Thread Rating:
  • 167 Vote(s) - 3.41 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Romance ছিন্নমূল ঃ কামদেব
দারুণ দাদা. খুবই হৃদয়স্পর্শী. সত্যি কাহিনীর চরিত্রগুলোর ভাগ্য লেখক/লেখিকার হাতে থাকে.

দাদা, একটা অনুরোধ ছিলো - যতিচিহ্নের অভাব কিছুটা অনুভূত হচ্ছে. সেদিকে একটু নজর দেবেন. জানি আপনি ব্যস্ত মানুষ. লেখার পর তার পুনর্সংস্কার কিছুটা সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়ায়. তবে আপনি যাই লিখবেন ভালো লিখবেন. সঙ্গে রয়েছি. 
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
কামদেব এর সব গল্পে বাবাকে মারা চাই।। এবার দেখা যাক সামনে কি হয়।।
[+] 1 user Likes DevilBlood's post
Like Reply
আকাঙ্খিত আপডেট। কিছুটা ইমোশনাল তো বটেই, শেষে পাঞ্চালির উপস্থিতিটা ইন্টারেস্টিংয়ের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করা যায় সামনে নায়ক নায়িকার উপরে ফোকাস টা বেশি থাকবে.......
Like Reply
চোখে জল এসে গেলো। 
রেপু দিলাম। 
সাথে আছি। 
Like Reply
হৃদয় বিদারক আপডেট নিয়ে ফিরে এলেন..
দাদার গল্পে বাবা কে মরতেই হয় কেন?? আবার কোন কোন গল্পে তো মা বাবা দুজনেই কেন?
খুব কষ্ট হয়
Shy হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই।
 দুইকে আমি এক করি না, এক কে করি দুই।। Shy
[+] 1 user Likes nextpage's post
Like Reply
সপ্তম অধ্যায়




