Posts: 1,237
Threads: 2
Likes Received: 2,210 in 1,011 posts
Likes Given: 1,613
Joined: Jul 2021
Reputation:
654
(08-03-2023, 03:55 PM)Bumba_1 Wrote: ঠিক আছে তোমরা যখন সবাই বলছো, তাহলে কিছু কথা অবশ্যই শেয়ার করবো। সেগুলো রসের কিনা জানিনা, তবে অবশ্যই দুষ্টুমির এবং রঙিন তো বটেই ..
বাবার কর্মসূত্রে আমার ছোটবেলা কেটেছে সম্পূর্ণ একটি অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকায়। তাই সেখানে বাঙালির দোল সেভাবে পালন করা না হলেও অবাঙালিদের হোলি নিয়ে মাতামাতি ছিলো। যাই হোক, দোল বা হোলি মানেই সকালে উঠে বাড়ির বাক্স-প্যাটরা ঘেঁটে নিচু ক্লাসের বা বলা ভালো তখন যা বয়স, তার থেকে অল্প বয়সের পুজোর জামা আর প্যান্ট উদ্ধার করা। জামাটা অনেক কষ্ট করে পড়া, কিন্তু প্যান্ট ! ছোট হয়ে যাবার পর সেটা পাতলুন আর পিটার-কৌপিনের মধ্যবর্তী পর্যায়ে দুলতো। কিন্তু, কোনো এক অদ্ভুত যাদুতে প্যান্টটি গলিয়ে নিয়ে আমার সেই সময়কার খুব কাছের বন্ধু কৌস্তবের বাড়িতে যাওয়া। সেই বন্ধুটিও আমার মতোই মান্ধাতার আমলের ড্রেস পরে রেডি। তারপর দলে একে একে জুড়ে যেত তারকাটা, ঘাটের মরা, পাগলা বিশু, কিপটে তাপি (এগুলো সব সেই সময়কার সাংকেতিক নাম ছিলো আমাদের বন্ধুদের) এবং এছাড়াও আরো অনেকে। এরপর শুরু হতো সেই ভয়ঙ্কর রঙ খেলা। তবে আমার সব থেকে ভয়ের কারণ ছিলো দু'টো রঙ .. কালো তেল রঙ আর সিলভার কালার। এই দুটো রঙ মুখে একবার লেগে গেলে তিন থেকে চারদিনের মধ্যে আর উঠতে চাইতো না। তবুও প্রত্যেকবার ওইগুলোই আমরা একে অপরকে মাখাতাম।
পরবর্তীতে আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দুই বছর হোস্টেলে ছিলাম। পরে আমার মাসতুতো দাদা সন্তোষপুরে ফ্ল্যাট কেনার পর ওদের সঙ্গে থাকতাম। তো যাই হোক, হস্টেলের দোল খেলা ছিলো আরও ভয়ঙ্কর। কেউ যদি বলে দোল খেলবে না তাহলে তার কপালে দুঃখ ছিলো। আমাদের এক সহপাঠী ছিলো, তার নাম ছিলো দেবাশীষ। মাথায় বুদ্ধি বরাবরই কম তার উপর short tempered .. যাকে বলে গোঁয়ার-গোবিন্দ ছিলো ওই বন্ধুটি। ওর সাংকেতিক নাম ছিলো ট্যামড়া। সে কিছুতেই রঙ মাখবে না, দরজা বন্ধ করে বসে আছে। আমাদের ঘরের একটা জানলার কাজ ভাঙ্গা ছিলো। সারানো হয়নি .. এটাই ঐতিহ্য! তো যাই হোক, এবার কেউ একজন সেই ফাঁক দিয়ে পিচকিরি ঢুকিয়ে ঘুমন্ত ট্যামড়ার সর্বাঙ্গে রঙ দিয়েছে । ব্যাস আর যায় কোথায়.. জেগে উঠেছে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি । সে বাথরুম থেকে কমোডের জল পিচকিরিতে ভরে লোকজনের গায়ে পাগলের মতন দিয়ে চলেছে। ওদিকে কিছু পাবলিক অদ্ভুত কিছু জিনিস খেয়ে তার প্রভাবে একজন খাটে উঠে বলছে .. "আমি নামতে পারছিনা , এতো