Posts: 4,430
Threads: 7
Likes Received: 9,013 in 2,840 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,219
(21-09-2022, 07:11 PM)Jupiter10 Wrote: অসাধারণ! কিছুটা জানা এবং অজানার মধ্যে সব থেকে বড় প্রাপ্তি আপনার লেখা। আপনার লেখার মধ্য দিয়ে জানা গল্পও পড়ে সেই একই রকম তৃপ্তি হয় যেমন অজানার ক্ষেত্রে থাকে। মনে হয় যেন আপনি বলছেন আর আমরা শুনছি।
আপনার শব্দ চয়ন এবং লেখন পদ্ধতিতে মনে হচ্ছে যেন চোখের সামনে দেখছি। লেখার শুরুতে আপনি মন্তব্য করেছেন পাণ্ডবরা প্রকৃত রূপে জয় প্রাপ্ত করেনি। বলে "যাইহোক" দিয়ে এড়িয়ে গেছেন। ওই অংশটা "Just awesome" লাগলো। মানে "আমি শুধু উল্লেখ করবো। বিস্তারিত" অপ্রয়োজনে যাবো না।
আপনার এবং বাবান দার এই "non erotic" থ্রেড দুটো এই ফোরামের রত্ন। তথাকথিত "যৌনতা" মূলক গল্পের সাইটে এই রকম জ্ঞান পূর্ণ এবং পৃথক স্বাদের লেখনি আমাদের পাঠকদের কাছে উপহারের মতো।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবংং অফুরান ভালোবাসা ❤️❤️
Posts: 1,473
Threads: 7
Likes Received: 2,416 in 928 posts
Likes Given: 2,420
Joined: Mar 2022
Reputation:
509
ভীষ্মদেব সম্পর্কে আগে থেকেই কিছু পড়াশোনা করা এরপরও তোমার বাচন ভঙ্গি আর ডেলিভারি স্টাইলে আবার যেন নতুন করে সবকিছু জানলাম এমনটাই মনে হয়।
অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো দাদা।
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই।
দুইকে আমি এক করি না, এক কে করি দুই।।
Posts: 4,430
Threads: 7
Likes Received: 9,013 in 2,840 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,219
(22-09-2022, 12:53 PM)nextpage Wrote: ভীষ্মদেব সম্পর্কে আগে থেকেই কিছু পড়াশোনা করা এরপরও তোমার বাচন ভঙ্গি আর ডেলিভারি স্টাইলে আবার যেন নতুন করে সবকিছু জানলাম এমনটাই মনে হয়।
অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো দাদা।
ভালোবাসা অফুরান ❤️❤️
Posts: 4,430
Threads: 7
Likes Received: 9,013 in 2,840 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,219
|| বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র সর্বভূতেষু কন্ঠ রূপেন সংস্থিতা ||
আগামীকাল মহালয়া আর বাঙালির ঘরে দুর্গা আসার আগে আসে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র .. দুর্গা পুজোর কার্টেন রেজার। কিন্তু প্রতি বছর শিশিরে পা ভিজিয়ে বঙ্গে মহালয়ার যে পুণ্যপ্রভাত উপস্থিত হয়, যার কন্ঠে চেপে উপস্থিত হয়, যার উদাত্তস্বর বাদ দিলে ফিকে লাগে ব্রহ্মমুহুর্ত, যার কন্ঠ যে যেখানে যতোবার বাজিয়েছে আজ অবধি, ততবার যদি দশ টাকা করে নেওয়া যেত, বীরেন ভদ্রের পরিবার যদি রয়ালটি পেতো তার কালজয়ী সৃষ্টির, হয়তো আর পাঁচটা বলিউডি তারকার মতোই জীবনধারণ হতো তাদের।কিন্তু বাঙালি যে আত্মবিস্মৃত জাত।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র পেনশন, প্রভিডেন্ড ফান্ডও পাননি। আজীবন রয়ালটি না দিলেও বীরেন ভদ্রকে আকাশবানীতে ঢোকার মুখে আটকাতে তো পেরেছিল। যে কন্ঠে স্তোত্রপাঠ শোনা যায় সে কন্ঠ রাগে ফেটে পড়েছিল। দারোয়ানকে দলাপাকানো গলায় চিৎকার করে সেদিন বলেছিল, ‘‘এই রেডিও’কে জন্ম দিয়েছি আমি, আমার কাছে পাস চাইছ!’’