নদিনের মাথায় শ্রাদ্ধ হল।বেশ কাউকে বলা হয়নি কলেজের মাস্টার মশায় আর প্রতিবেশীদের কয়েকজন।সুবীরের সঙ্গে ওর মেয়ে এসেছিল বউ আসেনি।সুবীরই সব দেখাশোনা করেছে।মুণ্ডিত মস্তক সুখকে দেখে মামাতো বোন সুদীপা বলেছিল,মনাদা তোকে দারুণ লাগছে একেবারে চৈতন্যদেবের মতো।শ্রাদ্ধের ব্যস্ততায় ভাবার অবসর হয়নি।স্বল্প যা কিছু হাতে ছিল তাই দিয়ে সব হয়েছে।সুমনার হাত এখন শূণ্য।কি দিয়ে কি হবে ভেবে বুক শুকিয়ে যাচ্ছে।যাবার আগে বলেছিল মনার পড়া যেন বন্ধ কোরনা।সুমনার চোখের কোলে জল টলটল করে।পাইকপাড়া থেকে সুবীর এসেছে মনার সঙ্গে পাশের ঘরে কথা বলছে।
মনা তোর পরীক্ষা কেমন হয়েছে?
 খারাপ না মোটামুটি।
 রেজাল্টের কোনো খবর পেলি?
 স্যার বলছিলেন এই সপ্তায় বেরোতে পারে।
 আচ্ছা তুই হিসেব রাখতে পারবি?পা দোলাতে দোলাতে জিজ্ঞেস করেন সুবীর।
 মামা হিসেব মানে?
 ধর কোনো দোকানে কেনা বেচার হিসেব রাখবি।
 কোথায়?
 কলকাতায় একটা বড় দোকানে।
 কেন পারব না মামা কিন্তু--।
 কিন্তু কি?
 না মানে  কলকাতা তো যেতে আসতেই ঘণ্টা দিনেক লেগে যাবে।
 শোন মনা অত ভাবলে চলে না।তোকে ওখানেই থাকতে হবে।সপ্তায় একদিন দিদির সঙ্গে দেখা করে যাবি।কি রে পারবি না?
 পারব না কেন?
 রেজাল্ট বের হোক একদিন নিয়ে যাবো।দেখি দিদি কি করছে।সুবীর চলে গেল।
সুখদারঞ্জন ভাবতে থাকে মানুষ যা ভাবে সব সময় তা হয় না।অধ্যাপক হবার স্বপ্ন ধোয়ার মত মিলিয়ে যায়।এ দেখে এসে অনেক শুনেছে কলকাতার কথা।সেই কলকাতায় থেকে কাজ করতে হবে।
ভাইকে দেখে সুমনা বললেন,আয় বোস।বাড়ীর সব ভালো তো।সুদীপার সঙ্গে ভালো করে কথা বলতে পারিনি।
 হ্যা সব ভাল আছে।তুমি কেমন আছো?
 আমার আবার থাকা।সাবিত্রী এলো না কেন?
 ওর কথা বোলোনা।বলে কিনা শ্রাদ্ধ বাড়ী আমি যাই না।
কথার মাঝখানে মনা ঢুকে বলল,মা শুনেছো মামা আমার একটা কাজের ব্যবস্থা করেছে।
 দেখছো আমরা কথা বলছি যাও নিজের কাজে যাও।
সুখদা রঞ্জন অপ্রস্তুত হয়ে মামার দিকে একবার তাকিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।সুমনা সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে ভাইয়ের দিকে তাকালেন।
সুবীর মুখে হাসি টেনে বললেন,আমার এক পরিচিত তারাপদবাবু কলকাতায় মেসে থেকে চাকরি করে।শনিবার শনিবার গ্রামে আসে।সব শুনে তারাপদবাবুই বলল,কলকাতায় বড়বাজারে একটা দোকানে কাজের কথা।মনুকে নিয়ে খুব ভাবনা ছিল--।
শোন সুবি তুই আর বেশী ভাবিস না।মনু এখন চাকরি করবে না পড়াশুনা করবে।
সুবীরের মুখটা প্যাচার মত হয়ে যায়।উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,দেখো তুমি যা ভাল বোঝো।আজ আসি।
 শোন সুবি তোকে একটা কথা বলি একটু শক্ত হ।অন্তত সুদীপার কথা ভেবে মেয়েটা যেন মায়ের মত না হয়।
কোনোকিছুই চিরস্থায়ী নয়।শোক তাপ বন্যার মত আসে সব লণ্ডভণ্ড করে দেয়।তারপর আবার জল নেমে যায় মানুষ নবোদ্যমে শুরু করে মেরামতির কাজ।সুখদা রঞ্জনের মন ভারাক্রান্ত,রেজাল্ট বেরোলে মামা তাকে কলকাতায় নিয়ে যাবে।এই গোপালনগর পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে কলকাতা।কদিন পর রেজাল্ট বের হল।এই মহকুমায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে পাস করেছে সুখদা রঞ্জন তবু মনে কোনো উচ্ছ্বাস নেই।বাসায় ফিরে মাকে প্রণাম করে রেজাল্টের খবর বলতে সুমনা বললেন,আমি জানতাম।মনা এবার একটা ভালো কলেজে ভর্তি হয়ে যা।
নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারে না।সে ঠিক শুনেছে তো?
 তোকে পড়তে হবে তোর বাবার স্বপ্ন মিথ্যে হতে দিতে পারি না।
 কিন্তু মা টাকা?
