Thread Rating:
  • 75 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
WRITER'S SPECIAL সৃষ্টি (সমাপ্ত)
(22-03-2022, 06:23 PM)ddey333 Wrote:
Welcome back ...


clps

thank you  thanks
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
(22-03-2022, 05:34 PM)Bumba_1 Wrote: অবশ্যই .. থ্রেড যখন ফিরিয়ে এনেছি, তখন নতুন কিছু উপহার দিতে চলেছি একথা বলাই বাহুল্য।

কবে ? কবে ? কবে ?

❤️❤️❤️
[Image: 20220401-214720.png]
Like Reply
(23-03-2022, 11:15 AM)Bichitro Wrote: কবে ? কবে ? কবে ?

❤️❤️❤️

দিনক্ষণ এখনো ঠিক করা হয়নি। আশা করা যায় সপ্তাহান্তে আসতে পারে।
Like Reply
[Image: Sk.jpg]

বীরাঙ্গণা

ছবিঃ- সুনিথা কৃষ্ণণ (ফাইল চিত্র)
তথ্যসূত্রঃ- দ্য ওয়াল পত্রিকা

সুনিথা কৃষ্ণণ তখন আট বছরের কিশোরী। সেই সময় থেকেই তার মন কাঁদতো অন‍্যের জন্য। নাচ শিখতে শিখতে, সেই বয়েসেই নাচ শেখাতে শুরু করেছিল মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুদের। বয়েস যখন মাত্র ১২ বছর, বস্তির হতদরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য আস্ত একটা স্কুলই করে ফেলেছিল সুনিথা। বস্তিরই এক বাড়িতে। দলিত পরিবারে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য, নিও-লিটারেসি ক্যাম্পেন শুরু করেছিল ১৫ বছর বয়েসে।

মানবে কেন পুরুষ শাসিত সমাজ! পুরুষের সমাজে বড় বেশি মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে পুঁচকে একটা মেয়ে। অতএব এমন শিক্ষা দাও, যাতে সারা জীবন ঘরে মুখ লুকিয়ে থাকে। তাই আটজন পুরুষ মিলে একদিন গণ;., করলো স্বাধীনচেতা, একরত্তি মেয়েটিকে। ভয়ঙ্কর ভাবে মারধর করে জখম করলো। সেই আঘাতে তিনি আজ প্রায় বধির। কিন্তু সেই ঘটনাই সুনিথার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তাঁকে ;., করা হয়েছিল, হত্যার চেষ্টাও, আজ নারী পাচারকারীদের যম সেই সুনিথা কৃষ্ণণ .. 

চোখ থেকে ঝরল না এক ফোঁটা জল। বরং, শক্ত হয়ে গেল সুনিথার চোয়াল। সমাজের দেওয়া কলঙ্কের মুখে চুনকালি মাখিয়ে সুনিথা একা রাস্তায় নামলেন আবার। তাঁর উচ্চতার সামনে এবার মুখ লুকিয়ে ফেললো পুরুষ শাসিত সমাজ।

ব্যাঙ্গালোরের সেন্ট যোসেফ কলেজ থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতক ও ম্যাঙ্গালোর থেকে MSW (medical & psychiatric) করলেন। তারপর একাই ঝাঁপিয়ে পড়লেন, সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীদের ওপর যৌন শোষণ ও নারীপাচার রুখতে।

হলো জেল, হারালেন পরিবার। ১৯৯৬ সালে, ব্যাঙ্গালোরে মিস ওয়ার্ল্ড কম্পিটিশন হতে বাধা দেওয়ায় সুনিথাকে জেলে যেতে হলো। দু’মাসের জেল খেটে বেরিয়ে দেখেন নিজের বাড়ির দরজা তাঁর জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। সুনিথার বাবা মা সুনিথার জীবনযাত্রা পছন্দ করছেন না এবং তাঁদের সামজিক মর্যাদাহানি হচ্ছে সুনিথার জন্য। নিপীড়িতা মেয়েগুলির মতোই সুনিথার জীবন থেকে হারিয়ে গেল তাঁর পরিবার।