উঁচু ছাদ , হেল্প মি।" তাকে একজন হেল্প করতে আসছে। তার দাবী সে দমকল থেকে আসছে কিন্তু দমকলের গাড়িটা কোথায় পার্ক করেছে খুঁজে পাচ্ছে না। এরমধ্যে একজন নিজের দুটো ছেঁড়া চপ্পল হাতে নিয়ে ফেরি করছে - "আইসক্রিম আইসক্রিম .." অর্থনীতির ছাত্র অনুপমকে জাপটে ধরে সুপ্রিয় বলছিলো - ''তুই যে এবার ইকোনোমিক্স এ নোবেল পেলি, কবে খাওয়াবি ?'' অনুপম বলেছিলো - ''আরে ওরা এখনো টাকাটা পাঠায়নি .." সুপ্রিয় আবার বলছিলো , "ধুর, তোর নোবেলটা ওই ইন্টারনেটের কোটি টাকা জিতেছেন ইমেলের মতন।
এসব চলছে .. এরই মাঝে, সবচেয়ে চাপের দৃশ্য হতো আমাদের বিল্ডিং এর বাইরে। আমাদের বন্ধু চাটনি টেনশন করছে খুব । আর পাশে রয়েছে ছাগল সেন । চাটনি ভুলে গেছে তার বাড়ি কোথায় । তাই সে বাড়ি ফিরতে পারছে না । সে ছাগল সেনকে জিজ্ঞাসা করেছে -
- আমার বাড়ি কোথায় ?
- জিপি এস দেখে নে ।
- আজ দোলের জন্য জি পি এস এর অফিসে ছুটি ।
- আচ্ছা , তোর বাড়ি নিয়ে কি কি মনে পড়ছে ।
- কিছু না .. আমি বাড়ি যাবো ।
- বাদ দে .. তুই আমার বাড়ি চল ।
- ওকে .. তোর বাড়ি কোথায় ?
- আমার বাড়ি ? আরে , এইতো একটু আগেই ছিলাম ওখানে । কিন্তু এখন ভুলে যাচ্ছি ...
Nostalgia দারুন লাগলো বন্ধু। আমিও যেন সেই কলেজ জীবনে ফিরে গিয়েছিলাম। তবে তোমরা যেখানে থাকতে, মানে তোমাদের ক্যাম্পাসের কিছু গল্প শুনতে চাইছিলাম - ওখানে খতরনাক হোলি খেলা হতো নারী-পুরুষ নির্বিশেষ
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
(08-03-2023, 04:15 PM)ddey333 Wrote: আমার বাড়ি কাঁকুড়গাছিতে ছিল তাই বাসেই যাতায়াত করতাম রোজ কিন্তু মাঝে মাঝে প্রজেক্টের কাজে হোস্টেলে রাত কাটিয়েছি।
জীবনে ব্যাস তিনবার শুধু গাঁজায় দম দিয়েছি সে ওই যাদবপুরের হোস্টেলেই শুধু।
হোস্টেলের পাঁচিলের লাগোয়া ছিল পুলিশদের থাকার কোয়ার্টার। একবার কালীপুজোর দিন একটা ছেলে কাগজের রকেট বানিয়ে ছোড়ে ঐদিকে আর ওটা কোনো পুলিশের বৌয়ের ব্লাউসের ওপরে গিয়ে ল্যান্ড করে। তুমুল হুজ্জুতি হয়েছিল , পরের দুই দিন ভয়ের চোটে কেউ হোস্টেল ছেড়ে বেরোয়নি।
কলেজ অবশ্য ছুটি ছিল ওই সময়।
অতীত হোক কি বর্তমান .. তোমার স্মৃতিচারণায় মহিলার উপস্থিতি থাকবে না, তাও কি হয়! তবে ঘটনাটা বেশ মজার।
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
(08-03-2023, 04:38 PM)Sanjay Sen Wrote: Nostalgia দারুন লাগলো বন্ধু। আমিও যেন সেই কলেজ জীবনে ফিরে গিয়েছিলাম। তবে তোমরা যেখানে থাকতে, মানে তোমাদের ক্যাম্পাসের কিছু গল্প শুনতে চাইছিলাম - ওখানে খতরনাক হোলি খেলা হতো নারী-পুরুষ নির্বিশেষ
সে তো হতোই , কিন্তু ওইসব ঘটনা বলতে শুরু করলে আর শেষ হবে না। তাই থাক ..