 সে তোকে ভাবতে হবে না।
সুখদা রঞ্জন দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে গেল চোখের জল গোপন করার জন্য।  গোপালনগর হাইস্কূলে হিউম্যানিটিজ গ্রুপে ভর্তি হল।যা রেজাল্ট সবাই ভেবেছিল সায়েন্স নিয়ে পড়বে।মাকে যত দেখছে নতুন করে চিনছে,বাবা বেচে থাকতে এই মাকে দেখেনি।তখনও মনে হয়নি বিস্ময়ের আরো বাকী আছে। একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখল মা নেই।এদিক ওদিক দেখল কোথাও দেখল না মাকে।এত সকালে কোথায় গেল,মা তো বাড়ীর বাইরে একা একা যায় না।রাস্তায় বেরিয়ে ভাবতে থাকে কোথায় খুজবে।পাশের বাড়ীর কাকীমার সঙ্গে চোখাচুখি হতে জিজ্ঞেস করলেন,কাউকে খুজছো?
 কাকীমা মাকে দেখেছেন?
 তোমার মা তো কাজে গেছে তুমি জানো না?
 কাজে গেছে?
 হ্যা শেঠদের বাড়ীতে রান্নার কাজ নিয়েছে।
রান্নার কাজ নিয়েছে।ঘরে ফিরে এসে আবার শুয়ে পড়ল।এত কাছে থেকেও মাকে চিনতে পারেনি।বাবার বাধ্য নিরীহ মায়ের এই রূপ দেখতে হবে কখনো মনে হয় নি। অতীতের দিনগুলোর মধ্যে হারিয়ে যায় মন। এলমেলো হাবিজাবি কত কথা মনে পড়ে। মাহিদিয়ায় অধ্যাপক বিআরবি বললে গ্রামের সবাই একডাকে চিনতো।তার স্ত্রী লোকের বাড়িতে রান্নার কাজ করছে।তার জন্যই মাকে এই পথে নামতে হয়েছে ভেবে নিজের প্রতি ধিক্কার জন্মায়। একসময় তন্দ্রা এসে থাকবে সম্ভবত রান্না ঘরে বাদন কোষনের শব্দ সজাগ হয়।ঘড়িতে তখন সাড়ে আটটা।বিছানা ছেড়ে উঠে বসে ভাবে রান্না ঘরে যাবে কিনা।
একটা প্লেটে দুটো রুটি আর আলু চচ্চড়ি নিয়ে সুমনা ঢুকে বললেন,খেয়ে পড়তে বোস।
হতবাক দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকিয়ে হাত বাড়িয়ে প্লেটটা নিয়ে সুখদা রঞ্জন বলল,মা একটা কথা বলব?
 কোনো কথা নয়।তুমি তোমার কাজ করো আমাকে আমার কাজ করতে দাও।শান্ত ধীর গলা।
 এমন কথার পর আর কথা বলা যায় না।সুমনাদেবী ফিরে এসে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,তুই কি বলবি আমি জানি।তোর বাবাকে আমি কথা দিয়েছিলাম।পড়াশোনা কর তাতেই আমার গৌরব।
সুখদারঞ্জন চোখের জল সামলাতে পারে না।সুমনা রান্না ঘরে চলে গেলেন।
উত্তর কলকাতার মহিলা কলেজ।কলেজের নামটা বললাম না।ক্লাস চলছে যাদের ক্লাস নেই স্টাফরুমে আলোচনায় মশগুল।মেয়েরা অবসর সময়ে পরচর্চা পছন্দ করে।গৌরীদি বললেন,ওর হাজব্যাণ্ড . ছিল কমল চৌধুরী আসলে কামাল চৌধুরী।
 সেজন্যই মনে হয় আবার বিয়েতে আগ্রহ নেই।
  দেখুন বাইরে থেকে অনুমান করে কিছু বলা ঠিক না।
ঘণ্টা পড়তে আলোচনা থেমে যায়।ক্লাসে যাবার জন্য উঠে দাড়ায়।দীপশিখা ক্লাস সেরে স্টাফ রুমে ঢুকতেই সকলে পরস্পর দৃষ্টি বিনিময় করে।দীপশিখা কোনোদিকে না তাকিয়ে চক ডাস্টার রেখে টেবিলের একপ্রান্তে চেয়ার টেনে বসলেন।আরও কয়েকজন সঙ্গে সঙ্গে এলেন।তুলনায় বয়স কম শুক্লা বোস ঢুকে বলল,দীপুদি তোমার শরীর খারাপ?
তোমার কেন এরকম মনে হল?
 না কেমন রুক্ষ রুক্ষ লাগছে।শুক্লা বসতে বসতে বললেন।
ঠোট প্রসারিত করে মৃদু হাসলেন দীপশিখা।ব্যাগ থেকে একটা বই বের করলেন,বইটা কলেজ স্ট্রীট ফুটপাথ হতে কদিন আগে কিনেছেন।শুক্লার মনে যে কথা ভাসছে মুখ ফুটে বলতে পারছে না দীপশিখা বুঝতে পারেন।সে কি বিরহ বেদনায় কাতর কিনা।মনে মনে হাসেন।ভাল আছেন খুব ভাল আছেন।বইটা রেখে টয়লেটে গেলেন।চোখে মুখে জল দিয়ে আয়না নিজেকে ভাল করে দেখলেন।রুক্ষ রুক্ষ লাগছে কিনা।চুলগুলো এক্টূ এলোমেলো।কয়েকবার ভিজে হাত বোলালেন।
একা একা তার ভালই কেটে যাচ্ছে।বিয়ের আগে তো একাই ছিল।বিয়ে করে একটা অভিজ্ঞতা হল মন্দ কি?মিথ্যে সম্পর্ক অহেতুক বয়ে বেড়ানোর কোনো অর্থ হয় না।
 
