27-12-2022, 03:23 PM
areh vaiya all is well
WRITER'S SPECIAL "ধূসর পৃথিবী"
|
27-12-2022, 04:08 PM
(27-12-2022, 03:23 PM)Arpon Saha Wrote: areh vaiya all is well Jab life ho out of control to sit bajake bol I'm the King of Dark
&
I rule over all Devils
27-12-2022, 10:13 PM
(This post was last modified: 28-12-2022, 09:43 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
27-12-2022, 10:41 PM
(27-12-2022, 10:13 PM)ddey333 Wrote: দাদা IIT কি থেকে না IIM দুটোর একটাও না। ওদিকে ঘেঁষিই নি। I'm the King of Dark
&
I rule over all Devils
28-12-2022, 09:29 PM
I'm the King of Dark
&
I rule over all Devils
29-12-2022, 03:03 AM
(28-12-2022, 09:29 PM)Monen2000 Wrote: প্লেন? কিসের? আরে তুমি হচ্ছে গল্পের পাইলট তা কবে তোমার গল্পের পর্ব আপলোড করছো।
আমাকে আমার মত থাকতে দাও
29-12-2022, 08:00 AM
(29-12-2022, 03:03 AM)Boti babu Wrote: আরে তুমি হচ্ছে গল্পের পাইলট তা কবে তোমার গল্পের পর্ব আপলোড করছো। একটু টাইম লাগবে, আসলে কাজের চাপ বেড়েছে লেখার সময় হচ্ছে না একদম I'm the King of Dark
&
I rule over all Devils
01-01-2023, 12:14 AM
শুভ ইংরাজি নব বর্ষের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা
স্বাগত----২০২৩ সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।। I'm the King of Dark
&
I rule over all Devils
01-01-2023, 12:39 AM
Happy Newyear bhai . valo theko anonde theko a ashai rakhlam.
আমাকে আমার মত থাকতে দাও
01-01-2023, 01:06 AM
(01-01-2023, 12:39 AM)Boti babu Wrote: Happy Newyear bhai . valo theko anonde theko a ashai rakhlam. তুমিও পুরো পরিবার সহ ভালো থাকো, আনন্দে থাকো। I'm the King of Dark
&
I rule over all Devils
01-01-2023, 01:06 AM
৩য় পর্ব
এনজেপি থেকে ঘন্টা দুয়েকের দূরত্বে প্রতাপ সরকারের তিনতলা বাড়ি "সরকার ভিলা", বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে চা-বাগান যেগুলোর মালিক সরকার মশাই, কাছেই এক জায়গায় সরকারদের কাঠের গুদাম যেখানে কাঠ জমা হয় এবং রপ্তানি হয়। সরকার ভিলার চারিদিকে পাঁচিল ঘেরা আছে তার ভিতরে বাড়ির একপাশে একটুকরো ফাঁকা জমি আছে যেখানে একধারে অনেক ফুলের টব লাগানো আছে প্রায় সবকটাতেই ফুল ফুটে আছে গোলাপ, গাঁদা, জবা আরও অনেক ফুল ফুটে জায়গাটার সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে, এর মাঝেই একজন বছর ছাব্বিশের যুবতী একটা ছোটো ম্যাট পেতে তার উপরে ফ্রি হ্যাণ্ড এক্সারসাইজ করছে, যুবতীর গায়ের রঙ একদম দুধেআলতা না হলেও ফর্সাই বলা চলে স্লিম চেহারা, শরীরের কোথাও এতটুকু বাড়তি মেদের চিহ্নমাত্র নেই পরনে একটা কালো রঙের টাইট লেগিংস আর একটা হলুদ রঙের ক্রপ টপ ,মাথায় লম্বা চুল খোপা করে ক্লিপ দিয়ে আটকানো, দুকানে ব্লুটুথ এয়ারবট লাগানো,ঘাড়ে গলায় এমনকি টপের অনেকটাই ঘামে ভিজে গেছে। প্রায় একঘন্টা