31-10-2021, 05:28 PM
Indian Private Cams | Porn Videos: Recently Featured XXXX | Most Popular Videos | Latest Videos | Indian porn sites Sex Stories: english sex stories | tamil sex stories | malayalam sex stories | telugu sex stories | hindi sex stories | punjabi sex stories | bengali sex stories
Non-erotic সৌরভ
|
02-11-2021, 07:55 PM
মেজো আপার বাড়ি দাওয়াত, আসতেই হল , অন্য কেউ হলে আমি এড়িয়ে যেতাম , কিন্তু এখানে সম্ভব নয় । মেজো আপা নাছোড় বান্দা টাইপ মানুষ । সেই ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি , ওর যেটা চাই সেটা চাইই চাই । বাবাও ওনর সাথে লাগতে যেতেন না । একবার মা চেষ্টা করেছিলো , নাজেহাল হতে হয়েছে , মায়ের এক খালাতো বোন এর ছেলে , বাউন্ডুলে টাইপ। তবে দেখতে খুব ভালো ছিলো , একবার এক বিয়েতে ছেলেটি মেজো আপার সাথে একটু ভাব করার চেষ্টা করছিলো । সেদিন ছিলো গায়ে হলুদ , মা ব্যাপারটা খেয়াল করে মেজো আপা কে বাসায় পাঠিয়ে দিতে চাইলো । তুমুল ঝগড়া দুজনে , আমার তখন ১২ বছর বয়স , তাই ঘটনাটা আমার মনে আছে ।
একসময় মা যখন একটু অন্যদিকে গেলো , তখন মেজো আপা আমাকে ডেকে একটা কাগজ ধরিয়ে দিলো , বলল “যা তো ওই ছেলেটাকে দিয়ে আয়” আমি বিনা প্রস্নে রাজি হয়ে গেলাম । ছেলেটিকে কাগজ টি দিতেই ছেলেটি সেটা পড়ল । পরার পর একটা হাঁসি ফুটে উঠলো ছেলেটির মুখে । আমাকে বলল “যাও গিয়ে বলো ওকে” আমি চলে আসছিলাম , ছেলেটি আমাকে ডাকল আবার বলল “বাবু তুমি এটা রাখো” পরে দেখছি , ১০০ টাকার নোট । ওই সময় ১০০ টাকা আমার কাছে আসমানের চাঁদ । আমি মেজো আপা কে গিয়ে বললাম । সেদিন রাতে মা সারা রাত কেঁদেছে , মেজো আপার হাতে পায়ে ধরা সুধু বাকি ছিলো । মেজো আপা কে দেখে মনে হচ্ছিলো সে খুব মজা পাচ্ছিলো মায়ের এই অবস্থা দেখে। এমন জেদি ছিলো মেজো আপা , এখন অবশ্য সেই জেদ নেই । জেদ এর জায়গা দখল করেছে , প্যানপ্যানানি , ও প্যানপ্যান করতে করতে মানুষ মেরে ফেলতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস । আমাদের ভাই বোনের মাঝে মেজো আপা সবচেয়ে সুন্দরী । মায়ের মতো গায়ের রং যা আমরা বাকি ভাই বোন কেউ পাইনি। একেবারে কাঁচা সোনার মতো রং । অনেকে আছে রং সুন্দর হলে চেহারা সুন্দর হয় না । আপার তেমন ছিলো না , বড় আপার জন্য যখন পাত্র দেখা হচ্ছিলো , তখন মেজো আপা কে পাত্র পক্ষের সামনে যেতে দেয়াও হতো না। আসলে আপার সৌন্দর্য বর্ণনা করা আমার কাজ নয় । এক কথায় বলতে গেলে দম বন্ধকরা সুন্দরী । যে সব সুন্দরী মেয়েদের সামনে গেলে দম বন্ধ বন্ধ লাগে , তাদের নাম আমি দিয়েছি দম বন্ধ সুন্দরী । ছোট বেলায় এই জন্যই আমি মেজো আপার ভক্ত ছিলাম । যখন একেবারে ছোট ছিলাম , তখন আমি বলতাম আমি বড় হয়ে মেজো আপা কে বিয়ে করবো । একবার এই নিয়ে বিশাল ঝগড়া , মনের কথা এক বন্ধুকে বলে দিয়েছিলাম , সেই বিশ্বাসঘাতক সবাইকে বলে দেয় , সবাই খুব হাসাহাসি , সবাই ক্ষেপায় বলে বোন কে বিয়ে করতে চায় । আমি তখন দুনিয়ার নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানি না । লেগে গিয়েছিলো তুমুল মারামারি , ওটাই ছিলো আমার জীবনের প্রথম আর শেষ মারামারি । মনে পড়লে এখনো হাঁসি পায় জীবনে মারামারি করেছিলাম , তাও ভালবাসার জন্য হা হা হা । বাসায় বিচার এলো , জিজ্ঞাসাবাদ চলল , জেরাকারী হচ্ছেন মা । ছোট বেলায় বাবার নেওটা ছিলাম বলে বাবা আমাকে শাসন করতো না তেমন । কিছুতেই আমার মুখ থেকে বের হয় না আসল কারন । অনেক জেরা আর চড় থাপ্পর এর পর আমি মাথা নিচু করে বলেছিলাম “ইমন বলে আমি মেজো আপা কে বিয়ে করতে পারবো না” শুনে মা মুখে আচল চাপা দিয়েছিলো । রাগ ভেঙ্গে গেছে আমি যেন বুঝতে না পারি । মেজো আপা সামনেই ছিলো , উনি এসে আমাকে প্রায় কোলে তুলে নিয়েছিলো , আমার চেয়ে ছয় বছরের বড় মেজো আপার তখন মাত্র ১২ বছর বয়স। গালে চুমু খেয়ে বলেছিলো “আমি তোকেই বিয়ে করবো” কি যে লজ্জা হয়েছিলো , কতদিন পর্যন্ত মেজো আপার সামনে যেতে পারতাম না । গেলেই মেজো আপা দুষ্টুমি করতো , “স্বামী কেমন আছেন” এই টাইপ কথা বলতো । ধিরে ধিরে বয়স হয়েছে , সমাজ এর রিতিনিতি বুঝতে সিখেছি , তারপর ওই ব্যাপার ভুলে গেছি । তবে মেজো আপার প্রতি একটা টান এখনো আমার আছে । আমার অন্য বোন দের তুলনায় ওর সাথে বেশি সম্পর্ক আমার । হয়ত মেজো আপাই এক মাত্র যে আমার বাসায় নিয়মিত যায় বলে । মেজো দুলাভাই এর আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয় , কিন্তু পার্টির ব্যাপারে উনি বেশ সিরিয়াস , আমি আসতেই বলল “কিরে সৌরভ তোর শরীর কেমন” “ ভালো দুলাভাই” আমি আমার সাভাবসিদ্ধ উত্তর দিয়েছিলাম , ভালো না হলেও ভালো বলা আমার অভ্যাস “ তাহলে রাতে থাকবি , ভালো হুইস্কি আছে , স্কচ , ব্লু লেভেল , খেয়ে জাবি” লোকটার সম্পর্কে অনেক বাজে কথা প্রচলিত আছে , তবে মেজো আপা আমাকে বিশ্বাস করিয়ে ছেড়েছে যে এসব ই মিত্থা। লোকে হিংসা করে বলে এসব বলে । আমি অবশ্য লোকের হিংসা করার মতো কিছুই পাই না । অবশ্য মেজো আপার ইংগিত কার দিকে সেটা স্পষ্ট , উনি বড় আপাকে উদ্দেশ্য করে বলেন এটা । মেজো দুলাভাই প্রথমে দেখতে এসেছিলেন বড় আপা কে , কিন্তু উনি মেজো আপাকে পছন্দ করে ফেলেন । মেজো আপার কথা বলতে বাবা কিহুতেই রাজি হন নি । পরে দুই বছর পর ফিরে এসে মেজো আপা কে বিয়ে করেছেন । এই বিয়েতে বড় আপা রাজি ছিলেন না , এমন কি উনি সুধু বিয়ের দিন এসে খেয়ে চলে গিয়েছিলেন । সবাই মনে করতো এতো পছন্দের বিয়ে , খুব সুখের হবে সংসার । তেমন হয়নি , মাঝে মাঝে মেজো আপার শরীরে দাগ দেখা যায় । মা আর আপার গোপন মিটিং ও আমি কান পেতে শুনেছি কয়েকবার । আমার খুব রাগ হতো , একবার তো জীবনে দ্বিতীয়বার মারামারির হয়েই গিয়েছিলো প্রায় । বাবা মা মারা যাওয়ার পরের ঘটনা সেটা । একদিন রাতে আমি শুয়ে আছি , হঠাত দরজায় টোকা । রাত তখন শোয়া এগারো , এত রাতে কে আসবে । আমি ভেবেছিলাম মতিন । দরজার কাছা কাছি আসতেই শুনি চাপা গলার গর্জন “ আবার দে , আবার দে মাগি” ভেবে পাচ্ছিলাম না কি হয়েছে , কে এসেছে যে এমন করে কথা বলতে পারে । দরজার হোলে চোখ রেখে দেখি মেজো আপা হাতে ধরা মেয়ে তিতলি , মুখে আচল দেয়া , আর দুলাভাই প্রায় দৌরে চলে যাচ্ছে । দ্রুত দরজা খুলে জিজ্ঞাস করলাম “কিরে আপা তুই” “মামা মামা , আব্বু আর আম্মু মারামারি করেছে” ছোট তিতলি পাংসু মুখে বলেছিলো । কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল মেজো আপা , মুখে চাপা দেয়া আচল খসে পড়ল , ঠোঁট থেতলে গেছে , গালে কালশিটে পরে আছে , কিছুক্ষন আমি বোকার মতো দাড়িয়ে ছিলাম , আমি কোন ভাবেই ওই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না । কেউ আমার পরিবারের কারো উপর এভাবে হাত তুলতে পারে সেটা কোনদিন মাথায় আসেনি । ভাবতাম আমরা সবাই সেইফ এন্ড সাউন্ড আছি । কিছুক্ষন আমার মস্তিস্ক ফ্রিজ হয়ে রইলো , একটু ধাতস্ত হতেই আপা কে ভেতরে নিয়ে এলাম । ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে একটা কাপড়ে জড়িয়ে দিলাম ওর হাতে । ঠোঁট দুটো বাঁ পাশে ভালো রকম থেতলে ছিলো । সময় গড়ানোর সাথে সাথে , আমার রাগ বাড়তে লাগলো , রাগ এতো চরম সিমায় গিয়ে পৌঁছেছিলো যে ইচ্ছা হচ্ছিলো চুপি চুপি রান্না ঘরের চাকু নিয়ে বেড়িয়ে পরি , বাসায় গিয়ে রাতের অন্ধকারে খুন করে চলে আসি , একটা কথাও বলব না , একবার ও জিজ্ঞাস করবো না কেনো করেছে এরকম । মনে ওই চিন্তা এসেছিলো ঠিক ই কিন্তু আমি নিজেও জানতাম এসব আমার দ্বারা সম্ভব নয় । তবে আমি বাসা থেকে বেরিয়েছিলাম , সেদিন একটা হেস্ত নেস্ত করার ইচ্ছা নিয়ে । কিন্তু মেজো আপা কিছুতেই বের হতে দিল না । ওর আচরনে বেশ অবাক হয়েছিলাম , প্রচণ্ড রাগে আমি তখন বেশ উগ্র , শরীরে তখনো অসুখ বাসা বাধেনি , মেজো আপার বার বার নিষেধ সত্ত্বেও যখন বেড়িয়ে জাচ্ছিলাম । তখন মেজো আপা আমাকে বেশ শক্ত করেই বলল “ আমার সংসার আমাকে বুঝতে দে , তুই নাক গলাতে যাস কেনো , তোর বাড়িতে এসেছি বলে , এই এখন চলে জাচ্ছি” এই বলে সত্যি সত্যি মেজো আপা তিতলির হাত ধরে বেড়িয়ে যাচ্ছিলো । তখন আমার নিজের রাগ ভুলে ওকে থামানোর চেষ্টা করতে হচ্ছিলো , কিছুতেই থাকবে না , কোথায় থাকবে জিজ্ঞাস করতে বলে “যার কাছ থেকে এসেছি তার কাছে ফিরে যাবো।“ এখন নাকি ওটাই ওর জীবন , এই নিয়েই ওকে থাকতে হবে । সেদিন বুঝেছিলাম মেজো আপা , আর আগের সেই জেদি মেজো আপা নেই । যদি মেজো আপাকে মাটির সাথে তুলনা করা হয় তাহলে , কৈশোরে ও ছিলো পাথুরে মাটি , বড় শক্ত এই মাটি , কারো কথা শোনে না । এই মাটিতে চলাচল করা খুব কষ্টের , এই মাটিতে চাষ করা যায় না । কিন্তু বিয়ের পর সেই পাথুরে মাটির পাথর একটি একটি করে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে , তৈরি হয়েছে উর্বর নরম মাটি । আর এর কারিগর আমাদের মা , মায়ের সাথে গোপন মিটিং গুলোতে মা এই কাজ খুব যত্নের সাথে করেছেন । আমি আর কিছুই বলিনি ,এর পর কিছুই বলা যায় না , যদিও আমার বোন , কিন্তু তার আগে ও একজনের স্ত্রি , ওই একজনকেই ও নিজের সবচেয়ে আপন আর কাছের করে নিয়েছে । তার দোষ ত্রুটি ও মানুষের কাছে লুকিয়ে রাখে , রাখার কারন আগে বুঝতে না পারলেও এখন অনেকটা বুঝতে পারি । কারন হচ্ছে ওই একজনের অপমান কে ও নিজের অপমান হিসেবে দেখে । মেনে নিতে না পারলেও সেদিন আমি আর কিছু বলিনি , ওদের মাঝে আমার অনধিকার চর্চা ঠিক হতো না । মেজো আপা নিজে যতদিন সাহায্য না চাইবে ততদিন আমি কে ওদের মাঝে আসার । সেদিন ই আমি প্রথম অনুভব করেছিলাম আমার ও এমন একজন দরকার , নইলে বড় একলা হয়ে যাবো । প্রকিতির নিয়ম ই এটা , মা বাবা ভাই বোন সবাই একদিন দূরে চলে যাবে , শূন্য স্থান পুরনের জন্য এমন কাউকে লাগবে যে সুধু তোমার একার । ঠিক এক সপ্তা পর এসেছিলো মেজো দুলাভাই , ওনাকে দেখেও না দেখার ভান করে ছিলাম , কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার উনার আচরন দেখে মনে হয়েছিলো কোন কিছুই ঘটেনি , উনি এক সপ্তা আগে স্বাভাবিক ভাবে স্ত্রি কে বাপের বাড়ি রেখে গিয়েছিলেন , এখন আবার নিতে এসেছেন । আমাকে ডেকে হালচাল জিজ্ঞাস করলেন । তারপর বললেন “যা তো একটা ডাব নিয়ে আয় , আসার সময় রাস্তায় ডাব দেখে এসেছি” মেজো আপা কি এভাবে সুখি আছে? হয়ত আছে , অন্তত দেখে তাই মনে হচ্ছে । এই যে মেয়ের জম্নদিনে ছুটাছুটী করছে , ওর মুখে তো আমি তৃপ্তি দেখতে পাচ্ছি । কি করে সম্ভব সেটা অবশ্য বুঝতে পারছি না । বোঝার দরকার ও নেই আমার , আমাকে এসব এর ভেতর দিয়ে যেতে হবে না। “ এই সৌরভ হাঁদার মতো দাড়িয়ে আচিস কেনো ? একটু সাহায্য কর” একটু আগে একবার বলে গেলো আমাকে , দম ফেলার সময় নেই ওর । মুখের পুরু মেকআপ ঘামে লেপ্তে আছে , বেশ বড় আয়োজন , পুরোটা একাই সাম্লাচ্ছে । দুলাভাই তেমন কাজে আসছেন না , উনি কথায় পটু কাজে নয় । আমি কথায় ও পটু না কাজেও না । একটু পর দেখলাম দুলাভাই একটা মেয়ের পাশে বসে, কম বয়সি মেয়ে , প্রথমে এমি দৃষ্টি সরিয়ে নিলাম । একটা মেয়ের পাশে বসা খুব খারাপ কিছু না কিন্তু উনি যেভাবে বসেছেন সেটা আমার কাছে শালীন মনে হচ্ছে না । উনি নিচু হয়ে মেয়েটিকে কি যেন জিজ্ঞাস করছেন , আর মেয়েটি কুঁকড়ে যাচ্ছে । আমি আর দাঁড়ালাম না , এই ভরা মজলিশ এ এসব সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব না। বারান্দায় এসে পড়লাম , অনেকদিন পর একটা সিগারেট এর ইচ্ছা হচ্ছিলো । বেশ কিছুক্ষন বারান্দায় থাকার পর টের পেলাম কেউ একজন আসছে । ঘুরে তাকিয়ে দেখি সেই মেয়েটি , একটু বিব্রত হলাম । যার সাথে নিজের বোনের হাসবেন্ড কে একটু আগে দেখে এসেছি তার সামনে স্বাভাবিক হওয়া সহজ নয় । “ আমি যদি এখানে একটু দাড়াই , আপনার সমস্যা আছে” “ না না আপনি আসুন,আমি চলে জাচ্ছি” “ আপনিও দাঁড়ান , এখানে অনেক জায়গা আছে , আর আমাকে আপনি করে বলবেন না আমি তিতলির বান্ধবি, আপনি তো তিতলির মামা হন” কিছুক্ষনের জন্য আমি চুপ হয়ে গেলাম , আসলে কি বলবো বুঝতে পারছি না , দুলাভাই তিতলির বান্ধবির সাথে !!! লজ্জায় আমার কান গরম হয়ে গেলো । “ আপনি দেখছেন , তাই না?” কি দেখার কথা জিজ্ঞাস করছে সেটা বুঝতে আমার এক সেকেন্ড ও সময় লাগলো না , কিন্তু ভাবলাম কথাটা কাটিয়ে দেই । এই বিষয় নিয়ে যত কথা বলবো মন তত তিক্ত হবে। তা ছাড়া মেয়েটির জন্য ও নিশ্চয়ই এই আলোচনা সুখকর হবে না । তাই বললাম “ কি দেখছি?” “তিতলির বাবার সাথে” “ দেখ তোমার কথা আমি কিছুই বুঝতে পারছি না” তিতলির বান্ধবি শোনার পর আপনা থেকেই তুমি চলে এলো । “ আপনি কি তিতলির মার কাছে বলে দেবেন?” এবার আমার রাগ হলো , নিশ্চয়ই দুলাভাই পাঠিয়েছে , আর মেয়েটাকে আমি এতক্ষণ নিস্পাপ মনে করেছিলাম , এখন মনে হচ্ছে সেও এর সাথে জড়িত , আমি রাগের সাথেই বললাম “ বলে দিলে কি খুব অন্যায় হবে?” “ না না অন্যায় হবে না , আমার কোন আপত্তি ও নেই , তবে উনি জানেন” এমন একটা কথা মেয়েটি এতো স্বাভাবিক ভাবে বলল যে এটা কোন বিষয় ই না। কি বলবো ভেবে ওঠার আগেই মেয়টি আবার বলল “ উনার কাছে বললে সুধু সুধু ওনার কষ্ট বাড়বে” “এই মেয়ে তোমার বয়স কত , এই বয়সে এতো বড় ফাজিল হয়ে উথেছো তুমি” রাগে গজ গজ করেতে করতে বললাম আমি “তিতলির মাও এমন ই বলেছিলো” শেষের কথাটি বুঝতে আমার অনেক সময় লাগলো , এর মানে মেয়েটি মেজো আপার কাছে এসব বলেছিলো । আর মেজো আপা মেয়েটির উপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছে । স্বামীর দোষ ঢাকার জন্য মেজো আপা বহুদুর পর্যন্ত যেতে পারে , এটা আমার আগেই জানা আছে , ওর বিয়ের বছর দুই পরে একবার বড় আপার সাথে কি নিয়ে জানি ঝগড়া হয় ওর , বড় আপা মেজো দুলাভাই সম্পর্কে কিছু একটা বলেছিলো , আর অমনি বড় আপার নামে একশোটা মিত্থা কথা এমন কি বড় আপা মনে মনে মেজো দুলাভাই কে কামনা করে এমন মারাত্মক মিত্থা বলতেও ওর বাধেনি । তাই বলে একটা কিশোরী মেয়ে যে কিনা মলেস্টিং এর স্বীকার হচ্ছে তাঁকে সাপোর্ট করবে না ? মেজো আপার উপর প্রচণ্ড রাগ হলো । “ তুমি বলেছিলে আপার কাছে “ আমার গলার স্বর আগের থেকে একটু নমনীয় হয়ে এলো , মেয়েটিকে একটু আগে ভুল বুঝেছিলাম । মেয়েটি মুখে কিছু বলল না , তবে মাথা উপর নিচ করে হ্যাঁ সুচক উত্তর দিলো । “তারপর ও তুমি এ বাড়িতে কেনো আসো” “ তিতলি আমার সবচেয়ে ভালো বান্ধবি তাই” “ও…” কি বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না , একটু ভেবে বললাম ,”তোমার মা বাবার কাছে বলেছো , এসব নিয়ে মুখ বুজে থাকতে নেই” মেয়েটির জন্য সত্যি কিছুটা মায়া লাগছে , বাচ্চা একটা মেয়ে কত বয়স হবে ১৪ , এই বয়সে মেয়েটিকে কত বড় একটি ব্যাপার বুকের মাঝে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে । এই বয়সে আমরা তো খাওয়া দাওয়া খেলাধুলা আর পড়াশুনা ছাড়া কিছুই ভাবতাম না। আমাদের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা ছিলো কলেজের হুজুর স্যার এর বেত্রাঘাত । “আমার তো মা নেই” “ বাবা?” “ বাবা আছেন , তবে বাবার কাছে বলা যাবে না” “ কেনো … এসব জিনিস লুকিয়ে রাখতে নেই , লজ্জা পাওয়ার ও কিছু নেই” মেয়েটিকে বোঝানর জন্য বললাম , “ আমার বাবাও একি দোষে দুষ্ট , তাই আমার মনে হয় না তার জানার অধিকার আছে যে তার মেয়ের সাথেও এমন হচ্ছে” একটা ধাক্কার মতো খেলাম , বাচ্চা একটা মেয়ের মুখে এমন কথা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না , মেয়েটির দিকে ভালো করে তাকালাম , বারান্দার গ্রিল এর পাশে দাড়িয়ে থাকায় , বাইরের আলোয় গ্রিলের ছায়া এসে পড়েছে ওর এক পাশে । আমার কাছে মনে হলো এই আলো ছায়া মিলে মেয়েটির অবস্থা একেবারে নির্ভুল ভাবে তুলে ধরেছে । মেজো আপার বাসার বারান্দার গ্রিল গুলো জেলের গারদ এর মত লম্বা লম্বা , আর এই লম্বা গ্রিল এর ছায়া মেয়েটিকে বন্দিনি রাজকন্যায় রুপদান করেছে । বন্দিনি রাজকন্যার জন্য মনটা খারাপ হয়ে গেলো । ইচ্ছা হচ্ছে কিছু করি , কিন্তু কি করবো , দুলাভাই এর কলার চেপে ধরে শাসিয়ে দেবো , সে শক্তি আমার নেই, মনে হয় ইচ্ছা ও নেই । “ আপনি কি ভাবছেন সেটা আমি শুনতে পাচ্ছি” হঠাত মেয়েটি হেঁসে উঠলো , আমি অবাক হয়ে তাকালাম , এখন আর বন্দিনি রাজকন্যার মতো লাগছে না ওকে । স্বাভাবিক কিশোরীর মতো দেখাচ্ছে । “মানে?” “ মানে আমি মানুষের চিন্তা ভাবনা মাঝে মাঝে শুনতে পাই” ভ্রূ কুচকে তাকালাম , কি বলতে চাইছে মেয়েটি বোঝার চেষ্টা করছি । ও কি সত্যি বলছে নাকি , গুমট ভাবটা দূর করার চেষ্টা করছে । “ শুনতে চান?” কিশোরীর উচ্ছলতা প্রকাশ পাচ্ছে ওর মাঝে , ব্যাপারটা ভালো লাগলো , আমার কাছে সব কিছু স্বাভাবিক ই ভালো লাগে, তাই মেয়েটার মন খুশি করতেই বললাম “ বলো তো শুনি” “ আপনি আমার জন্য কিছু একটা করতে চাইছেন , কিন্তু আপনার ইচ্ছা হচ্ছে না” এই বলে হেঁসে উঠলো , আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম , এই মেয়ের কি সত্যি সত্যি এই ক্ষমতা আছে ? নাকি অন্য কিছু । “ অবাক হলেন , ভাবছেন আমার ক্ষমতা আছে কিনা সত্যি সত্যি” এবার আমি চমকে উঠলাম , আর এই চমকে ওঠা আমার শরীরী ভাষায় ও প্রকাশ পেলো । মেয়েটা এখন প্রচণ্ড হাসছে , মনে হচ্ছে হাঁসতে হাঁসতে ওর চোখে পানি চলে এসেছে । আমি কিছু না বলে বোকার মতো দাড়িয়ে রইলাম । মানুষের যে বাড়তি কোন ক্ষমতা থাকতে পারে এটা আমি কোনদিন বিশ্বাস করিনি। ছোট বেলায় একবার আমাদের এলাকায় বেদে এসেছিলো , সাপের খেলা দেখায় আরও নানা রকম জাদু দেখায় । একটা জাদু ছিলো , একটা পাখি কে মুঠি করে ধরে রাখে তারপরে সেই পাখি কথা বলে । ওই জাদু দেখে সবাই অভিবুত আমি নিজেও অভিভূত , এতই অভিভূত হয়েছিলাম যে নিজে দেখতে চাইছিলাম কেমন করে এই কাজ হয়ে । লোকটা যখন অন্য জাদু দেখাতে ব্যাস্ত ছিলো আমি চুপি চুপি ঝোলা থেকে সেই পাখির বাক্স বের করি , একটা মড়া শালিক পাখির ঠোঁট আর নকল পশম লাগানো খাঁচা । কোন কিছু দেখে প্রচণ্ড অভিভূত হওয়ার পর যদি দেখা যায় সেটা সম্পূর্ণ ভাওতা তাহলে এই সম্পূর্ণ জিনিসটার উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায় । আমার ও তেমন , কোথাও যদি শুনি অমুক লোকের তমুক পাওয়ার আছে আমি বিশ্বাস করি না । তাই আমার অসুখের জন্য কোন পীর ফকির অথবা তিবিজ কবজ নেই নি । তবে এই মেয়েটি আমাকে ভাবিয়ে তুলছে । তবে এর পেছনে নিশ্চয়ই কোন রহস্য আছে । কি সেটা আমি এখনো বুঝে উঠতে পারছি না । অবশেষে মেয়েটির হাঁসি থামল , তবে হাসির রেষ এখনো কাটেনি , বলল “ আসলে আপনার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি আমি তাই বলতে পেরেছি , আমার কোন পাওয়ার টাওয়ার নেই বুঝেছেন” “ তুমি কি করে আমার সম্পর্কে জানলে?” বেশ অবাক হলাম আমি , “ তিতলির সবচেয়ে ভালো বন্ধু আমি , আমারা দুজনে অনেক কথা বলি” কিশোরী সুলভ ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল মেয়েটি আমার ভাগ্নি তিতলি , আমাকে নিয়ে ওর বান্ধবির সাথে কথা বলে সেটা আমার জানা ছিলো না । আসলে আমার কোন ভাগ্নে ভাগ্নির সাথেই তেমন সম্পর্ক নেই , সাধারণত ভাগ্নে ভাগ্নি দের সাথে মামাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আদরের সম্পর্ক হয় । কিন্তু আমার কোন ভাগ্নে ভাগ্নি আমার সামনে তেমন আসে না । তাই তিতলির আমার সম্পর্কে তেমন কিছু জানার কথা না । “ কিন্তু তিতলি নিজেই তো আমাকে ঠিক মতো জানে না , তুমি এমন কি তিতলির কাছে শুনলে যে আমার মনে কি চিন্তা চলছে বুঝে ফেললে” আমার কৌতূহল এখনো কমেনি , তাই বিষয়টা আরও ভালো করে বোঝার জন্য বললাম । “ শুনলে আপনি রাগ করবেন” মেয়েটি বলল ওর চোখে এখনো হাঁসি খেলা করছে। কত দ্রুত মেয়েটি নিজের মনের অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে দেখে বেশ অবাক হলাম , ভালো ও লাগছে । হয়ত কৈশোর এর চপলতা এক মুডে বেশিক্ষণ থাকতে দেয় না ওদের । “আচ্ছা শুনুন , তিতলি বলে আপনি নাকি ভ্যাবলা মার্কা লোক , কোন কিছুই আপনি করেন না , সুধু বসে বসে ভাবেন, আপনার নাকি কোন কিছুতে ইচ্ছা নেই । এমন কি আপনি তিতলির জন্য কোনদিন কিছু আনেন না , এই জন্মদিনেও কিছু গিফট করেনি” আমা ভাগ্নি আমার সম্পর্কে এমন ধারনা রাখে শুনে একটু আহত হলেও , মেনে নিতে হলো , কারন ভুল কিছুই বলেনি ও , আমার কি উচিৎ ছিলো তিতলি অথবা বড় আপার ছেলে মেয়ের সাথে ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি করা । ভাবনায় ছেঁদ পরলো মেয়েটি যখন একটি প্রশ্ন করলো , খুব বেক্তিগত প্রশ্ন , এই ধরনের প্রশ্ন সচরাচর ভাগ্নির বান্ধবির কাছ থেকে আশা করি না । “ আচ্ছা আপনি বিয়ে করেন না কেনো?” দেখলাম প্রশ্নটি করে মেয়েটি মুখ চেপে হাসছে , বুঝতে পারলাম এই ব্যাপারেও তিতলির কোন থিওরি আছে , একবার চিন্তা করলাম জানার দরকার কি , পরে ভাবলাম আমি হয়ত না জানতে চাইলেও এই মেয়ে আমাকে জানাবে , ওর চোখ তাই বলছে , সে নিজেও জানতে চায় । “ কানো তিতলি কিছু বলেনি” “ বলেছে তো , আসলেই কি ওটা সত্যি কিনা জানতে চাইছি” “ কি বলেছে ও ?” “ বলেছে , ওর কাছে মনে হয় আপনার গোপন রোগ আছে” মেয়েটির এখন বেশ কষ্ট হচ্ছে হাঁসি চেপে রাখতে , “রোগ তো একটা আছে , সেটা সবাই জানে” আমি সরল মনে বললাম , বলেই বুঝলাম ভুল হয়েছে , মেয়েটি পেটে হাত চাপা দিয়ে হাসছে , লজ্জায় আমার কান গরম হয়ে গেলো , “গোপন রোগ” বলতে কি বোঝাতে চাইছে সেটা আমি এখন বুঝতে পারছি । আমার ভাগ্নি আমার সম্পর্কে এমন কথা বলে এটা বেশ লজ্জার বিষয় আর অনুচিত ও । পরক্ষনেই আমার মনে পরে গেলো কদু ভাইয়ের কথা , ভাল নাম ছিলো কুদ্দুস , আমাদের এলাকার , বিয়ে করেনি অনেক বয়স হয়ে গিয়েছিলো , আমারা বন্ধুরা মিলে ওনাকে নিয়েও এসব বলতাম । তিতিলি ই সেই এক বয়সে এই আছে , হয়ত নতুন নতুন সব কিছু জানতে পারছে , এসব নিয়ে কথা বলবে বন্ধুদের সাথে এটাই তো স্বাভাবিক । “ এই তুই এখানে , তোকে………” মেজো আপা এইটুকু বলে থমকে গেলেন , চোখ সরু করে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে । মেয়েটি ও হাঁসি থামিয়ে দিয়েছে । “ কিরে আপা?” আমি জানতে চাইলাম “ কেক কাটা হবে চল …… এই তুমি ও আসো , তিতলি তোমাকে খুঁজছে” সবার আগে মেয়েটি বেড়িয়ে গেলো , মেয়েটি বেড়িয়ে যেতেই মেজো আপা গলা নিচু করে বলল ,” এই মেয়ের কাছ থেকে দূরে থাকিস , এক নম্বর বজ্জাত” কেক কাটার সময় দেখলাম দুলাভাই একেবারে ওই মেয়েটির পেছনে দাঁড়িয়েছে । মেয়েটির মুখে আর হাঁসি নেই , কেমন জানি একটু উশখুশ করছে । আর একজনের মুখেও হাঁসি নেই সে হচ্ছে মেজো আপা । ও নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে কি হচ্ছে , দুলাভাই যখন খুব স্বাভাবিক ভাবে মেয়েটিকে কেক খাইয়ে দিচ্ছিলো তখন তো মেজো আপা কেঁদেই ফেলে প্রায় । আমি আর থাকলাম না চুপ চাপ বেড়িয়ে এলাম । বেশ রাত হয়েছে , রাস্তা ফাঁকা , আমি হাঁটছি । মেজো আপা আর তিতলির বান্ধবির কথা মনে পড়ছে সুধু । মেয়েটিকে এক ফাঁকে জিজ্ঞাস করেছিলাম তিতলি এসব জানে কিনা , উত্তরে বলেছিলো “না… কোন মেয়ের ই তার বাবার কুচ্ছিত চেহারা দেখা উচিৎনয় , অনেক কষ্ট হয়” মেজো আপা আর ওই মেয়েটি দুজনার কত তফাৎ কিন্তু একটি জায়গায় দুজনের কত মিল । এই যাহ মেয়েটির নাম জিজ্ঞাস করা হয়নি ।
03-11-2021, 08:35 PM
এডমিনদের রিপোর্ট করলাম এই গল্পটা মেইন ফোরামে শিফট করার জন্য ...
কাকসন ভাই মনে হয় নিজের জেদ ভুলে আমার কথাটা রাখবে !!
05-11-2021, 03:33 PM
05-11-2021, 04:23 PM
Requesting ADMIN again to shift this thread to the main forum please ...
05-11-2021, 04:36 PM
06-11-2021, 03:56 PM
06-11-2021, 07:27 PM
ডি দে দাদা এবার বলুন এখানে নিয়ে আসার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন কেনো ? আর ধন্যবাদ দিতে হবে বিচিত্র দাদা কে , ওনাকে বলতেই সুড়সুড় করে এখানে চলে এলো।
06-11-2021, 07:39 PM
(06-11-2021, 07:27 PM)cuck son Wrote: ডি দে দাদা এবার বলুন এখানে নিয়ে আসার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন কেনো ? আর ধন্যবাদ দিতে হবে বিচিত্র দাদা কে , ওনাকে বলতেই সুড়সুড় করে এখানে চলে এলো। সব প্রশ্নের কি জবাব দেওয়া যায় ... মাথায় কিছু লোকেরা বসে গেছে ... তার মধ্যে বিচিও আছে কাকও আছে ... আমি তো এখন একটা পাগলা বুড়ো !!!
09-11-2021, 09:35 AM
আপডেট কইইইইই !!!!
10-11-2021, 03:04 PM
10-11-2021, 05:32 PM
Nice plot....besh egoche
10-11-2021, 06:00 PM
10-11-2021, 07:42 PM
(This post was last modified: 10-11-2021, 07:50 PM by buddy12. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
10-11-2021, 11:48 PM
(This post was last modified: 11-11-2021, 10:58 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
11-11-2021, 01:08 PM
(10-11-2021, 07:42 PM)buddy12 Wrote: বিচি = বিচিত্রবীর্য (10-11-2021, 11:48 PM)ddey333 Wrote: Mereche, eitutuku bachha cheleta admin hoye gelo নই আমি এডমিন না কোন মডারেটর এডমিন হলো সেই ব্যাক্তি যে এই সাইটের মালিক.... মানে টাকা যার পকেটে ঢুকছে আর মডারেটর হলো Mr wafer & sarit11..... আর কেউ নেই ❤❤❤
11-11-2021, 07:59 PM
12-11-2021, 05:20 PM
12-11-2021, 05:21 PM
15-11-2021, 05:52 PM
|
« Next Oldest | Next Newest »
|
Users browsing this thread: 2 Guest(s)