•
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,410 in 27,674 posts
Likes Given: 23,734
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,261
(08-03-2023, 05:31 PM)Bumba_1 Wrote: অতীত হোক কি বর্তমান .. তোমার স্মৃতিচারণায় মহিলার উপস্থিতি থাকবে না, তাও কি হয়! তবে ঘটনাটা বেশ মজার।
•
Posts: 847
Threads: 3
Likes Received: 668 in 432 posts
Likes Given: 1,421
Joined: Dec 2022
Reputation:
51
(08-03-2023, 03:55 PM)Bumba_1 Wrote: বাবার কর্মসূত্রে আমার ছোটবেলা কেটেছে সম্পূর্ণ একটি অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকায়। তাই সেখানে বাঙালির দোল সেভাবে পালন করা না হলেও অবাঙালিদের হোলি নিয়ে মাতামাতি ছিলো। যাই হোক, দোল বা হোলি মানেই সকালে উঠে বাড়ির বাক্স-প্যাটরা ঘেঁটে নিচু ক্লাসের বা বলা ভালো তখন যা বয়স, তার থেকে অল্প বয়সের পুজোর জামা আর প্যান্ট উদ্ধার করা। জামাটা অনেক কষ্ট করে পড়া, কিন্তু প্যান্ট ! ছোট হয়ে যাবার পর সেটা পাতলুন আর পিটার-কৌপিনের মধ্যবর্তী পর্যায়ে দুলতো। কিন্তু, কোনো এক অদ্ভুত যাদুতে প্যান্টটি গলিয়ে নিয়ে আমার সেই সময়কার খুব কাছের বন্ধু কৌস্তবের বাড়িতে যাওয়া। সেই বন্ধুটিও আমার মতোই মান্ধাতার আমলের ড্রেস পরে রেডি। তারপর দলে একে একে জুড়ে যেত তারকাটা, ঘাটের মরা, পাগলা বিশু, কিপটে তাপি (এগুলো সব সেই সময়কার সাংকেতিক নাম ছিলো আমাদের বন্ধুদের) এবং এছাড়াও আরো অনেকে। এরপর শুরু হতো সেই ভয়ঙ্কর রঙ খেলা। তবে আমার সব থেকে ভয়ের কারণ ছিলো দু'টো রঙ .. কালো তেল রঙ আর সিলভার কালার। এই দুটো রঙ মুখে একবার লেগে গেলে তিন থেকে চারদিনের মধ্যে আর উঠতে চাইতো না। তবুও প্রত্যেকবার ওইগুলোই আমরা একে অপরকে মাখাতাম।
পরবর্তীতে আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দুই বছর হোস্টেলে ছিলাম। পরে আমার মাসতুতো দাদা সন্তোষপুরে ফ্ল্যাট কেনার পর ওদের সঙ্গে থাকতাম। তো যাই হোক, হস্টেলের দোল খেলা ছিলো আরও ভয়ঙ্কর। কেউ যদি বলে দোল খেলবে না তাহলে তার কপালে দুঃখ ছিলো। আমাদের এক সহপাঠী ছিলো, তার নাম ছিলো দেবাশীষ। মাথায় বুদ্ধি বরাবরই কম তার উপর short tempered .. যাকে বলে গোঁয়ার-গোবিন্দ ছিলো