এক্সারসাইজ করে থামে যুবতী এটা তার নিত্যদিনের অভ্যাস, দাদা প্রীতম মর্ণিং ওয়াকে গেলেও সে যায় না সে বাড়িতেই এক্সারসাইজ করে। উঠে কান দিয়ে এয়ারবট খুলে, ম্যাট গুটিয়ে বাড়ির ভিতরের দিকে যায়, ঢোকার আগে বারান্দায় জায়গামতো ম্যাটটা ঢুকিয়ে রেখে বাড়ির ভিতরে ঢোকে। "মা... আমার জুস আর.." তোয়ালে দিয়ে শরীরের ঘাম মুছতে মুছতে কিচেনের দিকে যেতে যেতেই মায়ের উদ্দেশ্যে হাঁক পাড়ে যুবতী, কিন্তু পুরো কথাটা শেষ করতে পারে না কারণ ডাইনিং টেবিলে একটা চেয়ারে এক অচেনা যুবককে বসে থাকতে দেখে সে পরনে একটা কালো ফুলস্লিভ শার্ট আর কালো জিন্সের ট্রাউজারস্ চোখে কালো গগলস্, দুহাতে স্লিভদুটো কব্জির একটু উপর পর্যন্ত গোটানো, যুবকটির বাপাশে আরেকটা চেয়ারে বসা এক বৃহৎ কালো কুকুরকেও দেখতে পায়, যুবকটি গম্ভীরমুখে চুপ করে বসে একহাতে কুকুরটার মাথায় হাত বোলাচ্ছে। যুবতীটির মাথায় আগুন জ্বলে ওঠে কারণ যুবকটি যে চেয়ারটায় বসে আছে সেটা তআর বাবা প্রতাপ সরকারের চেয়ার, স্পেশালভাবে অর্ডার দিয়ে অনেকটা রাজার সিংহাসনের আদলে তৈরি করেছিলেন প্রতাপ বাবু আর দ্বিতীয় যে চেয়ারটায় কুকুরটা বসে আছে সেটা তার দাদা প্রীতমের। "এক্সকিউজ মি, হু আর ইউ?" যুবতীটির প্রশ্নের উত্তরে যুবকটি কোনো কথা বলে না চুপচাপ কুকুরের মাথায় হাত বোলাতে থাকে, কিন্তু যুবতীটি আবার জিজ্ঞেস করে "হ্যালো.. হু আর ইউ অ্যাণ্ড হাউ ডেয়ার ইউ?" কিন্তু যুবকটি তাও চুপ করে থাকে কোনো কথা বলে না, এবার যুবতীটি আগের চেয়ে আরো কিছুটা জোরে কথা বলে "আপনার সাহস হয় কিভাবে আমার বাপির চেয়ারে বসার, জানেন এরজন্য আপনার কি অবস্থা করতে পারি?" যুবকটি তাও চুপ করি থাকে শুধু চোখের কালো গগলসের ভিতর দিয়েই একবার যুবতীটিকে আপাদমস্তক দেখে নেয়,আর সহ্য হলো না যুবতীটির রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে হাক দেয় "সিকিউরিটি.. সিকিউরিটি"। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দুজন উর্দিপরা সিকিউরিটি দৌড়ে আসে, যুবতীকে জিজ্ঞেস করে "হ্যা ম্যাডাম?" "এই লোকটা কে,বাড়ির ভিতরে ঢুকলো কিভাবে?" সামনের যুবকটিকে দেখিয়ে কথাগুলো বলে সে "কি করছিলেন সবাই, যেকেউ ঘরের ভিতরে ঢুকে আসছে এক্ষুনি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দিন"। কথা শুনে সিকিউরিটি দুজন এগোতে গিয়েও যুবকটিকে দেখে থমকে দাঁড়িয়ে থাকে। "কি হলো কথা কানে যাচ্ছে না?" যুবতীটির গলা শুনে এক মধ্য চল্লিশের মহিলা ছুটে আসেন "কি হয়েছে এত চেঁচাচ্ছিস কেন?", মহিলাও হটাৎ অচেনা যুবককে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন। "এই দেখোনা মা কে একজন ভিতরে ঢুকে বাপির চেয়ারে বসে আছে, কি হলো ওখানে দাঁড়িয়ে আছেন কেন বললাম না ওনাকে বার করে দিন"। শেষের কথাটা যদিও সিকিউরিটি দুজনকে বলা কিন্তু তবুও তারা চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে, এইসময় প্রতাপ বাবুর গলা শোনা যায় তিনি ফোনে কারো সাথে কথা বলতে বলতে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে আসছেন, নীচে নেমে ডাইনিং টেবিলের দিকে আসেন এবং পরক্ষণেই তিনিও থমকে দাঁড়িয়ে যান তার দৃষ্টি সোজা তারই চেয়ারে বসা যুবকটির দিকে। "আদিত্য, তুমি এখানে?"