Posts: 1,237
Threads: 2
Likes Received: 2,210 in 1,011 posts
Likes Given: 1,613
Joined: Jul 2021
Reputation:
654
(09-03-2023, 09:59 PM)ddey333 Wrote: হ্যাঁ ১৯৯৬ এর কথা।
pinkfloyd বলে একজন আমাকে নেগেটিভ রেপু দিলো। ওর প্রোফাইল এ গিয়ে বুঝতে পারলাম লোকটা আসলে কে !!
আপনি বারবার এই ধরনের মন্তব্য করছেন তাই বলছি, না হলে কখনোই বলতাম না। কারণ আমি উপযাজক হয়ে কাউকে কিছু বলতে যাই না।
ওই negative repu টা কে report মেরে দিন, তাহলেই তো ওটা vanished হয়ে যাবে। আর ওই যে আইডিগুলো আছে, সেগুলো তো আপনার collected stories গুলোতে নিয়মিত পাঁচটা করে reputations দিচ্ছে, একটা না হয় negative reputation পড়লো, এতে অসুবিধার কি আছে?
তবে একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন কি? আপনার প্রায় সাড়ে চারশোর কাছাকাছি থ্রেড sub forum এ স্থানান্তরিত করে দিয়েছে মডারেটর। তবে শুধু আপনার নয়, যারা collected stories পোস্ট করে সবার গল্পগুলোই গেছে দেখলাম। আমার মাত্র একটা থ্রেড, সেটাও পাঠিয়ে দিয়েছে।
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,410 in 27,674 posts
Likes Given: 23,734
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,261
(10-03-2023, 02:18 PM)Sanjay Sen Wrote:
আপনি বারবার এই ধরনের মন্তব্য করছেন তাই বলছি, না হলে কখনোই বলতাম না। কারণ আমি উপযাজক হয়ে কাউকে কিছু বলতে যাই না।
ওই negative repu টা কে report মেরে দিন, তাহলেই তো ওটা vanished হয়ে যাবে। আর ওই যে আইডিগুলো আছে, সেগুলো তো আপনার collected stories গুলোতে নিয়মিত পাঁচটা করে reputations দিচ্ছে, একটা না হয় negative reputation পড়লো, এতে অসুবিধার কি আছে?
তবে একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন কি? আপনার প্রায় সাড়ে চারশোর কাছাকাছি থ্রেড sub forum এ স্থানান্তরিত করে দিয়েছে মডারেটর। তবে শুধু আপনার নয়, যারা collected stories পোস্ট করে সবার গল্পগুলোই গেছে দেখলাম। আমার মাত্র একটা থ্রেড, সেটাও পাঠিয়ে দিয়েছে।
আমি বাংলা ফোরামে আর কোনো নতুন থ্রেড দেবোনা আগেই ঠিক করেছিলাম তাই পুরোনো গুলো কোথায় কি গেলো কিছুই যায় আসে না আমার।
তবে দেখছি বেশ অনেকগুলো সংগৃহিত গল্পের থ্রেড এখনো আছে মানে ট্রান্সফার করা হয়নি।
যদি সব করা হয় তাহলে ওখানে থ্রেডের সংখ্যা মূল ফোরামের চেয়ে বেশি হয়ে যাবে খুব সম্ভবত !!
•
Posts: 1,237
Threads: 2
Likes Received: 2,210 in 1,011 posts
Likes Given: 1,613
Joined: Jul 2021
Reputation:
654
(10-03-2023, 02:32 PM)ddey333 Wrote: আমি বাংলা ফোরামে আর কোনো নতুন থ্রেড দেবোনা আগেই ঠিক করেছিলাম তাই পুরোনো গুলো কোথায় কি গেলো কিছুই যায় আসে না আমার।
তবে দেখছি বেশ অনেকগুলো সংগৃহিত গল্পের থ্রেড এখনো আছে মানে ট্রান্সফার করা হয়নি।
যদি সব করা হয় তাহলে ওখানে থ্রেডের সংখ্যা মূল ফোরামের চেয়ে বেশি হয়ে যাবে খুব সম্ভবত !!