ওই বন্ধুটি। ওর সাংকেতিক নাম ছিলো ট্যামড়া। সে কিছুতেই রঙ মাখবে না, দরজা বন্ধ করে বসে আছে। আমাদের ঘরের একটা জানলার কাজ ভাঙ্গা ছিলো। সারানো হয়নি .. এটাই ঐতিহ্য! তো যাই হোক, এবার কেউ একজন সেই ফাঁক দিয়ে পিচকিরি ঢুকিয়ে ঘুমন্ত ট্যামড়ার সর্বাঙ্গে রঙ দিয়েছে । ব্যাস আর যায় কোথায়.. জেগে উঠেছে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি । সে বাথরুম থেকে কমোডের জল পিচকিরিতে ভরে লোকজনের গায়ে পাগলের মতন দিয়ে চলেছে। ওদিকে কিছু পাবলিক অদ্ভুত কিছু জিনিস খেয়ে তার প্রভাবে একজন খাটে উঠে বলছে .. "আমি নামতে পারছিনা , এতো উঁচু ছাদ , হেল্প মি।" তাকে একজন হেল্প করতে আসছে। তার দাবী সে দমকল থেকে আসছে কিন্তু দমকলের গাড়িটা কোথায় পার্ক করেছে খুঁজে পাচ্ছে না। এরমধ্যে একজন নিজের দুটো ছেঁড়া চপ্পল হাতে নিয়ে ফেরি করছে - "আইসক্রিম আইসক্রিম .." অর্থনীতির ছাত্র অনুপমকে জাপটে ধরে সুপ্রিয় বলছিলো - ''তুই যে এবার ইকোনোমিক্স এ নোবেল পেলি, কবে খাওয়াবি ?'' অনুপম বলেছিলো - ''আরে ওরা এখনো টাকাটা পাঠায়নি .." সুপ্রিয় আবার বলছিলো , "ধুর, তোর নোবেলটা ওই ইন্টারনেটের কোটি টাকা জিতেছেন ইমেলের মতন।
এসব চলছে .. এরই মাঝে, সবচেয়ে চাপের দৃশ্য হতো আমাদের বিল্ডিং এর বাইরে। আমাদের বন্ধু চাটনি টেনশন করছে খুব । আর পাশে রয়েছে ছাগল সেন । চাটনি ভুলে গেছে তার বাড়ি কোথায় । তাই সে বাড়ি ফিরতে পারছে না । সে ছাগল সেনকে জিজ্ঞাসা করেছে -
- আমার বাড়ি কোথায় ?
- জিপি এস দেখে নে ।
- আজ দোলের জন্য জি পি এস এর অফিসে ছুটি ।
- আচ্ছা , তোর বাড়ি নিয়ে কি কি মনে পড়ছে ।
- কিছু না .. আমি বাড়ি যাবো ।
- বাদ দে .. তুই আমার বাড়ি চল ।
- ওকে .. তোর বাড়ি কোথায় ?
- আমার বাড়ি ? আরে , এইতো একটু আগেই ছিলাম ওখানে । কিন্তু এখন ভুলে যাচ্ছি ...
dushtumi & rangeen are there, but rasbhari is missing
Posts: 1,375
Threads: 2
Likes Received: 1,406 in 973 posts
Likes Given: 1,714
Joined: Mar 2022
Reputation:
81
(08-03-2023, 03:55 PM)Bumba_1 Wrote:
ঠিক আছে তোমরা যখন সবাই বলছো, তাহলে কিছু কথা অবশ্যই শেয়ার করবো। সেগুলো রসের কিনা জানিনা, তবে অবশ্যই দুষ্টুমির এবং রঙিন তো বটেই ..