। গলার স্বরে স্পষ্ট বোঝা যায় যে তিনি যথেষ্ট অবাক হয়েছেন কারন আদিত্যকে এখানে আশা করেননি এবং তার থেকেও বেশী অবাক হয়েছেন এটা দেখে যে আদিত্য তার চেয়ারে বসে থাকতে দেখে, এই চেয়ারে অন্য কারো বসার অনুমতি নেই এটা নিজের জন্য বানিয়েছেন সিংহাসনের আদলে ওটায় বসলে নিজেকে বেশ রাজা রাজা আমেজ আসে। "ড্যাডি তুমি ওনাকে চেনো, কে উনি?" প্রতাপ বাবু মেয়ের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে একদৃষ্টিতে আদিত্যর দিকে চেয়ে থাকেন আদিত্যও পাল্টা তার।দিকে তাকিয়ে থাকে, কিছুক্ষণ দুজনের কেউই কোনো কথা বলেন না তারপর প্রতাপ বাবুই নীরবতা ভাঙেন, "কি হলো সকাল সকাল আমার বাড়িতে?" "ভাবলাম আজ আপনার বাড়িতে ব্রেকফাস্ট করি সাথে কিছু দরকারি কথাও হয়ে যাবে আপনার আপত্তি নেই তো আমি এখানে খেলে?" শুধু আপত্তি নয় প্রতাপ বাবু রীতিমতো রাগে ফুঁসছিলেন ভিতরে ভিতরে আদিত্যর কথায় সেই রাগ আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেল কিন্তু তবুও রাগটা আশ্চর্যভাবে নিয়ন্ত্রণ করে নিলেন কিন্তু তার মেয়ে এত সহজে শান্ত হবার নয়, "আপনার উদ্দেশ্যটা কি বলুন তো কথা নেই বার্তা নেই আমাদের বাড়িতে এসে ড্যাডির চেয়ারে বসে আছেন আর এখন বলছেন ব্রেকফাস্ট করবেন মতলবটা কি?" "আহঃ পিয়ালী মা, অতিথি নারায়ণ অতিথির অপমান করতে নেই, তুমি বসো একবারে ব্রেকফাস্ট করেই যাও" বাবার কথা শুনে পিয়ালী সরকার চুপ করে বসলেও মাঝে মাঝেই আদিত্যর দিকে তাকাচ্ছিল যেন এখনই ভস্ম করে দেবেন, কিন্তু প্রতাপ বাবুর স্ত্রী তখনও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দেখে প্রতাপ বাবু ধমকের সুরে বলেন "কি হলো পারমিতা খেতে দাও"। আদিত্য ওনাকে দেখে ব্যাপারটা বোঝে, পাশে বসা সারমেয়টিকে ভয় পাচ্ছেন মহিলা আদিত্য আশ্বস্ত করে তাকে "ও আমার আদেশ ছাড়া কিছু করবে না তাই অযথা ভয় পাবেন না"। পারমিতা দেবীর ভয় তবুও যায় না কিন্তু তিনি তিনজনকে খাবার দেন গরম গরম লুচি আর আলুর সাদা তরকারি, আদিত্য অল্প একটু মুখে পুরে চিবোতে আরম্ভ করে, কিন্তু পিয়ালী না খেয়ে চুপ করে বসে থাকে, প্রতাপ বাবুরও খাওয়ায় তেমন আগ্ৰহ নেই তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, "আমার সাথে আদিত্য সিংহ রায়ের এমনকি কথা থাকতে পারে যার জন্য তাকে আমার বাড়ি আসতে হবে?" আদিত্য মাত্র দুটো লুচি নিয়েছিল, পারমিতা দেবী আরও দিতে যাচ্ছিলেন কিন্তু সে বলে "আর নয়, বাড়ি গিয়ে মায়ের হাতের খাবার না খেলে উনি আবার বকবেন তাই আজ এটুকুই থাক"। "আমার ড্যাডি আপনাকে একটা প্রশ্ন করেছেন উত্তর দিন" আদিত্য এবারও প্রতাপ বাবুর মেয়ের কথার কোনো উত্তর দিল না, সে পারমিতা দেবীর সাথেই কথা বলতে থাকে "তবে সত্যিই আপনার রান্না সুস্বাদু, এটা স্বীকার করতেই হবে"। "আদিত্য, আমাকে