সুনিথা একা চলে এলেন হায়দ্রাবাদ। সেই সময় হায়দ্রাবাদের "মেহবুব কী মেহেন্দি" নামের এক কুখ্যাত নিষিদ্ধপল্লী থেকে যৌনকর্মীদের উচ্ছেদ করা হয়। সেই নিষিদ্ধপল্লীর ঘরে যৌনকর্মীদের সন্তানদের জন্য স্কুল এবং পেশা হারানো যৌনকর্মীদের জন্য হাতের কাজ শেখানোর ব্যবস্থা করলেন সুনিথা।

সমাজকে নগ্ন করতে লাগলেন ব্লগের পাতায় পাতায়। শুরু করলেন ব্লগ, Sunitha Krishnan: Anti-Trafficking Crusader” কত শত মেয়ের যন্ত্রণা উঠে এসেছে সুনিথার কলমে। সেখানে আছে একটি ৪ বছরের মেয়ের কথা। যাকে ;., করেছে তারই বাবা, কাকা, দাদা, খুড়তুতো ভাই ও প্রতিবেশীরা। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পাখনা মেলে যখন আমাদের ভারত পৃথিবীতে অর্থনৈতিক দৈত্য হতে চলেছে, সেই সময়ে সুনিথার ব্লগ প্রতি পাতায় আমাদের নগ্ন করে দিতে থাকে।

ব্লগের মাধ্যমে সুনিথা আমাদের জানিয়েছেন, কীভাবে নারী পাচারের নিত্যনতুন পদ্ধতি বার করছে পাচারকারীরা। ক্রীতদাসের চেয়েও খারাপ অবস্থায় রাখা হয় ফুঁসলে আনা মেয়েদের। সঙ্গে চলে নিয়মিত যৌনশোষণ ও মারধোর। যতক্ষণ না মেয়েটি স্বেচ্ছায় গ্রাহকদের দেহ দিতে বাধ্য হয়।

কীভাবে দিনের পর দিন অত্যাচার সয়ে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে চুড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় নিপীড়িতা মেয়েগুলি। বেশিরভাগ মেয়ের জীবন শেষ হয় এইডস দিয়ে। কুকুরের মতো মৃত্যু জোটে তাদের, কোনও কানাগলির এঁদো নর্দমার পাশে শুয়ে।

তাঁর কাছে থাকা সবকিছু বিক্রি করে সুনিথা তৈরি করলেন তাঁর স্বপ্নের সংস্থা ‘প্রজ্জ্বলা‘। পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা মেয়েদের আশ্রয় ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা শুরু করলেন, তাঁর সংস্থা প্রজ্জ্বলা‘র মাধ্যমে। হাতের কাজ শিখিয়ে তাদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে দেওয়া পর্যন্ত নিপীড়িত মহিলাদের পাশেই রইলেন সুনিথা। অন্ধকারে পথ দেখাতে জ্বলে উঠলো 'প্রজ্জ্বলা'।

সব হারিয়ে ফেলা এইসব মেয়েদের জন্য সুনিথা বানালেন আবাসন থেকে শুরু করে কারখানা। যেখানে কার্পেন্ট্রি, ওয়েল্ডিং,প্রিন্টিং, ম্যাসনারি, হাউসকিপিং সহ আরও অনেক তথাকথিত পুরুষালি ট্রেডে ট্রেনিং দেওয়া হয়। করা হয় চাকরির ব্যবস্থাও। এডস আক্রান্তদের চিকিৎসা ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়, অসহায় ও শোষিত মেয়েদের আইনী সহায়তাও দেওয়া হয়, এমনকী এই সব অসহায় মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থাও করে ‘প্রজ্জ্বলা’। আর একটি কাজ করে তার এই সংস্থা। এইডস বা শারীরিক নিগ্রহের কারণে মৃত্যু পথযাত্রী মেয়েদের শেষ ইচ্ছা পূরণ করে এই সংস্থা। অসহায় মেয়েদের জীবনের শেষ মুহূর্তেও পাশে থাকেন সুনিথা।

আজ 'প্রজ্জ্বলা' পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অ্যান্টি-ট্রাফিকিং শেল্টার। সংস্থাটিতে প্রায় ২০০ জন কর্মী আছেন। সবাই বেতন পান, একমাত্র সুনিথা কৃষ্ণণ ছাড়া। ছোট্টবেলার মতো এখনও তিনি পূর্ণ সময়ের স্বেচ্ছাসেবক এবং সংস্থার অবৈতনিক কর্মী। চিত্র পরিচালক স্বামী রাজেশ টাচরিভারের অর্থও সুনিথা নেন না। বই লিখে, নারী পাচারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য পেশ করে যেটুকু অর্থ মেলে, তার থেকে সামান্য নিয়ে বাকিটা তাঁর সংস্থায় দান করে দেন।

