| 
		
	
	
	
		
	Posts: 49 
	Threads: 2 
	Likes Received: 131 in 41 posts
 
Likes Given: 0 
	Joined: Sep 2021
	
 Reputation: 
18 
	
	
		আবার একটি নতুন গল্পের প্লট মাথায় এল, গল্পটিতে পরাধিন ভারতের প্রেক্ষাপট কে ব্যাবহার করা হয়েছে। গল্পটি একটি সেক্সথ্রিলার কিন্তুু রহস্য এর মূল উপাদান।তাই পাঠক গনের কাছে অনুরোধ ধৌর্য ধরে গল্পটি পরতে। গল্পটির স্থান, চরিত্র সমপূর্ণ কাল্পনিক বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই------প্রতাপগড় রহস্য
 Part1
 বারাকের একটি ঘরে বসে সুকান্ত একটি ইংরেজী মাগাজিন পড়ছে। হঠাৎ একজন রাইফেলম্যান এসে একটি পত্র হাতে দিয়ে সেলাম ঠুকে চলে গেল।নায়েব কাকার টেলিগ্রাম। টেলিগ্রামটি এইরকম-----
 "Rani ma ill come soon."
 পিসিমা অসুস্থ আবার কি হল। আগের পত্র যখন দিলাম তখন তো সুস্থই ছিলো। সুকান্ত তার পিসির কাছেই মানুষ, খুব ছোটতে মাকে হারিয়েছে সে তা স্মৃতি কিছুই মনে নেই তার একটি ফটো ছাড়া। আই এ পরিক্ষার দেওয়ার সময় বাবা হার্ট এটাকে মারা যায়। পিসিমা ছিলেন নিসস্তান অতএব সুকান্ত তার কাছেই মানুষ হতে থাকে। কলেজফাইনাল দেওয়ার পর সেনাবাহিনী তে যোগ দেয়। যদিও এতে পিসিমার একরকম অমত ছিলো। এতবড় জমীদারি তাকেই তো দেখতে হবে। যাই হোক,   সে আর হয়ে ওঠেনা। অবশেষে সুকান্ত Bengal Infantry division এ যোগ দেয়। সুকান্তর বিচক্ষনতা ও তীক্ষ বুদ্ধি দেখে তাকে millitary Intelligence সে প্রোমশোন দেওয়া হয়। পিসিমার চিঠি পেয়ে সে ছুটির আবেদন করলে তা নাকচ করে Stephenson সাহেব। সুকান্ত ঠিক করে সে ইস্তফা দেবে। পিসিমা তার প্রিয় পিসিমার জন্য সে সব কিছু করতে পারে। ইস্তফা দিয়ে বার্মা থেকে দুদিন পর জাহাজে কলকাতা পৌছাল।সেখান থেকে 150কিমি. পথ ট্রেনে করে বিকাল 4টায় এসে সিরাজগঞ্জ স্টেশনে পৌছাল। দূরে একজন এসে সুকান্তকে ডাকল ও ছোটবাবু  আমি নবারুন গো রানীমা ফিটনগাড়ি পাঠায়ছে তোমার জন্য। চল নবারুন বেডিং ও সুটকেস মাথায় নিয়ে সুকান্তর পেছনে চলল।গাড়িটিতে ওঠার পর গাড়িটি চলতে লাগল। ঘোড়ার গাড়িটি  সুসজ্জিত ও পর্দা লাগানো। মাঠঘাট পেড়িয়ে ছুটে চলছে কি অপূর্ব এই শোভা। পুজো সামনেই শরদের আকাশ ও কাশফুল যেন পরিবেশ টিকে  এক মহময়ী রুপ দিয়েছে। দুরে একটি পাঠশালা দেখা যাচ্ছে। অবশেষে এসে বৌঠকখানার সামনের শিড়িতে দাড়াল। গাড়ি থেকে নেমেই হতবাক সুকান্ত" একি পিসীমা তুমি!" হ্যা রে সুকো নায়েব মশাই কে দিয়েই আমি তার করিয়ে ছিলাম। সুকান্ত- তাই বলে শেষমেষ এই ভাবে ডাকবে।আমি তো ভয়ে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছিলাম। সিড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে বলতে লাগল সুকান্ত। হঠাৎ সে লক্ষ করলো কে যেন তাকে সদর দরজার পেছন থেকে লক্ষ করছে। সুকান্তর তার সঙ্গে দৃষ্টি বিনিময় হতেই সে দেখল কি অপূর্ব দুটি কাজল পড়া চোখ। তার পরেই তা মিলিয়ে গেল।সুকান্ত আর কিছু বলল না। সে পিসির সাথে বৈঠকখানার ঘরে গিয়ে বসল। জমীদার বাড়ির ঐতিহ্য যেন সারা বাড়িময়। একটি টেবিলে একটি নগ্নমহিলা মূর্তি রাখা রয়েছে। ও দেওয়ালে একাধিক বাঘ সিংহের মাথা। শিকারের শখ ছিলো পিসের তারই সময়কার এগুলি। পিসি ডাকল ওরে সুকো যা হাত মুখ ধুয়েনে আমি খাবার দিতে বলি গে। বলে পিসি পাশের ঘরে চলে গেল। সুকান্ত নিজের ঘরে গিয়ে পোশাক পাল্টে সাদা ফতুয়া ও ধুতি পরে এসে ঝুল বারান্দায় দাড়াল। দোতলা থেকে দুরে একটি পুকুর দেখা যায় যা শান বাধানো। তাকে ঘিরে বাগান। বাড়ির পূর্বদিকে একটি ছোট মন্দির আছে। রোজ ঠাকুর দালানে ঘটা করে পূজো হয়। জমিদার বাড়িটি দোতলা উপরে খান চারেক ঘর ও একটি বড় ঝুলবারান্দা। প্রতিটি ঘর পরিপাটি করে সাজানো, পুরু কার্পেট ও ভেলভেটের পর্দায় ঘেরা একটি ত্রিপয় ও তার সাথে একটি চেয়ার। সুকান্ত পিসীমার ডাকে নিচে গেল, পরিপাটি করে খেতে দিয়েছে পিসী। ওফঃ এত কে খাবে মাংস থেকে মিষ্টি সঙ্গে দই, পায়েস তো আছেই।"রাখতো তোর সাহেবিয়ানা, সব শেষ করবি তবে তোর ছুটি"। অতএব, উপায় নেই। সুকান্ত খেতে খেতে জিঞ্জেস করলো "বা রান্নার জন্য নতুন ঠাকুর নিযুত্ত করলে নাকি?"
 
