস কর কে ইয়ে নানহে জান বাচ যায়ে, ইয়ে লে কুছ রুপায়া রাখ লে।
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
#43
Tal gol pakia geche kono kichor mil pachi na dadA
horseride আমাকে আমার মত থাকতে দাও horseride
[+] 1 user Likes Boti babu's post
Like Reply
#44
(04-04-2023, 12:49 AM)Boti babu Wrote: Tal gol pakia geche kono kichor mil pachi na dadA

যা লেখা হয়েছিল তাই দিয়েছি বটি দাদা।   Namaskar
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply




Users browsing this thread: 21 Guest(s)