Thread Rating:
  • 57 Vote(s) - 3.44 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
HORROR ভয় - বাবান
#61
(08-02-2022, 03:53 PM)Baban Wrote:
শেষ পর্ব যাদের এখনো পড়া হয়নি
পড়ে ফেলুন। 

পড়লাম... এবং শিহরীত হলাম বলতে পারো... এটাই চাইছিলাম তোমার থেকে... কিছু না দেখিয়েই অনেক কিছু দেখিয়ে দিলে... আহা... এই না হলে ভৌতিক গল্প... এটাই তো দরকার একটা ভূতের গল্পের মধ্যে... 

না দেখেও দেখার মধ্যে যে শিহরণ তা তোমার গল্পে যে পাবো, সেই ব্যাপারে আমি একদম একশত শতাংশ সুনিশ্চিত ছিলাম... এবং সেই আশা থেকে এতটুকুও বিচ্যুতি ঘটেনি আমার... দারুন... দারুন লাগলো বাবান... আর তার সাথে আরো খিদে বাড়িয়ে দিলে আমার... আরো চাই... এই রকম রোমহর্ষক গল্প... তোমার আঙুলের জাদুতে ফুটিয়ে তোলো... অপেক্ষায় রইলাম...


Heart Heart Heart
[+] 4 users Like bourses's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#62
রাতে পড়ে শেষ করলাম, সুন্দর ভাষায় লেখা একটা ভীতিকর গল্প যা কিনা পাঠকের মনে রাখার মত। হরর থ্রিলার সিনেমার বরাবরই ফ্যান আমি, পড়তেও ভালোই লাগে।

