Thread Rating:
  • 7 Vote(s) - 3.29 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
ভাগ্য
#1
Ekta chotto chesta korte jachhi... golper idea tao ekti story thekei peyechi... setai ami nijer moto kore lekhar chesta... kichu new elements add kore kichu purono elements bad diye... bhalo lagle janaben likes ba comment kore!!
...
[+] 1 user Likes Iesha's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#2
Update:1
অভিজিৎ বাবু সোফাতে বসে আনমনা হয়ে TV এর চ্যানেল পাল্টে যাচ্ছিলেন। হটাৎ একটা খবরের দিকে নজর যেতেই উনি থমকে গেলেন। TV anchor টি বলছিলেন: A MLA has been caught red handed two days ago for money laundering. security officer officials has stated that they were tracking his activities for past few months and they also disclosed that he is also involved with many other illegal activities like drug supplies, women trafficking and many more. Source says that this person turns out to be a....
'কি হবে এসব দেখিয়ে..আজ নয় কাল টাকার জোরে ঠিক বেরিয়ে যাবে এই সব জানোয়ার' বলে অভিজিৎ বাবু চ্যানেল টা চেঞ্জ করে দিলেন আর কিছু না শুনেই। কিছুক্ষণ পরে TV অফ করে দিয়ে নিজের ঘরে গেলেন। ঘরে ঢুকে কিছুক্ষণ তিনি তার ঘুমন্ত কন্যা এর দিকে তাকিয়ে রইলেন তারপর সেই ছোট্ট মেয়েটির কপালে একটি ছোট্ট চুমু এঁকে দিয়ে tar মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে নিজেও তার পাশে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।
স্বপ্নে দেখলেন কেউ যেন ওনার মেয়েকে ওনার কাছ থেকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। মেয়েটি 'বাবা বাবা' বলে চিৎকার করছে, অভিজিৎ বাবু প্রাণপণে দৌড়াচ্ছেন তার মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য কিন্তু কিছুতেই তার কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। কিছুদূর গিয়ে তিনি হোঁচট খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন মুখ তুলে দেখতে লাগলেন তার মেয়েকে নিয়ে কে যেন চলে যাচ্ছে। কিছুদূর গিয়ে সেই মানুষ টা ফিরে তাকালো অভিজিৎ বাবুর দিকে। তার মুখ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন না অভিজিৎ বাবু। কিছুক্ষণ পর সেই মানুষটি অভিজিৎ বাবু কে উদ্দেশ্য করে বললেন "তোর জীবনে কোনো খুশি আমি থাকতে দেবো না। তুই আমাকে পুলিশ এর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলি, তুই কি ভাবলি আমি তোকে এত সহজে ছেড়ে দেবো... হা হা হা হা... কোনদিনই না। এবার দেখ তোর আদরের মেয়ের কি করি। এই বলে লোকটা একটা ছুরি বের করে বাচ্চাটার গলার সামনে ধরলো....তারপরেই....
"না......." অভিজিৎ বাবু ঘুম ভেঙ্গে চিৎকার করে উঠে বসলেন। গোটা শরীর ঘামে  ভিজে গেছে এই কনকনে ঠান্ডাতেও, জোরে জোরে নিশ্বাস পড়ছে। পাশে শুয়ে থাকা ঘুমন্ত মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলেন অনেকক্ষণ। কিছুক্ষণ পর আবার তিনি শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু ঘুম তো আর আসার কথা নয়, তার ক্ষেত্রেও কোনো ব্যতিক্রম হল না। সারারাত তিনি তার মেয়ে কে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলেন বাকি রাত টা। চলে গেলেন পুরোনো দিনে এইতো কয়েক বছর আগেও কত সুখী ছিলেন জীবনে, ভালোবাসা অভিমান হাসি কান্না সব নিয়ে তার পরিবার কতটা সম্পূর্ণ ছিল, কিন্তু হঠাৎ সেই দিনটার পর থেকেই যেন সব কিছু পাল্টে যেতে লাগলো ধীরে ধীরে, ব্যাস!!! মাত্র কয়েকটি মাসের ব্যবধান আর পয়সার জোর; জীবনের সব সুখ তিনি হারিয়ে ফেললেন স্ত্রী পরিবার সব শুধু এক জানোয়ার তার জীবনে আসার জন্য। তবুও তিনি নিজেকে সামলে নিয়ে এগিয়ে আসতে চেষ্টা করেছেন দুঃস্বপ্ন ভেবে ভুলে যাবার চেষ্টা আজও করে যাচ্ছেন। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটিকে ভুলিয়ে দেওয়া কি এত সহজ।তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে অন্য কাউকে বেছে নিয়েছিল এতে তার যতোটা কষ্ট হয়েছিলো তার থেকেও বেশি কষ্ট হয়েছিল তার স্ত্রী তাকে বিশ্বাস না করে ওই নৃশংস পশু টাকে বিশ্বাস করেছিল তার মিষ্টি মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করেছিল। আজ সময় বদলেছে কেটে গেছে তিনটি বছর, শুধু বদলায়নি সেই ব্যথা। সময়ের সাথে সেটা যে আরো গভীর হয়ে গেছে। সেই ব্যথা বাড়ার পরেও আজ তিনি কিছুটা হলেও সুখী, কিছুটা বলা ভুল হবে সম্পূর্ণ না হলেও অনেক খুশি, তার একমাত্র কারণ তার পাশে ঘুমন্ত বাচ্চা তার মেয়ে মিনাক্ষী। এই ছোট্ট মেয়েটি যেনো তার জীবনের একমাত্র আলোর উৎস, দুরন্ত ফুটফুটে এই দুই বছরের বাচ্চা তার জীবনে সবচেয়ে দামী। আর এই মেয়েকেই কিনা.... না না তিনি ভাবতে চাইলেন না সেদিন কি হতে চলেছিল....হঠাৎ বাইরে door bell এর শব্দে তিনি বাস্তবে ফিরে এলেন। বুঝলেন সকালের আলো ফুটেছে বেশ কিছু আগেই, কিন্তু এত সকালে কে আসতে পারে তা বুঝতে পারলেন না, তার বাড়িতে কাজের মেয়েটি আসতে এখনও দেরি আছে আর তাছাড়া তার কাছে বাড়ির চাবিও আছে, আবার doorbell বাজল, অভিজিৎ বাবু বিছানা ছেড়ে একটি sweater গায়ে চড়িয়ে বাইরে এসে দরজা খুললেন। দরজা খুলেই তিনি কিছুটা অবাক আর আশ্চর্য দুটোই হলেন, কারণ তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে দুজন পুলিশ কর্মী,
security officer: Are you Mr. Abhijit Chatterjee?