বাবার কর্মসূত্রে আমার ছোটবেলা কেটেছে সম্পূর্ণ একটি অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকায়। তাই সেখানে বাঙালির দোল সেভাবে পালন করা না হলেও অবাঙালিদের হোলি নিয়ে মাতামাতি ছিলো। যাই হোক, দোল বা হোলি মানেই সকালে উঠে বাড়ির বাক্স-প্যাটরা ঘেঁটে নিচু ক্লাসের বা বলা ভালো তখন যা বয়স, তার থেকে অল্প বয়সের পুজোর জামা আর প্যান্ট উদ্ধার করা। জামাটা অনেক কষ্ট করে পড়া, কিন্তু প্যান্ট ! ছোট হয়ে যাবার পর সেটা পাতলুন আর পিটার-কৌপিনের মধ্যবর্তী পর্যায়ে দুলতো। কিন্তু, কোনো এক অদ্ভুত যাদুতে প্যান্টটি গলিয়ে নিয়ে আমার সেই সময়কার খুব কাছের বন্ধু কৌস্তবের বাড়িতে যাওয়া। সেই বন্ধুটিও আমার মতোই মান্ধাতার আমলের ড্রেস পরে রেডি। তারপর দলে একে একে জুড়ে যেত তারকাটা, ঘাটের মরা, পাগলা বিশু, কিপটে তাপি (এগুলো সব সেই সময়কার সাংকেতিক নাম ছিলো আমাদের বন্ধুদের) এবং এছাড়াও আরো অনেকে। এরপর শুরু হতো সেই ভয়ঙ্কর রঙ খেলা। তবে আমার সব থেকে ভয়ের কারণ ছিলো দু'টো রঙ .. কালো তেল রঙ আর সিলভার কালার। এই দুটো রঙ মুখে একবার লেগে গেলে তিন থেকে চারদিনের মধ্যে আর উঠতে চাইতো না। তবুও প্রত্যেকবার ওইগুলোই আমরা একে অপরকে মাখাতাম।
পরবর্তীতে আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দুই বছর হোস্টেলে ছিলাম। পরে আমার মাসতুতো দাদা সন্তোষপুরে ফ্ল্যাট কেনার পর ওদের সঙ্গে থাকতাম। তো যাই হোক, হস্টেলের দোল খেলা ছিলো আরও ভয়ঙ্কর। কেউ যদি বলে দোল খেলবে না তাহলে তার কপালে দুঃখ ছিলো। আমাদের এক সহপাঠী ছিলো, তার নাম ছিলো দেবাশীষ। মাথায় বুদ্ধি বরাবরই কম তার উপর short tempered .. যাকে বলে গোঁয়ার-গোবিন্দ ছিলো ওই বন্ধুটি। ওর সাংকেতিক নাম ছিলো ট্যামড়া। সে কিছুতেই রঙ মাখবে না, দরজা বন্ধ করে বসে আছে। আমাদের ঘরের একটা জানলার কাজ ভাঙ্গা ছিলো। সারানো হয়নি .. এটাই ঐতিহ্য! তো যাই হোক, এবার কেউ একজন সেই ফাঁক দিয়ে পিচকিরি ঢুকিয়ে ঘুমন্ত ট্যামড়ার সর্বাঙ্গে রঙ দিয়েছে । ব্যাস আর যায় কোথায়.. জেগে উঠেছে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি । সে বাথরুম থেকে কমোডের জল পিচকিরিতে ভরে লোকজনের গায়ে পাগলের মতন দিয়ে চলেছে। ওদিকে কিছু পাবলিক অদ্ভুত কিছু জিনিস খেয়ে তার প্রভাবে একজন খাটে উঠে বলছে .. "আমি নামতে পারছিনা , এতো উঁচু ছাদ , হেল্প মি।" তাকে একজন হেল্প করতে আসছে। তার দাবী সে দমকল থেকে আসছে কিন্তু দমকলের গাড়িটা কোথায় পার্ক করেছে খুঁজে পাচ্ছে না। এরমধ্যে একজন নিজের দুটো ছেঁড়া চপ্পল হাতে নিয়ে ফেরি করছে - "আইসক্রিম আইসক্রিম .." অর্থনীতির ছাত্র অনুপমকে জাপটে ধরে সুপ্রিয় বলছিলো - ''তুই যে এবার ইকোনোমিক্স এ নোবেল পেলি, কবে খাওয়াবি ?'' অনুপম বলেছিলো - ''আরে ওরা এখনো টাকাটা পাঠায়নি .." সুপ্রিয় আবার বলছিলো , "ধুর, তোর নোবেলটা ওই ইন্টারনেটের কোটি টাকা জিতেছেন ইমেলের মতন।
এসব চলছে .. এরই মাঝে, সবচেয়ে চাপের দৃশ্য হতো আমাদের বিল্ডিং এর বাইরে। আমাদের বন্ধু চাটনি টেনশন করছে খুব । আর পাশে রয়েছে ছাগল সেন । চাটনি ভুলে গেছে তার বাড়ি কোথায় । তাই সে বাড়ি ফিরতে পারছে না । সে ছাগল সেনকে জিজ্ঞাসা করেছে -
- আমার বাড়ি কোথায় ?