বাংলায় যে কটা সংগৃহীত গল্প আছে, সবগুলোকেই পাঠিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও পাঠাবে। ইংরেজি, হিন্দি বা অন্যান্য ভাষার ক্ষেত্রে এই নিয়ম বোধহয় চালু হয়নি, তাই শুধু সেগুলো রয়ে গেছে। তবে যেখানেই পাঠাক এতে আমার কোনো অসুবিধা নেই, আমি আমার মতো গল্প পোস্ট করে যাবো।
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,410 in 27,674 posts
Likes Given: 23,734
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,261
(10-03-2023, 02:37 PM)Sanjay Sen Wrote: বাংলায় যে কটা সংগৃহীত গল্প আছে, সবগুলোকেই পাঠিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও পাঠাবে। ইংরেজি, হিন্দি বা অন্যান্য ভাষার ক্ষেত্রে এই নিয়ম বোধহয় চালু হয়নি, তাই শুধু সেগুলো রয়ে গেছে। তবে যেখানেই পাঠাক এতে আমার কোনো অসুবিধা নেই, আমি আমার মতো গল্প পোস্ট করে যাবো।
নিশ্চই দাদা আপনি আপনার মতো পোস্ট দিয়ে যান।
আর ঠিক এক সপ্তাহ পরে এই ফোরামে আমার চার বছর পূর্ণ হবে। বাংলা ফোরামে নতুন কোনো থ্রেড খুলবো না আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম।
যা কিছু বাঁচা কুচো পড়ে আছে একটা থ্রেডেই দিয়ে দিচ্ছি। তবে ইংরেজি ফোরামে আরো দেওয়ার ইচ্ছে আছে।
•
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
~ পেনশান প্রার্থী ~
স্যার , ভদ্রমহিলা আবারো এসেছেন । ভেতরে আসতে বলবো?
ডি আই সাহেব একটু বিরক্তির সুরে বললেন , বলো।
ভেতরে ঢুকলেন এক বৃদ্ধা । দক্ষিণ কলকাতায় এক কলেজ থেকে দশ বছর আগে রিটায়ার করেছেন । এখনো পেনশান পাননি । তদ্বির করতে এসেছেন বৃদ্ধা।
ভেতরে ঢুকতেই ডি আই অব কলেজ তাঁর ফাইলে কৃত্রিম মনোযোগ নিক্ষেপ করে বললেন , যা বলবার তাড়াতাড়ি বলুন । মহিলা তাঁর আঁচলে মুখের ঘাম মুছলেন । চশমার কাঁচ মুছলেন । তারপর ক্ষীণকন্ঠে একটা চেয়ারের কোনা ধরে দাঁড়িয়ে হাঁফাতে হাঁফাতে বললেন , স্যার ! আমার ফাইলটা মুভ করেছে ?
টেবিলের অপর প্রান্তে ফাইলে মুখ গুঁজে ডি আই এর উত্তর ভেসে এলো , কী করে করবে ? এ জি বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে । যথাযথ রিপ্লাই না পেলে আপনার ফাইল পাঠিয়ে কোন লাভ হবে না ।
প্রৌঢ়া বললো , কী প্রশ্ন জানতে চান ?
ডি আই বিরক্তির সুরে বললেন , আপনার সার্ভিস বুক থরোলি চেক করে আপনাকে আমি আগেও যে প্রশ্ন করেছিলাম এ জি ঠিক সেই প্রশ্নই করেছে ... তবুও আপনি আমায় রিকোয়েস্ট করেছিলেন এ জি-তে ফাইলটা পাঠাতে । আই হ্যাভ ডান মাই ডিউটি । নাও আই হ্যাভ নাথিং টু ডু । আপনার সার্ভিস বুকে আপনার কোয়ালিফিকেশানের কোন উল্লেখ নেই । আপনি যে বি এ পাশ করেছেন তার প্রমাণ কোথায় ? আপনাকে কলেজ কমিটি সিলেক্ট করেছিল কমপ্যাশানাট গ্রাউন্ডে । সার্ভিস বুকে শুধু লেখা রয়েছে , সী হ্যাস বীন সিলেক্টেড অন রেকমেনডেশান অব এ সিনিয়র ক্যাবিনেট মিনিস্টার এন্ড দ্যা কলেজ কমিটি হ্যাজ বীন কমপেলড টু রিক্রুট হার অন কমপ্যাশানেট গ্রাউন্ড দ্যাট সি ওয়াজ এ ফ্রীডাম ফাইটার এন্ড হ্যাড বীন ইন জেল ফর এ সেভারেল লঙ ইয়ার্স ।
বৃদ্ধার মুখে এবারে ফুটে উঠলো অপমানের ছাপ ।
সত্যিই তো , তিনি যে বি এ পাশ করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে প্রমাণ কোথায় ? তিনি বি এ পাশ করার পর একটা চোথা কাগজ পেয়েছিলেন বটে যেটাকে মার্কশিট বলে । কিন্তু সেটাই বা কোথায় ? ১৯৩১ সালে বি এ পাশ করলেন ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে । পরের বছরে হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসব । সেই সমাবর্তনে তাঁর সার্টিফিকেট পাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু তা আর হল কৈ ? সেদিনই যে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলো । তারপর দীর্ঘ কারাবাস । কারাবাস থেকে বাড়ি ফিরে এসে দেখলেন পুলিশ ঘরে