কাজে বেরোতে হবে তোমার কি সত্যিই কোনো দরকারি কথা আছে?" নিজের রাগটাকে আশ্চর্যভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখে কথাটা বললেন প্রতাপ বাবু, খাওয়া শেষে টেবিলের উপর রাখা রেকাবিতে হাত ধুয়ে পকেট থেকে রুমাল বার করে হাতটা মুছতে মুছতে আদিত্য উত্তর দেয়, "কাল রাতে আমাদের বাড়িতে কয়েকজন ঢুকেছিল"। "তাতে আমার কি করার আছে?" "তারা এখন পুলিশের জিম্মায়, তাদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে" "তুমি কি বলতে চাইছো স্পষ্ট করে বলো" "লোকগুলোকে কেন পাঠিয়েছিলেন?" প্রশ্নটা পারমিতা দেবী এবং পিয়ালীকে অবাক করলেও প্রতাপ বাবু হো হো করে হেসে উঠলেন, বললেন "সকাল সকাল গাঁজা টাঁজা খেয়ে এসেছো নাকি যে এইসব উল্টোপাল্টা বকছো?" আদিত্য চুপ করে থাকে কিন্তু প্রতাপ বাবু বলে চলেন "যা বলছো সেটা প্রমাণ করতে পারবে তো? কি মনে হয় তোমার?" আদিত্য পিছনে হেলান দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে মুখটা ব্যাথায় একটু কুঁকড়ে যায়, পিঠের গতরাতে লাগা আঘাতের জায়গাটায় ব্যাথা করছে, কিন্তু পরক্ষণেই ব্যাথাটা সয়ে নেয়, গম্ভীরমুখে প্রতাপ বাবুর দিকে তাকিয়ে থাকে, কোনো কথা বলে না, কিন্তু প্রতাপ বাবু হাসতে হাসতে বলেন "তাছাড়া তোমার এরকম ধারণা হলো কেন যে আমি লোক পাঠিয়েছি?"। উত্তরে আদিত্য যা বললো তাতে প্রতাপ বাবুর মুখ থেকে হাসি তো মিলিয়ে গেলই সাথে বাকি দুজনের হৃদকম্প শুরু হয়ে গেল, "আপনার ছেলে কোথায় প্রতাপ বাবু? মর্ণিং ওয়াকে গেছে এখনো ফিরলো না?" কথাটা শুনেই প্রতাপ বাবুর মনে হলো কেউ যেন তাকে ৪৪০ ভোল্টের ইলেকট্রিক শক্ দিলো সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ছেলেকে ফোন লাগালেন একটু পরেই ওপার থেকে ছেলে প্রীতমের গলা এল "হ্যালো ড্যাডি" "তুমি কোথায়?" "ড্যাডি আমি... আমাকে এরা ধরে এনেছে" "কারা ধরে নিয়ে গেছে?" "জানিনা, আমাকে এখানে নিয়ে এসে..." "হ্যালো হ্যালো.." প্রতাপ বাবুর স্ত্রী এবং মেয়ের বুঝতে বাকি রইলো না যে ফোন কেটে গেছে, প্রতাপবাবু সোজা আদিত্যর দিকে তাকিয়ে গম্ভীরমুখে জিজ্ঞেস করলেন "আমার ছেলে কোথায় আদিত্য?" উত্তরে আদিত্য চোখ থেকে গগলস্টা খুলে সামনের টেবিলের উপরে রেখে আবার পিছনে হেলান দিল এবং আবার তার মুখটা একটু কুঁকড়ে আবার স্বাভাবিক হয়ে গেল, সে কোনো কথা না বলে সটান প্রতাপ বাবুর দিকে তাকিয়ে থাকে। কয়েকঘন্টা আগে, সিংহ রায় প্যালেসে, "এখন আমি ঠিক আছি, তোমরা গিয়ে শুয়ে পড়ো" সবাই মিলে আদিত্যকে বিছানায় নিয়ে আসে এবং শুইয়ে দেয়, বিছানায় শুয়েই উমাদেবী এবং অতীন্দ্র বাবুর উদ্দেশ্যে কথাটা বলে আদিত্য, কিন্তু দুজনের কেউই ঘর ছেড়ে যান না প্রীতি এবং অদ্রিজাও থাকতে চেয়েছিল কিন্তু অনেকবার বলার পরে দুজনে শুতে চলে যায়, আরো কয়েকবার বলার পরে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অতীন্দ্র বাবু গেলেন কিন্তু উমাদেবীকে নড়ানো গেল না, উল্টে আদিত্যকে ধমক খেতে হলো না ঘুমানোর জন্য, কিন্তু বাকি রাতে আদিত্যর