	
	
	
		
	Posts: 7 
	Threads: 0 
	Likes Received: 3 in 3 posts
 
Likes Given: 97 
	Joined: May 2019
	
 Reputation: 
0 
	
	
		Bhalo egochchhe... Structure bhalo thakle sundor hobe...
	 
	
	
	
		
	Posts: 49 
	Threads: 2 
	Likes Received: 131 in 41 posts
 
Likes Given: 0 
	Joined: Sep 2021
	
 Reputation: 
18 
	
	
		                        প্রতাপগড় রহস্য
                                Part2
 ওমাঃ লোক রাখতে যাবো কোন দুঃখে। ও আমি ভাবলাম বুঝি যাই হোক- সুকান্ত কথা শেষ করলো। ও তো কমলি মা আমার রেধেছে তুই আসবি বলে, না হলে তো গনসার মা আছেই। সে আবার কে পিসী? ও কে তুই চিনিস কেন কল্পনাপিসীর মেয়ে। তোরা ছোট বেলায় কতো খেলা করতিস মনে নেই। কল্পনা আমার শই ছোটবেলার আহাঃ মেয়েটা বড় অভাগা রে। কেন,পিসী?এই রকম বলছো। ওমা, কল্পনার গত হওয়ার পর ওকে কে দেখার কেউ নেই। বয়স্কা মেয়ে কি করে একা ছেড়েদি। আর শই এর মৃত্যুশয্যায় আমি কথা দিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে, রাঘব এসে দাড়িয়েছে, সে এ বাড়ির চাকর। আর কিছু লাগবে দাদাবাবু? না তুই যা। কমলা কোথায় রে? কে কমলা দিদিমোনি সে বাগানে গেছে, গাছের পরিচর্যা করতে। সব দিকে নজর মেয়েটার। তা, হা রে সুকো আবার বর্মা পারি দিবি কবে? আর যাব না সে পাঠ চুকিয়ে এসেছি। যাক, চেহারাটার কি হাল করে ছিস এইতো এবার তুমি ঠিক করে দিও। তা পিসী অনুপম,অক্ষয়,পিযূষ,আলী ওরা কি খবর গো? ভাবছি! কালকে একবার গঞ্জে যাবো মাধবকে সঙ্গে করে। তা যাসখোন। পিযূষ তো শুনেছি কি সব সাহেবদের কোম্নানীতে চাকরি করে হপ্তায় এক আদবার এখানে আসে মার কাছে। আর বাকিরা সব এখানেই থাকে। পিসী রাতে আর খাবনা ভাবছি বুঝলে। তোর প্রিয় চিতল মাছের মুইঠা ও বরিভাজা।তোমাকে নিয়ে আর পারা যাবেনা। শুতে গেল সুকান্ত, কাকে যেন সে দেখল ছাদের সিরি দিয়ে উপরে চলে গেল। কমলা নয় তো। ঘুমে চোখদুটি অবস হয়ে গেল সুকান্তর। প্রাতভ্রমনে যাওয়ার অভ্যাস সুকান্তর তাই সে ধুতি ও পানজাবী আর পামসু টি পরে যাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে বেরতে যাবে সদর দরজা মুখোমুখি কমলার সঙ্গে। সুকান্ত হতবাক! এ তো সাক্ষাৎ  এক দেবী মূর্তি অপরুপা বললে কম বলা হবে মাথা ভর্তি একরাস কালো চুল ছোট্ট ললাট  ঢলঢলে মুখখানি তার সঙ্গে চোখগুলি যেন কোন শিল্পীর তুলির টানে আঁকা। উন্নত গৃবা ও সুন্দর পাতলা পাতার নেয় ঠোঁট যেন রুপটিকে আরো অন্য মাত্রা দিয়েছে। গায়ের রং ও বেশ পরিষ্কার। সুকান্তর চোখ দুটি যেন তার বক্ষদেশে গিয়ে একরকম আটকে গেছে। ফুলকাটা লেসের ব্লাউজের ডিজাইনের মধ্যে দিয়ে বক্ষ বিভাচিকা বেশ দৃশ্যমান, উদ্ধত পর্বেতর ন্যায় তা শাড়ীর ভেতর দিয়ে জানান দিচ্ছে। আটপৌরে করে একটি কমলা পার শাড়ী ও কালো ব্লাউজ পরে সে যেন অপরুপা। মুচকি হেসে সে পাশ কাটিয়ে চলে গেল যেন চোখের ইশারায় কি যেন বলে গেল। সুকান্ত আর সময় নষ্ট না করে সদর দরজার দিকে এগোতে লাগল। গ্রামের পথ ধরে সে চলেছে অপরুপ শোভা চারিদিকে পথে দেখা বুড়ো করিম মীঁয়ার সঙ্গে।"ছোটকত্তা যে, তা কবে আসা হলো"? এই তো গতকাল। তা তোমরা সব আছ কেমন, আল্লার ভরসায় চলে যাচ্ছে। সুকান্ত এগিয়ে চলল।  
	
	
	
		
	Posts: 151 
	Threads: 1 
	Likes Received: 141 in 93 posts
 
Likes Given: 47 
	Joined: Aug 2020
	
 Reputation: 
9 
	![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png) • 
	
	
	
		
	Posts: 49 
	Threads: 2 
	Likes Received: 131 in 41 posts
 
Likes Given: 0 
	Joined: Sep 2021
	
 Reputation: 
18 
	
	
		                         