বাঙালি এক পুরুষ জাদুবিদ্যা আয়ত্তে করে ছিল সেই কবেই। আজও যেকোন উষালগ্নে তার কন্ঠে 'মহিষাসুরমর্দিনী' চালিয়ে দিন, দেখবেন সেই ভোর যেন ঝপ করে বদলে যাবে মহালয়া সকালে। বারান্দায় এসে বসুন বা ছাদে গিয়ে দাঁড়ান, হালকা শীত শীত লাগবে, ঠিক চোখের সামনে দেখতে পাবেন মায়ের মৃন্ময়ী রূপ, চোখে ভাসবে ইষ্ট দেবতা কিংবা পাশে এসে দাঁড়াবে হারানো প্রিয়জন। প্রবাসী সকালে বাড়ির জন্যে মনকেমন করবে। নাকে ঠিক ভোরের গঙ্গার গন্ধ পাবেন। রেডিও চালিয়ে যৌথ পরিবারগুলো শুনছে কোন এক পৃথিবীতে। পূর্বপুরুষকে করা তর্পন দেখা যাচ্ছে ওই দূরের ঘাটে।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র! এক অ', কায়েস্ত যে পৃথিবীর সমস্ত পুরুতমশাইদের একাই চ্যালেঞ্জ দিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু ', সমাজ কেন, তারকা সমাজের প্রতিভূ উত্তম কুমারের চরম ব্যার্থতার পরে আর কেউ সাহস পেল কই অন্য কন্ঠ দিতে? এতো দশক পরেও টপকানো গেলনা তার মন্ত্রোচ্চারণের উৎকর্ষ। ওনার মেয়ের কথায় 'বাবা স্তোত্র পাঠ করতেন শুনে সবাই ভাবতেন, বাবার মতো ঈশ্বরবিশ্বাসী বোধহয় আর কেউ নেই। কিন্তু বিশ্বাস করুন, বাবাকে আমি কোনওদিন বাড়িতে পুজো করতে দেখিনি। একটা ধূপ পর্যন্ত জ্বালতে দেখিনি। বাবা বলতেন, বিশ্বাসটা থাকবে মনে। সেটা দেখানোর কী আছে!' হয়তো এই বিশ্বাস থেকেই আমরা এখনো ভাবি, ঘুম না ভাঙলেও মা বাবা তো আছে, ঠিক নিজেরা উঠে, চা এগিয়ে দেবে বিছানায় আর ডাকবে, "ওঠ। শুনবি না মহালয়া?"
হয়তো এই বিশ্বাস থেকেই এখনো "অশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর, ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা" শুনলেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই থাকি না কেন, নাকে ধুপের গন্ধ, কানে ঢাক আর কাঁসর ঘন্টা বাজে, লালপাড় সাদা শাড়ির ভীড় জড়ো হয়, সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে চারপাশ, খবারের গন্ধ আসে, নবমীর ভুরিভোজ, বন্ধুদের সাথে প্যান্ডেলের সামনে আড্ডা, অনেকগুলো ঠাকুর দেখে শেষরাতে ট্যাক্সিতে ওর কাঁধে মাথা রেখে শান্তি পাওয়া!
বীরেনবাবু আপনি তো ম্যাজিক জানেন। প্লিজ এই অসময়ে ফের গলার কাছে দলা পাকান, মৃত্যু, জরা, গ্লানি, দুর্নীতি, বেকারত্ব, হতাশার বাইরে বের করে নিয়ে আসুন আমাদের কয়েকটা দিনের জন্য। প্লিস মাকে বলে আগের মতোই সব উপভোগ করতে পারি যাতে তার একটা ব্যবস্থা করুন না! প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী। আনন্দময়ী মহা মায়ার পদধ্বনি আগত কিন্তু অশনিসংকেত যে বড়! করোনার বিনাশ হোক। তোমার আবির্ভাবে ধরণী হোক প্রাণ-ময়ী। জাগো! জাগো জাগো মা ..
-- ★★ --
Posts: 540
Threads: 1
Likes Received: 601 in 373 posts
Likes Given: 1,588
Joined: Sep 2019
Reputation:
31
(24-09-2022, 09:30 AM)Bumba_1 Wrote:
|| বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র সর্বভূতেষু কন্ঠ রূপেন সংস্থিতা ||
আগামীকাল মহালয়া আর বাঙালির ঘরে দুর্গা আসার আগে আসে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র .. দুর্গা পুজোর কার্টেন রেজার। কিন্তু প্রতি বছর শিশিরে পা ভিজিয়ে বঙ্গে মহালয়ার যে পুণ্যপ্রভাত উপস্থিত হয়, যার কন্ঠে চেপে উপস্থিত হয়, যার উদাত্তস্বর বাদ দিলে ফিকে লাগে ব্রহ্মমুহুর্ত, যার কন্ঠ যে যেখানে যতোবার বাজিয়েছে আজ অবধি, ততবার যদি দশ টাকা করে নেওয়া যেত, বীরেন ভদ্রের পরিবার যদি রয়ালটি পেতো তার কালজয়ী সৃষ্টির, হয়তো আর পাঁচটা বলিউডি তারকার মতোই জীবনধারণ হতো তাদের।কিন্তু বাঙালি যে আত্মবিস্মৃত জাত।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র পেনশন, প্রভিডেন্ড ফান্ডও পাননি। আজীবন রয়ালটি না দিলেও বীরেন ভদ্রকে আকাশবানীতে ঢোকার মুখে আটকাতে তো পেরেছিল। যে কন্ঠে স্তোত্রপাঠ শোনা যায় সে কন্ঠ রাগে ফেটে পড়েছিল। দারোয়ানকে দলাপাকানো গলায় চিৎকার করে সেদিন বলেছিল, ‘‘এই রেডিও’কে জন্ম দিয়েছি আমি, আমার কাছে পাস চাইছ!’’
