20-03-2022, 09:14 PM
বিলটু নিজের মন কে শক্ত করে নেয় । মাথার উপর গাংচিল নেই যে বুঝতে পারবে যে আশে পাশে বন্দর রয়েছে । যেখান থেকে শুরু করেছে অর্ধেক চলে এসেছে দ্বীপের শুরু রেখার মতো পাড় ধরে । দু একটা ছোট পাকি উড়ে বেড়াচ্ছে , কিন্তু সে মাপে খুবই ছোট । তাঁর মানে সে ছাড়া এই দ্বীপে দু একটা পাখিও আছে । তাহলে জল নিশ্চয়ই আছে কোথাও । নাহলে পাখি বাঁচবে কি করে । খুঁজতে লাগলো জল । পায়ের প্যান্ট ছিড়ে হাফ প্যান্ট করে নিলো সুবিধা হতো । চাকু নেয় , হাত দিয়ে কি প্যান্ট ছেঁড়া যায়?
পিছনের দিক টা পাথুরে আর সে দিকে সমুদ্র গভীর হয়ে পাথুরে দেয়ালে জলের আছড়ে পড়ার গুড় গুড় করে আওয়াজ আসছে কানে । দ্বীপের সব জায়গা গুড়ি গুড়ি ছোট্ট কাঁকড়ার মতো পোকা , কামড়ায় না দাঁড়া গুলো খুবই নরম , হয় তো বাচ্ছা কাঁকড়া হবে । লোক টার কাছে গিয়ে ডাকতে লাগলো "ওহ দাদা শুনছেন ? বেঁচে গেছেন কপাল ভালো । হাতের ঘড়িটা দামি , ঘড়ি চলছে এখনো ১২:২১ বাজে , তবে কি দিন তাঃ লেখা নেই । বিলটু বুঝতে পারে না এক দিন না দু দিন কাটিয়েছে ভেসে ভেসে । তার পুরো শরীর সাদা হয়ে গেছে , চামড়া পচে । মাথা নিচে করে থাকা মানুষ টাকে দু হাথে চিৎ করে নিজেই ভয়ে চেঁচিয়ে হামা গুড়ি দিয়ে পিছনে চলে আসলো তার শরীর ছেড়ে দিয়ে । মাছেরা চোখ খুবলে নিয়েছে , আর ঠোঁটের নরম মাংস খেয়ে নিয়েছে সামুদ্রিক কাংড়া । তাই বিষৎস দেখতে লাগছে মুখ । মারা গেছে অনেক আগেই । মাথাটা সামনে থেকে ফাটা , ঘুলু নেয় বললেই চলে । না এই এক নির্জন দ্বীপে একটা মরার সাথে থাকতে হবে ! উফফ ভাবা যাচ্ছে না ।
তবুও গায়ের জোরে টেনে জল থেকে ঝোপে টেনে টেনে নিয়ে রেখে দিলো শরীর টা , আর ভালো করে লতায় পাতায় ঢেকে দিলো । ইচ্ছা হলো মাটি খুঁড়ে শরীর টা চাপা দিতে পারলে ভালো হতো । কিন্তু বালি খুঁড়বে কি করে । তার পর কি মনে করে সেই ভদ্র লোকের মুখের দিকে না তাকিয়ে হাতড়ে দেখতে চাইলো যদি পকেটে পরিচয় পাওয়া যায় । বেঁচে থাকলে তাঁর পরিবার কে জানানো যাবে । পকেট থেকে বেরোলো দামি সিগারেটের চুপ চুপে ভিজে বাক্স , একটা দামি গ্যাস লাইটার । খুব আনন্দ পেলো সে । লাইটার অন্তত তাঁর বেশ কিছু দিন কাজে লাগবে । যত দিন গ্যাস আছে , বাঁচবার জন্য দুটো জিনিস চাই একটা জল আর আরেকটা আগুন । পকেটের মানিব্যাগে ভর্তি টাকা , চুপসে রয়েছে , ইডেনটি কার্ড , লেখা নির্মলেন্দু মন্ডল , রিজিওনাল জোনাল ম্যানেজার , এশিয়ান পেন্টস, আরো অনেক ব্যাংকের কার্ড । আর একটা ছবি , জলে ধুয়ে গেলেও বোঝা যাচ্ছে তার বৌ আর মেয়ের সাথে দাঁড়িয়ে তোলা ফটো । পরিবারটার কি হবে ভেবেই শিউরে ওঠে বিলটু ।