এসবেরই ফাঁকে, নারী পাচারের বিরুদ্ধে এক চমকপ্রদ স্লোগান দিয়ে পৃথিবীকে নাড়িয়ে দিয়েছেন সুনিথা। স্লোগান তুলেছেন, “Real Men Don’t Buy Sex”। সারা পৃথিবীতে ১০৮ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে স্লোগানটি।

মানুষকে সচেতন করতে ১৪টি ডকুমেন্টরি ছবি বানিয়েছেন সুনিথা। ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর বিষয় উঠে এসেছে তাঁর ছবিতে। যেমন, যুবসমাজ ও এইডস, শেখদের বিয়ে, অজাচার, নিষিদ্ধপল্লী, নারীপাচার, সাম্প্রদায়িকদাঙ্গা। এর মধ্যে অনেকগুলি ছবি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে ।

সুনিথা পেয়েছেন পদ্মশ্রী (২০১৬) সহ প্রচুর দেশি এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কারও। এমনকী, মালয়ালম ছবির পরিচালক ভিনিথ শ্রীনিবাসন, তাঁকে নিয়ে তৈরি করেছেন তাঁর সাম্প্রতিক ছবি "থিরা"।

আক্রমণের মুখে আজও অবিচল সুনিথা।
বিভিন্ন বয়েসের প্রায় ১২০০০ নারীকে, পাচারকারীদের কবল থেকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করেছেন সুনিথা কৃষ্ণণ। তাঁর চেষ্টায় কয়েক হাজার নারী পাচারকারীকে আজ জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে। তবুও আজ সমাজের বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। এখনও অবধি মোট ১৪ বার শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছেন সুনিথা। আজও ফোনে আসে খুনের হুমকি। গাড়ি চাপা দিয়ে সুনিথাকে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। তাঁর দিকে অ্যাসিডও ছোঁড়া হয়েছে। মানুষপাচারের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করার পুরস্কার, সুনিথাকে এভাবেই ফিরিয়ে দিয়েছে সমাজ।

তবে সুনিথা জানেন, পথ তাঁর কঠিন। যে সমাজে ;.,কারী বুক ফুলিয়ে বেড়ায়, আর ধর্ষিতা ঘরে মুখ লুকিয়ে থাকেন, অন্তত সেই সমাজে তাঁর জন্য কেউ লাল কার্পেট বিছিয়ে রাখবে না। কিন্ত, অন্যায় অনেকসময় আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণের মতোই বের করে আনে ক্ষোভের লাভা। শুরু হয় রুদ্ধশ্বাস প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ। কণ্ঠরোধ করতে এগিয়ে আসে কয়েকশো হাত। তবুও, সুনিথার শক্ত মেরুদন্ড আর নিষ্পলক ঠান্ডা চাউনি তাঁকে জিতিয়ে দেয় প্রতিটি যুদ্ধ।


|| সংগৃহীত || 

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


[+] 7 users Like Bumba_1's post
Like Reply
ধন্যবাদ এরকম একটা লেখা এখানেও আমাদের মাঝে ছড়িয়ে দেবার জন্য। বেশি কিছুই বলার নেই আর. শুধু এইটুকুই যে - মানুষের ভেতরের বসবাসকারী ভালো আর মন্দ দিকের মধ্যে দুই রূপই বর্তমান থাকুক। ভালোর সাথে মন্দেরও প্রয়োজন। কিন্তু সেই মন্দ থাকুক মনের ভেতরেরই আর ভালোটা ছড়িয়ে পড়ুক বাস্তব রূপে। জানি মুখের কথা এসব.... পুরুষ আর নারীর এই সম্পর্ক (প্রেম ও ভালবাসার বিপরীত রূপের কথা বলছি) ওতো সহজে মেটার নয় কারণ জন্ম থেকেই সমাজ আমাদের ব্রেনে কিছু কথা ইনপুট করে দেয় তা চোখের মাধ্যমে হোক বা কানের মাধ্যমে। এর থেকে মুক্তি সম্ভব না হলেও নিজের প্রতি বিশ্বাস ও মায়া ও স্নেহর পরিমান বাড়ালেই অনেকটা ফল পাওয়া সম্ভব। তার সাথে দুস্টুমিও থাকুক না.....