বাঙালি এক পুরুষ জাদুবিদ্যা আয়ত্তে করে ছিল সেই কবেই। আজও যেকোন উষালগ্নে তার কন্ঠে 'মহিষাসুরমর্দিনী' চালিয়ে দিন, দেখবেন সেই ভোর যেন ঝপ করে বদলে যাবে মহালয়া সকালে। বারান্দায় এসে বসুন বা ছাদে গিয়ে দাঁড়ান, হালকা শীত শীত লাগবে, ঠিক চোখের সামনে দেখতে পাবেন মায়ের মৃন্ময়ী রূপ, চোখে ভাসবে ইষ্ট দেবতা কিংবা পাশে এসে দাঁড়াবে হারানো প্রিয়জন। প্রবাসী সকালে বাড়ির জন্যে মনকেমন করবে। নাকে ঠিক ভোরের গঙ্গার গন্ধ পাবেন। রেডিও চালিয়ে যৌথ পরিবারগুলো শুনছে কোন এক পৃথিবীতে। পূর্বপুরুষকে করা তর্পন দেখা যাচ্ছে ওই দূরের ঘাটে।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র! এক অ', কায়েস্ত যে পৃথিবীর সমস্ত পুরুতমশাইদের একাই চ্যালেঞ্জ দিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু ', সমাজ কেন, তারকা সমাজের প্রতিভূ উত্তম কুমারের চরম ব্যার্থতার পরে আর কেউ সাহস পেল কই অন্য কন্ঠ দিতে? এতো দশক পরেও টপকানো গেলনা তার মন্ত্রোচ্চারণের উৎকর্ষ। ওনার মেয়ের কথায় 'বাবা স্তোত্র পাঠ করতেন শুনে সবাই ভাবতেন, বাবার মতো ঈশ্বরবিশ্বাসী বোধহয় আর কেউ নেই। কিন্তু বিশ্বাস করুন, বাবাকে আমি কোনওদিন বাড়িতে পুজো করতে দেখিনি। একটা ধূপ পর্যন্ত জ্বালতে দেখিনি। বাবা বলতেন, বিশ্বাসটা থাকবে মনে। সেটা দেখানোর কী আছে!' হয়তো এই বিশ্বাস থেকেই আমরা এখনো ভাবি, ঘুম না ভাঙলেও মা বাবা তো আছে, ঠিক নিজেরা উঠে, চা এগিয়ে দেবে বিছানায় আর ডাকবে, "ওঠ। শুনবি না মহালয়া?"
হয়তো এই বিশ্বাস থেকেই এখনো "অশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর, ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা" শুনলেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই থাকি না কেন, নাকে ধুপের গন্ধ, কানে ঢাক আর কাঁসর ঘন্টা বাজে, লালপাড় সাদা শাড়ির ভীড় জড়ো হয়, সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে চারপাশ, খবারের গন্ধ আসে, নবমীর ভুরিভোজ, বন্ধুদের সাথে প্যান্ডেলের সামনে আড্ডা, অনেকগুলো ঠাকুর দেখে শেষরাতে ট্যাক্সিতে ওর কাঁধে মাথা রেখে শান্তি পাওয়া!
বীরেনবাবু আপনি তো ম্যাজিক জানেন। প্লিজ এই অসময়ে ফের গলার কাছে দলা পাকান, মৃত্যু, জরা, গ্লানি, দুর্নীতি, বেকারত্ব, হতাশার বাইরে বের করে নিয়ে আসুন আমাদের কয়েকটা দিনের জন্য। প্লিস মাকে বলে আগের মতোই সব উপভোগ করতে পারি যাতে তার একটা ব্যবস্থা করুন না! প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী। আনন্দময়ী মহা মায়ার পদধ্বনি আগত কিন্তু অশনিসংকেত যে বড়! করোনার বিনাশ হোক। তোমার আবির্ভাবে ধরণী হোক প্রাণ-ময়ী। জাগো! জাগো জাগো মা ..