ঘড়িটাও হাত থেকে খুলে নিলো বিলটু, অন্তত সময় দেখতে পাবে , যদি ঠিক থাকে চলে ঘড়িটা । প্যান্টের বেল্ট খুলে নিলো , খুলে নিলো পায়ের জুতো টা । এই বালি মাটিতে হাটতে খুব কাজে লাগবে ।
তৃষ্ণায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে , একটু জল চাই, একটু জল ।অসহায় হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে ওঠে । নোনা জল মুখে নিয়ে খেয়ে বমি করে পাগলের মতো । এতো মিষ্টি জলের তৃষ্ণা । জল চাই জল । পাগলের মতো ডাকতে থাকে এদিকে ওদিকে বিলটু । কেউ আছো এখানে জল দাও জল । সামনেই এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা জিনিস কিন্তু একটাও ব্যবহারের নয় । সব সমুদ্র থেকে ভেসে এসেছে । শুধু সেই জিনিস গুলো সাক্ষীর মতো পরে আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মানুষের সভ্যতার ইতিহাসের নিদর্শন হয়ে । বেশির ভাগই মোটা দড়ি , প্লাস্টিকের দু একটা ফাটা বহু পুরোনো বোতল ।খালি বিয়ারের বোতল আর ক্যান নাম উঠে গেছে পড়ে থেকে থেকে । প্রায় শেষ প্রান্তে হেটে চলে এসেছে দ্বীপের সরু সৈকত ধরে । জোর করে রেখেছে এক জায়গায় যা যা দরকারি সে গুলো । লাইটার টা না শুকোলে জ্বলবে না ।
সামনেই পাথরের চাই খাড়া নেমে গেছে সমুদ্রের বুকে , সেদিকে মানুষ যেতে পারবে না । আর সেরকমই ভাঙা ক্ষয়ে যাওয়া পাথরের দেওয়াল ঘিরে অর্ধ চন্দ্রাকৃতি এই দ্বীপ ।সে যে দিকে দাঁড়িয়ে আছে চাঁদের কনকেভ গোলাকৃতি ভাগে , আর কনভেক্স দিকটায় দুর্গম যেদিকে সমুদ্র আছড়ে পড়ছে ঢেউ খেলে খেলে । সেই জন্যই বোধ হয় এই দ্বীপ টা তৈরী হয়েছে । জোয়ার আসলে ডুবেও যায় মনে হয় । তাই এখানে মানুষ থাকবার প্রশ্নই ওঠে না ।
যে দিকটায় বিলটুর শরীর ভেসে উঠেছিল , ওই জায়গাটাই থাকবার পক্ষে আদর্শ । বালিয়াড়ি পেরিয়ে গেলেই সামনে আরো দুটো দুটো গাছ দাঁড়িয়ে । একটু বড়ো মাপের , সেখানেই পাখিদের কিচমিচ । তাও আহামরি বড়ো নয় সাকুল্যে চারটে করে ডাল বা শাখা হবে । কি গাছ সে জানে না । ঘুরে ফায়ার যেতে চাইলো দ্বীপের অন্য দিকে । হাঁটলে ৩০ মিনিটেই এক পার থেকে অন্য পারে যাওয়া যাবে । দূরে কোত্থাও কোনো জাহাজ দেখা যাচ্ছে না । ইশ যদি একটু লাল কাপড় থাকতো । তাহলে তা নাড়িয়ে জাহাজ কে দেখানো যেত । আগে জল চাই জল ।বালিতে হাঁটলে খুব পিপাসা লাগে । শরীর টেনে ধরছে তাঁর । হটাৎ পাগলের মতোধার ঘেঁষা সেই গাছ দুটোর দিকে ঝোপ ঝাঁপ পেরিয়ে দৌড়াতে লাগলো বিলটু । যে দিকে সমুদ্র পাথরের দেয়ালে আছড়ে পড়ছে , তার উল্টো দিকে ধার ঘেঁষা পাথরের দেয়াল বেয়ে চুইয়ে জমা হয়েছে জল , আর সেই জলে জমে উঠেছে শেওলা । সেখান থেকেই বেশির ভাগ সবুজ ঝোপ ঝাড় বেড়ে উঠে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দ্বীপ টায় ।