                   প্রতাপগড় রহস্য
                            Part 3 কাজলদিঘীতে মাছ ধরতে যাবে ভাবল সুকান্ত। হাত ঘড়ির দিকে চেয়ে দেখলো 7টা বাজে,পিসীর বোধয় পুজো শেষ। বাড়ি তারাতারি ফিরতে হবে, বাড়ির দিকে হাটে সুকান্ত।  পিসী ও কমলা তখন নাট মন্দিরে পুজোয় ব্যাস্ত। কমলা একটি লালপাড় শাড়ী পড়েছে কি অপূর্ব লাগছে তাকে। নিতম্বের গরনটি সত্যি লোভনীয়। কি সব ভাবছি আমি মনে মনে বলল সুকান্ত। নিজের ঘরে পোশাক ছেড়ে আরাম করতে লাগল সুকান্ত। ইতিমধ্যে মাধব এসে খাবার দেবে কিনা জিজ্ঞাস করতে এল। সুকান্ত বলল আমি নিচে যাচ্ছি। "আয় সুকো এতক্ষন ছিলি কোথায়? ওই একটু প্রাতভ্রমনে গেছিলাম। লুচি সহযোগে মাংসের ঘুগনি শিতের সকালে সত্যি ভাবাযায়না। সব আমার কমলা মা নিজে হাতে রেঁধেছে, কিরে রান্না সব ঠিক আছে তো। হা পিসী। সুকান্ত কাছারিতে যাবে ভাবছিল হঠাৎ  নবারুন এসে বলল ছোটবাবু পত্র আছে আপনার জন্য। পত্রর শুনে চোখ কুচকোল সুকান্ত। কে আবার তাকে পত্রর দিলো!  খাম খুলে দেখল  সমরেশ পত্র দিয়েছে। পত্রটি ঠিক এই রকম-------- নবাবগঞ্জ, ব্যান্নর্জী ভবন  24 parganas,  700035.                                           বন্ধু                        সুকান্ত  গঞ্জে মাধবের সঙ্গে দেখা হলো, সে বলল তুই নাকি বর্মা থেকে তিন চারদিন হলো এসেছিস। অনেকদিন তোর সঙ্গে দেখা হয়নি। ইতিমধ্যে একটি র্দুঘটনা ঘটে গেছে বাবা মশাই গত হয়েছেন। কিন্তুু পুলিশের অনুমান তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের সবাই শোকাহত। যদিও, পুলিশ এখনও হাল ছাড়েনি  কিন্তুু হত্যাকারি এখন আমাদের চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই আমার অনুরোধ তুই একবারটা যদি আসতিস হয়ত এর একটা মীমাংসা  হত।    প্রতাপগড়                      ইতি   নদিয়া মহকুঞ্জ             সমরেশ   742192   চিঠি পেয়ে সুকান্ত বন্ধুর অনুরোধ নিয়ে কি করবে ভেবে পায়না। এতদিন পর বাড়ি ফিরে আবার পিসীকে কি বলবে ভেবে পেলনা, অন্যদিকে সমরেশের বিপদের কথা পিসিকে বললে নিশ্চয় পিসি বুঝবে। দুপুরে খেতে বসে পিসিকে চিঠির সবকথা সে পিসিকে বলল। ঠিক আছে যাবি যা তবে তোর দেখাশোনার জন্য কেউ এখান থেকে যাবে। ওখানে তো অনেক ঠাকুর চাকর ঝি তো আছে। তবুও যাবে। কেউ না যাক কমলা মা যাবে। মনে মনে সুকান্ত চাইছিল কমলা যাক তার সাথে। সুকান্ত কালকেই ডাকে চিঠি লিখে দিলো। প্রতাপগড় প্রায় এখান থেকে 100কিমি. কাজেই austin গাড়িটিকে সঙ্গে নিতে হল। মালপত্র ও বেডিং গাড়িতে তুলে দেওয়া হল। কমলা আজ একটা আকাশি শাড়ী ও সবুজ ব্লাউজ পড়েছে। সুকান্ত একটি শার্ট ও গালিশ ওলা প্যান্ট নিল রংয়ের। পিসি দূগ্গা দূগ্গা করে সবাই কে রওনা করে দিলো। পথ চলা শুরু হলে কমলা