-- ★★ --
আহ্ সেই কন্ঠ। এই কন্ঠের মাধ্যমেই তিনি অমর হয়ে রইবেন আমাদের মনে।
Posts: 1,357
Threads: 2
Likes Received: 1,297 in 894 posts
Likes Given: 1,681
Joined: Mar 2022
Reputation:
80
24-09-2022, 01:35 PM
(This post was last modified: 24-09-2022, 01:36 PM by Somnaath. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
সিংহস্থা শশিশেখরা মরকতপ্রখ্যা চতুর্ভির্ভুজৈঃ
শঙ্খং চক্রধনুঃশরাংশ্চ দধতী নেত্রৈস্ত্রিভিঃ শোভিতা ।
আমুক্তাঙ্গদ-হার-কঙ্কণ-রণৎ-কাঞ্চীক্বণন্নূপুরা
দুর্গা দুর্গতিহারিণী ভবতু নো রত্নোল্লসৎকুণ্ডলা ।।
Posts: 4,430
Threads: 7
Likes Received: 9,013 in 2,840 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,219
(24-09-2022, 12:08 PM)sudipto-ray Wrote: আহ্ সেই কন্ঠ। এই কন্ঠের মাধ্যমেই তিনি অমর হয়ে রইবেন আমাদের মনে।
একদমই তাই
(24-09-2022, 01:35 PM)Somnaath Wrote: সিংহস্থা শশিশেখরা মরকতপ্রখ্যা চতুর্ভির্ভুজৈঃ
শঙ্খং চক্রধনুঃশরাংশ্চ দধতী নেত্রৈস্ত্রিভিঃ শোভিতা ।
আমুক্তাঙ্গদ-হার-কঙ্কণ-রণৎ-কাঞ্চীক্বণন্নূপুরা
দুর্গা দুর্গতিহারিণী ভবতু নো রত্নোল্লসৎকুণ্ডলা ।।
প্রণাম
•
Posts: 6,108
Threads: 41
Likes Received: 11,939 in 4,125 posts
Likes Given: 5,306
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,721
"অশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর, ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা"
শুনলে আজও কেমন অদ্ভুত এক অনুভূতির জাগরণ হয়। গায়ে কাঁটাও দেয়। মনে পড়ে যায় সেই ছোটবেলার দিনগুলি। যতই ঘুম আসুক না কেন ওই একদিন উঠে পড়তাম আমরা। সকল ঘুম কোথায় যেন হারিয়ে যেত ওই কথা গুলো শুনে। অদ্ভুত যেন কি একটা আছে ওই কণ্ঠে। দারুন লাগলো লেখাটা পড়ে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর লেখা গুলি উপহার দেওয়ার জন্য। শুভ মহালয়া ❤
Posts: 1,221
Threads: 2
Likes Received: 2,154 in 994 posts
Likes Given: 1,603
Joined: Jul 2021
Reputation:
639
(24-09-2022, 09:30 AM)Bumba_1 Wrote:
|| বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র সর্বভূতেষু কন্ঠ রূপেন সংস্থিতা ||
আগামীকাল মহালয়া আর বাঙালির ঘরে দুর্গা আসার আগে আসে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র .. দুর্গা পুজোর কার্টেন রেজার। কিন্তু প্রতি বছর শিশিরে পা ভিজিয়ে বঙ্গে মহালয়ার যে পুণ্যপ্রভাত উপস্থিত হয়, যার কন্ঠে চেপে উপস্থিত হয়, যার উদাত্তস্বর বাদ দিলে ফিকে লাগে ব্রহ্মমুহুর্ত, যার কন্ঠ যে যেখানে যতোবার বাজিয়েছে আজ অবধি, ততবার যদি দশ টাকা করে নেওয়া যেত, বীরেন ভদ্রের পরিবার যদি রয়ালটি পেতো তার কালজয়ী সৃষ্টির, হয়তো আর পাঁচটা বলিউডি তারকার মতোই জীবনধারণ হতো তাদের।কিন্তু বাঙালি যে আত্মবিস্মৃত জাত।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র পেনশন, প্রভিডেন্ড ফান্ডও পাননি। আজীবন রয়ালটি না দিলেও বীরেন ভদ্রকে আকাশবানীতে ঢোকার মুখে আটকাতে তো পেরেছিল। যে কন্ঠে স্তোত্রপাঠ শোনা যায় সে কন্ঠ রাগে ফেটে পড়েছিল। দারোয়ানকে দলাপাকানো গলায় চিৎকার করে সেদিন বলেছিল, ‘‘এই রেডিও’কে জন্ম দিয়েছি আমি, আমার কাছে পাস চাইছ!’’
বাঙালি এক পুরুষ জাদুবিদ্যা আয়ত্তে করে ছিল সেই কবেই। আজও যেকোন উষালগ্নে তার কন্ঠে 'মহিষাসুরমর্দিনী' চালিয়ে দিন, দেখবেন সেই ভোর যেন ঝপ করে বদলে যাবে মহালয়া সকালে। বারান্দায় এসে বসুন বা ছাদে গিয়ে দাঁড়ান, হালকা শীত শীত লাগবে, ঠিক চোখের সামনে দেখতে পাবেন মায়ের মৃন্ময়ী রূপ, চোখে ভাসবে ইষ্ট দেবতা কিংবা পাশে এসে দাঁড়াবে হারানো প্রিয়জন। প্রবাসী সকালে বাড়ির জন্যে মনকেমন করবে। নাকে ঠিক ভোরের গঙ্গার গন্ধ পাবেন। রেডিও চালিয়ে যৌথ পরিবারগুলো শুনছে কোন এক পৃথিবীতে। পূর্বপুরুষকে করা তর্পন দেখা যাচ্ছে ওই দূরের ঘাটে।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র! এক অ', কায়েস্ত যে পৃথিবীর সমস্ত পুরুতমশাইদের একাই চ্যালেঞ্জ দিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু ', সমাজ কেন, তারকা সমাজের প্রতিভূ উত্তম কুমারের চরম ব্যার্থতার পরে আর কেউ সাহস পেল কই অন্য কন্ঠ দিতে? এতো দশক পরেও টপকানো গেলনা তার মন্ত্রোচ্চারণের উৎকর্ষ। ওনার মেয়ের কথায় 'বাবা স্তোত্র পাঠ করতেন শুনে সবাই ভাবতেন, বাবার মতো ঈশ্বরবিশ্বাসী বোধহয় আর কেউ নেই। কিন্তু বিশ্বাস করুন, বাবাকে আমি কোনওদিন বাড়িতে পুজো করতে দেখিনি। একটা ধূপ পর্যন্ত জ্বালতে দেখিনি। বাবা বলতেন, বিশ্বাসটা থাকবে মনে। সেটা দেখানোর কী আছে!' হয়তো এই বিশ্বাস থেকেই আমরা এখনো ভাবি, ঘুম না ভাঙলেও মা বাবা তো আছে, ঠিক নিজেরা উঠে, চা এগিয়ে দেবে বিছানায় আর ডাকবে, "ওঠ। শুনবি না মহালয়া?"