অপেক্ষা না করে ক্ষুধার্তের মতো হাচড়ে কামড়ে সেই পাথুরে দেয়ালের খাজে চড়ে চাটতে লাগলো দেয়ালের ঘাম । হ্যাঁ মিষ্টি , প্রাণ ভোরে চাটলো দেয়াল । কিন্তু গ্লাস ভরে জল চাই । তৃষ্ণা মিটলো খানিকটা মাটি চেটে । এই জল খায় এই পাখিগুলো ।নিচের বালি মেশানো জল মাটিতে মুখ লাগিয়ে চো চো করে পেট ভরানোর চেষ্টা করলো টেনে । উফফ যেন প্রাণ ফিরে পেলো । জলের সমস্যার একটা সমাধান দরকার । একটু কাপড় পেলেই জলের সমস্যার সমাধান হবে ।
সন্তর্পনে পাথরের খাজ বেয়ে আবার বিলটু উঠে আসলো বালিয়াড়ির দিকে । নাঃ ফিরে অন্য দিকটাও দেখতে হবে । ধুর নিকুচি করেছে ব্যাথার । ভালো লাগছে খুব জীবনের প্রথম স্বাধীনতা , এক একটাই দ্বীপের রাজা সে , যা খুশি তাই করবে । মনে গায়ে জোর এসেছে জল খেয়ে । ফিরে যাবে মনে হলো একটা হাত ব্যাগ মেয়েদেরই হবে , এগিয়ে গিয়ে তুলে নিলো । খুলে দেখলো , এক গোছা টাকা কোন দেশের ভাষা জানে না , ভিজে নেতিয়ে গেছে । মেয়েদের সাজ গোজের জিনিস। একটা ছোট ছাতা পেয়ে আনন্দে লাফিয়ে উঠলো সে । খাবার ব্যবস্থাও হয়ে যাবে । এবার । আরো হাতড়াতে লাগলো সে । হ্যাঁ ইউরেকা ইউরেকা পাওয়া গিয়েছে । একটা নেল কাটার । ব্যাস আর কিছু চাই না , শুধু পরিষ্কার কাপড় চাই । ড্রাইভিং লাইসেন্স এ নাম পড়লো মার্তা জেনিস , ইউক্রেন । মহিলাটি নিশ্চয়ই মারা গেছে । ঘুরে এগিয়ে যেতে লাগলো আনমনা হয়ে , তার আগে ব্যাগটা তুলে রেখে দিলো বড়ো গাছটার ডালে ঝুলিয়ে ।
পিছনের দিক টা পাথুরে আর সে দিকে সমুদ্র গভীর হয়ে পাথুরে দেয়ালে জলের আছড়ে পড়ার গুড় গুড় করে আওয়াজ আসছে কানে । দ্বীপের সব জায়গা গুড়ি গুড়ি ছোট্ট কাঁকড়ার মতো পোকা , কামড়ায় না দাঁড়া গুলো খুবই নরম , হয় তো বাচ্ছা কাঁকড়া হবে । লোক টার কাছে গিয়ে ডাকতে লাগলো "ওহ দাদা শুনছেন ? বেঁচে গেছেন কপাল ভালো । হাতের ঘড়িটা দামি , ঘড়ি চলছে এখনো ১২:২১ বাজে , তবে কি দিন তাঃ লেখা নেই । বিলটু বুঝতে পারে না এক দিন না দু দিন কাটিয়েছে ভেসে ভেসে । তার পুরো শরীর সাদা হয়ে গেছে , চামড়া পচে । মাথা নিচে করে থাকা মানুষ টাকে দু হাথে চিৎ করে নিজেই ভয়ে চেঁচিয়ে হামা গুড়ি দিয়ে পিছনে চলে আসলো তার শরীর ছেড়ে দিয়ে । মাছেরা চোখ খুবলে নিয়েছে , আর ঠোঁটের নরম মাংস খেয়ে নিয়েছে সামুদ্রিক কাংড়া । তাই বিষৎস দেখতে লাগছে মুখ । মারা গেছে অনেক আগেই । মাথাটা সামনে থেকে ফাটা , ঘুলু নেয় বললেই চলে । না এই এক নির্জন দ্বীপে একটা মরার সাথে থাকতে হবে ! উফফ ভাবা যাচ্ছে না ।