কিছু কথা শেয়ার করি যা কিনা নিজের জীবন থেকে নেয়া।
আসলে কি এমন অনেক কিছুই আছে রহস্যময় পৃথিবীতে যার সঠিক ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারেনা, কিছু আছে তেমনি ভৌতিক।
নিজে কখনো প্রত্যক্ষ না করলেও এমন মানুষের দেখা পেয়েছি বা কথা বলেছি যারা কিনা সচক্ষে দেখেছে এমন ভৌতিক বিষয় যা তারা দাবি করে, জানিনা কতটা কি সত্যি। অযথা কারো সঙ্গে তর্কে জড়াবো না আমি।
আমার মায়ের গ্রামে কলেজ জীবনের বান্ধবী কল্পনা মাসি (ছদ্মনাম ব্যবহার করছি এখানে তার। যদিও এদেশে আমাদের ধর্মে মায়ের বোন বা বান্ধবী কে খালা বলে সম্বোধন করে থাকি তবে সনাতনবাদী কাউকে মাসি বা পিসি বলে সম্বোধন করলেই তারা খুশি হন) সমবয়স্ক বা কিছু বড়ছোট, তার কাছ থেকে শোনা - তখন সে এবং আমার মা উভয়েই কলেজছাত্রী, একদিন কলেজ শেষে মা বাড়িতে ফিরে আসে এবং কল্পনা মাসি যায় পাশের গ্রামে পরিচিত কোনো এক লোকের শেষকৃত্যে অতঃপর অন্তিম যাত্রা শেষে বাড়ি ফেরে (মাসি নিজে শ্মশানে যায়নি)। শোনা যায় যে সেদিন শ্মশানে কার্য শেষ করতে নাকি কিছুটা দেরি হয় সেদিন কারণ যে পুরোহিত সময়মত সেখানে উপস্থিত ছিলোনা কিছুটা নাকি বিলম্বে আসে পরে। বিষয়টা এখানেই শেষ নয়, তার বেশ কিছুদিন পর সেই পুরোহিত মশাই ওপার বাংলার জলপাইগুড়ি যেখানে কিনা তার মেয়ের শশুরবাড়ি সেখান থেকে এসে গ্রামে উপস্থিত হয়ে সেদিনের সেই শ্রাদ্ধকৃত ব্যাক্তির খোঁজ করেন এবং পুরো বোকা বনে যান! এবং তিনি বিষয়টা অস্বীকার করে বলেন যে তিনি প্রায় কুড়িদিন যাবৎ গ্রামেই ছিলেন না অর্থাৎ যেদিন শ্মশানে সেই মৃত ব্যাক্তির সৎকার হয়েছে তারও সপ্তাহখানেক আগে থেকে তিনি গ্রামে ছিলেন না, গিয়েছিলেন ওপার বাংলায়! অর্থাৎ সেই পুরোহিত শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন না! বিষয়টা ততক্ষনে ছড়িয়ে গেছে গ্রামে এবং গ্রামের মানুষজন সবাই তাকে নানাভাবে বলতে শুরু করেছে যে সে সশরীরে উপস্থিত ছিল শ্মশানে কিন্তু পুরোহিত মশাই তার কথায় অটল এবং সবাইকে বলেন যে শহরে স্টেশনে গিয়ে খোঁজ করতে যাতে প্রমান হয় যে সে গ্রাম ছেড়ে ওপার বাংলায় গিয়েছিলো কত তারিখে।
আসলে পুরোহিত মশাই মিথ্যে বলবেনই বা কেন? কি লাভ তার?
একদিন কল্পনা মাসি আর মা একসাথে পুরোহিতের বাড়ি উপস্থিত হয়ে বিষয়টা জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তরে বলেন যে "শোন খুকিরা, ঠাকুরের দিব্বি যে আমি শ্মশানে যাইনি। আমি ছিলামই না এখানে!"
তো কি আর বলবে তারা? কিছুই বলার নেই। কিন্তু লোকজনের মুখে মুখে ছিল বিষয়টা দীর্ঘদিন যার কোনোই সমাধানে কেউ আসতে পারেনি, পুরোহিতের মিথ্যা বলার কোনো কারণ নেই আর শ্মশানে উপস্থিত লোকজনই কি ভুল দেখলো?
তো এরপর অনেকদিন যাবৎ নাকি সেই শ্মশানের পাশ দিয়ে রাত্রে বেলায় নাকি কেউ যাতায়াতই করতোনা আর দিনের বেলায়ও নাকি একত্রে চলাচল করতো লোকজন তাও খুব কম! স্বাভাবিকভাবেই ভয় ধরে গেছিলো সবার মনে।
পুরোহিত মশাই দেহ রাখেন তারও অনেকবছর পর এবং তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তার ভস্ম ছড়িয়ে দেয়া হয় তার সেই গ্রামে তারই ফসলের ক্ষেতে।
এমনকি পুরোহিত মশাইয়ের মেয়ে এবং তার পরিবারও বলেছিলো একই কথা যে তার বাবা তখন ওপারে জলপাইগুড়িতে তাদের সাথেই ছিল!
একবার অনেক আগে আমি নিজে কল্পনা মাসি কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই ব্যাপারে তার উত্তরে সে বলেছিলো যে "শোন বাবু, তোরা আজকালকার ছেলেপুলের কাছে এর কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে কিন্তু আমার কাছে কোনোই উত্তর নেই, তোর মাও তখন ছোট আর সেও ছিলো তখন কিন্তু জিজ্ঞেস করে দেখ যে তোর মায়ের কাছেও এর কোনো উত্তর নেই"।
এদিকে মাসির মেয়েরও একই মত ছিল আর সে কখনোই নাকি সেই শ্মশানের কাছে রাত্রে তো নয়ই এমনকি দিনের বেলায়ও যেতোনা, প্রয়োজনে কিছুটা বেশি রাস্তা ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতো (শহরে বেশ ভালস্থানে অবস্থাসম্পন্ন লোকের সাথে তার বিয়ে হয়েছে এবং সে স্বামী সন্তান নিয়ে সুখেই আছে বর্তমানে)
তো আমি এব্যাপারে আর বেশিদূর এগোয়নি, কিন্তু এই ভৌতিক বিষয়ের কোনো সমাধান আমার কাছেও নেই। ঘটনার সময় আমার জন্মই হয়নি আর এর ওর কাছ থেকে যতদূর যা শুনেছি তারা কেউই এব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যায় আসতে পারেনি।
আপনারা হয়তো আমার মেসেজ টা পড়ে মন্তব্য করবেন যে "নির্ঘাত গল্প বানিয়েছে একটা", কিন্তু সত্যি বলছি আমি যে কোনোকিছুই মনগড়া বানাইনি মাসির নামটা ছাড়া, শুধু যা শুনেছি তাই শেয়ার করলাম।
ভাবনা চিন্তা মতের ব্যাপারে আপনারা সম্পূর্ণ স্বাধীন।
[+] 2 users Like a-man's post
Like Reply
#63
(08-02-2022, 04:01 PM)bourses Wrote: পড়লাম... এবং শিহরীত হলাম বলতে পারো... এটাই চাইছিলাম তোমার থেকে... কিছু না দেখিয়েই অনেক কিছু দেখিয়ে দিলে... আহা... এই না হলে ভৌতিক গল্প... এটাই তো দরকার একটা ভূতের গল্পের মধ্যে... 