- জিপি এস দেখে নে ।
- আজ দোলের জন্য জি পি এস এর অফিসে ছুটি ।
- আচ্ছা , তোর বাড়ি নিয়ে কি কি মনে পড়ছে ।
- কিছু না .. আমি বাড়ি যাবো ।
- বাদ দে .. তুই আমার বাড়ি চল ।
- ওকে .. তোর বাড়ি কোথায় ?
- আমার বাড়ি ? আরে , এইতো একটু আগেই ছিলাম ওখানে । কিন্তু এখন ভুলে যাচ্ছি ...
ছোট হয়ে যাবার পর সেটা পাতলুন আর পিটার-কৌপিনের মধ্যবর্তী পর্যায়ে দুলতো।
এই লাইনটা সেরা লেগেছে আমার
তারকাটা, ট্যামড়া, ছাগল সেন, চাটনি, ঘাটের মরা .... আরো কত নাম, বাব্বা! তা তোমার সাংকেতিক নাম তোমার বন্ধুরা কি রেখেছিল শুনি?
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,410 in 27,674 posts
Likes Given: 23,734
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,261
(08-03-2023, 09:16 PM)Somnaath Wrote: ছোট হয়ে যাবার পর সেটা পাতলুন আর পিটার-কৌপিনের মধ্যবর্তী পর্যায়ে দুলতো।
এই লাইনটা সেরা লেগেছে আমার
তারকাটা, ট্যামড়া, ছাগল সেন, চাটনি, ঘাটের মরা .... আরো কত নাম, বাব্বা! তা তোমার সাংকেতিক নাম তোমার বন্ধুরা কি রেখেছিল শুনি?
ভুজুক বা না ভুজুক।
সবাই চিনে গেছে একজনকে , তার আসল রূপ।
এই ব্যাপারে আর কোনো আলোচনা নয় , জেনুইন পাঠকেরা ঠিক করবেন এই ফোরামের ভবিষ্যৎ।
নোংরামো চলবে আরো কি চলবে না।
•
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
(08-03-2023, 09:16 PM)Somnaath Wrote: তা তোমার সাংকেতিক নাম তোমার বন্ধুরা কি রেখেছিল শুনি?
চেটো
Posts: 1,375
Threads: 2
Likes Received: 1,406 in 973 posts
Likes Given: 1,714
Joined: Mar 2022
Reputation:
81
(08-03-2023, 10:13 PM)Bumba_1 Wrote: চেটো
এটা আমি জানতাম, ওই জন্যই তো জিজ্ঞাসা করেছি হাহাহাহা কিন্তু এই নামটা দেওয়ার কারণ কি?
Posts: 446
Threads: 3
Likes Received: 11,694 in 2,466 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,925
তৈলচিত্রের মধ্যেকার তুলির টানে এক দৃষ্টিতে তাকালে কোথায় যেন হারিয়ে যায়। রূপকথা, কল্পনার জগতে। বিভিন্ন রঙের সঙ্গমিশ্রণে এক অজানা দুনিয়ার মধ্যে পাড়ি দিয়েছি যেন। প্রথম ছবিটায় ব্রিজের দৃশ্য আমাকে হলিউড হরর সিনেমা "মামার" কথা মনে পড়িয়ে দেয়। সব কটা ছবিই অসাধারণ। লাজাব। বিশেষ করে তুলির আঁচড় দিয়ে সৃষ্টি করা প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো। মনে ভরে যায়।
সেক্সি কিছু দেখার বাসনা আছে। আগেও একবার আবদার করে ছিলাম বোধয়। তৈলচিত্রের ক্যানভাসে গ্রাম্যনারীর সিক্ত শরীর অথবা উন্মুক্ত নিটোল নিতম্ব। পুকুরে স্নানরতা দেবীর ভেজা আঁচলের আড়ালে নধর স্তনবৃন্ত উঁকি দেওয়া। অথবা কাঁখে মাটির কলসি নিয়ে জল ভরতে যাওয়া লাজুক নারীর বক্র শরীরী অভিব্যক্তি।
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,410 in 27,674 posts
Likes Given: 23,734
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,261
(08-03-2023, 05:31 PM)Bumba_1 Wrote: অতীত হোক কি বর্তমান .. তোমার স্মৃতিচারণায় মহিলার উপস্থিতি থাকবে না, তাও কি হয়! তবে ঘটনাটা বেশ মজার।
ঘটনা নয় সত্যি।
যাদবপুরে চার বছর পড়েছিলাম। কিন্তু জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল ওটা এখন মনে হয়।
বিয়ার বোতল কুড়ি বা পঁচিশ টাকা ছিল।
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
(08-03-2023, 07:21 PM)Chandan1 Wrote: dushtumi & rangeen are there, but rasbhari is missing
ji Chandan Bhaiya
(08-03-2023, 10:19 PM)Somnaath Wrote: এটা আমি জানতাম, ওই জন্যই তো জিজ্ঞাসা করেছি হাহাহাহা কিন্তু এই নামটা দেওয়ার কারণ কি?
