Thread Rating:
  • 41 Vote(s) - 2.9 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Non-erotic সৌরভ
#41
(15-11-2021, 05:52 PM)ddey333 Wrote: কোন রবিবার !!!???

Dodgy

"আজ রবিবার" খুব ভালো নাটক ইউটিউব এ সার্চ দিয়ে দেখে ফেলুন ।
[+] 1 user Likes cuck son's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
#42
আজকে দিয়ে ফেলবো আশা করি ।  Angel
Like Reply
#43
দাদা সেলেব্রিটিদের নিয়ে একটা গল্প লিখার অনুরোধ রইলো..
Like Reply
#44
বেশ কয়েকদিন মায়ের দোয়া হোটেল বন্ধ , নিজের রান্না করে খেতে হচ্ছে , অন্য হোটেল এর খাবার মুখে রুচলেও পেটে সয় না। রজব এর দোকানের খাবার যে খুব উন্নত মানের এমন নয় , হয়ত পেটে সয়ে গেছে । রান্না নিয়ে বেশি ঝামেলা করিনি , ইন্সটেন্ট নুডোলস , পাউরুটি এসব দিয়ে চালিয়ে দিচ্ছি । বাসার নিচে একটা ডিমের দোকান আছে , সেখান থেকে মাঝে মাঝে সেদ্ধ ডিম নিয়ে আসি । অবশ্য খাওয়ার দুশ্চিন্তার চেয়ে রজব এর জন্য বেশি চিন্তা হচ্ছে , রজব কর্মঠ মানুষ । খুব বড় কিছু না হলে রজব দোকান বন্ধ রাখার লোক না । কিন্তু খবর নেয়ার কোন উপায় জানা নেই , আমি মোবাইল ফোন ব্যাবহার করি না । এছাড়া রজব এর বাড়ি ও আমি চিনি না । রজব বেশ কয়েকবার নিয়ে যাবে বলেও নিয়ে যায়নি ।

 
কিছুদিনের মাঝে বাড়ির কাজ শুরু হবে , আমাকে মাসে ১৫ হাজার করে টাকা দেয়া হবে অন্য বাসা ভাড়া বাবদ । মন্দ নয় ব্যাপারটা । আমার অবশ্য বাসা ভাড়া করতে হবে না , মেজো আপার বাসায় বন্দোবস্ত হয়েছে । আমি অবশ্য না করেছিলাম , অনেকদিন একা একা থকার ফলে আমাকে একলা রোগে ধরেছে । বেশি মানুষ জন দেখলে কেমন জানি দম বন্ধ লাগে । সেদিন গিয়েছিলাম  বাড়ির টাকা বুঝে আনতে , ফেরার সময় যখন বাস স্ট্যান্ড এ দাড়িয়ে আছি । প্রচুর মানুষের ভির , হঠাত আমি খেয়াল করলাম আমি ভয় পাচ্ছি , মনে হচ্ছে আমি কোথায় সেটা মনে করতে পারছি না । মনে হচ্ছে এই মানুষের ভির আমাকে পদদলিত করে মেরে ফেলবে । কোন রকম ভির ঠেলে বেড়িয়ে এসেছি । একটা অটো নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলাম । এর পর থেকে দিনের বেলা বাসা থেকে বের হচ্ছি না ।
 
টাকাটা আমাকে আনতে যেতে হয়েছিলো কারন টাকার প্রতি এখন  আর সাদিক এর তেমন টান নেই । সুমির বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে । খুব মুষড়ে পড়েছে সাদিক আর সুমি , আমাকে দেখে হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলো সুমি , হতবিহবল আমি তেমন সান্তনা দিতে পারিনি । তবে আশ্চর্যের বিষয় আমার তেমন দুঃখ হয়নি । যতটুকু দুঃখ হয়ে ছিলো সেটা সুমি আর সাদিক এর জন্য । একটা জীবন দুনিয়ার মুখ দেখতে দেখতেও দেখতে পেলো না , নিঃসন্দেহে এটা দুঃখের একটি ব্যাপার । এছাড়া ভূমিষ্ঠ হওয়া মানুষের মৃত্যুর চেয়ে এটা কোন অংশে কম নয় । কিন্তু একজন পাষাণ হৃদয় এর অধিকারীর মতো আমার মনে সেই ভূমিষ্ঠ না হওয়া মানুষটির জন্য একটুও মায়া অথবা দুঃখ হয়নি । অথচ সুমি আর সাদিক এমন ভাবে কাদছিলো যেন মৃত ভ্রুন টি ওদের সাথে কোনদিন বসবাস করেছে ।
 
একটু ভুল বললাম মৃত ভ্রূণটি অবশ্যই সুমির সাথে বসবাস করেছে । গত পাঁচ মাস যাবত সুমির পুরোটা সত্ত্বা জুড়েই ছিলো সেই অসম্পূর্ণ মানুষ টি । কোথায় যেন একবার পড়েছিলাম একজন মা পেটে বাচ্চা আসার সাথে সাথে মা হয়ে যায় , কিন্তু পিতার পিতা হয়ে ওঠা হয় যখন সে সন্তান কে প্রথমবার কোলে নেয় । আমার দুঃখ না লাগার কারন আমি তখন বুঝতে পেরেছিলাম। আসলে দুনিয়ায় মায়ের মতো আর কেউ নেই , আমার তো মনে হয় , একজন মেয়ে জন্ম থেকেই মা হয়ে জন্ম নেয় , মা হওয়ার জন্য তার গর্ভে সন্তান আসার দরকার হয় না ।
 
সাদিক এর অনিচ্ছার কারনে তাই আমাকেই সব দায়িত্ব নিতে হয়েছে । আর তখনি মেজো আপার আগমন , সাথে দুলাভাই ।
“সৌরভ তুই এমন একটা কাজ করতে পারলি” এসেই প্রথম এই কথাটা বলছিলো মেজো আপা , দুলাভাই কিছু না বললেও ওনার মুখের অভিবেক্তি দেখে মনে হচ্ছে আমি যাই করে থাকি না কেনো উনিও সেটা মেনে নিতে পাড়ছেন না । অবশ্য আমার কিছু জিজ্ঞাস করতে হলো না , মেজো আপা নিজেই আমার সেই গুরতর অপরাধ এর কথা তুলে ধরলেন “ বাড়িটা বিল্ডার দের দিয়ে দিলি কাউকে কিছু জিজ্ঞাস ও করলি না , হতে পারে আমারা আমাদের ভাগ সুমির কাছে বিক্রি করে দিয়েছি , কিন্তু বাপের বাড়ি তো , সুমি না বললে তো শেষ দেখাটাও দেখা হতো না”
 
“ আমি এতো কিছু চিন্তা করিনি রে আপা , আর সুমি তো বলেছে ই , এখন দেখ”  কিন্তু মেজো আপা কে থামানো যায় না , অনেক কিছু বলার পর শেষে আসল পয়েন্টে এলো , বলল “তোর দুলাভাই এর সাথে একবার আলাপ তো করে নিবি”
 
এর পর দুলাভাই মুখ খুললেন , উনি এর জন্যই অপেক্ষা করছিলেন , “ কত দিচ্ছে ওরা?” ওনার স্বভাব সুলভ চালিয়াতি দৃষ্টি আমার দিকে তাক করলেন , আমি টাকার অঙ্ক বলতেই ওনার চোখ কপালে উঠলো , তারপর আপার দিকে তাকিয়ে বললেন “ দেখেছো আমি বলেছিলাম , একেবারে ঠকিয়েছে”
 
“ হু কোম্পানি ঠকিয়েছে না কে ঠকিয়েছে গিয়ে দেখো?” মেজ আপার ইংগিত আমি বুঝতে পারলাম , তবে আমি জানি সাদিক এমন করার মানুষ না । “ হুম্মম্মম্ম” সব্জান্তার ভাব এসে ভর করলো দুলাভাই এর উপর । তারপর জিজ্ঞাস করলেন “ফ্লাট কেমন দিচ্ছে?”
 
“৬০/৪০”
 
“ হুম্মম……… এটা ঠিক আছে , তবে টাকায় খুব ঠকিয়েছে তোকে”
 
“সুনলাম টাকা নাকি সব দিয়ে দিচ্ছিস সুমির জামাই কে?” মেজো আপা দ্রুত জিজ্ঞাস করলেন ,
 
“ সাদিক এর টাকার দরকার , আমি টাকা দিয়ে কি করবো”
 
“ তোর আর দুনিয়ায় কেউ নাই বুঝি? এই যে ভাগ্নি একটা বড় হচ্ছে , ওকেও তো কিছু দিতে পারতি”
 
এই প্রশ্নের কোন উত্তর আমার জানা ছিলো না , তবে মনে মনে ঠিক করলাম , আমি যে ছটা ফ্ল্যাট পাবো তার মাঝে একটা তিতলির নামে আর দুটো বড় আপার দুই ছেলে মেয়ের নামে করে দেবো । বাকি তিনটা দিয়ে কি করবো কে জানে । সেদিন রাতে মেজো আপা থেকে সত্যি সত্যি থেকে গেলো । দুলাভাই অবশ্য থাকলো না , তিতলি বাড়িতে একা থাকবে এই জন্য । হোটেল এর খাবার আপা খাবে না , তাই বাজার করতে হলো , আপা সেই বাজার রান্না করে দুলাভাই কে খাইয়ে দিলো , আর তিতলির জন্য দিয়ে দিলো বাটি করে ।
 
রাতে আপা অনেক্ষন ধরে হিন্দি সিরিয়াল দেখলো , সাথে আমাকেও বসে থাকতে হলো । একা একা সিরিয়াল ও দেখতে পারে না, সিরিয়ালে একটা একটা গুরুত্ব পূর্ণ ঘটনা ঘটে আর আপা আমাকে এর পেছনের কারন খুলে বলে । রাত শোয়া এগারটা পর্যন্ত সিরিয়াল দেখে সেদিন ঘুমাতে গেলাম । ততক্ষনে আমার ঘুম চলে গেছে । আমি দশটায় ঘুমানোর লোক । দশটা যদি কোন রকমে সাড়ে দশটা হয় সে রাতে ঘুম হয় না ।
 
সেদিন ও ঘুম আসছিলো না , বিছানায় শুয়ে এপাশ , ওপাশ করছিলাম । হঠাত দেখি উঠানে কে জানি হাঁটছে । আমার ঘর যেটা এক সময় বাবা মায়ের ঘর ছিলো , আগুন্তুক এদিকেই এগিয়ে আসছে । একটু পরে আওয়াজ আরও স্পষ্ট হলো , ভাবলাম চোর টোর হবে , তাই সিদ্ধান্ত নিলাম শুয়ে থাকবো মটকা মেরে যা হওয়ার হোক । কিন্তু কৌতূহল বড় শক্ত জিনিস , কিশোর বয়সে অতি প্রাকিত কিছু দেখার বাসনা আমার ছিলো , চেষ্টাও করেছিলাম, দেখা মেলেনি কোনদিন । একটা মৃদু সম্ভাবনা সেদিন আবার সেই ইচ্ছা আমার ভেতর জাগিয়ে তুলেছিলো , জানালার পর্দা সরিয়ে উঁকি দিতেই আমার হৃদ পিণ্ড ধক করে উঠেছিলো , কয়েক সেকেন্ড এর জন্য মনে হয়েছিলো সত্যি অতি প্রাকিত কিছু দেখেছি । একজন মহিলা , এলো করে সাড়ি পরা , হাঁটছে , ঠিক এলো মেলো হাটা নয় , তার নির্দিষ্ট গন্তব্য আছে বলে মনে হলো । আমাদের বাড়ির একেবারে শেষের কোন হচ্ছে তার গন্তব্য ।
 
ভেবেছিলাম হতেই পারে , বাড়িটা ভেঙ্গে ফেলা হবে তাই হয়ত এই বাড়ির সাথে জড়িত অশরীর কেউ এসেছেন , শেষ কটা দিন এর জন্য । প্রাথমে ভাবলাম আমার দাদি হবেন , এই বাড়ির প্রতি অগাধ টান ছিলো ওনার , ছোট বেলায় দেখেছি কোথাও গিয়ে দুটো দিন থাকতে চাইতেন না । স্বামীর ভিটে স্বামীর ভিটে বলে আঁকড়ে ধরে রাখতে চাইতেন । কিন্তু সম্ভাবনা নাকচ করে দিলাম, কারন আমার দাদি ছিলো বেটে খাটো মহিলা । ভাবলাম মা নয়ত ? একদম মায়ের মতো কাপড় পড়েছে , কিন্তু মায়ের তো এই বাড়ির জন্য তেমন কোন বাড়তি টান দেখিনি যে শেষ বার দেখতে আসবেন, বরং মাঝে মাঝে মনে হতো মা এই বাড়ি থেকে দুদিন এর জন্য অন্য কোথাও গেলে খুব খুশি হতেন। একবার আমরা সবাই মিলে কক্সবাজার গিয়েছিলাম , সেবার মা ভীষণ খুশি হয়েছিলো। আমার মনে আছে , বিচে বসে বাবার সাথে এমন করে কথা বলছিলো যেন নতুন বিয়ে হয়েছে দুজনের, তখন বুঝতে পারিনি তবে অনেক পরে যখন সেই দৃশ্য  আনমনে চোখে ভেসে উঠেছিলো তখন এমনটাই মনে হয়েছিলো। তাই মায়ের আসার কথা নয় । কিন্তু ওই হাঁটার ভঙ্গি , ওই এক রকম দৈহিক গঠন।
 
ভয় আমি পাইনি , তবে আমার মস্তিস্ক ডাবল টাইম কাজ করছিলো , কে হতে পারে এই মহিলা , কিছুতেই মিলাতে পারছিলাম না। অনেক সময় মস্তিস্ক অতিরিক্ত কাজ করলে শরীর ঘেমে ওঠে আমার একটু ঘাম হয়েছিলো । রহসসময় সেই নারীর গন্তব্বে আমার জানালার পাশ দিয়েই যেত হতো , তাই যখন আরও কাছে চলে এলো , তখন আমার মস্তিস্ক একটু সময় এর জন্য শান্ত হলো , কারন ওই নারী আর কেউ নয় , মেজো আপা , একদম মায়ের মতই লাগছিলো ওকে । কিন্তু এতো রাতে মেজো আপা এখান দিয়ে যাচ্ছে কেনো ? ওর তো পোকার ভয় অনেক , আর বাড়ির পেছনের এই জায়গাটা পরিস্কার করা হয় না অনেক বছর , পোকা মাকড় তো থাকবেই , সাপ থাকলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই । আর সেই পথেই কিনা আপা এমন করে হেঁটে যাচ্ছে তাও রাত দুপুরে ।
 
আপার কি সত্যি বাড়িটার জন্য এতো মায়া!!! , কই কোনদিন তো মনে হয়নি ।  আমার অন্য বোনদের তুলনায় মেজো আপা কেই আমি সবচেয়ে বেশি জানি , কোনদিন আমার মনে হয়নি এই বাড়ির প্রতি ওর টান আছে । উল্টো বাড়িটার প্রতি ওর অভিযোগ ছিলো প্রচুর , দেয়াল স্যাঁতসেঁতে , হাই কমোড নেই (তখন ছিলো না)। ভুত আছে এই বাড়িতে এসব কত কথা বলতো । আসলে মানুষের মন বোঝা বড় দায় , কেউ যদি বলে আমি একজন মানুষ কে খুব ভালভাবে বুঝতে পেরেছি , তাহলে সে ডাহা মিত্থা বলছে এতে কোন সন্দেহ নেই । কেউ কোনদিন চিন্তাই করতে পারবে না মেজো আপা রাত বিরাতে জুঙ্গুলে এই বাড়ির পেছন রাস্তা দিয়ে হাঁটছে ।
 
আমার অনুমান সত্যি করে দিয়ে মেজো আপা বাড়ির শেষ কোনায় গিয়ে দাড়িয়ে পড়ল , তারপর এদিক ওদিক একবার তাকিয়ে নিয়ে উবু হলো । আমি আগ্রহ হাড়িয়ে ফেলেছিলাম , কিন্তু মেজো আপার কর্ম কলাপ আমাকে আবারো আগ্রহি করে তুলল। আসলে আমি একটু লজ্জা ও পাচ্ছিলাম , কারো গোপন কাজ দেখা আমার স্বভাব নয় । কিন্তু সেদিন আমার কৌতূহল আমাকে ভালো ভাবেই কুপোকাত করেছিলো ।
 
 
কিছুক্ষন খোঁড়াখুঁড়ির পর মেজো আপা একটা প্লাস্টিকের ময়লা ব্যাগ বের করে আনলো । কি আছে সেই ব্যাগে , আর এই জিনিস মেজো আপা কতদিন আগে রেখেছিলো এই যায়গায় ? প্রচণ্ড কৌতূহল সে রাতে আমাকে মেজো আপার উপর সাপাইং করতে বাধ্য করেছিলো । ঘরের ভেতর ঢুকে মেজো আপা যখন সোজা রান্না ঘোরে গিয়ে চুলা জ্বালাল আমি চুপি চুপি তখন রান্না ঘোরে উঁকি দিয়ে । সেই ছোট বেলার মতো মেজো আপা পড়তে বসেছে আমি চোরা চোখে ওকে দেখছি আর ভাবছি একে আমি বিয়ে করবো । মেজো আপার হাতে কিছু খাম , একটা পেন্সিল বক্স , একটা সুকিয়ে যাওয়া গোলাপ ফুলের ডাঁটা , কিছু ভেঙ্গে যাওয়া চুড়ি । মেজো আপা কিছুক্ষন সেই জিনিস গুলির দিকে তাকিয়ে রইলো , তারপর একটা পাতিল নিয়ে সগুলি সেখানে রেখে আগুন ধরিয়ে দিলো । এদের শেষ ঠিকানা এখন হুমকির মুখে তাই এদের অস্তিত্ব ও আর থাকবে না । মেজো আপার না জানি কত দিনের লুকিয়ে রাখা সেই অপ্রয়োজনীয় সম্পদ গুলি নিজেদের আশ্রয় হাড়িয়ে চিতায় পুরতে লাগলো ।
 
আমি আর দাড়াই নি চলে এসেছিলাম , শুয়ে শুয়ে ভাবছিলাম , একটা বাড়ি না জানি কত মানুষের কত গোপন আড়াল করে রাখে । না জানি কত সৃতি নিজের গোপন কুঠুরিতে লুকিয়ে রাখে । আচ্ছা আমার কি এমন কোন সৃতি লুকায়িত আছে? প্রশ্ন এসেছিলো আমার মনে , অনেক চিন্তা করেও কিছু বের করতে পারিনি ।  
[+] 10 users Like cuck son's post
Like Reply
#45
অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনা , তোমার গল্প পড়ার পরেই কেমন যেন মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে ..

আর নিজেকে খুব অসহায় আর দুর্বল মনে হয় !! কিন্তু না পড়ে থাকতেও পারি না , অপেখ্যায় থাকি ...

[+] 3 users Like ddey333's post
Like Reply
#46
(16-11-2021, 09:28 PM)ddey333 Wrote: অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনা , তোমার গল্প পড়ার পরেই কেমন যেন মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে ..

আর নিজেকে খুব অসহায় আর দুর্বল মনে হয় !! কিন্তু না পড়ে থাকতেও পারি না , অপেখ্যায় থাকি ...


হা হা হা (অট্ট হাঁসি) আমি লোক খারাপ । অনেক্ষন অপেক্ষা করছিলাম , কমেন্ট করবেন উত্তরে কিছু বলবো । 

আজ রবিবার নামে সত্যি একটা নাটক আছে কিন্তু ।
Like Reply
#47
(15-11-2021, 07:08 PM)ambrox33 Wrote: দাদা  সেলেব্রিটিদের নিয়ে একটা গল্প লিখার অনুরোধ  রইলো..

সত্যিকারের জীবিত মানুষ নিয়ে কাল্পনিক গল্প লিখতে আমার আপত্তি আছে । বলতে পারেন কাকের আবার কিসের আপত্তি । আসলে কাকের কোন কিছুতেই আপত্তি থাকার কথা নয় , তাই না হলেই সে আসল কাক। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আমি একজন কাক যার আপত্তি আছে , বিপত্তি ও আছে  Big Grin Big Grin Big Grin 

ভালো থাকবেন
Like Reply
#48
(16-11-2021, 10:14 PM)cuck son Wrote: হা হা হা (অট্ট হাঁসি) আমি লোক খারাপ । অনেক্ষন অপেক্ষা করছিলাম , কমেন্ট করবেন উত্তরে কিছু বলবো । 

আজ রবিবার নামে সত্যি একটা নাটক আছে কিন্তু ।

নীললোহিত , সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ওই নামে কয়েকটা উপন্যাস লিখেছিলেন ...

খানিকটা যেন মিল খুঁজে পাচ্ছি ... যদিও সেরকম কিছু নয়

Like Reply
#49
(16-11-2021, 10:35 PM)ddey333 Wrote: নীললোহিত , সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ওই নামে কয়েকটা উপন্যাস লিখেছিলেন ...

খানিকটা যেন মিল খুঁজে পাচ্ছি ... যদিও সেরকম কিছু নয়


আজ রিবিবার নামে ? পড়া হয়নি , সুনিল বাবুর একটা গল্প বাদে আর কোন গল্পই আমার পড়া হয়নি ।
Like Reply
#50
(16-11-2021, 10:40 PM)cuck son Wrote: আজ রিবিবার নামে ? পড়া হয়নি , সুনিল বাবুর একটা গল্প বাদে আর কোন গল্পই আমার পড়া হয়নি ।

না না রবিবার নয় ...

নীললোহিতের দ্বিগশুন্যপুর পরে দেখতে পারো , আরো অনেক আছে নাম মনে নেই আর ..
বৌদিবাজির চূড়ান্ত একেবারে যাকে বলে ... Big Grin Big Grin
Like Reply
#51
(16-11-2021, 10:48 PM)ddey333 Wrote: না না রবিবার নয় ...

নীললোহিতের দ্বিগশুন্যপুর পরে দেখতে পারো , আরো অনেক আছে নাম মনে নেই আর ..
বৌদিবাজির চূড়ান্ত একেবারে যাকে বলে ... Big Grin Big Grin

বুঝতে পেরেছি , উনি নীললোহিত নামে অনেক গল্প লিখেছিলেন । 

আপডেট আবারো রবিবার , বেশি করে বলশালী খাবার খাবেন সেদিন    Big Grin  আগেই বলে দিলাম পরে আমার দোষ দেবেন না
[+] 1 user Likes cuck son's post
Like Reply
#52
(19-11-2021, 05:16 PM)cuck son Wrote: বুঝতে পেরেছি , উনি নীললোহিত নামে অনেক গল্প লিখেছিলেন । 

আপডেট আবারো রবিবার , বেশি করে বলশালী খাবার খাবেন সেদিন    Big Grin  আগেই বলে দিলাম পরে আমার দোষ দেবেন না

Lift
Like Reply
#53
banana horseride
[+] 1 user Likes ddey333's post
Like Reply
#54
(19-11-2021, 05:16 PM)cuck son Wrote: বুঝতে পেরেছি , উনি নীললোহিত নামে অনেক গল্প লিখেছিলেন । 

আপডেট আবারো রবিবার , বেশি করে বলশালী খাবার খাবেন সেদিন    Big Grin  আগেই বলে দিলাম পরে আমার দোষ দেবেন না

সারাদিন উপোস করে বসে ছিলাম , কিন্তু কিছুই পেলাম না ... খাবার !!

Sad
Like Reply
#55
দারুন লিখছেন দাদা। চালিয়ে যান। update এর অপেক্ষাই আছি......
Like Reply
#56
এই লেখকটি কি ধরাধাম থেকে বিদায় নিয়েছেন !!!


Sad banghead
Like Reply
#57
মায়ের দোয়া হোটেল এখনো বন্ধ , কিছুই বুঝতে পারছি না , প্রায় এক মাসের মতো হয়ে গেছে , রজব তো এমন ছেলে না । পাকা গেরস্থ ছেলে রজব , এক পয়সা লস হবে এমন কাজ করতে সে নারাজ , এই তো কয়েকমাস আগে মেয়ের বিয়ে দিলো , বিয়ের দিন পর্যন্ত দোকান খোলা রেখেছিলো , এখন কি হল কে জানে । মনটা কেমন কু গাইতে শুরু করেছে আমার। আজকাল মনে সুধু খারাপ চিন্তা আসে , এইত সেদিন বড় আপা ফোন দিয়ে বলল জলদি যেন ওর বাসায় চলে আসি । জিজ্ঞাস করলাম কেনো কোন উত্তর দিলো না। এটা বড় আপার স্বভাব , কম কথা বলা মানুষ যে দুনিয়ায় নাই এমন নয় , কিন্তু বড় আপা বাড়াবাড়ি ধরনের কম কথা বলা মানুষ ।  

 
বড় আপা আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড় , তাই ছোট বেলা থেকেই ওর সাথে আমার দূরত্ব বেশি । ছোট ভাই হিশেবে একটু আদর করা বাঁ কোথাও সাথে করে নিয়ে যাওয়া এসব কোনদিন করেনি । সুধু আমার সাথে যে দূরত্ব ছিলো এমন নয় । বড় আপার সাথে তেমন কারোই কোন কথা হতো না । না ভুল বললাম , একজন এর সাথে বড় আপার অনেক কথা হতো , সে হচ্ছে আমাদের দাদি , রাতের বেলা শুনতাম বড় আপা আর দাদি দুজনে গুন গুন করে কি যেন বলছে। মাঝে মাঝে তো বড় আপার হাসির সব্দ ও পেতাম । বড় আপা কে হাসতে দেখা ছিলো দুর্লভ ব্যাপার ।  
 
বড় আপা আর দাদির মাঝে এই বিশেষ সম্পর্ক নিয়ে মেজ আপা প্রায় প্রায় মজা করত । মেজ আপার মতে বড় আপার ভেতরে একজন বয়স্ক মানুষ এর আত্মা আছে । আবার সেই আত্মা নাকি পুরুষ মানুষ এর । এই নিয়ে দুজন এর মাঝে প্রায় ঝগড়া হতো। বড় আপা তো ঝগড়া করার লোক না , তাই একটা কথাই ও বলত “ তুই জাহান্নামে যা”। অবশ্য মা দ্রুত এই ঝগড়ার মাঝে এসে পরত আর মীমাংসা করে দিত । মীমাংসা বলতে মেঝ আপা বকা খেত মায়ের হাতে ।
 
মৃদুভাষী বড় আপার সংক্ষিপ্ত ফোন কল এর পর আমার মাথায় ঘুরে ফিরে নানান চিন্তা আসতে লাগলো । তার বেশিরভাগ ই খারাপ । প্রথমে চিন্তা এলো বড় দুলাভাই এর কিছু হল কিনা । বড় দুলাভাই এর যত না বয়স তারচেয়ে তার রোগের সংখ্যা বেশি। হেন কোন রগ নেই তার নেই , অবশ্য কোনটাই আমার টার মত বিশেষ কিছু না , পান্তা ভাত টাইপ রোগ ওনার , এই যেমন বাতের ব্যাথা , হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া , কোষ্ঠ কাঠিন্য , ডায়বেটিস । তাই প্রথমে বড় দুলাভাই এর চিন্তাই মাথায় এলো । তারপর আরও নানা চিন্তা । আসলে এতদিন আমার ফোন ছিলো না বলে এ ধরনের সমস্যা ছিলো না । কারো দরকার হলে আমার কাছে আসতে হতো। তখন সবিস্তারে সব কিছু জেনে নেয় যেত । ফোন কিনতে হয়েছে বাড়ি ডেভ্লপার দের দেয়ার পর ।  
 
যাই হোক প্রায় তিন দিন পর গিয়েছিলাম বড় আপার বাসায় । বড় আপার বাসা অনেক দূরে , নতুন সহরের ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং এ একটি বিশাল ২১০০ স্কয়ার ফিট ফ্লাট নিয়ে থাকনে । দরজা খুলল বড় আপা , আমাকে অবশ্য দেরি করে আসার জন্য কিছুই বলল না । নালিশ করার অভ্যাস নাই বড় আপার ।  মেজ আপা হলে এতক্ষনে ১০০ কথা শুনতে হতো ।  
 
“আপা আসতে বলেছিলে?”  হাঁসি মুখে বললাম , কিন্তু কোন উত্তর পেলাম না , ইশারায় আমাকে বসতে বলা হলো , বিশাল বসার ঘর আপার , দু সেট দামি সোফা , দেয়ালে পেইন্টিংস । অনেক দিন আসা হয়না বড় আপার বাসায় , এর আগে যখন এসেছিলাম তখন এই সেট আপ ছিলো না । বড় আপার বাসায়  আসলে প্রতিবার মনে হয় নতুন কোন যায়গায় এসেছি । সোফায় বসতেই আমি প্রায় ডুবে গেলাম, এত নরম । বসতেই একটা কালো মতন মেয়ে এক গ্লাস ঠাণ্ডা সরবত নিয়ে এলো । আশ্চর্যের ব্যাপার হল সরবত এর জন্য বড় আপা হুকুম দেয়নি , তারপর ও চলে এলো , নিশ্চয়ই এ বাড়ির নিয়ম হচ্ছে বেল এর শব্দ শোনা মাত্র সরবত রেডি করা ।  
 
আমি সরবত খেতে শুরু করলাম , একবার মনে হয়েছিলো ভদ্রতা করে বলি… না না এসব এর কি দরকার ছিলো। বড় আপা আমার সামনে বসে আছে ওর চোখ মুখ শক্ত , অবশ্য এতে ওর মনের কথা বোঝা জাচ্ছে না । ওর চোখ মুখ প্রায় সব সময় শক্ত থাকে । আর সব সময় এমন চোয়াল শক্ত থাকার কারনে ওর চেহারায় একটা রুক্ষ ভাব চলে এসেছে , এমনিতে শ্যামলা বড় আপার মুখটা বেশ মিষ্টি ছিলো । এখন অবশ্য তেমন নেই , স্কুলের কড়া টিচারদের মত চেহারা হয়েছে ওর । দেখলে মনে হয় এখুনি রচনা মুখস্ত ধরবে ।
 
আমার সরবত খাওয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলো বড় আপা , তারপর বলল “ কেমন আছিস?” সাদামাটা কেমন আছিস কোন মায়া মমতা মেশানো নেই এতে , বা হয়ত আছে , দেখাতে পারে না । কিছু কিছু মানুষ থাকে এরকম। বড় আপার প্রশ্নটা শুনে আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো ওর মনের ভেতর একবার যদি দেখতে পেতাম তাহলে খুব ভালো হতো , উত্তর টা সহজে দিতে পারতাম । কিন্তু সেটা সম্ভব নয় , একসাথে বড় হয়ে ওঠার পর ও বড় আপা আমাদের চেয়ে অনেক দুরের মানুষ হয়েই থেকেচে সব সময় ।
 
“ ভালোই আছি” আমিও নিরলিপ্ত উত্তর দেয়ার চেষ্টা করলাম ।  
 
“ তোর অসুখ এর কি খবর”
 
“ খবর ভালো”
 
ভ্রু কুচকে গেলো বড় আপার, একটু রেগে গেলো , বলল “ এটা কেমন উত্তর , তুই কি আমার সাথে ফাইজাল্মি করছিস”
 
ছোট বেলায় এই লাইন এর পর একটা চড় পরতো গালে , এখন হয়ত অত দূর যাবে না বড় আপা । আমার ধারনা ঠিক হলো , একটা বড় নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল , “ আচ্ছা যেমন আছিস তেমন থাক , তোকে যে জন্য ডেকেছি সেটা বলি”  
 
এটুকু বলে একটু থাম্লো , তারপর শুরু করলো , “ তোদের কাছে আমি কি এমন অন্যায় করেছি যে সব সময় তোরা আমার পেছনে লেগে থাকিস”
 
এমন হঠাত করে এত বড় অপবাদ পেয়ে আমি একটু অবাক হয় গেলাম , আমি আবার কখন ওর পেছনে লাগলাম , আমার কোনদিন এত সাহস ছিলো না । সব সময় ওর থেকে দূরে দুরেই থাকতাম , অনাহূত চড় থাপ্পর এর ভয়ে । কিন্তু আমাকে কোন উত্তর দিতে হলো না ।
 
“ সব সময় আমি তোদের কাছ থেকে দূরে থেকেছি , আমি জানি তোরা আমাকে পছন্দ করিস না , পছন্দ করার মত তেমন কিছু নেই ও আমার , আমি মেজোর মত হাঁসি তামাশা করতে পারি না, সুমির মত আমি নরম স্বভাব এর না । নিজের অনুভুতি প্রকাশ করতে অক্ষম। তাই কোনদিন তোদের প্রতি আমার কোন আক্ষেপ ও ছিলো না । আমি নিজের মত থেকেছি । এই দুনিয়ায় সুধু একটা মানুষ আমাকে বোঝে তাকে নিয়েই আমি থকেছি , কিন্তু তোরা কি শুরু করেছিস , তোরা কি চাস না আমি শান্তিতে থাকি?”
 
এবার আমার কাছে মনে হচ্ছে প্রথম প্রস্নের উত্তর দেয়াই সহজ ছিলো , তবুও আমি বললাম “ কি হয়েছে রে আপা , আমি তো তোর সাথে এমন কিছু করেছি বলে তো মনে পড়ছে নারে” আমার বলা শেষ হতেই দেখলাম বড় আপার মেয়ে উঁকি দিয়ে দেখছে আমাদের । মেয়েটা বেশ বড় হয়ে গেছে , আর দেখতে একদম অবিকল বড় আপার মত , বেশ মিষ্টি চেহারা । তবে এর চেহারায় কোন রাগি টিচার এর ছাপ নেই । এক বার ভাবলাম ডাকি , কিন্তু সাথে সাথে সেই চিন্তা বাদ দিলাম । কারন আমি আমার বড় ভাগ্নির নাম মনে করতে পারছি না । বড় লজ্জার বিষয় , ডেকে কি বলবো ?
 
বড় আপা আমার দৃষ্টি লক্ষ করে তাকালো , নিজের মেয়েকে দেখে ধমক এর স্বরে বলল  “ তুবা ভেতরে যাও , দেখছ না একজনের সাথে কথা বলছি”
 
মেয়েটি তৎক্ষণাৎ চলে গেলো , আমি একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেললাম । আসলেই বড় আপা নিজেকে একটা খোলসে বন্দি করে রেখেছে । সেই খোলসে আমাদের কোন এন্ট্রি নেই । নিজের মেয়ের কাছে আমাকে মামা হিসেবে নয় একজন হিসেবে উপস্থাপন করছে । অবশ্য এর জন্য আমিও কম দায়ি নই ।
 
তুবা চলে যেতেই বড় আপা আমার কথার রেশ ধরে বলল , “ না তুই কি করবি , করেছে ও মেজ আর ওর বজ্জাত জামাই। তোর দুলাভাই কে তো চিনিস মাটির মানুষ , কারো সাতেও নেই পাঁচেও নেই । নিরঝঞ্জাট জীবন চায় । সেই লোকটার পেছনে লেগেছে ওরা দুজন মিলে”  এটুকু বলতে বলতে বড় আপার চোখে পানি চলে এলো । বড় আপা কে যেমন হাসতে দেখা যায় না তেমনি কাঁদতে ও দেখা যায় না । কঠিন কঠিন পরিস্থিতি তেও বড় আপা কাদেনি কোনদিন । একবার সুধু দেখেছিলাম বড় আপা কে কাঁদতে , তাও একা একা । যেমন তেমন কান্না নয় একদম বিলাপ করে কান্না , সেদিন আমাদের দাদি মারা গিয়েছিলো । বাড়ির কেউ তেমন শোক প্রকাশ করেনি , এমন কি আমাদের বাবাও না । দাদির অনেক বয়স হয়ে গিয়েছিলো , অকেন দিন রোগে ভুগে কষ্ট করছিলেন ।বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে পিঠে ঘা হয়ে গিয়েছিলো । তাই সবাই কে বলতে শুনেছি “ যাক কষ্ট তো কমেছে , বেঁচে থেকে সুধু কষ্টই পাচ্ছিলেন” , কিন্তু বড় আপা একা একা বালিশে মুখ গুজে বিলাপ করে কাদেছিলো । কি জানি দুলাভাই এর মত হয়ত আমাদের দাদি ও বড় আপা কে বুঝতে পারত । হয়ত বড় আপা সেই জন্য কেদেছিলো , যেমন আজ দুলাভাই এর জন্য কাদছে ।
 
“ কি হয়েছে রে আপা , কাদছিস কেনো” আমি জিজ্ঞাস করলাম , হয়ত আমার উচিৎ ছিলো আরও একটু সহানুভুতির সাথে বলা , কিন্তু এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারলাম না আমি । বড় আপা আচল দিয়ে চোখ মুছলো , তারপর একবার নাক টেনে আবার বলতে লাগলো “ মেজোর জামাই , তোর দুলাভাই এর পেছনে লেগেছে । বলছে তোর দুলাভাই নাকি ঘুষ খায় , বলছে চাকরি খেয়ে দেবে। “
 
“ আহা এতে কি হয়েছে , দুলাভাই যদি কোন খারাপ কাজ না করে থাকে তাহলে মেজো দুলাভাই বললেই কি ওনার চাকরি চলে যাবে” আমি সাত পাঁচ না ভেবেই বলে ফেললাম । বলেই বুঝলাম কিছু একটা ভুল করেছি , কারন বড় আপার চোখে কুঁচকে যাচ্ছে।
 
“ তোর কি বিশ্বাস হয় তোর দুলাভাই খারাপ কিছু করতে পারে?”
 
আমি সাথে সাথে উত্তর দিলাম “ না  না এমন কথা আমি কখন বললাম”
 
“ এই যে বললি যদি খারাপ কাজ না করে থাকে , এর মানে কি ? এর মানে হচ্ছে তুই পুরপুরি বিশ্বাস করছিস না”
 
“ আরে না আপা আমি বলতে চেয়েছি , মেজো দুলাভাই বললেই তো আর চাকরি চলে যাবে না” কথা কাটানোর জন্য বললাম , তবে এও ঠিক মেজো দুলাভাই অকর্মা হলেও উনার বড় বড় জায়গায় লিঙ্ক আছে । কোন বিশেষ কারনে ক্ষমতাবান লোকজন উনাকে পছন্দ করে ।
 
“ তোর দুলাভাই এর যে কিছু হবে না সেটা আমি জানি , কিন্তু সমস্যা তো আমার , এই একটা লোক আমার জন্য কত কিছু করেছে , বাবা মা ভাই বোন দের কাছে চিরদিন অবহেলা পাওয়া আমাকে বুঝিয়েছে আমার ও দাম আছে , বিনিময়ে সে কোনদিন কিছুই চায়নি , এখন যদি আমার আত্মীয় স্বজন রা এই মানুষটির পেছনে লাগে তাহলে আমার মুখ দেখানোর জায়গা থাকা” কথা গুলি বলে বড় আপা কি জেনো একটু ভাবল , তারপর বলল “ অবশ্য এদের আমি আত্মীয় হিসেবে পরিচয় দেই না , এরা তোর দুলাভাই এর নখের ও যোগ্য নয় “
 
কথা হয়ত সত্যি , কিন্তু আমি এর কি করতে পারি বুঝলাম না । তাই জিজ্ঞাস করলাম “ আমাকে কি করতে বলছিস আপা”
 
“ তোর কিছুই করার নেই?” পালটা প্রশ্ন করলো আপা।“ রেগে গেছে খুব দেখেই বোঝা যাচ্ছে । তারপর নিজেই উত্তর দিলো “ তোদের আর কি করার থাকবে , আমি তো তোদের কেউ না , একটা নিরপরাধ লোক কে বদনাম করবে একটা চরিত্রহীন লোক আর তোরা সেটা চেয়ে চেয়ে দেখবি” এই বলে আপার চোখে আবার পানি চলে এলো । আমি পড়লাম মহা বিপদে , সান্ত্বনা দেয়া আমার অভ্যাস না ,তবুও হয়ত দিতাম কিন্তু বড় আপার মত কাউকে সান্ত্বনা দিতে কেমন জানি লাগছে ।
 
বড় আপার বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলাম , এই এলাকার একটা সুবিধা হচ্ছে রাস্তায় মানুষ এর ভিড় নেই । আজকাল ভিড় একদম সহ্য করতে পারি না । আপা একবার বলেছিলো রাতে খেয়ে যেতে , দুলাভাই এর সাথেও দেখা হয় যাবে। কিন্তু আমি না করেছিলাম । ভেবেছিলাম হয়ত আপা আবার বলবে, কিন্তু বলেনি । অবশ্য এতে আমার সমস্যা নেই , আপা কে এর জন্য দোষও দেই না । হয়ত ওকে আমরা বুঝতে ভুল করেছি । এই যে আমাকে রাতের খাবার খেয়ে যেতে বলেছে , হয়ত ও মন থেকেই বলেছিলো । আর আমি না করেছি , হয়ত ও ধরে নিয়েছে আমি সত্যি সত্যি খাবো না , তাই আর জোড় করেনি।
 
আপার বাসা শহর এর এক প্রান্তে আর আমার ঠিকানা শহর এর অন্য প্রান্তে । একটা অটো রিক্সা নিয়ে আসতেও ঘণ্টা তিন লাগে ট্রাফিক জ্যাম এর কারনে । এর মাঝে আবার অটো রিক্সা নষ্ট হয়ে গেলো । চালক বলল কিছুতেই ঠিক হবার নয় । তাই আমাকে নেমে যেতে হলো । তবে এখন অনেক রাত হয়ে গেছে , রাস্তা ঘাটে লোকজন কম । বিশেষ করে এই এলেকায় তেমন লোকজন থাকে না রাতের এই সময় । আমি হাঁটা দিলাম , রাতের ফাকা রাস্তায় হাটতে আমার ভালোই লাগে ।
 
হাটতে হাটতে অনেকটা চলে এসেছি , এই জগায়টা একটা লেকের মতন । অনেক বছর অবহেলায় পড়ে ছিলো , কিছুদিন আগে একটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে একটা সুন্দর সময় কাটানোর জায়গা করা হয়েছে । আমার কোনদিন এখানে আসা হয়নি , আজ চলেই যখন এসেছি ভাবলাম একটু দেখে যাই । আমি ওই দিকে হাঁটা দিলাম , দেখলাম এই রাতেও অনেক মানুষ জন আছে । বেশিরভাগ ইয়ং বয়সি । এরা গ্রুপে গ্রুপে বসে আছে , কেউ বাইক নিয়ে স্টান্ট বাজি করছে । কেউবা আবার গিটার নিয়ে বসে গান করছে । সিগারেট এর ধোঁয়ায় ভরে আছে জায়গাটা । আমি দমে গেলাম , ভাবলাম ফিরে যাই ।
 
ফিরেই জাচ্ছিলাম , এমন সময় পেছন থেকে ডাক শুনলাম “তিতলির মামা” মেয়েলী কণ্ঠ । প্রথমে আমি ব্যাপারটা ইগ্নোর করে সামনে এগিয়ে জাচ্ছিলাম , তখন আবার ডাক শুনলাম “তিতলির মামা” এবার আরও উচ্চস্বরে । কৌতূহল বসত একবার পেছনে ফিরে তাকালাম , তিতলি নামে আমার একটা ভাগ্নি আছে , এবং আমার কাছে মনে হতে লাগলো ডাকটা আমাকে উদ্দেশ্য করেই। পেছনে ফিরে দেখলাম একটা মেয়ে প্রায় দৌরে আসছে , আশেপাশে বাকি ছেলে মেয়ে গুলি সবাই ওই মেয়ের দিকে তাকিয়ে আছে । অবশ্য তাকিয়ে থাকার ই কথা । এমন উধভট নামে কাউকে এমন উচ্চ স্বরে ডাকলে সবাই অবাক হবেই।
 
মেয়েটাকে প্রথমে চিনতে পারলাম না , তবে আমাকে উদ্দেশ্য করেই যে ডাক সেটা নিশ্চিত । কারন আমাকে পেছন ফিরে তাকাতে দেখে হাত তুলে ইশারা করেছে । আশপাশ এর ছেলে মেয়ে গুলো এখন আমার দিকেও কেমন করে যেন তাকাচ্ছে । অবশ্য তাকানোর কথাই , আমার মত একটা মানুষ কে অর্ধেক বয়সি একটা মেয়ে “তিতলির মামা” বলে ডাকছে বিষয়টা বেশ অস্বাভাবিক । আমি কেটে পরার ধান্দা করলাম । দু বারিয়েছি কি আবার ডাকল “তিতলির মামা” । হঠাত করে আমি মেয়েটাকে চিনতে পারলাম , এ হচ্ছে সেই মেয়টি তিতলির বান্ধবী । আমি দাড়িয়ে গেলাম , সেদিন মেয়েটির নাম জানা হয়নি আজ জেনে নেয়া উচিৎ বলে মনে হচ্ছে ।
[+] 5 users Like cuck son's post
Like Reply
#58
অসাধারণ
Like Reply
#59
(24-05-2022, 06:28 AM)jemona Wrote: অসাধারণ

ধন্যবাদ Smile
Like Reply
#60
যাক আবার শুরু হয়েছে। তবে সেই পুরোনো ছন্দ থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। দেখা যাক। লিখে যান।
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)