শেষে বলি থ্রেডের নাম এবারে সঠিক দিয়েছো ♥️
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
এটা একটা গল্প হলে খুশি হতাম । বাস্তব বলে হতে পারছি না ।

❤️❤️❤️
[Image: 20220401-214720.png]
[+] 1 user Likes Bichitro's post
Like Reply
(02-04-2022, 06:35 PM)Baban Wrote: ধন্যবাদ এরকম একটা লেখা এখানেও আমাদের মাঝে ছড়িয়ে দেবার জন্য। বেশি কিছুই বলার নেই আর. শুধু এইটুকুই যে - মানুষের ভেতরের বসবাসকারী ভালো আর মন্দ দিকের মধ্যে দুই রূপই বর্তমান থাকুক। ভালোর সাথে মন্দেরও প্রয়োজন। কিন্তু সেই মন্দ থাকুক মনের ভেতরেরই আর ভালোটা ছড়িয়ে পড়ুক বাস্তব রূপে। জানি মুখের কথা এসব.... পুরুষ আর নারীর এই সম্পর্ক (প্রেম ও ভালবাসার বিপরীত রূপের কথা বলছি) ওতো সহজে মেটার নয় কারণ জন্ম থেকেই সমাজ আমাদের ব্রেনে কিছু কথা ইনপুট করে দেয় তা চোখের মাধ্যমে হোক বা কানের মাধ্যমে। এর থেকে মুক্তি সম্ভব না হলেও নিজের প্রতি বিশ্বাস ও মায়া ও স্নেহর পরিমান বাড়ালেই অনেকটা ফল পাওয়া সম্ভব। তার সাথে দুস্টুমিও থাকুক না.....

শেষে বলি থ্রেডের নাম এবারে সঠিক দিয়েছো ♥️

হ্যাঁ, যেহেতু এখানে কবিতা, গল্প, আত্মকথন, প্রতিবেদন .. সবকিছুই আছে/থাকবে .. তখন গল্পগুচ্ছ নামটা বেমানান মনে হচ্ছিল আমার, তাই পাল্টে দিলাম। 
আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে এই ফোরামে। যারা কমেন্ট করে না কিন্তু পড়ে চলে যায় .. তাদের মধ্যে একজন একটু আগে আমার এই প্রতিবেদনটি দেখে হোয়াটসঅ্যাপে লিখলো "এটা দেওয়ার পরে তোর ওই ইরোটিক উপন্যাসের একটা লাইনও বেরোবে তোর হাত দিয়ে?" 
আমি উত্তরে লিখলাম "এই প্রতিবেদনটা তো বাস্তব, কিন্তু গোলকধাঁধায় গোগোল .. ওটা তো কল্পনা।" আর তার সঙ্গে তোমার করা মন্তব্যটা একবার পড়তে বললাম, তাহলেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
(02-04-2022, 06:41 PM)Bichitro Wrote: এটা একটা গল্প হলে খুশি হতাম । বাস্তব বলে হতে পারছি না ।

❤️❤️❤️

খুশি হতে পারছো না? অদ্ভুত ব্যাপার!! এই প্রতিবেদন একটা নতুন দিনের আলো 
একজন সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার কাহিনী। আমাদের গর্ববোধ করা উচিত।
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া ভালো লাগল পড়ে