না দেখেও দেখার মধ্যে যে শিহরণ তা তোমার গল্পে যে পাবো, সেই ব্যাপারে আমি একদম একশত শতাংশ সুনিশ্চিত ছিলাম... এবং সেই আশা থেকে এতটুকুও বিচ্যুতি ঘটেনি আমার... দারুন... দারুন লাগলো বাবান... আর তার সাথে আরো খিদে বাড়িয়ে দিলে আমার... আরো চাই... এই রকম রোমহর্ষক গল্প... তোমার আঙুলের জাদুতে ফুটিয়ে তোলো... অপেক্ষায় রইলাম...


Heart Heart Heart

অনেক অনেক ধন্যবাদ  Namaskar❤❤


(09-02-2022, 12:38 PM)a-man Wrote: রাতে পড়ে শেষ করলাম, সুন্দর ভাষায় লেখা একটা ভীতিকর গল্প যা কিনা পাঠকের মনে রাখার মত। হরর থ্রিলার সিনেমার বরাবরই ফ্যান আমি, পড়তেও ভালোই লাগে।

কিছু কথা শেয়ার করি যা কিনা নিজের জীবন থেকে নেয়া।
আসলে কি এমন অনেক কিছুই আছে রহস্যময় পৃথিবীতে যার সঠিক ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারেনা, কিছু আছে তেমনি ভৌতিক।
.............

বিশ্বাস অবিশ্বাস যার যার নিজের কাছে... কেউ সত্যিকেও মিথ্যে ভাবতে পারেন, আবার কেউ মিথ্যেকেও সত্যিই...... আমার তো দারুন লাগলো.... ধন্যবাদ এখানে শেয়ার করার জন্য  Namaskar
Like Reply
#64
পুরো গল্পটা একবারে পড়লাম আজকে |বাপরে.... কি লিখেছেন এটা? ভুতের স্পষ্ট কোনো আবির্ভাব না দেখিয়েও শুধু ভৌতিক কার্যকলাপ দিয়ে যে পরিবেশ ফুটিয়ে তুলেছেন দারুণ| বিশেষ করে বেড়ালের ওই পর্বটা আর বাথরুমের আলোছায়ার অংশটা.... অমন কিছু কল্পনা করেই ভয় লাগে |

দারুণ কল্পনাশক্তি... আগেও বলেছি  clps clps
[+] 1 user Likes Avishek's post
Like Reply
#65
(10-02-2022, 01:58 AM)Avishek Wrote: পুরো গল্পটা একবারে পড়লাম আজকে |বাপরে.... কি লিখেছেন এটা? ভুতের স্পষ্ট কোনো আবির্ভাব না দেখিয়েও শুধু ভৌতিক কার্যকলাপ দিয়ে যে পরিবেশ ফুটিয়ে তুলেছেন দারুণ| বিশেষ করে বেড়ালের ওই পর্বটা আর বাথরুমের আলোছায়ার অংশটা.... অমন কিছু কল্পনা করেই ভয় লাগে |

দারুণ কল্পনাশক্তি... আগেও বলেছি  clps clps

অনেক অনেক ধন্যবাদ ❤
হ্যা.. বেড়ালের অংশটা ভেবে আমিও ভয় পেয়েছিলাম  Big Grin
Like Reply
#66
✍️✍️✍️✍️✍️
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
#67
Golpota durdanto laglo dada..... Bisesh kore vut na dekhieo je vabe apni voyaboh abohawa sristi korechen oi hasi, sporsho, beraler voi pawa, tarpore story teller er niker experience.... Sobkota jothajoto!! Voy sotti laglo dada. Erokm aro parle likhun.
[+] 1 user Likes Papai's post
Like Reply
#68
(10-02-2022, 09:28 PM)Baban Wrote: অনেক অনেক ধন্যবাদ ❤
হ্যা.. বেড়ালের অংশটা ভেবে আমিও ভয় পেয়েছিলাম  Big Grin

বেড়ালএর অংশ ভেবে ভয় পাচ্ছ, তাহলে পুরো পুসিটা দেখে কি পাবে গো? বলো বলো... 
banana
[+] 1 user Likes bourses's post
Like Reply
#69
(19-02-2022, 03:11 AM)Papai Wrote: Golpota durdanto laglo dada..... Bisesh kore vut na dekhieo je vabe apni voyaboh abohawa sristi korechen oi hasi, sporsho, beraler voi pawa, tarpore story teller er niker experience.... Sobkota jothajoto!! Voy sotti laglo dada. Erokm aro parle likhun.