বেশি জানলে পেট খারাপ হবে, তাই keep calm
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
08-03-2023, 10:42 PM
(This post was last modified: 08-03-2023, 10:45 PM by Bumba_1. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(08-03-2023, 10:40 PM)ddey333 Wrote: ঘটনা নয় সত্যি।
যাদবপুরে চার বছর পড়েছিলাম। কিন্তু জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল ওটা এখন মনে হয়।
বিয়ার বোতল কুড়ি বা পঁচিশ টাকা ছিল।
মনুষ্যজাতির জীবনে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে সেরা সময় হলো তার ছাত্রাবস্থার ফেলে আসা দিনগুলি। কতকটা নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাসের মতো ছাত্রাবস্থায় আমরা মনে করি বড় হলে না জানি কতই সুখ আমাদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে। কিন্তু একবার যখন বড় হই, তখন আমরা সকলে প্রতিমুহূর্তে বারবার ফিরে যেতে চাই আমাদের সেই কলেজ আর কলেজ জীবনের ফেলে আসা দিনগুলিতে। ফিরে পেতে চাই ছেলেবেলার সেই সারল্য আর মাধুর্যে ভরা দিনযাপনের সময়কালকে।
Posts: 4,428
Threads: 6
Likes Received: 9,178 in 2,849 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,225
(08-03-2023, 10:32 PM)Jupiter10 Wrote: তৈলচিত্রের মধ্যেকার তুলির টানে এক দৃষ্টিতে তাকালে কোথায় যেন হারিয়ে যায়। রূপকথা, কল্পনার জগতে। বিভিন্ন রঙের সঙ্গমিশ্রণে এক অজানা দুনিয়ার মধ্যে পাড়ি দিয়েছি যেন। প্রথম ছবিটায় ব্রিজের দৃশ্য আমাকে হলিউড হরর সিনেমা "মামার" কথা মনে পড়িয়ে দেয়। সব কটা ছবিই অসাধারণ। লাজাব। বিশেষ করে তুলির আঁচড় দিয়ে সৃষ্টি করা প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো। মনে ভরে যায়।
সেক্সি কিছু দেখার বাসনা আছে। আগেও একবার আবদার করে ছিলাম বোধয়। তৈলচিত্রের ক্যানভাসে গ্রাম্যনারীর সিক্ত শরীর অথবা উন্মুক্ত নিটোল নিতম্ব। পুকুরে স্নানরতা দেবীর ভেজা আঁচলের আড়ালে নধর স্তনবৃন্ত উঁকি দেওয়া। অথবা কাঁখে মাটির কলসি নিয়ে জল ভরতে যাওয়া লাজুক নারীর বক্র শরীরী অভিব্যক্তি।
প্রথমে জানাই অনেক ধন্যবাদ হ্যাঁ মনে আছে আপনি আগেও একবার বলেছিলেন। কিন্তু তখনও যেটা বলেছিলাম এখনো সেটাই বলছি .. ওই ধরনের ছবি আঁকার জন্য যে space দরকার হয়, সেটা আমাদের বাড়িতে নেই। অর্থাৎ লোকজন সর্বদা বিরাজ করছে আমাদের বাড়িতে। সেখানে ভালো কিছু অবশ্যই সৃষ্টি করা যায়, কিন্তু ওই ধরনের ছবি আঁকতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হবে আমাকে। তবে সময় সুযোগ করে উঠতে পারলে অবশ্যই চেষ্টা করবো আপনার কথা রাখার।