হয়তো এই বিশ্বাস থেকেই এখনো "অশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর, ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা" শুনলেই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই থাকি না কেন, নাকে ধুপের গন্ধ, কানে ঢাক আর কাঁসর ঘন্টা বাজে, লালপাড় সাদা শাড়ির ভীড় জড়ো হয়, সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে চারপাশ, খবারের গন্ধ আসে, নবমীর ভুরিভোজ, বন্ধুদের সাথে প্যান্ডেলের সামনে আড্ডা, অনেকগুলো ঠাকুর দেখে শেষরাতে ট্যাক্সিতে ওর কাঁধে মাথা রেখে শান্তি পাওয়া!
বীরেনবাবু আপনি তো ম্যাজিক জানেন। প্লিজ এই অসময়ে ফের গলার কাছে দলা পাকান, মৃত্যু, জরা, গ্লানি, দুর্নীতি, বেকারত্ব, হতাশার বাইরে বের করে নিয়ে আসুন আমাদের কয়েকটা দিনের জন্য। প্লিস মাকে বলে আগের মতোই সব উপভোগ করতে পারি যাতে তার একটা ব্যবস্থা করুন না! প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী। আনন্দময়ী মহা মায়ার পদধ্বনি আগত কিন্তু অশনিসংকেত যে বড়! করোনার বিনাশ হোক। তোমার আবির্ভাবে ধরণী হোক প্রাণ-ময়ী। জাগো! জাগো জাগো মা ..
-- ★★ --
Posts: 445
Threads: 3
Likes Received: 11,639 in 2,448 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,912
13-10-2022, 08:08 PM
(This post was last modified: 13-10-2022, 08:08 PM by Jupiter10. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
পুজোর আগে এটা পড়েছিলাম। কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। আশাকরি বুম্বাদা আপনি ভালো আছেন। এবং উৎসবের মুহূর্ত গুলো ভালোই কাটিয়েছেন।
|| বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র সর্বভূতেষু কন্ঠ রূপেন সংস্থিতা ||
এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে নিঃসন্দেহে আপনি বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র কে ট্রিবিউট দিয়েছেন। সত্যি কথা আমরা ওনার অমর কণ্ঠ এখনও শুনি এবং আগামী শত প্রজন্মও শুনে আসবে কিন্তু এই রকম চিন্তা কেউ করে না। এখনকার এবং তৎকালীন সঙ্গীতশিল্পী রাও যেভাবে তাদের সৃষ্টির রয়্যালটি পেয়ে থাকেন তেমন হয়তো এনি পাননি অথবা পাননা।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর বিকল্প হিসাবে এককালীন উত্তম কুমারও উঠে এসেছিলেন। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ।
এই প্রতিবেদনটা লেখার জন্য ধন্যবাদ বুম্বাদা।
Posts: 4,430
Threads: 7
Likes Received: 9,013 in 2,840 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,219
13-10-2022, 09:03 PM
(This post was last modified: 13-10-2022, 09:11 PM by Bumba_1. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(25-09-2022, 12:05 PM)Sanjay Sen Wrote:
(25-09-2022, 07:58 AM)Baban Wrote: "অশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর, ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা"
শুনলে আজও কেমন অদ্ভুত এক অনুভূতির জাগরণ হয়। গায়ে কাঁটাও দেয়। মনে পড়ে যায় সেই ছোটবেলার দিনগুলি। যতই ঘুম আসুক না কেন ওই একদিন উঠে পড়তাম আমরা। সকল ঘুম কোথায় যেন হারিয়ে যেত ওই কথা গুলো শুনে। অদ্ভুত যেন কি একটা আছে ওই কণ্ঠে। দারুন লাগলো লেখাটা পড়ে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর লেখা গুলি উপহার দেওয়ার জন্য। শুভ মহালয়া ❤
একদম ঠিক কথা বলেছো। আমাদের অনেকের বাড়িতেই হয়তো সেই সময় মহালয়ার ক্যাসেট বা সিডি ডিস্ক ছিলো। কিন্তু মহালয়ার দিন ভোরবেলায় উঠে রেডিওতে মহিষাসুরমর্দিনী এর অনুষ্ঠান শোনার মধ্যে যে রোমাঞ্চ হতো, সেটা পরে অন্য কোনো সময় শুনলে হতো না।
Posts: 4,430
Threads: 7