অনেক অনেক ধন্যবাদ ❤
আপনার প্রথম কমেন্ট আমাকেই দেখে খুব ভালো লাগলো  thanks

(19-02-2022, 01:07 PM)bourses Wrote: বেড়ালএর অংশ ভেবে ভয় পাচ্ছ, তাহলে পুরো পুসিটা দেখে কি পাবে গো? বলো বলো... 
banana

পুরো পুসি দেখলে তো ভেতরের শক্তি কাপুর জেগে উঠবে গো.... আউ ললিতা  Big Grin ঢাক্কি টিকি ঢা Tongue
Like Reply
#70
Baban da ekhono ager motoi valo golpo upohar diye jassen. Tobe j jai boluk apnar erotic theke non erotic golpo e amr kache valo age
[+] 1 user Likes Odrisho balok's post
Like Reply
#71
(24-02-2022, 10:44 PM)Odrisho balok Wrote: Baban da ekhono ager motoi valo golpo upohar diye jassen. Tobe j jai boluk apnar erotic theke non erotic golpo e amr kache valo age

অনেক ধন্যবাদ ❤
আমার দুই ধরণের লেখাতেই যে আপনাদের কাছ থেকে এতো ভালোবাসা পেয়েছি ও পাচ্ছি এটাই তো আসল কথা ♥️ এবারে যে যার মতো বেছে নিক... যার যেটা পছন্দ।
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
#72
আমার নব্বই এর দশকে জন্ম এবং বড় হওয়া, তখনও ইন্টারনেট যুগ আসেনি, গল্প বিশেষ করে ভূতের গল্প পড়া এবং শোনা আমাদের বিনোদনের একটা অংশ ছিল, বড়রা যখনই আমাদের ছোটদের কোন ভূতের গল্প জমিয়ে বলতে বসত আমি খুব নিষ্পাপ মনেই তাদের একটা কথা জিজ্ঞাসা করতাম, ভূতেরা এত ছল করে কেন, এই জানলার পাশ থেকে সরে গেল, এই একটু হেঁসে দিয়ে চলে গেল পাশে এসে শুয়ে পড়লেই ইত্যাদি, এত মেহনত না করে যা বলার সরাসরি বলতে পারে, যারা এত কিছু করছে, তাদের এই বুদ্ধিটুকু নেই, মারতে হলে সরাসরি মার, কিছু বলতে হলে সরাসরি বল, লুকোচুরি খেলে লাভ কি, এই কথার জন্য আমি খুব অপ্রিয় ছিলাম, আত্মীয়দের বাড়িতে কোথাও ছোটদের কেউ গল্প সোনাতে বসলে, আমার ডাক পরত না,যারা গল্প বলত তাদেরই চোখের বিষ ছিলাম আমি ।
Like Reply
#73
(03-03-2022, 01:55 PM)xx30 Wrote: আমার নব্বই এর দশকে জন্ম এবং বড় হওয়া, তখনও ইন্টারনেট যুগ আসেনি, গল্প বিশেষ করে ভূতের গল্প পড়া এবং শোনা আমাদের বিনোদনের একটা অংশ ছিল, বড়রা যখনই আমাদের ছোটদের কোন ভূতের গল্প জমিয়ে বলতে বসত আমি খুব নিষ্পাপ মনেই তাদের একটা কথা জিজ্ঞাসা করতাম, ভূতেরা এত ছল করে কেন, এই জানলার পাশ থেকে সরে গেল, এই একটু হেঁসে দিয়ে চলে গেল পাশে এসে শুয়ে পড়লেই ইত্যাদি, এত মেহনত না করে যা বলার সরাসরি বলতে পারে, যারা এত কিছু করছে, তাদের এই বুদ্ধিটুকু নেই, মারতে হলে সরাসরি মার, কিছু বলতে হলে সরাসরি বল, লুকোচুরি খেলে লাভ কি, এই কথার জন্য আমি খুব অপ্রিয় ছিলাম, আত্মীয়দের বাড়িতে কোথাও ছোটদের কেউ গল্প সোনাতে বসলে, আমার ডাক পরত না,যারা গল্প বলত তাদেরই চোখের বিষ ছিলাম আমি ।

হাহাহাহা..... ভালো বলেছেন।
কিন্তু কি বলুন তো... জীবনে যতটা বাস্তবিক ধারণা নীতি মেনে চলা উচিত.. তার মধ্যে একটু কাল্পনিক চিন্তাধারাও মনে স্থান দেওয়া উচিত। ব্যাক্তিগত জীবন হোক প্রাকটিকাল..... গল্পে না হয় একটু অজানা কল্পনাকে স্থান দিলাম। ♥️
Like Reply
#74
ছোট্ট ভয় - বাবান 