Abhi: Yes....
security officer: Sir you've to come with us..
Abhi: Umm... is there any problem sir... I don't think I've done anything wrong.
security officer: It's nothing like that what you're thinking sir... we'll explain everything just come with us.
Abhi: Okay! give me 5 mins please...
এই বলে অভিজিৎ বাবু নিজের রুমে চলে এলেন। কোনো কিছু বুঝতে না পেরে কিছুটা যন্ত্রমানব এর মতই তিনি তৈরি হলেন। নিজের ঘুমন্ত কন্যাকেও গরম পোষাক পড়িয়ে নিজের কোলে নিয়ে বাইরে এলেন..
Abhi: I can't leave my daughter alone in home. So I've to take her with me too if you've no problem, otherwise I've to leave her to maid.
security officer: It's okay you can take her with you..
এই বলে তারা বেরিয়ে পড়লেন অভিজিৎ বাবু নিজের গাড়িতে পুলিশ দের সাথে security officer Station এ পৌঁছলেন।
...
[+] 4 users Like Iesha's post
Like Reply
#3
(10-02-2022, 05:06 PM)Iesha Wrote: Update:1
অভিজিৎ বাবু সোফাতে বসে আনমনা হয়ে TV এর চ্যানেল পাল্টে যাচ্ছিলেন। হটাৎ একটা খবরের দিকে নজর যেতেই উনি থমকে গেলেন। TV anchor টি বলছিলেন: A MLA has been caught red handed two days ago for money laundering. security officer officials has stated that they were tracking his activities for past few months and they also disclosed that he is also involved with many other illegal activities like drug supplies, women trafficking and many more. Source says that this person turns out to be a....
'কি হবে এসব দেখিয়ে..আজ নয় কাল টাকার জোরে ঠিক বেরিয়ে যাবে এই সব জানোয়ার' বলে অভিজিৎ বাবু চ্যানেল টা চেঞ্জ করে দিলেন আর কিছু না শুনেই। কিছুক্ষণ পরে TV অফ করে দিয়ে নিজের ঘরে গেলেন। ঘরে ঢুকে কিছুক্ষণ তিনি তার ঘুমন্ত কন্যা এর দিকে তাকিয়ে রইলেন তারপর সেই ছোট্ট মেয়েটির কপালে একটি ছোট্ট চুমু এঁকে দিয়ে tar মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে নিজেও তার পাশে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।
স্বপ্নে দেখলেন কেউ যেন ওনার মেয়েকে ওনার কাছ থেকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। মেয়েটি 'বাবা বাবা' বলে চিৎকার করছে, অভিজিৎ বাবু প্রাণপণে দৌড়াচ্ছেন তার মেয়েকে ফিরিয়ে আনার জন্য কিন্তু কিছুতেই তার কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। কিছুদূর গিয়ে তিনি হোঁচট খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন মুখ তুলে দেখতে লাগলেন তার মেয়েকে নিয়ে কে যেন চলে যাচ্ছে। কিছুদূর গিয়ে সেই মানুষ টা ফিরে তাকালো অভিজিৎ বাবুর দিকে। তার মুখ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন না অভিজিৎ বাবু। কিছুক্ষণ পর সেই মানুষটি অভিজিৎ বাবু কে উদ্দেশ্য করে বললেন "তোর জীবনে কোনো খুশি আমি থাকতে দেবো না। তুই আমাকে পুলিশ এর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলি, তুই কি ভাবলি আমি তোকে এত সহজে ছেড়ে দেবো... হা হা হা হা... কোনদিনই না। এবার দেখ তোর আদরের মেয়ের কি করি। এই বলে লোকটা একটা ছুরি বের করে বাচ্চাটার গলার সামনে ধরলো....তারপরেই....