Posts: 1,237
Threads: 2
Likes Received: 2,210 in 1,011 posts
Likes Given: 1,613
Joined: Jul 2021
Reputation:
654
(08-03-2023, 10:13 PM)Bumba_1 Wrote: চেটো
•
Posts: 1,237
Threads: 2
Likes Received: 2,210 in 1,011 posts
Likes Given: 1,613
Joined: Jul 2021
Reputation:
654
(08-03-2023, 10:40 PM)ddey333 Wrote: বিয়ার বোতল কুড়ি বা পঁচিশ টাকা ছিল।
তাহলে সে তো কম করে প্রায় দুই যুগ আগেকার কথা! এখন সবথেকে কমের মধ্যে kingfisher এর 500ml এর একটা বিয়ারের বোতল নিলে তার দাম 120/- পড়ে যায়।
Posts: 1,375
Threads: 2
Likes Received: 1,406 in 973 posts
Likes Given: 1,714
Joined: Mar 2022
Reputation:
81
(08-03-2023, 10:40 PM)Bumba_1 Wrote: বেশি জানলে পেট খারাপ হবে, তাই keep calm
•
Posts: 18,205
Threads: 471
Likes Received: 65,410 in 27,674 posts
Likes Given: 23,734
Joined: Feb 2019
Reputation:
3,261
(09-03-2023, 10:16 AM)Sanjay Sen Wrote: তাহলে সে তো কম করে প্রায় দুই যুগ আগেকার কথা! এখন সবথেকে কমের মধ্যে kingfisher এর 500ml এর একটা বিয়ারের বোতল নিলে তার দাম 120/- পড়ে যায়।
হ্যাঁ ১৯৯৬ এর কথা।
pinkfloyd বলে একজন আমাকে নেগেটিভ রেপু দিলো। ওর প্রোফাইল এ গিয়ে বুঝতে পারলাম লোকটা আসলে কে !!
•
Posts: 26
Threads: 0
Likes Received: 142 in 84 posts
Likes Given: 249
Joined: May 2022
Reputation:
26
(09-03-2023, 09:59 PM)ddey333 Wrote: হ্যাঁ ১৯৯৬ এর কথা।
pinkfloyd বলে একজন আমাকে নেগেটিভ রেপু দিলো। ওর প্রোফাইল এ গিয়ে বুঝতে পারলাম লোকটা আসলে কে !!
শুনুন যতই এখানে ওখানে কাপুরুষের মতো নালিশ করে বেড়ান সবাই এটা বোঝে প্রোফাইলে এতো বেশি বেশি রেপু কেন! আর যদি প্রমানের ব্যবস্থা থাকতো দেখতাম জুপিটারবাবুর সাথে আমার দূরদূরান্তের সম্পর্ক নেই । কতগুলো fake প্রোফাইল করে নিজেকেই রেপু দিয়ে বেড়ায় খালি!
•
Posts: 1,375
Threads: 2
Likes Received: 1,406 in 973 posts
Likes Given: 1,714
Joined: Mar 2022
Reputation:
81
(09-03-2023, 09:59 PM)ddey333 Wrote:
pinkfloyd বলে একজন আমাকে নেগেটিভ রেপু দিলো। ওর প্রোফাইল এ গিয়ে বুঝতে পারলাম লোকটা আসলে কে !!
(10-03-2023, 12:54 AM)Pinkfloyd Wrote: শুনুন যতই এখানে ওখানে কাপুরুষের মতো নালিশ করে বেড়ান সবাই এটা বোঝে প্রোফাইলে এতো বেশি বেশি রেপু কেন! আর যদি প্রমানের ব্যবস্থা থাকতো দেখতাম জুপিটারবাবুর সাথে আমার দূরদূরান্তের সম্পর্ক নেই। কতগুলো fake প্রোফাইল করে নিজেকেই রেপু দিয়ে বেড়ায় খালি!
•
|