ঘুম জড়ানো চোখেই একবার ঘুমন্ত বৌয়ের দিকে তাকিয়ে নিয়ে রাজীব বাবু হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরলো বৌকে। বৌয়ের কাঁধে মুখটা গুঁজে আদুরে চুম্বন খেয়ে আবার চোখ বুঝলেন তিনি। একটু পরেই টেবিলে রাখা ফোনটা বেজে উঠলো। উফফফফ এতো রাতে কে রে ভাই অসহ্য! রাজীব বাবু তাও ওপাশে ফিরে ঘুম চোখে কার ফোন না দেখেই হাই তুলে রিসিভ করে বলল - হ্যালো... কে? ওপাশ থেকে জবাব এলো.......বাবা!! ঘুমিয়ে পড়েছিলে নাকি? এতো তাড়াতাড়ি আজ? এদিকে যে ভাবলাম আমি নেই তাই হয়তো অনেক রাত অব্দি টিভি দেখে কাটাবেন বাবু.....যাইহোক শোনো... আমি কাল সকালে আসছিনা.... রাতে আসবো.... গাড়িটা ওই সাতটার দিকে পাঠিও। শুনছো? হ্যালো? হ্যালো? শুনছো? কিগো? আরে ধুর ছাঁই শুনছো? কেটে গেল নাকি লাইনটা? হ্যালো?

আর হ্যালো! ওদিকে যে রাজীব বাবু পুরো হেলে গেছেন..... কারে জড়িয়ে চুমা দিলুম গা !???! Big Grin

#baban

(বড়ো ভুতের গল্পের সাথে এই ছোট্টটা ফ্রি Big Grin )
[+] 3 users Like Baban's post
Like Reply
#75
এই অনু গল্পটি পড়ে যত না ভয় পেয়েছি, তার থেকে অবাক হয়েছি বেশি এই ভেবে মাত্র কয়েকটা লাইনের মধ্যে দিয়ে কি সুন্দর ভাবে মনের অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুললে। আসলে এটা বোধহয় একমাত্র বাবানের পক্ষেই সম্ভব।

বিঃদ্রঃ যিনি ফোন করেছিলেন তিনি সম্ভবত রাজীব বাবুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী, সে ক্ষেত্রে উনি উনার প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিলেন, যিনি এখন গত হয়েছেন। অথবা যিনি ফোন করেছিলেন তিনি প্রথম এবং একমাত্র স্ত্রীও হতে পারেন .. সে ক্ষেত্রে বিছানার ভদ্রমহিলা হয়তো তার প্রেমিকা ছিলেন, যাকে ঠকিয়ে রাজীব বাবু অন্যত্র বিয়ে করেছিলেন। এবং হয়তো বা সেই প্রেমিকার মৃত্যুর জন্য রাজীব বাবুই কোনো অংশে দায়ী।


তোমার গল্পের থেকে আমার মন্তব্য বড় হয়ে গেলো  Big Grin
[+] 2 users Like Bumba_1's post
Like Reply
#76
Heart 
(14-05-2022, 02:40 PM)Bumba_1 Wrote: এই অনু গল্পটি পড়ে যত না ভয় পেয়েছি, তার থেকে অবাক হয়েছি বেশি এই ভেবে মাত্র কয়েকটা লাইনের মধ্যে দিয়ে কি সুন্দর ভাবে মনের অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুললে। আসলে এটা বোধহয় একমাত্র বাবানের পক্ষেই সম্ভব।

বিঃদ্রঃ যিনি ফোন করেছিলেন তিনি সম্ভবত রাজীব বাবুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী, সে ক্ষেত্রে উনি উনার প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিলেন, যিনি এখন গত হয়েছেন। অথবা যিনি ফোন করেছিলেন তিনি প্রথম এবং একমাত্র স্ত্রীও হতে পারেন .. সে ক্ষেত্রে বিছানার ভদ্রমহিলা হয়তো তার প্রেমিকা ছিলেন, যাকে ঠকিয়ে রাজীব বাবু অন্যত্র বিয়ে করেছিলেন। এবং হয়তো বা সেই প্রেমিকার মৃত্যুর জন্য রাজীব বাবুই কোনো অংশে দায়ী।



তোমার গল্পের থেকে আমার মন্তব্য বড় হয়ে গেলো  Big Grin

আরিব্বাস!! দারুন বিশ্লেষণ!  clps
ঐটুকু পুচকে গল্পের এমন সম্ভাবনা দুটো তুলে ধরা তোমার পক্ষেই সম্ভব। 
Like Reply
#77
পিলে চমকানোর জন্য যথেষ্ট।
ঐ যে রহস্য টা উন্মোচন না করেই গল্প শেষ করলে এতে ভয় টা আরও বেশি। একেকবার একেক রকম চিন্তা মাথায় আসতে শুরু করছে। পিছন ফিরে বারবার দেখতে হবে কোন শব্দ কানে আসলেই।