"না......." অভিজিৎ বাবু ঘুম ভেঙ্গে চিৎকার করে উঠে বসলেন। গোটা শরীর ঘামে  ভিজে গেছে এই কনকনে ঠান্ডাতেও, জোরে জোরে নিশ্বাস পড়ছে। পাশে শুয়ে থাকা ঘুমন্ত মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলেন অনেকক্ষণ। কিছুক্ষণ পর আবার তিনি শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু ঘুম তো আর আসার কথা নয়, তার ক্ষেত্রেও কোনো ব্যতিক্রম হল না। সারারাত তিনি তার মেয়ে কে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রইলেন বাকি রাত টা। চলে গেলেন পুরোনো দিনে এইতো কয়েক বছর আগেও কত সুখী ছিলেন জীবনে, ভালোবাসা অভিমান হাসি কান্না সব নিয়ে তার পরিবার কতটা সম্পূর্ণ ছিল, কিন্তু হঠাৎ সেই দিনটার পর থেকেই যেন সব কিছু পাল্টে যেতে লাগলো ধীরে ধীরে, ব্যাস!!! মাত্র কয়েকটি মাসের ব্যবধান আর পয়সার জোর; জীবনের সব সুখ তিনি হারিয়ে ফেললেন স্ত্রী পরিবার সব শুধু এক জানোয়ার তার জীবনে আসার জন্য। তবুও তিনি নিজেকে সামলে নিয়ে এগিয়ে আসতে চেষ্টা করেছেন দুঃস্বপ্ন ভেবে ভুলে যাবার চেষ্টা আজও করে যাচ্ছেন। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটিকে ভুলিয়ে দেওয়া কি এত সহজ।তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে অন্য কাউকে বেছে নিয়েছিল এতে তার যতোটা কষ্ট হয়েছিলো তার থেকেও বেশি কষ্ট হয়েছিল তার স্ত্রী তাকে বিশ্বাস না করে ওই নৃশংস পশু টাকে বিশ্বাস করেছিল তার মিষ্টি মিথ্যা কথায় বিশ্বাস করেছিল। আজ সময় বদলেছে কেটে গেছে তিনটি বছর, শুধু বদলায়নি সেই ব্যথা। সময়ের সাথে সেটা যে আরো গভীর হয়ে গেছে। সেই ব্যথা বাড়ার পরেও আজ তিনি কিছুটা হলেও সুখী, কিছুটা বলা ভুল হবে সম্পূর্ণ না হলেও অনেক খুশি, তার একমাত্র কারণ তার পাশে ঘুমন্ত বাচ্চা তার মেয়ে মিনাক্ষী। এই ছোট্ট মেয়েটি যেনো তার জীবনের একমাত্র আলোর উৎস, দুরন্ত ফুটফুটে এই দুই বছরের বাচ্চা তার জীবনে সবচেয়ে দামী। আর এই মেয়েকেই কিনা.... না না তিনি ভাবতে চাইলেন না সেদিন কি হতে চলেছিল....হঠাৎ বাইরে door bell এর শব্দে তিনি বাস্তবে ফিরে এলেন। বুঝলেন সকালের আলো ফুটেছে বেশ কিছু আগেই, কিন্তু এত সকালে কে আসতে পারে তা বুঝতে পারলেন না, তার বাড়িতে কাজের মেয়েটি আসতে এখনও দেরি আছে আর তাছাড়া তার কাছে বাড়ির চাবিও আছে, আবার doorbell বাজল, অভিজিৎ বাবু বিছানা ছেড়ে একটি sweater গায়ে চড়িয়ে বাইরে এসে দরজা খুললেন। দরজা খুলেই তিনি কিছুটা অবাক আর আশ্চর্য দুটোই হলেন, কারণ তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে দুজন পুলিশ কর্মী,
security officer: Are you Mr. Abhijit Chatterjee?
Abhi: Yes....
security officer: Sir you've to come with us..
Abhi: Umm... is there any problem sir... I don't think I've done anything wrong.
security officer: It's nothing like that what you're thinking sir... we'll explain everything just come with us.
Abhi: Okay! give me 5 mins please...
এই বলে অভিজিৎ বাবু নিজের রুমে চলে এলেন। কোনো কিছু বুঝতে না পেরে কিছুটা যন্ত্রমানব এর মতই তিনি তৈরি হলেন। নিজের ঘুমন্ত কন্যাকেও গরম পোষাক পড়িয়ে নিজের কোলে নিয়ে বাইরে এলেন..
Abhi: I can't leave my daughter alone in home. So I've to take her with me too if you've no problem, otherwise I've to leave her to maid.
security officer: It's okay you can take her with you..
এই বলে তারা বেরিয়ে পড়লেন অভিজিৎ বাবু নিজের গাড়িতে পুলিশ দের সাথে security officer Station এ পৌঁছলেন।

খুব সুন্দর শুরু, একটা ভাল গল্প পাওয়ার আশায় রইলাম

Like and rep added
[+] 1 user Likes bourses's post
Like Reply
#4
Good starting
[+] 1 user Likes chndnds's post
Like Reply
#5
আপডেট চাই
[+] 1 user Likes ambrox33's post
Like Reply
#6
Thanks
...
Like Reply
#7
(11-02-2022, 08:58 AM)ambrox33 Wrote: আপডেট চাই

রবিবারের এর মধ্যে নতুন update দেওয়ার চেষ্টা করব
...
Like Reply
#8
একটু বড় ফন্ট এ লিখুন। এগিয়ে চলুন
[+] 2 users Like nandanadasnandana's post
Like Reply
#9
Very interesting beginning. Please proceed
Like Reply
#10
Update 2
security officer Station এ পৌঁছে তিনি একজন senior rank er security officer Officer এর সামনে বসলেন। কৌতুহল বসত তিনি চারিদিকে চেয়ে দেখলেন কিন্তু কি জন্য তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বুঝতে পারলেন না। কিছু পর security officer Officer টি বললেন:
Sorry to call you early morning but we need your help in something sir.
Abhi: (বিস্মিত দৃষ্টি) Sir I'm not getting you what are you trying to say. And how am I supposed to help you?
security officer: Sir I don't know if you know this or not...এই বলে তিনি থেমে গেলেন কিছুক্ষণ পরে বললেন.. Sir please give your child to someone else for few minutes... একজন মহিলা পুলিশ এর হাতে তিনি তার মেয়েকে দিয়ে security officer Officer এর সাথে কথা বলতে শুরু করলেন। 
security officer: Are you from India?
Abhi: Yes!
security officer: And for how long have you been in US?
Abhi: Almost 3 years sir.... Why are you asking me these sir?
security officer: Ok I'll not make it more complicated for you. Let's cut to the point. Recently we've got a tip from intel that there's some kind of illegal trading is going to take place and as per instruction we've raided that place and we've rescued all 45 women 'victim of trafficking'.... এই সব শোনার পর অভিজিৎ বাবুর মুখে মিশ্রিত ভাব ফুটে উঠলো, তিনি বুঝতে পারলেন না তাকে কেনো এই সব বলা হচ্ছে এই সব এর সাথে তার কিসের সম্পর্ক... they have been admitted to hospital for primary check-up as they were being given drugs...