তবুও গায়ের জোরে টেনে জল থেকে ঝোপে টেনে টেনে নিয়ে রেখে দিলো শরীর টা , আর ভালো করে লতায় পাতায় ঢেকে দিলো । ইচ্ছা হলো মাটি খুঁড়ে শরীর টা চাপা দিতে পারলে ভালো হতো । কিন্তু বালি খুঁড়বে কি করে । তার পর কি মনে করে সেই ভদ্র লোকের মুখের দিকে না তাকিয়ে হাতড়ে দেখতে চাইলো যদি পকেটে পরিচয় পাওয়া যায় । বেঁচে থাকলে তাঁর পরিবার কে জানানো যাবে । পকেট থেকে বেরোলো দামি সিগারেটের চুপ চুপে ভিজে বাক্স , একটা দামি গ্যাস লাইটার । খুব আনন্দ পেলো সে । লাইটার অন্তত তাঁর বেশ কিছু দিন কাজে লাগবে । যত দিন গ্যাস আছে , বাঁচবার জন্য দুটো জিনিস চাই একটা জল আর আরেকটা আগুন । পকেটের মানিব্যাগে ভর্তি টাকা , চুপসে রয়েছে , ইডেনটি কার্ড , লেখা নির্মলেন্দু মন্ডল , রিজিওনাল জোনাল ম্যানেজার , এশিয়ান পেন্টস, আরো অনেক ব্যাংকের কার্ড । আর একটা ছবি , জলে ধুয়ে গেলেও বোঝা যাচ্ছে তার বৌ আর মেয়ের সাথে দাঁড়িয়ে তোলা ফটো । পরিবারটার কি হবে ভেবেই শিউরে ওঠে বিলটু ।
ঘড়িটাও হাত থেকে খুলে নিলো বিলটু, অন্তত সময় দেখতে পাবে , যদি ঠিক থাকে চলে ঘড়িটা । প্যান্টের বেল্ট খুলে নিলো , খুলে নিলো পায়ের জুতো টা । এই বালি মাটিতে হাটতে খুব কাজে লাগবে ।
তৃষ্ণায় ছাতি ফেটে যাচ্ছে , একটু জল চাই, একটু জল ।অসহায় হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে ওঠে । নোনা জল মুখে নিয়ে খেয়ে বমি করে পাগলের মতো । এতো মিষ্টি জলের তৃষ্ণা । জল চাই জল । পাগলের মতো ডাকতে থাকে এদিকে ওদিকে বিলটু । কেউ আছো এখানে জল দাও জল । সামনেই এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা জিনিস কিন্তু একটাও ব্যবহারের নয় । সব সমুদ্র থেকে ভেসে এসেছে । শুধু সেই জিনিস গুলো সাক্ষীর মতো পরে আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মানুষের সভ্যতার ইতিহাসের নিদর্শন হয়ে । বেশির ভাগই মোটা দড়ি , প্লাস্টিকের দু একটা ফাটা বহু পুরোনো বোতল ।খালি বিয়ারের বোতল আর ক্যান নাম উঠে গেছে পড়ে থেকে থেকে । প্রায় শেষ প্রান্তে হেটে চলে এসেছে দ্বীপের সরু সৈকত ধরে । জোর করে রেখেছে এক জায়গায় যা যা দরকারি সে গুলো । লাইটার টা না শুকোলে জ্বলবে না ।
সামনেই পাথরের চাই খাড়া নেমে গেছে সমুদ্রের বুকে , সেদিকে মানুষ যেতে পারবে না । আর সেরকমই ভাঙা ক্ষয়ে যাওয়া পাথরের দেওয়াল ঘিরে অর্ধ চন্দ্রাকৃতি এই দ্বীপ ।সে যে দিকে দাঁড়িয়ে আছে চাঁদের কনকেভ গোলাকৃতি ভাগে , আর কনভেক্স দিকটায় দুর্গম যেদিকে সমুদ্র আছড়ে পড়ছে ঢেউ খেলে খেলে । সেই জন্যই বোধ হয় এই দ্বীপ টা তৈরী হয়েছে । জোয়ার আসলে ডুবেও যায় মনে হয় । তাই এখানে মানুষ থাকবার প্রশ্নই ওঠে না ।