আপনাদের সাথে শেয়ার করছি 
*********
*চলার পথে
 
সুদীপ মজুমদার 
 
_(সুদীপ ক্যালিফোর্নিয়াতে থাকেন, Oracle- বহুদিন কাজ করছেন)_                                      
 
জীবনে চলার পথে তো কত মণিমুক্তোর সঙ্গে পরিচয় হয়, আজ একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি কিছুদিন আগে বন্ধু দীপেশ মানে প্রফেসর দীপেশ চক্রবর্তী এসেছিলেন শিকাগো থেকে Berkeley- Haas ম্যানেজমেন্ট স্কুলে ওয়ার্কশপ-এর জন্য ব্যস্ত মানুষ, ওনার সঙ্গে সময় কাটানো একটা খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা আমার জন্য বললাম, আপনাকে এয়ারপোর্ট থেকে বার্কলে নিয়ে যাবো আর পরের দিন ভোরে Haas স্কুল এর গেস্ট হাউস থেকে নিয়ে এয়ারপোর্টে দিয়ে আসব দীপেশ খুব ইন্টারেস্টিং (আমার দীপেশদা বলা উচিত কিন্তু বলি না, সেখানেও প্রচুর লজিক আছে) উনি ফিজিক্সের খুব ভালো ছাত্র সেখান থেকে IIM কলকাতা ঐখানে প্রফেসর বরুন দে- সঙ্গ পেয়ে একদম সুইচ -ইতিহাসে ! এখন আন্তর্জাতিক  খ্যাতিসম্পন্ন ঐতিহাসিক জ্ঞানের অজস্র পরিবেশে ঘোরাফেরা আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন তাই সেই সব খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জিজ্ঞেস করছিলাম নিজের কথা কিছুতেই বলতে চান  না - "বিদ্যা দদাতি বিনয়ম" খুব সুন্দর কাটলো সময়টা 
 
পরের দিন ভোর :৩০- Haas স্কুল এর গেস্ট হাউসে পৌঁছে গেছি দীপেশ বলল, আমার এক বন্ধুও যাবে airport- আমাদের সঙ্গে, প্রফেসর ব্রায়ান হ্যাচার ব্রায়ান আমার পাশে বসলেন আর পেছনের সিটে দীপেশ কথায় কথায় জিজ্ঞেস করলাম কী সাবজেক্ট পড়ান ? বললেন, আগে কেমিস্ট্রি পড়াতাম এখন থিওলজি পড়াই Boston-এর Tuft University-তে ওরে ব্বাস, ভাবছি transitionটা কি রকম সাংঘাতিক! বুঝলাম অন্য স্তরের মানুষ - দীপেশ-এর মতোই জানতাম না 'পিকচার আভি বাকি হ্যায়' বললেন, "তুমি মারাঠি না বাঙালি?" বললাম বাঙালি কষ্ট করে মুখ বন্ধ করে রাখলাম যারা আমাকে চেনে তাদের মতে সেটা খুব কঠিন বিশেষ করে ভাবলাম বন্ধু চয়নে দীপেশ-এর খ্যাতি যেন অক্ষত থাকে কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার বাংলাতে শুনি "বীরসিংহের সিংহ শিশু বিদ্যাসাগর বীর" চমকে উঠে দেখলাম প্রফেসর হ্যাচার আবৃত্তি করছেন বিরাট চমকানোর পালা ; আমতা আমতা করছি এতো সুন্দর বাংলা - তার উপর বিদ্যাসাগর ! গান্ধী হলেও এদেশে তবু বোঝা যেত বললেন Yale- থেকে যখন কেমিস্ট্রি পড়ছি তখন সিনথেটিক কেমিস্ট্রিতে প্রফেসর পি সি রায়-এর পেপার পড়তে হয়েছে (উনি বলছেন আর আমি 'প্রসেস' করছিলাম আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় -'জন শিক্ষিত ভারতীয় আজকাল জানে এনাদের নাম বা কাজ?) প্রফেসর হ্যাচার বলে চলেছেন - "তখন একটা অদ্ভুত ভাব এলো! Colonial জায়গাতে এই রকম অসাধারণ অরিজিনাল কাজ কিভাবে সম্ভব হল? তারপর গেছি Harvard- মাস্টার্স করতে সেখানে সোশ্যাল সায়েন্স-এর কোর্সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাজ চেতনা নিয়ে পড়তে হলো দেখলাম এরা সবাই বাঙালী ভাবলাম জায়গাটা দেখে আসি কী কারণে এই ধরণের ব্রাইট মাইন্ড-রা colonized ছিলেন! তাই মাস্টার্স-এর সময় Overseas study নিয়ে চলে গেলাম  শান্তিনিকেতনে বাংলা শিখবো বলে যাতে এই বাংলা আর বাঙালিকে ঠিকঠাক বুঝতে পারি কি কারণে colonialism গেঁড়ে বসেছে আমার একটা সুবিধে আছে - মাস চেষ্টা করলে একটা নতুন ভাষা শিখে যেতে পারি ওই শান্তিনিকেতনেই  বিদ্যাসাগর মশাই-এর নাম প্রথম শুনি ভাবি, খুব ইন্টারেষ্টিং চরিত্র তো ওনাকে তো তাহলে স্টাডি করতে হচ্ছে তারপর রিসার্চ করি এক বছরের জায়গায় তিন বছর থেকে গেলাম বিদ্যাসাগরকে কিছুটা বুঝতে পুরোটা বোঝা এক জন্মে সম্ভব নয়!"
 