ঢুকে তাঁর বইপত্র সবকিছু তছনছ করে চলে গেছে । অনেক খুঁজেও পাওয়া গেলো না তাঁর সেই মার্কশিট । আর সেনেট হলের সেই ঘটনার পরেই তো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর সার্টিফিকেট বাতিল করে দিল । তাঁর তখন মনে হয়নি ঐ সার্টিফিকেটের মূল্য কতখানি । জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার কিছুদিন পর আবারো জেলে গেলেন ভারত-ছাড়ো আন্দোলনে যোগ দিয়ে । দেশ স্বাধীন হল । তাঁর মনে হল , এই স্বাধীনতাই কি তাঁরা চেয়েছিল ? পেটের দায়ে নেতাদের দয়ায় দক্ষিণ কলকাতার এক কলেজ থেকে অন্য কলেজে চাকরি করলেন ক'বছর । তখন কি করে বুঝবেন যে এ দেশে কমপ্যাসানেট গ্রাউন্ডে চাকরি পাওয়া যেতে পারে কিন্তু ইউনিভার্সিটির বাজেয়াপ্ত সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না ! এই সার্টিফিকেটের জন্যে তিনি বহুবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে রেজাল্ট সেকশানে তদ্বির করেছেন । শেষে একজন এসিস্ট্যান্ট কন্ট্রোলার অনেক ফাইল ঘেঁটে-ঘুটে তাঁকে শেষে বলেছিলেন , আপনার সম্পর্কে সে সময় সিনেটে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা বর্তমান সিনেট কনডোন করে আপনাকে সার্টিফিকেট দেওয়ার সুপারিশ না করা পর্যন্ত আপনাকে কোন সার্টিফিকেট দেওয়া যাবে না । অনেক চেষ্টা করে বৃদ্ধা একবার ভাইস চ্যান্সেলারের সাথে গিয়েও দেখা করেছিলেন । ভি সি যদিও খুব ভদ্র ব্যবহার করেছিলেন কিন্তু তিনিও তাঁকে সেই একই কথা বলেছিলেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের রুলস অনুযায়ী সিনেটের পারমিশান ছাড়া কাউকে সারটিফিকেট দেওয়ার কোন প্রভিশান নেই । একজন সিনেট সদস্য একবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁকে ইউনিভার্সিটির তরফে সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যাপারে একটা প্রস্তাব তুলেছিলেন । কিন্তু সিনেট তো আসলে দলীয় রাজনীতির আখড়া । যিনি প্রস্তাব তুলেছিলেন তিনি তো দলীয় রাজনীতির বিচারে মাইনরিটি । তা তাঁর প্রস্তাব বাকিরা মানবে কেন ? ফলে প্রস্তাবটা প্রত্যাখ্যান হল । আফটার অল , বৃদ্ধা একজন কংগ্রেসি মন্ত্রীর রেকমনডেশনে কলেজের চাকরিটা পেয়েছিলেন । কংগ্রেসিরা রাজ্য শাষণ থেকে বিদায় নিয়েছে । বৃদ্ধা আজও মনে-প্রাণে কংগ্রেসি । ক্ষমতায় এখন বামপন্থীরা । তাদের সেনেটররা এটা মানবেন কেন ? কংগ্রেসিদের যত কিছু ছলাকলা সেসব গঙ্গাজলে ধুয়েমুছে শিক্ষাক্ষেত্রকে স্যানিটাইজ করার জন্যেই তো বামপন্থীরা ক্ষমতায় এসেছেন ।
দোরে দোরে ঘুরেও সমস্যার কোন সুরাহা হল না । উপরন্তু যারা তাঁকে কর্মসূত্রে চেনে বা জানে তারা আড়ালে-আবডালে বলতে লাগলো , মন্ত্রীর সুপারিশে কোন সার্টিফিকেট ছাড়া এতো বছর চাকরি করেও ক্ষিদে মেটেনি । এখন আবার পেনশনের জন্যে বুড়ি তদ্বির করতে শুরু করেছেন এখানে ওখানে । একদিন কথাটা কানে গেলো বৃদ্ধার । তাঁর স্বামীও ছিলেন একজন প্রাক্তন স্বাধীনতা সংগ্রামী । তিনিও গত হয়েছেন । নিঃসন্তান , সহায়সম্বলহীন বৃদ্ধার দু-চোখে তখন শুধু অন্ধকার । মনে করে দেখলেন , যেদিন তিনি কলকাতা ইউনিভারসিটির সার্টিফিকেটের পরোয়া না করে শহিদ বিনয় বসুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ইউনিভারসিটির চ্যান্সেলর স্টানলি জ্যাকসনের দিকে তাক করে রিভলবার চালিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সেদিন কিন্তু তাঁর দু-চোখে একটুও অন্ধকার ছিল না । ছিল শুধু স্বপ্ন ! সে স্বপ্ন হল একদিন না একদিন দেশ স্বাধীন হবেই হবে । সে সব কোন যুগের কথা । আর কেই বা সেসব কথা মনে রেখেছে ?
হতাশায় নিমজ্জিত , আশাহীন বৃদ্ধা চোখের জল ফেলতে ফেলতে একদিন মনের দুঃখে চলে গেলেন হরিদ্বারে । তারপর হরিদ্বার থেকে একদিন এলেন হৃষীকেশে । কবে গেলেন হরিদ্বার আর কবেই বা এলেন হৃষীকেশে ---- সেসব এখন ডাস্টবিনের জঞ্জাল !