Likes Received: 9,013 in 2,840 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,219
(13-10-2022, 08:08 PM)Jupiter10 Wrote: পুজোর আগে এটা পড়েছিলাম। কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। আশাকরি বুম্বাদা আপনি ভালো আছেন। এবং উৎসবের মুহূর্ত গুলো ভালোই কাটিয়েছেন।
|| বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র সর্বভূতেষু কন্ঠ রূপেন সংস্থিতা ||
এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে নিঃসন্দেহে আপনি বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র কে ট্রিবিউট দিয়েছেন। সত্যি কথা আমরা ওনার অমর কণ্ঠ এখনও শুনি এবং আগামী শত প্রজন্মও শুনে আসবে কিন্তু এই রকম চিন্তা কেউ করে না। এখনকার এবং তৎকালীন সঙ্গীতশিল্পী রাও যেভাবে তাদের সৃষ্টির রয়্যালটি পেয়ে থাকেন তেমন হয়তো এনি পাননি অথবা পাননা।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর বিকল্প হিসাবে এককালীন উত্তম কুমারও উঠে এসেছিলেন। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ।
এই প্রতিবেদনটা লেখার জন্য ধন্যবাদ বুম্বাদা।
হ্যাঁ, আমি বর্তমানে থেকে কিছুটা ভালো আছি। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে পুজোর সময় একদমই ভালো কাটেনি আমার।
নতুন করে মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের বিকল্প হিসেবে যেমন উত্তমকুমার উঠে এসেছিলেন ঠিক তেমনি পঙ্কজ মল্লিকের বিকল্প হিসেবে হেমন্ত মুখার্জীকে আনা হয়েছিল। এছাড়াও বেশ কিছু কলাকুশলীর পরিবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু পুরো অনুষ্ঠানটাই ব্যর্থ হয়েছিল। ওই বছরের পর আকাশবাণী আর সাহস পায়নি পুনরায় অনুষ্ঠানটা লাইভ করার।
ভালো থেকো আর সুস্থ থেকো
Posts: 4,430
Threads: 7
Likes Received: 9,013 in 2,840 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,219
14-10-2022, 12:19 PM
(This post was last modified: 14-10-2022, 12:23 PM by Bumba_1. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
ভবানীপুরের বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমার মুখে স্ত্রী গৌরীদেবীর ছাপ
যদুভট্ট ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন মহানায়ক। সেটে প্রয়োজন একটি সরস্বতীর মূর্তি। কুমোরটুলি থেকে বায়না দিয়ে তা বানিয়ে আনা হল। দেখে এক কথায় মুগ্ধ উত্তর কুমার। স্থির করলেন, তাঁর বাড়ির লক্ষ্মী ঠাকুরও গড়বেন সেই শিল্পীই । নাম নিরঞ্জন পাল। তবে দিলেন একটি শর্ত। মায়ের মুখ হতে হবে তাঁর স্ত্রী গৌরী দেবীর মুখের মত।
সেই মতই গৌরী দেবীর মুখের আদলে প্রতিমা গড়ে ফেললেন শিল্পী নিরঞ্জন পাল । সবাই দেখে অবাক। তবে থেকেই চলে আসছে এই প্রথা। আজও সেই একই ধাঁচের প্রতিমা গড়া হয়। আগে বেনারসী পরিয়ে মাকে নিয়ে আসা হত বাড়িতে। কিন্তু আজ সেই প্রথা আর নেই। তাঁতের শাড়ি পড়িয়ে বাড়িতে লক্ষ্মীর প্রবেশ। মহানায়কের বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো আজও প্রথা মেনেই হয়ে আসছে। উত্তম কুমারের মৃত্যুর পরও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। একই ভাবে, একই সাজে ও একই রূপে আজও পূজিত হন মা লক্ষ্মী।
এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রত্না বন্দ্যোপাধ্যায় (উত্তমকুমারের ভাইঝি) জানিয়েছিলেন,
উত্তমকুমারের বাড়ির পুজো মানেই এই লক্ষ্মীপুজো। মহানায়ক ধুমধাম করে কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন বাড়িতে প্রতিমা এনে পুজো করতেন। কেন করতেন? তাঁর অনুরাগীরা জানেন না। মহানায়কের ভাইঝি তাঁর মায়ের কাছে শুনেছিলেন, তাঁর কাকুর দেবীদর্শন হয়েছিল। পুজোর কিছু আগে ছাদে একটি ছোট্ট বাচ্চা মেয়েকে পা ঝুলিয়ে বসে থাকতে দেখেছিলেন। বাড়িতে তখন মেয়ে বলতে একমাত্র রত্না (ডাকনাম মাঈ) ।