দাদা তুমি চাইলেই কিন্তু তোমার এই ছোট গল্প গুলো দিয়ে একটা বই পাবলিশ করতে পারো। এ ব্যাপারে একটু ভেবে দেখো।
Shy হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই।
 দুইকে আমি এক করি না, এক কে করি দুই।। Shy
[+] 1 user Likes nextpage's post
Like Reply
#78
(14-05-2022, 07:19 PM)nextpage Wrote: পিলে চমকানোর জন্য যথেষ্ট।
ঐ যে রহস্য টা উন্মোচন না করেই গল্প শেষ করলে এতে ভয় টা আরও বেশি। একেকবার একেক রকম চিন্তা মাথায় আসতে শুরু করছে। পিছন ফিরে বারবার দেখতে হবে কোন শব্দ কানে আসলেই।

দাদা তুমি চাইলেই কিন্তু তোমার এই ছোট গল্প গুলো দিয়ে একটা বই পাবলিশ করতে পারো। এ ব্যাপারে একটু ভেবে দেখো।

অনেক ধন্যবাদ তোমায় ♥️♥️
তোমাদের যে এইভাবে বিনোদন দিয়ে যেতে পারছি এটাই তো বিশাল প্রাপ্তি  Namaskar
Like Reply
#79
একলা পথিক শুরু পথ চলা
ভিড়ের মাঝে আপনভোলা
কারো হাসি মুখ কারো কৌতূহল
কারো রাগী চোখ, কারো ছলছল
কারো হাতে লাঠি, কারো হাতে কলম
কারো গায়ে ক্ষত, কারো হাতে মলম
কেউ বা আঙ্গুল উঁচিয়ে চেঁচায়
কেউ বা শান্তিতে ঘুমিয়ে কাটায়
পথিক পথের এতো রূপ দেখে
ফাঁকা খাতা কিনে কলমে লেখে
নানান সব আজগুবি যত
কিছু স্পষ্ট, কিছু ঝাপসা মতো
কিছু সত্যি, কিছু মিথ্যা
কিছু না বলা, কিছু জানা কথা
কিছু আবার গরু হয়ে গাছে চড়ে
কিছু আবার মগজে গিয়ে শুধুই নড়ে
লিখে যায় পথিক, লিখতেই থাকে
নানান সব মানুষ ভিড় করে...... দেখতেই থাকে

পাগলের পাগলামি

[Image: 20220603-222328.jpg]

আপনাদের ভালোবাসার আর বিশ্বাসে ফল এটি।
সেই যাত্রা শুরু থেকে আজও যা থামেনি।
কিছু পথিক নতুন এসেছে, কেউ সেই পুরাতনই সাথে আছে
কিন্তু ভালোবাসা আর বিশ্বাস একই রয়ে গেছে ♥️

Namaskar ধন্যবাদ  Namaskar
[+] 3 users Like Baban's post
Like Reply
#80
(31-01-2022, 11:30 PM)Baban Wrote:
[Image: 20220131-225527.jpg]

গল্প - ভয়
লেখক- বাবান



ইরোটিক হরর নিয়ে তো লিখেছি তিনটে গল্প কিন্তু বাঙালিদের অন্যতম প্রিয় বিষয় ভুত নিয়ে একটা ভৌতিক গল্প লেখার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল। যেখানে ভয়টা মূল আকর্ষণ... অন্য কিছু নয়। তাই এই ছোট গল্প। এটা কোনো বড়ো গল্প নয় মোটেও। একটা ছোট গল্প যা দুটো বা তিনটে ভাগে শেষ করে দেবো। ছোট ছোট পর্ব দিয়ে। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।


ফোনটা কাট করতেই আমি বললাম - কি ব্যাপার বলোতো সুভাষ দা? কদিন ধরে দেখছি তুমি একটু কেমন যেন সিরিয়াস মার্কা হয়ে গেছো, তারপরে ঘন ঘন বৌদিকে ফোন করছো? কি ব্যাপারটা কি?

সুভাষ দা কথাগুলো আমার দিকে তাকিয়ে শুনলেও উত্তর দেবার সময় চোখ সরিয়ে নিয়ে চশমাটা মুছতে মুছতে হেসে বা বলা উচিত হাসার নকল অভিনয় করে বললেন - নানা... কিছু না... ওই আরকি

- উহু.... কিছু তো একটা ব্যাপার আছেই... নইলে তোমার মতো একটা মানুষ হটাৎ এতো চুপচাপ..... তারওপর বৌদিকে বার বার ফোন.... বার বার সব ঠিকাছে তো জিজ্ঞেস করছো... ব্যাপারটা কি? দেখো যদি ব্যাক্তিগত বা ফ্যামিলির কোনো ব্যাপার হয় আমি জানতে চাইবোনা কিন্তু কিছু যে হয়েছে সেটা বেশ বুঝতে পারছি........ দেখো তুমি চাইলে আমায় বলতে পারো.. যদি আমি.....