কলকাতা শহরটাকে তাঁর নিশ্চয়ই তখন মনে হয়েছিল এক জেলখানা । যে জেলখানার চেয়ে ইংরেজের জেলেখানায় কষ্ট এবং গর্ব ---- দুইই ছিল ঢের ঢের বেশি । এই গর্বই একদিন সব দুঃখ-কষ্ট ভোলাতে সাহায্য করেছিল তাঁকে । কিন্তু এখন এখানে থাকবেন কার ভরসায় আর কীসের আকর্ষণে ? এখানে তো দুহাত ভরে কুড়িয়েছেন শুধু অপমান আর অপমান ।
হৃষীকেশে কার কাছে গেলেন তিনি ? কে তাঁকে আশ্রয় দিল ? হয়তো দেখা যাবে কোন আশ্রমে সকালে ও সন্ধ্যায় অনাথ ভিখিরিদের সাথে পাত-পেরে তিনিও বসে গেছেন দুটো অন্নের লোভে ! মানুষের পেটের দায় যে বড় বেশি !
কতদিন হৃষীকেশে ছিলেন তার কোন প্রমাণ নেই । কে রাখবে সে খোঁজ ? কত মানুষ সেখানে নিত্য আসে যায় ! তবে হ্যাঁ , একদিন হৃষীকেশের পুলিশের কাছে খবর এলো যে অমৃতবাহিনী গঙ্গার কোলে এক নির্জন স্থানে এক বেওয়ারিশ লাশ দেখা গেছে । স্থানীয় মানুষেরা কেউ তাকে চেনে না । পুলিশ গিয়ে সেই লাশ উদ্ধার করলো । পুলিশ দেখলো লাশটি এক মহিলার । বয়েস আনুমানিক সত্তর । তাঁর কাপড় পরার ধরণ দেখে পুলিশের মনে হল মহিলা সম্ভবত বাঙালি । শরীরে কোন অলংকার নেই । লোক্যাল পেপারে মহিলার মুখের ছবি ছাপা হল । পেপারের খবরটা নজরে এলো ডঃ ত্রিগুণা সেনের । তিনি তখন কনখলে আনন্দময়ী মায়ের আশ্রম রয়েছেন । ড ত্রিগুণা সেন ফোন করলেন তাঁর এক ছাত্রকে হৃষীকেশে । সেই ছাত্রের কাছে সংবাদের সত্যতা যাচাই করে ছুটে এলেন নিজে .. হৃষীকেশে ।
এসে কী দেখলেন ত্রিগুণা সেন ? পুলিশ মর্গে গিয়ে দেখলেন কীভাবে নিশ্চিন্তে ' ঘুমের দেশে ' চলে গেছেন এক বীরাঙ্গনা যিনি একদিন বাংলার ছোটলাটকে সেনেট হলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গুলি চালিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন । যিনি ছিলেন বাঙালির শ্রেষ্ঠ বীর ও দেশপ্রেমিক সুভাষচন্দ্রের জীবনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে পরিচিত বেণীমাধব দাসের কন্যা । যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন নীতিগত কারণে । অথচ যিনি বহু চেষ্টা করেও আইনের বজ্রআঁটুনির জন্যে নিজের প্রাপ্য পেনশান আদায় করতে পারেননি সরকারের থেকে । বঞ্চিত হয়েছিলেন ন্যায্য অধিকার থেকে । বলা বাহুল্য যে , ত্রিগুণা সেন বীণাকে চিনতেন। যাদবপুরে যখন তিনি ভি সি তখন অনেক অনুষ্ঠানেই বীণার সাথে তাঁর দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে ।
বীরাঙ্গনা বীণা দাস ! তোমায় আমরা তোমার ন্যায্য অধিকার থেকে সেদিন বঞ্চিত করে যে অন্যায় করেছিলাম তার জন্যে তুমি আমাদের মতো এই অধম , অধঃপতিত ও নির্বোধ জাতিকে ক্ষমা করো।
(জনস্বার্থে প্রচারিত)
Posts: 1,237
Threads: 2
Likes Received: 2,210 in 1,011 posts
Likes Given: 1,613
Joined: Jul 2021
Reputation:
654
13-03-2023, 09:49 AM
(This post was last modified: 13-03-2023, 09:50 AM by Sanjay Sen. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
দুনিয়ায় কত আছে দেখবার
কত কি জানার
কত কি শেখার