অভিজিৎ বাবু আর থাকতে না পেরে বললেন: Sir why are you telling me all these. How am I to your help? Neither I'm a doctor nor detective.
security officer: We called you here because one of the women said that she knew you. She wanted to meet you.
দিনের প্রথম চমক পেলেন, তার মনে ভয়ের সঞ্চার হল তিনি কি বলবেন কিছু বুঝতে পারলেন না। হয়তো তার পরিস্থিতির কথা বুঝতে পেরেই security officer Officer তাকে বললেন: Don't worry sir she is in fine health. They all gonna reach here anytime soon.
অপেক্ষা করা ছাড়া অভিজিৎ বাবু এর কাছে কোনো উপায় ছিল না। তার মেয়েকে কোলে নিয়ে তিনি বসে রইলেন একটা চেয়ার এ। তিনি চিন্তায় অস্থির হয়ে ওঠেন আর চিন্তা করতে থাকেন কে হতে পারে তিনি এখানে থাকেন সেটা তো জনা কয়েক মানুষ ছাড়া কেউ জানে না। তাহলে কি তার পরিবারের কেউ!!!তার আত্মীয় দের মধ্যে কেউ!!! নাকি তার বন্ধু বান্ধবী দের মধ্যে কেউ!!! নাকি তার স্ত্রী!! না! তার স্ত্রী হয়তো এটুকু জানে যে তিনি India ছেড়ে US তে এসেছেন, তিনি শেষবার দেখা করার সময় বলেছিলেন "আমি চলে যাচ্ছি US এ, নতুন চাকরি পেয়েছি ওখানে, আমি জানি তুমি আমায় আর বিশ্বাস করোনা তবুও বলছি, তোমার কোনো ক্ষতি আমি কোনদিনই করার কথা ভাবিনি Aditi, যা করেছি আমাদের ভালোর জন্যই তোমায় বাঁচানোর জন্যে... জানিনা ওই লোকটা তোমায় কি বলেছে, কি বুঝিয়েছে জানিনা কিন্তু এটুকু বুঝতে পেরেছি যে সবটাই দাহ মিথ্যে আর সেটা শুনে তুমি আমাকে ভুল বুঝেছ, আমার কথা শোনার প্রয়োজন মনে করলে না আমাকে বোঝানোর সুযোগ টাও দিলে না......যাইহোক এটুকু জেনে রাখো আমার হৃদয়দ্বার তোমার জন্য সারাজীবন খোলা থাকবে, ধন্যবাদ শেষ বার দেখা করার জন্য। ভালো থেকো! আর নিজের খেয়াল রেখো!! আসি!!" কিন্তু তিনি US এ কোথায় আছেন সেটা তো তার স্ত্রী জানেও না। এইসব ভাবতে ভাবতে অনেকটা সময় কেটে গেছে। তিনি বাস্তবে ফিরে এলেন তার মেয়ের ডাকে। তিনি সম্বিত্ ফিরে দেখলেন তার মেয়ে ঘুম থেকে উঠে গাছে, তিনি তার মেয়ের কপালে একটি চুমু দিলেন আর বললেন: Good morning সোনা।
মেয়েটিও খিল খিল করে হেসে উঠে তার বাবার গলা জড়িয়ে তার গালে চুমু দিয়ে Good morning বললো। তার মেয়ে কিছু একটা বলতে যাবে এমন সময় একটা security officer Officer এসে অভিজিৎ বাবু কে বলল যে তারা এসে গেছে। অভিজিৎ বাবুর হৃদস্পন্দন হঠাৎ বেড়ে গেল, তিনি ভয় বুকে সেই রুম এ এলেন যেখানে সেই মেয়ে গুলো এসে উপস্থিত হয়েছে। সবার মুখেই ভয় আর ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট, ক্লান্তি কারণ তাদের ওপর যে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার আর ভয় কারন তারা তাদের বাড়ি দেশ পরিবার আত্মীয় সবাই এর থেকে দূরে অচেনা দেশে এসে পড়েছে বা বলা ভালো বিদেশী মানুষদের মনোরঞ্জন ইত্যাদি করার জন্য তাদের বিক্রি করা হয়েছে, তারা হাজার চেষ্টা করলেও আর পুরোনো জীবনে ফিরতে পারত না। কতই বা বয়স তাদের, 25 বছরের বেশি হয়তো হবে না। কত রকমের লোভের ফাঁদে এরা পা দিয়ে দেয় না জেনে-বুঝে। পুরো জীবন টা শেষ হতে চলছিল, কিন্তু ভগবানের দয়াতে আজ তারা এ যাত্রায় বেঁচে গেছে। অভিজিৎ বাবু এক এক করে সেখানে উপস্থিত মহিলা দের দেখতে লাগলেন। তাদের দেখে তার মনেও কষ্ট হলো এই ভেবে যে তাদের পরিবারের মানুষ তার আপনজন দের এখন মনের অবস্থা কি। তিনি দেখতে দেখতে একজনের সামনে এসে থমকে গেলেন। মনে হলো তার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি তার চোখ কে বিশ্বাস করতে পারলেন না। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি ও তার দিকে তাকিয়ে নিজেকে সামলাতে পারলো না। ভেঙে পড়লো প্রবল কান্নায়। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অসহায় মেয়েটি আর কেউ নয় তারই ছোট্ট বোন। 
...
[+] 4 users Like Iesha's post
Like Reply
#11
(13-02-2022, 01:06 PM)Iesha Wrote: Update 2
security officer Station এ পৌঁছে তিনি একজন senior rank er security officer Officer এর সামনে বসলেন। কৌতুহল বসত তিনি চারিদিকে চেয়ে দেখলেন কিন্তু কি জন্য তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বুঝতে পারলেন না। কিছু পর security officer Officer টি বললেন:
Sorry to call you early morning but we need your help in something sir.