একটানা কথাগুলি বলে থামলাম আমি। দেখি সুভাষ দা আমার দিকে তাকিয়ে। মুখে একটা হালকা হাসি.... ওটা কি আশ্বাস নাকি বিদ্রুপ? ঠিক বুঝলাম না। তিনি চেয়ারে হেলান দিয়ে বললেন - থাঙ্কস রে.... কিন্তু তোর মনে হয় কিছু করার নেই।

- আহা বলোই না.... যদি আপত্তি না থাকে

- না.. আপত্তি... অমন কিছু ব্যাপার নয়

- তাহলে বলো তো.. বলো

সুভাষ দা আমার দিকে তাকিয়ে বললো - শুনবি? তাহলে চল বাইরে যাই... এখানে একটানা বসে বেঁকে গেলাম মাইরি।

ব্রেক টাইম তখন। আমরা দুজন নিজের খাবার হাতে বাইরে এসে ছাদে গেলাম। সুভাষদা আর আমি খেতে খেতেই কথা বলছিলাম। তবে যতই শুনছিলাম আমার খাওয়ার দিকে নজর কমে যাচ্ছিলো আর সুভাষদার গল্পে হারিয়ে যাচ্ছিলাম।

- তুই তো জানিস.... আমাদের বাড়িটা ফ্লাট হচ্ছে। বহু ঝামেলা পেরিয়ে জেঠুরা রাজি হয়েছে। সে যাই হোক..... কাজ শুরুর আগে আমাদের তো শিফটিং এর প্রয়োজন ছিল। জেঠুদের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। দিদি মানে জেঠুর মেয়ে স্নেহাদির এক বান্ধবী খুব কাছেই থাকেন। ওদের নিজেদের তলাটার জন্য ওরাও ভাড়াটে খুঁজছে... তাই খুব সহজেই দুইয়ে দুইয়ে চার হয়ে গেলো, ঝামেলায় পড়লাম আমরা। আমরা কোথায় যাবো?

প্রোমোটার নিজেই আমাদের এই ব্যাপারে সাহায্য করেছিলেন। ওনার কেনা একটা বাড়ি যেটার কাজ শুরু হবে আমাদেরটার পরেই সেটায় যদি আমরা চাই থাকতে পারি। আমি আর বাবা গিয়ে সে বাড়ি একদিন দেখেও এসেছিলাম। খুব একটা যে ভক্তি এসেছিলো বলবনা। দোতলা বাড়ি কিন্তু একেবারে শেষ অবস্থা তার... ওতে থাকা কতোটা রিস্কি হতে পারে সেটাই ভাবছিলাম। ওপর থেকে ভেঙে টেঙে না পড়ে কারোর মাথায় সেই ভয় আর ওই বাড়িতে থাকার ইচ্ছা আর হলোনা। কিন্তু একটা বাড়ি তো প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সাহায্য করেছিলেন বাবার এক পরিচিত মানুষ কাল্টু বাবু। উনি আবার এই সব কাজই করে কমিশান পেয়ে থাকেন।

ওনাদের বাড়ির খুব কাছেই একটা দোতলা বাড়ির খোঁজ উনি এনে দিলেন আমাদের। আবার আমি আর বাবা গেলাম একদিন। এই বাড়িটা আমাদের বেশ পছন্দ হলো। তবে বাড়িটা সামনে থেকে বিশাল কিছু না লাগলেও বেশ ভালোই বড়ো। পেছনে একটা বাগানও আছে... যদিও সেটাকে আজ আর বাগান বলা উচিত নয়... ঝোপ ঝাড় আর একটা পুরানো কুয়ো যেটাও আর ব্যবহার হয়না। ওপরে টিন দিয়ে ঢেকে রাখা যাতে বিড়াল কুকুর আবার ভেতরে পড়ে না যায়। বাড়ির মালিক অনিমেষ কাকু নিজেই আমাদের সাথে সব ঘুরিয়ে দেখালেন। মানুষটা বেশ ভদ্র আর শান্ত স্বভাবের.  ভালো লাগলো ওনার সাথে কথা বলে। একতলার একটা ভাগ উনি ভাড়া দেবেন। সেটাও আমরা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। বেশ পুরানো বাড়ি এটাও কিন্তু ওই বাড়ির মতো ভগ্নদশা নয় মটেও এর। বেশ ভালো বড়ো দুটো শোবার ঘর। একটাই বাথরুম আর রান্নাঘর ছোট্ট হলেও আমাদের বেশ পছন্দ হলো। বাবা আমি আর অনিমেষ কাকু আলোচনার পর ঠিক করলাম এটাই হবে আমাদের কিছু সময়ের বাসস্থান।