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,410 in 27,674 posts
Likes Given: 23,734
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,261
ভালো লাগে এরকম লেখা পড়তে , কিছু মন্ত্যব্য করার ইচ্ছে দমিয়ে দিলাম কারণ রাজনীতির তর্জমা শুরু হয়ে যাবে তাহলে।
লাইক এবং রেপু যথারীতি।
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
(13-03-2023, 09:49 AM)Sanjay Sen Wrote: দুনিয়ায় কত আছে দেখবার
কত কি জানার
কত কি শেখার
একদমই তাই
(13-03-2023, 09:55 AM)ddey333 Wrote: ভালো লাগে এরকম লেখা পড়তে , কিছু মন্ত্যব্য করার ইচ্ছে দমিয়ে দিলাম কারণ রাজনীতির তর্জমা শুরু হয়ে যাবে তাহলে।
লাইক এবং রেপু যথারীতি।
Posts: 1,375
Threads: 2
Likes Received: 1,406 in 973 posts
Likes Given: 1,714
Joined: Mar 2022
Reputation:
81
Posts: 412
Threads: 3
Likes Received: 806 in 347 posts
Likes Given: 566
Joined: Oct 2022
Reputation:
284
মন্তব্য করিবার ক্ষমতা নাই। শুধু গ্লানিতে মন ভরিয়া আছে। এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর সহিত এইরূপ আচরণ কোন সভ্য দেশ করিবার স্পর্ধা দেখায় না, আমরা তাহা দেখাইয়াছি। পশ্চিমী দেশগুলির বহিরাঙ্গের আবরণ নিজ দেহে ধারণ পূর্ব্বক সাহেবিয়ানার ভড়ং করিয়াছি কিন্তু তাহাদিগের একটি ভালগুণও লহি নাই। চামড়া ফর্সা করিতে যতখানি ক্রীম ঘষিয়াছি তাহার এক শতাংশও যদি বিবেক শুদ্ধ করিতে করিতাম তবে হয়ত আজ এই দেশ সকল দিকে এত পিছাইয়া পড়িত না।
Posts: 6,108
Threads: 41
Likes Received: 12,067 in 4,138 posts
Likes Given: 5,306
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,734
মাথাটা কেমন যেন উত্তপ্ত হয়ে যায় এমন লেখা পড়ে। হয়তো করার কিছুই থাকেনা আমাদের কিন্তু বলার অনেক কিছুই থাকে। কারণ বলতে তো অর্থ লাগেনা। লিখতে যদিও সামান্য সময় ও শ্রম লাগে। কিন্তু ইহাকে তাচ্ছিল্য করা যায় না। প্রয়োজনে এসব লেখনী হয়ে ওঠে জবাব দেবার যোগ্য পথ। ওই সামান্য কলম যেকোনো ধারালো তরোয়ালের থেকেও বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। এমন লেখা বুঝিয়ে দেয় বারংবার যে মনুষ্য প্রজাতি সত্যিই প্রগতিশীল। তাহারা শুধুই পেট ভরাতে শিকার করেনা, মজা লোটার স্বার্থেও শিকার করে। তিলে তিলে ব্যাথা দিয়ে মজা পায় আর শেষে মরে গেলে উল্লাসে ফেটে পড়ে।
ওপরের লেখা গুলো পড়তে পড়তে কেমন যেন সব পাল্টে গেলো। যেন দেখছিলাম লেখা ছিল পেটের সন্তানটাকে যে মা একটু একটু করে বড়ো করলো, যাকে একটা সুস্থ জীবন দিতে সবঝড় প্রলয় নিজে সামলে ক্ষত বিক্ষত হয়েও বাচ্চাটার গায়ে আঁচড় লাগতে দিলোনা। একদিন প্রগতির পথে চালিত সেই বাচ্চা মানুষ রূপ নিয়ে সেই মাকেই ফেলে পালিয়ে গেলো আরও প্রগতির পথে। মা? ওটা একটা তুচ্ছ ইমোশান ছাড়া কিছুই নয়। সে যা করছে ওটা তার কর্তব্য ছিল। ব্যাস ওসব ফালতু ইমোশনাল হয়ে কোনো লাভ আছে নাকি? মানুষ না পৃথিবীর সেরা প্রাণী?