    

 
Like Reply
(19-07-2022, 11:15 PM)nextpage Wrote: হৃদয় বিদারক আপডেট নিয়ে ফিরে এলেন..
দাদার গল্পে বাবা কে মরতেই হয় কেন?? আবার কোন কোন গল্পে তো মা বাবা দুজনেই কেন?
খুব কষ্ট হয়

বড় ঠিক কথা বলেছেন ভাই
Like Reply
সুমনা কাজ রাঁধুনির নিয়েছে, মনে হচ্ছে ঘটনা কিছুটা অন্যদিকে মোড় নেবে
Like Reply
এখানে এসে গল্পের অনেক গুলো শাখা তৈরী হয়েছে এখন কোন দিকে এগিয়ে যাবে বুঝা মুশকিল..

সুমনার রান্নার কাজ নেয়া, সুখদা রঞ্জনের মানসিক কষ্টের সূচনা, দীপ্তি নামের নতুন চরিত্র।
দেখা যাক কি হয়।
Shy হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই।
 দুইকে আমি এক করি না, এক কে করি দুই।। Shy
[+] 1 user Likes nextpage's post
Like Reply
কি আর বলবো গল্প তো বাস্তব থেকেই ওঠে আসে। দাদা চেষ্টা করুন একটু তাড়াতাড়ি আপডেট দেওয়ার।
horseride আমাকে আমার মত থাকতে দাও horseride
Like Reply
মন ছুয়ে গেছে আজ,চালিয়ে যান ভাই
Like Reply
কে এই দীপশিখা ? 
মনুর mentor ?
রেপু দিলাম ।
Like Reply
ei dhoroner lekha amoulyo. dhonyobad Kumdevda
Like Reply
অসাধারণ
Like Reply
আরো এক নতুন চরিত্র. আশা করি দীপশিখার গল্পে বেশ ভালো ভূমিকা থাকবে.
Like Reply
waiting for update
Like Reply
অনেক দিন হয়ে গেছে এবার একটা বড় আপডেট নিয়ে ফিরে আসুন দাদা অপেক্ষাতে বসে আছি।
horseride আমাকে আমার মত থাকতে দাও horseride
Like Reply
দাদা, আশা করি আপনি ভালো রয়েছেন. এবং খুব শীঘ্রই নতুন পর্ব নিয়ে আসছেন. বরাবরের মতোই প্রবল উৎসাহ আর উত্তেজনা নিয়ে অপেক্ষা করছি.
[+] 1 user Likes ray.rowdy's post
Like Reply
(02-08-2022, 04:49 AM)ray.rowdy Wrote:
দাদা, আশা করি আপনি ভালো রয়েছেন. এবং খুব শীঘ্রই নতুন পর্ব নিয়ে আসছেন. বরাবরের মতোই প্রবল উৎসাহ আর উত্তেজনা নিয়ে অপেক্ষা করছি.

amio
Like Reply
কই ছিলাম এতক্ষণ মনে নাই! অসাধারণ গুরু।
Like Reply




Users browsing this thread: 4 Guest(s)