Abhi: (বিস্মিত দৃষ্টি) Sir I'm not getting you what are you trying to say. And how am I supposed to help you?
security officer: Sir I don't know if you know this or not...এই বলে তিনি থেমে গেলেন কিছুক্ষণ পরে বললেন.. Sir please give your child to someone else for few minutes... একজন মহিলা পুলিশ এর হাতে তিনি তার মেয়েকে দিয়ে security officer Officer এর সাথে কথা বলতে শুরু করলেন। 
security officer: Are you from India?
Abhi: Yes!
security officer: And for how long have you been in US?
Abhi: Almost 3 years sir.... Why are you asking me these sir?
security officer: Ok I'll not make it more complicated for you. Let's cut to the point. Recently we've got a tip from intel that there's some kind of illegal trading is going to take place and as per instruction we've raided that place and we've rescued all 45 women 'victim of trafficking'.... এই সব শোনার পর অভিজিৎ বাবুর মুখে মিশ্রিত ভাব ফুটে উঠলো, তিনি বুঝতে পারলেন না তাকে কেনো এই সব বলা হচ্ছে এই সব এর সাথে তার কিসের সম্পর্ক... they have been admitted to hospital for primary check-up as they were being given drugs...
অভিজিৎ বাবু আর থাকতে না পেরে বললেন: Sir why are you telling me all these. How am I to your help? Neither I'm a doctor nor detective.
security officer: We called you here because one of the women said that she knew you. She wanted to meet you.
দিনের প্রথম চমক পেলেন, তার মনে ভয়ের সঞ্চার হল তিনি কি বলবেন কিছু বুঝতে পারলেন না। হয়তো তার পরিস্থিতির কথা বুঝতে পেরেই security officer Officer তাকে বললেন: Don't worry sir she is in fine health. They all gonna reach here anytime soon.
অপেক্ষা করা ছাড়া অভিজিৎ বাবু এর কাছে কোনো উপায় ছিল না। তার মেয়েকে কোলে নিয়ে তিনি বসে রইলেন একটা চেয়ার এ। তিনি চিন্তায় অস্থির হয়ে ওঠেন আর চিন্তা করতে থাকেন কে হতে পারে তিনি এখানে থাকেন সেটা তো জনা কয়েক মানুষ ছাড়া কেউ জানে না। তাহলে কি তার পরিবারের কেউ!!!তার আত্মীয় দের মধ্যে কেউ!!! নাকি তার বন্ধু বান্ধবী দের মধ্যে কেউ!!! নাকি তার স্ত্রী!! না! তার স্ত্রী হয়তো এটুকু জানে যে তিনি India ছেড়ে US তে এসেছেন, তিনি শেষবার দেখা করার সময় বলেছিলেন "আমি চলে যাচ্ছি US এ, নতুন চাকরি পেয়েছি ওখানে, আমি জানি তুমি আমায় আর বিশ্বাস করোনা তবুও বলছি, তোমার কোনো ক্ষতি আমি কোনদিনই করার কথা ভাবিনি Aditi, যা করেছি আমাদের ভালোর জন্যই তোমায় বাঁচানোর জন্যে... জানিনা ওই লোকটা তোমায় কি বলেছে, কি বুঝিয়েছে জানিনা কিন্তু এটুকু বুঝতে পেরেছি যে সবটাই দাহ মিথ্যে আর সেটা শুনে তুমি আমাকে ভুল বুঝেছ, আমার কথা শোনার প্রয়োজন মনে করলে না আমাকে বোঝানোর সুযোগ টাও দিলে না......যাইহোক এটুকু জেনে রাখো আমার হৃদয়দ্বার তোমার জন্য সারাজীবন খোলা থাকবে, ধন্যবাদ শেষ বার দেখা করার জন্য। ভালো থেকো! আর নিজের খেয়াল রেখো!! আসি!!" কিন্তু তিনি US এ কোথায় আছেন সেটা তো তার স্ত্রী জানেও না। এইসব ভাবতে ভাবতে অনেকটা সময় কেটে গেছে। তিনি বাস্তবে ফিরে এলেন তার মেয়ের ডাকে। তিনি সম্বিত্ ফিরে দেখলেন তার মেয়ে ঘুম থেকে উঠে গাছে, তিনি তার মেয়ের কপালে একটি চুমু দিলেন আর বললেন: Good morning সোনা।
মেয়েটিও খিল খিল করে হেসে উঠে তার বাবার গলা জড়িয়ে তার গালে চুমু দিয়ে Good morning বললো। তার মেয়ে কিছু একটা বলতে যাবে এমন সময় একটা security officer Officer এসে অভিজিৎ বাবু কে বলল যে তারা এসে গেছে। অভিজিৎ বাবুর হৃদস্পন্দন হঠাৎ বেড়ে গেল, তিনি ভয় বুকে সেই রুম এ এলেন যেখানে সেই মেয়ে গুলো এসে উপস্থিত হয়েছে। সবার মুখেই ভয় আর ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট, ক্লান্তি কারণ তাদের ওপর যে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার আর ভয় কারন তারা তাদের বাড়ি দেশ পরিবার আত্মীয় সবাই এর থেকে দূরে অচেনা দেশে এসে পড়েছে বা বলা ভালো বিদেশী মানুষদের মনোরঞ্জন ইত্যাদি করার জন্য তাদের বিক্রি করা হয়েছে, তারা হাজার চেষ্টা করলেও আর পুরোনো জীবনে ফিরতে পারত না। কতই বা বয়স তাদের, 25 বছরের বেশি হয়তো হবে না। কত রকমের লোভের ফাঁদে এরা পা দিয়ে দেয় না জেনে-বুঝে। পুরো জীবন টা শেষ হতে চলছিল, কিন্তু ভগবানের দয়াতে আজ তারা এ যাত্রায় বেঁচে গেছে। অভিজিৎ বাবু এক এক করে সেখানে উপস্থিত মহিলা দের দেখতে লাগলেন। তাদের দেখে তার মনেও কষ্ট হলো এই ভেবে যে তাদের পরিবারের মানুষ তার আপনজন দের এখন মনের অবস্থা কি। তিনি দেখতে দেখতে একজনের সামনে এসে থমকে গেলেন। মনে হলো তার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি তার চোখ কে বিশ্বাস করতে পারলেন না। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি ও তার দিকে তাকিয়ে নিজেকে সামলাতে পারলো না। ভেঙে পড়লো প্রবল কান্নায়। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অসহায় মেয়েটি আর কেউ নয় তারই ছোট্ট বোন। 