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
(13-03-2023, 12:19 PM)Somnaath Wrote:
(13-03-2023, 01:15 PM)মহাবীর্য্য দেবশর্ম্মা Wrote: মন্তব্য করিবার ক্ষমতা নাই। শুধু গ্লানিতে মন ভরিয়া আছে। এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর সহিত এইরূপ আচরণ কোন সভ্য দেশ করিবার স্পর্ধা দেখায় না, আমরা তাহা দেখাইয়াছি। পশ্চিমী দেশগুলির বহিরাঙ্গের আবরণ নিজ দেহে ধারণ পূর্ব্বক সাহেবিয়ানার ভড়ং করিয়াছি কিন্তু তাহাদিগের একটি ভালগুণও লহি নাই। চামড়া ফর্সা করিতে যতখানি ক্রীম ঘষিয়াছি তাহার এক শতাংশও যদি বিবেক শুদ্ধ করিতে করিতাম তবে হয়ত আজ এই দেশ সকল দিকে এত পিছাইয়া পড়িত না।
একদম উচিৎ কথা বলেছ ভাই, ভালোবাসা নিও।
(13-03-2023, 01:46 PM)Baban Wrote: মাথাটা কেমন যেন উত্তপ্ত হয়ে যায় এমন লেখা পড়ে। হয়তো করার কিছুই থাকেনা আমাদের কিন্তু বলার অনেক কিছুই থাকে। কারণ বলতে তো অর্থ লাগেনা। লিখতে যদিও সামান্য সময় ও শ্রম লাগে। কিন্তু ইহাকে তাচ্ছিল্য করা যায় না। প্রয়োজনে এসব লেখনী হয়ে ওঠে জবাব দেবার যোগ্য পথ। ওই সামান্য কলম যেকোনো ধারালো তরোয়ালের থেকেও বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। এমন লেখা বুঝিয়ে দেয় বারংবার যে মনুষ্য প্রজাতি সত্যিই প্রগতিশীল। তাহারা শুধুই পেট ভরাতে শিকার করেনা, মজা লোটার স্বার্থেও শিকার করে। তিলে তিলে ব্যাথা দিয়ে মজা পায় আর শেষে মরে গেলে উল্লাসে ফেটে পড়ে।
ওপরের লেখা গুলো পড়তে পড়তে কেমন যেন সব পাল্টে গেলো। যেন দেখছিলাম লেখা ছিল পেটের সন্তানটাকে যে মা একটু একটু করে বড়ো করলো, যাকে একটা সুস্থ জীবন দিতে সবঝড় প্রলয় নিজে সামলে ক্ষত বিক্ষত হয়েও বাচ্চাটার গায়ে আঁচড় লাগতে দিলোনা। একদিন প্রগতির পথে চালিত সেই বাচ্চা মানুষ রূপ নিয়ে সেই মাকেই ফেলে পালিয়ে গেলো আরও প্রগতির পথে। মা? ওটা একটা তুচ্ছ ইমোশান ছাড়া কিছুই নয়। সে যা করছে ওটা তার কর্তব্য ছিল। ব্যাস ওসব ফালতু ইমোশনাল হয়ে কোনো লাভ আছে নাকি? মানুষ না পৃথিবীর সেরা প্রাণী?
একদম ঠিক কথা বলেছ
Posts: 847
Threads: 3
Likes Received: 668 in 432 posts
Likes Given: 1,421
Joined: Dec 2022
Reputation:
51
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
(13-03-2023, 08:37 PM)Chandan1 Wrote:
•
Posts: 446
Threads: 3
Likes Received: 11,694 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,925
লেখাটা পড়লাম। বুকে একরাশ বেদনার সঙ্গে চোখের কোণে ক্ষুদ্র জল আর হাই নিঃশ্বাস ছাড়া কোনো প্রতিক্রিয়া বেরিয়ে এলো না।
ভাবি অতীতে অনেক সংগ্রামী মানুষ ছিলেন যাঁরা নিজের অবদান টুকু রেখে মাটিতে মিশে গেছেন। ইতিহাসের পাতায় তাঁদের ঠাঁই হয়নি। উপযুক্ত সম্মানও পাননি তাঁরা ।
Posts: 446
Threads: 3
Likes Received: 11,694 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,925
(13-03-2023, 01:46 PM)Baban Wrote: মাথাটা কেমন যেন উত্তপ্ত হয়ে যায় এমন লেখা পড়ে। হয়তো করার কিছুই থাকেনা আমাদের কিন্তু বলার অনেক কিছুই থাকে। কারণ বলতে তো অর্থ লাগেনা। লিখতে যদিও সামান্য সময় ও শ্রম লাগে। কিন্তু ইহাকে তাচ্ছিল্য করা যায় না। প্রয়োজনে এসব লেখনী হয়ে ওঠে জবাব দেবার যোগ্য পথ। ওই সামান্য কলম যেকোনো ধারালো তরোয়ালের থেকেও বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। এমন লেখা বুঝিয়ে দেয় বারংবার যে মনুষ্য প্রজাতি সত্যিই প্রগতিশীল। তাহারা শুধুই পেট ভরাতে শিকার করেনা, মজা লোটার স্বার্থেও শিকার করে। তিলে তিলে ব্যাথা দিয়ে মজা পায় আর শেষে মরে গেলে উল্লাসে ফেটে পড়ে।
ওপরের লেখা গুলো পড়তে পড়তে কেমন যেন সব পাল্টে গেলো। যেন দেখছিলাম লেখা ছিল পেটের সন্তানটাকে যে মা একটু একটু করে বড়ো করলো, যাকে একটা সুস্থ জীবন দিতে সবঝড় প্রলয় নিজে সামলে ক্ষত বিক্ষত হয়েও বাচ্চাটার গায়ে আঁচড় লাগতে দিলোনা। একদিন প্রগতির পথে চালিত সেই বাচ্চা মানুষ রূপ নিয়ে সেই মাকেই ফেলে পালিয়ে গেলো আরও প্রগতির পথে। মা? ওটা একটা তুচ্ছ ইমোশান ছাড়া কিছুই নয়। সে যা করছে ওটা তার কর্তব্য ছিল। ব্যাস ওসব ফালতু ইমোশনাল হয়ে কোনো লাভ আছে নাকি? মানুষ না পৃথিবীর সেরা প্রাণী?