আমি বাকরুদ্ধ বললেও কম বলা হয় Accident বাঁচিয়ে slowest স্পীডে গাড়ি চালাচ্ছি যতটা সময় পাওয়া যায়, আমার পক্ষে ততই সুখকর আমার হাঁ মুখটা বন্ধ হবার পর বললেন, "বিদ্যাসাগর-এর ওপর খন্ডের বই বেরিয়েছে হার্ভার্ড প্রেস থেকে" বললাম "বিদ্যাসাগর-এর জেলার ছেলে বলে মনে মনে একটা সূক্ষ্ম গর্ব আছে আপনার কথা শোনার পর, আমি আর কথা বলার মতো অবস্থাতে নেই" পরিষ্কার বাংলায় বললেন, "আমার কেমিস্ট্রি থেকে থিওলজিতে সুইচ-এর কারণ এই বিদ্যাসাগর ওনার ব্যাগ থেকে বের করলেন বিদ্যাসাগর এর head shot এর সেই বিখ্যাত ছবি এয়ারপোর্ট এসে গেলো 
 
দীপেশ বললো, “মন ভরল না তো?” বললাম, "আপনারা সরস্বতীর বরপুত্র আমাদের এই যে সঙ্গ প্রসাদ দিচ্ছেন তাই আমার কাছে অনেক!" তাকিয়ে রইলাম প্রফেসর Hatcher এর চলে যাওয়া - “স্বদেশে পূজ্যতে রাজা,
বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতেআর ভাবছিলাম পাঁচ ফুট চার ইঞ্চির ওই নিঃসঙ্গ, যিনি নিজের চরিত্র লক্ষ্য নিজেই গড়তেন, ওই মানুষটির কথা  
 
বিদ্যাসাগর-এর দুশো বছরের জন্মদিনে দীপেশ, প্রফেসর Hatcher-এর কথা মনে পড়ে গেলো, তাই ভাবলাম চটপট লিখে ফেলি 
 
Ohh, yes the book referred to is titled: *Vidyasagar : Life and afterlife of an Eminent Indian*

[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
(02-04-2022, 06:49 PM)Bumba_1 Wrote: খুশি হতে পারছো না? অদ্ভুত ব্যাপার!! এই প্রতিবেদন একটা নতুন দিনের আলো 
একজন সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার কাহিনী। আমাদের গর্ববোধ করা উচিত।

একটা সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার কাহিনী তে যত না খুশি হয়েছি তার থেকে বেশি অখুশি হয়েছি পুরুষদের অত্যাচার শুনে । নিজে একটা পুরুষ ই তো

❤️❤️❤️
[Image: 20220401-214720.png]
[+] 1 user Likes Bichitro's post
Like Reply
(02-04-2022, 07:15 PM)ddey333 Wrote: এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া ভালো লাগল পড়ে

আপনাদের সাথে শেয়ার করছি 
*********
*চলার পথে
 
 
Ohh, yes the book referred to is titled: *Vidyasagar : Life and afterlife of an Eminent Indian*


ভালো লাগলো 
Like Reply
Exclamation 
(02-04-2022, 07:34 PM)Bichitro Wrote: একটা সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার কাহিনী তে যত না খুশি হয়েছি তার থেকে বেশি অখুশি হয়েছি পুরুষদের অত্যাচার শুনে । নিজে একটা পুরুষ ই তো

❤️❤️❤️

১০০% সহমত তোমার সঙ্গে 
Like Reply
যে কটা ডকুমেন্টারি ফিল্মের নাম বললে সেগুলোর মধ্যে শেখদের বিয়ে আর অজাচার - এই দুটো দেখার ইচ্ছা আছে। 

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 1 user Likes Sanjay Sen's post
Like Reply
(02-04-2022, 09:59 PM)Sanjay Sen Wrote: যে কটা ডকুমেন্টারি ফিল্মের নাম বললে সেগুলোর মধ্যে শেখদের বিয়ে আর অজাচার - এই দুটো দেখার ইচ্ছা আছে। 

as you wish
Like Reply
অপারেশনের ডেট কবে ফাইনাল হলো? ভ্যানিলার জন্মদিন কি এবার ওখানেই পালন হবে?