এরপর একদিন তোর বৌদিকেও এসে দেখিয়ে গেলাম বাড়িটা। তারও বেশ পছন্দ হলো। এরপর একজন ইলেকট্রিশান কে ডেকে কয়েকটা কাজ করাতে হলো.... আর ঘরটা বাড়ির মালিক নিজেই নিজের বাড়ির কাজের লোক দিয়ে একেবারে পরিষ্কার করিয়ে নিয়েছিলেন। আগেরবার এসে যে ধুলো মাখা দেখেছিলাম পরে স্ত্রীয়ের সঙ্গে এসে দেখি একেবারে পরিষ্কার। ব্যাস... তোমার বৌদির থেকেও গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে সব গুছানোর কাজ শুরু হলো।

এক বাড়ি থেকে আরেকবাড়িতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা যে কি তার আর বিবরণ দিয়ে লাভ নেই। উফফফফ পাগল পাগল অবস্থা ছিল। বড়ো বড়ো আসবাবপত্র তো লোকেরাই নিয়ে এসেছিলো... ভাগ্গিস... একতলা বাড়ি...... কিন্তু ভাবছি এবারে যখন আবার এখান থেকে নিজেদের ফ্ল্যাটে ৫ তলায় যাবো তখন কি অবস্থা হবে!! যাকগে..... আবার ঘটনায় ফিরি। সব ঝামেলা মিটিয়ে চলে এলাম এই বর্তমানের বাসস্থানে। নিজের এতদিনের বাড়ি ছেড়ে আসার সময় বুকটা যে একটুও কেমন কেমন করেনি বলবোনা কিন্তু আমার থেকেও বেশি করেছিল আমার ছেলেটার। একটু গোমড়া মুখ ছিল এক দুদিন ওর কিন্তু তারপরে সেও মানিয়েনিয়েছিল। আমরাও হয়তো মানিয়ে নিতাম কিন্তু.........

বাবা আর মায়ের বারান্দার দিকের বড়ো ঘরটায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ঘর ভর্তি নানান রকমের পুটলি, ব্যাগ, বাক্স ভর্তি জিনিসপত্র এক এক করে খোলা হচ্ছে... খাট বিছানা সেট করা, আসলে শান্ত কে অশান্ত করে আবার শান্ত করা তো সোজা ব্যাপার নয়.. তাই তার ঝক্কি তো পাওয়াতেই হবে। আমরাও এই নতুন বাড়িতে এক এক করে সব গোছগাছ করতে করতেই দিনটা পার হয়ে গেছিলো। ক্লান্তিতে যে যার মতন বিছানায় পড়তেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

পরের দিন আমি নিজের কাজে বেরিয়ে গেলাম। দুই ছেলের মায়েরা নিজের মতো একরাতেই রান্নাঘর গুছিয়ে নিয়েছিল। আমার ছেলেটাকে নিয়ে ওর দাদুই কলেজ নিয়ে যাওয়া আসা করেন। তারাও আমার মতোই বেরিয়ে গেলেন। নিজের এলাকা পাল্টালে একটা অসুবিধা তো হয়ই কিন্তু যেহেতু আমাদের বাড়ি থেকে এই এলাকা ভয়ানক কিছু দূরে নয় তাই খুব একটা অসুবিধায় পড়তে হয়নি....... অসুবিধা তো অন্য জায়গায় ছিল।

কি অসুবিধার কথা বলছো তুমি? পাড়ার লাফাঙ্গা মানে বাজে ছেলেদের আড্ডা ফাড্ডা আছে নাকি ওদিকে? আমি সিগারেটটা ধরিয়ে সুভাষদা কে একটা অফার করে জিজ্ঞেস করলাম। দাদা সিগারেটটা ধরিয়ে একটা টান দিয়ে মাথা নাড়িয়ে বললেন - নারে ভাই....... ওসব কিছু নয়... এ ঝামেলা অন্যরকম। অন্য লেভেলে।

মানে?

সুভাষদা আরেকটা ধোয়া ছেড়ে আমায় বললেন - ভুত ফুত মানিস?



চলবে.......

অসাধারণ
[+] 1 user Likes Bangla Golpo's post
Like Reply




Users browsing this thread: 10 Guest(s)