কাকু (উত্তমকুমার) তাড়াতাড়ি মায়ের কাছে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘বৌদি মাঈ ছাদে পা ঝুলিয়ে বসে। পড়ে যাবে। ওকে দেখো।’’ মা বলেছিলেন, "মাঈ তো ঘুমোচ্ছে!" শুনে কাকু অবাক।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দু’দিন আগে থেকে রোজ একটি লক্ষ্মী প্যাঁচা উত্তমকুমারের বাড়িতে আসতে আরম্ভ করল। দেখতে দেখতে তাঁর নাম, যশ, অর্থ বেড়ে চার গুণ। সেই থেকে তাঁর বাড়িতে ঘটা করে লক্ষ্মীপুজো শুরু। বাড়িতে তৈরি মিষ্টি দিয়ে মায়ের পুজো হবে, এই ইচ্ছে থেকে উত্তমকুমার ভিয়েন বসাতেন। সেখানে গরম গরম পান্তুয়া তৈরি হত। তিনি ডেকে ডেকে সেই পান্তুয়া খাওয়াতেন বাড়ির সবাইকে।
লক্ষ্মীপুজোর রাতে ছোটদের বড় প্রাপ্তি উত্তমকুমারের ছবি দেখতে পাওয়া। বড় স্ক্রিন টানিয়ে মহানায়ক সবাইকে তাঁর অভিনীত দু'টি ছবি দেখাতেন। সব থেকে মজার কথা, ছবি দেখতে দেখতে বাড়ির বড়রাই ভুলে যেতেন, উত্তমকুমার তাঁদের পরিজন। জনপ্রিয় দৃশ্য বা গান শুরু হলে তাঁরাই ‘গুরু গুরু’ বলে চেঁচিয়ে উঠতেন। বিষয়টি কিন্তু দারুণ উপভোগ করতেন মহানায়ক। হেসে ফেলতেন পরিবারে লোকজনদের অবস্থা দেখে।পুজোর পরের দিন উত্তমকুমার সবাইকে মাছ খাওয়াতেন। ওই দিন রুপোলি পর্দার সব তারকা জড়ো হতেন মহানায়কের বাড়িতে।
লুচি, পাঁচ রকম ভাজা, বাঁধাকপির তরকারি, ফুলকপির ডালনা, পোলাও, চাটনি ও মিষ্টি দেওয়া হয় মা লক্ষ্মীর ভোগে। আগে বাড়িতে ভিয়েন বসিয়ে তৈরি হতো পান্তুয়া, দরবেশ ও গজা। এখন সে সব পাট চুকে গিয়েছে। কিন্তু আজও পাত পেড়ে খান প্রায় চারশো-পাঁচশো জন অতিথি। উত্তমকুমারের সময় থেকেই শুরু হয় এই আতিথেয়তার। ভোজনরসিক মহানায়কের কাছে পুজো বাড়িতে পেট পুরে না খেয়ে যাওয়াটা ছিল একেবারেই অনভিপ্রেত। শোনা যায়, তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সকল নিমন্ত্রিতদের খাওয়াতেন। তার পরেই নিজে খেতে বসতেন। মেনুতে অবশ্যই থাকত লুচি, ছোলার ডাল, বেগুন বাসন্তী, আলুর দম, ধোকার ডালনা, ছানার ডালনা, মিষ্টি। ইদানীং মেনুতে ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটেছে। পুজোর পরের দিন দরিদ্র নারায়ণ সেবা করতেন মহানায়ক। তিনি নিজেই সকলের পাতে খাবার পরিবেশন করতেন। কিন্তু এখন লোকবলের অভাবে সেই সেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অবশ্য শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জনের যে ধারা বজায় ছিল, তা কিন্তু আজও অমলিন।
তথ্যসূত্রঃ ‘দেবীদর্শন’ .. (আনন্দবাজার পত্রিকা)
Posts: 1,357
Threads: 2
Likes Received: 1,297 in 894 posts
Likes Given: 1,681
Joined: Mar 2022
Reputation:
80
এই লেখা আনন্দবাজারে বেরিয়ে থাকলে মানুষজন সেখান থেকেই পড়ে নেবে, খামোখা তোমার এই প্রতিবেদন পড়তে যাবে কেন? by the way এই ছবিতে গৌরী দেবী কোনটা?
Posts: 4,430
Threads: 7
Likes Received: 9,013 in 2,840 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,219
14-10-2022, 03:47 PM
(This post was last modified: 14-10-2022, 03:48 PM by Bumba_1. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
(14-10-2022, 02:43 PM)Somnaath Wrote: এই লেখা আনন্দবাজারে বেরিয়ে থাকলে মানুষজন সেখান থেকেই পড়ে নেবে, খামোখা তোমার এই প্রতিবেদন পড়তে যাবে কেন? by the way এই ছবিতে গৌরী দেবী কোনটা?
একদম হক কথা কইসো কিন্তু আমি নিচে তথ্যসূত্র দিলাম বলেই তো জানতে পারলে! otherwise খুঁজে পেতো কেউ কোনোদিন? তাছাড়া এই লেখাটা তো আনন্দবাজারে কালকেই ছাপানো হয়নি, লেখা হয়েছিলো আজ থেকে তিরিশ বছর আগে। তাই যারা পড়ার তারা আমার এই প্রতিবেদনটাই পড়বে। বুঝলে কিছু?