আর ঘুমই এলো না যদিও চোখ বন্ধ করে ঘুমের অভিনয় করতে হচ্ছিল কিন্তু মাথায় ঘুরছে কার কাজ? কে পাঠাতে পারে লোকগুলোকে? বেশি ভাবতে হলো না একপ্রকার নিশ্চিত যে একাজ প্রতাপ সরকার ছাড়া আর কারো হতেই পারে না, পুরো নর্থবেঙ্গলে ওই একটা লোক ছাড়া আর কারো এত সাহস নেই যে সিংহ রায় প্যালেসে আততায়ী পাঠাবে তাও স্বয়ং আদিত্য সিংহ রায় উপস্থিত থাকতে। রাতে শুয়ে শুয়েই আদিত্য সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় যে এবার প্রতাপ বাবুকে একটু শিক্ষা দিতেই হবে, সেইমতো প্ল্যানিং ও করে নেয়। পরদিন খুব ভোরে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে পাশে তাকিয়ে দেখে উমাদেবী কখন যেন ছেলের পাশেই ঘুমিয়ে পড়েছেন আস্তে আস্তে উঠে বাথরুমে ফ্রেশ হয়ে ড্রেসটা চেঞ্জ করে যখন বেরিয়ে যায় তখনও ভোরের আলো পরিষ্কার ফোটেনি বাড়ির কারো জেগে থাকার তো প্রশ্নই ওঠে না, বলাবাহুল্য একমাত্র ছায়াসঙ্গী বাদশাও মনিবের সাথে সাথেই বেরিয়ে আসে। প্রতাপ বাবুর ছেলে প্রীতম রোজ মর্ণিংওয়াকে যায় প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে ঘর থেকে বেরোয় এবং প্রায় একঘণ্টার মতো জগিং করে আবার বাড়ি ফিরে আসে, ছেলের প্রতি প্রতাপবাবুর স্পষ্ট নির্দেশ আছে বাড়ি থেকে বেশি দূরে যেন না যায় অবশ্য ছেলের উপর নজর রাখার জন্য পিছনে বডিগার্ডের ব্যবস্থাও আছে কিন্তু তবুও মর্ণিং ওয়াক করার মাঝেই হটাৎই একটা ট্যাক্সি প্রীতমের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং কেউ কিছু বোঝার আগেই দরজা খুলে যায় এবং এক হ্যাঁচকা টানে গাড়ির ভিতরে ঢুকে যায় সে সঙ্গে সঙ্গেই দরজা বন্ধ এবং চোখের নিমেষে গাড়ি দূরে মিলিয়ে গেল। বর্তমান সময়ে, সরকার ভিলাতে, "আমার ছেলে কোথায় আদিত্য?" "আমি কি জানি?" আদিত্যর উত্তরটা ব্যাঙ্গের মতো শোনায় প্রতাপবাবুর কানে তিনি বাজখাই গলায় চেঁচিয়ে ওঠেন "তোমাকে আমি পুলিশে দেবো, তোমার পুরো পরিবারকে জেলের ঘানি টানাবো যদি আমার ছেলের কিছু হয়?" "প্রমাণ করতে পারবেন? জোঁকের মুখে নুন পড়লে যেমন হয় ঠিক তেমনি অবস্থা হলো প্রতাপ বাবুর, তিনি ভালো করেই জানেন কাজটার পিছনে আদিত্য আছে এটা প্রমাণ করা তার পক্ষে অসম্ভব তিনি চুপ করে রইলেন কিন্তু দৃষ্টি দিয়ে আদিত্যকে ভস্ম করে দিতে থাকেন। পারমিতা দেবীর চোখে এখন ভয় এবং পিয়ালীর চোখে এখন ভয় ও রাগ মেশানো একটা ভাব। "কি হলো বলুন প্রমাণ করতে পারবেন?" "বাবা আমার ছেলেকে কিছু কোরো না আমি তোমার সামনে হাতজোড় করছি" প্রতাপ বাবু কিছু না বললেও ওনার স্ত্রী পারমিতা দেবী আদিত্যর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি হাতজোড় করতে গেলে আদিত্য তাড়াতাড়ি উঠে তার হাতদুটো ধরে ফেলে বলে "আপনার ছেলের কোনো ক্ষতি আমি করিনি সেরকম কোনো ইচ্ছা আমার নেই অন্তত আজকে তো নেই কিন্তু আপনার হাজবেন্ড যদি শত্রুতা চালিয়ে যান তাহলে ভবিষ্যতে কি হবে তার গ্যারান্টি দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়"। তারপর টেবিল