bah besh sundor update
[+] 1 user Likes nandanadasnandana's post
Like Reply
#12
Update 3
হতভম্বের মত তিনি কতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন তা বুঝতে পড়লেন না, অনেকক্ষণ পর security officer Station এর একটি রুম এ অভিজিৎ বাবু আর তার বোন বসে আছে। অভিজিৎ বাবু তার মেয়েকে একটি lady Officer er কাছে দিয়ে এসেছেন। তার বোন এখনও ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে চলেছে। কারও মুখে কোনো কথা ছিল না। অভিজিৎ বাবু তার বোনকে সান্তনা দেওয়ার জন্য এবং মন হালকা করার জন্য তার বোনকে আলিঙ্গন এ জড়িয়ে ধরলেন। তার মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিতে লাগলেন- 
চুপ কর আর কাঁদিস না। কিচ্ছু হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কাঁদিস না পূজা।
পূজা, অভিজিৎ বাবুর বোন। অবশ্য পূজা তার নিজের মায়ের কোলের মেয়ে নয়, তার জন্মদাত্রী এখনও জীবিত তা একমাত্র ভগবানই জানেন। অভিজিৎ বাবুর বয়স তখন 7 বছর আর পূজা 2 বছর, তিনি প্রথমে কিছুতেই পূজাকে তার বোন মানতে রাজি ছিলেন না, শুধু তাই নয় সে তাকে রীতিমত ঘৃণার চোখে দেখত। পূজা যতই কাছে আসতে চাইতো অভিজিৎ বাবু ততই দূরে ঠেলে দিত, কিন্তু সেই নিষ্পাপ ভালোবাসার কাছে তিনি হেরে গেলেন। সেই একটা ঘটনা তার সব ঘৃণা সব রাগ স্নেহ ভালোবাসায় বদলে দিলো। সেই দিনের পর থেকেই তাদের সম্পর্ক একটু একটু করে ভালোবাসায়, খুনসুটিতে গভীর হয়ে গিয়েছে যা আজও একটুও কমেনি। 
পূজা তার দাদা কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো। এখনও তার ভয় কাটেনি। অভিজিৎ বাবু অনুভব করলেন তার বোন এখনও কাঁপছে। পূজা কাঁপা কাঁপা গলায় তার দাদাকে বললো: আমায় ছেড়ে যাস না দাদা। Please দাদা আমায় তোর সাথে নিয়ে চল। 
Abhi: চুপ কর, আমি আছি তো তোর কাছে, বাবা আছে বাড়িতে, ভয় পাস না।
বাবা এর কথা শুনে পূজার আলিঙ্গন আলগা হয়ে গেলো। অভিজিৎ বাবু বুঝতে পেরে তার বোনের দিকে জিজ্ঞাস্যু দৃষ্টিতে তাকালেন। পূজা আবার কাঁপা কাঁপা গলায় বললো: ওরা... ওরা... বাবাকে....মে..রে... কথা শেষ করতে পারলো না, আবার কান্নায় ভেঙে পড়লো অভিজিৎ বাবুর বোন। 
দিনের তৃতীয় ঝটকা লাগলো অভিজিৎ বাবুর। তার বোন কথা শেষ না করতে পারলেও তিনি বুঝতে পারলেন তার বোন কি বলতে চাইছে। মনে হলো তার পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। তিনি কি করবেন বা কি বলবেন তা তিনি নিজেও জানেন না। তিনি প্রাণ হীন মানুষের মত ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন, কতক্ষণ? বলা কঠিন, মনে হলো সময় যেনো এগোচ্ছে না। একদিকে অভিজিৎ বাবু মূর্তি স্বরূপ দাঁড়িয়ে রয়েছেন অন্য দিকে পূজা কেঁদে চলেছে। ঘরের মধ্যে যেন তন্দ্রা ছেয়ে গেছে, তন্দ্রা কাটলো ঘরের দরজায় টোকা পড়ার শব্দে। দরজা খুলে এক Officer বললেন যে Embassy থেকে officers এসেছেন তার বোনকে দেখা করতে হবে। পূজা যেতে কিছুতেই রাজি হল না অভিজিৎ বাবুর হাত জড়িয়ে ধরে রাখলেন। অভিজিৎ বাবু তার বোনকে বোঝাতে লাগলেন, কিন্তু কোনো লাভ হল না, পূজা তার কাছ ছাড়া হতে নারাজ। উপায় না দেখে অভিজিৎ বাবু নিজে তার বোনকে সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন Officer এর কাছে।
এত কিছু হওয়ার পরেও হয়তো ভাগ্য কিছুটা সহায় ছিল অভিজিৎ বাবুর। কারণ Embassy থেকে যে Officer এসেছেন তিনি অভিজিৎ বাবুর পরিচিত একজন মানুষ Mr. R Chauhan, তার কলেজের বন্ধুর বাবা। অভিজিৎ বাবু তাঁকে প্রণাম করে কিছু সাধারণ পারিবারিক বিষয়ে কথা বার্তা করলেন, অবশ্য বেশিরভাগ টা তিনি শুনলেন তার বলার মত সেইরকম অবস্থা বা পরিবার দুটোর কোনোটাই নেই যেটুকু আছে সেটুকু তার সঙ্গেই আছে। সে যাই হোক কিছুক্ষণ সাধারণ কথাবার্তার পর অভিজিৎ বাবু তাঁকে তার বোনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং বর্তমান পরিস্থিতির কথা খুলে বললেন। আইন মতে তার বোনকে ফিরতে হবে সেটা তিনিও জানেন কিন্তু তার বোনকে একা ফেরত পাঠাতে তার মন সায় দিচ্ছিল না, তার আরো একটা কারণ ওখানে নিজের আপন বলতে তো আর কেউ নেই। তাই অভিজিৎ বাবু অনুরোধ করলেন যেনো তার বোনকে তার সাথে 2-4 দিনের জন্য থাকার ব্যবস্থা বা অনুমতি দেয়। অনেকক্ষণ ভেবে এবং discuss করার পর আর কিছু phone calls করার পর তিনি 5 দিন থাকার permission দিলেন আর কিছু Paper Work এর জন্য Embassy তে Monday আসতে বললেন যাতে India ফিরতে কোনো অসুবিধা না হয়।
অভিজিৎ বাবু তাকে ধন্যবাদ দিয়ে তার বোন কে নিয়ে বেরিয়ে এসে তার মেয়ের কাছে গেলেন। গিয়ে দেখলেন তার মেয়ে security officer Officer এর সাথে খেলছে আর খোস গল্প জুড়েছে। কিছুক্ষণ দেখার পর তিনি তার মেয়ের কাছে গেলেন। বাবাকে কাছে দেখতে পেয়েই সে যেনো ঝাঁপিয়ে পড়লো তার কোলে। তার মেয়ের গালে চুমু দিয়ে বললেন:
বাড়ি যাবে নাকি এখানেই খেলবে! তার মেয়েও বললো:
আমি এখানেই ওই madam টার সাথে খেলব!