যে দিকটায় বিলটুর শরীর ভেসে উঠেছিল , ওই জায়গাটাই থাকবার পক্ষে আদর্শ । বালিয়াড়ি পেরিয়ে গেলেই সামনে আরো দুটো দুটো গাছ দাঁড়িয়ে । একটু বড়ো মাপের , সেখানেই পাখিদের কিচমিচ । তাও আহামরি বড়ো নয় সাকুল্যে চারটে করে ডাল বা শাখা হবে । কি গাছ সে জানে না । ঘুরে ফায়ার যেতে চাইলো দ্বীপের অন্য দিকে । হাঁটলে ৩০ মিনিটেই এক পার থেকে অন্য পারে যাওয়া যাবে । দূরে কোত্থাও কোনো জাহাজ দেখা যাচ্ছে না । ইশ যদি একটু লাল কাপড় থাকতো । তাহলে তা নাড়িয়ে জাহাজ কে দেখানো যেত । আগে জল চাই জল ।বালিতে হাঁটলে খুব পিপাসা লাগে । শরীর টেনে ধরছে তাঁর । হটাৎ পাগলের মতোধার ঘেঁষা সেই গাছ দুটোর দিকে ঝোপ ঝাঁপ পেরিয়ে দৌড়াতে লাগলো বিলটু । যে দিকে সমুদ্র পাথরের দেয়ালে আছড়ে পড়ছে , তার উল্টো দিকে ধার ঘেঁষা পাথরের দেয়াল বেয়ে চুইয়ে জমা হয়েছে জল , আর সেই জলে জমে উঠেছে শেওলা । সেখান থেকেই বেশির ভাগ সবুজ ঝোপ ঝাড় বেড়ে উঠে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দ্বীপ টায় ।
অপেক্ষা না করে ক্ষুধার্তের মতো হাচড়ে কামড়ে সেই পাথুরে দেয়ালের খাজে চড়ে চাটতে লাগলো দেয়ালের ঘাম । হ্যাঁ মিষ্টি , প্রাণ ভোরে চাটলো দেয়াল । কিন্তু গ্লাস ভরে জল চাই । তৃষ্ণা মিটলো খানিকটা মাটি চেটে । এই জল খায় এই পাখিগুলো ।নিচের বালি মেশানো জল মাটিতে মুখ লাগিয়ে চো চো করে পেট ভরানোর চেষ্টা করলো টেনে । উফফ যেন প্রাণ ফিরে পেলো । জলের সমস্যার একটা সমাধান দরকার । একটু কাপড় পেলেই জলের সমস্যার সমাধান হবে ।
সন্তর্পনে পাথরের খাজ বেয়ে আবার বিলটু উঠে আসলো বালিয়াড়ির দিকে । নাঃ ফিরে অন্য দিকটাও দেখতে হবে । ধুর নিকুচি করেছে ব্যাথার । ভালো লাগছে খুব জীবনের প্রথম স্বাধীনতা , এক একটাই দ্বীপের রাজা সে , যা খুশি তাই করবে । মনে গায়ে জোর এসেছে জল খেয়ে । ফিরে যাবে মনে হলো একটা হাত ব্যাগ মেয়েদেরই হবে , এগিয়ে গিয়ে তুলে নিলো । খুলে দেখলো , এক গোছা টাকা কোন দেশের ভাষা জানে না , ভিজে নেতিয়ে গেছে । মেয়েদের সাজ গোজের জিনিস। একটা ছোট ছাতা পেয়ে আনন্দে লাফিয়ে উঠলো সে । খাবার ব্যবস্থাও হয়ে যাবে । এবার । আরো হাতড়াতে লাগলো সে । হ্যাঁ ইউরেকা ইউরেকা পাওয়া গিয়েছে । একটা নেল কাটার । ব্যাস আর কিছু চাই না , শুধু পরিষ্কার কাপড় চাই । ড্রাইভিং লাইসেন্স এ নাম পড়লো মার্তা জেনিস , ইউক্রেন । মহিলাটি নিশ্চয়ই মারা গেছে । ঘুরে এগিয়ে যেতে লাগলো আনমনা হয়ে , তার আগে ব্যাগটা তুলে রেখে দিলো বড়ো গাছটার ডালে ঝুলিয়ে ।