এই প্রবন্ধটার জন্য সম্ভবত উপযুক্ত মন্তব্য এটাই হবে। অপূর্ব লাগল আমার পড়ে।
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
(14-03-2023, 10:12 AM)Jupiter10 Wrote: লেখাটা পড়লাম। বুকে একরাশ বেদনার সঙ্গে চোখের কোণে ক্ষুদ্র জল আর হাই নিঃশ্বাস ছাড়া কোনো প্রতিক্রিয়া বেরিয়ে এলো না।
ভাবি অতীতে অনেক সংগ্রামী মানুষ ছিলেন যাঁরা নিজের অবদান টুকু রেখে মাটিতে মিশে গেছেন। ইতিহাসের পাতায় তাঁদের ঠাঁই হয়নি। উপযুক্ত সম্মানও পাননি তাঁরা ।
একদম ঠিক কথা
Posts: 143
Threads: 0
Likes Received: 312 in 146 posts
Likes Given: 984
Joined: Jun 2021
Reputation:
37
(13-03-2023, 09:21 AM)Bumba_1 Wrote:
~ পেনশান প্রার্থী ~
স্যার , ভদ্রমহিলা আবারো এসেছেন । ভেতরে আসতে বলবো?
ডি আই সাহেব একটু বিরক্তির সুরে বললেন , বলো।
ভেতরে ঢুকলেন এক বৃদ্ধা । দক্ষিণ কলকাতায় এক কলেজ থেকে দশ বছর আগে রিটায়ার করেছেন । এখনো পেনশান পাননি । তদ্বির করতে এসেছেন বৃদ্ধা।
বীরাঙ্গনা বীণা দাস ! তোমায় আমরা তোমার ন্যায্য অধিকার থেকে সেদিন বঞ্চিত করে যে অন্যায় করেছিলাম তার জন্যে তুমি আমাদের মতো এই অধম , অধঃপতিত ও নির্বোধ জাতিকে ক্ষমা করো।
(জনস্বার্থে প্রচারিত)
কী যন্ত্রণায় মরিছে পাথরে নিষ্ফল মাথা কুটে! ভাবটা তেমন বোধ হল। হে মোর দুর্ভাগা দেশ।
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
(14-03-2023, 05:55 PM)surjosekhar Wrote: কী যন্ত্রণায় মরিছে পাথরে নিষ্ফল মাথা কুটে! ভাবটা তেমন বোধ হল। হে মোর দুর্ভাগা দেশ।
যথার্থ উক্তি
•
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
16-03-2023, 04:47 PM
(This post was last modified: 16-03-2023, 04:49 PM by Bumba_1. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
কিছু কথা এবং ..
ছবি এবং লেখাঃ- বুম্বা
আমাদের মধ্যে যেমন উত্তম না সৌমিত্র, হেমন্ত না মান্না, ইস্টবেঙ্গল না মোহনবাগান থেকে শুরু করে, মেসি না রোনাল্ডো .. কে সেরা , এই লড়াই যেমন চিরকাল ছিলো, আছে এবং থাকবে! ঠিক সেইরকম এই ফোরামে incest না cuckold এই দুই ধরনের বিভাগের গল্পগুলির মধ্যে কোন বিভাগ সেরা এবং কোন লেখক সেরা .. এই লড়াই তাদের ভক্তদের মধ্যে চিরকাল থেকে যাবে। তবে খুব সচেতনভাবেই incest এবং cuckold এই দুটি বিভাগ থেকে, বা বলা ভালো এই বিভাজন থেকে নিজেকে বাইরে রাখা আমি মনে করি একটা healthy competition থাকার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তবেই তো ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করার জন্য বা আরো ভালো কিছু সৃষ্টির জন্য তাগিদ অনুভব করবে লেখকেরা। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় যেন কোনো নোংরা রাজনীতি না ঢোকে, এটাই কাম্য।
আমি এমনি এমনি কোনো কথা বলি না। তাই উপরোক্ত কথাগুলি বলার পেছনে অবশ্যই একটা কারণ রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যেবেলায় আমাদের এখানকার একটি টাউন হলে বেশ কয়েকজন সংস্কৃতিমনস্ক মানুষের আড্ডা বসেছিলো। সাহিত্য, শিল্পকলা, চলচ্চিত্র, খেলাধুলা, রাজনীতি .. এইসব বিষয় কথা হতে হতে একসময় আলোচনা এসে দাঁড়ায় কঠোরভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য লেখা কাহিনী বা উপন্যাসগুলি নিয়ে। এই প্রসঙ্গে কথা হবে, অথচ আদিরসাত্মক