মহানায়কের পদতলে যিনি বসে আছেন, তিনিই গৌরী দেবী
•
Posts: 6,108
Threads: 41
Likes Received: 11,939 in 4,125 posts
Likes Given: 5,306
Joined: Jul 2019
Reputation:
3,721
আমরা শুধুই চিনি পর্দায় তাকে। তার ভুবন ভোলানো হাসি আর দুর্দান্ত অভিনয় আজও জয় করে আমাদের মনপ্রাণ। তা সে নায়ক হয়ে নিজের অতীতের ঠিক ভুল বিচারের গল্প হোক কিংবা খলনায়ক হয়ে বাঘ বন্দির শয়তানি খেলা কিংবা একের পিঠে দুই হয়ে সকলের মনে ভ্রান্তি সৃষ্টি করার বিলাস হোক।
আজ জানলাম সেই মানুষটার পারিবারিক কিছু ঘটনা ও তার নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অলৌকিক এক মুহূর্ত। সকলে একসাথে বসে এক হয়ে পর্দায় চোখ রাখা ও চিল্লিয়ে ওঠার আনন্দ আজ বড়ো অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে যার হাতে আধুনিক দুরভাস যন্ত্র তুলে নিয়ে আরও একা হয়ে পড়ছে। তা সে যতই তার চোখ থাকুক ইন্দ্রজালের দিকে।
ধন্যবাদ ♥️
Posts: 4,430
Threads: 7
Likes Received: 9,013 in 2,840 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,219
(14-10-2022, 06:35 PM)Baban Wrote: আমরা শুধুই চিনি পর্দায় তাকে। তার ভুবন ভোলানো হাসি আর দুর্দান্ত অভিনয় আজও জয় করে আমাদের মনপ্রাণ। তা সে নায়ক হয়ে নিজের অতীতের ঠিক ভুল বিচারের গল্প হোক কিংবা খলনায়ক হয়ে বাঘ বন্দির শয়তানি খেলা কিংবা একের পিঠে দুই হয়ে সকলের মনে ভ্রান্তি সৃষ্টি করার বিলাস হোক।
আজ জানলাম সেই মানুষটার পারিবারিক কিছু ঘটনা ও তার নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অলৌকিক এক মুহূর্ত। সকলে একসাথে বসে এক হয়ে পর্দায় চোখ রাখা ও চিল্লিয়ে ওঠার আনন্দ আজ বড়ো অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে যার হাতে আধুনিক দুরভাস যন্ত্র তুলে নিয়ে আরও একা হয়ে পড়ছে। তা সে যতই তার চোখ থাকুক ইন্দ্রজালের দিকে।
ধন্যবাদ ♥️
বাহ্ .. কথার ফাঁকে কি সুন্দর মহানায়ক অভিনীত বেশ কয়েকটা চলচ্চিত্রের নাম বলে দিলে।
তবে শুধু বাঘ বন্দী খেলা নয় , শেষ অঙ্ক বলে একটি চলচ্চিত্রে উনি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন করেছিলেন এবং সেটা নিজের ক্যারিয়ারের একদম পিক টাইমে। ছবির নায়িকা ছিলো সম্ভবত শর্মিলা ঠাকুর। ডিটেকটিভের চরিত্রে সাবিত্রী চ্যাটার্জীও অভিনয় করেছিলেন ওই ছবিতে।
Posts: 445
Threads: 3
Likes Received: 11,639 in 2,448 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,912
(13-10-2022, 09:05 PM)Bumba_1 Wrote: হ্যাঁ, আমি বর্তমানে থেকে কিছুটা ভালো আছি। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে পুজোর সময় একদমই ভালো কাটেনি আমার।
নতুন করে মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের বিকল্প হিসেবে যেমন উত্তমকুমার উঠে এসেছিলেন ঠিক তেমনি পঙ্কজ মল্লিকের বিকল্প হিসেবে হেমন্ত মুখার্জীকে আনা হয়েছিল। এছাড়াও বেশ কিছু কলাকুশলীর পরিবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু পুরো অনুষ্ঠানটাই ব্যর্থ হয়েছিল। ওই বছরের পর আকাশবাণী আর সাহস পায়নি পুনরায় অনুষ্ঠানটা লাইভ করার।
ভালো থেকো আর সুস্থ থেকো
শুনে খারাপ লাগলো বুম্বা দা। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
রোগ রোগের জায়গায় থাকবে। জীবন জীবনের জায়গায়। তারা যেন একসঙ্গে মিলিত না হয়।
উত্তমকুমারের মহিষাসুরমর্দিনী ইউটিউবে দেখলাম। খুব ভালো হলেও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মতো নয়।
Posts: 445
Threads: 3
Likes Received: 11,639 in 2,448 posts
Likes Given: 4,988
Joined: Jan 2019
Reputation:
2,912
খুব ভালো লেখা। পড়ে একবার মনে হল এটা আনন্দবাজারে প্রকাশিত আপনারই লেখা হবে।
Posts: 4,430
Threads: 7
Likes Received: 9,013 in 2,840 posts
Likes Given: 4,330
Joined: Oct 2019
Reputation:
3,219
(16-10-2022, 10:37 AM)Jupiter10 Wrote: শুনে খারাপ লাগলো বুম্বা দা। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
রোগ রোগের জায়গায় থাকবে। জীবন জীবনের জায়গায়। তারা যেন একসঙ্গে মিলিত না হয়।
উত্তমকুমারের মহিষাসুরমর্দিনী ইউটিউবে দেখলাম। খুব ভালো হলেও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মতো নয়।
না এদের দুজনকে আমি একসঙ্গে মিলিত করি না .. অসুখ অসুখের জায়গায় থাকবে কিন্তু আমি যতদিন এই পৃথিবীতে আছি, এগিয়ে যাবো সব ক্ষেত্রেই .. এটাই আমার জীবনে আদর্শ।
(16-10-2022, 10:39 AM)Jupiter10 Wrote: খুব ভালো লেখা। পড়ে একবার মনে হল এটা আনন্দবাজারে প্রকাশিত আপনারই লেখা হবে।
না না আনন্দবাজারে লেখার মতো যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি এখনও এবং পারব বলেও মনে হয় না
|