-তাহলে ওনার কাজ কে করে দেবে তুমি যদি ওনার সাথে খেলো?
-তুমি হি হি হি!!
-খুব পাকা হয়ে গেছো তুমি। আর আমি তো বাড়ি চলে যাচ্ছি, তোমার পিসিমনি এসেছে তাকেও নিয়ে চলে যাচ্ছি তুমি থাকো একা একা, আর উনিও কাজ করতে চলে যাবেন, তারপর কে তোমার সাথে খেলে দেখব। 
-কোথায় পিসিমনি? এই বলে সে চারিদিকে তাকিয়ে দেখলো।
-কেন? তুমি জেনে কি করবে? তুমি তো এখানে খেলবে! তাহলে আমি চলে যাচ্ছি। 
-না আমিও যাব।
-তাহলে তোমার খেলার কি হবে?
-না আমি বাড়ি যাব! পিসিমণি কোথায় বলো না।
-আচ্ছা তাহলে ma'am কে Thanks বলো।
বাচ্চাটা security officer Officer এর দিকে ঘুরে তাকে Thank You madam বললো। অভিজিৎ বাবুও Officer কে ধন্যবাদ দিলেন
-Thank you ma'am for taking care of her.
security officer- You're welcome. Your daughter is very sweet.
অভিজিৎ বাবু হালকা হাসি দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন, তার বোনের দিকে দেখিয়ে বললেন
-ওই যে তোমার পিসিমণি... এই বলে পূজার কাছে তিনি এগিয়ে গেলেন, পূজা কে দেখে মিনাক্ষীর আর আনন্দের সীমা রইলো না। যদিও সে কোনোদিন পূজা কে সামনে থেকে দেখেনি তবুও তার সেই স্ফূর্তি যেনো তাদের সবার শরীরের ক্লান্তি দুঃখ দূরে সরিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট। এই হয়তো নিষ্পাপ শিশুর নিষ্পাপ ভালবাসা। বাচ্চা মেয়েটা পূজার দিকে দুই হাত ছড়িয়ে দিলো। হয়তো এই ইঙ্গিত এর অর্থ কাউকেই আলাদা করে বলে দিতে হয় না। পূজা তাকে কোলে নিয়ে অভিজিৎ বাবুর দিকে তাকালো কারণ সে জানে না এই বাচ্চা মেয়েটি কে আর তার সাথে বা অভিজিৎ বাবুর সাথে কিসের সম্পর্ক। অভিজিৎ বাবু বুঝতে পেরে বললেন- মিনাক্ষী; আমার মেয়ে! 
পূজা অবাক হয়ে বললো- মানে? কিভাবে?