সুকান্তর দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছিল আর হাসচ্ছিল মৃদু। সুকান্তর নজর তার সাড়া শরীরের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুকান্ত কমলার একটি আঙ্গুল আলতো করে স্পর্শ করলো, কেঁপে উঠল কমলা।                                                                                                          
	
	
	
		
	Posts: 49 
	Threads: 2 
	Likes Received: 131 in 41 posts
 
Likes Given: 0 
	Joined: Sep 2021
	
 Reputation: 
18 
	
	
		প্রতাপগড় রহস্য                                              Part 4   
কিছু বলছ না যে? প্রশ্ন করলো সুকান্ত।  
না মানে........ করে ইতস্তত করছিলো কমলা। কথা শুরু করলো সুকান্ত। সমরেশ আমার কলেজের বন্ধু, বর্মা চাকরি করতে যাওয়ার পর ওর সঙ্গে আর দেখা হয়নি। এতদিন পর এইভাবে তাও এই কারনে দেখা ভাবছি কি বলব। এইবারে কথা বলে কমলা----- কেন এত একটা র্দুঘটনা তাই নয় কি? তা বটে। কাকাবাবু খুবই  আনন্দপ্রিয় ছিলেন। সমরেশ রা তিন ভাই অখিলেশ দা সবার চাইতে বড়। আগে সেনাবাহিনীতে ডাক্তার ছিলেন। পরে অবশ্য নিজের বাড়িতেই চেম্বার করেন। সমরেশ তাদের পৈত্রিক চা কারবার ও জমীদারি দেখাশোনার সাথে যুক্ত। নিখিলেশ জাহাজের কাপটান ছিলো, বাইরে বাইরে কেটেছে সারা জীবন। পরে অবশ্য নিজ গৃহে ফিরে আসে শুনেছি। এদের কেউ বিবাহিত নয়। ছোট বোন বিনিতা অবশ্য কাকাবাবুর চোখের মনি ছিলো। সহপাঠি সমরেশ খুব মেধাবি না হলেও লেখা পড়ায় খারাপ বলা যায় না। তা আপনারা দুই বন্ধুই সমান কেউ বিয়ে করতে আগ্রহী নয় বলে মুচকি হাসলো কমলা। সুকান্ত বলল এই বার সেরে ফেলব ভাবছি। কিছুক্ষন যাওয়ার পর কমলা সুকান্ত কে কিছু বলতে চাইলো কিন্তুু লজ্জা পেল। সুকান্ত জিঞ্জেস করলো কিছু বলবে কমলা। হ্যা মানে আমি একটু সামনে নামব, ও আচ্ছা বুঝতে দেরি হল না সুকান্তর কমলার পেচ্ছাপ চেপেছে। বনের কাছে একটি নিরিবিলি জায়গায় গাড়িটি দার করালো সুকান্ত। লজ্জায় লাল কমলা গাড়ির থেকে নেমে বনে গিয়ে ডুকলো। সুকান্ত এই দৃশ্য দেখার লোভ সামলাতে পারলোনা। সে পেছন পেছন ধীর গতিতে গিয়ে একটি গাছের পেছনে দাড়ালো। কমলা চারিদিক দেখে কাপড় ও সায়া তুলে সেখানে মুততে লাগল। সুকান্ত দেখতে লাগল কি অপূর্ব  সুন্দর  বিধাতার সৃষ্টি বিশাল নিতম্ব দেখে খানিক হা হয়ে ছিল সুকান্ত। কমলা আবার চারিপাশ দেখে নিজেকে গুছিয়ে নিলো।ইতিমধ্যে সুকান্ত নিজের জায়গায় ফিরে এসেছে।  দুইজনে চেপে বসতেই সুকান্ত গাড়ি ছেড়ে দিলো। মিটি মিটি হাসছিলো সুকান্ত। হাসছেন যে ?  কি অপরুপা তোমায় বানিয়েছে কমলা। কমলার আর দশটা মেয়ের মতো বুঝতে দেরি হলোনা সুকান্ত সব চাক্ষুস করেছে। ছিঃ আপনি সব..........। আর বলতে পারলো না।
	 
	
	
	
		
	Posts: 49 
	Threads: 2 
	Likes Received: 131 in 41 posts
 
Likes Given: 0 
	Joined: Sep 2021
	
 Reputation: 
18 
	
	
		                         প্রতাপগড় রহস্য Part 5 
গাড়ি অবশেষে মাটঘাট পেরিয়ে এসে উঠল সিংহ দুয়ারের সামনে। বিশাল বড় অট্টালিকা দুয়ার থেকে কিছুটা দুরে দৃশ্যমান।দুয়ারের সামনে দুইজন পাগড়ি বাধা দারোয়ান বল্লম হাতে কি কথা বলছে। গাড়িটি সামনে আসতে জিঞ্জাসা করলো "কিস্ কো চাহিয়ে"। সুকান্ত বলল" সমরেশ বাবু হে কিয়া", জি। 
একজন ইতিমধ্যে ভেতরে গেল ডাকতে অন্যজন অপেক্ষা করছিলো কত্তা বাবু আসার। সমরেশ ও তার বোন বিনিতা এসে পৌছাল উঠানে। সুকান্ত গাড়িটি চাতালের উপর রেখে দাড়াল। উলটোদিকে কমলা কখন নেমেছে। কি রে রাস্তায় অসুবিধে হয়নি তো বলল সমরেশ। সুকান্তদা তো আমাদের ভুলেই গেছে--- বলল বিনিতা একটু চোখ মোটকে। বিনিতাকে দেখতে বেশ কামউত্তেযক। মাথায় এক গোছা কালো চুল, সুন্দর টানা টানা দুটি চোখ শরীরের সমস্ত ভাঁজ গুলি যেন দেখার মতো। উন্নত স্তনযুগল সুকান্তর দৃষ্টি এড়ায়নি। পাতলা সুন্দর ঠোঁট,নাক  কপালে একটি বিন্দি আলাদা শ্রী বাড়িয়ে দিয়েছে। বিনিতা একটি হলদে শাড়ি ও কালো ব্লাউজ পড়েছে। মেয়েটির মধ্যে একটা আলাদা চটক আছে বটে ভাবছিল সুকান্ত। সিড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে বিনিতার নিতম্বে একটি চিমটি কাটল সমরেশ। উফ...করল বিনিতা। নধর স্তন দুটি যেন ইশত কেঁপে উঠল। চোখ এড়ালোনা কমলার। সমরেশ জিঞ্জাসা করল সুকান্তকে ওনাকে তো ঠিক......কমলার দিকে ইশারা করে। ও হচ্ছে আমাদের এক আত্মীয়া ও আমার বান্ধবি। তা হলে আমি কে? বলল বিনিতা। আঃ বিনু কি হচ্ছেটা কি--বলল সমরেশ। সুকান্ত ও সমরেশ দুজনেই সিড়ি দিয়ে উঠতে লাগল পেছনে বিনিতা ও কমলা। সোজা একটি দির্ঘ লম্বা ঘর তার চারপাশে চোটচোট টেবিলের উপর বিভিন্ন নগ্ন পুরুশ ও নারী মূর্তি। দেয়ালের উপর দিকে পশু যমন বাঘ,সিংহ প্রভৃতি মাথা ঝোলানো। সুকান্ত জিঞ্জাস করলো কাকাবাবুর postmortem রির্পোট টা পেয়েছিস? না কালকে থানার ওসি নিয়ে আসবে বলল সমরেশ। 
তুই মৃত্যুর কারন কিছু অনুমান করতে পারলি। না তবে দাদা বলছিলো poisioning বলে অনুমান।  যাকগে আগে তোকে সবার সাথে আলাপ করিয়ে দিই।
	 
	
	
	
		
	Posts: 3,033 
	Threads: 0 
	Likes Received: 1,353 in 1,201 posts
 
Likes Given: 45 
	Joined: May 2019
	
 Reputation: 
34 
	![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png) • 
	
	
	
		
	Posts: 49 
	Threads: 2 
	Likes Received: 131 in 41 posts
 
Likes Given: 0 
	Joined: Sep 2021
	
 Reputation: 
18 
	
	
	
		
	Posts: 1,614 
	Threads: 1 
	Likes Received: 1,583 in 1,000 posts
 
Likes Given: 5,433 
	Joined: Jan 2019
	
 Reputation: 
201 
	
	
		নতুন গল্পের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।খুব সুন্দর শুরু করেছেন ।
 সাথে আছি ।
 
	![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png) • 
	
	
	
		
	Posts: 2 
	Threads: 0 
	Likes Received: 3 in 1 posts
 
Likes Given: 0 
	Joined: Oct 2021
	
 Reputation: 
0 
	
	
		ধীরে ধীরে জমে জাচ্ছে, এগিয়ে জান
	 
	![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png) • 
	
	
	
		
	Posts: 1,402 
	Threads: 12 
	Likes Received: 2,481 in 829 posts
 
Likes Given: 1,054 
	Joined: Nov 2019
	
 Reputation: 
387 
	
	
		ডায়লগ গুলো একটু আলাদা করে লিখলে মনে হয় ভালো হতো , মাঝে মাঝে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে । 
 শমরেশ আর বিনিতার আচরন একটু কেমন জানি ? হয়ত গল্প এগুনোর সাথে সাথে ওদের এমন আচরন এর কারন জানা যাবে ।
 
	
	
	
		
	Posts: 49 
	Threads: 2 
	Likes Received: 131 in 41 posts
 
Likes Given: 0 
	Joined: Sep 2021
	
 Reputation: 
18 
	
	
		                               প্রতাপগড় রহস্যpart6
 বৈঠকখানার ঘরে ডুকতেই বুড়ো চাকর ফাগুরামের সঙ্গে দেখা হলো। ফাগুরাম সমরেশের দাদুর সময়কার। চোখে দৃষ্টি ক্ষীন শরীর ও রুগ্ন। সমরেশ,সুকান্তকে বলল তোরা পোশাক পাল্টে নে তারপর কথা হবে। সুকান্তকে উপরে দোতলায় একটি ঘরে নিয়ে গেল একজন ভৃত্য। ঘরটা বেশ বড় দুটি জানালা সূর্যের আলো বেশ ভালভাবেই প্রবেশ করছে। একটি আলমারি, ছোট একটি টেবিল ও চেয়ার,  বড় একটি পালঙ্ক। পেছনে পেছনে কমলা ও বিনিতা এসে ঘরে ডুকলো। এইযে সুকান্তদা কমলাদি কে কিন্তুু আমি ছাড়ছিনা। এইমরেচে কেন? বলল সুকান্ত। না, তা রাতে তোমার সেবা মাঝে মাঝে করবে বৈকি। তাতে অবশ্য আমিও সাহায্য করব ক্ষন-----বলে মুখ টিপে হাসতে লাগল। তখনি না হয় তোমাদের মজা দেখাবো-বলল সুকান্ত। সুকান্ত ও কমলা পোশাক পাল্টে খাবার ঘরে গেল। বেশ বড় ঘরটি একটি লম্বা টেবিল ও তাকে কেন্দ্র করে এদিক ওদিক বেশ কিছু চেয়ার। সুকান্ত ও কমলা খেতে বসল সঙ্গে সমরেশ, নিখিলেশ, বিনিতা। বিভিন্ন পদ ও রকমারী রান্নার সমাহার খেতে খেতে নিখিলেশ তার জীবনের অভিঞ্জতার কথা বলতে লাগল। খাওয়া শেষ করে উঠতে উঠতে বেশ বেলা হল। সমরেশ ও সুকান্ত বাগানের দিকে যেতে যেতে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতে লাগল। সুকান্ত বলল - তা হ্যা রে তোদের সে নায়েব কাকা কোথায়। সে তো কাছারিতে। আজকাল নায়েব কাকার চোখের নজর হয়না তাই একজন কমবয়সি ম্যানেজার রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে কখন কমলা ও বিনিতা পান এনে সুকান্ত ও সমরেশকে দেবে বলে দাড়িয়েছে। সুকান্ত যেন মাটিতে হাত দিয়ে কি একটা পরিক্ষা করছিলো। তোদের এদিকে কেউ যাতায়াত করে সমরেশ?  সে বলতে ওই মালি আর পিসিমা। সুকান্ত একটি গাছ কে পরীক্ষা করছিলো। আচ্ছা কাকুর রক্তচাপ জনিত সমস্যা ছিলো কি? হ্যা, ছিলো কেন বলতো সুকান্ত। না এমনি জীঞ্জাসা করছিলাম। বাগানের পরেই একটি পুকুর সুকান্তর ঘর থেকে তা সোজাসুজি দেখা যায়। সুকান্ত পেছন ঘুরতেই বিনিতা এগিয়ে এসে পানটা দিতে গেল,  সুকান্ত বলল হাতে মাটি লেগে আছে তাই মুখে দিয়ে দিতে। বিনিতা পানটা মুখে দিতেই সুকান্ত তার আঙ্গুল কামরে দিলো। উফঃ.. অসভ্য কোথাকার- বলল বিনিতা, বলে মুচকি হাসলো। সুকান্ত  দুপুরে নিদ্রার পর সমরেশের সঙ্গে নিচের ঘরে সবার সঙ্গে আলাপ করতে এল। সমরেশ সবার সাথে একে একে আলাপ করিয়ে দিতে লাগল রান্নার ঠাকুর দিনু, চালক লোকেশ, ও প্রভৃতি ভৃত্যদের সাথে। সমরেশ একজনের সামনে এসে দাড়াল ইনি হৈমন্তি বাবামশাইয়ের দেখাশোনা করতেন। সুকান্ত উপর থেকে নিচে অবদ্ধি দেখতে লাগল তাকে কামনার যাবতীয় রসদ যেন আগে থাকতেই তার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমানে, সুন্দর টিকালো নাশিকা, পাতলা ওষ্ঠ, নিচের ঠোটের তলায় একটি ছোট্ট কালো তিল আছে। পরিপাটি করে খোঁপা বাধা সুন্দর আঙ্গুলগুলি তাতে নেলপলিশ পড়ানো সযত্নে। বেশ চটকদার বেশভূষা। পরনে একটি নিলপাড় সিল্কের শাড়ি ও ম্যাচিং ব্লাউজ।
 
	
	
	
		
	Posts: 7 
	Threads: 0 
	Likes Received: 3 in 3 posts
 
Likes Given: 97 
	Joined: May 2019
	
 Reputation: 
0 
	
	
		সাসপেন্স-এর বাতাবরণ তৈরী হচ্ছে। ভালো ভালো। এগিয়ে যাক এভাবেই।
	 
	![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png) • 
	
	
	
		
	Posts: 1,614 
	Threads: 1 
	Likes Received: 1,583 in 1,000 posts
 
Likes Given: 5,433 
	Joined: Jan 2019
	
 Reputation: 
201 
	
	
		রহস্য আস্তে আস্তে ঘনীভূত হচ্ছে। সাথে আছি দাদা।
 
	![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png) • 
	
	
	
		
	Posts: 49 
	Threads: 2 
	Likes Received: 131 in 41 posts
 
Likes Given: 0 
	Joined: Sep 2021
	
 Reputation: 
18 
	![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png) • 
	
	
	
		
	Posts: 3,033 
	Threads: 0 
	Likes Received: 1,353 in 1,201 posts
 
Likes Given: 45 
	Joined: May 2019
	
 Reputation: 
34 
	![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png) • 
	
	
	
		
	Posts: 1,247 
	Threads: 0 
	Likes Received: 977 in 707 posts
 
Likes Given: 1,681 
	Joined: Jul 2020
	
 Reputation: 
66 
	
	
		Besh ekta thriller mone hoche..... lekhar quality o bech bhalo apnar.....plot besh bhalo.....let's see what happens next
	 
	![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png) • 
	
	
	