থেকে গগলস্টা নিয়ে প্রতাপবাবুর সামনে যায় গিয়ে বলে "প্রতাপবাবু, এরকম কাজ দ্বিতীয়বার যেন না হয়, আপনি আমার থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ, আমি আপনার অসম্মান করতে চাই না দয়া করে আমাকে খারাপ হতে বাধ্য করবেন না, আপনি আপনার এলাকার জঙ্গল, চা-বাগান, রিসর্ট নিয়ে থাকুন বিজনেস টা বিজনেসের মতোই করুন কিন্তু যদি আমার ফ্যামিলির ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন তাহলে আপনি ভাবতেও পারছেন না আদিত্য সিংহ রায় কতটা ভয়ংকর রূপ নিতে পারে, চলি"। চলে যেতে গিয়েও থমকে দাঁড়ায় এবং পিছনে ফিরে প্রথমবারের জন্য পিয়ালীকে উদ্দেশ্য করে বলে "এণ্ডমিস.. পিয়ালী আমি কিভাবে ভিতরে ঢুকলাম এটাই জানতে চাইছিলেন তো? তাহলে জেনে রাখুন আমাকে আটকানোর মতো বুকের পাটা পুরো নর্থবেঙ্গলে কারো নেই আরেকটা কথা এক্সারসাইজ করছেন ভালো কথা কিন্তু সেই সাথে আশেপাশে একটু নজর রাখবেন তখন ঢোকার সময় দেখলাম কয়েকজনের দৃষ্টি সোজা আপনার শরীরের দিকে এবং আশা করি বলে দিতে হবে না যে তাদের দৃষ্টি কেমন ছিল, গুড ডে'। কথাটা বলেই গটগট করে বেরিয়ে গেল আদিত্য, প্রতাপবাবু নিস্ফল রাগে গুম হয়ে বসে রইলেন যদিও কিছুক্ষণ পরে ছেলে ঢুকতেই তিনি ছেলের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলেন, ওদিকে আদিত্য যখন সিংহ রায় প্যালেসে ফিরলো তখন সেখানে রীতিমতো দক্ষযজ্ঞ শুরু হয়েছে। I'm the King of Dark
&
I rule over all Devils
01-01-2023, 01:47 AM
(This post was last modified: 01-01-2023, 01:47 AM by Boti babu. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
লাইক রেপু এডেড ভাই। নতুন বছরের শুরুতেই একদম জমজমাট ভাবে শুরু করলে দারুণ আপডেট এভাবেই চালিয়ে যাও । পাশে আছি সব সময়ই।
আমাকে আমার মত থাকতে দাও
01-01-2023, 06:49 AM
বাহ! অসাধারণ আপডেট
01-01-2023, 08:51 AM
(01-01-2023, 01:47 AM)Boti babu Wrote: লাইক রেপু এডেড ভাই। নতুন বছরের শুরুতেই একদম জমজমাট ভাবে শুরু করলে দারুণ আপডেট এভাবেই চালিয়ে যাও । পাশে আছি সব সময়ই। (01-01-2023, 06:49 AM)Jibon Ahmed Wrote: বাহ! অসাধারণ আপডেট ধন্যবাদ I'm the King of Dark
&
I rule over all Devils
01-01-2023, 08:54 AM
উরি শাল্লা , ফাটাফাটি আপডেট তো
লাইক এবং রেপু !!
01-01-2023, 10:04 AM
I'm the King of Dark
&
I rule over all Devils
01-01-2023, 10:11 AM
দারুন দারুন দারুন কোনো কথা হবে না , নতুন বছরের শুরুতেই জমজমাট পর্ব।
বরাবরের মতোই লাইক এবং রেপু রইলো
01-01-2023, 10:52 AM
(01-01-2023, 10:11 AM)Bumba_1 Wrote: দারুন দারুন দারুন কোনো কথা হবে না , নতুন বছরের শুরুতেই জমজমাট পর্ব। ধন্যবাদ দাদা I'm the King of Dark
&
I rule over all Devils
01-01-2023, 04:14 PM
৩ পর্বেও টুইস্ট ধরতে পারলুম না,,, মনে হয় প্রতি পর্বেই টুইস্ট থাকবে। নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ভগবান আপনার সহায়।।
|
« Next Oldest | Next Newest »
|