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

Like Reply
(03-04-2022, 05:37 PM)Sanjay Sen Wrote: অপারেশনের ডেট কবে ফাইনাল হলো? ভ্যানিলার জন্মদিন কি এবার ওখানেই পালন হবে?

OT - 13th .. না না ওখানে হবে কেনো? সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে 15th ফেরার কথা আমার। schedule date এই celebration হবে।

[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
(03-04-2022, 06:04 PM)Bumba_1 Wrote: OT - 13th .. না না ওখানে হবে কেনো? সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে 15th ফেরার কথা আমার। schedule date এই celebration হবে।


সবকিছু ঠিকঠাকই থাকবে, চিন্তার কোনো কারণ নেই, আমরা সবাই তোমার সঙ্গে আছি।


মেনু কি?

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 1 user Likes Sanjay Sen's post
Like Reply
(03-04-2022, 06:29 PM)Sanjay Sen Wrote: সবকিছু ঠিকঠাকই থাকবে, চিন্তার কোনো কারণ নেই, আমরা সবাই তোমার সঙ্গে আছি।


মেনু কি?

Elaborately তো বলতে পারবো না .. তবে ও যা খেতে ভালোবাসে, সবকিছুই হবে।
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply
(28-06-2021, 03:05 PM)Bumba_1 Wrote: প্রতিমা বিসর্জনের আগে দশমীর দিন 'সিঁদুরখেলা' পর্বটি কম্পাউন্ডে উপস্থিত আমাদের সবার কাছে বিশেষ করে আমাদের থেকে বড়ো দাদারা এবং কম বয়সী আর বেশী বয়সী আঙ্কেলদের কাছে ছিল নয়নাভিরাম এবং আনন্দদায়ক একটি অনুষ্ঠান। বিদেশি বড়কর্তার আদেশসূচক অনুরোধে পৃথিবী ওলট-পালট হয়ে গেলেও 'গোরি মেম' এর ওই 'সিঁদুরখেলায়' অংশগ্রহণ আবশ্যক ছিল। যাই হোক, তারপর দশমীর বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনের পর থেকে শুরু হতো আমাদের সবার মন খারাপ .. আবার অপেক্ষা সামনের বছরের জন্য।

tar mane tomar baba je company te kaaj korto sekhankar Malik foreigner chilo & they loved to see gori mem in sindur khela, isn't it?

[Image: Images-2-2-1.jpg]

Like Reply
(18-04-2022, 09:38 AM)Somnaath Wrote: tar mane tomar baba je company te kaaj korto sekhankar Malik foreigner chilo & they loved to see gori mem in sindur khela, isn't it?

এত বড় একটা থ্রেড, এতগুলো গল্প এবং কবিতা .. এত কিছুর মধ্যে শুধু এই কয়েকটা লাইন হাঁসের মতো তুলে নিলে? 

যাইহোক, প্রশ্ন যখন করেছো, উত্তর তো দিতেই হবে .. হ্যাঁ, যখন বাবা ওখানে চাকরি করতেন তখন পর্যন্ত সাহেবদের হাতেই শতকরা কিছু অংশের মালিকানা ছিলো, এখন পুরোটাই গুজরাটিরা অধিগ্রহণ করেছে। এবার আসি  গোরি মেম এর প্রসঙ্গে। উনি কারোর স্ত্রী এবং মা হলেও সবার আগে তিনি একজন নারী। এহেন একজন গৌরবর্ণা, সুন্দরী, শিক্ষিতা‌ নারীর উপস্থিতি বিভিন্ন বয়সী পুরুষেরা উপভোগ করবে .. এটাই তো স্বাভাবিক।
[+] 1 user Likes Bumba_1's post
Like Reply




Users browsing this thread: 35 Guest(s)