সাহিত্যের এক নম্বর ফোরাম গসিপি নিয়ে কথা হবে না, তা তো হয় না! এদের মধ্যে বেশিরভাগ ব্যক্তির বক্তব্য ছিলো পুরাতন গসিপের তুলনায় বর্তমানের গসিপিতে লেখা গল্পগুলি অধিকমাত্রায় উন্নত ধরনের (যদিও দু'একজন এর বিরোধিতা করেছিলো, এটাও ঠিক)। আমি যে গসিপিতে লেখালেখি করি সেটা ওনাদের মধ্যে সবাই জানতেন। কিন্তু আপনারা যারা এখানে লেখালেখি করেন, তারা একটা ব্যাপার শুনলে অবাক হয়ে যাবেন .. এখানকার বেশিরভাগ লেখককে তারা চেনেন (অর্থাৎ নাম শুনেছেন) এবং বেশ কিছু লেখকের ভালোরকম fan base তৈরি হয়েছে। নিষিদ্ধ বিষয় নিয়ে মানুষের মনে সর্বদা কৌতূহলের মাত্রা অধিক থাকে, এ কথা অনস্বীকার্য। তাই অজাচার এবং কাকোল্ড .. এই দুটি বিভাগ নিয়ে দেখলাম সবার আগ্রহটাই বেশি। তাদের কথাতে স্পষ্ট অজাচার গল্পের সম্রাট Jupiter10 এর বর্তমানে চলতে থাকা দুটি উপন্যাস যেন কোনোদিন শেষ না হয়, এই ভাবেই যেন চলতে থাকে বছরের পর বছর ধরে। কাকোল্ড গল্পের বেতাজ বাদশা Baban যেন একটি নতুন উপন্যাস শুরু করে .. এটাও স্পষ্ট হয়েছিলো তাদের কথায়। তাদের সঙ্গে কথা বলে যেটা বুঝলাম তা হলো, এই ফোরামের registered users এর থেকে guest users এর সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেশি। ওরাই ঠিক করে দেয় গল্পের views , যেখানে কোনোরকম তঞ্চকতা চলে না। ভালো-মন্দ মিশিয়ে আরও আরও, আরও আলোচনা হয় গসিপি নিয়ে .. সব কথা তো এখানে বলা সম্ভব নয়। তবে আমার সবথেকে বেশি গর্ববোধ হচ্ছিল এই ভেবে যে, এখানে তারা নিষিদ্ধ বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে বলে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখলেও (যদিও এটাই স্বাভাবিক) বাইরে তাদের ছদ্মনামের এত ক্রেজ এবং এরকম একটা ফোরামের একজন সামান্য সদস্য আমি। যাই হোক, আমি একজন আদ্যোপান্ত শিল্পী মানুষ, বিশেষ জটিলতা পছন্দ করি না। তাই কোনো বিষয়ে কথা হলে এবং সে কথাগুলি যদি আমার মন ছুঁয়ে যায়, তবে সেগুলিকে আমার মতো করে একটি সুন্দর রূপ দেওয়ার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রেও তাই করেছি .. অর্থাৎ incest এবং cuckold এই দুটি বিভাগের মধ্যে কে সেরা নিয়ে এই দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গে নিজের মতো করে একটি কবিতা সৃষ্টি করে ফেলেছি। সবশেষে এটাই বলবো, আগেও যা বলেছি .. দ্বন্দ্ব চিরকাল থাকুক, কিন্তু স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতাই কাম্য। তবেই তো গসিপির উন্নতি সাধন হবে, না হলে নয়, ভালো থাকবেন।
তুমি ভুলভাল, আমি সদাঠিক
আমি মেইনস্ট্রিম , তুমি প্রান্তিক।
আমি নাইভ নাইভ, তুমি সদা লাইভ
আমি বোকা বোকা, তুমি স্মার্ট টাইপ।
তুমি বিন্দাস , আমি ঝড়ে হাঁস।
আমি ক্রন্দন , তুমি উচ্ছাস।
আমি উত্তাল , তুমি নতমুখ
আমি গর্জন , তুমি খুব চুপ
তুমি চাল কলা , আমি উড়ো খই
আমি অনলাইন , তুমি ছেঁড়া বই।
তুমি সেমিনার , আমি আলপথ
আমি খালি পা, তুমি রাজরথ।
তবু বিষয়েই , চাই তোমাকেই
তুমি হালফিলে , খুব ঠিকঠিক
বলো মেইনস্ট্রিম , বলো প্রান্তিক !
তাই জেনে নাও, আমি সন্ন্যাস
মেঠো বনপথ , জুড়ে সন্ত্রাস
তাই বিষয়ের , মোড় ঘোরাবোই
তুমি কাটা ব্যাঙ , হতে বাধ্যই
যত দিন যায় , বেলা গড়িয়ে
সব প্রান্তিক , যাবে ছড়িয়েই।
কিছু নির্ভুল, কিছু কম ঠিক
বলো মেইনস্ট্রিম , বলো প্রান্তিক।
|