		
	Posts: 49 
	Threads: 2 
	Likes Received: 131 in 41 posts
 
Likes Given: 0 
	Joined: Sep 2021
	
 Reputation: 
18 
	
	
		                                 প্রতাপগড় রহস্য
                                      Part 7                 সুকান্ত সামনের দিকে এগিয়ে চলল।পরিচয় পর্ব মিটল।হঠাৎ সুকান্ত জিঞ্জাসা করল আচ্ছা অখিলেশ দা কে তো দেখছিনা কালকে থেকে। "ওদাদার কথা বলছিস দাদা তো কয়েকদিন হল আমাদের উত্তরবঙ্গের যে চাবাগান গুলি আছে সেখানে গেছে",বলল সমরেশ। ওখানে একটি চা শ্রমিকদের জন্য দাতব্য চিকিৎসা লয়ের জন্য। সন্ধ্যে বেলা কেক ও পাপড় সহযোগে চা চলতে লাগল। ইতিমধ্যে সমরেশ ও সুকান্তর মধ্যে নানারকম ছোটবেলার গল্প হতে লাগল। আচ্ছা সমরেশ, কাকাবাবু  কত মাস ধরে অসুস্ত অনুভব করছিলো? তা প্রায় মাস ছয়েক ধরে খুব অসুস্তছিলো, আগে তাও কাছারিতে গিয়ে বসত, তবে ইদানিং যেন আরো detoriate করছিলো বলল সমরেশ। হৈমন্তিকে কে আনল?বলল সুকান্ত।ওকে কেউ আনেনি কাগজে একটি বিঞ্জাপন দেওয়া হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে ও আর অনেকে  apply করেছিলো সেই কাছারিতে ওকে দেখেশুনে যে নতুন ম্যানেজারটি এসেছে সে একরকম আমাদের মতামত নিয়েই ওকে নিযুত্ত করে। ভদ্রমহিলা আসার পর কি কিছু উন্নতি হয়েছিল?- বলল সুকান্ত। কই তেমন তো কিছু চোখে পড়েনি- বলল সমরেশ। বাবামশাইয়ের তো কোন শক্রছিলো বলে শুনিনি তবে কে তাকে হত্যা করবে আর কি বা তার কারন? শুধায়, সমরেশ। খুন যখন হয়ছে motive তো একটা আছে অবশ্যই--বলল সুকান্ত।পরেরদিন সকালে বৈঠকখানার ঘরে সুকান্ত ও সমরেশ বসে আছে হঠাৎ একটি পায়ের খট্ খট্ শব্দ শোনা গেল। থানার অফিসার দুলাল তালুকদার এসে ঘরে ডুকলো। বেশ নাদুস নুদুস চেহারা মাথায় একটি বড় টাক, বেটে খাটো গরনের চেহারাটা। হ্যা, মশাই আপনার দাদার কথাই ঠিক poisioning -ই করা হয়েছে আপনার বাবাকে বললেন তালুকদার। এই নিন postmortem report. সুকান্ত হাত বাড়িয়ে রির্পোট টা নিল। সমরেশ প্রায় বিমূড় কি বলবে কিছু ভেবে পাচ্ছিল না।আচ্ছা Stomach content এর একটা কেমিক্যাল আ্যনালিসিস করলে হত না - বলল সুকান্ত। তা আর বলতে তবে কলকাতা থেকে সিভিল সার্জনের রির্পোট আসতে একদিন দেরি হবে মশাই- বলল তালুকদার। আপনার পরিচয় তো ঠিক পেলাম না বলল তালুকদার।" আমার বন্ধু" বলল সমরেশ। তা মশাই হত্যাকারির এলেম আছে সবার সামনে বিষপ্রয়োগ হল অথচ কেউ কিছু বুঝতে পারলোনা বলল তালুকদার। সেইটাই তো ধাঁধা -শুধায় সুকান্ত। তা সকান্ত বাবুর আবার এসব অনুসন্ধান তনুসন্ধানে ঝোক আছে নাকি বলল তালুকদার। ওই আর কি জবাব দেয় সুকান্ত। ইতিমধ্যে কখন কমলা ও বিনিতা এসে দাড়াল হাঁফাতে হাঁফাতে। কি বিনু কি খবর তোদের ওই রকম করে হাঁফাচ্ছিস কেন বলল সমরেশ। ওই আমি আর কমলাদি কিত্কিত্ খেলছিলাম বলল বিনিতা। তা আর কি কি খেলতে পার  জিঞ্জাস করলো সুকান্ত। অনেককিছু বলে হাসলো বিনিতা খিল্ খি্ল করে। একবার কাছারিতে যেতে হবে বলল সুকান্ত।                     
	
	
	
		
	Posts: 3,033 
	Threads: 0 
	Likes Received: 1,353 in 1,201 posts
 
Likes Given: 45 
	Joined: May 2019
	
 Reputation: 
34 
	![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png) • |