অভিজিৎ বাবু বললেন- বাড়ি চল আগে, সব বলব চল এখন। এই বলে তারা তিনজন security officer Station ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।
সকাল পেরিয়ে প্রায় দুপুর যখন তারা বাড়ি পৌঁছলেন। অবশ্য ফেরার পথে তারা একটি restaurant এ তাদের breakfast সেরে নিয়েছেন এবং তার বোন এর জন্য কিছু পোষাকও কিনে নিয়েছেন। 
বাড়ি দেখে পূজার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। না সেটা কোনো Penthouse বা কোনো Royal Palace নয়। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ যেরকম বাড়ির স্বপ্ন দেখে বা কোনো রূপকথার গল্পে যেরকম বাড়ির বর্ননা হয় ঠিক সেইরকম। সাদা রঙ করা দোতলা বাড়ি 1st floor এ বড় balcony glass railing দিয়ে ঘেরা সেখানে নানা রং এর ফুল গাছে ভরা। বাড়ির সামনে অনেকটা জায়গা জুড়ে সবুজের খেলা সেখানেও অনেক ধরণের ছোটো বড়ো গাছ তার মাঝে সুন্দর পরিষ্কার একটি পথ। গাড়ি থেকে নেমে সে বিস্মিত চোখে চারিদিক দেখতে লাগলো মন্ত্রমুগ্ধ এর মত। যেনো সে কোনো রূপকথার গল্পের মধ্যে চলে এসেছে। হাতে হাল্কা টান পড়তে সে ঘোর কাটিয়ে দেখলো যে মিনা তার হাত ধরে টানছে, হ্যাঁ বাচ্চাটা এর মধ্যেই তার সাথে ভাব জমিয়ে নিয়েছে যেনো দুজন দুজনকে কত দিন ধরে চেনে! এতে পূজা এর মনটা একটু হালকা হলো আর এত বড় ঝড় বয়ে যাওয়ার পরেও সে একটু হালকা অনুভব করলো।
-ও পিসিমণি ভেতরে আসো। বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি।
সে একরকম তার ছোট্ট হাত দিয়ে টানতে টানতে তাকে ঘরের ভেতর নিয়ে যেতে লাগলো।
-আরে দাঁড়াও ব্যাগ গুলো নিয়ে নিই। 
-ও কেউ নেবে না তুমি আসো। 
অভিজিৎ বাবু নিজের মেয়ের কান্ড কারখানা দেখে নিজেই হেসে ফেললেন, বললেন- তোরা চল আমি আসছি সব নিয়ে, সামলা এবার তুই এটাকে পূজা।
মিনাক্ষী পূজার হাত ধরে পুরো বাড়ি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাতে লাগলো। পূজাও বাড়ির সৌন্দর্য দেখতে লাগলো। সুন্দর ভাবে সাজানো গোছানো বাড়ি। বাড়ির দেওয়ালে সবার ছবি লাগানো আছে। পূজা আরও অবাক হলো যে মিনাক্ষী কোনটা কে সেটাও জানে, সে ছবির দিকে আঙুল দেখিয়ে বলছে- এটা তুমি, এটা বাবা, এটা দাদু, এটা ঠাম্মি, এটা আমি, আর এটা আমার মা। পূজা এবার অবাক হলো এটা দেখে যে এই মেয়েটা তার বৌদিকে মা বলছে। এসবের মানে কী? এ কি সত্যিই তার দাদার আর বৌদির নিজের মেয়ে? কিন্তু কিভাবে সম্ভব? তাও যদি হয় এ মেয়ে এখানে এলো কিভাবে? আর যদি তাই হয় তাহলে তারা দাদা তাকে বা তার বাবা কে এই ব্যাপারে কিছু বলে নি কেন? অনেক প্রশ্ন তার মাথায় ঘোরাঘুরি করতে লাগলো।
মিনাক্ষী এর home tour দেওয়া শেষ হলে পরে অভিজিৎ বাবু তার মেয়েকে বললেন- আবার পরে দেখাবে মনি, পিসিমনির শরীর খারাপ আগে একটু বিশ্রাম নিতে দাও, তারপর আবার হবে এসব আর তুমিও চলো স্নান করে fresh হয়ে নেবে। পিসিমনি কোন ঘরে থাকবে দেখিয়েছ?
সে কিছু না বলেই পূজার হাত ধরে দোতলার একটা ঘরে নিয়ে গিয়ে বললো- এটা তোমার রুম আর পাশেরটা আমি আর বাবা থাকি। 
পূজা- wow তোমাদের বাড়ি টা তো খুব সুন্দর।
মণি- তোমার ভালো লেগেছে আমাদের বাড়ি পিসিমনি?
পূজা- হ্যাঁ, খুব পছন্দ হয়েছে, আর তোমার মতো ফুটফুটে বাচ্চা যে বাড়িতে থাকবে সে বাড়ি কার পছন্দ হবে না শুনি।
একথা শুনে মণি হাসলেও কিছুক্ষণ এর মধ্যেই সেই হাসি মিলিয়ে গেলো, সেটা পূজাও খেয়াল করলো। পূজা তার সামনে বসে তাকে জিজ্ঞেস করলো- কি হলো সোনা! রাগ করলে পিসিমনির ওপর!
বাচ্চা টি মাথা নাড়ল না সূচক ভাবে।
-তাহলে কি হলো, এরকম হয়ে গেলে কেনো বলো আমায়। আমি কি কিছু ভুল বলে ফেলেছি নাকি বলো।
-তুমি আমায় সত্যিই ভালোবাসো পিসিমনি নাকি মিছি মিছি বলছো?
পূজা বাচ্চাটাকে জড়িয়ে ধরে তার দুই গালে চুমু দিয়ে বললো- 
আস্ত পাগলি একটা, তোমার মতো মেয়েকে কে ভালবাসবে না শুনি একটু, তার নাকে নাক ঘষে বললো খুব ভালবাসি তোমায়, হয়েছে এবার।
-কিন্তু আমার মা আমাকে তো ভালোবাসে না, কোনোদিন আমার সাথে দেখা করতে আসেনি, বাবার সাথে নাকি মা আড়ি করে চলে গেছে কিন্তু আমাকেও একবারের জন্যে দেখতে আসেনি, কথাও বলে নি। মা আমাকে একটুও ভালোবাসে না। এই সব কথা বলতে বলতে বাচ্চা মেয়েটির চোখে জল চলে এলো, সে পূজার কাঁধে মাথা রেখে ফোঁপাতে লাগল। এই সব দেখে শুনে পূজা ও হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল, সে কি বলবে, কি করবে অথবা কি বলা বা কি করা উচিৎ কিছুই বুঝতে পারলো না। 
...
[+] 4 users Like Iesha's post
Like Reply
#13
Khub bhalo start!!!jol kondike goriye jai,setai dekhar!!!wait korbo!!
[+] 1 user Likes Debartha's post
Like Reply
#14
Khub sundor golpo Hobe,asha kori
[+] 1 user Likes Bondhon Dhali's post
Like Reply
#15
Nice update
[+] 1 user Likes Bondhon Dhali's post
Like Reply
#16
Valo laglo
[+] 1 user Likes chndnds's post
Like Reply
#17
ভাল শুরু। দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। সাথে আছি, এগিয়ে যান। শুভ কামনা রইল
[+] 1 user Likes kranjhe's post
Like Reply




Users browsing this thread: