Thread Rating:
  • 167 Vote(s) - 3.41 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance ছিন্নমূল ঃ কামদেব
চলেই গেলো তাহলে সুখের মা। এক কঠিন সময় আর জীবনের মুখোমুখি হবে এখন থেকে সুখ, দেখা যাক জীবন চলার পথে এখন সুখের পাশে কে কে থাকে.............
[+] 1 user Likes a-man's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
এটা কিন্তু ভালো করলেন না কামদেবদাদা।  সুখকে একেবারে নিঃস্স করে ছেড়ে দিলেন।  

এতদিন বেচারাকে নিয়ে হাসাহাসি , ছড়া কাটা এসব চলছিল ... একটা পাতায় সবার বুকে পাথর চাপিয়ে দিলেন আপনি !!  


Sad
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
কি অসাধারণ লেখা, ধন্যবাদ দাদা
[+] 1 user Likes Akash88's post
Like Reply
অসময়ে যারা মা বাবা হারা
জীবনকে বেশি চেনে তারা
[+] 3 users Like poka64's post
Like Reply
osadharon!!!
Like Reply
(04-11-2022, 11:26 AM)ddey333 Wrote: এটা কিন্তু ভালো করলেন না কামদেবদাদা।  সুখকে একেবারে নিঃস্স করে ছেড়ে দিলেন।  

এতদিন বেচারাকে নিয়ে হাসাহাসি , ছড়া কাটা এসব চলছিল ... একটা পাতায় সবার বুকে পাথর চাপিয়ে দিলেন আপনি !!  



Sad
নিয়তি কে ন বাধ্যতে।কপাল লিখন খণ্ডাতে পারে কে?
[+] 6 users Like kumdev's post
Like Reply
এই পর্বটা পড়ে মনটাই ভেঙ্গে গেল, এর নাম হলো জীবন ।
horseride আমাকে আমার মত থাকতে দাও horseride
[+] 1 user Likes Boti babu's post
Like Reply
খুটো আলগা হলেই বিচ্যুতির ভয়। এবার পথ দেখাবে কে?
Like Reply
(04-11-2022, 09:25 PM)kumdev Wrote: নিয়তি কে ন বাধ্যতে।কপাল লিখন খণ্ডাতে পারে কে?

তা ঠিক তবে কালকের আপডেটটা পরে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেছিলো ...
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
সুখরঞ্জনের খুঁটো উপড়ে গেলো। 
এরপর যদি মামা বাড়িটা কব্জা করে নেয়। 
"তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল দু বিঘার পরিবর্তে।"
তখন তো সুখরঞ্জনের ভবিতব্য  বিশ্ব পথের অভিযাত্রী হওয়া। 
পড়াশোনা কি বন্ধ হয়ে যাবে ? 

রেপু দিলাম এবং সাথে আছি। 
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply
(04-11-2022, 03:31 PM)poka64 Wrote: অসময়ে যারা মা বাবা হারা
জীবনকে বেশি চেনে তারা

বড় নির্মম সত্য। 

রেপু দিলাম।
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply
Weldone bro
[+] 1 user Likes bluestarsiddha's post
Like Reply
(07-11-2022, 09:03 AM)bluestarsiddha Wrote: Weldone bro

যারা গুরুত্ব দিয়ে পড়ছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
[+] 11 users Like kumdev's post
Like Reply
(07-11-2022, 11:33 PM)kumdev Wrote: যারা গুরুত্ব দিয়ে পড়ছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

লিখতে থাকুন দাদা , আপনার প্রত্যেকটা রোমান্টিক গল্পই আমার খুব প্রিয় ...

Namaskar yourock
[+] 4 users Like ddey333's post
Like Reply
(07-11-2022, 11:33 PM)kumdev Wrote: যারা গুরুত্ব দিয়ে পড়ছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।

দাদা আপনার লেখা বলেই কথা। অনেক পাঠক পাবেন যারা কিনা হয়তোবা আপনার সন্ধানেই সাইটে আগমন করেছে...........
Like Reply
(08-11-2022, 12:08 PM)ddey333 Wrote: লিখতে থাকুন দাদা , আপনার প্রত্যেকটা রোমান্টিক গল্পই আমার খুব প্রিয় ...

Namaskar yourock

অবশ্যই এক উজ্জ্বল নক্ষত্র তিনি  Shy
Like Reply
রেপু দিলাম
Like Reply
সুখরঞ্জন এখন কি অবস্থায় 
রয়েছে আমাদের খবর নেওয়া
উচিত। 
[+] 1 user Likes buddy12's post
Like Reply
(09-11-2022, 08:22 AM)buddy12 Wrote: সুখরঞ্জন এখন কি অবস্থায় 
রয়েছে আমাদের খবর নেওয়া
উচিত। 

হ্যাঁ , ওকে বেশিদিন এভাবে একা ছেড়ে রাখাটা ঠিক নয় ..   Sad
[+] 2 users Like ddey333's post
Like Reply
সপ্তত্রিংশৎ অধ্যায়




সকালে লরিতে মালপত্তর চলে গেছে।হিমিরা আজ কলকাতায় চলে যাবে।পেটটা একটু ফুলেছে দেমাগে মাটিতে পা পড়েনা। মাগী পিছনে বেকে পেট উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।নাদিয়া আহমেদ দূর থেকে দেখে,আগের মত সম্পর্ক নেই।বেইমান আর কাকে বলে। পেটে নাকি মিঞার ব্যাটা।বললি হল এতকাল খুচিয়ে কিছু হল না রাতারাতি পেট বেধে গেল। যদি সব ফাস করে  দেয় কোথায় থাকবে তোর গুমর।বাজানের কথা ভেবে নাদিয়া আহমেদ উচ্চবাচ্য করে না।
বাড়ীর সামনে একটা অটো এসে দাড়ালো।ভিতরে মনে হয় আনিস মিঞা।সাদিয়া এদিক-ওদিক দেখে নীচু হয়ে অটোর মধ্যে সেধিয়ে গেল।মনে হয় স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে কলকাতায় যাবে।একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নাদিয়া আহমেদ বাড়ীর দিকে এগোতে থাকে।আপু তুমি ছাড়া * স্থানে আমার কেউ নাই--ন্যাকামো।কাজ হাশিল হয়ে গেছে এখন আর আপুর কথা মনে নাই। যাক সন্তান নিয়ে সুখে থাকুক কাউকে শাপমণ্যি করতে চায় না। 
উপেনবাবু বেরিয়ে গেছেন।সীতেশ আর সুধীন ধাড়া বেরোবার জন্য প্রস্তুত এমন সময় সুখদা ঢুকল।ওরা অবাক হয়ে দেখে মুণ্ডিত মস্তক রঞ্জনবাবু।ধাড়া জিজ্ঞেস করল,কি ব্যাপার?
মা চলে গেল।
ভেরি স্যাড।কি হয়েছিল?
বয়স হয়েছে--।
সীতেশবাবু বলল,মা কি জিনিস যার যায় সেই বোঝে।
কেউ চিরকাল থাকে না।ইয়াং ম্যান নিজেকে নিজের কব্জির জোরে এগোতে হবে।সুধীন ধাড়া বিজ্ঞের মত বলল।
ওরা বেরিয়ে যেতে সুখ জিনিসপত্র রেখে কলেজে যাবার জন্য প্রস্তুত হতে থাকে।তার মাথা ন্যাড়া দেখে আয়ুষী হয়তো জিজ্ঞেস করবে তারপর সহানুভূতি জানাবে ভেবে অস্বস্তি বোধ করে।সহানুভূতি ব্যাপারটা সুখর ভাল লাগে না।মামা বলছিল দিদির স্বপ্ন কথাটা মনে পড়তে চোখ ঝাপসা হয়ে ওঠে।জিনিসপত্র গোছাতে গোছাতে নজরে পড়ে জানলার ফাক দিয়ে কেউ দেখছে।বুঝতে পারে বাসুদি।দরজা ঠেলে বসুমতী ঢুকে বলল,কি হয়েছিল?
আমার মা মারা গেছে।
বহুৎ দুখ কি বাত।
লাজোকে অনেকদিন পড়াতে যাইনি।
তোমাকে আর যেতে হবে না।ওরা মেল টিচার রাখবে না।
মিলিকে পড়াবে না বলে এসেছে লাজোকেও পড়াতে হবে না।ভালই হয়েছে মেয়েটা দিন দিন যা শুরু করেছিল।মামা টাকা পাঠাবে তাতেই চলে যাবে।
কলেজ কম্পাউণ্ডে একটা গাছের নীচে দাঁড়িয়ে সত্যম আর আয়ুষী গল্প করছিল।সুখ ওদের দেখেনি ভাব করে চলে যাচ্ছিল আয়ুষী বলল,হরে রাম হরে কৃষ্ণ।সত্যম বলল,যা কি হচ্ছে।কি ব্যাপার রঞ্জন?
আমার মা মারা গেলেন।
ভেরি স্যরি।এইজন্য তুমি কলেজে আসছিলে না?
মা মারা গেছে?আমি ভাবলাম বুঝি মাথা মুড়িয়ে সন্ন্যাসী হয়ে গেছিস।আয়ুষী মজা করে বলে। 
অনেক কষ্টে নিজেকে সংযত করে সুখদা,বড়লোকের বাচাল মেয়ে। মানুষ এত ইতর কিভাবে হয়।কোনো কথা না বলে অফিসের দিকে চলে গেল।
তোর এভাবে বলা উচিত হয়নি।সত্যম বলল।
কি করে বুঝবো বল? মা মারা গেলেই শুধু নেড়া হয়? ওকে দেখে নদের নিমাইয়ের কথা মনে হল হি-হি-হি। 
কিরে হাসছিস?নন্দিতা এসে জিজ্ঞেস করল।
রঞ্জনকে দেখেছিস?
অফিসে ফিজ জমা দিচ্ছে।ওর মা মারা গেছে জানিস?
আমি আসি রে,তোরা গল্প কর।সত্যম চলে গেল।
আয়ূষীর মুখটা বিবর্ণ হয় বলে,ওর নেড়া মাথা দেখে মায়ের মৃত্যুর কথা মনে আসেনি।খুব খারাপ লাগছে।
ভাবছি কাল থেকে কলেজে আসব না।অর্ধেক ক্লাসই হয় না ফালতু আসা।
আমিও আসতাম না কিন্তু যদি সাজেশন টাজেশন দেয়।
ধুস ভাঙ্গা হাটে দেয় নাকি?পিনাকীকে চিনিস তো?
চিনবো না কেন?ফাটুশ ছেলেটা?
ও একবার নেড়া হয়েছিল মাথার চুল উঠে যাবার জন্য।
আর ক্লাস নেই দীপশিখা বই-পত্তর গুছিয়ে বেরোবার জন্য তৈরী হতে থাকেন।শুক্লা এসে বলল,তোমার ক্লাস শেষ?
আজকের মতো।
এখনই চলে যাবে?বাড়িতে কেউ তো অপেক্ষা করছে না।
কথাটা কানে বাজে দীপশিখা উষ্ণতা মিশিয়ে বললেন,এখানে বসে বসে গ্যাজাতে ভাল লাগে না।
শিখাদি রেগে গেছে শুক্লা আর কথা বাড়ায় না।
দীপশিখা রাস্তায় এসে বাস স্ট্যাণ্ডে অপেক্ষা করতে থাকেন।শুধু সহকর্মীরাই নয় দীপশিখা নিজেও বুঝতে পারেন দিন দিন কেমন হয়ে যাচ্ছেন।কোনো কথা মনে থাকে না।অল্পেতে রেগে যান।মেজাজ হারিয়ে ফেলেন।বাস এসে দাড়াতে উঠে পড়লেন।ভিতরে ঢুকে নজরে পড়ে লেডিজ সিটে একটি ছেলে বসে।তাকে দেখে দাঁড়িয়ে বলল,বসুন ম্যাডাম।
দীপশিখা বসতে বসতে ভাবেন লেডিজ সিটে বসেছো উঠে যাবে।কে বসবে না বসবে তুমি ঠিক করার কে? সিটে বসে ব্যাগ থেকে নতুন কেনা ফোন বের করে সুডোকু মেলাতে থাকেন।কথা বলা ছাড়াও নানা রকম সুযোগ আছে এই ফোনে।বাস ফ্লাই ওভারের উপর দিয়ে ছুটে চলেছে।এটা হবার পর আগের মত জ্যাম হয় না।
কণ্ডাক্টরের মৌলালী-মৌলালী হাক কানে যেতেই দীপশিখা উঠে দরজার দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন।বাস থেকে নেমে সি আই টি রোডে দীপশিখার ফ্লাট।সিড়ি বেয়ে তিনতলায় উঠে নিজের ফ্লাটের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ব্যাগ হাতড়ে চাবি বের করে লক খুললেন।ভিতরে ঢুকে নিজেকে ভীষণ নিঃসঙ্গ বোধ হয়।ডাইনিং কাম সিটিং রুম পাশে ছোটো একটা ঘরে দেওয়াল জোড়া বুক সেলফ তারপরে একটা বড় ঘর।ঘরের বাইরে বারান্দা। পাখা চালিয়ে নিজেকে সোফায় এলিয়ে দিলেন।বসে থাকলে হবে না।দীপশিখা উঠে শাড়ী বদলে নাইটি গায়ে দিলেন।সুইচ টিপে আলো জ্বাললেন।চোখে মুখে জল দিয়ে রান্না ঘরে গিয়ে চায়ের জল চাপিয়ে গ্যাস জ্বালিয়ে দিলেন।জল ফুটতে শুরু করেছে।কানে এল ফোন বাজছে।কোথায় বাজছে অনুমান করা চেষ্টা করেন।জলে চায়ের পাতা দিয়ে চাপা দিলেন।গ্যাস বন্ধ করে বেড রুমে এসে আওয়াজটা কোথা থেকে আসছে চারদিকে লক্ষ্য করেন।বাথরুম হতে নয়তো?বাথরুমে যেতে যেতে আওয়াজ থেমে গেল।এটা তার পুরানো ফোনের আওয়াজ।ফোনটা তাহলে  ঘরেই আছে পিক পকেট হয়নি।রাণ্ণা ঘরে এসে চা করে একটা কাপে নিয়ে বাকীটা ফ্লাক্সে ঢেলে রাখলেন।আবার ফোন বাজছে। মনে হচ্ছে লাইব্রেরী ঘর থেকে আসছে।চায়ের কাপ হাতে যেতে যেতে বন্ধ হয়ে গেল আওয়াজ।চা-টা খেয়ে নিজেই রিং করবেন।এই বুদ্ধিটা তার মাথায় আসেনি আগে। মনে হচ্ছে ফোনটা এতদিনে পাওয়া গেল।ফিরে আসছেন আবার বেজে উঠোল।লাইব্রেরীতে ঢুকে ভাল করে লক্ষ্য করেন।ঐতো উপরের তাকে বইয়ের ফাকে আলো ঝিলিক দিচ্ছে।দ্রুত ফোনটা বের করে বাটন টিপে কানে লাগিয়ে বললেন,হ্যালো?
মোমো ফোন ধরছো না কেন।
আবার মোমো, পিসি বলতে কি হয়েছে--।
হি-হি-হি ছোটোবেলার অভ্যেস কি করব?ফোন ধরছো না কেন?কালকেও কতবার করেছি--
ফোন ধরব কি  এই ফোনটা হারিয়ে গেছিল।ইদানীং কি যে হয়েছে কোনো কিছু মনে রাখতে পারি না।ফোনটা না পেয়ে নতুন ফোন কিনেছি--।
ভাল করেছো নম্বরটা টেক্সট করে দিও।
ঠিক আছে তারপর বল ফোন করেছিস কেন?
কাল ফোন করেছি কয়েকবার বেজে বেজে কেটে যাচ্ছে ভীষণ চিন্তা হচ্ছিল।আজ না ধরলে আমি চলে যেতাম।
চলে আয় মানা করেছে কে?
যাব পরীক্ষাটা হয়ে গেলেই যাব।
দিবুর খবর কি?
জানি না।
শোন এত রাগ ভাল নয়।
তুমি জানো ও আর দেশে ফিরবে না?তোমাকে ফোন করেনা?
অনেককাল আগে করেছিল।আমার নতুন নম্বর ওকে দেওয়া হয়নি।
তোমার শরীর কেমন আছে?একটু ভাল বোধ হচ্ছে?
ঐ একরকম।দাদা-বৌদি কেমন আছে?
ভালই।ছেলের প্রতি মামণি একটু সিম্প্যাথেটিক বাপির ভয়ে কিছু বলে না।
বৌদির ব্যাপারটা বুঝতে পারি।যাক তোর প্রিপারেশন কেমন হল?
অতি ভাগ্যবান ছাড়া ডাক্তারীতে কেউ ফেল করতে পারে না।হি-হি-হি।
কাউকে নজরে পড়েছে?
ছাড়ো তো ফালতু কথা।আচ্ছা রাখছি?ওহ হ্যা নম্বরটা টেক্সট করে দিও।
আচ্ছা।আমার আবার রান্না করতে হবে।
ফোনটা খুলে সিমটা উলটে দিয়ে আবার বইয়ের তাকে রেখে দিলেন।
রাতের খাওয়া শেষ হলে বই নিয়ে সুখদা ছাদে উঠে গেল।শতরঞ্চি পেতে বসে আকাশের দিকে তাকালো।চাদ তারায় শোভিত বিশাল আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে পড়ল মায়ের কথা।মায়ের কথা ভাবতে ভাবতে মনের মধ্যে একটা জিদ চেপে বসে।  
Like Reply




Users browsing this thread: 10 Guest(s)